
বার্সেলোনার জার্সিতেই ক্যারিয়ার শেষ করতে চান রাফিনিয়া
ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল মৌসুম পেরিয়ে এলেন রাফিনিয়া, আর ঠিক তখনই বার্সেলোনার সঙ্গে নতুন চুক্তিতে নিজের ভবিষ্যতের দিকটা আরও পরিষ্কার করে দিলেন এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। ২০২৮ সাল পর্যন্ত কাতালান ক্লাবের সঙ্গে থাকা নিশ্চিত করেছেন রাফিনিয়া, আর জানিয়ে দিলেন, এখানেই ক্যারিয়ার শেষ করতে চান তিনি। ‘স্বপ্নটা বরাবরই ছিল বার্সেলোনার হয়ে ক্যারিয়ার শেষ করার,’ ক্লাবের অফিশিয়াল ঘোষণায় আবেগঘন কণ্ঠে বললেন রাফিনিয়া। ‘এই পরিবারের অংশ হয়ে আরেক বছর থাকতে পারাটা আমার জন্য বিশেষ অনুভূতির। আমি চাই এই জার্সিতে থেকে নিজের সেরা ফুটবলটা খেলেই বিদায় নিতে।’ ২০২২ সালে লিডস ইউনাইটেড থেকে বার্সায় পা রাখা রাফিনিয়া শুরুতে ছিলেন অনিশ্চয়তার মধ্যে। স্পেনে নিজের প্রথম দুই মৌসুমে মাত্র ১৩টি লিগ গোল করেছিলেন, আর বার্সার আর্থিক অনিশ্চয়তার কারণে তাকে বিক্রির ভাবনাও ছিল। কিন্তু ২০২৪-২৫ মৌসুমে সেই রাফিনিয়া একদম বদলে গেছেন। ৫৬ ম্যাচে ৩৪ গোল ও ২৫ অ্যাসিস্ট! লা লিগা, কোপা দেল রে এবং স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতে ঘরোয়া ট্রেবল জিতেছে হান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনা আর এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাত্রায়ও দারুণ অবদান রাখেন রাফিনিয়া, করেন ১৩ গোল, ৯ অ্যাসিস্ট। এমন পারফরম্যান্সে প্রিমিয়ার লিগ ও সৌদি আরবের বড় ক্লাবগুলো তাকে পেতে আগ্রহ দেখালেও রাফিনিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ‘আমার হৃদয় কেবল কাতালুনিয়ায়।’ এ মৌসুমে বার্সেলোনার পাঁচ অধিনায়কের একজন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রাফিনিয়া। তার সঙ্গে আছেন টের স্টেগেন, রোনাল্ড আরাউহো, ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং এবং পেদ্রি। নিজেকে এখন দেখেন আরও দায়িত্বশীল একজন হিসেবে। ‘আমি এখন রাফিনিয়া, বাবা এবং অধিনায়ক। এই ভূমিকাটা আমাকে পরিণত করেছে,’ বলেছেন তিনি। ‘এখনও অনেক কিছু শেখার আছে। তবে আমি বিশ্বাস করি, এই ক্লাব, সতীর্থ, কোচিং স্টাফ ও সমর্থকদের পাশে পেলে আমি আরও ভালো মানুষ ও ফুটবলার হতে পারব।’ নতুন চুক্তির পর ব্যক্তিগত লক্ষ্যও স্পষ্ট করেছেন এই ২৮ বছর বয়সী তারকা: ‘গোল, অ্যাসিস্ট এসব তো থাকবে, কিন্তু আমার আসল লক্ষ্য বার্সার জার্সিতে আরও অনেক ট্রফি জেতা।’ বার্সেলোনা মৌসুম শেষ করবে রবিবার অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মাঠে। এরপরের অধ্যায় শুরু হবে নতুন চুক্তির রাফিনিয়াকে ঘিরে, যিনি এখন শুধু ক্লাবের প্রাণভোমরা নন, সম্ভাব্য ব্যালন ডি’অর প্রার্থীদের একজন। এক সময়ের বিক্রির তালিকায় থাকা রাফিনিয়া এখন বার্সেলোনার ভবিষ্যতের কাণ্ডারি। তিনি নিজেই জানিয়ে দিলেন এ পথের শেষটা যেন ক্যাম্প ন্যুতেই হয়!

সিরিজ খেলতে কবে পাকিস্তানে যাবেন লিটন-শান্তরা
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাজেভাবে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ দল। এরপর থেকে আলোচনায় আছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। ওই সিরিজ শেষেই তারা বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছেন না। কারণ আগামী রোববারই যে তাদের পাকিস্তানের উদ্দেশে দুবাই ছাড়তে হচ্ছে। সালমান আলি আগা নেতৃত্বাধীন দলটির বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে লিটন দাসের দল। এদিকে, ইতোমধ্যে আরব আমিরাত সিরিজ শেষ করে আসন্ন সিরিজের স্কোয়াডে না থাকা সৌম্য সরকার এবং নাহিদ রানা ঢাকায় পা রেখেছেন। তাদের মধ্যে নাহিদ ব্যক্তিগত কারণে নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছেন এবং সৌম্য ছিটকে গেছেন পিঠের চোটের কারণে। ফলে উভয়ই বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরের দলে নেই। নাহিদ রানা নাম প্রত্যাহার করায় নতুন করে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। বর্তমানে পিএসএল খেলতে পাকিস্তানেই অবস্থান করছেন তিনি, একই সঙ্গে রিশাদ হোসেনও রয়েছেন সেখানে। এ ছাড়া আইপিএল শেষে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলা মুস্তাফিজুর রহমান ভারত থেকে সরাসরি পাকিস্তানের বিমান ধরবেন। আগামী ২৮ মে থেকে ১ জুনের মধ্যে সিরিজের সবকটি ম্যাচই হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। দুই দলের ২০ ওভারের এই লড়াই শুরু হবে ২৮ মে প্রথম টি-টোয়েন্টি দিয়ে। এরপর ৩০ মে এবং ১ জুন সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।

নিজের ফর্ম নিয়ে আশাবাদী সাকিব
লাহোর কালান্দার্স। পিএসএলের এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলছেন তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটার- সাকিব আল হাসান, রিশাদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ৯টায় করাচি কিংসের বিপক্ষে এলিমিনেটর খেলতে নেমেছে লাহোর। করাচির বিপক্ষে তিন বাংলাদেশিরই লাহোর একাদশে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ম্যাচের আগে জিও নিউজকে সাক্ষাৎকার দেন সাকিব। তিনি বলেন, আমি আগেও পিএসএল খেলেছি এবং প্রতিবারই ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। গত দশ বছরে পিএসএল অনেক উন্নতি করেছে। করাচির বিপক্ষে ম্যাচে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আর মোকাবেলায় প্রস্তুতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, প্লে-অফে কোয়ালিফাই করার জন্য জয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের করাচি কিংসের বিপক্ষে ম্যাচটিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জিততেই হবে এবং এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। করাচি কিংস খুব ভালো দল, আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। ৩৮ বছর বয়সী এই তারকা লাহোরের ইতিবাচক ড্রেসিং রুম পরিবেশের প্রশংসা করেন। শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফের সঙ্গে এক দলে খেলার সুযোগ পেয়ে ভালো লাগছে জানিয়ে তিনি বলেন, লাহোর কালান্দার্স একটি দারুণ দল। আমি শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং হারিস রউফের বিপক্ষে আগে খেলেছি। আর এখন তাদের সঙ্গে একই ড্রেসিংরুম শেয়ার করছি। একে অপরকে জানার ভালো সুযোগ এটা। দীর্ঘ বিরতির পর ক্রিকেটে ফেরার চ্যালেঞ্জ স্বীকার করেন সাকিব জানান, উত্তেজনা থাকলেও শারীরিকভাবে মানিয়ে নেওয়াটা সময়সাপেক্ষ। তবে নিজের ফর্ম নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় পর যখন আপনি আবার ক্রিকেট খেলতে নামবেন, তখন অনেক উত্তেজনা কাজ করে। তবে সেইসঙ্গে দেখতে হয় শরীর কীভাবে রেসপন্ড করে। অনেকদিন পর খেলা কিছুটা আলাদা। সামনে যেসব ম্যাচ আছে, সেগুলো আমার জন্য ভালো হবে। আগামী ২৮ মে থেকে শুরু হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সিরিজ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে ভালো একটি সিরিজ হবে। দুই দলে অনেক তরুণ খেলোয়াড় আছে, তাদের সবাই ভালো পারফরম্যান্স করতে মুখিয়ে থাকবে বলেও উল্লেখ করেন সাকিব আল হাসান।

রাকিবুলের ঝুলিতে ৭, দিন শেষে চালকের আসনে ইমার্জিং দল
চট্টগ্রামে স্পিনার রাকিবুল হাসানের দুর্দান্ত ঘুর্ণিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে তৃতীয় দিন শেষে দাপুটে অবস্থানে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। ম্যাচের তৃতীয় দিনে আজ (বৃহস্পতিবার) প্রোটিয়ারা ২৪৩ রানে গুটিয়ে গেছে। যেখানে বাংলাদেশের পক্ষে রাকিবুল হাসান একাই শিকার করেছেন ৭ উইকেট। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করেছিল ৩০৮ রান। জবাব দিতে নেমে রাকিবুলের বোলিং তোপে প্রোটিয়ারা ২৪৩ রানে অলআউট হয়, খেলতে পারেনি ৯০ ওভারও। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন অধিনায়ক জর্জ মারথিউনাস ভন হারডিন। এছাড়া আর কেউই অর্ধশতক করতে পারেননি। ৬৫ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ৩ ওভার ব্যাট করে দিনের খেলা শেষ করার আগে টাইগাররা করেছে ৫ রান, হারিয়ে ফেলেছে জোড়া উইকেট। সাজঘরে ফিরেছেন দুই ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি ও চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। আইচ মোল্লা ও অধিনায়ক শাহাদাত হোসেন দিপু দুজনই শূন্য রানে অপরাজিত রয়েছেন।

পাকিস্তান সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন সৌম্য
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আসন্ন তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন বাংলাদেশের ব্যাটার সৌম্য সরকার। তিনি পিঠের ইনজুরিতে ভুগছেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। বাঁ-হাতি এই ব্যাটার গত কয়েকদিন ধরেই পিঠের চোটে ভুগছেন। যে কারনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে গতকাল সমাপ্ত তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজে তিনি খেলতে পারেননি। সিরিজে আরব আমিরাত ২-১ ব্যবধানে জয়ী হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ফিজিও বায়জিদুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘পরীক্ষার পর দেখা গেছে, তার এই চোট থেকে সেরে উঠতে ১০ থেকে ১২ দিনের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হবে। এ কারনে পাকিস্তানে আগামী সপ্তাহে শুরু হওয়া তিন ম্যাচের সিরিজে তিনি খেলতে পারবেন না।’ বিসিবি আরো জানিয়েছে সৌম্যর পরিবর্তে এই স্কোয়াডে যোগ দিবেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার বাংলাদেশের হয়ে ২৯টি টি২০ ম্যাচ খেলেছেন। বর্তমানে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলতে তিনি পাকিস্তানে রয়েছেন। পিএসএল শেষ করেই মিরাজ লাহোরে জাতীয় দলের সাথে যোগ দিবেন।

লাহোর কালান্দার্স যেন ‘এক টুকরো বাংলাদেশ’
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দল লাহোর কালান্দার্স যেন মিনি বাংলাদেশ দল। সাকিব-মিরাজের পর এবার দলটিতে যোগ দিলেন রিশাদ হোসেনও। আসরের এলিমিনেটর ম্যাচে লাহোর মাঠে নামবে করাচি কিংসের বিপক্ষে। সেই ম্যাচেই একসাথে দেখা যেতে পারে এই বাংলাদেশি ত্রয়ীকে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে ম্যাচটি। লাহোরে বিদেশি ক্রিকেটোরের ছিল সঙ্কট। এরই মাঝে ৬ মাস পর সেই লাহোরের ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেটে ফেরেন সাকিব আল হাসান। যদিও ব্যাটে-বলে সুবিধা করতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। সাকিবের পর ডাক আসে বাংলাদেশের টি-২০ দল থেকে বাদ পরা মেহেদী হাসান মিরাজের। সবশেষ বুধবার রাতে টাইগারদের হয়ে ম্যাচ খেলার পর পাকিস্তানে উড়ে যান রিশাদ হোসেন। এর আগে, গ্রুপ পর্বে এই লেগ স্পিনার লাহোরের হয়ে ৫ ম্যাচ খেলে নিয়েছিলেন ৯ উইকেট। আজকের ম্যাচে ডেভিড ওয়ার্নারদের বিপক্ষে একাদশে দেখা যেতে পারে তিন বাংলাদেশিকেই।

গালিগালাজ শুনে জবাব দিতে চাইলেন শামীম, বাধা দিলেন সাকিব
সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হেরে বসেছে বাংলাদেশ। তার ঠিক পরেই ঘটে গেল বিব্রতকর এক পরিস্থিতি। দর্শকদের গালিগালাজও শুনতে হয়েছে দলকে। গালমন্দ শুনে দর্শককে জবাব দিতে চেয়েছিলেন শামীম পাটোয়ারি। তবে তানজিম হাসান সাকিবের বাধায় তা পারেননি তিনি। সম্প্রতি এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আইসিসির সহযোগী সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হারের ধাক্কাটা সমর্থকরা ঠিকঠাকভাবে নিতে পারেননি। এমন পারফর্ম্যান্স সমর্থকদের মনে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। বুধবার রাতে এই হারের পর তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এক দর্শক সব সীমা ছাড়িয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করছিলেন দলকে। সব ক্রিকেটার এসব শুনে মাথা নুইয়ে চলে যাচ্ছিলেন। তারা ভান করছিলেন, তারা যেন সেসব শুনতে পারছেন না। ঠিক তখন শামীম দিতে চাইছিলেন জবাব। শামীম দাঁড়িয়ে যান তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে। তিনি ওই দর্শককে ইঙ্গিত করে নিচে নেমে আসতে বলেন। তাতে সমর্থকদের ক্ষোভ তো কমেইনি, উল্টো বেড়েছে। ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ রব ক্রমেই বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তানজিম হাসান সাকিব বিষয়টা সামলান। তিনি সতীর্থ শামীমকে টেনে নিয়ে যান। পরে অবশ্য বাড়াবাড়ি কিছুই হয়নি। শামীম মেজাজ সামলে চলে গেছেন ড্রেসিং রুমে। ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ ছন্দে ছিলেন শামীম। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজে ভালো কিছুই করতে পারেননি। তিন ইনিংসে ব্যাট করেছেন তিনি, তবে তিনি রান করতে পেরেছেন মোটে ২১। প্রথম ম্যাচে ৬ রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন, পরের ম্যাচেও ৬ রান করেন তিনি, তবে এবার অপরাজিত ছিলেন। তৃতীয় ম্যাচে যখন এসেছেন, তখন দল চরম বিপর্যয়ে পড়ে গেছে। তবে তিনি দলের হাল ধরতে পারেননি আদৌ। ৯ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বসেন। এরপর তিনি এই কাণ্ড করে বসলেন গ্যালারির ক্ষুব্ধ দর্শকের সঙ্গে।

পিএসএল থেকে আরেক বিদেশি ক্রিকেটার আইপিএলে আসছেন
সামরিক সংঘাতের জেরে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে এক সপ্তাহ দেরিতে শেষ হতে যাচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। এরই মাঝে আন্তর্জাতিক ব্যস্ত সূচিও শুরু হয়ে গেছে। ফলে টুর্নামেন্টের শেষ মুহূর্তে এসেও ব্যাপক রদবদল করতে হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে। ক্রিকেটার সংকটের কারণে আইপিএলের দলকেও পিএসএলে খেলা ক্রিকেটারদের দিকেই হাত বাড়াতে দেখা গেছে। তেমনই একজনকে এবার বদলি হিসেবে নিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ইতোমধ্যে বিরাট কোহলির দলটি আইপিএলের প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে। যদিও লিগ পর্বে তাদের আরও একটি ম্যাচ বাকি। শেষ ম্যাচে আগামী ২৭ মে তারা মুখোমুখি হবে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের। সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটার জ্যাকব বেথেলকে পাচ্ছে না বেঙ্গালুরু। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের জন্য তিনি ইংলিশ জাতীয় দলে যোগ দেবেন। ফলে তার জায়গায় নতুন করে নেওয়া হয়েছে নিউজিল্যান্ডের টিম সেইফার্টকে। বর্তমানে এই কিউই উইকেটরক্ষক ব্যাটার খেলছেন পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি করাচি কিংসে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি আজ (বৃহস্পতিবার) পিএসএলের এলিমিনেটর ম্যাচে নামবে লাহোর কালান্দার্সের বিপক্ষে। এই ম্যাচ জিতলে অবশ্য ফাইনালে উঠতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলতে হবে করাচিকে। সবমিলিয়ে পিএসএলে সেইফার্টের থাকা লাগতে পারে ২৫ মে হতে যাওয়া ফাইনাল পর্যন্ত। সে হিসেবে তার আইপিএলে যোগ দিতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ বেঙ্গালুরুর শেষ লিগ ম্যাচ ২৭ মে। যদিও আইপিএলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২৪ মে থেকে সেইফার্টকে পাওয়ার কথা জানিয়েছে। পিএসএলে করাচি কিংসের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ওপেনিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন সেইফার্ট। ৯ ম্যাচে ১৪৫.৮০ স্ট্রাইকরেট ও ২৫.১১ গড়ে ২২৬ রান করেছেন এই কিউই ব্যাটার। এদিকে, ৩০ বছর বয়সী সেইফার্টের এর আগেও আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০২১ আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও পরের আসরে তিনি খেলেছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে। এবার তার ডাক পড়েছে বেথেলের অনুপস্থিতিতে। আগামীকাল (২৩ মে) বেঙ্গালুরু বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচের পরই এই ইংলিশ তারকা জাতীয় দলের ডিউটিতে যোগ দেবেন। এবারের আইপিএলে প্রথমবার খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন বেথেল। যদিও ২ ম্যাচের বেশি সুযোগ পাননি একাদশে। ৩ মে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে একাদশে ফিরে ৩৩ বলে ৫২ করেছিলেন। এরপর স্থগিত হয়ে যায় আইপিএল। সবমিলিয়ে ২ ম্যাচে প্রায় ১৭২ গড়ে ৬৭ রান করেন বেথেল। বেথেল ছাড়াও বেঙ্গালুরু তাদের একাদশের নিয়মিত সদস্য জশ হ্যাজলউডকে পাচ্ছে না। সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে তিনি ভারত ছেড়েছিলেন, এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের কারণে তার ফেরাটাও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

দিল্লি ম্যাচ হারে, এক পেসারের উপর ১০ শতাংশ জরিমানা
ম্যাচটা একেবারেই ভালো যায়নি দিল্লি ক্যাপিটালসের জন্য। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হেরে বাদ পড়তে হয়েছে তাদের। হারের দিনে একেবারেই মলিন ছিলেন দিল্লির পেসার মুকেশ কুমার। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে বুধবারের ম্যাচে ৪ ওভারে ২ উইকেট পেলেও ৪৮ রান খরচা করেছেন এই পেসার। তবে দলের হার হজমের পর আবার নতুন করে দুঃসংবাদও হজম করতে হয়েছে মুকেশকে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে হারের ম্যাচে তাকে ম্যাচ ফি’র ১০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। মুকেশের বিরুদ্ধে আইপিএলের আচরণবিধির ধারা ২.২-এর লেভেল ১ অপরাধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ম্যাচ চলাকালীন "ক্রিকেট সরঞ্জাম, মাঠের যন্ত্রপাতি বা ফিটিংসের অপব্যবহার" সংক্রান্ত বিষয়ে এই আইন প্রচলিত আছে। শাস্তির বিষয়ে ম্যাচ রেফারি ড্যানিয়েল মনোহরের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন মুকেশ। যে কারণে এই বিষয়ে তার বাড়তি কোনো শুনানির প্রয়োজন হচ্ছে না। শাস্তি ছাড়াও মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচটাই মুকেশের জন্য ছিল হতাশায় মোড়া। ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৫টি চার ও ৩টি ছয় হজম করেছেন। এমনকি তার ওভারেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়েছে মুম্বাই। ১৯তম ওভারে দিয়েছেন ২৭ রান। সেটাই মুম্বাইকে ১৮০ রানে পৌঁছাতে বড় ভূমিকা রাখে। মৌসুমের বিচারেও মুকেশের সময় একেবারেই ভাল যায়নি। চলতি মৌসুমে মুকেশ দিল্লির ১৩টি ম্যাচের মধ্যে ১১টিতে খেলেছেন। নিয়েছেন ১১টি উইকেট। যদি তার জন্য গড় ছিল ৩২ দশমিক ৬৩, ইকোনমি রেট ১০.১১।

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় দেড়শ পেরোল বাংলাদেশ
৭১ রানে ৭ উইকেট, ৮৪ রানে নেই ৮ উইকেট। কতদূর যেতে পারবে বাংলাদেশ? ১০০ পার হতে পারবে তো? এমন শঙ্কা যখন দেখা দিয়েছিল, তখন হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে ৪৪ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন জাকের আলি অনিক। ৩৪ বলে ৪১ রানের মোটামুটি ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন জাকের। শেষ ওভারে আরব আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে ঝড় তোলেন হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম। দু’জন মিলে ২৬ রান নেন এই ওভার থেকে। যার ফলে বাংলাদেশের স্কোর শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে সম্মানজনক ১৬২ রানে গিয়ে শেষ হয়। হাসান মাহমুদ ১৫ বলে ২৬ এবং ৭ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন শরিফুল ইসলাম। আরব আমিরাতের মত দলের বিপক্ষে এসে এতটা বাজে অবস্থা হবে বাংলাদেশ দলের, ঘুণাক্ষরেও কেউ কল্পনা করতে পারেনি। প্রথম দুই ম্যাচের ঠিক উল্টো চিত্র আজকের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে। টস জিতে কেন বারবার আরব আমিরাত অধিনায়ক বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায়, সেটা প্রমাণ হয়ে গেলো আজ। প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটারদের চেপে ধরতে না পারলেও আজ তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ঠিকই চেপে ধরতে পারলেন। শুরু থেকেই একের পর উইকেট হারাতে থাকে টাইগাররা। তবে শেষের ঝড়ে বাংলাদেশের রান পৌঁছায় ১৬২ পর্যন্ত। শুরুটা করেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলটি ছিল তার নিজের মোকাবেলা করা প্রথম বল। ধ্রুব পারাশারের বলে আলিশান শরাফুর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান পারভেজ। গোল্ডেন ডাক মারেন তিনি। এরপর তানজিদ তামিম এবং লিটন দাস মিলে চেষ্টা করেন শুরুর বিপর্যয় কাটাতে। কিন্তু ১০ বলে ১৪ রান করে লিটন দাস হায়দার আলির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলে বিপর্যয়ের শুরু। তানজিদ হাসান তামিম একপাশে থেকে কিছুক্ষণ একা একা লড়াই করার চেষ্টা করলেন। ১৮ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন তিনি। তাওহিদ হৃদয় পুরো সিরিজেই ব্যর্থ। আজ তো কোনো রানই করতে পারলেন না। ২ বলে শূন্য রানে বিদায় নিলেন। ৯ বল খেলে শেখ মেহেদী হাসান আউট হন ২ রান করে। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে সুযোগ দেয়া হয়নি। আজ সুযোগ পেলেন এবং ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আবারও ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। শামীম হোসেন পাটোয়ারী নিজের নামের প্রতি মোটেও সুবিচার করতে পারেননি। ১২ বলে ৯ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। রিশাদ হোসেন ব্যাট হাতে যতটা সম্ভাবনাময়ী ছিলেন, তার ছিটেফোটাও দেখাতে পারলেন না। ২ বল খেলে কোনো রান না করেই বিদায় নিলেন। তানজিদ তামিম খেললেন ১২ বল। ৬ রান করে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন তিনি। জাকের আলি অনিক শেষ দিকে এসে কিছুটা লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন; কিন্তু সঙ্গীর অভাবে তার সেই লড়াই আর খুব একটা জমে ওঠেনি। শেষ পর্যন্ত তিনি করেন ৩৪ বলে ৪১ রান। আরব আমিরাতের হায়দার আলি ৩টি উইকেট নেন। সগির খান ২টি ও মাতিউল্লাহ খান নেন ২ উইকেট।

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথমে এই সিরিজটি দুই ম্যাচেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে যুক্ত হয় একটি অতিরিক্ত ম্যাচ। আর সেই বাড়তি ম্যাচই এখন রূপ নিয়েছে ‘অঘোষিত ফাইনালে’। দুই দলের মধ্যে প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ, কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। সিরিজ নির্ধারণী এই লড়াইয়ে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আমিরাত। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইনিংসের শুরু থেকেই ব্যাটাররা খেই হারিয়ে ফেলেন। পাওয়ার প্লে'র ৬ ওভারের মধ্যেই ৪৯ রানে ফিরে যান টপ অর্ডারের চার ব্যাটার। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭১ রান। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পরে বাংলাদেশ। এদিন একপ্রান্ত আগলে লড়াই করেও দলের বিপর্যয় ঠেকাতে পারেননি তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংসের শুরু থেকেই আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন টাইগার ব্যাটাররা। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকানো তানজিদ এ দিনও খেলছিলেন স্বচ্ছন্দে। বাঁহাতি এই ওপেনার শুরু থেকেই খেলেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং, মাত্র ১৮ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় করেন ৪০ রান। তবে ইনিংস বড় করতে না পারায় আরও চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এর আগে প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা পারভেজ হোসেন ইমন আজ গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন। অধিনায়ক লিটন দাসও ইনিংস বড় করতে পারেননি, করেন ১০ বলে ১৪ রান। আগের ম্যাচে ঝোড়ো ব্যাটিং করা তাওহীদ হৃদয় ফিরেছেন শূন্য রানে। মিডল অর্ডারের আরেক ব্যাটার মাহেদী হাসানও হতাশ করেছেন, ৯ বলে করেন মাত্র ২ রান। দ্রুত ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫৭ রানেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে হাল ধরেছেন জাকের আলী অনিক ও শামীম হোসেন পাটওয়ারী। লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এই দুই ব্যাটার।

'মানসিকভাবে বিপর্যস্ত' নাহিদ রানা পাকিস্তান সফর থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তান যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেই সিরিজ খেলতে যাচ্ছেন না বাংলাদেশের তারকা পেসার নাহিদ রানা। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশনসের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম। এছাড়া ফিল্ডিং কোচ জেমস প্যামেন্ট ও ট্রেইনার নিক ক্যালিও যাচ্ছেন না পাকিস্তান। বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, পিএসএল থেকে ফেরার অভিজ্ঞতার কারণেই পাকিস্তানে যেতে চাননি নাহিদ। “যে ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছে নাহিদ রানা ও রিশাদকে, সেটা যদি ট্রমাটাইজ করে একজনকে, তাকে দোষ দেওয়ার সুযোগ নেই। সে কারণেই সম্ভবত নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে ও (নাহিদ)', দুবাই থেকে ফিরে বুধবার বিকেলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন ফাহিম। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলতে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন রানা। যদিও ম্যাচ খেলার সুযোগ মেলেনি। পিএসএল হুট করে স্থগিত হয়ে যাওয়ার কারণে বিশেষ বিমানে দেশে ফিরে আসেন রানা এবং পিএসএলে খেলতে যাওয়া আরেক বাংলাদেশি রিশাদ হোসেন। এরপর আরব আমিরাতে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলতে গেছেন রিশাদ ও রানা। আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে ছিলেন রানা। এই ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় তার। এই সিরিজ শেষ করে ২৫ মে দুবাই থেকে লাহোর যাবে বাংলাদেশ দল। সেখানে ২৮ মে থেকে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে। নাহিদের বদলি হিসেবে কাউকে দলে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিসিবির এই পরিচালক। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে চলতি সিরিজের প্রথম ম্যাচের পর আইপিএলে চলে যাওয়া মোস্তাফিজুর রহমানকে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে পাবে দল।

‘ধোনির মতো’ বিদায় চেয়েছিলেন রোহিত, দেয়নি বিসিসিআই
ইংল্যান্ড সফরের ঠিক আগে রোহিত শর্মা টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। তবে স্কাই স্পোর্টসের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, তিনি আসলে এমএস ধোনির মতো মাঝপথে টেস্ট ছাড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে ধোনি সিরিজের মাঝপথেই হঠাৎ অবসর নিয়েছিলেন। রোহিতও সেই রাস্তাই ধরতে চেয়েছিলেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোহিত চেয়েছিলেন ইংল্যান্ড সফরে যেতে এবং সিরিজের মাঝামাঝি সময় টেস্ট থেকে অবসর নিতে। কিন্তু বিসিসিআই সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। বোর্ড চেয়েছিল পুরো সিরিজে নেতৃত্বে স্থায়িত্ব থাকুক। তাই রোহিতকে অফার দেওয়া হয়েছিল দলে যেতে, কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে নয়। এরপরই রোহিত সিদ্ধান্ত নেন অবসর নেওয়ার। রোহিতের এই বিদায় ছিল চমকে দেওয়ার মতো। এর কিছুদিন পরেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান বিরাট কোহলিও। দুই বড় তারকার একসঙ্গে বিদায় বোর্ডের সামনে একটা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। এখন টেস্ট দলের নেতৃত্বে নতুন কারা আসবেন, সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এদিকে রোহিতের উত্তরসূরি হিসেবে বিসিসিআইয়ের নির্বাচকরা শুভমান গিল ও ঋষভ পান্তের সঙ্গে ‘অফ দ্য রেকর্ড’ কথা বলেছেন। ২৩ মে’র আশেপাশে ইংল্যান্ড সফরের জন্য দল ঘোষণা করবে বোর্ড। গিল ও বুমরাহকে নিয়ে অধিনায়কত্ব ঘিরে নানা গুঞ্জন থাকলেও, এখনও পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিত নয়। গিলকে নিয়ে এখনও খানিকটা সন্দেহ আছে নির্বাচক প্যানেলে। একাংশের অভিমত, তাকে অধিনায়ক করা ঠিক হবে না, কারণ একাদশে তার জায়গা এখনো স্থায়ী নয়। তাই তাকে সহ-অধিনায়ক করাই বেশি উপযুক্ত হবে বলে মত তাদের। তবে এই প্রসঙ্গে ভারতের সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার দ্বিমত পোষণ করেছেন। তার অভিমত, আইপিএলের চাপই ভবিষ্যতের অধিনায়কদের জন্য সবচেয়ে ভালো প্রশিক্ষণ হয়ে থাকবে। তিনি মনে করেন, আইপিএলের নেতৃত্বই গিল, পান্ত, ও শ্রেয়াস আইয়ারদের জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুত করছে। গাভাস্কার বলেন, ‘গিল সম্ভবত সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবাপন্ন। কোনো সিদ্ধান্ত হলে সে সঙ্গে সঙ্গে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলছে। মাঠে সে খুব সক্রিয় থাকে। পান্তও উইকেটের পেছন থেকে খুব সক্রিয়। আইয়ারও চমৎকার নেতৃত্ব দিচ্ছে। তিনজনই ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে দল চালাচ্ছে।’ ‘ধোনি, রোহিত, আর কোহলির মতো নেতা তৈরি হতে কয়েক বছর সময় লাগবে। ওরা সবাই নেতৃত্বে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল এনেছিল। তবে এই তরুণদের মধ্যে সেই সম্ভাবনা আছে। একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচের চাপেই সবচেয়ে ভালো ক্যাপ্টেন তৈরি হয়। এটা অধিনায়ক হওয়ার জন্য সেরা প্রশিক্ষণ মাঠ।’

সিরিজ বাঁচাতে একাদশে আসতে পারে একাধিক পরিবর্তন
শারজাহতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে চলমান টি–টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটা যতটা গুরুত্বহীন ছিল, শেষটা ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য। মূলত পাকিস্তান সফরের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই পরিকল্পনায় ছিল এই সিরিজ। প্রথমে নির্ধারিত ছিল দুই ম্যাচ। পরে তা বাড়িয়ে করা হয় তিন ম্যাচ, যা এখন অলিখিত ফাইনালে রূপ নিয়েছে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েও দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝলক দেখিয়ে ২০৫ রান করেও ম্যাচ হেরে বসে বাংলাদেশ। ফলে তিন ম্যাচের এই সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। আজ (বুধবার) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি তাই হয়ে উঠেছে মরণপণ লড়াইয়ের মঞ্চ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়, শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। অধিনায়ক হিসেবে লিটনের এটি অভিষেক সিরিজ, ফলে সিরিজ হাতছাড়া হোক, এমনটা নিশ্চয়ই চাইবেন না তিনি। তবে ইতিহাস বলছে, সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের রেকর্ড খুব একটা ভালো নয়। গত প্রায় সাত বছরে এমন মাত্র দুটি ম্যাচে জয় পায় টাইগাররা—২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবং ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এরপর প্রায় তিন বছরেও সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ জেতা হয়নি বাংলাদেশের। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সেই ধারার অবসান ঘটাতে চায় কোচ ফিল সিমন্সের শিষ্যরা। আর এই জয়ের তাগিদেই একাদশে আসতে পারে একাধিক পরিবর্তন। পায়ের চোটের কারণে আগের ম্যাচে না থাকা পারভেজ হোসেন ইমন ফিরতে পারেন দলে। পেস আক্রমণে দেখা যেতে পারে হাসান মাহমুদকে। বাংলাদেশ তিন পেসার ও দুই স্পিনারের কম্বিনেশনেই নামবে বলে জানা গেছে। অলরাউন্ডার হিসেবে একাদশে জায়গা ধরে রাখতে পারেন শামীম পাটোয়ারি। সম্ভাব্য বাংলাদেশ একাদশ: পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক (উইকেট রক্ষক), শামীম পাটোয়ারি, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, নাহিদ রানা।

বাংলাদেশ সিরিজ থেকে বাদ পড়লেন বাবর, রিজওয়ান ও শাহীন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বড়সড় চমক পাকিস্তান ক্রিকেটে। বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ঘোষিত ১৬ সদস্যের স্কোয়াডে নেই দলের তিন অভিজ্ঞ স্তম্ভ- বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং শাহীন শাহ আফ্রিদি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বুধবার (২১ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্কোয়াড ঘোষণা করে। সিরিজের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত না হলেও ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। এটি হবে পাকিস্তানের নতুন প্রধান কোচ মাইক হেসন-এর অধীনে প্রথম আন্তর্জাতিক সিরিজ। দলে নেতৃত্ব দেবেন আগা সালমান আলি, সহ-অধিনায়ক হিসেবে থাকছেন শাদাব খান। এই স্কোয়াড মূলত বেছে নেওয়া হয়েছে চলমান পারফর্ম করা ক্রিকেটারদের ভিত্তিতে। পিএসএল শেষ হচ্ছে ২৫ মে। দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার ফখর জামান, পেসার হাসান আলি, তরুণ ব্যাটার সাইম আইয়ুব। দলে জায়গা পেয়েছেন ফাহিম আশরাফ, হুসাইন তালত, সাহিবজাদা ফারহান এবং দীর্ঘ সময় পর দলে ফিরেছেন নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। তবে সব আলো এখন পড়েছে তিন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতির দিকেই। নিউজিল্যান্ড সফরের দলে থাকা সত্ত্বেও বাদ পড়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বাবর আজম এবং নির্ভরযোগ্য কিপার-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানকেও রাখা হয়নি স্কোয়াডে। তাদের বাদ দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এছাড়া স্কোয়াড থেকে ছিটকে গেছেন আব্বাস আফ্রিদি, আব্দুল সমাদ, জাহানদাদ খান, মোহাম্মদ আলি, উমাইর বিন ইউসুফ, সুফিয়ান মুকীম, ও উসমান খান। পাকিস্তান দল (বনাম বাংলাদেশ): আগা সালমান (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), আবরার আহমেদ, ফাহিম আশরাফ, ফখর জামান, হারিস রউফ, হাসান আলি, হাসান নেওয়াজ, হুসাইন তালত, ইরফান খান নিয়াজি, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হারিস (উইকেটকিপার), মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, নাসিম শাহ, সাহিবজাদা ফারহান (উইকেটকিপার), ও সাইম আইয়ুব।

বৈরী আবহাওয়ায় ঢাকায় নামতে পারেনি অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দল
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ শেষে দেশের মাটিতে ফিরতে চেয়েও পারল না বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দল। বৈরী আবহাওয়ার কারণে কলকাতা থেকে ঢাকায় আসার ফ্লাইট মাঝপথে ফিরে গেছে ভারতে। মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেল ৫টায় ভারতের কলকাতা থেকে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। তবে ঢাকার আকাশে তীব্র ঝড়বৃষ্টি এবং নিম্নচাপজনিত ঝুঁকির কারণে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের বিমানটি অবতরণ করতে না পেরে আবার কলকাতায় ফিরে যায়। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মিডিয়া এক্সিকিউটিভ ও দলের সঙ্গে থাকা মিডিয়া ম্যানেজার খালিদ মাহমুদ কলকাতা থেকেই জানান, ‘বিমানটি ঢাকায় নামার অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বৈরী আবহাওয়ার জন্য ফিরে যেতে হয়েছে। এখন আমরা সবাই বিমানের মধ্যেই বসে আছি। ঠিক কবে নাগাদ ফিরতে পারবো, সেটা অনিশ্চিত।’ এই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল সম্প্রতি ভারতের অরুণাচল প্রদেশে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয়। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ফাইনালে পৌঁছেও টাইব্রেকারে স্বাগতিক ভারতের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় নাজমুল, মুর্শেদদের। রোববার রাতে ফাইনাল শেষে সোমবার দলটি অরুণাচল থেকে কলকাতায় পৌঁছায়। আজ ছিল ঢাকায় ফেরার দিন। বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়ার উন্নতি হলে এবং নতুন সময়সূচি নির্ধারণ হলে পুনরায় ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে।

পাসপোর্ট বাসায়, বিমানবন্দরে গিয়েই বিপাকে মিরাজ
পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজ। লাহোর কালান্দার্স দলে নিয়েছে তাকে। বিসিবির ছাড়পত্র পাওয়া এই ক্রিকেটার মঙ্গলবার পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বেন। তবে যাওয়ার পথে ঘটেছে এক বিপত্তি। পাসপোর্ট বাসায় রেখে বিমানবন্দরে হাজির হন মিরাজ। বিমানবন্দরে আসার পর মিরাজ বুঝতে পারেন সঙ্গে পাসপোর্ট নেই। পরে অন্য একজনকে বাসায় পাঠিয়ে পাসপোর্ট আনান ডানহাতি এই অলরাউন্ডার। ২২ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত পিএসএলে অংশ নিতে মিরাজকে ছাড়পত্র দিয়েছে বিসিবি। তিনি লাহোর কালান্দার্সের হয়ে এলিমিনেটর রাউন্ডে খেলবেন। লাহোরের হয়ে খেলা সিকান্দার রাজার জায়গায় মিরাজকে চেয়েছে দলটি। জাতীয় দলের বর্তমান টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে না থাকায় মিরাজের পিএসএল খেলা নিয়ে কোনো বাধা দেয়নি বিসিবি। বরং বোর্ড বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই নিয়েছে। চলতি আসরের শুরুতে পিএসএল ড্রাফট থেকে দল পেয়েছিলেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার—লিটন দাস, নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেন। তবে ইনজুরির কারণে এক ম্যাচও না খেলেই দেশে ফেরেন লিটন। রিশাদ লাহোরের হয়ে পাঁচটি ম্যাচ খেললেও নাহিদ মাঠে নামার সুযোগ পাননি। ৯ মে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কারণে সাময়িকভাবে পিএসএল বন্ধ হয়ে গেলে দেশে ফিরে আসেন তারা। বর্তমানে এই দুই ক্রিকেটার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে থাকা জাতীয় দলে রয়েছেন। ফলে তাদের আর দেখা যাবে না এবারের আসরে।

আমিরাতের কাছে হেরে ‘শিশির’কে দুষলেন লিটন
শারজাহর ছোট মাঠে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ! এত রান তাড়া করা দল সাধারণত চোখে দেখা যায় না। কিন্তু ব্যতিক্রম ঘটাল সংযুক্ত আরব আমিরাত। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইতিহাস গড়ে হারিয়ে দিল বাংলাদেশকে। ২ উইকেটের এই পরাজয়ে একরকম স্তব্ধ টিম টাইগার্স। অথচ এমন ম্যাচে জয় নিশ্চিত বলেই ধরে নিয়েছিল সবাই। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটাই আমিরাতের প্রথম জয়। আর এমন ঐতিহাসিক হারের পেছনে অধিনায়ক লিটন দাস দায় দিচ্ছেন শিশির ও বাজে ফিল্ডিংকে। ম্যাচ শেষে হতাশ লিটন বলেন, ‘এই উইকেটে আমরা ভালো ব্যাট করেছি। তবে ওরা ব্যাটিংয়ে নামার পর শিশিরের সুবিধা পেয়েছে। সঙ্গে ফিল্ডিং ও মিডল ওভারের বোলিংয়েও ঘাটতি ছিল। এমন কন্ডিশনে বোলারদের আরও পরিকল্পিত হতে হয়।’ ম্যাচে নাটকীয়তার শেষ নেই। শেষ ওভারে জয়ের জন্য আমিরাতের দরকার ছিল ১২ রান, হাতে ৩ উইকেট। টাইগার পেসার তানজিম সাকিব সেই চাপ সামলাতে পারেননি। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে হায়দার আলি ও মতিউল্লাহ খান জয় তুলে নেন মাত্র এক বল বাকি থাকতে। লিটন স্বীকার করেন যে নিজের পারফরম্যান্সও সন্তোষজনক ছিল না। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বোলারদের কাছ থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স পাননি বলেও উল্লেখ করেন, ‘রানা যেভাবে আগের ওভারে বল করেছে, তার থেকে আমরা আরও ভালো কিছু আশা করেছিলাম। কারও কারও ভালো দিন যায়, খারাপ দিনও আসে। আমরা বসে আলোচনা করব এবং ঘুরে দাঁড়াব। আমি নিজেও জানি আজকের ব্যাটিং আমার মান অনুযায়ী হয়নি, তবে আমি সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব।’ আরব আমিরাতের জয়ে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন দলটির অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম। ৪২ বলে ৮২ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। উদ্বোধনী জুটিতে মুহাম্মদ জুহাইবকে নিয়ে তার ১০৭ রান আমিরাতের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। ম্যাচ জয়ের নায়ক ওয়াসিম বলেন, ‘আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। বাংলাদেশকে হারিয়ে দারুণ লাগছে। আমি সবাইকে বিশ্বাস দিচ্ছিলাম, এই রান তাড়া সম্ভব কারণ আমরা এই কন্ডিশন চিনি।’ আগামীকালের সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী ওয়াসিম বলেন, ‘আমরা আমাদের শক্তি নিয়েই খেলব এবং আশা করছি সিরিজ ২-১ করতে পারব।’

পেলে-ম্যারাডোনা নয়, সর্বকালের সেরা ফুটবলার মেসি
সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে, প্রশ্নের জবাবে যে ঝড়টা ওঠে, তা চিরন্তন। সেই গেল শতাব্দীর শেষ অংশ থেকে শুরু, তা এখনও চলছে। তাতে যোগ হচ্ছে নিত্যনতুন নাম। সবশেষ সংযোজনটা হয়েছে লিওনেল মেসির নাম। সেই তাকেই এবার বিশ্ব ফুটবলের সর্বকালের সেরা খেতাব দিয়ে বসেছে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্টরি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকস (আইএফএফএইচএস)। তবে এ নিয়ে ইতোমধ্যে বিতর্কের জন্ম হয়েছে। কেননা, আইএফএফএইচএসের র্যাংকিংয়ে মেসির পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ‘ফুটবলের রাজা’ ব্রাজিলের পেলে। প্রশ্ন উঠেছে, ‘কালো মানিক’ পেলে যেখানে সর্বোচ্চ তিনবার (১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০) বিশ্বকাপ জিতেছেন আর মেসি মাত্র একবার (২০২২), সেখানে কীভাবে ব্রাজিলের ফুটবল কিংবদন্তি দ্বিতীয় হন? তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মেসির স্বদেশি দিয়েগো ম্যারাডোনা, যিনি মেসির মতো মাত্র একবার (১৯৮৬) বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। চতুর্থ স্থানে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ঠাঁই পাওয়াও মেনে নিতে পারেননি অনেকে। ইতিহাসের সর্বোচ্চ (এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ৯৩৫ গোল) গোলদাতা হলেও পর্তুগিজ মহাতারকা কখনো বিশ্বকাপ জিততে পারেননি। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছিলেন একক নৈপুণ্যে। ’৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার ছিল পাঁচটি করে গোল ও অ্যাসিস্ট। ৩৬ বছর পর মেসিও ম্যারাডোনার মতো ১০ গোলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রাখেন (সাত গোল, তিন অ্যাসিস্ট)। ফলে রেকর্ড দুবার বিশ্বকাপে ‘গোল্ডেন বল’ জিতে নেন মেসি। রোববার সর্বকালের সেরা ১০ ফুটবলারের র্যাংকিং প্রকাশ করে আইএফএফএইচএস। যেখানে শীর্ষে জায়গা পেয়েছেন মেসি। এরপর ব্রাজিলের ফুটবল সম্রাট পেলে ও আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি ম্যারাডোনা। সেরা তিনে জায়গা পাননি মেসির দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তাকে সর্বকালের চতুর্থ সেরা খেলোয়াড়ের সম্মান দিয়েছে সংস্থাটি। সেরা পাঁচে শেষ নামটি ডাচ কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফের। এরপর রয়েছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী স্ট্রাইকার রোনালদো। সাতে রাখা হয়েছে ফ্রান্সের মাঝমাঠের জাদুকর জিনেদিন জিদানকে। জার্মান কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার অষ্টম সেরা খেলোয়াড় এবং স্পেন ও আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি আলফ্রেডো ডি স্তেফানোকে রাখা হয়েছে নবম স্থানে। আর দশে রয়েছেন ব্রাজিলের রোনালদিনহো।

২০৫ রান করেও আমিরাতকে হারাতে পারল না বাংলাদেশ
১৯তম ওভারের শেষ বলে হতে পারত ১ রান। কিন্তু শরীফুলের স্টাম্প ভাঙার চেষ্টায় স্টাম্পের ছোঁয়া না পেয়ে বল বাউন্ডারির বাইরে। আসে ৫ রান। তখন মাথা নিচু করে মাটিতে বসে পড়েছেন ফিল্ডার শরীফুল—ম্যাচটাই কি হাত ছাড়া হয়ে গেল! এই ফিল্ডিং ব্যর্থতার পর শেষ ৬ বলে আমিরাতের দরকার ছিল ১২ রান। বোলার তানজিম হাসান সাকিবের সেই ওভারে ১ বল হাতে রেখেই প্রয়োজনীয় রানা তুলে ২ উইকেটে জিতে যায় রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। প্রথম ৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫৪/০। আরব আমিরাতের ৫৬/০। ১০ ওভার শেষেও বাংলাদেশের (৯০/০) চেয়ে এগিয়ে ছিল আমিরাত (৯৬/০)। বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারায় ৯১ রানে, আমিরাত ১০৭ রানে। এভাবে এগোতে থাকলে একটা সময় এই আশঙ্কা দানা বাঁধে মনে—আরব আমিরাতই জিতে যায়! সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। টি-টোয়েন্টি প্রথমবারের মতো আরব আমিরাত হারিয়েছে বাংলাদেশকে। রান তাড়ায় দুর্দান্ত খেলতে থাকা স্বাগতিক দলের ওপেনার ওপেনার জোহাইবকে (৩৮) ফিরিয়ে সেঞ্চুরি জুটি ভাঙেন তানভির ইসলাম। এরপর তিনে নামা রাহুলকে (২) রিশাদ হোসেন ফিরিয়ে দিলে বিনা উইকেটে ১০৭ থেকে আমিরাত হয়ে যায় ১১০/২। ৩ রানের ব্যবধানে ২ উইকেটে পেয়ে উজ্জীবিত হয় বাংলাদেশ। কিন্তু তখনও স্বাগতিক অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম এক প্রান্ত ধরে রেখে খেলে দলের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন। ১৫তম ওভারে তাঁকে ফিরিয়ে দেন শরীফুল। আউট হওয়ার আগে ৯টি চার ও ৫টি ছয়ে ৪২ বলে ১৯৫.২৩ স্ট্রাইকরেটে ৮২ রান করেন তিনি। পরের ওভারে অভিষিক্ত নাহিদ রানা ফিরিয়ে দেন আসিফ খানকে। তাতে লড়াইয়ে বাংলাদেশ ফিরলেও শেষ রক্ষা হয়নি। হায়দার আলী ৬ বলে অপরাজিত ১৫ রান করে জিতিয়ে দেন আমিরাতকে। এর আগে টসে হেরে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে তোলে ২০৫ রান। যা এই সংস্করণে আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। দলের এই বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। পাওয়ার প্লেতে ৬৬ রান তোলা এই জুটি দশম ওভারের প্রথম বলেই যখন ছিন্ন হয়, তখন স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের রান ৯০। কুঁচকির চোটের কারণে এদিন অবশ্য ম্যাচে ছিলেন না আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ হোসেন ইমন। সাগির খানের শর্ট বলে পুল করতে ওপেনার তানজিদ ধরা পড়েন ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে, মাতিউল্লাহর হাতে। ভাঙে ৫৫ বল স্থায়ী ৯০ রানের জুটি। তানজিদ ফেরেন ব্যক্তিগত ৫৯ রানে। বড় আগ্রাসী ব্যাটিং করেন তিনি। এই রান করতে খেলেছেন ৩৩ বল। ৮টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংসটির স্ট্রাইকরেট ১৭৮.৭৮। ৭টি চার ও ৩টি ছয়ে ২৫ বলেই ফিফটি করেন তিনি। তানজিদের তিন ওভার পরই বিদায় নেন আরেক ওপেনার লিটন দাসও। জাওয়াদুল্লাহর অফ স্টাম্পের বাইরের স্লোয়ার ডেলিভারি অন সাইডে খেলতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন লিটন ব্যক্তিগত ৪০ রানে। লিটনের মতো কাছাকাছি গিয়েও ফিফটি পাননি তাওহীদ হৃদয়। ২৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছয়ে ৪৫ রান করে ফেরেন তিনি। দলীয় স্কোর ২০০ ছাড়াতে অবদান জাকের আলীরও। ৬ বলে ১টি চার ও ২টি ছয়ে ১৮ রান করেন তিনি। বল হাতে সবচেয়ে সফল জাওয়াদুল্লাহ; ৪৫ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এই ম্যাচ দিয়েই সিরিজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এক ম্যাচ বাড়িয়ে সিরিজ হবে এখন ৩ ম্যাচের। ২১ মে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেই পরদিন অর্থাৎ ২২ মে পাকিস্তানে রওনা দেবেন লিটন-শান্তরা।
.jpg)
২৫ বলে ফিফটি তামিমের , বাংলাদেশের পাওয়ার প্লেতে সংগ্রহ ৬৬
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে ইতোমধ্যেই সিরিজে লিড নিয়েছে বংলাদেশ। সিরিজ নিশ্চিতের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করছে লিটন দাসের দল। গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ হোসেন ইমনকে আজ বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তাই তানজিদ তামিমের সঙ্গে আজ ইনিংস ওপেন করেন লিটন দাস। ইনিংসের শুরু থেকেই বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান তামিম। তার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সামনে কোনো বোলারই যেন থিতু হতে পারছিলেন না। তাতে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৬ রান করে বাংলাদেশ। প্রায় এক বছর আর ১৪ ইনিংস পর টি-টোয়েন্টিতে উদ্বোধনী জুটিতে ফিফটি পেয়েছে দল। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ব্যক্তিগত ফিফটি করেন তামিম। ২৫ বলে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তামিম।

ম্যানসিটির হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে চান না ডি ব্রুইনা!
ইনজুরি এড়িয়ে নতুন ক্লাবে নিজেকে ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে আসন্ন ক্লাব বিশ্বকাপে না খেলার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন কেভিন ডি ব্রুইনা। এ মৌসুমের পরেই সিটির সঙ্গে ডি ব্রুইনার চলমান চুক্তির মেয়াদ শেষ যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই বেলজিয়ান এই তারকা সিটির সঙ্গে ১০ বছরের সম্পর্কের অবসানের ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু পেপ গার্দিওলার দলের হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিতে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য চুক্তি নবায়নের একটি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ক্লাবগুলোর জন্য ফিফা এবারই প্রথমবারের মত গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফারে দুটি উইন্ডো খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেখানে অতিরিক্ত খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ রয়েছে। এ কারণেই ডি ব্রুইনার সামনে সিটিতে থেকে ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আগামী ১৮ জুন ফিলাডেলফিয়ায় মরোক্কান ক্লাব ওয়াইদাদ এসির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে ম্যানসিটি। যদিও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা চিন্তা করে ৩৩ বছর বয়সী ডি ব্রুইনা জুনের টুর্নামেন্টে অংশ নিতে চাইছেন না। এ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘কার্যত এর কোন অর্থ নেই। চুক্তির মধ্যবর্তী সময় হলে এ ধরনের নতুন টুর্নামেন্টের কথা বিবেচনা করা যায়। আমাকে নিজের দিকে নজর দিতে হবে। কারণ আমি যদি ক্লাব বিশ্বকাপে ইনজুরিতে পড়ি তবে কোথায় যাব। কেউ আমাকে ঐ সময় যত্ন নিবে না। সে কারণেই সিটির হয়ে আমার না খেলার সম্ভাবনাই বেশী। কিন্তু এখনো কোন কিছুই চূড়ান্ত নয়। দেখা যাক কি হয়।’ ২০১৫ সালে সিটির হয়ে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর এ পর্যন্ত ডি ব্রুইনা ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপাসহ একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি ঘরে তুলেছেন। এখনই নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাড়াহুড়ো করে কিছু বলতে চান না বেলজিয়ান এই মিডফিল্ডার। তবে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু ক্লাবের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন।

কাশ্মীরে হামলার সময় ছিলেন মঈনের বাবা-মা, ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিয়ে যা বললেন
ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ যখন চলছিল, তখন আইপিএল ছেড়ে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন মঈন আলি। আইপিএল আবার শুরু হলেও কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিদেশি এই ক্রিকেটার জানিয়েছেন, তিনি আর ফিরবেন না। মঈন ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিকেট খেললেও তার জন্ম পাকিস্তানে। দুই দেশের এই সংঘর্ষের সময় পাকিস্তানে ছিলেন মঈনের বাবা-মা। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেই সময় মঈন আইপিএলে খেলছিলেন। তার বাবা-মা গিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে। এ প্রসঙ্গে মঈন বলেন, 'সেই সময় আমার বাবা-মা পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরেই ছিলেন। যেখানে মিসাইল হানা হয়েছিল সেখান থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে তারা ছিল। সেই রাতে তারা আমাকে ফোন করে। আমার পাগলের মতো অবস্থা হয়েছিল।' তখনকার সময়ের নিজের অবস্থা বর্ণণা করতে গিয়ে মঈন বলেন, 'কী করব বুঝতে পারছিলাম না। শুধু প্রার্থনা করছিলাম, তারা যেন সুস্থ থাকে। পরের দিন সকালেই তারা বিমান ধরে ইংল্যান্ডে ফেরে। তখন আমি স্বস্তি পাই।' মঈনের সঙ্গে ভারতে ছিলেন তার স্ত্রী-সন্তানরা। সংঘর্ষের সময় তিনি নিজেও ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'হঠাৎ করে এমন হয়ে গেল। আমরা কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলি। কেউ বলছিল, সংঘর্ষ হবে না। আবার অনেকে বলছিল, হবে। বুঝতে পারছিলাম না কী করব? পরিবার সঙ্গে ছিল। তাই ভয় লাগছিল।'

আইপিএলে মিললো করোনা ভাইরাস, আক্রান্ত হয়েছে ট্রাভিস হেড
লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচে খেলতে পারবেন না ট্রাভিস হেড। কারণ তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাই এই ম্যাচের আগে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি। এমনকি দলের সঙ্গে ভেন্যুতেও যেতে পারবেন না। এ তথ্য জানিয়েছেন হায়দরাবাদের কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। দুই-তিন বছর আগেও করোনায় আক্রান্ত হওয়া খুব স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। তবে এখন বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপ অনেকটাই কম। আক্রান্ত হওয়ার খবরও সেভাবে প্রকাশ্যে আসে না। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে হেড করোনায় আক্রান্ত হলেন তা দেখা হচ্ছে। ভেট্টোরি বলেছেন, 'হেড কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছে। তাই সে যেতে পারছে না। আশা করি পরের ম্যাচেই তাকে পাওয়া যায়। তবে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠছে কি না এবং খেলার মতো অবস্থায় রয়েছে কি না সেটা আগে দেখতে হবে।'