সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মাসউদুল, সম্পাদক বাদল

সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মাসউদুল হক (ইউএনবি) ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উবায়দুল্লাহ (বাদল) (কালের কণ্ঠ)। রোববার (২২ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ২০২৫-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনে নির্বাচন হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক দেশ রূপান্তরের সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ। মাসউদুল হক ৭৭ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফসিহ উদ্দীন মাহতাব (প্রতিদিনের বাংলাদেশ) পেয়েছেন ৭০ ভোট। বিদায়ী কমিটিতে মাসউদুল সাধারণ সম্পাদক ও মাহতাব সভাপতি ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী মোহাম্মদ উবায়দুল্লাহ (বাদল) পেয়েছেন ৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মেহদী আজাদ মাসুম ৪৯ ও মোহাম্মদ আকতার হোসেন পেয়েছেন ৪১ ভোট। বিএসআরএফের ১৫৬ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৫১ জন। ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় চারটি ব্যালট বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। কার্যনির্বাহী কমিটির ১৭টি পদের মধ্যে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ছাড়া সবগুলো পদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে ঝর্ণা রায়, দপ্তর সম্পাদক পদে গৌতম চন্দ্র ঘোষ (বাংলা নিউজ), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ফারুক আলম (আলোকিত বাংলাদেশ) এবং প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক পদে হাবিবুর রহমান (পঞ্চায়েত হাবিব) (ইনকিলাব) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া কমিটিতে মাইনুল হোসেন পিন্নু (গ্রিন টিভি) সহ-সভাপতি, মাহমুদ আকাশ (জনকণ্ঠ) সাংগঠনিক সম্পাদক, এম এইচ রবিন অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। আটটি কার্যনির্বাহী সদস্য পদের বিপরীতে প্রার্থীও ছিলেন আটজন। কার্যনির্বাহী সদস্যদের মধ্যে মো. রবিউল ইসলাম ৭৮, তোফাজ্জল হোসেন ৭৪, আসাদ আল মাহমুদ ৭০, মুহম্মদ আব্দুল মতিন (মতিন আব্দুল্লাহ) ৬৯, আয়নাল হোসেন ৬২, মো. রাকিব হাসান ৫৫, শফিকুল ইসলাম ৫৩ ও মো. রেজাউর রহিম ৪২টি ভোট পেয়েছেন।

ওয়েজবোর্ড ও মহার্ঘ ভাতা ঘোষণার দাবি ডিইউজের, ঈদে ছুটি ৬ দিন দিতে নোয়াবকে চিঠি

সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা, টেলিভিশন ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকদের জন্য নতুন ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। বুধবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি সাজ্জাদ আলম খান তপু ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এ দাবি জানান। তারা বলেন, ৫ বছর পর পর ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইতোমধ্যে সে সময় পার হয়েছে। কিন্তু কোনো ধরনের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। অর্থ উপদেষ্টা নতুন অর্থবছরে সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা চালুর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন। কয়েক বছরে বাড়ি ও পরিবহন ভাড়া, নিত্যপণ্য ও সেবা মূল্য বিবেচনায় সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমে কর্মচারীদের জন্য অবিলম্বে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা প্রয়োজন। তারা বলেন, নতুন অর্থবছরের শুরু থেকেই মহার্ঘ ভাতা প্রদানের ঘোষণা করতে হবে। এদিকে, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সংবাদপত্র ৬ দিন বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছে ডিইউজে। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ছুটি ভোগ করা সাংবাদিকদের অধিকার। এবারের ঈদে সরকার ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে।

মানব সভ্যতার উন্নয়নের সংবাদপত্রের ভূমিকা

সংবাদপত্র মানব সভ্যতার ইতিহাসে যুগান্তকারী আবিষ্কার গুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি কেবল তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যম নয়, বরং সামাজিক পরিবর্তন, শিক্ষার গতিকে ত্বরান্বিত করা, রাজনৈতিক আন্দোলন, সাংস্কৃতিক বিকাশ ও গণসচেতনতা গঠনের এক অনন্য উপাদান। সভ্যতার ক্রমবিকাশে সংবাদপত্র যে ভূমিকা রেখেছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই।যেমনAll Bangla Newspaperইতিহাসের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে মানুষের মতপ্রকাশ, সংগ্রাম সহ ইত্যাদি বিষয়ে উন্নয়নে সহযাত্রী হিসেবে কাজ করছে। জ্ঞান ও তথ্যের বিস্তারে সংবাদপত্রকে বলা যায় চলমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি প্রতিদিনের ঘটনাবলি থেকে শুরু করে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইতিহাস, সাহিত্য, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা তথ্য সরবরাহ করে। আধুনিক যুগের আগে যখন শিক্ষার প্রসার সীমিত ছিল, তখন সংবাদপত্রই ছিল সাধারণ মানুষের জ্ঞান অর্জনের অন্যতম প্রধান ও জনপ্রিয় মাধ্যম। উদাহরণস্বরূপ, ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতবর্ষ ও ইউরোপের সংবাদপত্র গুলো শিক্ষা আন্দোলনের প্রসারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল। সমাজ সংস্কারেও সংবাদপত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, সংবাদপত্র দীর্ঘদিন ধরে সমাজে বিদ্যমান অসংগতি, কুসংস্কার, দুর্নীতি, নিপীড়ন ও ইত্যাদির বিরুদ্ধে কলম ধরেছে। এছাড়া ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বেগম রোকেয়া, কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ ব্যক্তিত্ব সংবাদপত্রকে ব্যবহার করেছেন সমাজ সংস্কারে। সংবাদপত্র শুধু সংবাদ প্রচারের মাধ্যম নয়, এটি সমাজ বদলের হাতিয়ার, গণতন্ত্রের প্রহরী, এবং সভ্যতার উন্নয়নের দিকনির্দেশক। তথ্যের এই শক্তিশালী বাহনটি যুগে যুগে মানুষের জাগরণ, প্রতিবাদ ও প্রগতির কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করছে। মানব সভ্যতার ইতিহাসে সংবাদপত্রের অবদান এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় যা প্রতিদিনই নতুনভাবে রচিত হচ্ছে।

‘প্রশ্ন করার জন্য সাংবাদিকদের চাকরি যায়, এই বিচার কার কাছে দেব’

দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেছেন, প্রশ্ন করার জন্য সাংবাদিকের চাকরি যায়- এমন দেশে মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করছি। রোববার (৪ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৫ উপলক্ষে সম্পাদক পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। সম্পাদক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, যে দেশে প্রশ্ন করার জন্য সাংবাদিকের চাকরি যায়, সে দেশে আমরা মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করছি। এর দায় সরকারকে দেব নাকি আর কাকে দেব জানি না। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম। সভা সঞ্চালনা করেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র চর্চা সম্ভব নয়। আমাদের কথা বলতে দিতে হবে, লিখতে দিতে হবে, প্রশ্ন করতে দিতে হবে। তাহলেই গণমাধ্যম মুক্তির স্বাদ পাবে।’ সূচনা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহসভাপতি নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, সারাবিশ্বে যখন ঘটা করে গণমাধ্যম মুক্ত দিবস পালন করতে হয় তখন বুঝতে হবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এখন খর্বিত হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে বিগত সময়ের চেয়ে এখন গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে পার্থক্য সূচিত হওয়ার লক্ষণ দেখা গেছে। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার যে সূচক, বাংলাদেশ এখনো সেই সূচকে অনেক নিচে অবস্থান করছে। গণমাধ্যমকে বাধাগ্রস্ত করার প্রধান শক্তি রাজনৈতিক দলগুলো। তিনি আরও হলেন, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যে অসম চুক্তি রয়েছে, তা এখনও রিভিউ করার কোনো উদ্যোগ দেখিনি। নুরুল কবির বলেন, আমরা দেখছি যারা আন্দোলন করেছে তারা ১৬ ডিসেম্বর মানে না, এর দায় কাদের। নারী সংস্কার কমিশন মানে না, এর দায় কাদের? একদিকে যেমন আশাবাদী হয়ে উঠছি আবার আশঙ্কা দেখছি। যে কোনো সংস্কারের বটম লাইন হবে স্বাধীনতা, ’৭১ -কে ধরেই সব ধরনের সংস্কার হতে হবে। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্যে আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে লড়াই চালিয়ে যাব। তবে স্বাধীনতার সীমা নির্ধারণ করা উচিত। প্রত্যেকের জবাবদিহিতা দরকার। গণমাধ্যম কতিপয় গোষ্ঠীর মালিকানার মাধ্যমে তাদের সেবা করার চর্চায় পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের মালিকানার ক্ষেত্রে নীতিমালা দরকার, যেন একচেটিয়া মালিকানা না গড়ে ওঠে। এমন কোনো নীতিমালা থাকা যাবেনা যা গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরে। ভয়হীন সমাজ তৈরি করতে চাই। রাষ্ট্র এমন কোনো আইন করতে পারবেনা যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করে। সাংবাদিকদের এথিক্যাল জার্নালিজমের জন্যে নীতিমালা থাকা উচিত। মব আক্রমণ চলছে। ভয়ের চোটে চাকরি চলে যাচ্ছে। রাষ্ট্র যদি মব আন্দোলন বন্ধ করতে না পারে তাহলে রাষ্ট্রের অস্তিত্বই থাকে না।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১৬ আগানোর কারণ জানালেন তথ্য উপদেষ্টা

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, গণমাধ্যমে সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে এক বছরে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস্’ -এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান প্রসঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ দেশের সব গণমাধ্যম এখন সরকারের প্রভাবমুক্ত। কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে সরকারের পক্ষ থেকে টেলিফোন করে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। দেশের গণমাধ্যমকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের ১৬ ধাপ উন্নতিই প্রমাণ করে—সরকার দেশের গণমাধ্যমকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে কাজ করছে। মাহফুজ আলম বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী অতি শিগগিরই বেশ কিছু সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে। উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী বছরে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে এবং দেশের সাংবাদিক ও গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। ৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে প্যারিস ভিত্তিক সংগঠন ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস্’ -এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স, ২০২৫-এ ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৯তম। ২০২৪ সালের মে মাসে প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৫তম। ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস্’ -এর প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বছর মুক্ত সংবাদমাধ্যমের বিবেচনায় ১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ৩৩ দশমিক ৭১ নম্বর। যা গত বছর (২০২৪) ছিল ২৭ দশমিক ৬৪। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার সময় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২১তম। আওয়ামী লীগের শাসনামলে ১৫ বছরে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ৪৪ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। প্রসঙ্গত, এ বছর মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান বাংলাদেশের দুই ধাপ নিচে (১৫১তম)।

‘৬৪ বছর ধরে সাংবাদিকতার ঐক্য, আদর্শ, ঐতিহ্য ধারণ করে চলেছে পাবনা প্রেসক্লাব’

‘৬৪ বছর ধরে সাংবাদিকতার ঐক্য, আদর্শ, ঐতিহ্য ধারণ করেছে উত্তরের অন্যতম প্রাচীণতম সংগঠন পাবনা প্রেসক্লাব। ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও জড়িয়ে রয়েছে এই প্রেসক্লাবের নাম। পাবনা প্রেসক্লাবের ৯ সাংবাদিক সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ৩ জন সদস্য একুশে পদকপ্রাপ্ত। সারা দেশে সাংবাদিকদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য ও সাংবাদিকদের একাধিক প্রতিষ্ঠান থাকলেও পাবনা প্রেসক্লাব সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এই প্রতিষ্ঠান এখনও দেশের মধ্যে অখন্ড এবং ঐক্যের অন্যন্য নজির হিসেবে দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। আগামীতেও ঐক্য আদর্শের ধারা অটুট থাকবে।’ বৃহস্পতিবার (০১ মে) পাবনা প্রেসক্লাবের ৬৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ৬৫ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন সুধীজন ও সাংবাদিকরা। এদিন উৎসবে আনন্দে নেচে গেয়ে পাবনা প্রেসক্লাবের ৬৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দুইদিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বের করা হয় বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা। সাংবাদিকতার প্রতিক হিসেবে কলম, টেলিভিশন, রেডিও, ক্যামেরা, টেলিভিশনের বুম বা মাইক্রোফোন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর লোগো সহ নানা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বাদ্য বাজনার তালে তালে নেচে গেয়ে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর আগে বুধবার (৩০ এপ্রিল) প্রেসক্লাব ভবন আলোকসজ্জাকরণ সহ নানা সাজে সাজানো হয়। শোভাযাত্রা শেষে প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় শুভেচ্ছা বিনিময় পর্ব। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের পর প্রেসক্লাবের প্রয়াত সদস্যদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। তারপর প্রেসক্লাবের নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। পরে পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতারের সভাপতিত্বে ও সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইয়াদ আলী মৃধা পাভেলের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রেসক্লাব সম্পাদক জহুরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, পাবনা জেলা প্রশাসক মফিজুল ইসলাম, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এস এম আব্দুল আওয়াল, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মশিউর রহমান মণ্ডল, এনএসআই এর উপ-পরিচালক তৌফিক ইকবাল, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার আফরোজা আক্তার, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আব্দুল আওয়াল মিয়া, শহীদ বুলবুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাহেজ উদ্দিন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মাহাতাব উদ্দিন বিশ্বাস, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগ, সাবেক সম্পাদক আব্দুল মতীন খান, প্রবীন সাংবাদিক হাবিবুর রহমান স্বপন, সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সাবেক সম্পাদক আঁখিনূর ইসলাম রেমন, উৎপল মির্জা, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিফাত রহমান সনম, সহ-সভাপতি এস এম আলাউদ্দিন, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক নেছার আহমেদ নান্নু, চাটমোহর প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলালুর রহমান জুয়েল, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ হাফিজ, সাঁথিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক মিয়া রানা, সুজানগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম এ আলিম রিপন প্রমুখ। শুভেচ্ছা পর্ব শেষে পাবনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এ যাবত পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকারী সভাপতি ও সম্পাদকদের সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়। যারা প্রয়াত হয়েছেন তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন। পরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন অতিথিরা। শেষে উপস্থিত সবাইকে মিষ্টি মুখ করানো হয়। দুুইদিনব্যাপী আয়োজনের শেষদিন শুক্রবার (০২ মে) সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালের ১ মে পাবনা শহরে পাবনা প্রেসক্লাবের গোড়াপত্তন ঘটে। প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার বছরেই ৮ ও ৯ মে পাবনায় অনুষ্ঠিত হয় পুর্ব পাকিস্তান মফস্বল সাংবাদিক সম্মেলন। যে সভা থেকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায় পুর্ব পাকিস্তান মফস্বল সাংবাদিক সমিতি। যা বর্তমানে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি হিসেবে পরিচিত। পাবনা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়েই সেদিন সংবাদপত্রে মফস্বলে কর্মরত প্রতিনিধিদের পেশার স্বীকৃতি ঘটেছিল। এখন ঢাকার বাইরে অনেকে এটাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে স্বচ্ছল জীবন যাপন করছেন। তাই অনেক প্রবীণ সাংবাদিক পাবনা প্রেসক্লাবকে মফস্বল সাংবাদিকতার বাতিঘর হিসেবে চিহিৃত করেছেন। পাবনা প্রেসক্লাবের অতীত ঐতিহ্য ও বিশাল ইতিহাস থাকলেও আজও পাবনা প্রেসক্লাবের নিজস্ব ভবন হয়নি। পরিত্যক্ত সম্পত্তির উপর গড়ে উঠা এই ক্লাবটির শরীরে শীর্ণতা থাকলেও মর্যাদা ও আভিজত্যে এখনো অটুট।#ক্যাপশন-০১: বের করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ সড়কে। ক্যাপশন-০২: পাবনা প্রেসক্লাবের ৬৪ বছর পূর্তিতে কেক কাটেন অতিথিরা। বৃহস্পতিবার সকালে পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপ মিলনায়তনে।#এম এস রহমান, পাবনা।০১-০৫-২০২৫০১৭৩৩-১১৮১৬৭

দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা

বেসরকারি টিভি চ্যানেল দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দীপ্ত টিভির স্ক্রলে এ তথ্য জানিয়েছে। টিভি স্ক্রলে বলা হচ্ছে, অনিবার্য কারণবশত দীপ্ত টিভির সকল সংবাদ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জুলাই অভ্যুত্থান নিহত ১৪০০ শহীদ নিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকীকে বিতর্কিত প্রশ্নের জেরে দীপ্ত টিভির সংবাদ সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি সংবাদ মাধ্যমটি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শেষে শীঘ্রই খুলে দেয়া হবে জনপ্রিয় চ্যানেলটির সংবাদ সম্প্রচার। এদিকে বিতর্কিত প্রশ্নের জেরে দীপ্ত টিভি এক সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করেছে বলে জানা গেছে।

সাংবাদিক ও কবি সৌমিত্র দেবের মৃত্যুতে ওনাবের শোক

অনলাইন নিউজ পোর্টাল এ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওনাব) এর সাবেক সহ-সভাপতি, বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক সৌমিত্র দেব আর নেই। মঙ্গলবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।সৌমিত্র দেব রেডটাইমস ডট কম অনলাইন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি একজন খ্যাতিমান কবি হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা দুই ডজনেরও বেশি। কবিতা, প্রবন্ধ ও ভ্রমণকাহিনীসহ সাহিত্যে নানা শাখায় ছিল তাঁর দক্ষ পদচারণা।তাঁর মৃতদেহ মৌলভীবাজারে নেওয়া হচ্ছে। যেখানে তাঁর সৎকার সম্পন্ন হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।প্রিয় সহকর্মীর অকাল প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ওনাবের আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল মজুমদার ও সদস্য সচিব শাহীন চৌধুরী। এক বিবৃতিতে তাঁরা সৌমিত্র দেবের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

মনপুরায় রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটি গঠন

মঙ্গলবার (০১ ‍এপ্রিল) বিকালে মনপুরার হাজীরহাট বাজারে একটি মিলোনায়তনে সংগঠনটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। নবগঠিত এ কমিটিতে বাংলাদেশ বানী'র মহিব্বুল্যাহ (ইলিয়াছ) সভাপতি, ক্রাইম বাংলা নিউজের লোকমান খানকে সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক দেশের কন্ঠের মিজানুর রহমানকে সাংগঠনিক সম্পাদক, বরিশাল প্রতিদিন ও সকালের শিরোনামের মোহাম্মদ মেহেদী হাসানকে কোষাধক্ষ্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এ ছাড়া সময়ের আলোর রাকিবুল হাসান ও রিয়াজ উদ্দিনকে সহ-সভাপতি, দেশ প্রতিদিনের বনি আমিনকে সহ-সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক মাতৃজগতের শাকিল খান রাজুকে সহ-সাধারণ সম্পাদক, ডেইলি এক্সপ্রেসের আ:ছালামকে সহ-সাংঠনিক সম্পাদক, সংবাদ সকালের খাইরুল বাশারকে দপ্তর সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন স্বাধীন বিডি ২৪-এর সাদ্দাম হোসেন, বরিশাল প্রথম আলোর আল-আমীন মুন্না, জাতীয় অর্থনীতির আল-আমীন, খবর বাংলাদেশের শাহিন,সংবাদ সকালের সাদ্দাম ও স্বাধীন ৭১-এর মাসুদ । এর আগে কমিটি গঠন নিয়ে বাংলাদেশ বানীর মহিব্বুল্যাহ (ইলিয়াছ) এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক লোকমান খান, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, রিয়াজ উদ্দিনসহ অন্যান্যরা। পরে সর্বসম্মতিক্রমে মনপুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটি গঠন ও দোয়া মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। নবগঠিত এ কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে শাহজালাল আল-আমীনসহ সব পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

পত্রিকার সার্কুলেশন নিয়ে চরম জালিয়াতি হয়েছে: কামাল আহমেদ

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেছেন, পত্রিকার সার্কুলেশন নিয়ে চরম দুর্নীতি হয়েছে। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) তথ্য অনুসারে তালিকাভুক্ত পত্রিকার সার্কুলেশন অনুসারে ঢাকা শহরে ১ কোটি ৫১ লাখ পত্রিকা বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে এ সংখ্যা ১০ লাখও হবে না। সে হিসাবে ১ কোটি ৪১ লাখ পত্রিকা বিক্রির তথ্য একেবারে ভুয়া ও জালিয়াতি। সরকারি হিসাবে মিডিয়াভুক্ত হিসেবে ৬০০টি পত্রিকা সরকারি বিজ্ঞাপন পাচ্ছে। কিন্তু পত্রিকা যারা বিক্রি করেন দুটি হকার সমিতির হিসাব অনুসারে, মাত্র ৫২টি পত্রিকা নিয়মিত বিক্রি হয়। যে পত্রিকা প্রকাশিত হয় না সে পত্রিকা কি কেউ কেনে? এগুলো শুধু সরকারি বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য দেখানো হয়। দীর্ঘদিন যাবত এ অনিয়ম দুর্নীতি জালিয়াতি হয়ে আসছে। আজ শনিবার (২২ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং তিনি এ কথা বলেন। সারকুলেশনের জালিয়াতি রোধে কোনো সুপারিশ করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল আহমেদ বলেন, পত্রিকার সার্কুলেশন যাচাইয়ে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া পত্রিকা বিক্রির বিল রসিদ যাচাই করারও সুপারিশ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

হাসনাত সারজিসকে শুয়োর বলে চাকরী হারালেন উপস্থাপিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষনেতা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলোনের প্রধানমুখ হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকে শুয়োর বলে চাকরী হারিয়েছেন এখন টিভির নিউজরুম এডিটর ও টেলিভিশন উপস্থাপিকা জেনিসিয়া বর্ণা। সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া ন্যাক্কারজনক ঘটনা, আট বছরের শিশু আছিয়া নিজ বোনের শশুরবাড়িতে গণধর্ষণের স্বীকার হয়ে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। ঘটনার প্রেক্ষাপটে গণমাধ্যমিক ভূমিকায় একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল ‘এখন টিভি’ সংবাদ প্রচারের উদ্দেশ্যে সরাসরি সম্প্রচারে ছিলো। অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারে থাকা অবস্থায়, কারিগরি ত্রুটির ফলে, স্টুডিও ইসনাইড কনভার্সেশনের একটি অংশ সরাসরি সম্প্রচারে চলে আসে। যেখানে নিউজরুম থেকে একজন জিজ্ঞেস করছিলেন, হাসনাত ও সারজিস মাগুরায় গিয়েছেন কি না। তার প্রতিউত্তরে এখন টিভির উপস্থাপিকা বর্ণা আনকোট অবস্থায় বলেন, এই শুয়োরগুলো গেলেই কি আর না গেলেই কি। মুহুর্তের মধ্যে টিভি ফুটেজটি ভাইরাল হয়ে গেলে এখন টিভির সিইও তুষার আব্দুল্লাহ তড়িঘড়ি করে টিভি উপস্থাপিকা জেনিসিয়া বর্ণাকে চাকরিচ্যুত করেন বলে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে সরাসরি জানার জন্য বর্ণা কিংবা তুষার আব্দুল্লার সঙ্গে এখনো পর্যন্ত যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক মাসুমা মারা গেছেন

বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক মাসুমা আক্তার মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে মাসুমা আক্তার ইন্তেকাল করেন। তিনি এখন টিভিতে কর্মরত ছিলেন। জানা গেছে, মাসুমাকে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে মিরপুরে নেওয়া হয়েছে। সেখানে গোসলসহ লাশ সংরক্ষণের যাবতীয় কার্যক্রম শেষে নাটোরের গুরুদাসপুর নারায়ণপুরে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে রওনা হবেন তার স্বজনরা। সেখানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে মাসুমা আক্তার শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লায় যাচ্ছিল। কুমিল্লার নূরজাহান হোটেলের সামনে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মাসুমা ও তার স্বামী আহত হন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ নিউরো সার্জারি বিভাগের ২০০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার আইসিইউর প্রয়োজন হয়। সেখান থেকে তাকে নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। মাসুমা ২০২৪ সালে এখন টিভির রিপোর্টার হিসেবে রাজশাহীতে যোগ দেন। এর আগে দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন বাংলার জনপদ নামের রাজশাহীর একটি অনলাইনে। এখন টিভির রাজশাহীতে কর্মরত হাসান রাজিব বলেন, ঢাকা থেকে মাছুমার মরদেহ গ্রামের বাড়ি নাটোরে গুরুদাসপুর আনা হবে। পরিবার বলছে সেখানে পারিবারিক গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।

স্বাধীন সাংবাদিকতা তৈরি করতে হবে যেন ক্ষমতাকেই প্রশ্ন করে: প্রেস সচিব

নতুন বাংলাদেশে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা চান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘স্বাধীন সাংবাদিকতা তৈরি করতে হবে। যেন সংবাদ ক্ষমতাকেই প্রশ্ন করতে পারে।’ রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদী বয়ান: ফিরে দেখা ১ থেকে ৩৬ জুলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন। প্রেস সচিব বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা তৈরি করতে হবে। যেসব সংবাদ ক্ষমতাকেই প্রশ্ন করতে পারে। সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়ে সরকার তদন্ত করবে না। করলে অনেকে বলবে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে। বেসরকারি উদ্যোগে এ বিষয়ে গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, জুলাই আন্দোলনে অনেক সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন আবার অনেকে ট্রমাটাইজ। সব চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে অনেক গণমাধ্যম ভালো সাংবাদিকতা করেছেন। এর বাইরে অনেক গণমাধ্যম দালালি করেছে। শুধু এক মাস নয়, এর আগে আওয়ামী লীগের পুরোটা সময় ক্ষমতাসীনদের পক্ষে বয়ান তৈরি করেছে অনেক গণমাধ্যম। স্বৈরাচারের হাতকে শক্তিশালী করেছে। শফিকুল আলম বলেন, ১-৩৬ জুলাই গণমাধ্যমের ভূমিকা নথিভুক্ত করা হবে। অনেক গণমাধ্যম শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী এবং জঙ্গি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এরমধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের হত্যার বৈধতা দিয়েছে। ভয়াবহ সাংবাদিকতা হয়েছে। পূর্বাচলের প্লট পাওয়ার জন্য অনেক সাংবাদিক এমন ভূমিকা রেখেছে।বিজ্ঞাপন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা এলে সব পক্ষের সঙ্গেই বসা হবে বলে জানান প্রেস সচিব।

‘ওনাব’-এর নির্বাহী কমিটি ভেঙ্গে এডহক কমিটি গঠন

অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওনাব) নির্বাহী কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও কার্যকরী করার জন্য শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লতিফুল বারী হামিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাহী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন গঠিত এডহক কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন মোস্তফা কামাল মজুমদার, যুগ্মআহ্বায়ক লতিফুল বারী হামিম ও সদস্য সচিব হয়েছেন শাহীন চৌধুরী। এডহক কমিটির সদস্যরা হলেন- আলীমুজ্জামান হারুণ, তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, আশরাফুল কবির, মো. মোস্তাকিম সরকার, রফিকুল বাসার, অয়ন আহমেদ, মহসিন হোসেন, মাহবুবা ইসলাম কাকলী, সাখাওয়াত হোসেন সজিব ও সৈয়দ আরিফুজ্জামান। সভায় উপস্থিত ছিলেন শাহীন চৌধুরী, আশরাফুল কবির, মোস্তাকিম সরকার, অয়ন আহমেদ, তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, মহসিন হোসেন ও রফিকুল বাসার। সভায় আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোস্তফা কামাল মজুমদার ও আলীমুজ্জামান হারুণ।সভায় যত দ্রুত সম্ভব সংগঠনের সদস্য তালিকা চূড়ান্ত করে একটি সাধারণ সভা আহ্বানের প্রস্তাব গৃহীত হয়। সভায় জাতীয় গণমাধ্যম কমিশনের সাথে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিষয় সাধারণ সম্পাদক শাহীন চৌধুরী সবাইকে অবহিত করেন। এছাড়া সদস্যদের দাবি দাওয়া বাস্তবায়নের জন্য অবিলম্বে তথ্য উপদেষ্টা ও তথ্য সচিবের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠানের প্রস্তাব গৃহীত হয়।

চট্টগ্রাম বেতারের বিশ্ব বেতার দিবস উদযাপন

বেতার ও জলবায়ু পরিবর্তন এই স্লোগানে ১৩ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা থেকে বিশ্ব বেতার দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রামের আয়োজনে বর্ণ্যাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটির আগ্রাবাদ বেতার ভবনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রামের পরিচালক মো. মাহফুজুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) গণ-যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল হক, দৈনিক আমার দেশের আবাসিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তী সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রামের আঞ্চলিক বার্তা নিয়ন্ত্রক মোল্লা মো. আবদুল হালিম। নাসরিন ইসলাম ও এহতেশামুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সিনিয়র প্রকৌশলী সুব্রত কুমার দাশ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান ও ফাতেমা আক্তার লিজা। অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আহতদের সমবেদনা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে মো. জিয়া উদ্দীন বলেন, ‘বেতার গণমানুষের কথা বলে। এখনো সাধারণ মানুষের কাছে বেতারের জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের যে ঝুঁকির কথা বলা হচ্ছে, তাতে চট্টগ্রামও রয়েছে। ঝুঁকি মোকাবেলায় সকলকে সচেতন হতে হবে। বাংলাদেশ বেতার দেশের প্রাচীন ও বৃহৎ একটি গণমাধ্যম। একটি সচেতন ও সুশিক্ষিত জাতি গঠনে বাংলাদেশ বেতারের রয়েছে অসামান্য ভূমিকা। তারুণ্যের যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি, সেটিকে এগিয়ে নিতে বেতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বেতারের নানা আয়োজন

বেতার ও জলবায়ু পরিবর্তন এই স্লোগানে ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার পালিত হবে বিশ্ব বেতার দিবস ২০২৫। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালন নয়টা থেকে বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্র নানা আয়োজন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বর্ণাঢ্য র‌্যালি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন। সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রামের পরিচালক মো. মাহফুজুল হক। অনুষ্ঠানে শিল্পী, কলাকুশলী, সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

অনলাইন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও প্রকাশকদের সাথে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

অনলাইন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও প্রকাশকদের সাথে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ রবিবার বেলা ১১টায়। রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবনে সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ। সভায় গণমাধ্যমকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করতে অনলাইন গণমাধ্যমে সরকারি বিজ্ঞাপন প্রদানের লক্ষ্যে নীতিমালা সংশোধন, অনলাইন গণমাধ্যম বাৎসরিক নবায়ন সিস্টেম বাতিল, অনলাইন গণমাধ্যমে সংবাদকর্মীদের চাকরির সুরক্ষায় নীতিমালা প্রণয়ন, সম্প্রচার আইন ও অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালার আলোকে স্বাধীন সম্প্রচার কমিশন গঠনের গুরুত্বারোপ করে বক্তব্য রাখেন বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোরের সম্পাদক লুৎফর রহমান হিমেল, জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোরের ভারপ্রপ্ত সম্পাদক কেএম জিয়াউল হক, ঢাকাওয়াচ টোয়েন্টিফোরের সম্পাদক সাখাওয়াত সজীব, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রধান বার্তা সম্পাদক জাহিদুল কবীর, ঢাকামেইলের প্রধান বার্তা সম্পাদক হারুন জামিল, দ্য রিপোর্ট টোয়েন্টিফোরের সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, ওনাবের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চোধুরী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লতিফুল বারী হামিম। সভায় কমিশনের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন বৈঠকে উঠে আসা সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে সুপারিশ করবেন। প্রসঙ্গত, দেশের গণমাধ্যমকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন’ গঠন করে অন্তবর্তী সরকার।

একক গণমাধ্যমে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড সর্বোচ্চ ১৫ জন

একটি গণমাধ্যমে ৩০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ১৫ জন সংবাদকর্মী প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পাবেন বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড ইস্যুর ক্ষেত্রে এমন প্রস্তাব রেখে একটি সুপারিশমালা তৈরি করেছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর। এই সুপারিশমালা নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি হয়েছে। তাদের কাজ হবে বিদ্যমান নীতিমালাকে পর্যালোচনা করা যাতে গণমাধ্যমকর্মীরা আরও সহজভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন।’ উপপ্রেস সচিব বলেন, ‘২০২২ সালের নীতিমালার বেশকিছু বিষয়ে সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে। যেমন আগের নীতিমালার প্রথম ধারায় বলা হয়েছিল, অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পেতে হলে সরকারের উন্নয়ন-সাফল্য তুলে ধরতে হবে। কার্ডধারীরা বিদেশে যেতে হলে প্রধান তথ্য কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে যেতে হবে। এবার এ ধরনের ধারা বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। আগে কোনো প্রকার নিয়ম না মেনেই ফ্রিল্যান্সিং সাংবাদিকদের নামে কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। আবার এমন গণমাধ্যম আছে যাদের ৩০-৩৫টি কার্ড ইস্যু করা হয়েছে, কিন্তু তাদের সে রকম তৎপরতা চোখে পড়েনি। লেখালেখিতে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে কার্ড পেতে পারবেন। মফস্বলের সংবাদকর্মীদেরও কীভাবে স্থানীয়ভাবে কার্ড দেওয়া যায়, সে ব্যাপারেও সুপারিশ থাকবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘যদি কেউ কার্ড না পেয়ে ক্ষুব্ধ হন, তাদের আপিলেরও ব্যবস্থা থাকবে। নতুন নীতিমালায় অস্থায়ী-স্থায়ী কোনো কার্ড থাকবে না। সব কার্ডের মেয়াদ হবে তিন বছর। সার্কুলেশনের ভিত্তিতে কার্ড ইস্যুর নিয়ম তুলে দেওয়া হবে। সরকার নিবন্ধিত সব গণমাধ্যমের কর্মীরাই আবেদন করতে পারবেন।’ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব আহমদ ফয়েজ, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।

সাবের হোসেনের অফিসের সামনে ভোরের কাগজের কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচী

দৈনিক ভোরের কাগজের কার্যালয় খুলে দেওয়া ও পত্রিকার প্রকাশনা অব্যাহত রাখাসহ বকেয়া পরিশোধের দাবিতে ঢাকার কাকরাইলে কর্ণফুলী গ্রুপের প্রধান কার্যালয় এইচআর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সংবাদকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের এই কর্মসূচীতে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারাও অংশ নিয়ে ভোরের কাগজের বন্ধ কার্যালয় খুলে দেওয়ার দাবি জানান। ঢাকার মালিবাগে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে এক নোটিস টানিয়ে ৩৩ বছরের পুরনো এ সংবাদপত্রটির বন্ধ ঘোষণা করা হয় গত সোমবার। নোটিসে বলা হয়, ‘ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬’-এর ১২ ধারা অনুযায়ী মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যা ২০-০১-২০২৫ ইং তারিখ থেকে কার্যকর হবে।’ মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভোরের কাগজের প্রধান প্রতিবেদক খোন্দকার কাওছার হোসেন দাবি মেনে নিতে মালিকপক্ষকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেধে দেন। অন্যথায় মালিক পক্ষের অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। ‘ভোরের কাগজ’ কর্ণফুলী গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। গ্রুপটির প্রধান কার্যালয় কাকরাইলের এইচআর ভবনে। পত্রিকার মালিক সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে এইচআর ভবনের সামনের অবস্থান কর্মসূচী থেকে প্রতিষ্ঠানটির সংবাদকর্মীরা ‘ন্যায্য পাওনাসহ’ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের পেছনের ‘ষড়যন্ত্রকারীদের’ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। এ সময় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষকে বলতে চাই, অন্যায়তো অনেক করেছেন। গত ১৫ বছর ধরে আপনার যে অন্যায় করছেন, আমরা সেগুলো টেনে আনতে চাই না। জুলাই আন্দোলন বিপ্লবীদের আপনারা সন্ত্রাসী বানানোর চেষ্টা করেছেন। আমরা সেই কথাগুলো ভুলে যেতে চেয়েছিলাম।’ ‘আমরা চেয়েছিলাম নতুন বিপ্লবী সরকারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আদর্শ গণমাধ্যম হয়ে উঠবেন। কিন্তু, আপনারা সাংবাদিকদের পাওনা না বুঝিয়ে দিয়ে অফিস বন্ধ করে দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা কোন গণমাধ্যম বন্ধ করতে চাই না। আমরা চাই প্রত্যেকটা গণমাধ্যম থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের সরিয়ে দিন৷ সেই কাজটি না করে সাবের হোসেন পত্রিকার প্রায় ১ হাজার সংবাদকর্মীর পাওনা না দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন।’ সাবের হোসেন চৌধুরীকে উদ্দেশ করে করে ডিইউজের সভাপতি বলেন, ‘আপনারা গণভবনে দিয়ে দেখুন। শেখ হাসিনার অন্যায়ের জন্য সেখানকার প্রত্যেকটি ইট মানুষ খুলে নিয়ে গেছে। শুধু এইচআর ভবন নয়, আপনার প্রত্যেকটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ইট এ দেশের জনগণ খুলে নিয়ে যাবে।’ ‘আপনারা ভোরের কাগজের সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে পত্রিকাটি খুলে দিন। তাদের দেনাপাওনা বুঝিয়ে দিন৷ তা না হলে সামনের দিনে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিবো।’ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, ‘এভাবে বিনা নোটিশে একটা পত্রিকা অফিস বন্ধ করা যায় না। আপনারা জানেন দীর্ঘ দিন এ দেশে একটি ফ্যাসিস্ট সরকার গণমাধ্যমে ওপর নিপিড়ন চালিয়েছে। সেই নিপিড়ন থেকে আমরা মাত্র বেরিয়ে এসেছি। এখন আমাদের কাজের স্বাধীনতা, লেখার এবং বাকস্বাধীনতার সুযোগ এসেছে। ঠিক সেই মুহুর্তে একজন ফ্যাসিস্ট সাবের হোসেন এভাবে তার পত্রিকাটি বন্ধ করে দিয়েছে। এটা খুবই ন্যাক্কারজনক।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাবের হোসেন চৌধুরীকে বলতে চাই, আপনি দীর্ঘ দিন এই পত্রিকাকে ব্যবহার করে বিভিন্নভাবে অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেন। সংবাদপত্রের আইন অনুযায়ী পত্রিকার সব কর্মীর পাওনা শোধ করে দিন। আর যদি পাওনা শোধ না করেন, তাহলে এখানে আপনার কোন ব্যবসায়-বাণিজ্য চলতে দেওয়া হবে না।’ এ সময় ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান, সাবেক সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী, নির্বাহী সদস্য আব্দুল্লাহ মজুমদার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক আবু বক্কর মিয়া, ভোরের কাগজের প্রধান প্রতিবেদক খোন্দকার কাওছার হোসেন, সাহিত্য সম্পাদক কবি সালেক নাছির উদ্দিন, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক মুকুল শাহরিয়ারসহ সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ভোরের কাগজের প্রধান কার্যালয় বন্ধ ঘোষণা

দৈনিক ভোরের কাগজের প্রধান কার্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) মালিকপক্ষ একটি নোটিশের মাধ্যমে পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেয়। ভোরের কাগজের দায়িত্বশীল একাধিক সংবাদকর্মীও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রধান কার্যালয় বন্ধ হওয়া মানেই পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যাওয়া। জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরেই ভোরের কাগজের কয়েকজন সংবাদকর্মী অষ্টম ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন দাবি এবং তাদের নিয়োগের তারিখ থেকে বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য আন্দোলন করছিলেন। রোববার (১৯ জানুয়ারি) সংবাদকর্মীদের একটি অংশ সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা এবং বহিরাগতদের নিয়ে ভোরের কাগজের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার মালিকপক্ষ নোটিশটি জারি করে। নোটিশে বলা হয়েছে, ‘শ্রম আইন ২০০৬’-এর ১২ ধারা অনুযায়ী মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ ভোরের কাগজের একজন সিনিয়র সাংবাদিক জানান, এই প্রতিষ্ঠানে কারও বেতন বকেয়া নেই। তবে, সংবাদকর্মীদের একটি অংশ অষ্টম ওয়েজ বোর্ডে বেতন পান। কিন্তু, যাদের কনস্যুলেটেড হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তারা ওয়েজ বোর্ড দাবি করছেন। এটি নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়েছে।

আরও ১৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব, কারা আছেন তালিকায়?

আরও ১৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একইসঙ্গে তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে সংস্থাটি। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিএফআইইউর সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তলব করা সাংবাদিকরা হলেন এপির ব্যুরো চিফ জুলহাস আলম, ইউএনবির উপদেষ্টা সম্পাদক ফরিদ হোসেন, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার, ঢাকা ট্রিবিউনের স্টাফ রিপোর্টার আলী আসিফ শাওন, ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক (সাবেক প্রেস মিনিস্টার) নাদিম কাদির, ডিবিসি নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার রাজীব ঘোষ, ডেইলি পিপলস লাইফের (সাবেক বাসস) সম্পাদক মো. আজিজুল হক ভুঁইয়া, বাসসের স্পোর্টস ইনচার্জ স্বপন বসু, ডি‌বিসি নিউজের স্টাফ রিপোর্টার তাহমিদা সাদেক জেসি, চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র রিপোর্টার নিলাদ্রি শেখর কুন্ডু, বাংলা টিভি সাবেক (দেশ টিভি) নজরুল কবীর, গাজী টিভির বার্তা সম্পাদক ইকবাল করিম নিশান, গ্রিন টিভির সাজু রহমান, বাংলাভিশনের (সাবেক) আমিনুর রশীদ। ‌ বিএফআইইউর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘হিসাব তলব করা ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।’ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর আওয়ামী লীগ সরকারের অপকর্মের সহযোগী ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এমন সন্দেহে বেশকিছু পেশাজীবীদের ব্যাংক হিসাব তলব ও জব্দ করে বিএফআইইউ। তলব করা হিসাবগুলোতে সন্দেহজনক বা অস্বাভাবিক লেনদেন কিংবা অর্থপাচার বা অনিয়মের কোনো প্রমাণ মিললে এসব হিসাবের তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তদন্ত করতে দিয়ে থাকে বিএফআইইউ।

মা হারালেন সাংবাদিক শেখ শাফায়াত হোসেন

ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এর কার্যনির্বাহী কমিটির আইসিটি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক এবং সকাল সন্ধ্যার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শেখ শাফায়াত হোসেনের মা সুফিয়া কেরামত (৫৭) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে খুলনার দৌলতপুর থানার দেয়ানা গ্রামে নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সুফিয়া কেরামত দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত থাকা অবস্থায় প্যারালাইজড হয়ে ছয়মাসেরও বেশি সময় ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন। তাঁর জন্ম ১৯৬৭ সালের ২২ মার্চ । মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে এবং দুই কন্যাসহ অনেক আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ বাদ জোহর খুলনার গোয়ালখালি কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। শেখ শাফায়াত হোসেনের মায়ের মৃত্যুতে ইআরএফ এর পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি দৌলত আকতার মালা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ইআরএফ নেতৃবন্দ এক শোক বার্তায় শাফায়াত হোসেনের মায়ের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি আন্তরিক সহমর্মিতা জানান।

ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সম্পাদক বাদশা

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় নবনির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র সাংবাদিক আবু তাহের। ক্র্যাবের সিনিয়র সদস্য আহমদ আতিক ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব। নির্বাচনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য পদে মোট প্রার্থী ছিলেন ২৫ জন। সভাপতি পদে ১২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের মির্জা মেহেদী তমাল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী যুগান্তরের মাহবুব আলম লাবলু পেয়েছেন ৯৫ ভোট। এ ছাড়া দেশ রুপান্তরের সরোয়ার আলম পেয়েছেন ৪৯ ভোট এবং দৈনিক পূর্বকোণের আসাদুজ্জামান বিকু পেয়েছেন ১২ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে এম এম বাদশা ১৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম নুরুজ্জামান পেয়েছেন ১০৪ ভোট। সহ-সভাপতি পদে ১৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন উমর ফারুক আলহাদী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমান (মাসুম মিজান) পেয়েছেন ১২০ ভোট। যুগ্ম সম্পাদক পদে নিয়াজ আহমেদ লাবু ১৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল লতিফ রানা ১০২ ভোট পেয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ১৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সাজ্জাদ মাহমুদ খান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফ বাবলু পেয়েছেন ৯৪ ভোট এবং খন্দকার হানিফ রাজা পেয়েছেন ২৯ ভোট। কল্যাণ সম্পাদক পদে ১৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মাহমুদুল হাসান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ কালিমউল্ল্যাহ পেয়েছেন ১১৬ ভোট। কার্যনির্বাহী সদস্যের তিনটি পদে ২০৩ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন জিয়া খান, ১৮৭ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন ইমরান রহমান ও ৭৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন মোহাম্মদ জাকারিয়া। এ ছাড়া এবার দপ্তর সম্পাদক পদে ওয়াসিম সিদ্দিকী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নিহাল হাসনাইন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে রকিবুল ইসলাম মানিক, প্রশিক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মো. জসীম উদ্দীন এবং আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে হাবিবুল্লাহ মিজান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। নির্বাচনে মোট ভোটার ২৯৮ জন। এর মধ্যে ২৮৬ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

ইরাবের সভাপতি আকতারুজ্জামান, সম্পাদক সেলিম আহমেদ

শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইরাব) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র রিপোর্টার আকতারুজ্জামান। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন প্রতিদিনের বাংলাদেশের নিজস্ব প্রতিবেদক সেলিম আহমেদ। রাজধানীর একটি হোটেলে ১১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেন সিনিয়র সাংবাদিক আজিজুল পারভেজ। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— সহ-সভাপতি পদে সংবাদের সিনিয়র রিপোর্টার রাকিব উদ্দিন, যুগ্ম-সম্পাদক পদে আজকের পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার রাহুল শর্মা, সাংগঠনিক সম্পাদক ঢাকা পোস্টের নিজস্ব প্রতিবেদক মুছা মল্লিক, অর্থ সম্পাদক সময় টিভির সিনিয়র রিপোর্টার আতাউর রহমান, দফতর সম্পাদক পদে বিডি নিউজের রুম্মান তুর্য। এছাড়া কমিটিতে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে রয়েছেন ভোরের কাগজের সিনিয়র রিপোর্টার অভিজিৎ ভট্টাচার্য, বাহান্ন নিউজ সম্পাদক বিভাস বাড়ৈ, সংবাদ প্রতিদিনের সিনিয়র রিপোর্টার আবদুল হাই তুহিন ও ব্রেকিং নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার এসএম আতিক। এর আগে, সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি অভিজিৎ ভট্টাচার্য।