
ঘুম পাড়ানো ফল
রাতে ঘুম না হলে শরীর ও মন দুটোই প্রভাবিত হয়। অনেকেই ঘুমানোর আগে ধ্যান, ডায়েরি লেখা বা নানান কৌশল অবলম্বন করেন। তবে অনেকেই জানেন না, ঘুমের সঙ্গে খাবারের সম্পর্কটাও বেশ ঘনিষ্ঠ। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু নির্দিষ্ট ফল আছে যেগুলো নিয়মিত খেলে ঘুমের গুণগত মান ভালো হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পুষ্টিবিদ জেনিফার প্যালিয়ান এবং রবিন ব্যারি কাইডেন রিয়েলসিম্পল ডটকম-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মত দেন, “কিছু ফল ঘুম বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ এগুলোতে রয়েছে মেলাটোনিন, সেরোটোনিন, ট্রিপটোফ্যান, এবং ম্যাগনেসিয়াম। যেগুলো ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে।” আনারস:আনারসে মেলাটোনিন, সেরোটোনিন এবং ট্রিপটোফ্যান রয়েছে। একটি গবেষণায় দেখা যায়, এক কেজি আনারসের রস শরীরে মেলাটোনিনের মাত্রা বাড়াতে পারে। জেনিফার বলেন, “তাজা আনারসও, রসের মতোই কার্যকর, কারণ এতে একই রকম উপাদান থাকে।” এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বা চাপ কমিয়ে ঘুমে সহায়তা করে। কলা:কলা ঘুমের জন্য খুব উপকারী। কারণ এতে মেলাটোনিন এবং ট্রিপটোফ্যান দুটাই রয়েছে। দুটি কলা খেলে ঘুম ভালো হতে পারে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। কলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো প্রদাহ কমায় এবং মস্তিষ্ককে শান্ত করে। যার ফলে সহজে ঘুম আসে। আঙ্গুর:আঙ্গুর প্রাকৃতিকভাবে মেলাটোনিন সমৃদ্ধ। আর এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চাপ এবং প্রদাহ কমায়। রবিন কাইডেন বলেন, “আঙ্গুরে আছে প্রচুর পানি এবং আঁশ, যা হজমে সাহায্য করে এবং শরীরকে আরাম দেয়।” লাল বা বেগুনি আঙ্গুরে মেলাটোনিনের পরিমাণ বেশি থাকে, তাই এগুলো বেছে নেওয়াই ভালো। এক কাপ আঙ্গুর রাতে খাওয়া যেতে পারে। স্ট্রবেরি:স্ট্রবেরিতে অল্প পরিমাণে মেলাটোনিন এবং অনেক ভিটামিন সি থাকে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হজমে সহায়তা করে। রবিন বলেন, “যখন শরীর ভালো থাকে, তখন ঘুমও ভালো হয়।” এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো দেহকে স্বস্তি দেয়। কমলা:কমলা সাধারণত সকালের ফল হলেও রাতেও খাওয়া যেতে পারে। এতে থাকা ভিটামিন সি মানসিক চাপের হরমোন কর্টিসল কমিয়ে শরীরকে শান্ত করে। এছাড়াও এতে ভিটামিন বি-সিক্স রয়েছে, যা ট্রিপটোফ্যানকে সেরোটোনিনে এবং পরে মেলাটোনিনে রূপান্তর করতে সাহায্য করে। চেরি:বিন কাইডেন বিশেষভাবে লাল টকধর্মী চেরি খাওয়ার পরামর্শ দেন, কারণ এতে মেলাটোনিন, ট্রিপটোফ্যান এবং অ্যান্থোসায়ানিনস থাকে, যা পেশি শিথিল করে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তিনি বলেন, “এই উপাদানগুলো দেহকে শান্ত করে ও ঘুমের জন্য প্রস্তুত করে।” রাতে আট থেকে ১২ আউন্স টার্ট চেরির রস বা দুয়েক আউন্স কনসেন্ট্রেট জুস পান করা যেতে পারে। কিউই:কিউইতে প্রচুর মেলাটোনিন এবং সেরোটোনিন রয়েছে, যা ঘুমাতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে যদি দুটি মাঝারি আকারের কিউই খাওয়া হয়, তাহলে ঘুম ভালো হয়। সেরোটোনিন মন শান্ত করে, শরীরের তাপমাত্রা এবং ঘুম-জাগরণের চক্র নিয়ন্ত্রণ করে। জেনিফার প্যালিয়ান জানান, “কিউইতে ভিটামিন সি, ফলেইট এবং বি ভিটামিন রয়েছে, যা স্নায়ুর ভারসাম্য রক্ষা করে ও ঘুমে সহায়তা করে।” অ্যাভোকাডো:অ্যাভোকাডোতে ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা শরীরে মেলাটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে এবং (জিএবিএ) নামক ‘নিউরোকেমিকেল’কে নিয়ন্ত্রণ করে, যা ঘুমের জন্য অত্যন্ত জরুরি। জেনিফার জানান, “ঘুমের সহায়তায় একটা পুরো অ্যাভোকাডো খাওয়া যেতে পারে।” এতে থাকা আঁশ হজমে সহায়তা করে, যা ঘুমের মান বাড়াতে পারে। ঘুমের জন্য যেভাবে ফল খাওয়া উচিত রবিন কাইডেন পরামর্শ দেন, ফলের সঙ্গে কিছু চর্বি বা প্রোটিন যুক্ত করলে রক্তে চিনির মাত্রা স্থির থাকে এবং ঘুমের সহায়তা করে। যেমন: বাদাম বা কাঠবাদাম, দুধ বা দইয়ের সঙ্গে ফল খাওয়া যেতে পারে। তবে ঘুমানোর ঠিক আগে না খেয়ে অন্তত তিন ঘণ্টা আগে খাওয়াই ভালো, যাতে হজম ভালো হয় এবং শরীর আরাম পায়।

কাছের মানুষকে আলিঙ্গন করা কেন জরুরি?
আলিঙ্গন, একটি সহজ এবং প্রাকৃতিক অভিব্যক্তি, যা মানুষকে আবেগগতভাবে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করে। এই সাধারণ শারীরিক অভিব্যক্তিটি শুধু ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম নয়, বরং এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে স্বাস্থ্য, মানসিক স্বস্তি, এবং সম্পর্কের গভীরতা বৃদ্ধির মতো অসংখ্য ইতিবাচক দিক। কাছের মানুষদের আলিঙ্গন করা কেবল আবেগ প্রকাশের একটি রূপ নয়, এটি মানসিক, শারীরিক এবং সামাজিকভাবে আমাদের উপর অসাধারণ প্রভাব ফেলে। কেন কাছের মানুষকে আলিঙ্গন করা জরুরি? ১. মানসিক স্বস্তি ও শান্তি দেয়:আলিঙ্গন আমাদের মস্তিষ্কে অক্সিটোসিন নামক হরমোন নিঃসরণ করে, যা ‘ভালোবাসার হরমোন’ নামে পরিচিত। এই হরমোনটি আমাদের মনের মধ্যে শান্তি ও স্বস্তি আনে, উদ্বেগ কমায় এবং সম্পর্কের মধ্যে ইতিবাচকতার সঞ্চার করে। কাছের মানুষদের আলিঙ্গন করলে আমরা অনুভব করি যে আমরা সুরক্ষিত এবং যত্নশীল একটি পরিবেশে আছি। এভাবে মানসিক চাপ ও হতাশা অনেকাংশে হ্রাস পায়। ২. সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় করে:আলিঙ্গন করা মানুষের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা বাড়ায়। যখন আমরা কাউকে আলিঙ্গন করি, তখন আমরা আমাদের ভালোবাসা, সহানুভূতি, এবং যত্ন প্রদর্শন করি। এটি শুধু প্রেম বা রোমান্টিক সম্পর্কের জন্য নয়, বরং বন্ধু, পরিবার এবং অন্য প্রিয়জনদের সাথে সম্পর্ক আরও মজবুত করে তোলে। নিয়মিত আলিঙ্গনের মাধ্যমে সম্পর্কের মধ্যে থাকা মানসিক দূরত্বও কমে যায়। ৩. শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নত করে:আলিঙ্গন কেবল মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য নয়, শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত আলিঙ্গন করে তাদের শরীরের স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল কম থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ৪. বেদনানাশক হিসেবে কাজ করে:আলিঙ্গন ব্যথা উপশমেও কার্যকর হতে পারে। যখন আমরা কাউকে আলিঙ্গন করি, তখন আমাদের মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন নিঃসৃত হয়, যা প্রাকৃতিক বেদনানাশক হিসেবে কাজ করে। শারীরিক বা মানসিক কোনো কষ্টে থাকা ব্যক্তিকে আলিঙ্গন করলে তার মধ্যে ইতিবাচক অনুভূতি সৃষ্টি হয় এবং কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হয়। ৫. আত্মবিশ্বাস বাড়ায়:আলিঙ্গন একটি মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি একজন ব্যক্তিকে জানায় যে সে একা নয়, বরং তাকে ভালোবাসা ও সমর্থন করা হচ্ছে। এই অনুভূতিগুলো আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করে এবং আত্মবিশ্বাসকে জোরদার করে। ৬. সামাজিক সংযোগ বৃদ্ধি করে:আলিঙ্গন একটি শক্তিশালী সামাজিক সংযোগ স্থাপন করে। এটি মানুষকে সামাজিকভাবে আরও সংযুক্ত করে তোলে এবং একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও সহানুভূতির অনুভূতি বাড়ায়। কোনো নতুন পরিবেশে বা কঠিন পরিস্থিতিতে যখন কেউ আলিঙ্গন করে, তখন সেটি একটি সান্ত্বনাদায়ক মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়। কতটুকু আলিঙ্গন প্রয়োজন?আমেরিকান সাইকোথেরাপিস্ট ভার্জিনিয়া স্যাটির মতে, “বেঁচে থাকার জন্য দিনে চারটি আলিঙ্গন, সচল থাকার জন্য আটটি এবং মানসিক বিকাশের জন্য দিনে বারোটি আলিঙ্গন প্রয়োজন।” যদিও এই সংখ্যা প্রতীকী, তবুও এটি আলিঙ্গনের গুরুত্বকে ইঙ্গিত করে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যত বেশি আলিঙ্গন সম্ভব হয়, ততই আমাদের জীবন মানসিক ও শারীরিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারে। আলিঙ্গন হলো একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহের প্রকাশ। এটি শুধুমাত্র শারীরিক অভিব্যক্তি নয়, বরং এর মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রিয়জনদের জানাতে পারি যে আমরা তাদের পাশে আছি এবং তাদের ভালোবাসি। একে অপরকে আলিঙ্গন করা আমাদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং সম্পর্ককে আরও মজবুত ও মধুর করে তোলে। তাই কাছের মানুষকে আলিঙ্গন করা শুধু গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি একটি আবশ্যক কাজ, যা আমাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।

ঈদে ঘরেই তৈরি করুন পেশোয়ারি বিফ
পাকিস্তানের গরুর মাংসের জনপ্রিয় এক পদ হচ্ছে পেশোয়ারি বিফ। যা আমাদের দেশে আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে বেশ ভাইরাল। অনেক রেস্তোরাঁয় এরই মধ্যে পদটি পাওয়া যাচ্ছে। তবে অনেকেই সময়ের অভাবে যেতে চেখে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন না। তবে কোরবানির ঈদের এই সময় ঘরে কিন্তু নিজেই এই পদটি রান্না করতে পারেন। খুব কম উপকরণে রান্না করা হয় এই পেশোয়ারি বিফ এবং রান্না করতেও সময় কম লাগে। আসুন সহজ রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক- উপকরণ১. চর্বি ও হাঁড়সহ গরুর মাংস ১ কেজি২. পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ৩. ঘি আধা কাপ৪. আলু ২টি৫. কাঁচামরিচ ২-৩টি৬. আদা কুচি ২ টেবিল চামচ৭. টমেটো ২টি৮. আস্ত গোলমরিচ ১ চা চামচ৯. লবণ পরিমাণমতো১০. ধনিয়া পাতা পরিমাণ মতো১১. আস্ত পেঁয়াজ ৪-৫টি১২. আস্ত রসুন ৪-৫টি প্রস্তুত প্রণালিপ্রথমে একটি প্যান চুলায় বসিয়ে তাতে ঘি দিয়ে দিন। সামান্য গরম হলে আদা ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে একটু সময় ভাজুন। এবার মাংসগুলো ও লবণ দিয়ে দিন। এবার চুলার মাঝারি আঁচে মাংস ভাজতে থাকুন যতক্ষণ মাংসের কাঁচা গন্ধ না যায়। এবার মাংসে আলু দিয়ে একটু ভেজে নিন। আলু চাইলে আস্ত দিতে পারেন আবার টুকরা করেও দিতে পারেন। এবার টমেটো আস্ত বা মাঝ থেকে ফালি করে দিয়ে দিন। গোলমরিচ, কাঁচা মরিচ, আস্ত পেঁয়াজ, রসুন দিয়ে পানি দিয়ে দিন। এবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করতে থাকুন। চাইলে ঢাকনা আটার ডো দিয়ে সিল করে প্যান তাওয়ায় বসিয়ে দমে রান্নাটা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভালো স্বাদ পাবেন। একটু দ্রুত করতে চাইলে সরাসরি রান্না করুণ চুলাতে। মাঝে মাঝে নেড়েচেড়ে আবার ঢাকনা দিয়ে অপেক্ষা করুন মাংস সেদ্ধ ও নরম হওয়া পর্যন্ত। মাংস সিদ্ধ ও নরম হয়ে হাড় থেকে আলাদা হতে শুরু করলে চুলা বন্ধ করে দিন। উপর থেকে আরেকটু ঘি, ধনিয়া পাতা ছড়িয়ে গরম গরম নান, পরোটা বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন মজাদার পেশোয়ারি বিফ।

ঘরেও থাকুক ঈদের ছোঁয়া
ঈদ মানে আনন্দ, পারিবারিক বন্ধনের এক উৎসব। উৎসবে তাই শুধু নতুন জামা-কাপড় নয়, ঘরের সাজসজ্জাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দরভাবে সাজানো একটা ঘর পরিবারের সবার এবং আগত অতিথিদের ঈদ আনন্দকে বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ। ঈদের উৎসবকে আরও রঙিন করতে কিছু টিপস মাথায় রাখতে পারেন। যেমন– ঘর সাজানোর শুরুটা হোক বাইরে থেকে। আপনার ঘরের মূল দরজায় ঝুলিয়ে দিন ‘ঈদ মোবারক’ লেখা একটি ব্যানার। তার সঙ্গে রঙিন ফিতা, কাগজের লণ্ঠন বা আরবি ক্যালিগ্রাফির কিছু টুকরো যোগ করলে সৌন্দর্য বেড়ে যাবে দ্বিগুণ। দরজার পাশে একটি ফুলের মালা বা পাটের বানানো শিকে ঝুলিয়ে দিলে দেখতে সুন্দর লাগবে। বারান্দা অথবা ব্যালকনিতে দিতে পারেন ছোট ঝিকিমিকি লাইট বা রঙিন পেপার লাইট। পাশাপাশি কিছু ইনডোর প্লান্ট সেট করতে পারেন অতিথিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। বসার ঘর বা লিভিং রুমে এলে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিতে হয়। নতুন পর্দা, কুশন কভার এবং সোফা কভার দিয়ে সাজান। রুমের কর্নারে সেট করুন ইনডোর প্লান্টের বড় টব। টেবিলের ওপর রাখুন একটি ফুলদানি, তাজা ফুল, সুগন্ধি মোমবাতি অথবা টি-লাইট। দেয়ালে ‘ঈদ মোবারক’ ফেস্টুন, চাঁদ-তারকা থিমের পেপার ফ্যান কিংবা ক্রিসেন্ট মুন ও স্টার দিয়ে সাজান। পাশাপাশি স্মার্ট লাইট ব্যবহার করতে পারেন। কিছুক্ষণ পরপর আলো চেঞ্জ হলে ঈদের সন্ধ্যায় অন্যরকম একটা পার্টি ইমেজ পাবেন। এ ছাড়া ঘরের ফ্লোরে উৎসবের আমেজ থাকাও জরুরি। বসার ঘরে বিছিয়ে দিন নতুন রঙিন কার্পেট, দরজার পাশে একটি নতুন, আনকমন পাপোশ রাখতে পারেন। ছোট শোপিস, অ্যারোমা ক্যান্ডল বা বুকশেলফে রাখুন কিছু ডেকোরেটিভ আইটেম। জানালার পাশে ইন্ডোর প্লান্ট যেমন মানি প্লান্ট বা স্নেক প্লান্ট রাখা হলে দেখতে নানন্দিক হবে। ডাইনিং এরিয়ায় ফোকাস করুন ডাইনিং টেবিলে। সেখানে একটি টেবিল রানার, পরিষ্কার প্লেট-গ্লাস এবং মাঝে একটি ফুলদানি বা ফলের বাটি রাখুন। গোলাপজল ছিটিয়ে টেবিলে সতেজ ভাব দিন। ছোট শিশুদের তৈরি অরিগামি বা কারুশিল্প দিয়ে দেয়াল সাজান– তাদের অংশগ্রহণে বাড়বে উৎসবের আনন্দ।শোবার ঘরে ঈদের শান্ত পরিবেশ আনতে নতুন চাদর, বালিশ কভার এবং হালকা রঙের পর্দা দিন। বেডসাইডে একটি ছোট ল্যাম্প বা সুগন্ধি ডিফিউজার রাখুন। একটি টেরাকোটা পট বা বাঁশের সাজসজ্জা ঈদ উপলক্ষে মিনিমালিস্ট পরিবেশ তৈরি করবে। এ ছাড়া বাড়ির ছাদও একেবারে ফেলনা নয়। ছাদে ওঠার সিঁড়ির লাগোয়া দেয়ালে কিছু বড় বড় পেইন্টিং ঝুলাতে পারেন। ছাদে ছোট একটি টেবিল বা চেয়ারের ব্যবস্থা করে সেখানে তাজা ফুলের একটা বড় ফুলদানি রাখা যেতে পারে। ছাদের গাছগুলোয় পানি দিন এবং ছাদের সব ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার রাখুন। ছাদবাগানের দু’একটা গাছে ঝিকমিক লাইট ঝুলিয়ে দিন। ঈদের রাতের পার্টিতে এই লাইট আপনার পুরো বাড়ির লুক বদলিয়ে দেবে। ঈদের দিন রান্নাঘরেও কিছুটা সাজসজ্জা করুন। রান্নাঘরের এক কোণে ছোট একটি টেবিল টপার রাখুন। এর ওপর দু’তিনটি ইনডোর প্লান্ট রাখতে পারেন। যেমন মানিপ্ল্যান্ট বা স্যাকুলেন্ট। রান্নাঘরের পুরোনো পাপোশ বদলে নতুন একটি পাপোশ দিয়ে দিন। দরজায় ছোট টুনটুনি বা শখের কিছু আইটেম যোগ করলে রান্নাঘরের পরিবেশ হবে আরও আকর্ষণীয়। ঈদে কেবল নিজের সাজসজ্জা আর খাওয়দাওয়া নয়, আন্তরিকতা এবং ভালোবাসা দিয়ে সাজিয়ে তুলুন আপনার ঘরটিকেও। একটা সুন্দরভাবে সাজানো-গোছানো ঘরে স্বাভাবিকভাবেই ঈদের যে আনন্দ পাবেন, অন্য কোথাও তা পাবেন না! কাজেই লেগে যান ঈদ উপলক্ষে আপনার ঘরকে ডিফারেন্ট এক লুক দিতে।

গরম পানিতে লেবু কেন খাবেন?
সকালের শুরুটা যদি হয় এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে, তবে সারাদিনের জন্য শরীর ও মন দুটোই প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। এই ছোট্ট অভ্যাসটি শুধু সতেজতার অনুভূতি দেয় না, বরং স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। গবেষণা ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন সকালে লেবু-পানি পান করলে হজমপ্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং শরীরে মেদ জমার প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। কীভাবে তৈরি করবেন? এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা টি লেবুর রস মিশিয়ে নিন। চাইলে এক চিমটি লবণ বা এক চা চামচ মধু যোগ করতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে এই পানীয়টি পান করুন। উপকারিতা হজমশক্তি বৃদ্ধি: লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড পাচনতন্ত্রকে সক্রিয় করে এবং হজমপ্রক্রিয়া উন্নত করে। এটি পেটের গ্যাস, বদহজম এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। মেটাবলিজম বাড়ায়: লেবু-পানি শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া বাড়িয়ে ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে। এটি ওজন কমাতে এবং শরীরে মেদ জমা রোধে কার্যকর। লিভার ডিটক্সিফিকেশন: লেবু লিভার থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে, যা শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখে। ইমিউনিটি বুস্টার: লেবুতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা: লেবু-পানি ত্বকের টক্সিন দূর করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও সুস্থ রাখে। সতর্কতা: লেবু-পানি স্বাস্থ্যকর হলেও অতিরিক্ত সাইট্রিক অ্যাসিড দাঁতের এনামেল ক্ষয় করতে পারে। তাই লেবু-পানি পান করার পর সাধারণ পানি দিয়ে কুলি করে নিন। যাদের গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই অভ্যাস শুরু করুন। সকালের শুরুটা যদি হয় এক গ্লাস লেবু-পানি দিয়ে, তবে সারাদিনের জন্য শরীর ও মন দুটোই প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। এই ছোট্ট অভ্যাসটি আপনার হজমশক্তি উন্নত করবে, মেটাবলিজম বাড়াবে এবং শরীরে মেদ জমা রোধ করবে। সুস্থ থাকতে আজই শুরু করুন এই সহজ ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস।

যেসব ভুলে বাড়ছে মানসিক চাপ, জেনে নিন
আজকের ব্যস্ত জীবনে মানসিক চাপ বা অশান্তি যেন এক সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। কখনও সেটা আসে বাইরের কারণ থেকে, কখনও আবার নিজের কিছু ভুল অভ্যাস থেকেই। অনেক সময় আমরা নিজের অজান্তেই এমন কিছু কাজ বা চিন্তার মধ্যে ডুবে থাকি, যা ধীরে ধীরে আমাদের জীবনকে বিষিয়ে তোলে। আপনি কি নিজের শান্তির শত্রু হয়ে উঠছেন না তো? চলুন, জেনে নিই কোন কোন অভ্যাসের কারণে আপনার জীবন হয়ে উঠছে ক্লান্তিকর ও বিষণ্ণ। সবকিছুর মধ্যে সেরা হতে চাওয়াএই প্রতিযোগিতার যুগে অনেকেই সব ক্ষেত্রে সেরা হওয়ার চেষ্টা করেন। তবে সব বিষয়ে এগিয়ে থাকা সম্ভব নয়, বরং এই চাপে আপনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারেন। মনে রাখবেন, মানুষ মাত্রই সীমাবদ্ধ। বাস্তবতা মেনে নিয়ে নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী এগোনোই বুদ্ধিমানের কাজ। অতিরিক্ত উচ্চাশা ও দেখনদারিতে মেতে ওঠাদামী চাকরি, বিত্তবান পরিবারে বিয়ে—এসব লক্ষ্য একরকম ভালো হলেও, শুধু সমাজকে দেখানোর জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া মানে নিজের উপর অকারণ চাপ বাড়ানো। বাস্তবতা ও সন্তুষ্টির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখুন। অতীত ভুলতে না পারাপ্রাক্তন বা পুরনো ব্যর্থতা যদি এখনও আপনাকে তাড়া করে ফেরে, তবে সেটা মানসিক শান্তি নষ্ট করতে বাধ্য। অতীতকে পেছনে ফেলে সামনে এগোনো শিখুন। ভুলে যাওয়াও এক রকম ক্ষমতা। সত্যকে না মেনে নেওয়াকখনও কখনও কঠিন সত্যকেও মেনে নেওয়া উচিত। বাস্তবতা অস্বীকার করলে আপনি অস্বস্তি, হতাশা আর মানসিক দ্বন্দ্বে আটকে যাবেন। মনে রাখবেন, সত্যকে মেনে নেওয়ার মধ্যেই মুক্তি। অন্যকে দোষ দিয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টানিজের ভুল স্বীকার না করে সবসময় অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপালে সম্পর্ক খারাপ হয়। এটা শুধু আপনার চারপাশের মানুষদের দূরে সরিয়ে দেবে না, আপনাকেও একাকীত্বে ঠেলে দেবে। ‘কমফর্ট জোন’ ছাড়তে না চাওয়ানতুন পরিবেশ, পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারলে জীবনের উন্নয়ন থেমে যায়। অজানা বা নতুন কিছুতে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক, তবে সেটাকে জয় করতে শিখলে তবেই আপনি এগোতে পারবেন। অতিরিক্ত নির্ভরশীলতাসবসময় অন্যের উপর ভরসা করলে আপনি নিজের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবেন। আত্মনির্ভরতা গড়ে তুলুন। নিজের কাজ নিজে করার অভ্যাস আপনাকে ভবিষ্যতের অনেক সমস্যা থেকে রক্ষা করবে। মানসিক শান্তি আসে আত্মজ্ঞান, ইতিবাচক মনোভাব ও কিছু অভ্যাস বদলের মাধ্যমে। নিজেকেই যদি ভালো না রাখেন, তাহলে বাইরে থেকেও শান্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন। তাই আজই নিজের কিছু পুরনো অভ্যাসের দিকে তাকিয়ে দেখুন—কোনটা আপনাকে ভাঙছে, আর কোনটা গড়ছে।

জেনে রাখুন কাদের জাম খাওয়া নিষেধ?
গ্রীষ্মকালীন ফল জামের পুষ্টিগুণ অনেক। গ্রীষ্মকালীন হলেও এটি জুন, জুলাই বা আগস্ট মাসেও পাওয়া যায়। এতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও অনেক ঔষধি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর অনন্য রং ও মিষ্টি-টক স্বাদের জন্য অনেকের কাছেই এটি প্রিয়। এতো পুষ্টিগুণের ভিড়েও কষাটে এই ফল থেকে অনেকেরই দূরে থাকতে হয়।জাম কাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, জেনে নিন— জাম শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তবে অতিরিক্ত জাম খেলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। জাম বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। বেশি জাম খেলে মুখে ব্রণও বাড়তে পারে। যাদের রক্তচাপ ও কোষ্ঠকাঠিন্য আছে, তাদের জাম খাওয়া উচিত নয়। জাম খেলে যাদের বমি হয়, তারা এর থেকে দূরে থাকুন। প্রতিদিন ১০০ গ্রামের বেশি জাম খাওয়া উচিত নয়। খালি পেটে কখনো জাম খাবেন না। জাম খাওয়ার আগে ও পরে প্রায় দুই ঘণ্টা দুধ খাবেন না। গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের জাম না খাওয়াই ভালো। ডায়াবেটিক রোগীরা অবশ্যই জাম অল্প পরিমাণে খাবেন।

জেনে রাখুন ব্যাগ গোছানোর ৫ টিপস
সামনে প্রায় ১০ দিনের ছুটি। এই ছুটিতে ভ্রমণ না হলে কি চলবে? ব্যাগ টানতে গিয়ে ভ্রমণ ক্লান্তিকর হলেও সমস্যা। তাই দেখে নিতে পারেন ব্যাগ গোছানোর জরুরি ৫ টিপস। প্যাকিং তালিকা তৈরি করুন ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের একটি তালিকা তৈরি করুন। তালিকার বাইরে কিছুই ব্যাগে তুলবেন না। তাই এই তালিকায় শুধু দরকারি জিনিসগুলো রাখুন। সঠিক ব্যাগ বেছে নিন বাজারে যেসব ব্যাগ পাওয়া যায়, অনেক সময় সেগুলো দেখতে ভালো হলেও বেশি ভারী বা কাজের হয় না। ব্যাগ কেনার সময় খেয়াল করুন, এর ওজন, মাপ, ডিজাইন এবং জিপার বা কাপড়ের মান কেমন। তরল পণ্য কম তত ভালো সাবান, শ্যাম্পু, লোশন—এসব তরল জিনিস অনেক ভারী হয়, বেশি জায়গা নেয় এবং ফেটে গিয়ে ব্যাগ নোংরা করতে পারে। তাই এগুলোর পরিমাণ যত কম রাখা যায়, তত ভালো। অনেক কিছুই আপনি গন্তব্যে গিয়ে কিনে নিতে পারেন। নিজেই কাপড় ধোয়ার ব্যবস্থা রাখুন অনেক কাপড় নিয়ে যাওয়ার দরকার নেই। অল্প করে নিন এবং সেগুলো গন্তব্যে গিয়ে ধুয়ে একাধিকবার ব্যবহার করুন। পোশাক পরিকল্পনা কম পোশাক নিয়ে বেশি দিন চলতে হলে এমন কাপড় নিন, যেগুলো একে অপরের সঙ্গে মানিয়ে পরা যায়। যেমন একটি প্যান্টের সঙ্গে যেন একাধিক জামা বা টপ পরা যায়। এতে আপনার কম কাপড়েই অনেক রকম সাজ হয়ে যাবে।

কদবেলের আচার রেসিপি
যারা কদবেল খেতে পছন্দ করেন তারা খুব সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন মজাদার কদবেলের আচার। মুখবন্ধ বয়ামে রুম টেম্পারেচারে এই আচার সংরক্ষণ করা যাবে ছয় থেকে সাত মাস পর্যন্ত। তবে মাঝে মাঝে রোদে দিতে হবে। এ ছাড়া ফ্রিজে রাখলে কদবেলের আচার ভালো থাকবে বছরজুড়ে। উপকরণ১) কদবেল- দেড় কাপ২) সরিষার তেল- আধা কাপ৩) রসুন বাটা- ১ চা চামচ৪) পাঁচফোড়ন- আধা চা চামচ৫) শুকনা মরিচ- ২টি ৬) সাদা ভিনেগার- ১/৩ কাপ৭) চিনি- ১/৪ কাপ ৮) মরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচ৯) লবণ- ১ চা চামচ১০) বিট লবণ- ১ চা চামচ প্রস্তুত প্রণালিআচার তৈরির জন্য একদম গাছপাকা কদবেল ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো হয়। প্রথমে কদবেল হাত দিয়ে খুব ভালো করে চটকে নিন। এরপর প্যানে তেল দিন। তেল হালকা গরম হলে রসুন বাটা দিয়ে কয়েক সেকেন্ড নাড়ুন। এরপর পাঁচফোড়ন দিয়ে দিন। শুকনা মরিচ কেটে দিন। সব মসলা ১ মিনিট হালকা ভেজে নিন। এবারে চটকে রাখা কদবেল প্যানে দিয়ে কয়েক মিনিট নাড়ুন। এরপর চিনি ও ভিনেগার দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। ঘনঘন নাড়তে থাকুন। ১ মিনিট পর মরিচ গুঁড়া, বিট লবণ ও লবণ দিন। আচার আঠালো হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর তেল ছেড়ে দিলে আচার চুলা থেকে নামিয়ে নিন। মুখবন্ধ বয়ামে সংরক্ষণ করুন টক-মিষ্টি-ঝাল কদবেলের আচার।

আসছে ভাদ্রর জন্য জেনে রাখুন তালের পোয়া পিঠার রেসিপি
ব্যস্ততার ভিড়ে নিজের জন্য ও পরিবারের জন্য বিশেষ কিছু তৈরি করে খাওয়ারও যেন সময় মেলে না। তবু বিভিন্ন মৌসুমের ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো বছরে একবার হলেও পাতে থাকুক। চলছে তালের মৌসুম। আর এ মৌসুমে তাল দিয়ে সহজে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু তালের পোয়া পিঠা। যা যা লাগবে: ময়দা- ২ কাপ সুজি- ১ কাপ তালের রস- ১ কাপ চিনি- ১ কাপ বা স্বাদমতো লবণ- এক চিমটি পানি- পরিমাণমতো তেল- ভাজার জন্য পরিমাণমতো। যেভাবে তৈরি করবেন: প্রথমে শুকনো উপকরণ অর্থাৎ ময়দা ও সুজি মিশিয়ে নিতে হবে। এবার তালের রসের সঙ্গে প্রথমে চিনি মিশিয়ে নিয়ে পরে ময়দা ও সুজি দিয়ে দিন। এক চিমটি লবণও দিতে পারেন। দেড় কাপের মতো হালকা গরম পানি নিয়ে অল্প অল্প করে মিশিয়ে দিন। এরপর হাত দিয়ে বা হুইস্কের সাহায্যে ভালো করে মিশিয়ে নিন। গোলা খুব বেশি ঘন বা পাতলা হবে না। এভাবে ২০ মিনিটের মতো রেখে দিন। এবার ভাজার জন্য একটি গোল কড়াই চুলায় বসিয়ে তাতে তেল গরম হতে দিন। গোল ডালের চামচ বা মেজরমেন্ট কাপের সাহায্যে একটি একটি করে পিঠার গোলা তেলে ছেড়ে দুই পিঠ উল্টে ভেজে নিন। এরপর একটি ঝাঁঝরি চামচের সাহায্যে তুলে কিচেন টিস্যুর উপর রেখে পিঠার বাড়তি তেল ঝরিয়ে নিন। তারপর গরম গরম পরিবেশন করুন তালের পোয়া পিঠা।

নাস্তায় চিজি অমলেট
চিজ খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। ডিমের সঙ্গে চিজ মিশিয়ে যেমন সুন্দর ওমলেট বানানো যায় তেমনই কিন্তু টোস্টের সঙ্গে যদি মেশে একটুকরো চিজ স্লাইস তাহলেও কিন্তু তা খেতে বেশ লাগে। সকালে বা বিকেলের নাস্তায় তাই অনেকেরই পছন্দ এই চিজি অমলেট। আর তাই কম সময়ে সুস্বাদু আর স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করতে চাইলে চিজ প্রেমীদের জন্য রইল দারুণ স্বাদের ৪টি চিজ অমলেট রেসিপি। প্লেন চিজ অমলেট ডিম, এক চামচ দুধ, স্বাদমত লবণ, গোলমরিচের গুঁড়ো আর সামান্য মাখন একসঙ্গে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এবার তা ১০ মিনিট রাখুন। প্যানে অয়েল ব্রাশ করে ডিম ঢেলে দিন। চিজের স্লাইস দিয়ে সাবধানে উল্টে নিলেই তৈরি চিজ অমলেট। মাশরুম-সসসেজ ওমলেট প্রথমে ডিম ফেটিয়ে নিন। সঙ্গে দিন দুধ, চিলি ফ্লেক্স, মাখন , লবণ আর গোলমরিচ। মাশরুম আগে থেকে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ভাপ তুলে রাখুন। এবার প্যানে তেল বা বাটার দিয়ে ডিম দিন। ওপর থেকে ছোট ছোট টুকরো করে মাশরুম, সসেজ ছড়িয়ে দিন। লো আঁচে রেখে খানিকক্ষণ ঢেকে রাখুন। এবার উলটে নিলেই তৈরি ওমলেট। চিজ সবজির ওমলেট ডিম ভেঙে ওর মধ্যে লবণ, গোলমরিচের গুঁড়ো, গাজর কুচি, পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি, মরিচ আর ক্যাপসিকাম কুচি মিশিয়ে নিন। এবার তা ভালো করে ফেটিয়ে নিন। প্যানে তেল ব্রাশ করে নিতে হবে। এবার ডিমের গোলা ছড়িয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। চিজ স্লাইস আর ধনেপাতা কুচি দিয়ে ঢেকে দিন। ফুলে উঠলে নামিয়ে নিলেই তৈরি ওমলেট। এগ পটাটো ওমলেট আলু সেদ্ধ করে মাখন, গোলমরিচ, লবণ দিয়ে মেখে নিন। এবার প্যানে মাখন ব্রাশ করে ডিমের গোলা দিন। চিজ স্লাইস দিন। এরপর আলুর পুর দিয়ে দিন ওর মধ্যে। চুলা অল্প আঁচে রাখুন। ফুলে উঠলেই নামিয়ে নিন।

যে কারণে পুরুষের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলা জরুরি
মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি সবসময়ই অবহেলার শিকার হয়ে থাকে, সে হোক নারীর বা পুরুষের। তবে মনের কথা প্রকাশের ক্ষেত্রে নারীদের চেয়ে পুরুষেরা বরাবরই পিছিয়ে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তও বলছে, ২০২৫ সালে এসে যখন ‘মেন্টাল হেলথ’ গুরুত্ব পাওয়া শুরু করেছে সে সময়ও নারীদের তুলনায় পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনার পরিমাণ কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২১ সালের এক জরিপে দেখা যায়, বৈশ্বিকভাবে প্রতি ১ লাখ পুরুষে আত্মহত্যার হার ছিল ১২ দশমিক ৩, যা নারীদের ৫ দশমিক ৯-এর দ্বিগুণেরও বেশি। এই বিশাল পার্থক্যটি পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শদাতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান mentl. space প্ল্যাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতা স্কট আর্মস্ট্রং বলেন, ‘অবস্থা বেশ ভয়াবহ। তবুও আমরা এখনো মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে পুরুষদের কথা বলাতে রাজি করাতে হিমশিম খাই। এটি আমাদের বলে দেয়, নীরবতা সত্যি সত্যি মানুষের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে।’ ‘মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা’ বলতে আসলে কোন অবস্থাকে বুঝায় এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আর্মস্ট্রং বলেন, ‘আমি মনে করি না, সহজে এটিকে সংজ্ঞায়িত করা যায়, কারণ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা অনেক ধরনের অবস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করে—উদ্বেগ, হতাশা, বার্নআউট, পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি)। তবে, সবগুলো সমস্যাই আমাদের চিন্তা, অনুভূতি এবং জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার উপায় নিয়ে। মানসিক স্বাস্থ্য শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ এবং যদি একে উপেক্ষা করা হয়, তাহলে তা আরও খারাপ হয়ে যায়।’ সাধারণত চাকরি, পরিবার এবং আর্থিক চাপের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে বেশিরভাগ মধ্যবয়সী পুরুষেরা উচ্চমাত্রার চাপ ও বার্নআউটের মুখোমুখি হন। সিএমবি কোচিং অ্যান্ড ট্রেইনিং-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর কিয়ারান ম্যাকব্রিন বলেন, ‘আগের দিনের মানুষেরা এমন এক পরিবেশে বড় হয়েছেন, যখন দুর্বলতা প্রকাশ করাকে দুর্বল ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক মনে করা হতো। যার ফলে অনেকে নিঃশব্দে কষ্ট পেয়েছেন। যা যেমন, তা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে—এই মানসিকতা এখনো রয়ে গেছে।’ তবে এর মানে এই যে, এ সময়ের যুবকেরা সহজে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে পারছে। ম্যাকব্রিন বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে জেনারেশন জেড (জেন জি), মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক বেশি খোলামেলা কথা বলতে পারে। এটি সম্ভব হয়েছে সচেতনতা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে। তবে কিছু কিছু জায়গায় অবস্থার এখনো পরিবর্তন আসেনি, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রগুলোতে যেখানে অনেক বেশি চাপের মধ্যে থাকতে হয়।’ তবে, আধুনিক যুবকদের এখন নতুন ধরনের চাপের মধ্যে থাকতে হয়—সোশ্যাল মিডিয়া, আর্থিক অনিশ্চয়তা এবং সর্বদা কাজের চাপ। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিটি প্রজন্মের ওপর ভিন্ন ভিন্ন ধরনের চাপ থাকে, প্রত্যেকের লড়াইও ভিন্ন। কিন্তু একটা বিষয় সবার ক্ষেত্রে এক—পুরুষেরা এখনো সাহায্য চাইতে সংকোচ বোধ করেন। কেএসজি ওয়েলনেস কোচিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা কেস স্মিথ-গ্রিন বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ার দিকেই তাকান, তরুণ পুরুষেরা ভুগছেন ‘ফিয়ার অব মিসিং আউট’ (FOMO)-এ, পোশাক বাছাই, দেখতে কেমন হওয়া উচিত সেই প্রত্যাশা, একজন নারীর পেছনে কত টাকা খরচ করতে হবে, কত টাকা উপার্জন করা উচিত—এই তালিকা যেন শেষই হয় না। এটি এক ভিন্ন ধরনের প্রত্যাশার তালিকা, কিন্তু এটি এমন একটি তালিকা, যা আমরা পুরনো প্রজন্মের তুলনায় অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। ” অনেক পুরুষ মানসিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সমস্যাগুলো সবসময় স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারেন না। দুঃখ বা মানসিক কষ্ট প্রকাশ করার বদলে তাঁরা প্রায়ই রাগ বা খিটখিটে মেজাজ, একাকীত্ব, এমনকি আত্মবিনাশী আচরণ, যেমন—অতিরিক্ত কাজ করা—এসবের মাধ্যমে নিজেদের কষ্টটি প্রকাশের চেষ্টা করেন। মেন’স টাইম টু টক নামের এক পডকাস্টে ম্যাকব্রিন বলেন, ‘এই লক্ষণগুলো বুঝতে পারা খুব জরুরি, কারণ অনেক পুরুষ নীরবে লড়াই করছেন।’ দ্রুতগতির জীবনধারা, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা এবং উচ্চ প্রত্যাশা মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বার্নআউটকে আরও তীব্র করে তোলে। অনেক পেশাদার ব্যক্তি সফলতার পেছনে ছুটতে গিয়ে মানসিক সুস্থতাকে গুরুত্ব দিতে ভুলে যান। তাঁদের একাকীত্ব ক্রমশ বাড়তে থাকে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে পরামর্শদাতা স্মিথ-গ্রিন বলেন, ‘কেউ কেউ স্ট্রেসে ভালো পারফর্ম করেন, আবার কেউ পারেন না। কেউ জানেন কীভাবে নিজেদের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো—যেমন ভালো পুষ্টি, ব্যায়াম, ঘুম ইত্যাদি—সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হয়, আবার কেউ জানেন না। এই জিনিসগুলো মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘ কর্মঘণ্টার চেয়েও বেশি প্রভাব ফেলে।’ পরামর্শকেরা বলছেন, পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মোকাবিলায় সবচেয়ে কার্যকর দুটি পথ হলো—এ সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলা এবং সাহায্য চাওয়া। এটা যেমন বন্ধুবান্ধব বা সহকর্মীদের সঙ্গে আলাপের মাধ্যমে হতে পারে, তেমনি অনেক সময় এর জন্য পেশাদার সাহায্য নেওয়ারও প্রয়োজন হয়। স্মিথ গ্রিন বলেন, ‘একজন ওয়েলনেস ও মেন্টাল হেলথ কোচ হিসেবে আমার লক্ষ্য খুবই সাধারণ—ছোট ছোট বিষয় নিয়ে কাজ করা, যেগুলোর প্রভাব মানসিক সুস্থতার ওপর অনেক বড়। এতে জড়িত থাকে আবেগ নিয়ে আলোচনা এবং কেন একজন মানুষ নির্দিষ্ট কিছু আচরণ করে তা বোঝার চেষ্টা করা। আর যদি কেউ সেই আচরণ পরিবর্তন করতে চায়, তাহলে তারা কী মনে করে সেই জায়গায় কী করা উচিত—তা তারা নিজেরাই খুঁজে বের করে এবং আমি তাদের সেই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করি। কোচিং মানে কৌশল শেখানো নয়, বরং আত্ম-আবিষ্কারের পথ দেখানো।’ মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শদাতা আর্মস্ট্রং বলেন, ‘কথা বলুন। সেটা হোক বন্ধু, কোচ কিংবা কোনো পেশাদারের সঙ্গে—একা একা এসব সামলানোর চেষ্টা করবেন না। কথা বলাটা আপনার পুরুষত্ব কমায় না, বরং আপনাকে আরও সুস্থ করে তোলে।’ কিয়ারান ম্যাকব্রিনের মতে, ‘হোক সেটা কোচিংয়ের মাধ্যমে, সহায়তাকারী গ্রুপের মাধ্যমে বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায়—মিশন একটাই: পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে থাকা বাধাগুলো ভাঙা এবং জানানো যে তাঁরা একা নন। অনেক সময় একটি সৎ আলাপ কারও জীবনে বড় পরিবর্তন এনে দিতে পারে।’ নারী ও পুরুষের মানসিক সংগ্রাম একই ধরনের হলেও এর বিপরীতে তাদের প্রতিক্রিয়ার ধরনে পার্থক্য থাকে। আর্মস্ট্রং বলেন, ‘নারীরা তুলনামূলক বেশি সাহায্য চায়, আর পুরুষরা অনেক সময় সব কিছু চেপে রাখে যতক্ষণ না একেবারে ভেঙে পড়ে। এটা বোঝা জরুরি, পুরুষ ও নারী—উভয়েই সংগ্রাম করছে এবং তাদের উভয়েরই আরও বেশি সহায়তা প্রয়োজন।’ স্মিথ-গ্রিন বলেন, ‘এই বিষয়গুলো নিয়ে সম্প্রতি বেশ আলোচনা হচ্ছে। মাত্র ১৫ বছর আগেও, পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য ছিল উপেক্ষিত একটি বিষয়। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া তখন অনেক কঠিন ছিল, বিশেষ করে যথেষ্ট অর্থ না থাকলে।’ এখন অনেক দেশে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে। এমনকি দেশের সরকার এখন এই দায়িত্ব নিচ্ছে এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের সহায়তা করতে আইন প্রণয়ন করছে।

চুল পড়া কমাতে করলা
খাওয়ার টেবিলে করলা দেখলে অনেকেই হইচই শুরু করেন। তেতো এ সব্জিকে কেউউ তেমন ভালোবেসে খান না। তবে করলা ভাজি, রান্নাসহ পাঁচমিশালি তরকারি হিসেবে গরমের দিনে রাঁধতে মিস হয় না বেশির ভাগ বাড়িতে। এই সবজির উপকারিতা সম্পর্কে সকলেই মোটামুটি অবগত। তবে করলা যে রূপচর্চাতেও ব্যবহার করা যায়, সেটা খুব কম লোকেই জানেন। চুল ঝরে পড়া থেকে শুরু করে খুশকির সমস্যার সমান পাওয়া যায় করলা। অনেকে শৌখিন প্রসাধনী ব্যবহার করেও চুল ঝরে পড়ার সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পাননি। সেদিক থেকে করলা খানিকটা হলেও আশার আলো দেখাতে পারে। পুষ্টিবিদ শাহনীলা তৈয়ব জানান, করলায় থাকা উপাদানগুলো চুলের যত্ন নেয়। করলায় রয়েছে পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি। এছাড়াও এই সবিজিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং ফলিকল মজবুত করে। করলায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে, যা মাথার ত্বকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের পরিমাণ কমায়। ফলে চুলও পড়ে কম। চলুন জেনে নেওয়া যাক, চুল ঝরে পড়া কমাতে করলা কীভাবে ব্যবহার করবেন- করলা খোসাসহ ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। তবে বীজগুলো ফেলে দিতে হবে। তারপর ব্লেন্ডারে করে সামান্য লবণ এবং পানি দিয়ে রস বের করে নিন। এই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ভালো করে মাখতে হবে। এতে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালনও ভালো হবে। করলার রস চুলে মেখে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। সপ্তাহে ২দিন করলেই কমবে চুল পড়া।

জেনেলিয়ার ফিটনেস রহস্য: এই ডায়েটই তাঁর ভরসা
সবশেষ ২০২৩ সালে বড় পর্দায় দেখা গিয়েছিল বলিউডের মিষ্টি মেয়ে জেনেলিয়া ডি সুজাকে। আমির খানের ছবি সিতারে জামিন পারে অভিনয় করতে দেখা যাবে এই বলিউড তারকাকে। বয়স ৩৭ পার হলেও দেখে বোঝার জো নেই। একেবারে আগের মতোই ফিটনেস ধরে রেখেছেন ‘জানে তু ইয়া জানে না’র সেই কলেজের মেয়েটি। কীভাবে নিজের ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখেন জেনেলিয়া? জেনেলিয়া জানান, ২০১৭ সাল থেকে নিজের খাদ্যাভ্যাসে বড়সড় বদল এনেছেন। প্রথমে নিরামিষাশী হয়েছিলেন, তারপর ধীরে ধীরে দুগ্ধজাত খাবারও বাদ দিয়ে পুরোপুরি ভেগান ডায়েটের দিকে ঝোঁকেন তিনি। কেবল স্বাস্থ্যের জন্য নয়, বরং তিনি কী খাচ্ছেন সে সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জেনেলিয়া। প্রথমে এই বদল সহজ ছিল না, কারণ প্রতিটি খাবারের বিকল্প হিসেবে ভিগান খাদ্যতালিকা থেকে খাবার বের করা খুবই কঠিন। তবে ধীরে ধীরে আত্মস্থ করে ফেলেছেন জেনেলিয়া। জেনেলিয়া মনে করেন, ‘মাইন্ডফুল ইটিং’ খুব জরুরি। অর্থাৎ খাওয়ার সময়ে সেই মুহূর্তের প্রতি মনোযোগ দেওয়া, সেই মুহূর্তে উপস্থিত থাকা এবং কী খাচ্ছেন, সেটিকে মন ভরে দেখা। পুষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখতে মাসিক ডায়েট পরিকল্পনা করা থাকে এই তারকার। অর্থাৎ মাসে মাসে অল্প করে বদলাতে থাকেন ডায়েট। যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিন তিনি গ্রহণ করেন রোজ। জেনেলিয়া জানান, অনেকেই মনে করেন এই ধরনের খাদ্যাভ্যাসে পর্যাপ্ত প্রোটিন মেলে না। কিন্তু সেটি ভুল। জেনেলিয়ার জানান, ‘ভেগান ডায়েট করে আমি ১০০ কেজি ওজন তুলেছি। তাই এ সব ভ্রান্ত ধারণা। এছাড়া পর্যাপ্ত পানি পান করেন এই তারকা। ভোলেন না নিয়মিত ব্যায়াম করতেও।

বিচ্ছেদের পর নিজেকে সামলাবেন যেভাবে
বিচ্ছেদ মানেই বেদনার। সেটা হতে পারে প্রেমের, অথবা সংসারের। আমরা না চাইলেও অনেক সম্পর্কের শেষ পরিণতি হয় বিচ্ছেদে। যদিও এই বিচ্ছেদ কারও কাম্য নয়। তবে সম্পর্কের টানাপোড়নে অনেক সময় বাধ্য হয়েই এই পথে হাঁটতে হয়। প্রেমে ছ্যাঁকা হোক বা সংসার ভাঙা হোক, এই ব্রেকআপের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া খুব কঠিন। কিন্তু কষ্ট হলেও নিজেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাই আসুন জেনে নিই বিচ্ছেদের পর নিজেকে সামলাবেন যেভাবে- গান শোনাগান শুনতে পারেন। কারণ জীবনের সকল পরিস্থিতির জন্যই উপযুক্ত গান রয়েছে। তবে প্রাক্তন সঙ্গীর কথা মনে করিয়ে দিতে পারে এমন গান শোনা থেকে বিরত থাকুন। বরং মন ভালো হয় এমন কিছু গান শুনুন। নিজেকে বোঝানোনিজেকে প্রশ্ন করা দরকার, যে মানুষটি কষ্ট দিলেন, তিনি সত্যি কি যোগ্য ছিলেন? তিনি কি সত্যি কোনোদিন ভালোবেসেছিলেন? যদি তা না-ই হয়, তাহলে এই চোখের পানি বা কষ্ট অর্থহীন। জীবনে আবার নতুন কেউ আসবেন। শুধু সেই সময়ের জন্য অপেক্ষ করা প্রয়োজন। গান শোনাগান শুনতে পারেন। কারণ জীবনের সকল পরিস্থিতির জন্যই উপযুক্ত গান রয়েছে। তবে প্রাক্তন সঙ্গীর কথা মনে করিয়ে দিতে পারে এমন গান শোনা থেকে বিরত থাকুন। বরং মন ভালো হয় এমন কিছু গান শুনুন। নিজেকে বোঝানোনিজেকে প্রশ্ন করা দরকার, যে মানুষটি কষ্ট দিলেন, তিনি সত্যি কি যোগ্য ছিলেন? তিনি কি সত্যি কোনোদিন ভালোবেসেছিলেন? যদি তা না-ই হয়, তাহলে এই চোখের পানি বা কষ্ট অর্থহীন। জীবনে আবার নতুন কেউ আসবেন। শুধু সেই সময়ের জন্য অপেক্ষ করা প্রয়োজন। পছন্দের কাজগুলো করুননিজেকে ভালো রাখতে চাইলে পছন্দের কাজগুলো করতে পারেন। বই পড়া, খেলাধুলা, গান, সিনেমা দেখা– আপনি যা পছন্দ করেন, তা আবার শুরু করে দিন। তাহলেই দেখবেন পুরনো কথা মন থেকে ধীরে ধীরে সরে যাবে। এক সময় আপনি সবটা ভুলে যাবেন। আজ থেকেই তাই কাজে লেগে পড়ুন। সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে রাখাবিচ্ছেদের কষ্ট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো সামাজিক মাধ্যম থেকে বেরিয়ে আসা। কিছুদিনের জন্য সেখান থেকে বিরতি নিন। এতে করে প্রাক্তন সঙ্গীর ছবি দেখা এবংতার দৈনন্দিন খবরগুলো জানার থেকে অন্তত মুক্তি মিলবে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানপরিবারের সদস্যরা কখনো আপনার খারাপ চাইবে না। তাই বিপদে কাউকে পাশে না থাকলেও এই মানুষগুলো দেখবেন ঠিকই আপনার সঙ্গে আছে। তাই মন খারাপ হলে তাঁদের কাছে ছুটে যান। আপনার খারাপ লাগা বিষয়গুলো শেয়ার করুন তাঁদের সঙ্গে। দেখবেন, আপনার মন অনেকটা হালকা হয়ে যাবে। রোমান্টিক সিনেমা না দেখাসিনেমা দেখে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া বা অনুমান করাও উচিত নয়। সকল হাসিখুশি দম্পতির প্রেমজীবন ঝামেলা মুক্ত নাও হতে পারে। বরং রোমাঞ্চকর, প্রামাণ্যচিত্র, এমনকি ভয়ের সিনেমাও দেখা যেতে পারে। এগুলো আপনার মনকে ব্যস্ত রেখে মন খারাপ করার চিন্তগুলো দূরে রাখবে। অনুসরণকারী হওয়া যাবে নাপ্রাক্তন সঙ্গীর একটি হাসিখুশি ছবিই আপনাকে আরও বিষাদগ্রস্ত করে তুলবে। তাই কোনো অবস্থাতেই প্রাক্তন সঙ্গীর দৈনন্দিন কার্যাবলী জানার উদ্দেশ্যে তাকে অনুসরণ করা যাবে না। প্রাক্তন সঙ্গী কী করছে, তার চাইতে নিজেকে নিয়ে চিন্তা করা বেশি জরুরি। কান্নাকাটি অস্বাভাবিক নয়বিচ্ছেদের মানেই অনুভূতির আচমকা পরিবর্তন। এ পরিবর্তনকে জোর করে চাপিয়ে রাখা যাবে না। বিচ্ছেদের পর প্রয়োজনে কান্নাকাটি করুন। চিৎকার করেও কাঁদতে পারেন। মোটকথা, ভেতরটা হালকা করার জন্য যা দরকার হয় তা-ই করুন। সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিননিজেকে গুটিয়ে না নেওয়ার একটা চমৎকার উপায় হতে পারে সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করা। এতে করে মন হালকা হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করুনশুনতে একটু অস্বাভাবিক লাগলেও এমন পরিস্থিতি থেকে আপনাকে বের করে আনতে পারে ব্যায়াম। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। তাহলে দেখবেন মনে জন্মাবে ভালো থাকার বিশ্বাস। আপনি সব কষ্ট ভুলে হাসিখুশি থাকতে পারবেন। শুধু তাই নয়, নিয়মিত জিমে ঘাম ঝরালে শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে পারবেন। তাই ব্রেকআপের পর মন চাঙ্গা রাখতে নিয়মিত এক্সারসাইজ করতে ভুলবেন না যেন!
.jpg)
ঘুমানোর আগে কোন খাবার খেলে রাতে ঘুম ভাল হয়ঃ জেনে রাখুন
অনেকেরই অনিদ্রার সমস্যা আছে। রাতে ভালোভাবে ঘুম না হলে সে প্রভাব পড়ে সারাদিনের কাজে। দীর্ঘ দিন ধরে ঘুমের সমস্যা হলে তা সার্বিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভালো ঘুম হওয়ার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। যেমন- প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার চেষ্টা করুন। ঘুমাতে চাওয়ার বেশ খানিকটা সময় আগেই রাতের খাবার খাওয়া সেরে নেওয়া প্রয়োজন। আর স্ক্রিন অর্থাৎ মোবাইল, ল্যাপটপ- এইসব ডিভাইস নিয়ে একেবারেই বিছানায় ঘুমাতে যাবেন না। তবে বর্তমান যুগে অনেকের পক্ষেই এত নিয়ম মেনে চলা কঠিন। একান্তই না পারলে রাতে যাতে ভালভাবে ঘুম হয় সেজন্য কিছু খাবার খেতে পারেন। এতে উপকার পাবেন। কী খাবেনবাদাম : প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই বাদাম অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। প্রতিদিন মাত্র ৬ থেকে ৭টি বাদাম খেলে আপনার অনিদ্রার সমস্যা দূর হতে পারে। নিয়মিত বাদাম খেলে মানসিক চাপ থেকেও মুক্তি পাবেন এবং আপনার ঘুমের চক্রও উন্নত হবে।কলা: শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে, আপনার খাদ্যতালিকায় কলা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এতে কেবল ম্যাগনেসিয়ামই পাওয়া যায় না, বরং এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়ামও রয়েছে। নিয়মিত কলা খেলে শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।দই: দই স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি কেবল আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়, বরং ঘুমের অভাব কাটিয়ে উঠতেও সাহায্য করতে পারে। যদি আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় ১০০ গ্রাম কম চর্বিযুক্ত দই অন্তর্ভুক্ত করেন, তাহলে আপনি এতে প্রায় ১৯ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম পাবেন।পালং শাক : পালং শাক একটি সুপারফুড হিসেবেও পরিচিত। এতে শুধু ম্যাগনেসিয়ামই পাওয়া যাবে তা নয়, আরও অনেক প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থও পাবেন। যদি রাতে ঠিকমতো ঘুম না হয়, তাহলে অবশ্যই আপনার খাদ্যতালিকায় পালং শাক অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

প্রথমবার এসি কেনার সময় মাথায় রাখুন ৭ বিষয়
গ্রীষ্মের দাবদাহে এসি আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। অনেকে আবার নতুন এসি কিনতে চাচ্ছেন। এসি ব্যবহারের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা হচ্ছে বিদ্যুৎ খরচ। তবে সঠিকভাবে এসি ব্যবহারে খুব বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয় না। যারা নতুন এসি কিনবেন তারা বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন। এতে খুব ভালো মানের এসি যেমন কিনতে পারবেন। তেমনি আপনার জন্য যেটা প্রয়োজন সেটাই কিনতে সুবিধা হবে। আসুন কোন বিষয়গুলো নজর রাখবেন দেখে নিন- >> সাইজ বা এসির মাপ বাছাই করুন প্রথমেই। আসলে এসির সাইজ নির্ভর করবে আমাদের ঘরের মাপের উপরেই। ছোট্ট ঘরের জন্য একটা ১ টন এসিই যথেষ্ট। আর বড় ঘরের জন্য আদর্শ হলো ১.৫ টন থেকে ২ টন এসি। >> ঘর ছোট্ট আকৃতির হলে উনন্ডো এসিই যথেষ্ট। আর এটি ইনস্টল করাও বেশ সহজ। কিন্তু বড় ঘরের জন্য আদর্শ হল স্পিল্ট এসি। আর এর থেকে আওয়াজও তেমন বেরোয় না। >> এসি কেনার সময় এর স্টার রেটিং দেখে নেওয়া জরুরি। কারণ ৫-স্টার রেটিং এসি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। আর দীর্ঘ সময়ের জন্য তা বিদ্যুতের বিলের বোঝাও অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। >> নিজের বাজেট অনুযায়ী এসির দাম ধার্য করা উচিত। এর পাশাপাশি ইনস্টলেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচের বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে। আর এসি কেনার জন্য সব সময় অফারের জন্য অপেক্ষা করে যাওয়া উচিত। কারণ উৎসবের মরশুমে এসির উপর প্রচুর ডিসকাউন্ট বা ছাড় পাওয়া যায়। >> ভালো ব্র্যান্ডের এসি কিনতে হবে। যা ভালো ওয়ারেন্টি এবং ভালো পরিষেবা প্রদান করতে পারে। ভবিষ্যতে এই বিষয়টিই নানা রকম সমস্যা থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে। >> বর্তমানে প্রায় সব এসিতেই একাধিক অ্যাডভান্সড ফিচার দেখা দেয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো ওয়াই-ফাই কানেক্টিভিটি, অটো ক্লিন এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ফিল্টার ইত্যাদি। নিজের প্রয়োজন বা চাহিদা অনুযায়ী ফিচার বেছে নিতে হবে। >> এসি কেনার ক্ষেত্রে সবার আগে অনলাইন রিভিউ এবং রেটিং দেখে নেওয়া আবশ্যক। এতে প্রোডাক্টের গুণমান এবং পারফরম্যান্স নিয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

গরমে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে মুলতানি মাটি
অতিরিক্ত ঘাম, দূষণ, তাপের কারণে গরমে ত্বকের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে। বিভিন্ন ধরনের সানস্ক্রিন,ক্রিম মেখেও ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা যায় না। এ সমস্যা দূর করতে মূলতানি মাটি ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত এই মাটির ব্যবহারে খুব সহজেই ত্বকের কালচে ভাব দূর হবে। যেভাবে বানাবেন মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক ১. প্রথমে শসার খোসা ছাড়িয়ে রস বার করে নিন। এর সঙ্গে দুই চা চামচ মুলতানি মাটি ও এক চা চামচ গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখ ও গলায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। হালকা মাসাজও করে নিন। সপ্তাহে ২-৩ দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। ২. দুই চা চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে এক চামচ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল আর এক চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। এই প্যাক মুখে, গলায় ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের সমস্যা থেকে ত্বকে কালচে ছোপ, সব সমস্যায় দারুণ কাজ দেয় এই ফেসপ্যাকটি।

আম কেমিক্যালমুক্ত কি না, বুঝবেন যেভাবে
ফলের রাজা আম পাকলে খুবই সুস্বাদু হয়। গ্রীষ্মকালের প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে গাছপাকা আম সুমিষ্ট প্রশান্তির স্বাদ এনে দিতে পারে। গ্রীষ্মের মৌসুমি ফলগুলোর মধ্যে আমের আবেদন সর্বজনীন। ইতোমধ্যে বাজারে আম আসা শুরু হয়েছে। কিন্তু বাজারে রাসায়নিকমুক্ত আম পাওয়া কঠিন। বিক্রেতা রাসায়নিকমুক্ত আম বলেই বিক্রি করছে। ক্রেতাও বিক্রেতার কথা বিশ্বাস করে কিনে নিচ্ছে।তবে সচেতন থাকতে হবে, সেই আম রাসায়নিকমুক্ত কি না। কেননা এর ওপরই নির্ভর করছে আমাদের সুস্বাস্থ্য। তাই এক নজরে দেখে নিন ফরমালিনমুক্ত আম চেনার উপায়। ১. আম কেনার পর সেই আম মুখে দেওয়ার পর যদি দেখেন যে আমে কোনো সৌরভ নেই কিংবা আমে টক-মিষ্টি কোনো স্বাদই নেই, তাহলে বুঝবেন যে সে আমে ফর্মালিনজাতীয় কোনো রাসায়নিক দ্রব্য দেওয়া হয়েছে। ২. আম কেনার পর কিছুক্ষণ রেখে দিন। এমন কোথাও রাখুন যেখানে বাতাস চলাচল করে না। গাছপাকা আম হলে কিছুক্ষণ পর গন্ধে ম ম করবে চারপাশ। ওষুধ দেওয়া আমে এই সুমিষ্ট গন্ধ পাওয়াই যাবে না। ৩. গাছপাকা আমের গায়ের রং ও আলাদা। গোড়ার দিকে একটু গাঢ় রং থাকে গাছপাকা আমে। রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে পাকানো আমের আগাগোড়া হলদে রং হয়ে যায়। হিমসাগরসহ আরো বেশ কিছু জাতের আম পাকলেও সবুজ থাকে। গাছপাকা হলে এসব আমের ত্বকে কালো কালো দাগ পড়ে। রাসায়নিক দিয়ে পাকানো হলে আমের ত্বক হয় মসৃণ ও সুন্দর। ৪.ফরমালিনমুক্ত আম চেনার একটি উপায় হচ্ছে গন্ধ শুকে দেখা। আম কেনার আগে নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে শুকুন। গাছপাকা আম হলে অবশ্যই বোঁটার কাছে চেনা গন্ধ পাবেন। ওষুধ দেওয়া আমে গন্ধ খুব বেশি থাকে না কিংবা বাজে বা ঝাঁজালো গন্ধ থাকে। ফলে বোঝা যায় যে আমটা আসলে গাছপাকা না।
.jpg)
ওজন কমাতে গ্রিন টি
ওজন কমানো গ্রিন টি হতে পারে উপকারী এক সঙ্গী। কিন্তু একদিন বা মাঝেমধ্যে এটি খেলে এর উপকার মিলবে না। প্রতিদিন অন্তত তিন কাপ গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তবে অনেকে গ্রিন টি-র স্বাদ পছন্দ করেন না। ফলে স্বাস্থ্য উপকারিতা জানা থাকলেও নিয়ম করে খাওয়া হয় না। এক্ষেত্রে স্বাদের কিছু পরিবর্তন এনে বা সহজ কিছু অভ্যাস গড়ে তুলেই এটি দৈনন্দিন জীবনে সহজে যুক্ত করা সম্ভব। চলুন, জেনে নিই।দুধ-চিনি দিয়ে চা নয়, অভ্যাস গড়ুন গ্রিন টি পান করার দুধ ও চিনিযুক্ত চা খাওয়া একদিকে যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, তেমনই এটি শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি যুক্ত করে। পরিবর্তে যদি গ্রিন টি-কে অভ্যাসে পরিণত করা যায়, তবে দীর্ঘমেয়াদে এর উপকারিতা চোখে পড়বে। এক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে সাধারণ চা কেনা বন্ধ করে গ্রিন টি কিনে ঘরে রাখা। চা বানানোর সময় যদি হাতের কাছে গ্রিন টি থাকে, তা হলে ধীরে ধীরে এর প্রতি ঝোঁক তৈরি হবে। চাইলেই বাজারে পাওয়া বিভিন্ন স্বাদের গ্রিন টি যেমন—লেমন-হানি, মিন্ট বা জুঁই বেছে নিতে পারেন। স্বাদে আনুন ভিন্নতা, তবেই তৈরি হবে অভ্যাসশুধু গরম পানিতে গ্রিন টি ফুটিয়ে খেতে একঘেয়ে লাগতেই পারে। তাই স্বাদে ভিন্নতা আনতে চাইলে এক কাপ গ্রিন টি-তে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস বা এক চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে এক বিষয় মনে রাখতে হবে—গ্রিন টি বেশি সময় ফুটালে সেটি তেতো হয়ে যায়। তাই এক-দেড় মিনিটের বেশি ফুটানো যাবে না। দিনে তিনবার, তবে কখন খাবেন? অ্যালার্ম দিন মনে করিয়েগ্রিন টি খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় হলো সকালে নাস্তার কিছু পরে এবং দুপুর বা বিকেলের সময়। খালি পেটে ও সন্ধ্যার পর গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করাই ভালো, কারণ এতে অ্যাসিডিটি হতে পারে কিংবা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। যেহেতু নতুন অভ্যাস তৈরি সময়সাপেক্ষ, তাই স্মার্টফোনে অ্যালার্ম বা রিমাইন্ডার সেট করে নিতে পারেন। এতে আপনি ভুলে গেলেও আপনার ফোন আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেবে, ‘গ্রিন টি খাওয়ার সময় হয়েছে!’ স্বাস্থ্যকর অভ্যাস একদিনে তৈরি হয় না। কিন্তু চেষ্টা করে গেলে ধীরে ধীরে সম্ভব। ঠিক যেমন আমরা চিনি-দুধের চা খাওয়ার অভ্যাস করেছি, তেমনি দিনে তিনবার গ্রিন টি খাওয়াও অভ্যাসে পরিণত করা সম্ভব। ত্বকের যত্ন হোক বা ওজন নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত গ্রিন টি-ই হতে পারে আপনার সহজ সমাধান।
.jpg)
বৃষ্টি দেখলেই খিচুড়ি খেতে মন চায় কেন ও এর কারন কি?
বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে কমবেশি সবাই ভালোবাসেন। চাল-ডালে ফুটিয়ে খিচুড়ি সহজেই রান্না করা যায়। আর তাই বৃষ্টি দেখলেই হাঁড়িতে যে কেউই বসিয়ে দিন খিচুড়ি। এটি একই সঙ্গে যেমন পেট ভরায়, তেমনই সুস্বাদুও। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি— বৃষ্টির দিনেই কেন খিচুড়ি খাওয়া হয়? কোথা থেকে এল এই নিয়ম? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে গল্প। শোনা যায়, ১২০০-১৮০০ সালের মধ্যবর্তী কোনও এক সময়ে বাংলায় খিচুড়ির আবির্ভাব। মনসামঙ্গল কাব্যে স্বয়ং শিব যে খাবারটির আবদার পার্বতীর কাছে করেছিলেন, তা হল খিচুড়ি। এটিকে ‘গরিবের আমিষ’ বলা হলেও প্রথমদিকে ডাল ছিল উচ্চশ্রেণীর খাদ্য। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে নাকি জনপ্রিয় ছিল এই পদ। তবে জনপ্রিয় ধারণা হল, খিচুড়ি খাওয়া শুরু নাকি বাউলদের হাতে। এটি নাকি প্রধানত ছিল তাদের খাবার। এই ছন্নছাড়া মানুষ পথে-ঘাটে গান করতেন, আর দক্ষিণা হিসাবে পেতেন চাল-ডাল। তারা চাল ডাল একত্রে মিলিয়ে খুব দ্রুত ও ঝামেলা বিহীনভাবে রেঁধে ফেলতেন এবং খেতেন। পরে এই খাবারের নাম হয় খিচুড়ি। কিন্তু এটি ছিল তাদের রোজকার খাবার। তবে ইতিহাসের নানা পর্যায়ে আলাদা আলাদা করে খিচুড়ির উল্লেখ আছে। যেমন, সেলুকাস উল্লেখ করেছেন, ভারতীয় উপমহাদেশে চাল-ডাল মেশানো পদের কথা। আল বেরুনিও খিচুড়ির প্রসঙ্গ তুলেছেন তার লেখায়। মরক্কোর পর্যটক ইবন বতুতা খিচুড়ি বানানোর ক্ষেত্রে মুগডালের কথাও বলেছেন। চাণক্যের লেখায় চন্দ্রগুপ্তের সময়কালে এর উল্লেখ মেলে। মোঘল আমলের আকবরের মন্ত্রী আবুল ফজল তার আইন-ই-আকবরীতে নানা ধরনের খিচুড়ি তৈরির কথা বলেছেন। শোনা যায়, খিচুড়ির প্রতি ভালোবাসা ছিল জাহাঙ্গিরেরও। তাতে পেস্তা ও কিসমিসও নাকি মেশানো হত। আর তার নাম রাখা হয়েছিল ‘লাজিজাঁ’। শোনা যায়, ভিক্টোরিয়ান যুগে খিচুড়ি নাকি ইংল্যান্ডের হেঁসেলেও ঢুকে পড়েছিল। বর্ষার দিনে খিচুড়ি খাওয়ার সঙ্গে নাকি রয়েছে অন্য কাহিনি। গ্রামাঞ্চলে বর্ষার সময় চারপাশ জলে ভরে যেত। জল-কাদা পেড়িয়ে দূরের বাজারে যাওয়া ছিল কষ্টকর। বাজার যেহেতু করা সম্ভব হত না, তাই ঘরে থাকা উপাদান দিয়েই, মানে চাল আর ডাল দিয়েই সহজে কিছু রেঁধে ফেলতেন গৃহিণীরা। এর উপর বৃষ্টির কারণে উনুনে বার বার আগুন ধরানোও ছিল কষ্টকর। তাই একবার আগুন জ্বালিয়ে চাল-ডালের খিচুড়িই রান্না করতেন তারা। পরে ধীরে ধীরে এই খিচুড়িই হয়ে ওঠে অনেকের পছন্দের খাবার। তার সঙ্গে মেশানো শুরু হয় অন্যান্য জিনিস। তবে এর পিছনে অন্য একটি বৈজ্ঞানিক কারণ আছে বলেও মনে করেন অনেকে। খিচুড়ি একটি গুরুপাক খাবার। এই খাবার খেলে হজমের নানা সমস্যা হতে পারে। এর সঙ্গে ভাজাভুজি খেলে তো কথাই নেই! তাই এই খাবার গরমে খাওয়া সমস্যার হতে পারে। তাই বৃষ্টিতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় খিচুড়ি খাওয়ার চল হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। একই কারণে শীতেও এটি খাওয়া হয় বলে মনে করা হয়।

আপনি কি এসি ও ফ্যান একসঙ্গে চালাচ্ছেন?
তীব্র গরমে স্বস্তি পেতে অনেকেই এসি কিনেছেন। কিন্তু ভাবছেন ফ্যানটা বুঝি অকেজো হয়ে গেল। যারা ভাবছেন এসি ও সিলিং ফ্যান একসঙ্গে চালানো যায় না। তাদের জন্য রয়েছে খুশির খবর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসি ও ফ্যান একসঙ্গে চালালে বেশ কিছু উপকারিতা পেতে পারেন। এ দুই যন্ত্র একসঙ্গে ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ বিলের সাশ্রয়ও সম্ভব। জেনে নিন আরও কিছু উপকারিতা সম্পর্কে- ১. সিলিং ফ্যান ঘরের বাতাস ঠান্ডা করতে পারে না। তবে এসির ঠান্ডা বাতাস ঘরের কোণে কোণে পৌঁছে দিতে পারে। ফলে ঘর দ্রুত ঠান্ডা হয়। ২. এসির সঙ্গে সিলিং ফ্যান চালালে বিদ্যুৎ খরচও কমানো সম্ভব। কারণ কয়েক ডিগ্রি বাড়িয়েও এসি ব্যবহার করা যায় তখন। এসি ২৬ ডিগ্রিতে দিয়ে সিলিং ফ্যান চালিয়ে দিলে ২২ ডিগ্রির মতো ঠান্ডা অনুভূত হয়। এতে ১২ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হয়। ৩. অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ এসি চললে বা কম তাপমাত্রায় এসি চালু রাখলে ঘর অতিরিক্ত ঠান্ডা হয়ে যায়। রাত হলে সেটা বোঝাও যায় না সঙ্গে সঙ্গে। এক্ষেত্রে ঘরের তাপমাত্রা সহনশীল রাখতে ফ্যান ও এসি দুটোই হালকা করে চালিয়ে রাখুন। ৪. কিছুক্ষণ ফ্যান এবং এসি একসঙ্গে চালিয়ে ঘর ঠান্ডা হলে এসি বন্ধ করে দিন। অনেকক্ষণ ঠান্ডা থাকবে ঘর।

চোখের পাতা লাফানোর কারণ কি ও করনীয় কী?
নারী-পুরুষ উভয়েরই অমূল্য সম্পদ তাদের দুটি চোখ। এই চোখ দিয়েই আমরা দেখি রঙিন এই দুনিয়ার নানা দৃশ্য। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন এই মূল্যবান চোখ হঠাৎই অজানা কারণে কেঁপে ওঠে। হঠাৎ চোখ কেঁপে ওঠা বা লাফিয়ে ওঠাকে খারাপ কোনো অঘটনের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন অনেকেই। তবে এর যৌক্তিকতা কতটুকু তা কি জানেন? চিকিৎসাশাস্ত্রে, এই সমস্যাটির নাম ‘মাইয়োকিমিয়া’। দিনে দুবার এই সমস্যাটির সম্মুখীন হলে তা স্বাভাবিক মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মাত্রাতিরিক্ত বা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ালে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। চোখের পাতা লাফানোর কারণচিকিৎসকরা বলছেন, ৬টি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে চোখের পাতা কেঁপে বা লাফিয়ে উঠতে পারে। মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা, ক্লান্তিবোধ, অতিরিক্ত ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল সেবনে চোখ কাঁপা সমস্যায় ভুগতে পারেন আপনি। বাতাসের ধুলাবালু, ময়লা, রাসায়নিক পদার্থ প্রভৃতির সংস্পর্শে আসার কারণে চোখ লাফাতে পারে। চোখে ভাইরাস সংক্রমণ হলেও কারও কারও চোখ লাফায়। আপনি চাইলেই এর সমাধান করে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।চোখের পাতা লাফালে করণীয়১.চোখের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়লে কমানোর ব্যবস্থা করুন। মুঠোফোন, টেলিভিশন এবং অন্যান্য ডিজিটাল পর্দায় সময় কম ব্যয় করুন। কম আলোতে চোখের কাজ করবেন না। মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন। চা-কফির পরিমাণও কমিয়ে দিন। দূষিত বাতাসের কারণে সমস্যা হচ্ছে বলে মনে হলে রোদচশমা ব্যবহার করতে পারেন। ২. গুরুতর দৃষ্টিগত সমস্যা, পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা এবং অ্যালার্জির সমস্যা। এর যে কোনো একটি কারণে চোখ কাঁপা সমস্যায় ভুগলে একজন দক্ষ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।৩. কেননা, দৃষ্টিগত সমস্যায় মানুষের চোখের জ্যোতি কমে আসতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে যদি রোগী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে শুরু না করে তবে রোগীর চোখের জ্যোতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।৪. চোখের পাতা লাফালে প্রাথমিকভাবে বাড়িয়ে দিন খাবার পানির পরিমাণ। নিশ্চিত করুন ৮ ঘণ্টার গভীর ঘুমের। ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিনের ঘাটতি ও চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খেতে পারেন ডাব, দুধ, ডিম, বাদাম ও মৌসুমি ফলমূল।তা ছাড়া আপনার জেনে রাখা ভালো, পুষ্টির ভারসাম্যের অভাবে চোখ কাঁপা শুরু করলে চিকিৎসকরা ধরে নেন শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি রয়েছে। যে কারণে সঠিক ডায়েট প্ল্যান আর ওষুধ এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই এমন সমস্যার সম্মুখীন হলে দেরি না করে প্রাথমিকভাবে ডায়েট লিস্টে চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এমন খাবার গ্রহণ শুরু করুন। এতে কাজ না হলে চিকিৎসকের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে বিপদমুক্ত থাকুন।
.jpg)
পঁচিশের নিচে বয়সীদের পছন্দের তালিকায় জেলি মেকআপ
আজকাল মেকআপ পণ্য ও মেকআপ লুক ভাইরাল হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেখানেই এখন সবচেয়ে বেশি জয়জয়কার জেলি মেকআপের। জেলির মতো দেখতে মেকআপ পণ্য এখন এএসএমআর ভিডিও’র মূল বিষয়। কিন্তু মেকআপ করার ক্ষেত্রে এগুলো কেমন? ফাউন্ডেশন থেকে ব্লাশ— বিভিন্ন মেকআপ পণ্য পাওয়া যাচ্ছে জেলির আকারে। মিনিমালিজমের যুগে আর একটি নতুন ট্রেন্ড জেলি মেকআপ। এই ধরনের মেকআপ পণ্যগুলো দেখতে খুব আকর্ষণীয় হয়। তা ছাড়া একটা পণ্য দিয়েই মুখের অর্ধেক মেকআপ করা যায়। বাজারে এখন সবচেয়ে বেশি ট্রেন্ডিং লিপ ও চিক জেলি মেকআপ। জেলির মতো এই মেকআপ পণ্য ঠোঁট ও গাল একসঙ্গে রাঙিয়ে দিতে পারে। এগুলো হাইব্রিড টেক্সচারের হয়। অর্থাৎ, ত্বকে যেমন আর্দ্রতা ধরে রাখবে, তেমনই একটা সতেজ লুক এনে দেবে। একগাদা পণ্য ব্যবহার করার পরও ত্বকের উপর চাপ অনুভব করবেন না। ফাউন্ডেশনও মিশছে জেলির আকারে। জেলি হাইলাইটারও পছন্দ করছেন মানুষ। মেকআপ এক্সপার্টদের মতে, এই জেলি মেকআপ স্ট্রেস বলও। এগুলো দিয়ে মেকআপ করলে নাকি দেহে সেরোটোনিন নির্গত হয় এবং মন ভালো হয়ে যায়। আসলে জেলি মেকআপ যে ফ্রেশ লুক এনে দেয়, তাই এর চাহিদা এত বেশি। শুধু তা-ই নয়, জেলি মেকআপ ব্যবহার করতে কোনও ব্রাশের দরকার পড়ে না। আঙুলের ডগা দিয়েই মেকআপ সেরে ফেলা যায়। জেলি মেকআপকে আপন করে নিয়েছে জেন জি-রা। জেলি মেকআপকে ইনস্টাগ্রামাবল মেকআপও বলা হচ্ছে। কারণ, এই মেকআপ ট্রেন্ড জনপ্রিয় হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের হাত ধরেই। কিছুটা কোরিয়ান বিউটির হাত ধরেছে এখানে। ২০২৫-এ এসে একাধিক নামীদামি ব্র্যান্ড নিজেদের জেলি মেকআপ এনেছেন। বাউন্সি গাল, গ্লসি ঠোঁট, চোখের পাতায় সতেজ ভাব— এগুলোই এখন জেন জি-দের স্টাইলের অংশ।