
ফেসবুকের ‘ভিডিও’ থেকে আর আয় করা যাবে না
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। ইন্টারনেটের এই যুগে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে সামাজিকমাধ্যম। সব বয়সি ব্যবহারকারী আছে ফেসবুকের। ফেসবুক শুধু বিনোদনের বা সময় কাটানোর প্ল্যাটফর্ম নয়। অনেকেই এখান থেকে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। কেউ পণ্য বিক্রি করছেন, কেউবা কনটেন্ট তৈরি করে আয় করছেন। তবে ফেসবুকের নতুন নিয়মে ভিডিও থেকে আর আয় করা যাবে না। এবার ফেসবুক ব্যবহার করার ধরনে বদল আসতে চলেছে। সম্প্রতি মেটা ঘোষণা করেছে, যেভাবে ব্যবহারকারীরা ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করেন কিংবা দেখেন, তাতে আসতে চলেছে বড়সড় পরিবর্তন। নতুন যে ফিচার আসতে চলেছে তাতে ফেসবুকে আপলোড করা প্রত্যেকটা ভিডিও-সে ছোটই হোক অথবা দীর্ঘই হোক, সেই সব ভিডিওই নিজে থেকে রিল হিসেবেই পোস্ট হবে। অর্থাৎ এবার থেকে আর ব্যবহারকারীকে ‘ভিডিও‘কিংবা ‘রিল‘-এর মধ্যে কিছু বেছে নিতে হবে না। কারণ এবার থেকে দুটোই একই হতে চলেছে। অর্থাৎ আয় হবে শুধু রিলস থেকেই। এতদিন ফেসবুকে ভিডিও এবং রিলের জন্য আলাদা আলাদা টুল ছিল। এখন একটি সিঙ্গেল সিম্পল ইন্টারফেসে সব কিছুকে নিয়ে আসতে চলেছে মেটা। এর সাহায্যে ব্যবহারকারীরা সহজেই ভিডিও ক্রিয়েট, এডিট এবং শেয়ার করতে সক্ষম হবেন। এই নতুন আপডেটের সঙ্গে সঙ্গে একাধিক ক্রিয়েটিভ টুলও পাওয়া যাবে। যা ভিডিওকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সাহায্য করবে। ভিডিওর কোনো ধরা বাধা সময়ও থাকবে না। যত বড় ইচ্ছা তত বড় ভিডিও আপলোড করতে পারবেন রিলসে। এক সময় রিলসের ক্ষেত্রে টাইম লিমিট ছিল ৬০ সেকেন্ড অথবা ৯০ সেকেন্ড। কিন্তু এখন এমন কোনো কিছুই আর থাকবে না। ব্যবহারকারী চাইলে ৩০ সেকেন্ডের শর্ট ক্লিপ অথবা একটি ১০ মিনিটের টিউটোরিয়াল ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। তবে সেই সবকিছুই রিলস হিসেবে আপলোড হবে।

তুফান গতির ইন্টারনেট চালু করে স্টারলিংককে ছাড়িয়ে গেল চীন
স্টারলিংকের গতিকে ছাড়িয়ে গিয়েছে চীন। দেশটির স্যাটেলাইট ইন্টারনেট স্টারলিংকের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি গতি অর্জন করেছে। বুধবার (১৮ জুন) বিজনেস বাইট পাকিস্তানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন স্যাটেলাইট ইন্টারনেট প্রযুক্তিতে একটি যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছে। দেশটির স্যাটেলাইট ইলন মাস্কের স্টারলিংকের তুলনায় পাঁচ গুণ দ্রুতগতির ইন্টারনেট সরবরাহ করছে। পৃথিবী থেকে ৩৬ হাজার কিলোমিটার উপরে অবস্থিত একটি স্যাটেলাইট থেকে মাত্র ২ ওয়াটের লেজার ট্রান্সমিশন ব্যবহার করে ১ গিগাবিট প্রতি সেকেন্ড (জিবিপিএস) গতি অর্জন করা হয়েছে, যা স্টারলিঙ্কের নিম্ন কক্ষপথের স্যাটেলাইট ফ্লিটের তুলনায় অনেক উন্নত। বিজনেস বাইট পাকিস্তান জানিয়েছে, লেজার সিগন্যাল সাধারণত বায়ুমণ্ডলীয় টার্বুলেন্সের কারণে বিকৃত হয়। ফলে এটি দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ডেটা স্থানান্তরে বাধা সৃষ্টি করে। এই সমস্যা সমাধানে চীনা বিজ্ঞানীরা প্রফেসর উ জিয়ান এবং ড. লিউ চাওর নেতৃত্বে একটি অভিনব এও-এমডিআর (অ্যাডাপটিভ অপটিক্স মোড ডিভিশন রিসিভার) প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। এই প্রযুক্তি ৩৫৭টি মাইক্রো-মিরর ব্যবহার করে বিকৃত লেজার রশ্মিকে পুনরায় গঠন করে এবং একটি মাল্টি-প্লেন লাইট কনভার্টার ও রিয়েল-টাইম পাথ-পিকিং অ্যালগরিদমের মাধ্যমে সিগন্যালের নির্ভুলতা বৃদ্ধি করে। নতুন এই প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সংযোগে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। স্টারলিংকের তুলনায় উচ্চ কক্ষপথে অবস্থান এবং অত্যাধুনিক লেজার প্রযুক্তির ব্যবহার চীনকে স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে নিয়ে গেছে।

ওয়ালটনের নতুন ডিউরেবিলিটি চ্যাম্পিয়ন স্মার্টফোন ‘জেনএক্স২’
নতুন মডেলের স্মার্টফোন ‘জেনএক্স২’ বাজারে ছেড়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানি ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনে তৈরি স্মার্টফোনটিতে রয়েছে বিশালাকার ৬.৮ ইঞ্চি সিনেমাটিক ডিসপ্লে। ডিউরেবিলিটি চ্যাম্পিয়ন এই ফোনে রয়েছে ১২০ হার্জের রিফ্রেশ রেট। স্মার্টফোনটিতে আইপি৫২ প্রটেকশন থাকায় ধুলাবালি ও বৃষ্টি বা পানির ছিটেফোঁটায় এই ফোনের কোন ক্ষতি হবে না । এই ফোনটির বডি ফ্রেম এন্টি ড্রপ ডায়ামন্ড স্ট্রাকচার ও উন্নতমানের হার্ডওয়্যার দিয়ে তৈরি হওয়ায় ডিভাইসটিকে করেছে শক্তিশালী, টেকসই ও মজবুত। যার ফলে দীর্ঘদিন ব্যবহারে ব্যবহারকারীরা পাবেন সর্বোচ্চ সুরক্ষা এবং নিশ্চয়তা। দুর্ঘটনাবশত এই ফোন সাধারণ উচ্চতা থেকে পড়ে গেলেও কোনো ক্ষতি হবে না। জানা গেছে, ৫২ মেগাপিক্সেল ইউএইচডি ডুয়াল প্রাইমারি ক্যামেরার ফোনটিতে রয়েছে ১২ ন্যানোমিটারের ১.৮ গিগা হার্জ অক্টাকোর প্রসেসর। সাশ্রয়ী দামে পার্ল ব্লু ও পার্ল ব্ল্যাক এই দুই কালারে ফোনটি বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ওয়ালটন মোবাইলের মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের ইনচার্জ হাবিবুর রহমান তুহিন জানান, দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুমে নতুন মডেলের এই স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি ঘরে বসেই ওয়ালটনের অনলাইন সেলস প্লাটফর্ম (https://waltonplaza.com.bd/) এবং (https://waltondigitech.com) থেকেও ফোনটি কেনা যাবে। ভ্যাটসহ ফোনটির দাম ১০ হাজার ৯৯৯ টাকা । অ্যান্ড্রয়েড ১৪ অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত এই ফোনে ৮ জিবি র্যাপিড মেমোরি ব্যবহৃত হয়েছে। ব্যবহারকারীরা ২৫৬ জিবি পর্যন্ত ইন্টার্নাল স্টোরেজ সুবিধা পাবেন। গ্রাফিক্স হিসেবে আছে মালি-জি৫৭ এমপি১। ফোনটিতে আকর্ষণীয় সেলফির জন্য সামনে রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা। ডুয়াল ভিউ ভিডিও এবং সাইড মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানারের মতো সুবিধাসমৃদ্ধ ডিভাইসটিতে পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য রয়েছে পাঁচ হাজার এমএএইচ হাই-ক্যাপাসিটি লি-পলিমার ব্যাটারি। এছাড়াও অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে নাইট লাইট, অ্যাপ লক, থ্রি ফিঙ্গার স্ক্রিনশট, এন্টি পিপিং, স্মার্ট মোশন, স্মার্ট কন্ট্রোল, সাইড অ্যাপ্লিকেশন বার ও ডায়নামিক ক্যাপসুল। ওয়ালটন ডিজি-টেকের নিজস্ব কারখানায় তৈরি এই স্মার্টফোনে ৩০ দিনের বিশেষ রিপ্লেসমেন্ট সুবিধাসহ এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক।

দেশে স্টারলিংকের পার্টনার কারা, গ্রাহক হবেন কীভাবে
স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা ‘স্টারলিংক’ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। তিন মাস পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাবে ইলন মাস্কের কোম্পানিটি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য আপাতত দুটি প্যাকেজ চালু করেছে। ইন্টারনেট সংযোগ পেতে ওয়েবসাইট থেকে লজিস্টিক সহযোগিতা ও পছন্দের প্যাকেজ কিনতে হবে। এই লজিস্টিক সহযোগিতা দেবে ছয় থেকে সাতটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি গ্রাউন্ড স্টেশন ঘিরে নেটওয়ার্ক তৈরিতেও দেশীয় উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে ফাইবার অপটিক সেবা নিচ্ছে স্টারলিংক। সংযোগ নিতে অর্ডার যেভাবে বাংলাদেশের গ্রাহকরা সরাসরি স্টারলিংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অর্ডার করতে হবে। নিজের ঠিকানায় পছন্দের কিট এককালীন ৪৭ হাজার টাকায় অর্ডার করতে হবে। এর সঙ্গে ২ হাজার ৮০০ টাকা যুক্ত হবে শিপিং ও হ্যান্ডেলিং চার্জ হিসেবে। একটা সাধারণ কিটে ডিশ, ওয়াইফাই রাউটার, মাউন্টিং ট্রাইপড ও ক্যাবল থাকে। এরপর সংযোগ খরচ। তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে এই কিট গ্রাহকের কাছে পৌঁছাবে। নতুন দুই প্যাকেজ সম্পর্কে স্টারলিংক জানিয়েছে, রেসিডেনশিয়াল প্যাকেজ কিনতে খরচ হবে ৬ হাজার টাকা। আর রেসিডেনশিয়াল লাইটের জন্য মাসে খরচ হবে চার হাজার ২০০ টাকা। এ ছাড়া ঘুরতে গেলে অথবা চলন্ত অবস্থায় স্টারলিংক সংযোগ পেতে রোম নামের প্যাকেজে কিনতে হবে। যার জন্য প্রতি মাসে দিতে হবে নূন্যতম খরচ ৬ হাজার টাকা। রোমের ছয় হাজার টাকার প্যাকেজে ৫০ জিবি পর্যন্ত ডেটা পাওয়া যাবে। আর আন-লিমিটেড ডেটার জন্য নিতে হবে ১২ হাজার টাকার রোম আন-লিমিটেড প্যাকেজ। ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে, গ্রাহক স্টারলিংক সংযোগ ৩০ দিন ব্যবহার করার পর সেবা ‘সন্তোষজনক’ মনে না করলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত পাবে। ব্যবসায়িক অংশীদার কারা গ্রাউন্ড স্টেশন থকে আশেপাশের টাওয়ার পর্যন্ত নেটওয়ার্ক তৈরিতে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সহযোগিতা নেওয়া হবে এনটিটিএন কোম্পানি ফাইবার এটহোম থেকে। দেশের অভ্যন্তরে গ্রাহকদের ভবনে স্টারলিংক কিট স্থাপনসহ অন্যান্য লজিস্টিক সহযোগিতার জন্য ৬-৭টি কোম্পানির সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে। এরমধ্যে দেশের তিন বেসরকারি মোবাইল অপারেটর– গ্রামীণ, রবি ও বাংলালিংক রয়েছে বলে জানা গেছে। স্টারলিংককে স্থানীয় গেটওয়ে ব্যবহার বাংলাদেশে সেবা দিতে হবে। এজন্য একাধিক আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ের (আইআইজি) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। ভাগাভাগি করে ব্যবহার একটা ‘ডিভাইস’ থেকে ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ মিটার পর্যন্ত ইন্টারনেট পাওয়া যাবে। এই সীমার মধ্যে একাধিক ব্যক্তি মিলে একটা কিট কিনে তা ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে পারবে। প্রসঙ্গত স্টারলিংক বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে ২০২১ সাল থেকে। সে বছর ও ২০২২ সালে তারা বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে যোগাযোগ করে। তবে সে সময় সরকার থেকে কোনো সাড়া পায়নি। এরপর ২০২৩ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশে স্টারলিংকের প্রতিনিধিরা আসেন এবং তৎকালীন মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তখন স্টারলিংকের প্রযুক্তি এনে পরীক্ষাও করা হয়। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার স্টারলিংকের বাংলাদেশে প্রবেশ নিয়ে আলোচনা শুরু করে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে দ্রুততম সময়ে লাইসেন্স দিয়ে স্টারলিংককে দেশে ব্যবসার সুযোগ করে দেয়, যা নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। গত ২৯ মার্চ স্টারলিংককে বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ নিবন্ধন দেয়। বিটিআরসি ১০ বছরের জন্য লাইসেন্স দেয় ২৯ এপ্রিল।

বাজারে আসলো সোডিয়াম-আয়ন ব্যাটারি, ৬ মিনিটেই হবে ৮০ শতাংশ চার্জ
বিশ্বজুড়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইসে লিথিয়াম ব্যাটারি খুবই জনপ্রিয়। এর মূল সুবিধা, এটি বারবার রিচার্জ করা যায়। মোবাইল ফোন, ইলেকট্রিক গাড়ি সহ, ল্যাপটপসহ অনেক ডিভাইসে এই ব্যয়বহুল প্রযুক্তির ব্যবহার রয়েছে। সম্প্রতি, ভারতের বিজ্ঞানীরা এই দামি পণ্যটির একটি বিকল্প উদ্ভাবন করেছেন। ভারতের বেঙ্গালুরুতে এক দল বিজ্ঞানী একটি সোডিয়াম-আয়ন ব্যাটারি (এসআইবি) যা খুবই দ্রুত রিচার্জ করা যায়। ন্যাসিকন টাইপের ক্যাথোড ও অ্যানোড উপাদানের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত এই ব্যাটারি ৬ মিনিটে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ করতে পারে। এ ধরনের একটি ব্যাটারি ব্যবহার করে তিন হাজার বার ডিভাইস চার্জ দেওয়া সম্ভব। প্রচলিত সোডিয়াম-আয়ন ব্যাটারিগুলো ধীর গতির চার্জ ও স্বল্প আয়ুর জন্য খুব বেশি জনপ্রিয়তা পায়নি। এ কারণে অপেক্ষাকৃত খরুচে হয়েও লিথিয়াম আয়নের ব্যাটারির জনপ্রিয়তা বেশি। তবে ভারতের নতুন এই ব্যাটারি এ দিক দিয়ে অনেকটাই উন্নত। রসায়ন এবং ন্যানো প্রযুক্তির সমন্বয়ে এই ব্যাটারি তৈরীতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান জওহরলাল নেহরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্টিফিক রিসার্চের (জেএনসিএএসআর) বিজ্ঞানীরা । বিজ্ঞানীদের দলটির নেতৃত্বে ছিলেন বিজ্ঞানী ও জেএনসিএসআরের সহযোগী অধ্যাপক প্রেমকুমার সেনগুট্টুভান ও পিএইচডি গবেষক বিপ্লব পাত্র। ব্যাটারির উপকরণ হিসেবে তারা একটি ন্যাসিকন জটিল যৌগ তৈরি করেন এবং একে তিনটি উপায়ে উন্নত করেছেন। এগুলো হল: কণাগুলোকে ন্যানোস্কেলে সংকুচিত করা, পাতলা কার্বনের আবরণে মোড়ানো ও অল্প পরিমাণে অ্যালুমিনিয়াম উপাদান যোগ করে অ্যানোড উপাদানের গুণগত মান বাড়ানো। এই পরিবর্তনের ফলে সোডিয়ামের আয়নগুলো দ্রুত ও আরও সুরক্ষিত অবস্থায় চলাফেরা করতে সক্ষম হয়। ফলশ্রুতিতে, ব্যাটারি চার্জের গতি ও এর স্থায়িত্ব নিশ্চিত হয়েছে। ভারতে লিথিয়াম দুর্লভ উপকরণ। মূলত আমদানি করেই এর চাহিদা মেটানো হয়। তুলনামূলকভাবে, সোডিয়াম অনেকটাই সস্তা ও সহজলভ্য। যার ফলে লিথিয়ামের পরিবর্তে সোডিয়াম ভিত্তিক ব্যাটারি তৈরী হলে তা ভারতকে ব্যাটারি প্রযুক্তিতে স্বনির্ভর করে তুলবে । খরচ কমানোর পাশাপাশি এই ব্যাটারি ইলেকট্রিক গাড়ি, সৌরবিদ্যুতে পরিচালিত গ্রিড, ড্রোন ও পল্লী অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের সহজলভ্য উৎসে পরিণত হতে পারে। প্রযুক্তিটি উচ্চ পর্যায়ের মানদণ্ড, যেমন ইলেকট্রোকেমিক্যাল সাইক্লিং ও কোয়ান্টাম সিমুলেশনের মাধ্যমে যাচাই বাছাই করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এটি প্রাথমিক ছাড়পত্রও পেয়েছে। তবে ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখনো বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য এই ব্যাটারি বাজারে আনার সময় হয়নি।

স্টারলিংকের সংযোগ কীভাবে পাবেন, কোথায় ব্যবহার করতে পারবেন
দেশে পরীক্ষামূলকভাবে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করেছে স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক। নন-জিওস্টেশনারি অরবিট নীতিমালার আওতায় এই সেবা আজ থেকে দেশে চালু হয়েছে। ব্যবহারকারীদের জন্য দুটি প্যাকেজের কথা জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এর মধ্যে একটি স্টারলিংক রেসিডেন্স এবং অপরটি রেসিডেন্স লাইট। রেসিডেন্স প্যাকেজে মাসিক খরচ ৬ হাজার টাকা, রেসিডেন্স লাইটে খরচ মাসিক ৪ হাজার ২০০। তবে ইন্টারনেট সেটআপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪৭ হাজার টাকা এককালীন খরচ করতে হবে। এখানে ডেটা লিমিট নেই। একটি সংযোগে প্রতি সেকেন্ডে ৩০০ মেগাবিট পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে ডিভাইস স্থানান্তর করা যাবে না। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বলছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এখনও ফাইবার সংযোগ পৌঁছায়নি। মাত্র ৩০ শতাংশ মোবাইল টাওয়ারে ফাইবার আছে। এই অবস্থায় মোবাইল কোম্পানিগুলোর যে সেবা, সেটা মাইক্রোওয়েভের মাধ্যমে হয়, যা মূলত লো ক্যাপাসিটি। বাংলাদেশে এখনও হাজার হাজার মোবাইল টাওয়ার আছে, যারা শুধু ৩০০ এমবিপিএস-এর একটা ব্যান্ডউইথ দিয়ে একটি মোবাইল টাওয়ার সচল রাখে ডেটা ইন্টারনেটের জন্য এবং সেই ডেটা ইন্টারনেটটা প্রায় কয়েক হাজার গ্রাহকের কাছে বিক্রি করা হয়। স্টারলিংকের ক্ষেত্রে মাত্র একটি সেটআপ বক্স দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে। অর্থাৎ, গ্রামের একজন উদ্যোক্তা স্টারলিংকের একটি সেটআপ বক্স, যেটার দাম ৪৭ হাজার টাকা, এটা কিনে নিজে নিরবচ্ছিন্ন এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। গ্রাহকরা লো লেটেন্সি এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে লক্ষণীয় যে, সংসদ ভবনে কিংবা উপদেষ্টার বাসভবন বা তার অফিসে যে গতিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়, ঠিক একই গতিতে দেশের প্রত্যন্ত ও দূরবর্তী অঞ্চল যেমন পার্বত্য অঞ্চল, হাওরাঞ্চল কিংবা বনাঞ্চলেও যেকোনো গ্রাহক উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। উদ্যোক্তারা ইন্টারনেট সেবা প্রদানে কীভাবে স্টারলিংক ব্যবহার করতে পারবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, আমরা এনজিএসও-এর বিধিবিধান এমনভাবে করেছি, যাতে স্টারলিংক বা সমজাতীয় ইন্টারনেট সুবিধা উদ্যোক্তাবান্ধব হয়। অর্থাৎ, একজন উদ্যোক্তা কিংবা একাধিক উদ্যোক্তা নিজেরা যদি ৪৭ হাজার টাকার একটি তহবিল গঠন করেন, এই তহবিলের মাধ্যমে তারা ইন্টারনেট সেটআপ বক্স কিনবেন। কেনার মাধ্যমে তারা তাদের আশপাশের দোকানে এই ইন্টারনেটের বিক্রি বা সেবা প্রদান করতে পারবেন। ওয়াই-ফাই রেঞ্জ আনুমানিক ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ মিটার, এই ৫০ মিটার জোনের মধ্যে বাংলাদেশের গ্রামের গ্রোথ সেন্টারগুলোতে অনেক দোকানপাট থাকে। সেখানে সহজেই ইন্টারনেট সেবা একজন ব্যক্তি কিনে বা একাধিক ব্যক্তি সমিতি আকারে কিনে তা বহুবিধ ব্যবহারে সম্ভব। আইনে কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়নি। এছাড়া শহরের বাসভবনে ওয়াই-ফাই শেয়ারিং করে ইন্টারনেট ব্যবহার সম্ভব। স্টারলিংকে যেহেতু বিল্ট-ইন রাউটার আছে, সেহেতু রাউটার হতে রাউটারে আইএসপি সেটআপেও ব্যবহার সম্ভব। তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি আমরা চেষ্টা করবো আমাদের মাইক্রোক্রেডিট কর্তৃপক্ষ কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যাংকের জন্য, যাতে এই স্টারলিংক উদ্যোক্তাদের অর্থের সংস্থান হয়। পাশাপাশি যারা নাগরিক সেবার উদ্যোক্তা হবেন, তাদের জন্য স্টারলিংক কীভাবে সহজে নেওয়া যায়—এর জন্যও আমরা আর্থিক প্যাকেজ তৈরির পরিকল্পনা করছি। আমরা বলছি যে, স্টারলিংকের দাম কিছুটা বেশি। মাসিক খরচ ৬ হাজার এবং ৪ হাজার নির্ধারণ করা হয়েছে, এটা আমরা স্টারলিংকের সঙ্গে কিছুটা দরকষাকষি করে কমিয়েছি। কিন্তু যেহেতু এটি শেয়ার করা যাবে এবং শেয়ার করার ওপর কোনও বিধিনিষেধ নেই এবং বিক্রির ওপরও বিধিনিষেধ নেই, সেজন্য এই ইন্টারনেট দিয়ে একটি সফল ব্যবসায়িক মডেল, এসএমই বা ব্যবসা মডেল তৈরি করা সম্ভব। পাশাপাশি কেউ যদি এই স্টারলিংক ব্যবহার করে তা দিয়ে (মোবিলিটি এবং রোমিং সুবিধা ছাড়া) ইন্টারনেট ফিড করে অন্য জায়গায় ব্যবহার করেন, সেখানেও কোনও বাধা নেই। অর্থাৎ বাংলাদেশের এসএমই কিংবা উদ্যোক্তা বিকাশে সব ধরনের আইনগত সুবিধা রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, এর বাইরে আমরা সবাই প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘ফোন লেডি’ কনসেপ্টে বড় হয়েছি। স্টারলিংকের মাধ্যমে আমাদের মাইক্রোক্রেডিট কিংবা ইএমআই অথবা যেকোনও এমএফআই বা এমআরএ পদ্ধতিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে ‘ওয়াই-ফাই লেডি’ হিসেবে নতুন একটি উদ্যোক্তার ধারা সৃষ্টি করতে পারে। চাইলে শুধুমাত্র গ্রামীণ নারীদের একটি বিশেষ ঋণ দিয়ে স্টারলিংক কিনে ইন্টারনেট সেবা বিক্রি করার সুযোগ করে দেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ভবন ছাড়াও অনানুষ্ঠানিক কো-ওয়েবিং ব্যবসার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়া সম্ভব। আবাসিক গ্রাহকদের জন্য স্টারলিংকের দাম কতটা সহনীয়—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, একটি ভবনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে এমন অনেক অ্যাপার্টমেন্ট, কন্ডোমিনিয়াম, ফ্ল্যাট থাকে। তারা কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্ট বা তলা মিলে এই সেবা ব্যবহার করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে রেঞ্জ সর্বোচ্চ ২০ মিটার। সব মিলিয়ে উদ্যোক্তাদের জন্য এবং সাধারণ গ্রাহকদের জন্য এককালীন খরচটা কিছুটা বেশি হলেও, এটি যখন সমবায় ভিত্তিতে বা ভাগাভাগি করে ব্যবহৃত হবে, তখন এই ব্যয় তেমন বোঝা মনে হবে না।

ভারতে যেভাবে আলোচনার 'ঝড়' তৈরি করেছে ইলন মাস্কের 'গ্রক'
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-কে কাজে লাগিয়ে যেসব চ্যাটবট তৈরি করেছে বিভিন্ন টেক কোম্পানি, এগুলোর কাছে নানা প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেন ব্যবহারকারীরা। কোনো একটা প্রশ্ন করার পর ইন্টারনেটে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত ঘেঁটে একটা উত্তর দেয় এসব অ্যাপ। তবে উত্তর দেওয়ার সময় যদি ঠাট্টা করারও চেষ্টা থাকে ওই চ্যাটবটের ? বন্ধুরা যেমন মজার ছলে অনেক সময় কথার উত্তর দেয় সেরকম চেষ্টা করে ভারতে আলোচনার 'ঝড়' তৈরি করেছে ইলন মাস্কের সংস্থা এক্সএআই এর তৈরি করা চ্যাটবট 'গ্রক'। এক্স (সাবেক টুইটারে) প্ল্যাটফর্মে বিল্ট-ইন সুবিধায় যুক্ত করা হয়েছে এই চ্যাটবট, অর্থাৎ এটি এক্স থেকে সরাসরি ব্যবহার করা যায়। 'গ্রক' ডেভেলপকারী সংস্থা এক্সএআই এর দাবি, গ্রকের তীব্র 'রসবোধ' রয়েছে। আর 'গ্রক-৩' হলো এই চ্যাটবটের সাম্প্রতিকতম উপডেট। একটি প্রশ্নের সূত্র ধরে ভারতের ডিজিটাল পরিসরে হঠাৎই 'গ্রক' নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। সেই প্রশ্নটা জানতে চাওয়া হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর 'টোকা' নামে এক অ্যাকাউন্ট থেকে। প্রশ্নটা জটিল কোনো বিষয়ে ছিল না। 'টোকা' অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারী 'গ্রক'কে বলেছিলেন- "এক্স-এ আমার ১০জন বেস্ট মিউচুয়ালের একটা তালিকা বানিয়ে দাও"। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিউচুয়াল বলতে বোঝায়, যে অ্যাকাউন্টগুলো একে অন্যকে 'ফলো' করে এবং একে অন্যের পোস্টে 'কমেন্ট', 'লাইক', 'শেয়ার' ইত্যাদি করে। প্রশ্নের জবাব দিতে দেরি হওয়ায় 'টোকা' অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারী ততক্ষণে ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। তার মুখ থেকে দু-একটা বেফাঁস কথা বেরিয়ে যায়। 'গ্রক' এর পাল্টা জবাবও দেয়। উত্তর দেওয়ার সময় এক্স অ্যাকাউন্টে দশজন মিউচুয়ালের তালিকা দেওয়ার পাশাপাশি হিন্দিতে বেশ কয়েকটা নারীবিদ্বেষী বা অপমানসূচক শব্দও জুড়ে দেয় 'গ্রক'। পরে অবশ্য বিষয়টাকে লঘু করতে 'গ্রক' লেখে- "আমি মজা করছিলাম, তবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলাম।" এআই চ্যাটবটের ওই প্রতিক্রিয়া অন্যদের নজর এড়িয়ে যায়নি। দুই মিলিয়ন ভিউ পেয়েছে তার সেই প্রতিক্রিয়া। এক্স হ্যান্ডেলের অন্যান্য ব্যবহারকারীরাও একই পথ অনুসরণ করেন। 'গ্রক'কে উসকে দেওয়ার জন্য নানান রকম প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে থাকেন তারা। আর তাতেই আগল খুলে যায়। ক্রিকেটের গসিপ, রাজনৈতিক রটনা, বলিউড ড্রামা – সব কিছু নিয়েই এক্স হ্যান্ডেলের ব্যবহারকারী ভারতীয়রা তাকে প্রশ্ন করতে থাকেন। 'গ্রক'ও সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকে- অকপটে, নিজের শৈলীতে। সম্প্রতি ভারতে 'ডিজিটাল সেনসেশন' (চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী) হয়ে উঠেছে এই চ্যাটবট। অনেকেই একে বর্ণনা করেছেন 'ফিল্টারহীন' এবং অনেকটা 'উন্মত্ত' চ্যাটবট হিসেবে। গত বছরই ইলন মাস্ক গ্রককে 'বিশ্বের সবচেয়ে মজাদার' এআই বলে সম্বোধন করেছিলেন। এদিকে, গ্রকের সঙ্গে রসিকতায় মেতে থাকাদের তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হতে থাকে। আইন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও এই রসিকতায় যোগ দেয়। দিল্লি পুলিশের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে 'গ্রক'কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল- সে কি কখনও ট্র্যাফিক টিকিট (ট্রাফিক আইন ভাঙার জন্য চালান) পায়নি? এর উত্তরে প্রথমে গ্রক চুপ করে ছিল। কিন্তু ব্যবহারকারীরা ক্রমাগত চাপ দিতে থাকেন। সেই সময় এর উত্তরে 'গ্রক' জবাব দেয়, "হা হা, দিল্লি পুলিশ জিজ্ঞাসা করছে কেন আমি কখনও চালান পাই না- আমি একটা ডিজিটাল এআই, দিল্লির ড্রাইভার নই!" "আমি লাল আলো ভেঙে এগিয়ে যাই না বা আমার হেলমেটটা ভুলে যাই না। তবে যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ১৯টা ক্যামেরার সাহায্যে প্রকৃত আইন লঙ্ঘনকারীদের ধরে, তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা। রাস্তা নিরাপদ রাখুন!" দুই বছর আগে (তখনও এই চ্যাটবট লঞ্চ হয়নি) মি. মাস্ক এমন একটা চ্যাটবট আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যা 'তীক্ষ্ণ' এবং 'অপরিশোধিত'। একইসঙ্গে জানিয়েছিলেন, 'ওপেনএআই', 'মাইক্রোসফট' এবং 'গুগল'-এর মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের তৈরি চ্যাটবট থেকে এই চ্যাটবট থেকে একেবারে আলাদা হবে। 'গ্রক'-এর এই 'শৈলী'র বেশিরভাগটাই 'দ্য হিচহাইকারস গাইড টু দ্য গ্যালাক্সি' থেকে নেওয়া। 'দ্য হিচহাইকারস গাইড টু দ্য গ্যালাক্সি' কিন্তু 'সাই-ফাই অ্যাবসারডিটি' (কল্পবিজ্ঞান ও অযৌক্তিকতার মিশেল) এবং হাস্যরসের মিশেল হিসেবে বিখ্যাত ছিল। মূলত রেডিও শো হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়েছিল, তুমুল জনপ্রিয়তার কারণে ক্রমে বই, টেলিভিশন শো এমনকি চলচ্চিত্রও তৈরি হয় এন ওপর। 'গ্রক' সম্পর্কে ভারতের বিশেষজ্ঞদের কাছে জানতে চেয়েছিল বিবিসি। ভারতের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাক্ট-চেকার অল্ট নিউজের প্রতিষ্ঠাতা প্রতীক সিনহা বলেছেন, "গ্রক বেশ কিছু সময় ধরে রয়েছে। কিন্তু ভারতে এখন হঠাৎ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এর কারণ, এটা এখন একটা নতুন খেলনায় পরিণত হয়েছে।" 'গ্রক'-এর 'আনফিল্টারড' উত্তরকে ঘিরে আলোচনার মাঝেই আরও একটা ঘটনা ঘটে। এই চ্যাটবট নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সমালোচকদের কাছে দ্রুত প্রিয় হয়ে ওঠে। শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক প্রশ্নের 'সুনামি'। এমনই এক প্রশ্নের উত্তরে 'গ্রক' প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীকে 'নরেন্দ্র মোদীর চাইতে বেশি সৎ' বলে ঘোষণা করে বসে। তার সঙ্গে জুড়ে দেয়- 'আমি কাউকে ভয় পাই না।' একটা প্রশ্নের জবাবে 'গ্রক' লেখে 'প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার দিক থেকে রাহুল গান্ধী মোদীর চেয়ে এগিয়ে।' এমনকি নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎকার নিয়েও মন্তব্য করেছে। 'গ্রক' দাবি করেছে ওই সাক্ষাৎকার "প্রায়শই স্ক্রিপ্টেড মনে হয়।" এক্স মাধ্যমের একজন ব্যবহারকারী তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল 'গ্রক'-এর কারণে বিজেপি "সমস্যায় পড়েছে" কি না। উত্তরে ওই চ্যাটবট জানায়- "এটা একটা বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে - কেউ পক্ষপাতিত্বের জন্য আমাকে তিরস্কার করছে, অন্যরা আবার উল্লসিত।" এই প্রসঙ্গে, বিবিসির পক্ষ থেকে বিজেপির অমিত মালব্যর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি কোনোরকম মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রাম্পের কণ্ঠে শেখ হাসিনা সম্পর্কে মন্তব্য মিথ্যা: রিউমার স্ক্যানার
এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কণ্ঠ নকল করে শেখ হাসিনা সম্পর্কে তৈরি একটি ভিডিওকে ট্রাম্পের মন্তব্য দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে, যা মিথ্যা বলে শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার। বাংলাদেশে চলমান গুজব এবং ভুয়া খবর, অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় দায়িত্বে নিয়োজিত রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে। এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমার স্ক্যানার। ফ্যাক্টচেক টিম জানায়, সম্প্রতি ‘শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী: ডোনাল্ড ট্রাম্প’ শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটির মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প শেখ হাসিনাকে নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য করেছেন।’ রিউমার স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’ শীর্ষক কোনো মন্তব্য করেননি। বরং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে তার কণ্ঠ নকল করে তৈরি একটি ভিডিওর মাধ্যমে এই দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে রিউমার স্ক্যানার ভিডিওটি পর্যালোচনা করে। এতে দেখা যায়, ট্রাম্পের ঠোঁটের নড়াচড়া ও বক্তব্যের মধ্যে অসংগতি রয়েছে। রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ট্রাম্পের একই স্থান ও একই পোশাকে একাধিক বক্তব্যের ভিডিও পাওয়া যায়। তবে প্রচারিত বক্তব্যটি কোথাও পাওয়া যায়নি। এমনকি, তার এ ধরনের বক্তব্য লিখিত আকারেও দেশীয় বা আন্তর্জাতিক কোনো গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। ভিডিওতে দাবি করা হয়, ট্রাম্প ১৫ মে বাংলাদেশ সফরে আসবেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বাংলাদেশ সফর করলে, তা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত হতো। তবে এই প্রতিবেদন লেখার সময় আজ পর্যন্ত ট্রাম্পের বাংলাদেশ সফর নিয়ে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে তথ্য পাওয়া যায়নি। ফ্যাক্টচেক অনুসন্ধান করে রিউমার স্ক্যানার শনাক্ত করে যে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কণ্ঠ নকল করে তৈরি একটি ভিডিওকে শেখ হাসিনা সম্পর্কে ট্রাম্পের মন্তব্য দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে, যা মিথ্যা। রিউমার স্ক্যানার জানায়, গত বছর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং ভারত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচারের হার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। শুধু এপ্রিল মাসে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ২৯৬টি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে বাংলাদেশের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার।

ভারতের সড়ক দুর্ঘটনার দৃশ্য বাংলাদেশের বলে প্রচার শনাক্ত : বাংলাফ্যাক্ট
ভারতের সড়ক দুর্ঘটনার দৃশ্য বাংলাদেশের বলে প্রচার শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট। বাংলাফ্যাক্টের অনুসন্ধানে শনাক্ত হয় যে, 'সড়ক দুর্ঘটনার এই দৃশ্যটি বাংলাদেশের নয়, ভারতের'। ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট জানায়, 'সড়ক দুর্ঘটনার আলোচিত এই দৃশ্যটি বাংলাদেশের নয়। প্রকৃতপক্ষে ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের দেহরাদুনের একটি সড়কে গত ২৯ এপ্রিল দুর্ঘটনা ঘটে এবং এতে কয়েকজন স্কুল শিক্ষার্থী আহত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে সেই দুর্ঘটনার দৃশ্যকে বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনা দাবি করে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।' বাংলাদেশে চলমান গুজব এবং ভুয়া খবর, অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট। গত বছর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং ভারত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচারের হার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে ফ্যাক্টচেক।

আজ বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস
আজ ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৫। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘ন্যাশন, নেটওয়ার্কস, ন্যারেটিভস’ (NATIONS, NETWORKS, NARRATIVES)। দিনটি উদযাপন উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচী গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ডিজিটাল প্রযুক্তিখাত বিষয়ক বিশেষায়িত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) দিবসটি পালন করছে। আইটিইউর ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের ন্যায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ প্রতি বছর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে আসছে। প্রতিবছরের মতো এবছরেও দিবসটি উপলক্ষে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সম্প্রচার হবে। ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন ও ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণ করে বাংলাদেশ। প্রথম আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ কনভেনশন এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন ( আইটিইউ) প্রতিষ্ঠার স্মারক হিসেবে ১৯৬৯ সালের ১৭ মে হতে প্রতি বছর বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস পালিত হয়ে আসছে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সাল হতে ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস আজ
আজ ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৫। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘ন্যাশন, নেটওয়ার্কস, ন্যারেটিভস’ (NATIONS, NETWORKS, NARRATIVES)। দিনটি উদযাপন উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচী গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ডিজিটাল প্রযুক্তিখাত বিষয়ক বিশেষায়িত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) দিবসটি পালন করছে। আইটিইউর ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের ন্যায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ প্রতি বছর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে আসছে। প্রতিবছরের মতো এবছরেও দিবসটি উপলক্ষে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সম্প্রচার হবে। ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন ও ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণ করে বাংলাদেশ। প্রথম আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ কনভেনশন এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন ( আইটিইউ) প্রতিষ্ঠার স্মারক হিসেবে ১৯৬৯ সালের ১৭ মে হতে প্রতি বছর বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস পালিত হয়ে আসছে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সাল হতে ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ওয়ালটনের এআই, আইওটিসহ অত্যাধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ নতুন মডেলের স্মার্ট ফ্রিজ উন্মোচন
ঈদ উপলক্ষ্যে আইওটি, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ বিশ্বের সর্বাধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ও ফিচার সমৃদ্ধ ৭টি নতুন মডেলের ফ্রিজ উন্মোচন করলো বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ড ওয়ালটন। নতুন মডেলের এসব ফ্রিজের মধ্যে রয়েছে 8in1 কনভার্টিবল মোডের ডলবি সাউন্ডযুক্ত এন্ড্রয়েড অপারেটিং ২১.৫ ইঞ্চি ডিসপ্লের স্মার্ট রেফ্রিজারেটর, আইওটি ও এআই ডক্টরসহ সর্বাধুনিক ফিচারের থ্রি-ডোরের সাইড বাই সাইড মডেলের স্মার্ট রেফ্রিজারেটর, ইনভার্টার টেকনোলজির কনভার্টিবল মোড সমৃদ্ধ রিভার্সিবল ডোর মডেল, ওয়াটার ডিস্পেনসারের বটম ও মাউন্টেড মডেল, ডিজিটাল কন্ট্রোল ডিসপ্লের সেমি নো-ফ্রস্ট মডেলের রেফ্রিজারেটরসহ স্লিম ডিজাইনের ফ্রিজার। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত ‘মেগা লঞ্চ ২০২৫’ শীর্ষক এক জমকালো অনুষ্ঠানে ওই সব নতুন মডেলের ফ্রিজ উন্মোচন করেন ওয়ালটন ফ্রিজের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মীম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মো. জিয়াউল আলম, এফসিএ, আইসিএইডব্লিউ, এএমডি নজরুল ইসলাম সরকার ও ইভা রিজওয়ানা, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মফিজুর রহমান, ওয়ালটন হাই-টেকের বিজনেস কো-অর্ডিনেটর (রেফ্রিজারেটর) মো. শাহজালাল হোসেন লিমন, চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ, ফ্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মো. তাহসিনুল হক, ডেপুটি সিবিও মো. জহির হাসান, ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান, ওয়ালটন ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম, ব্র্যান্ড ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান, ওয়ালটন ফ্রিজের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) সেন্টারের প্রধান আজমল ফেরদৌস বাপ্পী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনপ্রিয় উপস্থাপিকা নীল হুরেজাহান। অনুষ্ঠানে ওয়ালটন ফ্রিজের সিবিও মো. তাহসিনুল হক বলেন, গ্রাহকের হাতে বিশ্বের সর্বাধুনিক ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির পণ্য তুলে দিতে সামর্থ্যরে সবটুকু দিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা চালাচ্ছে ওয়ালটনের গবেষণা ও উদ্ভাবন (আরএন্ডআই) টিমের প্রকৌশলীরা। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা বিশ্বের সর্বাধুনিক উদ্ভাবনী ডিজাইন, প্রযুক্তি ও ফিচারের নতুন নতুন মডেলের ফ্রিজ গ্রাহকদের হাতে তুলে দিতে সক্ষম হচ্ছি। তিনি জানান, ওয়ালটনের নতুন মডেলের ফ্রিজে ব্যবহার করা হয় এআই, আইওটিসহ বিশ্বের সর্বাধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ও ফিচার। যা বিশ্বের সকল আধুনিক ফ্রিজে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে দিয়ে হাই-টেক রেফ্রিজারেটর উৎপাদন ও বিপণনে নতুন যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে নিজস্ব প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ও সক্ষমতায় আরো এক অনন্য নজির সৃষ্টি করলো ওয়ালটন। ওয়ালটনের নতুন মডেলের ফ্রিজের মধ্যে রয়েছে ৬২০ লিটার ধারণক্ষমতার ‘বিগ ডিসপ্লে’ স্মার্ট রেফ্রিজারেটর। এতে রয়েছে খুবই উন্নত ভিউ অ্যাঙ্গেলের ২১.৫ ইঞ্চি এন্ড্রয়েড ডিসপ্লে এবং স্টেরিও সাউন্ড সিস্টেম। এতে গ্রাহকেরা এন্ড্রয়েড স্মার্ট ফোনের ফিচারসহ ইউটিউব ব্রাউজিং, অনলাইন গ্রোসারি শপিং, অফলাইন ভিডিও ও অডিও, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, সেলফি ক্যামেরা, ওয়েদার আপডেট ইত্যাদি মাল্টিমিডিয়ার সকল ফাংশন পাবেন। ওয়ালটনের নতুন মডেলের এই ফ্রিজে রয়েছে মেটাল ও ডুয়ো কুলিং সেটিংস। এই ফ্রিজে ব্যবহৃত এমএসও (ম্যাট্রিক্স স্পিড অপটিমাইজেশন) প্লাস ইনভার্টার টেকনোলজি বাইরের তাপমাত্রা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ খরচে ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ সর্বোচ্চ কুলিং পারফরমেন্স নিশ্চিত করবে। 8in1 কনভার্টিবল মোডের এই ফ্রিজের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার কম্পার্টমেন্টের কুলিং পারফরমেন্স গ্রাহক তার পছন্দমত সেট করতে পারবেন। এতে বিদ্যুৎ খরচ হবে অনেক কম। এসব ফ্রিজ নিশ্চিত করবে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত স্বাস্থ্যকর ফ্রেস খাবার। ওয়ালটনের নতুন মডেলের ৫৬০ লিটার ধারণক্ষমতার থ্রি-ডোর স্মার্ট রেফ্রিজারেটরে ব্যবহার করা হয়েছে এমএসও ইনভার্টার টেকনোলজি, ডুয়েল টেম্পারেচার কন্ট্রোলসহ হলিডে, টারবো ও সুপার মোড কুলিং সেটিংস। এই সব ফ্রিজে সংযোজন করা রয়েছে নিজস্ব উদ্ভাবিত ‘এআই ডক্টর’ ফিচার। বাংলাদেশে ওয়ালটনই প্রথম আইওটি স্মার্ট ফ্রিজ এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ফিচার সংযোজন করেছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট এই ফিচার গ্রাহকের বাসায় ব্যবহৃত ওয়ালটন স্মার্ট ফ্রিজের কুলিং পারফরমেন্স, সেন্সরসহ অন্যান্য কম্পোনেন্টস এ কোনো সমস্যা হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে তৎক্ষনাৎ নিজেই সমাধানের চেষ্টা করবে। যদি তা না পারে, সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের বাসার নিকটস্থ সার্ভিস সেন্টারে নোটিফিকেশন পাঠিয়ে দিবে। নোটিফিকেশন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি গ্রাহকের সাথে যোগাযোগ করে বাসায় গিয়ে সমস্যা সমাধান করে দিবে। ফলে গ্রাহক ফ্রিজের কোন অস্বাভাবিকতা বোঝার অনেক আগেই পেয়ে যাবেন প্রয়োজনীয় বিক্রয়োত্তর সেবা। এছাড়াও এআইওটি ফিচার সমৃদ্ধ এই ফ্রিজ গ্রাহকেরা স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে পরিচালনা করতে পারবেন। এছাড়াও ওয়ালটনের নতুন মডেলের ফ্রিজের মধ্যে রয়েছে ৩৪৩ ও ৩০৮ লিটার ধারণক্ষমতার ইনভার্টার টেকনোলজির কনভার্টিবল মোড সমৃদ্ধ রিভার্সিবল ডোরের রেফ্রিজারেটর, ২৬৮ লিটারের ‘ওয়াটার ডিসপেন্সার’ মডেলের রেফ্রিজারেটর, ৩৪৮ লিটারের ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার টেকনোজির সেমি নো ফ্রস্ট মডেলের রেফ্রিজারেটর এবং স্লিম ডিজাইনের ডিজিটার কন্ট্রোল ডিসপ্লে সমৃদ্ধ ২১০ লিটারের ফ্রিজার। ওয়ালটন ফ্রিজ আরঅ্যান্ডআই সেন্টারের প্রকৌশলীরা জানান, নতুন মডেলের ফ্রিজগুলোতে ব্যবহৃত নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্যরে আলোকরশ্মি সংরক্ষিত ফলমূল ও শাক-সবজি প্রকৃতির মতো সজিব রাখে। ফলে ওয়ালটন ফ্রিজে সংরক্ষিত ফল ও সবজির ভিটামিন, মিনারেলসহ অন্যান্য খাদ্যগুণ ও পুষ্টি অক্ষুণ্ন থাকে। এসব ফ্রিজের ইউভি-সি টেকনোলজি বায়ুবাহিত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে ফ্রিজে রাখা খাবারকে সুরক্ষিত রাখে। ইন্টেলিজেন্ট জার্ম টার্মিনেটর টেকনোলজি বায়ুবাহিত জীবাণু ধ্বংস করে। থ্রি-লেয়ার ওডোর সেফ গার্ড অনাকাক্ষিত গন্ধ দূর করে খাবারের স্বাদ রাখে অটুট। স্মার্ট কন্ট্রোল ফিচার থাকায় উপরের দরজায় হাতের স্পর্শের মাধ্যমেই ফ্রিজ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এরজন্য ফ্রিজের দরজা খোলার প্রয়োজন পরে না। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গ্রাহকেরা ওয়ালটনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার সমৃদ্ধ নতুন মডেলের ফ্রিজ অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে সাশ্রয়ী দামে কিনতে পারবেন। বাজারে অন্যান্য ব্র্যান্ডের বিগ ডিসপ্লে ফ্রিজের দাম তিন লাখ টাকার থেকে বেশি। এদিকে ওয়ালটনের খুবই উন্নত ভিউ অ্যাঙ্গেলের এন্ড্রয়েড বিগ ডিসপ্লে স্মার্ট রেফ্রিজারেটর দাম পড়বে প্রায় দুই লাখ টাকা। ওয়ালটনের এসব ফ্রিজে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি এবং ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবার সুবিধা পাবেন ক্রেতারা। এছাড়া রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত দেশব্যাপী বিস্তৃত সর্ববৃহৎ সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়ার নিশ্চয়তা।

অ্যাপলকে পেছনে ফেলে মাইক্রোসফট বিশ্বের সবচেয়ে দামি কোম্পানি
অ্যাপলকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে দামি কোম্পানির শীর্ষস্থান দখল করলো মাইক্রোসফট। চলতি বছরে একাধিক অর্থনৈতিক ও ভৌগোলিক চাপের মুখে অ্যাপলের শেয়ারদর কমে যাওয়ায় এই স্থানচ্যুতি ঘটে। সেই সুযোগে ঘুরে দাঁড়াল প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট। সিএনবিসি জানায়, চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহেই টানা চার দিন ধরে অ্যাপলের শেয়ারমূল্য হু হু করে পড়ে। এই দরপতনের ফলে তাদের বাজার মূল্য নেমে আসে ২.৫৯ ট্রিলিয়ন ডলারে, যেখানে মাইক্রোসফটের বাজারমূল্য দাঁড়ায় ২.৬৪ ট্রিলিয়ন ডলার। গত সপ্তাহের শেষ হিসাব অনুযায়ী, মাইক্রোসফটের বাজারমূল্য বেড়ে ৩.২৩ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়, যেখানে অ্যাপলের মূল্য ৩.০৭ ট্রিলিয়নে। এতে নিশ্চিত হয়, এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামি কোম্পানি হচ্ছে মাইক্রোসফট। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দরপতনের অন্যতম কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি। শতাধিক দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ফলে বৈশ্বিক বাজারে অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়েছে। এতে করে মূল্যস্ফীতি ও মন্দার আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ভয়। বিশেষ করে অ্যাপল এই ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত হয়েছে, কারণ কোম্পানিটির উৎপাদন চীনের ওপর প্রবলভাবে নির্ভরশীল। অ্যাপলের বিপরীতে মাইক্রোসফট তুলনামূলক নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে তাদের ক্লাউড সেবা, এআই ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার এখন বৈশ্বিক বাজারে ব্যাপক চাহিদার মধ্যে রয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে মাইক্রোসফট আয় করেছে ৭ হাজার কোটি ডলার, যা বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে। এ সময়ে নিট মুনাফা ছিল প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার, আর শেয়ারপ্রতি আয় দাঁড়ায় ৩.৪৬ ডলার। মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা জানান, এই শক্তিশালী আয়ের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে কোম্পানির ক্লাউড ব্যবসার প্রবৃদ্ধি। শুধু এই খাত থেকেই মাইক্রোসফটের আয় হয়েছে ২ হাজার ৬৮০ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। এই আয় বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস ২ হাজার ৬১৭ কোটি ডলারকেও ছাপিয়ে গেছে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের শুরুতে মাইক্রোসফট কিছু সময়ের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে দামি কোম্পানির মুকুট ধারণ করেছিল। তবে সে সময় অ্যাপল দ্রুত বাজার পুনরুদ্ধার করে শীর্ষে উঠে আসে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। অ্যাপলের মূল উৎপাদন ব্যবস্থায় যে ঝুঁকি, সেটিই এখন তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।

যে কৌশলে ওয়াই-ফাইয়ের গতি দ্বিগুণ বাড়বে
প্রায় সবাই এখন ঘরে ওয়াই-ফাই ব্যবহার করেন। কিন্তু দেখা যায় দিনের বেশিরভাগ সময়ই ওয়াই-ফাইয়ের গতি কমে যায়। কোনো মুভি কিংবা নাটক দেখার সময় এমনটা হলে মুড একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। তবে এমন কিছু কৌশল আছে যেভাবে ওয়াই-ফাইয়ের গতি দ্বিগুণ বাড়িয়ে নেওয়া যায়। এজন্য >> রাউটারকে ঘরের একেবারে মাঝামাঝি অবস্থানে রাখুন। এতে চার দেয়ালেই সমানভাবে নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়াও সিঙ্গল ব্যান্ডের বদলে ডুয়াল ব্যান্ডের রাউটার নেওয়া জরুরি। >> এই ডুয়াল ব্যান্ড রাউটারের সাহায্যে সহজেই ৫ গিগাহার্ৎজের ব্যান্ড পাওয়া যায়। এতেই ইন্টারনেটের স্পিড দ্বিগুণ হয়ে যায়। >> ঘর অনেক বড় হলে আপনাকে লাগাতে হবে ম্যাস ওয়াই-ফাই এক্সটেনশন প্রযুক্তি। এতে পুরো ঘরেই সমান ব্যান্ডের ইন্টারনেট স্পিড বজায় থাকবে। >> প্রতি তিন চারদিন অন্তর আপনাকে রাউটারটি ৫-১০ মিনিটের জন্য বন্ধ করে রাখা দরকার। এতে রাউটারের শক্তি বা কর্মক্ষমতা বজায় থাকবে। >> রাউটারে ধুলো-ময়লা জমলে সেগুলোও পরিস্কার করে নেওয়া দরকার যা না করলে আপনার ইন্টারনেটের পারফরম্যান্স কমতে পারে। >> রাউটারের পিছনে থাকা ডব্লিউপিএস বাটনের মাধ্যমে কোনো পাসওয়ার্ড ছাড়াই গেস্ট ডিভাইসে সংযোগ নিতে পারেন। সূত্র: রিডার ডাইজেস্ট

এবার চ্যাটজিপিটির প্রতিদ্বন্দ্বী আনল মেটা
সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট মেটা তাদের প্রথম স্বতন্ত্র এআই অ্যাপ উন্মোচন করেছে। এই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের মেটার জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেলগুলোর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ দিচ্ছে, যা চ্যাটজিপিটির সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতা গড়ে তুলবে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এ খবর জানায় ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ও প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, ‘এখন আমাদের অ্যাপগুলোতে এক বিলিয়ন মানুষ মেটা এআই ব্যবহার করছেন, তাই আমরা আপনাদের জন্য একটি নতুন স্বতন্ত্র মেটা এআই অ্যাপ তৈরি করেছি।’ তিনি বলেন, এই অ্যাপটি ‘ব্যক্তিগত এআই সহকারী’ হিসেবে তৈরি, যা মূলত ভয়েস চ্যাটের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে এবং ব্যবহারকারীর আগ্রহ অনুযায়ী ব্যক্তিকৃত অভিজ্ঞতা দেবে। জাকারবাগ বলেন, ‘শুরুর দিকে আমরা খুবই সাধারণভাবে শুরু করছি, আপনাদের আগ্রহ সম্পর্কে সামান্য কিছু ধারণা নিয়েই। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনারা চাইলে মেটা এআইকে আপনার ও আপনার কাছের মানুষদের বিষয়ে আরও অনেক কিছু জানতে দিতে পারবেন।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের শক্ত ভিত বজায় রেখে অ্যাপটিতে একটি সামাজিক ফিড সংযোজন করা হয়েছে, যেখানে ব্যবহারকারীরা অন্যদের তৈরি এআই পোস্ট দেখতে পারবেন। মেটার প্রধান পণ্য কর্মকর্তা ক্রিস কক্স বলেছেন, ‘আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখি, তাই এই ফিচারটি সরাসরি অ্যাপেই রাখা হয়েছে।’ কোম্পানির ওপেন সোর্স এআই মডেলকে ঘিরে আয়োজিত এলএলএমএকন নামের একটি ডেভেলপার সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন। কক্স বলেন, ‘আপনার প্রম্পট শেয়ার করতে পারবেন, আপনার তৈরি শিল্পকর্ম শেয়ার করতে পারবেন। এটি খুব মজার একটি বিষয়।’ এই নতুন অ্যাপ ‘মেটা ভিউ’ অ্যাপের জায়গা নিচ্ছে, যা রে-বেন স্মার্ট চশমার সঙ্গী অ্যাপ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এখন ব্যবহারকারীরা চশমা, মোবাইল অ্যাপ ও ডেস্কটপের মধ্যে অবাধে কথোপকথন চালিয়ে যেতে পারবেন। কক্স বলেন, ‘আমরা ভয়েস-ভিত্তিক অভিজ্ঞতার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছি, যতটা সম্ভব স্বাভাবিক ইন্টারফেস।’ মেটা অ্যাপে একটি পরীক্ষামূলক মোডও যোগ করেছে, যেখানে এআই মানুষের মতো স্বাভাবিক কথোপকথন করতে পারবে। কক্স বলেন, ‘আপনি এতে হঠাৎ কথা থেমে যাওয়া, হাসি আর বাস্তব ডায়ালগ শুনতে পাবেন, যেমনটা ফোন কলে হয়।’ তবে এই ফিচার বর্তমানে ওয়েব সার্চ করতে পারছে না। তাই খেলাধুলা বা পোপ নির্বাচনের মতো বিষয় জানতে চাওয়ার সুযোগ আপাতত নেই। ব্যবহারকারীরা চাইলে ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুকে তাদের অ্যাক্টিভিটির ভিত্তিতে মেটা এআইকে তাদের সম্পর্কে জানার অনুমতি দিতে পারবেন। এলএলএমএকন ইভেন্টে মেটা তাদের লামা এআই মডেলের নানা সুবিধা তুলে ধরে। এই মডেল ওপেন সোর্স হওয়ায় ডেভেলপাররা প্রয়োজনমতো এটি কাস্টমাইজ করতে পারেন। অন্যদিকে, ওপেনএআইয়ের মডেল ক্লোজড, অর্থাৎ এর অভ্যন্তরীণ কাঠামো গোপন রাখা হয়।

লাইসেন্স পেল স্টারলিংক
যুক্তরাষ্ট্রের নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (২৮ এপ্রিল) তিনি এই লাইসেন্স অনুমোদন করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃক গত ২৫ মার্চ নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটর ইন বাংলাদেশ শীর্ষক লাইসেন্সিং গাইডলাইন জারি করে। ওই গাইডলাইনের আওতায় স্টারলিংক সার্ভিসেস বাংলাদেশ নন-জিওস্টেশনারি অরবিট স্যাটেলাইট সার্ভিসেস লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রযোজ্য ফি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিটিআরসি বরাবর আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে আবেদনকৃত লাইসেন্স ইস্যুর জন্য গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ২৯৪তম কমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্টারলিংক বাংলাদেশের ইন্টারনেটে নতুন সংযোজন। শ্রীলঙ্কার পরে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বৈশ্বিক এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করল। এ প্রসঙ্গে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের উপর্যুপরি ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে স্টারলিংককে বাংলাদেশের নিয়ে আসা একটা গণদাবিতে পরিণত হয়েছিল।’ ‘পাশাপাশি বাংলাদেশকে বিনিয়োগ বান্ধব হিসেবে একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল প্রধান উপদেষ্টার। বাংলাদেশের হাওর-বাওড় দ্বীপাঞ্চলে, দুর্গম পার্বত্য এলাকায়, বিশেষভাবে উপকূলীয় দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার পৌঁছেনি সেখানে দ্রুততম সময়ে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা স্ব-উদ্যোগী হয়ে স্পেইসএক্স সিইও ইলন মাস্ককে ফোন করে ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংককে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানান। এ লক্ষ্য অর্জনে বিডা, বিটিআরসি, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নিবিড়ভাবে কাজ করেছে।’ ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, ‘স্টারলিংকের সেবাগুলোর মধ্যে একটি প্রাথমিক সেবা হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট, যেখানে লোডশেডিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে না, যেটা আইএসপির ক্ষেত্রে হয়। অনেক ক্ষেত্রে যদি লম্বা সময় ধরে লোডশেডিং থাকে, মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারির ব্যাকআপ ফুরিয়ে গেলে মোবাইল ইন্টারনেটেও বিঘ্ন ঘটে। স্টারলিংকের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা হবে না।’ ‘আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশে ফাইবার নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি সীমিত। উপরন্তু এই ফাইবার নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য অংশ টেলকো গ্রেডের নয়। বাংলাদেশের অন্তত ৬৫ শতাংশ টেলিযোগাযোগ টাওয়ার এখনো ফাইবারাইজেশনের বাইরে, সেখানে মাইক্রোওয়েভ দিয়ে সেবা দেওয়া হয়, খুবই সীমিত ধারণক্ষমতা। আবার আমাদের মোবাইল নেটওয়ার্কের যে কাভারেজ ও ক্যাপাসিটি আছে, তাতেও সমস্যা আছে, হাইওয়ে মোবিলিটি কভারেজের সমস্যা আছে। স্টারলিংক এসব সমস্যার সমাধান করবে।’ তিনি জানান, স্টারলিংক বাংলাদেশের মোবাইল এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করবে। এর মাধ্যমে ভয়েস কল এবং ডেটা বান্ডেল ভিত্তিক গতানুগতিক ইন্টারনেট সেবাদান ব্যবস্থা ডিজিটাল সার্ভিস কেন্দ্রিক নতুন রূপান্তরে মধ্য দিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘স্টারলিংকের সার্ভিসের ফলে কমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রিতে ডিরেগুলেশনের সূচনা হবে, প্রতিযোগিতা বাড়বে, শহর কিংবা গ্রামভেদে নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট প্রাপ্তির নিশ্চয়তা তৈরি হবে।’

প্রতি মাসে জেমিনি ব্যবহারকারী ৩৫ কোটির বেশি
গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট ‘জেমিনি’-এর মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী সংখ্যা বিশ্বজুড়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ কোটিতে। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত হালনাগাদ এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রে গুগলের অ্যান্টিট্রাস্ট মামলার শুনানিতে। টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, মাত্র পাঁচ মাসে জেমিনির ব্যবহারকারীর সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে। গত বছরের অক্টোবরেও যেখানে দৈনিক ব্যবহারকারী ছিল ৯০ লাখ, সেখানে এখন মাসিক ৩৫ কোটিতে পৌঁছে গেছে। তবে এখনো এই চ্যাটবট ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি বা মাইক্রোসফটের কোপাইলটের জনপ্রিয়তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। মার্চ মাসে চ্যাটজিপিটির মাসিক ব্যবহারকারী ছিল প্রায় ৬০ কোটি। আর মেটার এআই টুলগুলোর ব্যবহারকারী ছিল প্রায় ৫০ কোটি, জানিয়েছেন মেটা সিইও মার্ক জাকারবার্গ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেমিনির দ্রুত বিস্তার গুগলের প্রযুক্তি সক্ষমতার প্রমাণ দিলেও, এটি তাদের বিরুদ্ধে চলমান একচেটিয়া আধিপত্যের মামলায় নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। গত এক বছরে গুগল জেমিনিকে সহজলভ্য করতে স্যামসাং ফোন, গুগল ওয়ার্কস্পেস ও ক্রোমের মতো প্ল্যাটফর্মে সরাসরি সংযুক্ত করেছে। এর ফলে কোটি কোটি নতুন ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছেছে জেমিনি। বর্তমানে জেমিনি ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি, মাইক্রোসফটের কোপাইলট এবং মেটার এআই সেবা ‘থ্রেডস’-এর সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতায় রয়েছে। বিশ্বব্যাপী এআই পরিষেবার ব্যবহার ও গ্রহণযোগ্যতা যেভাবে বাড়ছে, তাতে করে আগামী দিনে এই প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বৈশ্বিক টিভির বাজারে টানা ১৯ বছর ধরে শীর্ষে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস
স্যামসাং ইলেকট্রনিকস টানা ১৯তম বছরের মত বৈশ্বিক টিভি বাজারে নিজেদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওমডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে টিভির বাজারের ২৮.৩ শতাংশ দক্ষিণ কোরিয়া-ভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্টটির দখলে ছিল। টিভির ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম ও আল্ট্রা-লার্জ স্ক্রিনে উদ্ভাবন নিয়ে আসা ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করায় ২০০৬ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী টিভির বাজারে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পেরেছে প্রতিষ্ঠানটি। স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস ডিভিশনের ডিরেক্টর ও হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফর বলেন, “ধারাবাহিকভাবে ১৯ বছর ধরে বৈশ্বিক টিভি বাজারে শীর্ষস্থান অর্জনের স্বীকৃতি অর্জন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের এ অর্জন গ্রাহকদের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতিফলন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে টিভি শিল্পখাতের সম্ভাবনা উন্মোচনে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” বৈশ্বিকভাবে প্রিমিয়াম টিভি সেগমেন্টে (আড়াই হাজার মার্কিন ডলারের অধিক মূল্যের) স্যামসাংয়ের বাজার হিস্যা ৪৯.৬ শতাংশ এবং আল্ট্রা-লার্জ ক্যাটাগরিতে (৭৫ ইঞ্চি ও তার অধিক) প্রতিষ্ঠানটির বাজার হিস্যা ২৮.৭ শতাংশ। স্যামসাং কিউএলইডি ও ওএলইডি সেগমেন্টেও তাদের নের্তৃস্থানীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। কিউএলইডিতে তাদের বাজার হিস্যা ৪৬.৮ শতাংশ এবং ওএলইডিতে বাজার হিস্যা ২৭.৩ শতাংশ। স্যামসাং ৮.৩৪ মিলিয়ন কিউএলইডি টিভি ইউনিট বিক্রি করেছে। উল্লেখ্য, কিউএলইডি টিভি প্রথমবারের মত মোট বৈশ্বিক টিভি বিক্রির ১০ শতাংশ অতিক্রম করেছে; এর মাধ্যমে এ সেগমেন্টে টিভি বিক্রির সংখ্যা উল্লেখভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ওএলইডি সেগমেন্টে স্যামসাং ১.৪৪ মিলিয়ন ইউনিট টিভি বিক্রি করেছে। এর ফলে, বছরপ্রতি বিক্রির ক্ষেত্রে ৪২ শতাংশ এবং বাজার হিস্যার ক্ষেত্রে ৪.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এটি ওএলইডি প্রযুক্তির প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহেরই প্রমাণ। ওএলইডি ক্যাটাগরিতে স্যামসাংয়ের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের কারণে ক্রেতাদের মধ্যে এ টিভি নিয়ে চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। সিইএস ২০২৫-এ স্যামসাং এআই-সমর্থিত স্ক্রিন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তাদের যুগান্তকারী উদ্ভাবন ভিশন এআই প্রদর্শন করেছে। ভিশন এআই ব্যবহারকারীদের অভ্যাস ও পছন্দ বিশ্লেষণ করে ব্যক্তিনির্ভর বিশেষায়িত সেবা প্রদান করবে, যা ভবিষ্যতে বিনোদনের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলবে।

বাংলালিংকের নতুন ডেপুটি সিইও জহরত আদিব
বাংলালিংকের ডেপুটি সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জহরত আদিব চৌধুরী। এই খাতের ডিজিটাল লিডার হিসেবে কোম্পানির যাত্রায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।জহরত আদিব ২০১৪ সালে বাংলালিংকের চিফ লিগ্যাল অফিসার অ্যান্ড কোম্পানি সেক্রেটারি হিসেবে যোগদান করেন। বিভিন্ন খাতে ২০ বছরেরও বেশি সময় কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার।এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে জহরত আদিব বাংলালিংককে টেলিকম অপারেটর থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটরে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ‘অ্যাসেট-লাইট’ এবং ‘রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স’উদ্যোগসহ বাংলালিংকের বিভিন্ন কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছেন।গ্রাহকদের জন্য ব্যতিক্রমী ও নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান অব্যাহত রাখার লক্ষ্য নিয়ে ডেপুটি সিইও হিসেবে জহরত সিনিয়র লিডারশিপ টিমের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে বাংলালিংকের কৌশলগত দিকনির্দেশনা ঠিক করবেন এবং দেশের জন্য নতুন সম্ভাবনার সুযোগ তৈরি করতে উদ্যোগ নেবেন। আইন, করপোরেট গভর্নেন্স ও ইএসজি সংশ্লিষ্ট বর্তমান দায়িত্বের পাশাপাশি, তিনি বাংলালিংকের ডিজিটাল আর্থিক সেবার লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাবেন।বাংলালিংকের সিইও ইওহান বুসে বলেন, ‘নতুন ডেপুটি সিইও হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় জাহরাতকে অভিনন্দন। তার পেশাগত অভিজ্ঞতা, নেতৃত্বগুণ এবং ডিজিটাল রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তাকে এই দায়িত্বের জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত করে তুলেছে। এই নিয়োগ শুধুমাত্র একটি প্রাতিষ্ঠানিক অগ্রগতি নয়—এটি আমাদের গ্রাহক, অংশীদার ও অংশীজনদের জন্য আরও উন্নত অভিজ্ঞতা এবং প্রবৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি বহন করে। আমরা একটি উদ্ভাবনী ও ভবিষ্যতমুখী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’এই নিয়োগ সম্পর্কে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে জহরত আদিব চৌধুরী বলেন, ‘শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে বাংলালিংক ইতিবাচক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমন সময় নতুন এই ভূমিকা গ্রহণ করতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। সকলের জন্য উন্নত সংযোগ নিশ্চিতকরণ এবং উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেম সম্প্রসারণে অবদান রাখতে কাজ করে যাব আমি। অত্যন্ত দক্ষ ও উদ্যমী বাংলালিংক পরিবারের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত। কার্যকর ডিজিটাল সমাধান প্রদানে আমাদের সহকর্মীদের সহায়তা করার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’ইংল্যান্ডের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টার এট ল’ সম্পন্ন করা জাহরাত হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী (অ্যালামনা)।

গুগল ফটোসের স্টোরেজ ক্লিয়ার করার উপায়
গুগল শুধু সার্চ ইঞ্জিনই নয়, অনেক বড় স্টোরেজ ফোনের। গুগল ফটোস ছবি সেভ রাখার জন্য বা গ্যালারি হিসেবে দারুণ। তবে গুগলের ফ্রি ১৫ জিবি স্টোরেজ ফুল হয়ে সময় লাগে না বেশিদিন। জরুরি ছবির সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় ছবিও স্টোরেজ হয়ে থাকে গুগল ড্রাইভে। স্টোরেজ ফুল হওয়ার কারণে ফোনের গতিও কমে যায়। তাই নিয়মিত গুগল ফটোসের স্টোরেজ ক্লিয়ার করুন। দেখে নিন গুগল ফটো অ্যাপ এবং ডেস্কটপে কীভাবে স্টোরেজ পরিষ্কার করতে হয়- আপনার ফোনে গুগল ফটোস অ্যাপ ওপেন করুন। এরপর গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করতে হবে। উপরের দিকে থাকা নিজের প্রোফাইল ছবি বা ইনিশিয়ালে ক্লিক করতে হবে। এরপর “ফটো সেটিং” অপশন খুঁজতে হবে এবং ক্লিক করতে হবে। তারপর “ব্যাকআপ” এবং অবশেষে “ম্যানেজ স্টোরেজ” অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর “রিভিউ অ্যান্ড ডিলিট” বিকল্পের অধীনে একটি বিভাগ সিলেক্ট করতে হবে। এবার সিলেক্ট অপশনে ক্লিক করুন এবং যে আইটেমগুলো ডিলিট করতে হবে তা বেছে নিন। একবার এই কাজ হয়ে গেলে “মুভ টু ট্রাশ” বা “ডিলিট” বিকল্পে ক্লিক করতে হবে।

ফোনের ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হওয়ার যত কারণ
এখনকার দিনের স্মার্ট ফোনে ব্যাটারিটাই সব। ব্যাটারি চলে যাওয়ার একটাই অর্থ, ফোনের জীবন শেষ। অনেকে মনে করতেই পারেন, ব্যাটারি তো বদলানো যায়, তাই চিন্তা কী? কিন্তু তারপরও কথা রয়েছে। জানুন বিস্তারিত। প্রথমত, ব্যাটারি যেমন বদলানোই হোক না কেন, সেটা কখনওই অরিজিনালের মতো কাজ করতে পারবে না। দ্বিতীয়ত, লেটেস্ট যে সব স্মার্ট ফোন আসছে, তাতে ব্যাটারি বদলানোর সুযোগই নেই। তাই ব্যাটারি ডেড হলে, সেই ফোনকে সাজিয়ে রেখে সুখের দিনের স্মৃতি খোঁজা ছাড়া কিছুই করার থাকে না। তাই ফোনের ব্যাটারি নিয়ে সতর্ক হন। ব্যাটারি বাঁচানো এবং এর আয়ু বাড়ানোর কিছু ইফেক্টিভ উপায় আছে। প্রথমেই জেনে রাখুন, কোনও অবস্থাতেই ব্যটারির চার্জ ৮০ শতাংশের বেশি দেবেন না। অনেকের মনে হতে পারে কেন? কারণটা খুব সহজে বলতে গেলে, ব্যাটারির কম চার্জ থাকা আদতে তার আয়ু বাড়ায়। কারণ চার্জিংয়ের সময়ে হিট তৈরি হয়। ভোল্টেজের তারতম্য ঘটে। এতে ক্ষতি হয় মোবাইলের ব্যাটারিতে। সেটা লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিই হোক বা সিলিকন-কার্বন। চার্জ কম দিন। আর কোনও ভাবেই সারা রাত মোবাইল চার্জ দিয়ে রাখবেন না। খুব বেশি মোবাইল ব্যবহার করতে হলে পাওয়ার ব্যাঙ্ক বা পাওয়ার চার্জার ব্যবহার করুন। এছাড়াও আরও কিছু টিপস রয়েছে মোবাইলের ব্যাটারির আয়ু বাড়ানোর। সেটা নিয়েই আজকের আলোচনাটা। চেষ্টা করুন, খুব রোদ বা গরমে মোবাইল পারতপক্ষে ব্যবহার না করতে। কারণ গরম বাড়লে মোবাইল এমনিতেই ওভারহিটের সিগন্যাল দিয়ে কাজে রাশ টানে। তাই এই সময়ে কম ব্যবহার করাই ভালো। দ্বিতীয়ত, মোবাইলে গেম খেলতে খেলতে বা ভারী কোনও কাজ চলাকালীন যেমন মুভি দেখা কিম্বা গ্রাফিক্স সংক্রান্ত কোনও কাজ করার সময়ে চার্জ দেবেন না। কারণ এই সময়ে চার্জ দ্রুত শেষ হয়। তাই ব্যাটারি দ্রুত চার্জড হওয়ার চেষ্টা করে। এতে প্রচুর হিট হয় এবং ব্যাটারির আয়ুর ওপর এর খারাপ প্রভাব ফেলে। এছাড়াও অ্যাপের কাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও ব্যাটারির আয়ু বাড়ানো যায়। অনেকেরই ধারণা আছে, অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলে এবং এতে বেশি ব্যাটারি খরচ হয়। তাই অনেকেই অ্যাপের ব্যাকগ্রাউন্ড বন্ধ রাখেন। অথবা অ্যাপ স্ক্রিন থেকে রিমুভ করে দেন। এটা করা বন্ধ করতে হবে। কারণ ব্যাকগ্রাউন্ড বন্ধ করা কোনও অ্যাপ ফের চালু করলে স্টোরেজ থেকে এই অ্যাপ রিলঞ্চ করে চালু হয়। এতে প্রচুর ব্যাটারি খরচ হয় এবং প্রচুর হিট উৎপন্ন হয়। যা মোবাইলের ক্ষতি করে। কখনওই এমনটা করা উচিত নয়। কারণ আধুনিক অ্যানড্রয়েড ফোনে এমন বেশ কিছু ফিচার আছে যা অটোমেটিক্যালি অ্যাপের ব্যাকগ্রাউন্ড ফ্রিজ় করে এবং একে ডিপ স্লিপে পাঠিয়ে দেয়। কিছু অ্যাপস থাকে যেগুলো অ্যাক্টিভ। এই অ্যাপসগুলো ব্যাটারি বেশি খরচ করে। এগুলোর নিয়ন্ত্রণ খুবই প্রয়োজন। এর জন্য সেটিংসে গিয়ে অ্যাক্টিভ অ্যাপ অপশন সিলেক্ট করুন। সেখানে গিয়ে স্টপ অপশন পাবেন। এই অপশন ক্লিক করলে এই অ্যাপগুলি ব্যাটারি খরচ বন্ধ করে দেবে। যখন আপনি আবার এই অ্যাপসগুলো চালু করবেন, তখন নিজের মতো করে এগুলো চালু হয়ে যাবে। এই নিয়মগুলো মেনে চললে নিশ্চিত ভাবেই ব্যাটারির আয়ু বাড়বে।

ফোনে বিজ্ঞাপনী মেসেজ আসা বন্ধ করা যাবে সহজেই
ফোনে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া কোথাও শান্তি নেই। নানান রকম বিজ্ঞাপনী মেসেজ ভিডিও বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন সংস্থা ফোনে তাদের প্রোমোশনাল এসএমএস পাঠিয়ে থাকে। একে বলে বাল্ক এসএমএস। অর্থাৎ টেলিফোন প্রোভাইডরকে টাকা দিয়ে মোবাইল ব্যবহারকারীদের কাছে নিজেদের পণ্যর প্রচার করা। ব্যবহারকারীরা চাইলে এ ধরনের এসএমএস বন্ধ করতে পারেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে কাজটি করবেন- >> প্রথমে আপনার স্মার্টফোনের সেটিংসে যান।>> সেখান থেকে গুগলে যান।>> এখানে ঢোকার পরে শুরুতেই থাকা ‘অ্যাডস’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।>> এবার পাবেন ‘অ্যাডস পারসোনালাইজড’ নামে একটি অপশন, সেটি অন করে দিন।>> এবার ‘ইওর অ্যাডভারটাইজিং আইডি’ নামের অপশনটি রিসেট করে নিন।>> রিসেট করার পরে ‘অ্যাডভারটাইজিং আইডি’ পরিবর্তন হয়ে যাবে। এতে বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন দেখা থেকে মুক্তি মিলবে। এছাড়া ফোনের ব্রাউজার থেকে এ ধরনের বিজ্ঞাপন বন্ধ করা যায়। এজন্য- >> প্রথমে ফোনের ‘ক্রোম’ ব্রাউজারে গিয়ে ‘মাই অ্যাকটিভিটি’ নামের সাইটে ঢুকতে হবে।>> এরপর ‘ওয়েলকাম টু মাই অ্যাকটিভিটি’তে ঢুকবেন। সাইটের বাম পাশে উপরে থ্রি স্কেলের দাগে ক্লিক করবেন।>> সেখান থেকে আপনাকে যেতে হবে ‘অ্যাকটিভিটি কন্ট্রোল’ নামের অপশনে।>> সেখানে ঢোকার পরে ‘অ্যাডস’ অপশনে গিয়ে ‘অ্যাডস পারসোনালাইজেশন ইজ অন’ থাকলে অফ করে দিতে হবে।>> উপরে ডান পাশে থ্রি ডটের মেন্যুটিতে ক্লিক করে চলে যান সেটিংসে।>> সেখানে যাওয়ার পরে নিচে ‘সাইড সেটিংস’ নামে একটি অপশন দেখা যাবে।>> এটিতে ঢোকার পরে ‘কুকিজ’-এ গিয়ে ‘ব্লক থার্ড পার্টি কুকিজ’ অন করে দিলেই অ্যাড আসা বন্ধ হবে।

৩০০ বিপজ্জনক অ্যাপ সরিয়ে নিলো গুগল
গুগলের প্লে স্টোরে রয়েছে লাখ লাখ অ্যাপ। যখন যা প্রয়োজন ডাউনলোড করে নিতে পারছেন। তবে এই প্লে স্টোরেও রয়েছে ক্ষতিকর অ্যাপ। যা একেবারে আসল অ্যাপের মতোই দেখতে। হ্যাকরা এসব অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ফোনের বিভিন্ন ডাটা চুরি করে। সংবাদ টাইমস অব ইন্ডিয়ার। এরই মধ্যে গুগল প্লে স্টোর থেকে অসংখ্য অ্যাপ সরিয়ে নিয়েছে, তা ক্ষতিকর বুঝতে পেরে। সম্প্রতি গুগল প্লে স্টোর ৩০০টিরও বেশি অ্যাপ সরিয়ে নিয়েছে। তথ্য চুরি অভিযোগ উঠেছে এসব অ্যাপের বিরুদ্ধে। ব্যবহারকারীদের থেকে তথ্য চুরি করছিল এই অ্যাপগুলো। অ্যাপগুলো অ্যান্ড্রয়েড ১৩-র নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলোকে বাইপাস করে ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করে চলছিল। এই অ্যাপগুলো মোট ৬ কোটিরও বেশিবার ডাউনলোড করা হয়েছে। আইএএস ল্যাবের রিপোর্ট বলছে যে, ‘১৮০টি অ্যাপ উপলব্ধ, যেগুলো ২০ কোটি জাল বিজ্ঞাপনের অনুরোধ পাঠিয়েছে ব্যবহারকারীদের। পরে অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে এই অ্যাপের সংখ্যা রয়েছে ৩৩১টি। এই অ্যাপগুলো বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ব্যবহারকারীদের থেকে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে নিত। ফিশিং হানার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরি করার চেষ্টা করেছিল এই অ্যাপগুলো।’ এই অ্যাপগুলো ফোনে নিজেদের তথ্য লুকিয়ে রাখতে পারে। এমনকি এই অ্যাপগুলো নিজেদের নাম বদলে নিয়েছিল। ব্যবহারকারীর ইন্টার্যাকশন ছাড়াই চালু হয়েছিল এই অ্যাপগুলো। আর ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকত সবসময় এই ধরনের অ্যাপগুলো। এর মধ্যে কিছু ফুলস্ক্রিন বিজ্ঞাপন দেখায়, অ্যান্ড্রয়েড ব্যাক বাটন বা জেসচার নিষ্ক্রিয় করতে পারে। ট্র্যাকিং অ্যাপ, হেলথ অ্যাপ, ওয়ালপেপার, কিউআর কোড স্ক্যানারের মত ইউটিলিটি অ্যাপের সঙ্গে এগুলি জুড়ে থাকে। এগুলো ডাউনলোড করার সঙ্গে সঙ্গে এই অ্যাপের ডেভেলপারসরা অ্যাপে জুড়ে দিতেন অতিরিক্ত ফাংশনালিটি, রিপোর্ট পাওয়ার পরে পরেই এই সব অ্যাপগুলো গুগল প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রিয়জনের জন্য স্মার্ট সল্যুশন নিয়ে ঈদ ক্যাম্পেইন গ্রামীণফোনের ’আলো’
উদ্ভাবনী আইওটি ইকোসিস্টেম ‘আলো’ নিয়ে ঈদ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে গ্রামীণফোন। ক্যাম্পেইনের আওতায় এর প্রথম টেলিভিশন বিজ্ঞাপন (টিভিসি) উন্মোচন এবং আকর্ষণীয় অফার এনেছে অপারেটরটি। ক্যাম্পেইনটিতে দেখানো হয়েছে, আলো’র স্মার্ট সল্যুশনের মাধ্যমে কীভাবে এর ব্যবহারকারী তার প্রিয়জনদের যত্ন নিতে পারেন; পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবন হয়ে ওঠে আরো নিরাপদ, সংযুক্ত ও স্বাচ্ছন্দ্যময়। আবেগঘন এই টিভিসিতে একজন তরুণের তার বাবার সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন কাটিয়ে ওঠার গল্প বলা হয়েছে। তাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, ছেলেটি আলো ইন্ডোর সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে দূর থেকে তার বাবার দেখাশোনা করে চলেছে। টিভিসিতে দেখানো হয়েছে প্রযুক্তি কীভাবে মানসিক ও শারীরিক দূরত্ব কমিয়ে এনেছে। এই স্মার্ট সেবাগুলো আরও সহজলভ্য করতে ২৬ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বিশেষ ছাড় দিচ্ছে গ্রামীণফোন। আলো ইন্ডোর সিসিটিভি ক্যামেরা কিনলে গ্রাহকরা পাবেন ১ হাজার টাকার ভাউচার। মাইজিপি অ্যাপের মাধ্যমে কিনলে অতিরিক্ত ৫ জিবি ডেটা বোনাস পাবেন গ্রাহকরা। অন্যদিকে জিপি স্টার গ্রাহকরা মাইজিপির মাধ্যমে কিনলে পাবেন আরো বাড়তি সুবিধা- পাবেন ১ হাজার টাকার ভাউচার, ৫ জিবি ডেটা বোনাস এবং ১০ শতাংশ ছাড়। গ্রামীণফোনের দারাজ স্টোর থেকে কিনলেও ১ হাজার টাকার ভাউচার পাবেন গ্রাহকরা। গ্যাস ডিটেক্টর ও ভেহিকেল ট্র্যাকার কেনার ক্ষেত্রেও গ্রাহকরা ৫০০ টাকার ভাউচার উপভোগ করতে পারবেন। টেলকো-টেকে পরিণত হতে গ্রামীণফোনের লক্ষ্যের সাথে এই অফারগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ। অপারেটরটির লক্ষ্য হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাথে টেলিযোগাযোগের সমন্বয় ঘটানো যাতে গ্রাহকের ডিজিটাল অভিজ্ঞতা আরো সমৃদ্ধ ও নিরাপদ হয় এবং বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সল্যুশনের মাধ্যমে জীবনের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হয় । ক্যাম্পেইনে সম্পর্কে গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) ফারহা নাজ জামান বলেন, ‘গ্রাহকদের জন্য অত্যাধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে আরো কার্যকর ও গ্রাহক-কেন্দ্রিক সল্যুশন আনতে সংকল্পবদ্ধ গ্রামীণফোন। আমাদের আইওটি প্রোডাক্ট আলো’র মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের জীবনকে আরো সমৃদ্ধ করতে চাই, যাতে তারা টেলিযোগাযোগের বাইরেও আরো কিছু পেতে পারেন। আমাদের টেলকো-টেক হওয়ার পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেবে এই পদক্ষেপ।’ আলোর মাধ্যমে গ্রাহকদের সংযুক্ত ও সুরক্ষিত রাখার জন্য নিরবচ্ছিন্ন ও বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সল্যুশন আনার মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণফোন।