আবরার ফাহাদকে হত্যা জায়েজ ছিল : ছাত্র ইউনিয়ন নেতা

বুয়েট শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদকে হত্যা করা জায়েজ (বৈধ) ছিল বলে মনে করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি শাহরিয়ার ইব্রাহিম। বুধবার (২৮ মে) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন তিনি। তার এ স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। জানা যায়, মঙ্গলবার (২৭ মে) রাতে শহীদ আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ তার নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘এ টি এম আজহারের মুক্তিতে শাহবাগের কণ্ঠে আজ পরাজয়ের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে। একাত্তরের প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পথ চিরদিনের জন্য ধ্বংস করেছে এ শাহবাগই।’ এই স্ট্যাটাসের ওপর ভিত্তি করে বার্তা বাজার তাদের ফেসবুক পেজে একটি ফটোকার্ড শেয়ার করে। পরে আজ এই ফটোকার্ড নিজের ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি শাহরিয়ার ইব্রাহিম।সেখানে তিনি লেখেন, ‘জাশির কুত্তা আবরার ফাহাদকে হত্যা কেন জায়েজ ছিল দেখ তোরা।’ এ বিষয়ে শাহরিয়ার ইব্রাহিমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে শাহরিয়ার ইব্রাহিমের এ মন্তব্যের পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়ছেন নেটিজেনরা। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হাতে শহীদ হওয়া একজন ভুক্তভোগীকে নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের আচরণের সঙ্গে মিল রয়েছে মনে করছেন তারা।

জাপান দূতাবাসের ফেসবুক পেজে কবিতা পোস্ট, হ্যাক হওয়ার দাবি

ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে বুধবার সকালে চার লাইনের একটি বাংলা কবিতা পোস্ট করা হয়। পোস্টটি প্রকাশ হতেই দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেকে হাস্যরসাত্মক মন্তব্য করতে থাকেন। তবে দুপুরের দিকে এক পোস্টে দূতাবাস জানিয়েছে, তাদের পেজটি সকালে হ্যাক হয়েছিল। দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বুধবার সকালে পাবলিশ করা ওই পোস্টে লেখা হয়— “এখন শাহবাগ, মানিকমিয়া এভিনিয়্যু সব চুপ... বেশ্যাকে তবু বিশ্বাস করা চলে রাজনীতিকের ধমনি শিরায় সুবিধাবাদের পাপ বেশ্যাকে তবু বিশ্বাস করা চলে বুদ্ধিজীবীর রক্তে স্নায়ুতে সচেতন অপরাধ... -রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ” পোস্টটি প্রকাশ হতেই এ নিয়ে তৈরি হয় আলোচনা। অল্প সময়ের মধ্যেই এটি অনেকে শেয়ার করেন। আবার অনেকে হাস্যরসাত্মক মন্তব্য করেন পোস্টের নিচে। কেউ কেউ লেখেন- ‘এডমিন আইডি লগ আউট করতে ভুলে গেছে’। আরেকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘জাপান দূতাবাস বাংলায় পোস্ট করা শুরু করছে’। অন্য আরেকজন লেখেন- ‘এডমিন শাহবাগী না লীগার?’ কিছু সময় পর দূতাবাসের পেজ থেকে পোস্টটি মুছে ফেলা হয়। পরে আরেক পোস্টে দূতাবাস জানায়, ফেসবুক পেজটি সকালে হ্যাক হয়েছিল। তবে এরই মধ্যে পোস্টের একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নতুন পোস্টে বলা হয়েছে- “সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আমাদের দূতাবাসের ফেসবুক পেজটি সকালে হ্যাক হয়েছে। আমরা জরুরি ভিত্তিতে সমস্যাটি সমাধান করেছি। আমাদের সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ!”

বিমানের সেই ক্যাপ্টেন, ফার্স্ট অফিসার ও কেবিন ক্রুকে সম্মাননা

নিরাপদ ল্যান্ডিংয়ের স্বীকৃতিস্বরুপ বিজি ৪৩৬ ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন জে এস এম এম বিল্লাহ, ফার্স্ট অফিসার জায়েদ তাজিম ও কেবিন ক্রু মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন আরিয়ানকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৯ মে) কুর্মিটোলার বলাকা ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। উপদেষ্টা এই সাহসী প্রচেষ্টার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর ক্ষেত্রে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান। এরপর উপদেষ্টা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সার্ভিস সম্পর্কিত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রস্তুতি ও সক্ষমতা সংক্রান্ত একটি প্রেজেন্টেশন সেশন এ অংশ নেন। পর্যবেক্ষণ শেষে উপদেষ্টা তৃতীয় টার্মিনালের কাজ সুচারুভাবে নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মিজ নাসরীন জাহান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. সাফিকুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভারতে ইলিয়াস, পিনাকী ও জুলকারনাইনের ইউটিউব বন্ধ

ভারতে বাংলাদেশের চারটি বেসরকরি টেলিভিশনের ইউটিউব বন্ধের পর ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ করা হয়েছে। সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন, কনক সারওয়ার ও অ্যক্টিভিস্ট, লেখক পিনাকী ভট্টাচার্যের ব্লক করে দিয়েছে ভারত। এর ফলে এখন থেকে দেশটিতে এসব চ্যানেলে প্রবেশ করতে পারবেন না কেউ। এই তালিকায় অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরও আছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইলিয়াস হোসন। আজ রবিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি। ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমার পিনাকী ভট্টাচার্য এবং কনক সারওয়ারের ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করেছে ভারত। ইউটিউব আমাদের তিনজনকে আলাদা ইমেইলে ইউটিউব কতৃপক্ষ জানিয়েছে ভারত সরকারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তারা ভারতে আমাদের চ্যানেল বন্ধ করেছে।আমরা বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি। এদিকে একই সমস্যার কথা জানিয়েছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। তিনি এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, 'আমার অপরাধটা কিরে ভাই? কবে ইউটিউব চ‍্যানেল একটা খুলছিলাম, তেমন কিছুই পোস্ট করি না। ওইটাও ভরত মাতা তাগো দেশে ব্যান কইরা দিলো।' এর আগে শুক্রবার (৯ মে) ভারত সরকারের অনুরোধে ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের অন্তত চারটি টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করা হয়। চ্যানেলগুলো হচ্ছে- যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন ও মোহনা টিভি। ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউটিউবকে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী যদি কোনো তথ্য জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব কিংবা জনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি বলে সরকার মনে করে, তাহলে তা ব্লক করার আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে বাকিগুলোও বাতিলযোগ্য: উমামা ফাতেমা

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে বাকি সব সংস্কার কমিশনের রিপোর্টও বাতিলযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। শনিবার (৩ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন। উমামা ফাতেমা লেখেন, জুলাইয়ের পর মেয়েদের সাইডে বসায় দিয়ে এখন রাজনৈতিক পাড়ায় নারী অধিকার নিয়ে সালিশ বসছে দেখছি। হায়রে নাটক! সরকার তো একটা ঐকমত্য কমিশন বানালো সংস্কার নিয়ে আলাপ করার জন্য। সবগুলো সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট ঘেঁটে দেখলেই অনেক অবাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবনা চোখে পড়বে। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রয়োরিটি বেসিসে সংস্কার প্রস্তাবনার পক্ষে/বিপক্ষে অবস্থান নিতে পারবে। এর মধ্যে নারী সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে সর্বস্তরের নারীদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রস্তাবনা ঠিক মনে না হলে মত-দ্বিমতের সুযোগ রয়েছে। সেটা না করে পুরো কমিশন বাতিলের কথা তোলা হচ্ছে কোন উদ্দেশ্যে?! আর নারীদের কতটুকু অধিকার থাকবে সেটা নিয়ে তো নারীদের তুলনায় পুরুষদের মাথাব্যথা বেশি। এই কমিশনের রিপোর্ট বাতিল হলে বাকি সব সংস্কার কমিশনের রিপোর্টও বাতিলযোগ্য। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া উমামা ফাতেমা লেখেন, নারীরা কোনো ব্যবহারের বস্তু না যে আপনার গদি সিকিউর করে রান্নাঘরে ফিরে যাবে। অভ্যুত্থানের পর দেশের ৫০ শতাংশ জনগণের অধিকারের প্রশ্ন যাদের কাছে উটকো ঝামেলা লাগে তারা আসলে কোন ধরনের রাজনীতি করতে চায় তারাই জানে। নারী সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে কিন্তু জনসম্মুখে সভা-সমাবেশ করে যে সকল বক্তৃতা ঝাড়া হচ্ছে তাতে আপনাদের বিরোধের পরিবর্তে নারীবিদ্বেষটাই বেশি প্রকাশ পায়। স্পষ্ট করেই বলতে চাই, নারীদের অধিকার, সুযোগ সুবিধার প্রশ্ন বাদ দিয়ে বাংলাদেশে কোনো রাজনীতি মেইনস্ট্রিম হবে না। জুলাই অভ্যুত্থানে তা পরিষ্কারভাবেই বোঝা গেছে। স্টেজে গলাবাজি করে, চোখ রাঙানি দিয়ে নারীদের প্রান্তিক করা সম্ভব না। জুলাই আন্দোলনে নারী সমন্বয়কদের মধ্যে যারা সামনের কাতারে ছিলেন তাদের মধ্যে উমামা ফাতেমা অন্যতম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী উমামা তখন ছাত্র ফেডারেশনের (গণসংহতি আন্দোলনের ছাত্রসংগঠন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যসচিব ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের অক্টোবরে সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখানে মুখপাত্রের দায়িত্ব পান উমামা। তিনি তখন ছাত্র ফেডারেশনের পদ থেকে অব্যাহতি নেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠন করলেও তাতে যোগ দেননি উমামা ফাতেমা। গত ১৯ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন। সে সময় নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কমিশনের যেসব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নযোগ্য তা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। কিন্তু প্রতিবেদনটিকে ‘ইসলাম পরিপন্থি’ দাবি করে কমিশন ও প্রতিবেদন দুটিই বাতিলের দাবি জানায় হেফাজতে ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ ধর্মভিত্তিক দলগুলো। প্রতিবেদন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল মহাসমাবেশও করেছে হেফাজতে ইসলাম। এই সমাবেশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহও বক্তব্য দিয়ে নারী সংস্কার কমিশনের ইসলামবিরোধী সুপারিশ বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন। আগামী ২৩ মে একই দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।

ঢাকা-৮ আসন থেকে নির্বাচন করতে চান ইনকিলাব মঞ্চের হাদী

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নানা কর্মসূচি দিয়ে আলোচিত তরুণ নেতা শরীফ ওসমান বিন হাদী আগামী জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন। বুধবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ঢাকা- ৮ (শাহবাগ), স্বতন্ত্র প্রার্থী, ইনশাআল্লাহ...’ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত এ-সংক্রান্ত বহু কর্মসূচি দিয়ে তরুণদের মাঝে সাড়া ফেলেছেন।

পিএসসিকে আমি কোনো প্রকার চাপ প্রয়োগ করিনি : আসিফ মাহমুদ

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করেছে পিএসসি। গতকাল সোমবার সরকারের তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আগামী ৮ মে থেকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। এর আগের রাতে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে পিএসসি সংস্কারসহ কয়েকটি দাবিতে অনশনরত আন্দোলনকারীদের অনশন ভাঙাতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিতের পর অভিযোগ ওঠে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের 'চাপে' এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএসসি। বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন উপদেষ্টা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে আসিফ মাহমুদ দাবি করেন, পিএসসিকে এই সিদ্ধান্ত নিতে কোনো প্রকার চাপ প্রয়োগ করেননি তিনি। পিএসসি এবং ছাত্রদের মধ্যে ব্রিজ হিসেবে সমস্যার সমাধান করাই তার লক্ষ্য ছিল। ওই ফেসবুক পোস্টে আসিফ মাহমুদ বলেন, পিএসসি সংস্কারের দাবিতে প্রায় ৮০ ঘণ্টা অনশন করে ৪ জন চাকরি প্রার্থী ঝুকিপূর্ণ শারীরিক অবস্থায় পৌঁছালে পিএসসি এবং তাদের মধ্যে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিই। রাজু ভাষ্কর্যে বসেও বারবার বলেছি 'পিএসসি সাংবিধানিক, স্বাধীন ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। আমি পিএসসি এবং আপনাদের মধ্যে ব্রিজ হতে পারি, সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই'। প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি সুরাহা না করে লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার বিরুদ্ধে ছিলেন আন্দোলনকারীরা। তিনি আরো বলেন, পিএসসি সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে রাজুতে বসেই ফোনে কথা বলেছি। পিএসসির চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম স্যার তিনজন সদস্য পাঠান আলোচনার জন্য। টিএসসিতে সাংবাদিক সমিতির অফিসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি এবং পিএসসির সদস্যদের মধ্যকার দীর্ঘ আলোচনার পর পিএসসি লিখিত পরীক্ষা আপাত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। তা ঘোষণা করেন পিএসসির একজন সদস্য। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, এই প্রক্রিয়ার কোনো অংশেই পিএসসিকে আমি কোনো প্রকার চাপ প্রয়োগ করিনি।পিএসসি এবং ছাত্রদের মধ্যে ব্রিজ হিসেবে সমস্যার সমাধান করাই ছিল আমার লক্ষ্য। তাছাড়া অনশনরত চাকরি প্রার্থীদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছিল দ্রুত। ওই পোস্টের শেষে তিনি দেশের একটি পত্রিকায় এই ইস্যুতে তাকে জড়িয়ে করা সংবাদের প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের একজন ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে দায়িত্ব পালন করছি। ফলে শিক্ষার্থীদের যেকোন যৌক্তিক দাবি কিংবা সমস্যায় এগিয়ে যাওয়াটা আমার দায়িত্ব। আমি সে দায়িত্ব পালন করছি এবং ভবিষ্যতেও করবো।

ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি চাইলেন সারজিস আলম

ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে এবং এই শাস্তির ভিডিও ফুটেজ মানুষের সামনে দেখানো উচিত। শনিবার রাতে ধর্ষণের শিকার লামিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় গণমাধ্যমে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় এ দাবি জানান তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদের মেয়ে লামিয়াকে দেখতে হাসপাতালে এলে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, লামিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় পুরো দেশের মানুষ মর্মাহত। নতুন বাংলাদেশের জন্য যে ভাই জীবন দিয়েছেন তার কন্যার সঙ্গে এমন একটি নৃশংস ঘটনা ঘটে গেছে। পৃথিবীর কেউই এমন একটা ঘটনা প্রত্যাশা করে না। সারজিস আলম বলেন, কিছুদিন আগে ঠিক একইভাবে আমরা আছিয়া নামে আরেক বোনকে হারিয়েছিলাম। এরকম ঘটনায় জড়িত মানুষরূপী পশুদের দৃশ্যমান ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। আমরা যখন হাসপাতালে লামিয়াকে দেখতে এলাম তার মা আমাদের কাছে বারবার প্রশ্ন করছিল, তোমরা কি আমার লামিয়াকে ফিরিয়ে দিতে পারবে? এর কোনো উত্তর আমার কাছে নেই। তিনি আসামিদের জামিনের বিষয়েও কথা বলেছেন। সারজিস আলম জানিয়েছেন, যারা ধর্ষণের মতো ভয়াবহ অপরাধে জড়িত, তাদের জামিন দেওয়া উচিত নয়। তিনি আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যারা এই নরপশুদের জামিনের জন্য আদালতে হাজির হন, তারা নিজের বিবেক হারিয়ে ফেলেছেন।

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ব্যারিস্টার রাজ্জাক

গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। সোমবার (২১ এপ্রিল) তার ছেলে ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী এ তথ্য জানান। ব্যারিস্টার রাজ্জাকের জুনিয়র আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক স্যার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার জন্য দোয়া চাই। এর আগে, দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক। এরপর সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়মিত হন। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। এর আগে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের আইনজীবী ছিলেন। যুক্তরাজ্যে থাকা অবস্থায় তিনি ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দল থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর নতুন দল আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবিপার্টি) প্রধান উপদেষ্টা হন। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর ১৭ আগস্ট সেই পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪৪ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখলাল গ্রামে। বিএ (অনার্স) ও এমএ ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮০ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি লন্ডনেই আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। দেশে ফিরে ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৪ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯০ সালে তিনি দ্য ল’ কাউন্সেল নামে একটি আইনি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী হন। ব্যারিস্টার রাজ্জাকের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দুই ছেলেও ব্যারিস্টার এবং সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত।

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী খুন: আট জনকে আসামি করে মামলা

বেসরকারি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছুরিকাঘাতে জাহিদুল ইসলাম পারভেজ নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় আট জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। রবিবার (২০ এপ্রিল) পারভেজের ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ও ইংরেজি বিভাগের তিন ছাত্র মাহাথি, মেহেরাব, আবুজর গিফারী ছাড়াও আরও পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে। বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (অপারেশন) এ কে এম মইনুদ্দিন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। আসামি সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নিহত পারভেজ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের ছাত্র। তার বাড়ি ময়মনসিংহে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৪টার পর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ওই ঘটনার এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হিতন হন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন।

খুব শিগগির রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হতে যাচ্ছে আ. লীগ : রাশেদ

দিন যত যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের মিছিলে উপস্থিতি তত বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। খুব শিগগিরই রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ প্রাসঙ্গিক হতে যাচ্ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। আজ রবিবার এক ফেসবুক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন রাশেদ খান। এ সময় তিনি সবাইকে ঐক্যের আহ্বান জানান। ফেসবুক পোস্টে রাশেদ খান বলেন, ‘খুলনায় আজকে সকাল ৭টায় আওয়ামী লীগ বিশাল মিছিল করেছে। দিন যত যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের মিছিলের সারি তত বড় হচ্ছে। সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব, ভোটের রাজনীতির মারপ্যাঁচ ও বিদেশিদের সহযোগিতায় খুব শিগগিরই রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।’ তিনি আরো বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে ন্যূনতম বোঝাপড়া ছাড়া আওয়ামী লীগের ফেরানো কেউ থামাতে পারবে না। আওয়ামী লীগ কোনো ছোট শক্তি নয়। যদি আওয়ামী লীগকে ছোট ভেবে ধাক্কা দেবেন মনে করেন, তাহলে আওয়ামী লীগ সংগঠিত হয়ে এমন ধাক্কা দেবে, তখন সব পিষ্ট হয়ে যাবেন।’ সবশেষে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সবাইকে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সুতরাং বাঁচতে চাইলে ঐক্য, নইলে হবেন পিষ্ট। আওয়ামী লীগ ফিরতে পারলে, রবে না কিছু অবশিষ্ট।’ আজ রবিবার সকালে খুলনা শহরতলির জিরোপয়েন্ট এলাকা থেকে এ ঝটিকা মিছিল বের হয়। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই মিছিলটি শেষ হয়। এত দ্রুত মিছিলটি শেষ হয়েছে যে মিছিলকারীদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ৫ আগস্টের পতনের পর থেকে খুলনায় আওয়ামী লীগের এটিই প্রথম মিছিল।

প্রথম আলোর নিউজটি দিল্লি থেকে লিখে দেওয়া, বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

“বিলাসী জীবনসহ নানা প্রশ্নের মুখে সারজিস ও হাসনাত” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রথম আলো। এই শিরোনামের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, দিল্লি থেকে লিখে দেওয়া নিউজ করে যদি ভেবে থাকেন হাসনাত আব্দুল্লাহকে থামাতে পারবেন তাহলে আপনারা এখনও ভুলের জগতে আছেন। রবিবার (২০ এপ্রিল) মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন হাসনাত। যদিও কিছু সময় পর তথ্য সংকট দেখিয়ে শিরোনামটি সরিয়ে নেয় প্রথম আলো। ফেসবুক পোস্টে হাসনাত বলেন, প্রথম আলো আজ শিরোনাম করেছে "হাসনাতের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন"। আমি প্রথম আলোর সেই সাংবাদিককে অনুরোধ করছি আপনি দয়া করে আমার বাসায় এসে দেখে যান আমি কত বিলাসী জীবনযাপন করি। দিল্লি থেকে লিখে দেওয়া নিউজ করে যদি ভেবে থাকেন হাসনাত আব্দুল্লাহকে থামাতে পারবেন তাহলে আপনারা এখনও ভুলের জগতে আছেন। থামার হলে তো সেদিনই থেমে যেতাম। ক্লিন ইমেজের আওয়ামী লীগ ফেরানোর বিরুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একাই রুখে দাঁড়াতাম না। "থামার হলে আপনাদের মতোই ভারত বা র— এদের তাঁবেদারি করে মন্ত্রী হওয়ার হিসাব করতাম। বিলাসিতাই যদি করতে চাইতাম তাহলে আমার এত যুদ্ধ করার দরকার ছিল না আপনাদের সাথে মিলে মিশেই বিলাসী জীবন বেছে নিতে পারতাম। আমি সেটা করিনি এবং করবও না। যতই তথ্যসন্ত্রাস করেন, আমি ভারত আর র-এর বিরুদ্ধে কথা বলা থামাবো না, আওয়ামী লীগ ফেরানোর কোনও উদ্যোগ জীবন থাকতে সফল হতে দেবো না।" স্ট্যাটাসে হাসনাত বলেন, আমি কত বিলাসী জীবনযাপন করি সেটা সবাই জানে। আমার ব্যাংক ব্যালেন্স থেকে শুরু করি ট্যাক্স রিটার্ন সবকিছুই অ্যাকসেস করা যায়। আপনারাও অ্যাকসেস করতে কিন্তু আপনারা করেননি। চ্যালেঞ্জ করে বলছি, গতকালের মিটিংয়ে আমার এসব বিষয়ে কোনও কথাই হয়নি, প্রশ্নও হয়নি। অথচ এত বড় মিথ্যা আমার নামে ছাপিয়ে দিলেন। আমি আবারও চ্যালেঞ্জ করছি আমি কারও কাছ থেকে এক টাকা নিয়েছি এটা কেউ প্রমাণ করুক। যেকোনোভাবে। সরকারি-বেসরকারি যেকোনো গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় তদন্ত হোক। আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো। কিন্তু এসব মিথ্যা নিউজ করে আমাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করা যাবে না। তিনি বলেন, প্রথম আলো বারবারই এ দেশের সৎ এবং দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদদের নিয়ে মিথ্যাচার করেছে। ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যে বা যারাই দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে, তাদেরকেই আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। আমি সেই তালিকার সর্বশেষ সংযোজন। র-এর বিরুদ্ধে পোস্ট দেওয়ার দুই দিনের মাথায় আমাকে নিয়ে এই তথ্যসন্ত্রাস কাকতালীয় হতে পারে না। "এসব তথ্যসন্ত্রাস দিয়ে আমাকে থামানো যাবে না। যতদিন দেহে প্রাণ আছে— আমি এই দেশে দিল্লির সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলে যাবো। তাতে আমার রাজনীতি যদি না থাকে, আমাকে যদি মাইনাস করা হয়, হোক। আমাদেরকে মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, র আর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমাদের এ লড়াই অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।"

কুয়েট উপাচার্যের প্রতীকি গদিতে শিক্ষার্থীদের আগুন

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদের প্রতীকি গদিতে (চেয়ার) আগুন দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যকে অপসারণ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা শনিবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে জড়ো হন। মিছিল নিয়ে দুর্বার বাংলা চত্বরে যান। সেখানে উপাচার্যের প্রতীকি গদিতে আগুন জ্বালান। উপাচার্যকে অপসারণের দাবি জানালেও সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তারা। এদিকে উপাচার্যকে অপসারণের দাবিকে অযৌক্তিক ও ষড়যন্ত্রের অংশ বলে গতকাল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিবৃতি দিয়েছে কুয়েট শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সম্প্রতি কুয়েট ক্যাম্পাসে কিছু শিক্ষার্থীর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মকাণ্ডে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতোমধ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাঁচটি দাবি বাস্তবায়ন করেছে। তবু উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তুলে আন্দোলন অব্যাহত রাখা অগ্রহণযোগ্য।’ তিনি অভিযোগ করেন, কিছু শিক্ষার্থী নোংরা ভাষায় শিক্ষকদের হেয় করছেন। পাশাপাশি সাইবার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল ও বহিরাগতদের সংঘর্ষ হয়। দেড় শতাধিক আহত হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি কুয়েট সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য হল ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গত ১৩ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আন্দোলন করছেন।

আমি শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ শুরু করলে নিতে পারবেন না: হাসনাত

যারা কম্প্রোমাইজের রাজনীতি করছেন, তাদের সতর্ক করে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) নিজের ভেরিভাইড ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক পোস্টে এই সতর্কতা দেন তিনি। পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, যেদিন থেকে আমাদের আওয়ামী বিরোধী অবস্থান এবং কম্প্রোমাইজের রাজনীতির বিরোধিতাকে ‘শিষ্টাচারবহির্ভূত’ বলা শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই আওয়ামী লীগের মিছিল বড় হতে শুরু করেছে। তিনি আরও লিখেছেন, ‘যারা কম্প্রোমাইজের রাজনীতি করছেন, তাদের সতর্ক করছি—অতি শিঘ্রই আওয়ামী লীগ নিয়ে সিদ্ধান্তে আসুন। না হলে আপনারা করবেন কম্প্রোমাইজের রাজনীতি, আর আমি করব শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ।’ যারা কম্প্রোমাইজের রাজনীতি করছেন, তাদের সতর্ক করে হাসনাত লিখেছেন, ‘আমি শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ শুরু করলে নিতে পারবেন না। সাবধান হয়ে যান।’

আল্লাহর কাছে আর্জি, বাঙালি মুসলমানের তাকদির খুলে যাক : আবু সাদিক

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এক মানবিক ও হৃদয়স্পর্শী বার্তা দিয়েছেন। সোমবার (১৪ এপ্রিল) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি ফসল কাটার মৌসুমে বাঙালি কৃষকের জীবনের বাস্তবতা ও তাদের ঈমানি মানসিকতার সঙ্গে বরকতের প্রার্থনা তুলে ধরেন। পোস্টে তিনি লিখেন, ‘‘বৈশাখে বাঙাল কৃষক ফসল ঘরে তোলে, শোকর করে আল্লাহর। এই সময়ে হয় পূর্বের ঋণ পরিশোধ, নয়া বছরের ন্যায্য শুরু।বৃষ্টির জন্য তাদের আকুলপ্রাণ দোয়া ও নতুন চাষের প্রস্তুতি- এ যেন তাদের ঈমান ও পরিশ্রমের মেলবন্ধন।’’ পহেলা বৈশাখকে ঘিরে তিনি আল্লাহর দরবারে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থনা উত্থাপন করেন। লেখেন, “আল্লাহর কাছে আর্জি, সবার তাকদির খুলে যাক, খুলে যাক বরকত ও রহমতের দুয়ার।”

‘আপা ফিরে আসলেন আরও ভয়ংকর রূপে!’

প্রতিবারের মতো রঙের ছটা ও উৎসবের আমেজ থাকলেও এবার ভিন্ন আয়োজনে বরণ করা হয়েছে নববর্ষকে। এবারের আয়োজনে রাখা হয়েছে বিশেষ মোটিফ ফ্যাসিস্টের মুখাবয়ব। এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আপা তার ওয়াদা রাখলেন, ফিরে আসলেন আরও ভয়ংকর রূপে!’ এদিন সকাল ৯টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণ থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, কৃষক ও রিকশাচালক প্রতিনিধি, নারী ফুটবলার এবং ২৮টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রা বর্ণিল মুখোশ, রঙিন পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও ঐতিহ্যবাহী সাজসজ্জায় উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এতে ফিলিস্তিনের পতাকা ও প্রতীকী মোটিফ যেমন- তরমুজের ফালি ব্যবহৃত হয়।

এই মুহূর্তে আছি মার্চ ফর গাজার পথে, আপনিও আসুন: আজহারী

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন ইসলামিক স্কলার ও বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। শনিবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ তথ্য জানান। ফেসবুক পোস্টে মিজানুর রহমান আজহারী লিখেন, ‘মজলুম গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানাতে এই মুহূর্তে আছি মার্চ ফর গাজার পথে। মানবতার এ মিছিলে আপনিও আসুন প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে।’ এরই মধ্যে কর্মসূচিতে অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসছেন হাজারো মানুষ। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে মিলিত হচ্ছেন। মিছিলে অংশ নেওয়া অধিকাংশের হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা ও বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।

ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে আগুন, হুঁশিয়ারি ফারুকীর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষ উদ্‌যাপনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তৈরি করা দুটি প্রতীকী মোটিফে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার ভোরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে ফ্যাসিবাদের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখাকৃতি পুরোপুরি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এছাড়া ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফটিও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। তবে এটি পরিকল্পিত হতে পারে বলে ধারণা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রফিকুল ইসলাম। এদিকে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। আজ শনিবার নিজের ফেসবুকে ফারুকী লিখেছেন, ‘হাসিনার দোসররা গতকাল ভোর রাতে চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে। এই দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে- সফট আওয়ামী লীগ হোক বা আওয়ামী বি টিম হোক- তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আসতে হবে, দ্রুত।’ এরপর তিনি লেখেন, ‘এই শোভাযাত্রা থামানোর চেষ্টায় আওয়ামী লীগের হয়ে যারা কাজ করছে, আমরা শুধু তাদেরকে আইনের আওতায় আনব তা না, আমরা নিশ্চিত করতে চাই এবারের শোভাযাত্রা যেনো আরও বেশী তাৎপর্যপূর্ণ হয়।’ উপদেষ্টা যোগ করেন, ‘কালকে (শুক্রবার) রাতের ঘটনার পর হাসিনার দোসররা জানিয়ে দিয়ে গেল বাংলাদেশের মানুষ এক হয়ে উৎসব করুক তারা এটা চায় না। আমরা এখন আরও বেশি ডিটারমাইনড, এবং আরো বোশি সংখ্যায় অংশ নেব।’ সবশেষে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লেখেন, ‘গত কিছুদিন জুলাই আন্দোলনের পক্ষের অনেকেই বলেছিলেন, এবারের শোভাযাত্রা সবচেয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ভিন্ন রকমের হচ্ছে। এখানে ফ্যাসিবাদের ওই বিকট মুখ না রাখাই ভালো। আমরাও সব রকম মত নিয়েই ভাবছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মত জানার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু কালকের ঘটনার পর এই দানবের উপস্থিতি আরও অবশ্যাম্ভাবী হয়ে উঠল। জুলাই চলমান।’ জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে এবার নববর্ষের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারকার প্রধান মোটিফ ছিল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি।’ এটির উচ্চতা ২০ ফুট। এই মোটিফে বাঁশ ও বেত দিয়ে দাঁতাল মুখের এক নারীর মুখাবয়ব বানানো হয়। মাথায় খাঁড়া চারটি শিং, হাঁ করা মুখ, বিশালাকৃতির নাক ও ভয়ার্ত দুটি চোখ।

ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম সব মতের মানুষের স্রোত নামবে : আজহারি

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে আগামী ১২ এপ্রিল (শনিবার) ঢাকায় সশরীরে বিক্ষোভ করবেন জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারি। এদিন সবাইকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাত পৌনে ৮টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এ কথা বলেন। মিজানুর রহমান আজহারির পোস্টটি ঢাকা ওয়াচ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো— বাংলাদেশের ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম এমন একটি গণজমায়েত হতে যাচ্ছে, যেখানে সব রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক দলমতের মানুষের সম্মিলিত স্রোত আগামী ১২ এপ্রিল রোজ শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মোহনায় মিলিত হবে ইনশাআল্লাহ। যেখানে অংশ নিচ্ছে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, হেফাজতে ইসলাম, জাতীয় দলের ক্রিকেটার, অভিনেতা, তাবলীগ জামাত, আহলে হাদীস, হাইয়াতুল উলইয়া, বেফাকুল মাদারিস, দারুন্নাজাত মাদরাসা, খেলাফত মজলিশ, খেলাফত আন্দোলনের মতো রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। যেমন : বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, শায়খ আহমাদুল্লাহ, মামুনুল হক, সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম, আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার, প্রফেসর মোখতার আহমাদ, ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মাহমুদুল হাসান সোহাগ, আয়মান সাদিক, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আরজে কিবরিয়া, কবি মুহিব খান, লতিফুল ইসলাম শিবলীসহ বিভিন্ন সেক্টরের সেলিব্রেটিগণ। মানবতার জন্য এদিন আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কাছের মানুষকে আসতে উদ্বুদ্ধ করুন। সম্ভব হলে সন্তানকেও সঙ্গে আনুন। তারাও জানুক পবিত্র ভূমির মানুষের মর্মন্তুদ দুঃখগাথা। পাশাপাশি বিপুল জমায়েতের সুযোগে কোনো অসাধু চক্র যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়েও সর্বোচ্চ সতর্ক থাকুন। এর আগে ৭ এপ্রিল ভিডিও বার্তায় আজহারি বলেছেন, প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশের আয়োজনে ফিলিস্তিনের গাজায় সংগঠিত শতাব্দীর বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ শিরোনামে এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণজমায়েতের আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী ১২ এপ্রিল (শনিবার) শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউয়েতে গিয়ে এই মার্চটি শেষ হবে। ইনশাআল্লাহ আমি নিজে সশরীরে এই বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত থাকব। আপনারাও দলে দলে যোগদান করুন। তিনি আরও বলেন, মানবতার পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, গাজাবাসীদের পক্ষে দল-মত-জাতি-পেশা নির্বিশেষে এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। এর আগে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘নো ওয়ার্ক-নো স্কুল’ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

ভাসানচরকে হাতিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করার ‘ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ

ভাসানচরকে হাতিয়া উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন করার ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে বলে অভিযোগ করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন হাতিয়ার সাধারণ মানুষ। বুধবার (৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে হাতিয়া দ্বীপ সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনের আগে প্রেস ক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধনও করেন তারা। লিখিত বক্তব্যে হাতিয়া দ্বীপ সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. জাহেদুল আলম বলন, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের অনুমোদনক্রমে ২০১৬-২০১৭ সালের দিয়ারা জরিপে নতুন সৃষ্ট ভাসানচর অংশটি সঠিকভাবে হাতিয়া উপজেলার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর কর্তৃক ২০১৬-২০১৭ সালে নতুন ভাসানচর অংশটির (ভাসানচর, শালিকচর, চর বাতায়ন, চর মোহনা, চর কাজলা ও কেউয়ার চর) দিয়ারা জরিপ সম্পন্ন করা হয়। এই দিয়ারা জরিপের রেকর্ড ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসের ১৮ তারিখে চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত গেজেটে ভাসানচর অংশের ৬টি মৌজা নোয়াখালী জেলাধীন হাতিয়া উপজেলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে জনৈক সন্দ্বীপবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আইনভিত্তিক সমাধানের জন্য রুল জারি করে। পরবর্তী সময়ে সব কার্যক্রম সম্পন্ন করে ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ভাসানচরকে হাতিয়া উপজেলার অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট নোটিশ জারি হয়েছে। ভাসানচর অংশের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, বর্ণিত ৬টি মৌজা নিয়ে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের অধীন ভাসানচর থানা রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গঠিত হয়, যা ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন পর দূরভিসন্দিমূলকভাবে চলতি বছরের মার্চের ২৩ তারিখে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস চট্টগ্রাম, নোয়াখালী (হাতিয়া) ও চট্টগ্রাম (সন্দ্বীপ) অংশের সীমানা নির্ধারণ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রেরণ করে এবং একই তারিখে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (রাজস্ব শাখা) আন্তঃজেলা সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির নিমিত্তে গঠিত কমিটির প্রথম সভার কার্য বিববরণীর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আদেশ জারি করেন, যা সুস্পষ্ট প্রশাসনিক ষড়যন্ত্র বলে আমরা মনে করি। তিনি বলেন, সার্বিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের কার্যালয়, চট্টগ্রাম এর ২৩ মার্চ তারিখের ১৩০(২) নম্বর স্মারকের প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ত্রুটিপূর্ণ ও পক্ষপাতদুষ্ট। এঘটনায় আমরা হাতিয়াবাসী হতাশ ও সংক্ষুব্ধ। এ বিষয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হাতিয়া দ্বীপ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন যতন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ মো. মাহফুজুল হক, যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. কারিমুল হাই নাঈম, হাতিয়া দ্বীপ সমিতির সাবেক সভাপতি মো. হেদায়েত হোসেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ, নোয়াখালী জেলার শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি শাহ মিজানুল হক মামুন প্রমুখ।

বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করতেই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাট : শায়খ আহমাদুল্লাহ

ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাট-ভাঙচুরের ঘটনা উদ্বেগজনক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন। নিজের পেজে শায়খ আহমাদুল্লাহ লেখেন, ‘দেশে চারদিনের বিনিয়োগ সম্মেলন চলছে। দেশের অর্থনীতিতে এ সম্মেলনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সুদূরপ্রসারী। এমন একটি স্পর্শকাতর সময়ে গতকাল কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যে লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে তা উদ্বেগজনক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’ তিনি আরও লেখেন, ‘এর অন্যতম লক্ষ্য, আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করা। তাদের দেখানো যে, বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ নিরাপদ নয়। বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নষ্ট হলে কারা লাভবান হবে সেটাও স্পষ্ট।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, যারা লুটপাট করেছে তারা আন্দোলনকারী নয়। তারা চক্রান্তকারী ও অপরাধী। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক। আমরা এ ধরনের লুটপাট ও অপরাধকর্ম কোনোভাবেই সমর্থন করি না। আন্দোলন চলাকালে এ ধরনের কাজ কেউ করতে গেলে তাকে থামিয়ে দিন।’ গতকাল (৭ এপ্রিল) বগুড়া, খুলনা, কক্সবাজার ও সিলেটে বিভিন্ন কোম্পানির শোরুমে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত চার মামলায় ৫৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সম্পৃক্ত বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ঢাকায় চারদিনের বিনিয়োগ সম্মেলন হচ্ছে। এতে ৫০ দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের পুরস্কার প্রত্যাখ্যান উমামার

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল নারীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র স্টেট ডিপার্টমেন্টের ‘ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ' পুরস্কারটি প্রত্যাখ্যান করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্টে জানিয়েছেন তিনি। ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে তিনি এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন। আগামী ১ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট মার্কো রুবিও এবং ফার্স্ট লেডি মিলানিয়া ট্রাম্প পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করবেন। ফেসবুকে স্ট্যাটাসে উমামা বলেছেন, ‘ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক ‘ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ’ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ এর পক্ষ থেকে জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নারী আন্দোলনকারীদের বিশেষ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এই অ্যাওয়ার্ডের অধীনে ‘ম্যাডেলিন অলব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড’ হিসেবে জুলাই অভ্যুত্থানের সকল নারীকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে উমামা বলেন, ‘নারী আন্দোলনকারীদের কালেক্টিভ স্বীকৃতি আমাদের জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের নারকীয় হামলাকে প্রত্যক্ষভাবে এন্ডোর্স করে যাওয়ার জন্য এ অ্যাওয়ার্ডটি ব্যবহৃত হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা যুদ্ধকে অস্বীকার করে পুরস্কারটি ইসরায়েলের হামলাকে যে প্রক্রিয়ায় জাস্টিফাই করেছে তা পুরস্কারের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যেখানে ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের মৌলিক মানবাধিকার (ভূমির অধিকার) থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। তাই ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি সম্মান রেখে এই পুরস্কার আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যাখ্যান করলাম।’

ড. ইউনূসকে ৫ বছর প্রধানমন্ত্রী পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আজীবন থাকবে : সারজিস আলম

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আজীবন থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, ‘প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন স্টেটসম্যানকে পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশের একটি নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার আজীবন থাকবে।’ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। গত ২৬ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা চারদিনের চীন সফরে যান। তার এই সফর ফলপ্রসূ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘আন্তর্জাতিক সাহসী নারী’ পুরস্কার পাচ্ছেন জুলাই-আগস্টের সাহসী নারীরা

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘আন্তর্জাতিক সাহসী নারী’ পুরস্কার পেয়েছে জুলাই-আগস্ট বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী একদল সাহসী নারী। বাংলাদেশের সাহসী নারীরা ‘মেডেলিন অলব্রাইট অনারারী গ্রুপ’ পুরস্কার পেয়েছে। উল্লেখ্য, মেডেলিন অলব্রাইট ৯০ দশকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র সময় শুক্রবারে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে বার্ষিক আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন। স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে জানানো হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে সহিংস দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ছাত্র বিক্ষোভ আন্দোলনে একদল সাহসী নারী ছিলেন মূল চালিকাশক্তি। হুমকি ও সহিংসতা সত্ত্বেও তারা নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুরুষ বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দাঁড়িয়ে অসাধারণ সাহসিকতা প্রদর্শন করেছিলেন। যখন পুরুষ সহকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন এই নারীরা যোগাযোগ অব্যাহত রাখার এবং বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উদ্ভাবনী উপায় খুঁজে পেয়েছিলেন, এমনকি ইন্টারনেট সম্পূর্ণ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও সেন্সরশিপ প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করে। অনিশ্চয়তার মধ্যে এই নারীদের সাহসিকতা এবং নিঃস্বার্থতা ছিল সাহসের সংজ্ঞা। গত ১৯ বছর ধরে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী’ পুরস্কার বিশ্বজুড়ে সেসব নারীদের স্বীকৃতি দেয়; যারা ব্যতিক্রমী সাহস, শক্তি এবং নেতৃত্ব প্রদর্শন করেছেন- প্রায়শই ব্যক্তিগত ঝুঁকি এবং ত্যাগ স্বীকার করে। ২০০৭ সাল থেকে পররাষ্ট্র দফতর ৯০টিরও বেশি দেশের ২০০ জনেরও বেশি নারীকে পুরস্কার দিয়ে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিদেশে মার্কিন কূটনৈতিক মিশনগুলো তাদের নিজ নিজ আয়োজক দেশ থেকে একজন সাহসী নারীকে মনোনীত করে এবং চূড়ান্ত প্রার্থীদের নির্বাচন করা হয় এবং বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুমোদন করেন।