
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) করোনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ সময় নতুন করে কারও দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। ফলে আক্রান্ত সংখ্যা ৬৭৫ (চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত) জন অপরিবর্তিত রয়েছে। রোববার (১৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে নতুন করে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৭ জন। একই সময়ে সারা দেশে ২১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তবে এর মধ্যে কারও শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ০ শতাংশ। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু’দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান। ২০২২ সাল থেকে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসতে থাকে। একপর্যায়ে এটি শূন্যে নেমে আসে।

ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত ৩৯১ জন, মৃত্যু ১
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আবারও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৯১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শনিবার (১২ জুলাই) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একদিনে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নতুন রোগীদের মধ্যে বরিশালে সর্বোচ্চ ১২৮ জন, রাজশাহীতে ৫৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬৩ জন, চট্টগ্রামে ৪১ জন, খুলনায় ৩০ জন, ঢাকা বিভাগের শহরতলীতে ৩৯ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২০ জন, ময়মনসিংহে ১১ জন এবং রংপুরে ২ জন ভর্তি হয়েছেন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ৩৫৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জয় করে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৩ হাজার ১০৩ জন। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ১৪ হাজার ৪৬০ জন। আর ভাইরাসটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৫ জন। পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও সংশ্লিষ্টদের মতে, বর্ষা মৌসুমে রোগীর সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৭৫ জন। ২০২৩ সালে এ সংখ্যা ছিল আরও ভয়াবহ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন, আর মৃত্যু হয়েছিল ১ হাজার ৭০৫ জনের।

ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ১৩৮ জন
মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৩৮ জন। তবে এ সময়ের মধ্যে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। শুক্রবার (১১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরাবরের মতো বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। এ সময় বিভাগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন সর্বোচ্চ ৬০ জন। নতুন আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৫ জন। ঢাকা বাদে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১১৩ জন। চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে গত বুধবার (৯ জুলাই) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ৫৪ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি)।

ডেঙ্গুতে দু'জনের মৃত্যু, নতুন করে আক্রান্ত ৩৩৭
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুইজন মারা গেছেন এবং একই সময়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৩৩৭ জন। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৮ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪১ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫০ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৭ জন, সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত মোট ১২ হাজার ৫৯১ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের ১০ জুলাই পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৯৩১ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক দুই শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক আট শতাংশ নারী রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুইজন মারা গেছেন। চলতি বছরে এ যাবত ডেঙ্গুতে ৫৪ জন মারা গিয়েছেন। মৃত দুইজনের মধ্যে একজন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বাইরের বাসিন্দা, আরেকজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশোনের বাসিন্দা। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
-.jpg)
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে নতুন ভর্তি ৪০৬
দেশে গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে; হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪০৬ জন রোগী। এ নিয়ে চলতি বছরের এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়াল ৫২ জনে। আর হাসপাতালে ভর্তি রোগী বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার ৫৯৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বুধবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এইডিস মশাবাহিত এ রোগে চলতি জুলাই মাসের নয় দিনে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জুন মাসে ১৯ জন, মে মাসে তিনজন, এপ্রিলে সাতজন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন ও জানুয়ারিতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্চ মাসে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। জুলাই মাস এ পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ২৯৮ জন। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩ জন এবং জুন মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ৯৫১ রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি নতুন রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরিশাল বিভাগে, ৯৮ জন। এ ছাড়া ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬৪ জন, ঢাকা বিভাগে ৬৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে চারজন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৮ জন, খুলনা বিভাগে ৩৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩১ জন, রংপুর বিভাগে পাঁচজন এবং সিলেট বিভাগে দুইজন ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৩১৭ জন রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৭৪ জন, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ৯৪৩ জন। দেশে ২০২৪ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। মৃত্যু হয় ৫৭৫ জনের। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এই সংখ্যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। আর মৃতের সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

গত একদিনে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪২৫
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত একদিনে তিনজন মারা গেছেন। এই সময়ে এডিস মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪২৫ জন। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এ তথ্য জানিয়েছে। চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩ হাজার ১৮৮ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ১২০ জনই বরিশাল বিভাগে সিটি করপোরেশনের বাইরের এলাকার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চলতি মাসের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৮৯২ জন এবং মারা গেছেন ৯ জন। সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ৩৫১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৩৮৬ জন ও বাকি ৯৬৫ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন এবং মে’তে ১ হাজার ৭৭৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৩ জন মারা গেছেন।

ডেঙ্গুতে একদিনে ৪৯২ জন আক্রান্ত; সর্বোচ্চ সংক্রমণ
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪৯২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরে এটি একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। এছাড়া গত চব্বিশ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনজন। সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৪৯২জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১৫৪ জনই বরিশাল বিভাগের। এর মধ্যে বরগুনাতেই ৬৩ জন নতুন করে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় বরিশাল বিভাগে দুজন এবং খুলনা বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১২ হাজার ৭৬৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এতে মৃত্যু হয়েছে ৪৮ জনের। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, চলতি জুলাইয়ে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৪৬৭ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং ৬ জন মারা গেছেন। সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ৩০৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। সূত্রঃ বিবিসি

এক দিনে ২৯৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও ২৯৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শুক্রবার (৪ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শনিবার (৫ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ে এসব রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে এ সময়ে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নতুন ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে রয়েছে সর্বোচ্চ ১২৬ জন, চট্টগ্রামে ২৭ জন, ঢাকার বাইরে বিভাগীয় এলাকায় ২৩ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৪৮ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ৩৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, এক দিনে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৩৭ জন রোগী। চলতি বছর এখন পর্যন্ত মোট ১০ হাজার ৬৭৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ১১ হাজার ৯৫৪ জন। একই সময়ে ডেঙ্গুজনিত কারণে মারা গেছেন ৪৫ জন।

দেশে করোনাভাইরাসে নতুন করে ৬ জন আক্রান্ত, এ বছর মোট শনাক্ত ৬২৩ জন
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও ৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে এ সময় করোনায় কেউ মারা যায়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত মোট ৬২৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। শুক্রবার (৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে ২৪২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৬টি রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, ফলে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৪৮ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, মহামারির শুরু থেকে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার গড়ে ১৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ১৮ মার্চ ওই বছরেই প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। সবচেয়ে ভয়াবহ সময় আসে ২০২১ সালের আগস্টে, যখন দুই দিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়। তবে ২০২২ সাল থেকে দেশে করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসে। ঢাকাওয়াচ/এমএস

অনিয়মিত মাসিক কেন হয়? কারণসমুহ জানালেন ডা. তাসনিম জারা
মাসিক বা পিরিয়ড নারীর জীবনে একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট চক্র মেনে ঋতুস্রাব হয়। সাধারণত ২১ থেকে ৩৫ দিন পর পর মাসিক হওয়াকে নিয়মিত মাসিক বলে ধরা হয়। কিন্তু অনেক সময় এই চক্রে গোলমাল দেখা দেয়, যাকে অনিয়মিত মাসিক বলা হয়। বিভিন্ন কারণে মাসিক অনিয়মিত হতে পারে, যা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে নিজস্ব চ্যানেলে অমিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ নিয়ে আলোচনা করেছেন যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজের শিক্ষক ও সহায় হেলথের সহপ্রতিষ্ঠাতা ডা. তাসনিম জারা। অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণসমূহ: অনিয়মিত মাসিকের পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে কিছু কারণ স্বল্পমেয়াদী এবং সহজে সমাধানযোগ্য, আবার কিছু কারণ দীর্ঘমেয়াদী বা অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে। মানসিক চাপ: অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা শরীরের হরমোন নিয়ন্ত্রণে ব্যাঘাত ঘটায়, যার ফলে মাসিক চক্র প্রভাবিত হতে পারে। অতিরিক্ত ওজন বা কম ওজন: শরীরের ওজন মাসিকের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত ওজন অথবা অতিরিক্ত কম ওজন উভয়ই হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে মাসিককে অনিয়মিত করতে পারে। অতিরিক্ত ব্যায়াম: যারা খুব বেশি strenuous ব্যায়াম করেন, বিশেষ করে পেশাদার ক্রীড়াবিদদের ক্ষেত্রে, তাদের শরীর অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে বা অনিয়মিত হতে পারে। খাদ্যাভ্যাস: অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অপর্যাপ্ত পুষ্টি এবং হঠাৎ করে ওজন কমানোর চেষ্টা করলেও মাসিক অনিয়মিত হতে পারে। এছাড়া শরীরে থাকা কিছু রোগের কারণেও মাসিক অনিয়মিত হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে... হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: এটি অনিয়মিত মাসিকের সবচেয়ে সাধারণ কারণ। ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রার তারতম্য হলে মাসিক চক্র ব্যাহত হতে পারে। বয়ঃসন্ধিকাল, মেনোপজের কাছাকাছি সময় (পেরিমেনোপজ) এবং প্রসবের পর এই ভারসাম্যহীনতা দেখা যায়। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS): এটি একটি সাধারণ হরমোনজনিত সমস্যা, যা ডিম্বাশয়ে ছোট ছোট সিস্ট তৈরি করে। PCOS-এর কারণে মাসিক অনিয়মিত হয়, পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজন, ব্রণ এবং শরীরে অবাঞ্ছিত লোম গজাতে পারে। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা: থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন কম বা বেশি হলে মাসিকের ওপর প্রভাব পড়ে। হাইপোথাইরয়েডিজম (কম থাইরয়েড হরমোন) এবং হাইপারথাইরয়েডিজম (বেশি থাইরয়েড হরমোন) উভয়ই অনিয়মিত মাসিকের কারণ হতে পারে। গর্ভনিরোধক পিল বা অন্যান্য ঔষধ: কিছু নির্দিষ্ট ঔষধ, যেমন – জন্মনিয়ন্ত্রক পিল, অ্যান্টিকোগুল্যান্টস, থাইরয়েড ঔষধ বা কিছু অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে। ফাইব্রয়েডস (Fibroids): জরায়ুতে নন-ক্যানসারাস টিউমার (ফাইব্রয়েডস) থাকলে মাসিকে অতিরিক্ত রক্তপাত বা অনিয়মিত মাসিক হতে পারে। জরায়ু বা ডিম্বাশয়ের অন্যান্য সমস্যা: জরায়ু বা ডিম্বাশয়ের সংক্রমণ, এন্ডোমেট্রিওসিস বা অন্যান্য কাঠামোগত সমস্যাও অনিয়মিত মাসিকের কারণ হতে পারে।

ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৫৮
দেশে এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরে প্রতিদিনই প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৫৮ জন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৩৯ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৯ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩ জন এবং সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২ জনরয়েছেন। এসময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৪১ জন ডেঙ্গু রোগী। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ১১ হাজার ৪৫৬ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ নারী। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন মোট ১০ হাজার ৮২ জন। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৫ জন। ২০২৪ সালে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৭৫ জন।

করোনায় প্রান গেল আরও একজনের, নতুন শনাক্ত ২৭
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন ২৭ জন। বুধবার (২ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। এসময়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ১০৭ জনে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর একই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

আরও একজনের মৃত্যু ডেঙ্গুতে, হাসপাতালে ভর্তি ৪১৬
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪১৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া রোগী হলেন একজন নারী। আর আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩২২ জনই ঢাকার বাইরের। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৪৪ জন; যাদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ ও ২০ জন নারী। এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৯৮ জন; যার মধ্যে ছয় হাজার ৫৬১ জন পুরুষ ও চার হাজার ৫৩৭ জন নারী।

চট্টগ্রামে মঙ্গলবার ১৫ জনের করোনা শনাক্ত
চট্টগ্রামে প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ১২০টি করোনার নমুনা পরীক্ষা করে এ ফলাফল এসেছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়াল ১৬০ জনে। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়। ১৫ জন করোনা শনাক্তের মধ্যে ১৪ জন মহানগর এলাকার এবং একজন উপজেলার বাসিন্দা। জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, চট্টগ্রামে ১০টি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। নতুন ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকিরা বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত ১৫ দিনে চট্টগ্রামে ১৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৪৫ জন মহানগরের এবং ১৫ জন উপজেলার বাসিন্দা। এছাড়া মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৭ জনের মধ্যে ৩ জন মহানগর এবং ৪ জন উপজেলার বসিন্দা।

২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন আরও ১৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ৫২ হাজার ৯৩ জন হলো। এই সময়ের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। চলতি বছর মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮ হাজার ৪৪ জনের। এতে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন ৫৮৪ জন। এযাবৎ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ ৩১ হাজার ৭৩০ জনের।চলতি বছর করোনায় মোট ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে শুরু থেকে এযাবৎ করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫২১ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। এযাবৎ শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর একই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুই দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

একদিনে আরও ৩৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১
শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৮৩ জন রোগী। এসব রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩৬ জন আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৮, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২৮, খুলনা বিভাগে ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ৩৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৩৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮ হাজার ৭২৮ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৯ হাজার ৮৬৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের।

জুনে ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেড়েছে ছয় গুণ
জুনের ২৮ দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত মে মাসে এই ভাইরাসে তিনজনের মৃত্যু হয়। সেই হিসাবে জুনে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ছয় গুণ বেড়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশক নিধন কার্যক্রমের দুর্বলতার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। জুলাইয়ে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এদিকে, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৬২ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, মে মাসের তুলনায় জুনে মৃত্যুর সংখ্যা ছয় গুণ হয়েছে। এ ধারা চলতে থাকলে জুলাইয়ে এ সংখ্যা আরও কয়েকগুণ হতে পারে। এবার ঢাকার বাইরে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। ৬৪ জেলাতেই আগের বছরের তুলনায় পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। কারণ এডিস মশা এখন সব জেলাতেই আছে। তবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সব জেলায় এখনও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভর্তি হয়েছে বরিশাল বিভাগে, ১৪১ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ভর্তি রোগীর সংখ্যা হয়েছে ৯ হাজার ৪৮৪। এ বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৪১ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৯ জন মারা গেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকায়। এরপর বরিশাল বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রামে চারজন। বাকি ১১ জন অন্য বিভাগের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১ হাজার ৬৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৩১২ জন, ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ৭৫১ জন। ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গুবিষয়ক তথ্য রাখছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর। ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়, মৃত্যু হয় ৫৭৫ জনের। পাথরঘাটায় উপজেলা পরিষদের সিএর মৃত্যু পাথরঘাটা প্রতিনিধি জানান, বরগুনার পাথরঘাটায় উপজেলা পরিষদের চিফ অ্যাসিস্ট্যান্ট (সিএ) সিরাজুম মুনিরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকালে মারা গেছেন। তাঁর মারা যাওয়া তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি। তিনি পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পদ্মা গ্রামের মনির মিয়ার স্ত্রী। তাদের ১০ বছরের একটি ছেলে ও ৬ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। মঙ্গলবার মুনিরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। তাঁর প্লাটিলেট দ্রুত কমে যাওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সকালে বরিশালের শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। সিভিল সার্জন মো. আবুল ফাত্তাহ জানান, হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়লেও নেই পর্যাপ্ত ওষুধ। মশা নিধনে পৌরসভার যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

চলতি বছর করোনায় মৃত্যু ২২, একদিনে শনাক্ত ৭
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনিবার (২৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা বিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে একজন করে মোট দুইজন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর এবং অন্যজন ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী। এদিকে গত একদিনে ১৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকায় ১৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ জন, চট্টগ্রামে ২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ জন এবং ময়মনসিংহে ৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। অন্যদিকে চলতি বছরের প্রথম দিন থেকে শনিবার পর্যন্ত করোনায় মোট ২২ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে ১২ জনই নারী। বাকি ১০ জন পুরুষ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এছাড়া শনাক্ত বিবেচনায় ভাইরাসটিতে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আর সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৫২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডে মৃত্যু ১, শনাক্ত ১০
কোভিডে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১০ জন। শুক্রবার (২৭ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই হিসাবে শনাক্তের হার চার দশমিক ০২ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন একজন। তার বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। তিনি ঢাকা বিভাগের। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ২৯ হাজার ৫১৯ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে চলতি বছর মারা গেছেন ২০ জন। এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৫২ হাজার ৭৩ জন। চলতি বছর শনাক্ত হয়েছেন ৫২৮ জন।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল মজুমদার ঢামেকে ভর্তি, কারাগারে অসুস্থ
গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে নতুন ভবনের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) পাঠান। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তাকে নতুন ভবনের সিসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে নিয়ে আসা কারারক্ষী বিল্লাল হোসেন জানান, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার রাত ৮টার দিকে হঠাৎ কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন।

ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ১৯৫ জন
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে ১৯৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। মৃতদের মধ্যে একজন ১৪ বছর বয়সী কিশোর এবং অপরজন ৪৮ বছর বয়সী একজন নারী। প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৪ জন বরিশালের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছে। এছাড়া, ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৬০, (সিটি করপোরেশন বাদে) ঢাকা বিভাগে ৩০ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮ জন, সিলেট বিভাগে ৩ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজন ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩৮ জনের। এর মধ্যে ২০ জন পুরুষ এবং ১৮ জন নারী। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬৫ জনে।

একদিনে আরও ১৯ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) আরও ১৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। ৫১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই রোগী শনাক্ত হয়। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ৬৩ জনে। এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১৯ জনসহ এই বছরের এখন পর্যন্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১৮ জনে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারও মৃত্যু না হলেও ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৫১৮ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত ২৬
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ২৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে কেউ মারা যাননি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বুধবার (২৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত এক দিনে ৪৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্তের হার দাঁড়ায় ৫ দশমিক ২১ শতাংশ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ৪৪ জনে। আর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন মোট ২৯ হাজার ৫১৮ জন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। এ সময়ের মধ্যে নতুন শনাক্তের সংখ্যা ৪৯৯।

বরগুনায় একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৯৩
বরগুনায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে আরও ৯৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, যা একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। এর ফলে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৯৫ জনে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ৮০ জন, বেতাগীতে ২ জন, আমতলীতে ১ জন, বামনায় ৬ জন এবং পাথরঘাটায় ৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৪২ জন ডেঙ্গু রোগী। এর মধ্যে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ২০৬ জন, আমতলীতে ৩ জন, বেতাগীতে ৬ জন, বামনায় ১১ জন, এবং পাথরঘাটা ও তালতলীতে ৮ জন করে চিকিৎসাধীন আছেন। জেলায় এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন ২২ জন, যাদের সবার বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায়। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ২ হাজার ২৮৩ জন, পাথরঘাটায় ৯৭ জন, বামনায় ৬১ জন, তালতলীতে ২২ জন, বেতাগীতে ১৮ জন এবং আমতলীতে ১৪ জন। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাজকিয়া সিদ্দিকা জাগো নিউজকে বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নতুন করে ৮০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ভর্তি ও রিলিজ সমান হওয়ায় এখন পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে এর বেশি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এলে রোগীদের রাখার আর জায়গা থাকবে না। বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ জাগো নিউজকে বলেন, বরগুনায় ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা আজ। দিন যত বাড়ছে, আক্রান্তের হারও ততই বাড়ছে। কিছুতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমন চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করবে। স্থানীয়দের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি বাড়ি ও আশপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, জমে থাকা পানি অপসারণ এবং মশক নিধনে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।