
শীগ্রই সাত কলেজে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি , আগস্টের শেষে পরীক্ষা
খুব শিগগিরই রাজধানীর সরকারি সাত কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে এবং এ মাসেই শুরু হতে পারে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ। আগস্ট মাসের শেষ দিকে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। আর কলেজগুলোতে পাঠদান পরিচালনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও অনুমোদন পাওয়া গেছে জুলাই মাসে শুরুতে। সেজন্য ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির (ডিসিইউ) অধীনে প্রথমবারের মতো সাত কলেজের ভর্তি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। সাত কলেজের অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভর্তির বিজ্ঞপ্তির প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমরা আশা করছি, ২০ জুলাইয়ের মধ্যে তা প্রকাশ করতে পারব। এরপর অনলাইন আবেদন শুরু হবে এবং আগস্টের শেষদিকে কিংবা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, ভর্তি প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে অক্টোবর থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু করার লক্ষ্যে আমরা এগোচ্ছি। ২০২৩ সালে এইচএসসি ও সমমান পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য এবারের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করার সুযোগ রাখার বিষয়েও ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তার ভাষায়, এখন পর্যন্ত আমাদের পরিকল্পনায় সেকেন্ড টাইম শিক্ষার্থীদের সুযোগ রাখছি। তবে এটি আগামী বছর থেকে বাতিল হতে পারে। অন্যদিকে, সনাতন পদ্ধতিতেই এবারের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন সাত কলেজের প্রশাসক। তবে বুয়েটের (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) প্রযুক্তিগত সহায়তা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বুয়েটের সঙ্গে আলোচনা চলছে, চূড়ান্ত হলে তারা প্রযুক্তিগত দিক পরিচালনা করবে। প্রসঙ্গত, সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’। গত মার্চে ইউজিসিতে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সভায় এ নাম নির্ধারণ করা হয়। নামটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে এবং উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন শেষে রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে অধ্যাদেশ জারি করা হবে।

‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে ফের উত্তাল ঢাবি
২০২৪ সালের ১৪ জুলাই। সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে এদিন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন নতুন মোড় নেয়। এই দিন বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোটা বিষয়ে আমার কিছু করার নেই। সমাধান হবে আদালতে।’ সংবাদ সম্মেলনে কোটা নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা চাকরি পাবে?’ সংবাদ সম্মেলনে হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ বলে সম্বোধন করায় শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। হাসিনার এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিক্রিয়ায় সেদিন রাতে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন হল থেকে মিছিল নিয়ে মধ্যরাতে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন। এরপর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের বর্ষপূর্তিতে আজ সোমবার (১৪ জুলাই) রাত ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে প্রতীকী মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা এসে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। স্লোগানে ‘তুমি কে, আমি কে, রাজাকার, রাজাকার, কে বলেছে, কে বলেছে, স্বৈরাচার, স্বৈরাচার’; ‘ফাঁসি ফাঁসি চাই, শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই’; ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’ প্রভৃতি স্লোগান দেন তারা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের এই প্রতীকী মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় প্রদক্ষিণ করছে। আয়োজকরা জানায়, জুলাই আন্দোলনকারীদের “রাজাকার” বলে কটূক্তি করে বক্তব্য দেয়ার ১ বছর আজ, দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে তাদের এই প্রতীকী মিছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে এটি আয়োজন করা হচ্ছে।

আশুলিয়া কলেজ প্রশাসনের ভুলে বিপাকে ১৮৬ এইচএসসি পরীক্ষার্থী
বোর্ড অনুমোদন ছাড়াই পাঠদান ও এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের ঘটনায় সাভারের আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি সমাজকর্ম, পরিসংখ্যান ও ভূগোল বিষয়ে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ১৮৬ জন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন এবং ফরম পূরণ করেছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীরা। সোমবার (১৪ জুলাই) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায়ভার সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষের। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদিত বিষয়ের নাম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশপত্র সংগ্রহ করেছে, অথচ প্রকৃত পাঠদান চলেছে অননুমোদিত তিন বিষয়ে। বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কলেজ কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা শুরুর আগে কোনো ধরণের বিভ্রান্তি বা অসামঞ্জস্য বোর্ডকে জানায়নি। বরং পরীক্ষার প্রথম পাঁচটি বিষয়ের পরীক্ষা শেষে ৯ জুলাই মৌখিকভাবে প্রবেশপত্র সংশোধনের আবেদন জানায়। কিন্তু ততক্ষণে প্রশ্নপত্রগুলো পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হয়ে যাওয়ায় তা আর পরিবর্তনের সুযোগ ছিল না। বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার আওতাধীন আরও ছয়টি কলেজ একই ধরনের অনিয়ম করেছে। তবে সেসব প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল অনেক কম—মোট ২২ জন। এদিকে আশুলিয়া কলেজেই একাই ১৮৬ শিক্ষার্থী এই অনিয়মের শিকার হয়েছেন, যা বিষয়টিকে আরও গুরুতর করে তুলেছে। বোর্ড চেয়ারম্যান ড. এহসানুল কবির সতর্ক করে বলেন, এ ধরনের অনিয়ম শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এবং এর মাধ্যমে একটি নেতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে। এ বিষয়ে শিক্ষা বোর্ড কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এখনো পর্যন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

চীনের তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইবির সমঝোতা স্বাক্ষর
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সঙ্গে হুয়াজং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, উচাং ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং গুইলিন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী আদান-প্রদান, কারিকুলাম উন্নয়ন ও গবেষণায় পারস্পরিক সহযোগিতা এবং যৌথভাবে সেমিনারের আয়োজন করা সম্ভব হবে। সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ইউজিসির নেতৃত্বধীন উচ্চশিক্ষা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে চীন সফর শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এসব তথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। তিনি গত ৬ জুলাই থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত চীন সফর করেন। উপাচার্য বলেন, প্রাথমিকভাবে এই সমঝোতা স্মারক তৈরি করা হয়েছে, পরে আরও সুনির্দিষ্টভাবে করা হবে। এ ছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাইনিজ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স চালু, কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, টিচার্স-স্টুডেন্ট্স এঙ্চেঞ্জ প্রোগ্রাম এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেন চীনে স্কলারশিপ-এর ব্যবস্থা করা যায় সেজন্য কাজ শুরু করা হবে। মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য ড. এম. এয়াকুব আলী, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের পরিচালক প্রফেসর ড. নাছির উদ্দিন মিঝি, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহীনুজ্জামান।

একাদশে ভর্তিতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান কোটা’, বাতিল মুক্তিযোদ্ধা কোটা
সদ্য প্রকাশিত ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিবছরের মতো এবারও একটি ভর্তি নীতিমালা প্রণয়নের পথে রয়েছে। ইতোমধ্যে একটি খসড়া নীতিমালা প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সবচেয়ে আলোচিত পরিবর্তন হতে পারে কোটাব্যবস্থায়। খসড়া নীতিমালায় প্রথমবারের মতো যুক্ত হতে যাচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান কোটা’। এতে ২০২৪ সালের ২৪ জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে আহত কিংবা শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষ সুবিধা সংরক্ষণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, যারা আন্দোলনে আহত অবস্থায় পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন অথবা যাদের পরিবারের সদস্যরা শহীদ হয়েছেন, তাদের জন্য এই কোটা সাময়িকভাবে চালু করা হতে পারে—সম্ভাব্যত দুই থেকে তিন বছরের জন্য। অন্যদিকে, দীর্ঘদিন চালু থাকা মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, স্বাধীনতার প্রায় ৫৫ বছর পর এসে কলেজে মুক্তিযোদ্ধা কোটার আর প্রয়োজনীয়তা নেই। ২০২৪ সালের উচ্চ আদালতের রায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের কোটাও বাতিল হওয়ায়, কলেজ পর্যায়ে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কোটার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অনেক কলেজে সংরক্ষিত এই আসনগুলো খালি থেকে যাচ্ছে। বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী, একাদশ শ্রেণিতে ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি হয় মেধাক্রমে, আর বাকি ৭ শতাংশ ভর্তি করা হয় বিভিন্ন কোটায়। এর মধ্যে ৫ শতাংশ রাখা হয় মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য এবং ২ শতাংশ সংরক্ষিত থাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য। তবে এই ৭ শতাংশ কোটা পুরোপুরি বাতিলের পক্ষে মত দিয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের দুই কর্মকর্তা। তাদের মতে, পোষ্য কোটা ও মন্ত্রণালয় কর্মকর্তাদের সন্তানের কোটা নিয়েও রয়েছে সমালোচনা। একজন বোর্ড পর্যবেক্ষক জানান, স্কুলে ভর্তির সময় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ অংশগ্রহণকারীদের জন্য প্রতিটি শ্রেণিতে একটি করে অতিরিক্ত আসন সংরক্ষণের নিয়ম চালু ছিল। কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রেও একই ধারা অনুসরণ করা হবে কি না, তা নির্ভর করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ওপর। চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাস করেছেন ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন শিক্ষার্থী। বিপরীতে সারাদেশে ৯ হাজার ১৮১টি কলেজ ও আলিম মাদরাসায় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনুমোদিত আসন রয়েছে প্রায় ২২ লাখ। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিকে রয়েছে আরও ২ লাখ ৪১ হাজার এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে প্রায় ৯ লাখ আসনসহ মোট আসনের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩৩ লাখ। ফলে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের সবাই ভর্তি হলেও আসন শূন্য থাকবে প্রায় ২০ লাখের বেশি। এ প্রসঙ্গে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, “কলেজে আসন সংকট হবে না। তবে সমস্যা হলো—শিক্ষার্থীরা হাতেগোনা কয়েকটি কলেজে ভর্তি হতে চায়। এতে প্রতিযোগিতা বাড়ে, আবার অনেক কলেজ শিক্ষার্থী পায় না। আমরা চেষ্টা করছি, সব কলেজে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে। যেসব কলেজে পাঠদানের মান ভালো নয় কিংবা শিক্ষার্থী পাচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাদের অনুমোদন বাতিল করা হবে।” আগামী ১৩ জুলাই রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত নীতিমালা অনুমোদনের লক্ষ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই নির্ধারিত হবে—চলতি শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালায় কোটাব্যবস্থার চূড়ান্ত রূপরেখা।

চাঁদা দাবির অভিযোগে চবি ছাত্রদলের সাবেক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রদলের সাবেক অর্থ সম্পাদক মো. হাসানকে চাঁদা দাবির অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে সংগঠনটির শাখা কমিটি। শুক্রবার (১১ জুলাই) ছাত্রদল চবি শাখার সভাপতি আলাউদ্দীন মহসিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মো. হাসান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় দায়িত্বশীল পদে থেকে দীর্ঘদিন সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ প্রেক্ষিতে তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে যে, কেন তার বিরুদ্ধে স্থায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না। ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ স্পষ্ট করে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না পেলে তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ও অপ্রত্যাহারযোগ্য সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জানা গেছে, গত ২৬ জুন চবির প্রকৌশল দপ্তরের এক কর্মচারীকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে ডেকে নিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠে হাসানের বিরুদ্ধে। এর আগে ১৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্দ করা কাঠ উদ্ধারের নাম করে এক ব্যবসায়ীর কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করার কথাও উঠে আসে। অভিযোগ অস্বীকার করে মো. হাসান গণমাধ্যমকে জানান, একটি পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ফরহাদের (ভুক্তভোগী কর্মচারী) সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন তিনি। পরে উভয়পক্ষ বিষয়টি মীমাংসা করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাই তারা চলে আসেন। চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর হাসানকে শোকজ করা হয়েছে। তাকে তার অবস্থান পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে। এরপর তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল, শিক্ষার্থীর মাথায় হাত
শিক্ষাবর্ষ ছিল ২০২২-২৩, পরীক্ষাও দিয়েছিল ২০২৪ সালে। ১৪ বিষয়ের মধ্যে পরীক্ষায় একটি বিষয় গণিতে অকৃতকার্য হয়। দীর্ঘ এক বছর অপেক্ষা করে ২০২৫ সালে এসে আবার সেই গণিত বিষয়ে পরীক্ষা দেয়। অনলাইনে ওই একটি বিষয়ের রেজাল্ট বের করার সময় দেখে হঠাৎ দুটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। এটি দেখে শিক্ষার্থী অবাক। এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার শ্রীকর্ণদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জিৎ চন্দ্র মোহন্তর। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় একটি দারুণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীকর্ণদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ে জিৎ চন্দ্র ২০২২ সালে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করেন। নমব শ্রেণি পাস করার পর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ২০২৪ সালে অংশগ্রহণ করেন। সেই বর্ষে তিনি ১৪টি বিষয়ে পরীক্ষা দেন। রেজাল্টে তার একটি বিষয় ফেল আসে। দীর্ঘ এক বছর আবারও পড়াশোনা করে ফেল করা গণিত বিষয়ে চলতি বছর ২০২৫ সালে এসে পুনরায় পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। অনলাইনে রেজাল্ট দেখতে গিয়ে দেখেন তার দুটি বিষয়ে ফেল এসেছে। এদিকে এডমিট কার্ডে একটি গণিত বিষয় উল্লেখ রয়েছে। কারিগরি বোর্ড কর্তৃপক্ষের এমন রেজাল্টে ওই শিক্ষার্থী ও তার পরিবার হতভম্ব হয়ে পড়ছেন। শ্রীকর্ণদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিন বলেন, আমিও বিষয়টি শুনছি। আরও ২ শিক্ষার্থীর সঙ্গে এরকম ঘটনা ঘটেছে। আমার স্কুলের কারিগরি শাখার শিক্ষক ওরম ফারুকের সঙ্গে কথা বলেছি। যেহেতু কৃষি ফোর্থ সাবজেক্ট কোনো সমস্যা হবে না। গণিতে পাস করলে অটোমেটিক পাস হবে।

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীর নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল কম্পাউন্ডে চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে প্রকাশ্যে হত্যা এবং দেশে বিএনপির চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ঢাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পাড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ভিসি চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে পরিণত হয়। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘যুবদলের সন্ত্রাস, রুখে দেবে ছাত্রসমাজ’, ‘বিএনপির সন্ত্রাসেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ সহ নানা স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, মিটফোর্ড এলাকায় যুবদলের নেতাকর্মীরা ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে এবং হত্যার পর তার লাশের ওপর বর্বরভাবে নাচাহুঁশিয়ারি করেছে। ঢাবি শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, “৫ আগস্টের পর থেকে আমরা দেশের উন্নয়নে কাজ করছি, কিন্তু একটি দল তা বাধাগ্রস্ত করছে। সোহাগ হত্যার ভয়াবহ ভিডিও সামনে এসেছে যেখানে স্পষ্ট যে, বিএনপি’র চাঁদাবাজি মেনে না নেয়ায় এক ব্যবসায়ীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এটি আমাদের জন্য এক ভয়াবহ সংকেত যে আমরা আবার নৃশংসতার যুগে ফিরেছি।” তিনি আরও বলেন, “দেশজুড়ে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি, ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এই সন্ত্রাসীদের পেছনে লন্ডন থেকে ফোনে তাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশ আসছে।” বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, “আমরা সোহাগ হত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এই চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচার চাই। বিগত দশ মাসে বিএনপি’র হাতে শতাধিক হত্যা ঘটেছে। তাদের বিচার না হলে দেশ অস্থিতিশীল থাকবে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হবে না।”

জামালপুরের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসিতে অংশ নেন একজন, করলেন ফেল
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রবাজ হুসনারা ওসমানী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় মাত্র একজন শিক্ষার্থী। তবে দুঃখজনকভাবে সেই শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি, ফলে প্রতিষ্ঠানটি শূন্য পাসের তালিকায় যুক্ত হয়েছে। বিদ্যালয়ের একমাত্র পরীক্ষার্থীর ব্যর্থতা প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক শৈক্ষিক দুরবস্থার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আফসানা তাসলিম বলেন, “মাত্র একজন পরীক্ষার্থী থাকলেও তার ফলাফল হতাশাজনক। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিশেষ নজরদারি চালাব এবং ব্যর্থতার পেছনের কারণ খুঁজে দেখা হবে।” জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জামালপুর জেলায় এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় মোট ২৫ হাজার ৯৭৭ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ১৫ হাজার ৬৩৬ জন, যা ৬০.১৯ শতাংশ পাসের হার নির্দেশ করে। উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন জামালপুর জেলা এবার পাসের হারে অন্যান্য উপজেলার তুলনায় শীর্ষে।

গণিতের কারণে কুমিল্লা বোর্ডে ফল বিপর্যয়: বোর্ড চেয়ারম্যান
গণিতে ফলাফল বিপর্যয়ের কারণে এবছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ ৫ কমেছে। তবে শিক্ষা বোর্ড থেকে বলা হচ্ছে বিগত সালের থেকে এবার পরীক্ষা গুণগত ও মানসম্পন্ন হয়েছে। এই বোর্ডে এবার এসএসসিতে পাসের হার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। সে হিসাবে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ ৫ এর সংখ্যা। গত বছরের পরীক্ষায় এ বোর্ডে জিপিএ ৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ১০০ জন এ বছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৯০২ জন পরীক্ষার্থী। গত বছরের মতো এবারও ছেলেদের তুলনায় সাফল্যে এগিয়ে মেয়েরা। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টায় সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. শামছুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সচিব প্রফেসর খন্দকার ছাদেকুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর রুনা নাছরীন, উপ-পরিচালক (হিসাব ও নিরীক্ষা) মোহাম্মদ শাহজাহান, উপ-সচিব (প্রশাসন) মাসুম মিল্লাত মজুমদার, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মো. কবির উদ্দিন আহমেদ ও উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (সনদ) কাজী আপন তিবরানী। চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. শামছুল ইসলাম জানান, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী- এই ছয় জেলার ১ হাজার ৭৯৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৭২ পরীক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে মেয়ে ৭৯ হাজার ৭৩৪ জন এবং ছেলে ৬৯ হাজার ৮৩৮ জন। এদের মধ্যে পাস করেছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৮১ জন। মোট পাসের হার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। এ বছর জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৯০২ জন। জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছেলে ৪ হাজার ৪০৭ জন। আর মেয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৪৯৫ জন। এবছর পরীক্ষা চলাকালীন বিভিন্ন কারণে ৪৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. শামছুল ইসলাম বলেন, এ বছর ফেল করা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই গণিতে খারাপ করেছে। যার কারণে বোর্ডের ফলাফল কিছুটা খারাপ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিগত সাল থেকে এবার পরীক্ষা গুণগত ও মানসম্পন্ন হয়েছে। সে কারণে কিছুটা প্রভাব পড়েছে।

'যে ফল হয়েছে সেটিই প্রকৃত, বাড়তি নম্বর দেওয়ার সুযোগ নেই'
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর কোনো ধরনের বাড়তি নম্বর বা বিশেষ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে সেটিই প্রকৃত এবং স্বচ্ছ। কাউকে অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার কথা বলা হয়নি। এবারের ফলে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত অবস্থারই প্রতিফলন ঘটেছে।' তিনি আরও জানান,'আগে কীভাবে ফলাফল তৈরি হতো তা নিয়ে মন্তব্য করব না। তবে এবার ফল তৈরিতে কোনো ধরনের প্রভাব বা চাপ ছিল না। উচ্চমহল থেকে নির্দেশ ছিল, বাস্তব মূল্যায়নের ভিত্তিতেই ফল প্রকাশ করতে হবে। পরীক্ষকদের সেভাবেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।' এবারে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ৬৮.৪৫ শতাংশ। পরীক্ষায় ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছেন ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী। চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১০ এপ্রিল এবং শেষ হয় ১৩ মে। দেশের ৩ হাজার ৭১৫টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মাত্র দুই মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

দেশজুড়ে ১৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল, কমেছে এসএসসি পাসের হার
২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দেশের ১৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। অর্থাৎ এইসব প্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টায় প্রকাশিত ফলাফলের বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে। গত বছর এমন প্রতিষ্ঠান ছিল মাত্র ৫১টি। তুলনামূলকভাবে এ বছর শূন্য পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যেখানে গত বছর (২০২৪ সালে) এই হার ছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। ফলে এক বছরের ব্যবধানে পাসের হারে ১৪ শতাংশের বেশি হ্রাস পাওয়া গেল। ছাত্রীদের সাফল্য এবারও ছেলেদের তুলনায় বেশি। চলতি বছর ছাত্রীরা গড় ৭১.০৩ শতাংশ হারে পাস করেছে, আর ছেলেদের পাসের হার ৬৫.৮৮ শতাংশ। এর ফলে টানা ১০ বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হারে এগিয়ে রইল ছাত্রীরা।

রংপুর বিভাগের ১৩ বিদ্যালয়ে পাস করেনি কেউ
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৩টি বিদ্যালয় থেকে কোনো শিক্ষার্থীই উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৯৮ জন শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মীর সাজ্জাদ আলীর পাঠানো পরিসংখ্যানে এই তথ্য জানা গেছে। শূন্য পাস করা বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে রংপুরের রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও ছোট উজিরপুর উচ্চবিদ্যালয়; গাইবান্ধার গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয় ও বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়; নীলফামারীর শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়; কুড়িগ্রামের পূর্ব কুমারপুর ও পায়রাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়; দিনাজপুরের সাত কামার উচ্চ বিদ্যালয়; ঠাকুরগাঁওয়ের সানুয়া ও জগন্নাথপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং পঞ্চগড়ের ডাবর ভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়। চলতি বছর দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে মোট ১ লাখ ৮২ হাজার ৪১০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়, যার মধ্যে ১ লাখ ২২ হাজার ১৪৬ জন পাস করেছে। ফেল করেছে ৬০ হাজার ৮৮ জন, পাসের হার ৬৭.০৩ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় এ বছর বোর্ডের সামগ্রিক ফলাফলে পিছিয়ে পড়েছে দিনাজপুর। ২০২৪ সালে যেখানে পাসের হার ছিল ৭৮.৪৩ শতাংশ, এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৭.০৩ শতাংশে। একইসঙ্গে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে গত বছর যেখানে ১৮ হাজার ১০৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল, এবার তা নেমে এসেছে ১৫ হাজার ৬২ জনে।

এসএসসিতে ফেল করেছে ৬ লাখ ৬৬০ শিক্ষার্থী
২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৬ লাখ ৬৬০ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এর মধ্যে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭১৬ জন ছাত্র এবং ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪৪ জন ছাত্রী রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার এহসানুল কবির। তিনি জানান, দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে মোট ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন পরীক্ষায় পাস করেছে, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৬৮.৪৫ শতাংশ।

এসএসসিতে জিপিএ-৫ এগিয়ে মেয়েরা
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মেয়েরা ফলাফলে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। সারাদেশে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে, এর মধ্যে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে ৮ হাজার ২০০ জন বেশি সর্বোচ্চ গ্রেড অর্জন করেছে। একই সঙ্গে গড় পাসের হারেও ছাত্রীদের অগ্রাধিকার লক্ষ করা গেছে পাসের হারে মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে ৩.৭৯ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ বোর্ড ছাড়াও মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফলাফল প্রকাশ করে। এবার ফল প্রকাশ উপলক্ষে কোনো আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ: পাসের হার কমে ৬৮.৪৫%
২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে সম্মিলিত গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৬৮.৪৫ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ১৪.৫৯ শতাংশ কম। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এই ১১টি বোর্ড একযোগে নিজ নিজ পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করে। ফল প্রকাশ উপলক্ষে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়নি। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী। যেভাবে জানা যাচ্ছে এসএসসি পরীক্ষার ফল শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটের www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে ফল দেখা যাবে। এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। সে ক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। খাতা চ্যালেঞ্জ: ফলে সন্তুষ্ট না হওয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিবারের মতো এবারও খাতা চ্যালেঞ্জ বা ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদনের সুযোগ পাবে। খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে ১১ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। আবেদনের পদ্ধতি শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও টেলিটকের মাধ্যমে জানা যাবে। পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করার নিয়ম—রেজিস্ট্রেশন নম্বর <স্পেস> বোর্ডের নাম (ইংরেজি প্রথম তিন অক্ষর) <স্পেস> রোল নম্বর <স্পেস> বিষয় কোড লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। একাধিক সাবজেক্ট কোডের ক্ষেত্রে কমা (,) ব্যবহার করতে হবে, যেমন—১০১, ১০২, ১০৩।

এসএসসির ফল প্রকাশ আজ, দেখবেন যেভাবে
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হবে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টায় ১১টি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফল প্রকাশ করবে। এর আগে বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হচ্ছে। তবে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার জানান, এবার ফল নিজেদের ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত সময়েই প্রকাশ করবে। ফল হস্তান্তরের জন্য কোনো আলাদা অনুষ্ঠান বা মন্ত্রী পর্যায়ের উপস্থিতি থাকছে না। ফল প্রকাশে অহেতুক জাঁকজমক নয়, গুরুত্ব পাচ্ছে স্বচ্ছতা। এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ফল নিজেদের মতো করে প্রকাশ করবে। দুপুর ২টায় পর শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট এবং সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল দেখতে পারবে। পুনর্নিরীক্ষণের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে ১১ জুলাই থেকে ১৭ জুলাইয়ের পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। যেভাবে ফল জানা যাবে : শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটের www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে ফল দেখা যাবে। এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। সে ক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। খাতা চ্যালেঞ্জ : ফলে সন্তুষ্ট না হওয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিবারের মতো এবারও খাতা চ্যালেঞ্জ বা ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদনের সুযোগ পাবে। খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে ১১ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। আবেদনের পদ্ধতি শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও টেলিটকের মাধ্যমে জানা যাবে। পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করার নিয়ম—রেজিস্ট্রেশন নম্বর <স্পেস> বোর্ডের নাম (ইংরেজি প্রথম তিন অক্ষর) <স্পেস> রোল নম্বর <স্পেস> বিষয় কোড লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। একাধিক সাবজেক্ট কোডের ক্ষেত্রে কমা (,) ব্যবহার করতে হবে, যেমন—১০১, ১০২, ১০৩।

কুমিল্লা বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) রাত পৌনে ১০টায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর রুনা নাছরীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হবে।বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টায় ১১টি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফল প্রকাশ করবে। এর আগে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। যেভাবে ফল জানা যাবে: শিক্ষার্থীরা www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফল জানতে পারবে। সেজন্য প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের বোর্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে ইআইআইএন নম্বর ব্যবহার করে ‘রেজাল্ট কর্নার’ থেকে ফল ডাউনলোড করতে হবে। একই সঙ্গে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও ফল সংগ্রহ করা যাবে। এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে টেলিটক সিম ব্যবহার করে ১৬২২২ শর্টকোডে নির্ধারিত ফরম্যাটে বার্তা পাঠিয়ে ফল জানা যাবে। খাতা চ্যালেঞ্জ করা যাবে ১১ জুলাই থেকে টেলিটকে:ফলে সন্তুষ্ট না হওয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিবারের মতো এবারও খাতা চ্যালেঞ্জ বা ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদনের সুযোগ পাবে। খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে ১১ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। আবেদনের পদ্ধতি শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও টেলিটকের মাধ্যমে জানা যাবে। পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করার নিয়ম: রেজিস্ট্রেশন নম্বর <স্পেস> বোর্ডের নাম (ইংরেজি প্রথম তিন অক্ষর) <স্পেস> রোল নম্বর <স্পেস> বিষয় কোড লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। একাধিক সাবজেক্ট কোডের ক্ষেত্রে কমা (,) ব্যবহার করতে হবে, যেমন- ১০১, ১০২, ১০৩।

না ফেরার দেশে ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আহসানুর রহমান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আহসানুর রহমান (২২) মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (৭ জুলাই) রাত ৯টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৬ জুলাই) রাতে হঠাৎ ব্রেন স্ট্রোক করেন আহসান। এতে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় এবং শরীরের বাম অংশ অবশ হয়ে যায়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নরসিংদী জেলার বাসিন্দা আহসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মৃত্যুর খবরটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান নিশ্চিত করেছেন।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ১০ জুলাই
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আগামী বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশ করা হবে। সোমবার (৭ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির তথ্যমতে, এবার সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে অংশ নেন ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। আর কারিগরি বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। এর আগে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা দুই মাসের রোডম্যাপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। ২৫ মে থেকে ফল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। উত্তরপত্র মূল্যায়ন হয়ে নম্বর আসা শুরু হয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যে ফল প্রকাশের লক্ষ্যে কর্মযজ্ঞ চলছে। শিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, প্রকৃত ফলাফল প্রকাশে সময়সূচিতে সামান্য সামঞ্জস্য থাকতে পারে। ফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা মোবাইল ও বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফল দেখতে পারবে। পরবর্তীকালে পুনর্মূল্যায়নের আবেদনও গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে, তত্ত্বীয় এবং ব্যবহারিক পরীক্ষার মাধ্যমে ২২ মে পর্যন্ত কার্যক্রম চলেছে। এবার প্রায় ১৯ লাখ ২৮ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।

পাঠ্যপুস্তকে ভুল সংশোধন: শিক্ষকদের পরামর্শ চাইল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে বিদ্যমান ভুল, অসংগতি এবং পরিমার্জনের প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করতে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সুপারিশ চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর ওপর পর্যালোচনা করে নির্ধারিত ছক ও নির্দেশনা অনুসারে সুপারিশ পাঠাতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাঠ্যপুস্তককে আরও যথাযথ, নির্ভুল ও আধুনিক করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিক্ষকরা এই সুপারিশ সোমবারের (৭ জুলাই) মধ্যে হার্ডকপি ও সফট কপিতে (নিকোশব্যান, ১২ ফন্ট) ই-মেইলের মাধ্যমে ([email protected])- এই ঠিকানায় পাঠাতে পারবেন। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা এক অফিস আদেশ সূত্রে জানা গেছে, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ইসলাম শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম, কৃষিশিক্ষা, গার্হস্থ্যবিজ্ঞান এবং শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রচলিত পাঠ্যপুস্তকসমূহ পর্যালোচনা করে সংশোধনের জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংশোধনের প্রস্তাবে অধ্যায়, পৃষ্ঠা, লাইনের সুনির্দিষ্ট তথ্য, কীভাবে লেখা আছে এবং কীভাবে সংশোধনের প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে, তা যুক্তিসহ তুলে ধরতে হবে। পরিমার্জনের ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২ অনুসারে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিখনফলের আলোকে সুপারিশ দিতে হবে। একই সঙ্গে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের খসড়া পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনার পরামর্শও দেয়া হয়েছে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা কিংবা পেশা সংক্রান্ত কোনো বৈষম্যমূলক শব্দ, বাক্য, তথ্য কিংবা ছবি থাকলে তা চিহ্নিত করে সুস্পষ্টভাবে সংশোধনের প্রস্তাব দিতে হবে। পাঠ্যপুস্তকে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, দেশপ্রেম, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ ও জাতীয় চেতনাবিরোধী কোনো উপাদান থাকলে সেগুলোও সংশোধনের জন্য উপস্থাপন করতে হবে। পর্যালোচনার সময় তথ্যসূত্র যাচাই করে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্য হালনাগাদ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলা একাডেমি প্রণীত বাংলা বানান অভিধান অনুসারে প্রয়োজনে বানান সংশোধনের প্রস্তাব দিতেও বলা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের মূল কাঠামো অপরিবর্তিত রেখে কেবল ভুল সংশোধনের জন্য প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে। ছক অনুযায়ী সুপারিশের বাইরেও যদি কোনো মতামত বা পরামর্শ থাকে, সেগুলো আলাদা কাগজে নাম ও সইসহ সফট কপিতে পাঠাতে বলা হয়েছে।

নকল করলেই ৪ বছর পরীক্ষা দিতে পারবেন না শিক্ষার্থীরা
অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষাকে সামনে রেখে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নকল বা কোনো ধরনের অসদুপায় অবলম্বন করলে পরীক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ চার বছর পর্যন্ত পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়েছে। শনিবার (৫ জুলাই) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. এনামুল করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্বে অবহেলা, ইনভিজিলেটরদের অসতর্কতা, প্রশ্ন ও উত্তরপত্র ব্যবস্থাপনায় অনিয়মসহ বেশকিছু গুরুতর সমস্যা পরিলক্ষিত হয়েছে। এ কারণে পরীক্ষার স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে একাধিক কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষার সময় দূষণীয় কাগজপত্র ব্যবহার, মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে নকল করা, প্রশ্ন বা উত্তরপত্র বিনিময়, রোল নম্বর পালটানো কিংবা পরীক্ষা কক্ষের ভেতরে বা বাইরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার ফল বাতিলের পাশাপাশি সর্বোচ্চ চার বছর পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হতে পারে। এতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ‘পরীক্ষা শৃঙ্খলাবিধি’ অনুযায়ী, অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী পাঁচটি স্তরে শাস্তি দেওয়া হবে। এর মধ্যে সাধারণ নকল বা অননুমোদিত কাগজপত্র ব্যবহার করলে সেই বছরের পরীক্ষা বাতিলের পাশাপাশি পরবর্তী এক বছর পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। অন্যদিকে, জাল পরিচয় ব্যবহার, উত্তরপত্র পাচার বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে অসদাচরণ বা শারীরিক আক্রমণের মতো গুরুতর অপরাধে পরবর্তী চার বছর পর্যন্ত পরীক্ষার সুযোগ হারাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী। শুধু পরীক্ষার্থী নয়, ইনভিজিলেটরদের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

রুয়েটে তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে নগরীর তালাইমারি মোড়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি, ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড সম্মান পদে প্রবেশের জন্য সবার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং অবশ্যই বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি থাকতে হবে। টেকনিক্যাল দশম গ্রেড সম্মান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে যাদের ডিপ্লোমা ও বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী সবাইকে সমান পরীক্ষার সুযোগ পান। বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ছাড়া কেউ ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহার করতে পারবে না এজন্য আইন পাস করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। এছাড়াও নানা বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে তারা বলেন, বর্তমানে পিডিবিতে এই পদে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার রয়েছে ৬২ দশমিক ৭ শতাংশ আর ডিপ্লোমা থেকে প্রমোশন প্রাপ্ত রয়েছে ৩৭ দশমিক ২ শতাংশ, এরপরও ডিপ্লোমা রা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাবি করছে। সরকারি প্রকৌশল বিভাগে অনুমোদিত কোটা ছিল ৩৩ শতাংশ কিন্তু বাস্তবে প্রমোশন দেওয়া হয়েছে ৫১ দশমিক ছয় শতাংশ যা অনুমোদিত নয়। বিসিএস এর মতো সর্বোচ্চ মেধাবিতিক নিয়োগেও ২০২৪ সালে গণপূর্ত ক্যাডারে প্রকৌশলীদের সংখ্যা মাত্র ২৫ জন। অন্যদিকে ২০২৪ সালে প্রমোশন প্রাপ্ত প্রকৌশলীর সংখ্যা ১৯ জন ৩৩ দশমিক ৩ শতাংশ নয় বেড়ে হয়েছে ৪৩ শতাংশ, কোটার সীমা লঙ্ঘন। আন্দোলনকারীরা বলছেন, বৈষম্যগুলো দূর করা হলে প্রকৌশল পেশায় মেধাবৃত্তিক নিয়োগ ও পদোন্নতি নিশ্চিত হবে ইঞ্জিনিয়ার শব্দের অপব্যবহার বন্ধ হবে এবং প্রকৃত পেশাগত মর্যাদা প্রতিষ্ঠা পাবে। কর্মসূচিতে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর অংশ নেয়।