রেকর্ড দাম বেড়ে স্বর্ণের ভরি পৌনে দুই লাখ ছাড়াল

দেশের বাজারে আবারও রেকর্ড গড়েছে স্বর্ণের দাম। এক লাফে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৫ হাজার ৩৪২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা এর আগে ছিল ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা।মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। আগামীকাল বুধবার (২৩ এপ্রিল) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকা। এছাড়াও ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২০ হাজার ৫১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। এর আগে, দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা নিধারণ করা ছিল। এছাড়াও ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪১ হাজার ১৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ টাকা বিক্রি হয়ে আসছিল।স্বর্ণের দাম বাড়লেও হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা।

ভবদহ সমস্যা সমাধানে তিন নদী খনন করবে সেনাবাহিনী: রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘যশোরের দুঃখ ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের কাজ শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই লক্ষ্যে সেনাবাহিনী হরি, ভদ্রা ও আপারভদ্রা এই তিন নদী খনন করবে।’ মঙ্গলবার দুপুরে জলাবদ্ধ ভবদহ এলাকা পরিদর্শনে এসে তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় এ কথা বলেন। স্থানীয় ভবদহ কলেজ মাঠে ব্রিফিংকালে তিনি ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজমসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ব্রিফিংয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘প্রায় চিরস্থায়ী হয়ে ওঠা ভবদহ সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা যাবে না। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ শুরু করেছে। এই কাজ দীর্ঘমেয়াদি হবে। স্বল্পকালীন সমাধান হিসেবে আমডাঙ্গা খাল খনন করে পানি বের করা হয়েছে। এর ফলে অনাবাদী থাকা ২০ হাজার হেক্টরের মধ্যে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে এবার বোরো চাষ হয়েছে। এই খাল আরও চওড়া করে খনন করা হবে। এতে আশা করা যায়, অনাবাদী জমি কমে আসবে।’ হাওর অঞ্চলের মতো ভবদহ এলাকার জন্যও স্থায়ী বরাদ্দ রাখা যায় কিনা তা বিবেচনায় নেওয়া হবে জানিয়ে উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, ‘সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলা শুরু হয়েছে। শেষে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে সবার জন্য ভালো হয়, এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এদিকে, ভবদহ জলাবদ্ধতা এলাকার প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে– উপদেষ্টা রেজওয়ানা চৌধুরী এই বক্তব্য দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ জানান সেখানে উপস্থিত কয়েকজন কৃষক। তাদের দাবি, পানি উন্নয়ন বোর্ড উপদেষ্টার কাছে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছে। তাদের এই এলাকায় জল নেমে যাওয়া জমির শতকরা ২০ শতাংশ জমিতে ধান হয়েছে। তিন উপদেষ্টাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আগমনের খবরে ভবদহের ২১ ভেন্ট স্লুইসগেটের কাছে জড়ো হন ভুক্তভোগীরা। তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাদ দিয়ে জোয়ারাধার বা টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) চালু করার দাবি করেন। একপর্যায়ে ৩০-৩৫ জনের একদল লোক টিআরএম বাস্তবায়নের বিরোধিতা করে স্লোগান দিতে দিতে ভবদহ বাজারে আসেন। এই সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। স্থানীয়রা জানান, টিআরএমের বিরোধিতাকারীরা মূলত মাছের ঘের মালিকদের ভাড়া করা লোক। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কয়েক ব্যক্তি সাংবাদিকদের কাছে তা স্বীকারও করেন। এর আগে সকালে তিন উপদেষ্টা হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে যশোরের অভয়নগরে আসেন। সেখানে তারা বোরো ধান কাটা উৎসবে যোগ দেন। দুপুরে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা যশোর কালেক্টরেট সভাকক্ষে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ জন সৈন্য নেবে কাতার: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, কুয়েতের মতো কাতারও বাংলাদেশ থেকে সৈন্য নেবে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাতারের দোহাতে আর্থনা সামিটের সাইডলাইনে হওয়া বৈঠকে একথা কাতার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি। শফিকুল আলম বলেন, গালফ যুদ্ধের সময় থেকেই কুয়েতে আমাদের সৈন্যরা (বাংলাদেশের) দায়িত্ব পালন করছেন। কাতার আমাদের জানিয়েছে, তারাও বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ জন সৈন্য নেবে। স্থায়ীভাবে প্রতি ৩ বছর পরপর একটা ব্যাচ আসবে। আমরা চাইছি যেন এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১৬০০ বা আরও বেশি যাতে করা যায়। আমাদের সামরিক সচিব এবং এসএসএফ প্রধান আমাকে আজ সকালে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এখানে একজন সৈন্যের প্রারম্ভিক বেতন আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকার মতো। আমরা আশা করি, দুই মাসের মধ্যে পাঠাতে পারবো। এছাড়া আরও ইস্যু আছে, আমরা কাতারে আরও বেশি শ্রমিক পাঠাতে চাই। আজকে আরেকটা বড় মিটিং আছে কাতারের জ্বালানিমন্ত্রীর সঙ্গে। কাতার হচ্ছে পৃথিবীতে এলএনজি’র জন্য এক নম্বর দেশ। কাতারের সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তি আছে। এটা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি কিন্তু আমরা চাইছি আরও অনেক বেশি এলএনজি আমদানি করতে। কারণ প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগকারী আমাদের জানাচ্ছে যে, তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। দেশে থাকা ৬০০ প্রতিষ্ঠানই নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করেছে। আমাদের নিজস্ব গ্যাস তো কমে যাচ্ছে। সরকার কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুন্দর করতে চাইছে, যাতে করে এলএনজি আরও ভালো মূল্যে পাওয়া যায়, জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘কাতারের কাছে পতিত স্বৈরাচার প্রচুর টাকা দেনা রেখে গেছে। কয়েকশত মিলিয়ন দেনা তারা দেয়নি। এতে দেখা গেছে, কাতারের সঙ্গে এক ধরনের দূরত্ব তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল। আমাদের সরকার এসে পুরো টাকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এখন বোধহয় ৩৭ মিলিয়ন ডলারের মতো দেনা আছে। কালকে (বুধবার) বা এই সপ্তাহের মধ্যে পুরো টাকা পরিশোধ করা হবে।’

ফিলিস্তিনের মানবিক দুর্ভোগ শুধু একটি অঞ্চলের নয়, মানবতার বিষয়

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানবাধিকারের প্রতি অবজ্ঞা এবং বিচারহীনতা যেকোনো উন্নয়নের পথে বড় হুমকি। ফিলিস্তিনে চলমান মানবিক দুর্ভোগ শুধু একটি অঞ্চলের বিষয় নয়, এটি মানবতার বিষয়। তিনি বলেন, সংকটময় বিশ্বে যুদ্ধ ও সংঘাত মানুষের অধিকারকে খর্ব করে এবং অর্থনীতিকে ধ্বংস করে। টেকসই উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। ফিলিস্তিন থেকে শুরু করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকটকে বিশ্ব যেন উপেক্ষা না করে। মঙ্গলবার (২২এপ্রিল) কাতারের রাজধানী দোহায় কাতার ফাউন্ডেশন আয়োজিত আর্থনা সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নারী ও তরুণদের ক্ষমতায়নের জন্য অর্থনৈতিক প্রবেশাধিকার, টেকসই উন্নয়ন ও সুশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সত্যিকার অর্থে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তুলতে হলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তাদের কণ্ঠস্বরকে শ্রবণযোগ্য করতে হবে এবং তাদের পছন্দ ও সিদ্ধান্তের স্বাধীনতা দিতে হবে। তিনি বলেন, আর্থনা সামিটের মতো উদ্যোগ উদ্ভাবন, ঐতিহ্য এবং অংশীদারত্বের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট, সামাজিক বৈষম্য এবং কাজের ভবিষ্যতের মতো জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারে। সামাজিক ব্যবসার ভিত্তিতে (শূন্য বর্জ্য, শূন্য কার্বন এবং শূন্য ব্যক্তিগত মুনাফার ওপর ভিত্তি করে) একটি নতুন জীবনধারা তৈরি করতে হবে।

জাতীয়

কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবির সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দোহায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের বিরতিতে এক বৈঠকে মিলিত হন তারা। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।এর আগে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কাতারের আমিরের মা এবং কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন শেখ মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গে বৈঠক করেন।শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টের চেয়ারপারসন শেখ থানি বিন হামাদ বিন খলিফা আল-থানির সঙ্গেও এক বৈঠকে যোগ দেন।এছাড়া তিনি কাতার চ্যারিটির আন্তর্জাতিক অপারেশনস সেক্টরের সহকারী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নওয়াফ আবদুল্লাহ আল হাম্মাদির সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।অধ্যাপক ইউনূস ‘আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন-২০২৫’ এ যোগদানের জন্য চার দিনের সফরে এখন কাতারে অবস্থান করছেন।সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪০ মিনিটে হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম অধ্যাপক ইউনূসকে অভ্যর্থনা জানান।এর আগে তিনি সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় (ঢাকার সময়) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দোহার উদ্দেশ্যে রওনা হন।

মহানবীকে ‘কটূক্তিকারী’ বিধান বাবু পুলিশ হেফাজতে, থামল শ্রমিক বিক্ষোভ

হাইলাইটস
রাজনীতি

বিএনপিকে হিংসা করছেন কার কথায়, প্রধান উপদেষ্টাকে ফারুক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, বিএনপিকে কার কথায় হিংসা করছেন? আমরা হিংসা করি না, হিংসার রাজনীতি বিএনপি করে না। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, যে সরকার (আওয়ামী লীগ) আপনাকে মামলার আসামি বানিয়েছে, আদালতে হাঁটিয়ে নিয়ে গেছে, সেই সরকারকে এখন সহ্য করছেন। কিন্তু বিএনপির বিরুদ্ধে হিংসা করছেন কেন? তিনি বলেন, আমরা হিংসা করি না, হিংসার রাজনীতি বিএনপি করে না। অথচ এখনো আমাদের আন্দোলনকে হিংসাত্মক আখ্যা দিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, নোবেলজয়ী গ্রামীণ ব্যাংককে সংসদে হেয় করেছেন শেখ হাসিনা। আপনাকে অপমান করেছে সরকার। আর আপনি সেই সরকারের হয়ে এখন কথা বলছেন। আওয়ামী লীগের দোসররা আপনার চারপাশে সক্রিয়, এদের বিষয়ে সতর্ক থাকুন। এসময় শেখ হাসিনার সমালোচনা করে ফারুক বলেন, আপনি (শেখ হাসিনা) হিংসা করে খালেদা জিয়াকে জেলে রেখেছেন। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসকের কাছে পর্যন্ত যেতে দেননি। অমানবিকতা আর প্রতিহিংসার এক জ্বলন্ত উদাহরণ আপনার সরকার। তিনি প্রশ্ন তোলেন, টিউলিপ যদি নিজেকে বাংলাদেশি না বলেন, তবে আপনি কীভাবে তাকে নাগরিকত্ব, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জমি দিলেন? এসব কীভাবে সম্ভব হয়? অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী নবীন দলের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তালুকদার। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু ও দলের নেতাকর্মীরা।

ফ্যাসিবাদবিরোধী সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ার পথে প্রিন্স

সারাদেশ

তেলোয়াত করতে করতে মসজিদেই যুবকের মৃত্যু

নীলফামারীর ডোমারে মসজিদের ভেতরেই কোরআন তেলোয়াতরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন এক যুবক।মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার জামিরবাড়ী পাটোয়ারীপাড়া জামে মসজিদে ফজরের নামাজ শেষে এ ঘটনা ঘটে।নিহত সাজু ইসলাম (২২) জামিরবাড়ী পাটোয়ারী পাড়ার মমিনুর রহমানের ছেলে। মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রাকিব বলেন, ফজরের নামাজ শেষে কোরআন তিলাওয়াত করছিলেন সাজু। হঠাৎ তিনি পড়ে যান এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই নিস্তেজ হয়ে পড়েন। পরে নিশ্চিত হওয়া যায় তিনি মারা গেছেন। এটি নিঃসন্দেহে একটি সৌভাগ্যপূর্ণ মৃত্যু। ডোমার থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, এটি একটি স্বাভাবিক মৃত্যু। আমরা বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে জামিরবাড়ী পাটোয়ারী পাড়ায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

আমার এলাকার খবর
আন্তর্জাতিক

কাশ্মীরে হামলায় পর্যটকসহ নিহত ২৬

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের একটি গ্রুপের ওপর বন্দুকধারীদের গুলিতে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে পরিচিত পর্যটন স্পট পহেলগামে এই ঘটনা ঘটেছে। সূত্রের বরাতে নিহতের এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। এতে বলা হয়েছে, পাহালগামের বৈসরান উপত্যকার উপরের তৃণভূমিতে গুলির শব্দ শোনা গেছে , যা একটি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। সন্ত্রাসীরা স্পষ্টতই ছদ্মবেশে ছিল এবং এটি একটি লক্ষ্যবস্তু আক্রমণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে সন্ত্রাসীরা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে।পহেলগামের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার যেসব ঘটনা সাম্প্রতিক ঘটেছে তার মধ্যেই এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানকার লেফট্যানেন্ট গভর্নর মনোজ সিনহা বলেছেন, ঘটনাস্থলে আর্মি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে তিনি বলেন, ‘আমি অবিশ্বাস্য হতবাক। পর্যটকদের ওপর এই হামলা ঘৃণ্য কাজ।’পুলিশ জানিয়েছে বেশ কয়েকজন পর্যটককে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এলাকাটি ঘিরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।এদিকে, কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই এলাকায় ১৯৮৯ সাল থেকেই বিচ্ছিন্নতাবাদী সহিংসতা হয়ে আসছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তা কমে আসছিল।

আমাদের ক্ষতি করে আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি করবেন না, হুঁশিয়ারি চীনের

অর্থনীতি

চলতি বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে হতে পারে ৩.৮ শতাংশ: আইএমএফ

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ হবে বলেও জানিয়েছে বহুজাতিক দাতা সংস্থাটি।মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে প্রকাশিত আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক, এপ্রিল ২০২৫- এ এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন যৌথ সভার দ্বিতীয় দিনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকের প্রাপ্ত উপাত্ত ধরে দেশভিত্তিক তথ্যও হালনাগাদ করেছে আইএমএফ। সেখানে বাংলাদেশের জন্য চলতি অর্থবছরে জিডিপির নতুন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বেড়ে সাড়ে ৬ শতাংশ হওয়ার কথাও বলা হয়েছে। গত জুনে চলতি অর্থবছরের বাজেট দেওয়ার সময় ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। তবে অন্তর্বর্তী সরকার কিছুদিন আগে চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য সংশোধন করে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। চলমান আর্থিক সংকট, ব্যবসায় স্থবিরতা এবং সাম্প্রতিক সরকার পরিবর্তনের পর রাজনৈতিক অস্থিরতা বিবেচনায় নিয়ে এ সংশোধন করা হয়।কয়েক দিন আগে আরেক দাতা সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছিল, বাংলাদেশের চলতি অর্থবছরে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে। আইএমএফ জিডিপির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস আরও কমিয়ে দিল।আইএমএফ আরও বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ হবে। আগামী অর্থবছরে তা কমে ৫ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসবে।গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত মার্চে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এক বছর ধরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ।আইএমএফের নতুন পূর্বাভাস অনুসারে, বৈশ্বিক গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। আর এশিয়ার গড় জিডিপি হতে পারে সাড়ে ৪ শতাংশ।বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন সভা ২১ এপ্রিল শুরু হয়ে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল এ যৌথ সভায় অংশ নিচ্ছে। সভা চলাকালে বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুত আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে। সম্প্রতি আইএমএফ মিশন বাংলাদেশে এসে ঘুরে গেছে।

রেকর্ড দাম বেড়ে স্বর্ণের ভরি পৌনে দুই লাখ ছাড়াল

খেলাধুলা

১১২ রানে এগিয়ে থেকে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ

সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ১১২ রানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। বৃষ্টি, আলোকস্বল্পতার কারণে তৃতীয় দিনে মাত্র ৪৪ ওভার খেলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান ‍তুলতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ১৯১ রানে। জবাবে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ২৭৩ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ গতকাল টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ৫৭ রান তুলে। তৃতীয় দিনের শুরুতে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শুরু হতে দেরি হয়। মাঠে নেমেই এদিন শুরু থেকেই শর্ট বলে ভুগছিলেন মাহমুদুল। আর জিম্বাবুয়েও যেন তাকে এই ফাঁদেই ফেলার চেষ্টা করছিল। আর ফাঁদেও পড়লেন তিনি। মুজারাবানির শর্ট বল খেলতে গিয়ে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। মাঠ ত্যাগ করার আগে ৬৫ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। এরপর নাজমুল-মুমিনুল জুটি বাংলাদেশকে একটি শক্ত ভিত গড়ার দিকে নিয়ে যায়। কিন্তু ৬৫ রানের এই জুটি ভাঙেন নিয়াউচি। স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ৪৭ রানে আউট হয়ে মাঠ ত্যাগ করেন মুমিনুল। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হওয়া মুশফিক দ্বিতীয় ইনিংসেও যেন একই ভুল করে বসলেন। এই ইনিংসেও দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি মি. ডিপেন্ডেবল। মাঠ ত্যাগ করার আগে তিনি ২০ বলে ৪ রান করেন। আলোকস্বল্পতার কারণ নির্ধারিত সময়ের আগেই দিন ঘোষণা করে আম্পায়ার। এর আগে ১০৩ বলে ৬০ রান করে অপরাজিত রয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।

বিনোদন

‘বউ সাজব, আমার বিয়েতে নাচব’

ছোট পর্দার অভিনেত্রী ও মডেল কেয়া পায়েল। মাত্র কয়েক বছরের ক্যারিয়ারে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য নাটক। এবার ঈদে মুক্তি পেয়েছিল ফারহান আহমেদ জোভান ও কেয়া পায়েল অভিনীত নাটক ‘বান্টির বিয়ে’। নাটকটি বেশ দর্শকপ্রিয়তাও পায়। তবে এই নাটকের শুটিং সেট থেকে খোশগল্পে মেতে উঠেছিলেন কেয়া পায়েল। এ সময় নাটকের কনে চরিত্রে থাকা কস্টিউমে দেখা যায় তাকে, মজার ছলে ছলে বলেন নানা কথা। তারই একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। এ সময় কেয়াকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাকে অনেকেই বল, আমাকে মেকআপ ছাড়াই ভালো লাগে। ইভেন আমি যেই কাজগুলো করেছি, লাইট মেকআপ এ, ওই কাজগুলোই বেশি প্রশংসিত হয়েছে।’ বয়স ও বয়সের ছাপ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী মজা করে বলেন, ‘আমার বয়স ১২ তেই ঠেকে আছে। এরপর আর বাড়ে নাই বোধহয়। মানে বয়স যতোই বাড়ুক, মনের দিক থেকে আমি আসলে মনে করি আমার বয়স এখনও ১২, ওই ছোটবেলার পায়েলই আছি।’ বিয়ে প্রসঙ্গে পায়েল বলেন, ‘ওই স্বপ্ন তো দেখাই হয়। বউ সাজব, আমার বিয়েতে নাচব, আমি কি কাঁদব নাকি কাঁদব না, নানান কিছু ভাবা হয় আসলে। এটা প্রতিটা মেয়ের জন্যই স্বপ্ন, এটি নিয়ে সবাই ভাবে- ওই জিনিসটাই হয় মাঝে মাঝে।’