সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল মজুমদার ঢামেকে ভর্তি, কারাগারে অসুস্থ

গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে নতুন ভবনের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) পাঠান। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তাকে নতুন ভবনের সিসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে নিয়ে আসা কারারক্ষী বিল্লাল হোসেন জানান, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার রাত ৮টার দিকে হঠাৎ কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন।

ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ১৯৫ জন

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে ১৯৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। মৃতদের মধ্যে একজন ১৪ বছর বয়সী কিশোর এবং অপরজন ৪৮ বছর বয়সী একজন নারী। প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৪ জন বরিশালের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছে। এছাড়া, ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৬০, (সিটি করপোরেশন বাদে) ঢাকা বিভাগে ৩০ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮ জন, সিলেট বিভাগে ৩ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজন ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩৮ জনের। এর মধ্যে ২০ জন পুরুষ এবং ১৮ জন নারী। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬৫ জনে।

একদিনে আরও ১৯ জনের করোনা শনাক্ত

দেশে গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) আরও ১৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। ৫১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই রোগী শনাক্ত হয়। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ৬৩ জনে। এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১৯ জনসহ এই বছরের এখন পর্যন্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১৮ জনে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারও মৃত্যু না হলেও ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৫১৮ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত ২৬

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ২৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে কেউ মারা যাননি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বুধবার (২৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত এক দিনে ৪৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্তের হার দাঁড়ায় ৫ দশমিক ২১ শতাংশ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ৪৪ জনে। আর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন মোট ২৯ হাজার ৫১৮ জন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। এ সময়ের মধ্যে নতুন শনাক্তের সংখ্যা ৪৯৯।

বরগুনায় একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৯৩

বরগুনায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে আরও ৯৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, যা একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। এর ফলে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৯৫ জনে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ৮০ জন, বেতাগীতে ২ জন, আমতলীতে ১ জন, বামনায় ৬ জন এবং পাথরঘাটায় ৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৪২ জন ডেঙ্গু রোগী। এর মধ্যে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ২০৬ জন, আমতলীতে ৩ জন, বেতাগীতে ৬ জন, বামনায় ১১ জন, এবং পাথরঘাটা ও তালতলীতে ৮ জন করে চিকিৎসাধীন আছেন। জেলায় এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন ২২ জন, যাদের সবার বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায়। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ২ হাজার ২৮৩ জন, পাথরঘাটায় ৯৭ জন, বামনায় ৬১ জন, তালতলীতে ২২ জন, বেতাগীতে ১৮ জন এবং আমতলীতে ১৪ জন। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাজকিয়া সিদ্দিকা জাগো নিউজকে বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নতুন করে ৮০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ভর্তি ও রিলিজ সমান হওয়ায় এখন পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে এর বেশি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এলে রোগীদের রাখার আর জায়গা থাকবে না। বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ জাগো নিউজকে বলেন, বরগুনায় ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা আজ। দিন যত বাড়ছে, আক্রান্তের হারও ততই বাড়ছে। কিছুতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমন চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করবে। স্থানীয়দের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি বাড়ি ও আশপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, জমে থাকা পানি অপসারণ এবং মশক নিধনে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

ডেঙ্গুতে একদিনে ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৯২

এডিশ মশাবাহী রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে চলতি বছর এখন পর্যন্ত মশাবাহী রোগটিতে মৃতের সংখ্যা ৩৪ জনে দাঁড়ালো। সোমবার (২৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু বিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে ডেঙ্গুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও বরিশাল বিভাগে একজন করে মোট দুইজন মারা গেছেন। পাশাপাশি এই সময়ে মশাবাহী রোগটি নিয়ে নতুন করে ৩৯২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু নিয়ে সবচেয়ে বেশি রোগী (১২৬ জন) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগে ৮০ জন ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ৬৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪১ জন, ঢাকা বিভাগে ৩১ জন, খুলনা বিভাগে ২৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ২২ জন এবং ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে ডেঙ্গু নিয়ে একজন করে মোট দুইজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে সোমবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু (১৬ জন) হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। পাশাপাশি এই সময়ে বরিশালে ৮ জন ছাড়াও চট্টগ্রামে ৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও খুলনায় ২ জন করে মোট ৪ জন এবং ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগে ডেঙ্গুতে একজন করে মোট দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

ল্যাবএইডে রোগীর মৃত্যু, ডা. স্বপ্নীলের সনদ ৫ বছরের জন্য স্থগিত

ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সনদ ৫ বছরের জন্য স্থগিত করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে এন্ডোসকপি করাতে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রাহিব রেজার মৃত্যুর ঘটনায় তার সনদ স্থগিত করা হলো। রোববার (২২ জুন) এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ বছর চিকিৎসা পেশায় যুক্ত থাকতে পারবেন না তিনি। এ ছাড়া, আরও ১৩ চিকিৎসকের বিএমডিসি সনদ ৬ মাস থেকে ৪ বছর পর্যন্ত স্থগিত করেছে বিএমডিসি। উল্লেখ্য, দুই বছর আগে প্রকৌশলী আফসার আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় অবহেলার দায় খুঁজে পাওয়ায় এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর ছাতক উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী আফসার আহমেদ ধানমন্ডির বেসরকারি ল্যাবএইড হাসপাতালে মারা যান। তিনি চিকিৎসক স্বপ্নীলের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এবং ওই দিন অ্যান্ডোস্কপি করাতে এসেছিলেন। ওই ঘটনার সাড়ে চার মাস পর চিকিৎসক স্বপ্নীল ও ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলা ও গাফিলতির অভিযোগ করেন আফসার আহমেদের ভাই খায়রুল বাশার। এছাড়া ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্বপ্নীলের কাছে অ্যান্ডোস্কপি করাতে গিয়ে মৃত্যু হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রাহিব রেজার। স্বাস্থ্য অধিদফপ্তরের তদন্তে ওই রোগীর মৃত্যুর জন্যও ডা. স্বপ্নীল ও ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা হয়।

ডেঙ্গুতে ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২৯

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু এবং আরও ৩২৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৪ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪৩ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুজন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০ জন রয়েছেন। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩০১ জন ডেঙ্গু রোগী। চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট সাত হাজার ৭৫৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৯ দশমিক এক শতাংশ পুরুষ ও ৪০ দশমিক নয় শতাংশ নারী। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ছয় হাজার ৮১৭ জন। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩২ জন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন। মারা গেছে ৫৭৫ জন।

২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় ৫ জনের মৃত্যু

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩৬ জন। রোববার (২২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

রাঙামাটিতে রেপিড এন্টিজেন পরীক্ষা চালু, পিসিআর পরীক্ষা বন্ধ

দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লেও রাঙামাটিতে এখন পর্যন্ত নতুন কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা প্রতিরোধে সতর্কতা অবলম্বন করছে। রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুসারে মাত্র অতি প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে রেপিড এন্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। করোনার পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কিটের স্বল্পতার কারণে পরীক্ষা সীমিত আকারে পরিচালিত হচ্ছে। এদিকে, পিসিআর ল্যাব বন্ধ রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক পিসিআর ল্যাব বন্ধ রাখা হয়েছে কারণ এটি ব্যয়বহুল এবং বর্তমানে রোগীর সংখ্যা কম থাকায় কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপও লক্ষ্য করা যায়নি। রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো: শওকত আকবর বলেন, যখন বেশ কিছু রোগীর মধ্যে করোনা সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দেয় তখনই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কীটের স্বল্পতার কারণে পরীক্ষা সীমিত হচ্ছে, তবে শিগগিরই আরও কিট আসার আশা রয়েছে।

একদিনে আরও ২৫ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ১

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। ২৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এদের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সেইসঙ্গে এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৬ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নতুন করে করোনা আক্রান্ত ২৫ জনসহ এই বছরের জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত সর্বমোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২৮৪ জন। আর সবমিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৪৮ জনে। সেইসঙ্গে করোনায় দেশে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫০৪ জন। আর এই বছরের জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার দেখা গেছে ১০ দশমিক ৮২ শতাংশ। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

একদিনে আরও ২৬ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ১

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। ২৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এদের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নতুন করে করোনা আক্রান্ত ২৬ জনসহ দেশে এই পর্যন্ত মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৩৩ জনে। সেইসঙ্গে করোনায় দেশে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫০৩ জন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ জন। এর ফলে এ সংখ্যা ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪১০ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিকে মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এর আগে গতকাল (১৪ জুন) ১৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। তবে সেদিন ভাইরাসটিতে কারও মৃত্যু হয়নি। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু'দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

দেশে ১৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭ জনের করোনা শনাক্ত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। ১৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এদের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮০৭ জনে। শনিবার (১৪ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে গতকাল (১৩ জুন) ১৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে আরও ১৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। এদিন দুই জনের প্রাণ কেড়ে নেয় করোনা। দেশে করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৫০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ জন। এর ফলে এ সংখ্যা ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪০১ জনে দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

ময়মনসিংহে করোনা আক্রান্ত ২ জন আইসিইউতে ভর্তি

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই রোগী আইসিইউতে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে প্রাথমিকভাবে তাদের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে কিটের রিএজেন্ট না থাকায় চূড়ান্তভাবে করোনা শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কায় হাসপাতালটিতে সেবা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকালে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, করোনার দ্বিতীয় বা তৃতীয় ঢেউয়ের মতো পরিস্থিতির জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে কোভিড ওয়ার্ড। ইতোমধ্যে স্টাফদের দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্রিফিং। প্রশাসনিক পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর আমাদের যে নির্দেশনা দেবে, আমরা সে মোতাবেক সব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবো। সূত্র জানায়, বর্তমানে হাসপাতালের আইসিইউতে ২ জন করোনা শনাক্ত রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে রিএজেন্ট কীট সঙ্কটে হাসপাতালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা মাধ্যম আরটিপিসিআর বর্তমানে অচলাবস্থায় রয়েছে। এই অবস্থায় শুধু র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের উপর নির্ভর করেই করোনা শনাক্ত করা হচ্ছে। মমেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজিয়া হক জানান, পিসিআর মেশিন সচল রয়েছে এবং অন্য রোগের ল্যাব টেস্টের জন্য নিয়মিতই ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট রিএজেন্ট কিট নেই, যা বাংলাদেশে শুধু হাতে গোনা ২টি কোম্পানির কাছেই সীমিত পরিমাণে রয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে কীট সরবরাহের জন্য অনুরোধ করেছি। বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে বর্তমানে যে পরিমাণ র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন কীট রয়েছে তাতে মাত্র ৩০০ জনের পরীক্ষা করা সম্ভব। আরটিপিসিআর ছাড়া কোভিডের শতভাগ নির্ভরযোগ্য শনাক্তকরণ সম্ভব নয়। এ বিষয়ে হাসপাতালের সচিব রফিকুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরকে কীট সরবরাহের জন্য বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে তাদের মজুতেও রিএজেন্ট নেই। এখন স্থানীয়ভাবে কীট সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ আবারও উর্ধমুখী, মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে

রাজধানীসহ সারা দেশে বেড়েছে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুরোগী এবং মৃত্যুর সংখ্যা। মশা নিধনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে ডেঙ্গুর ব্যাপক বিস্তারের পাশাপাশি এ বছর মৃত্যুহার আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা। ঢাকায় ঈদুল আজহার ছুটির আগের দুই সপ্তাহ ধরে চলা জরিপে দেখা যায়, প্রতি ১৫টি বাড়ির মধ্যে সাত থেকে আটটি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা রয়েছে। এ বছর ৫ হাজার ৪০১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ২৩ জন। বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা বলেন, মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে। আর মে-আগস্ট পর্যন্ত প্রকোপ থাকে সব থেকে বেশি। বর্তমান সময়টা হলো ডেঙ্গুর মৌসুম। এডিস মশার বিস্তার আগে শুধু রাজধানীতে ছিল, এখন তা গ্রামাঞ্চলেও চলে গেছে। এর চিকিত্সা সাধারণত ঢাকাকেন্দ্রিক ও বিভাগীয় পর্যায় পর্যন্ত রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত হলো, এখনই সরকারের উচিত, সব পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যন্ত মশা নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আইসিইউ সাপোর্ট বিভাগীয় পর্যায়ে থাকতে হবে। নইলে ঢাকায় আনতে আনতে রোগী মারা যাবে। বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ডেঙ্গু মশা নিধনের দায়িত্ব প্রশাসনের। প্রশাসন ব্যর্থ হলে এডিস মশার প্রকোপ বাড়বে। মানুষ আক্রান্ত হবে, মৃত্যুর হার বেশি হবে। এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, এখন ডেঙ্গুর মৌসুম চলছে। বাসাবাড়ির মালিকদের দায়িত্ব আছে নিজ বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরও দায়িত্ব রয়েছে। শুধু সরকারের দিকে চেয়ে থাকা উচিত হবে না। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে দেশে ডেঙ্গু ভয়াবহ মৃত্যু ডেকে আনবে। তিনি বলেন, ডেঙ্গু উপসর্গ হলো প্রচণ্ড জ্বর, গিরায় গিরায় ব্যথা, ব্যাকপেইন, প্রচণ্ড মাথাব্যথা ও র্যাশ দেখা দেওয়া। এসব লক্ষণ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ফুল হাতা শার্ট-প্যান্ট পরিধান করার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বেনজীর আহমেদ বলেন, রাজধানী থেকে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সরকারের প্রশাসন আছে। এই চেইন যদি মশা নিধনে কাজ করে এবং মানুষ নিজেরাও সচেতন হয়, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে, তাহলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের যাতে ঢাকামুখী না হতে হয়, সেজন্য বিভাগীয় পর্যায়ে আইসিইউ নিশ্চিত করতে হবে। যাতে জটিল রোগীদের ঢাকায় আসতে না হয়। জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিত্সা প্রতিষ্ঠান (নিপসম)-এর কীটতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ার বলেন, মশার চরিত্র আচরণ অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। এটার কামড়ানোর ধরনও পরিবর্তন হয়েছে। একটা জরিপে দেখা গেছে, ৫০ ভাগ আবর্জনা আর ৫০ ভাগ বাসাবাড়ির স্বচ্ছ পানিতে এই মশার উত্পত্তি হয়। কীটনাশক ব্যবহার করে, এটি সাধারণত মারা যায় না। এটা নিধন করতে হলে ওষুধও পরিবর্তন করতে হবে। শ্যামলী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, এবার ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। বড় ঝুঁকিতে পড়তে পারে দেশ। করোনার চেয়ে ডেঙ্গু বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী, স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেঙ্গু কর্নার প্রস্তুত করছে। তবে রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতাল পরিচালক বলেন, করোনা ও ডেঙ্গু রোগীদের জন্য মহাখালীতে ১ হাজার বেডের ডেডিকেটেড হাসপাতাল রয়েছে। প্রথম ধাপে সেখানে রোগীদের ভর্তি করার পরামর্শ দেন। সেখানে সামাল দিতে না পারলে রাজধানীর অন্যান্য হাসপাতালে রোগী ভর্তি করা যেতে পারে। বরিশাল অফিস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের দুইটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ছয়টি সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২৪ জন ব্যক্তি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে চিকিত্সাধীন অবস্থায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় পিরোজপুরের নেছারাবাদ এলাকার বাসিন্দা ইসরাত জাহান মারা গেছেন। বরগুনা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন চাঁন মিয়া ও গোশাই দাসের মৃত্যু হয়েছে। সিলেট অফিস জানায়, সারা দেশে করোনার সংক্রমণ ও ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির সংবাদে সিলেট অঞ্চলে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে। সিলেট আন্তর্জাতিক ওসমানী বিমানবন্দর, সিলেটের তামাবিলসহ বিভিন্ন ইমিগ্রেশন সেন্টারে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ১০৮ জন, বেশি বরগুনায় :দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরো ১০৮ জন। এ সময়ে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ১০৮ রোগীর মধ্যে ৭৯ জনই বরগুনা জেলার।

বাড়ছে করোনা: ফের যাদের টিকা নেওয়ার পরামর্শ

দেশে নতুন করে বাড়ছে মহামারি করোনাভাইরাস। এমন পরিস্থিতিতে গর্ভবতী নারী, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি এবং যেসব রোগী বিভিন্ন জটিল অসুস্থতায় ভুগছেন তাদের অতিরিক্ত ডোজ টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বুধবার (১১ জুন) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফর সাংবাদিকদের বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাতে এখন ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৯০০ ডোজ টিকা আছে। এই টিকাই আপাতত দেওয়া হবে। ডা. মো. আবু জাফর বলেন, এখনো যারা টিকা নেননি তাদের মধ্যে ডিফারেন্ট কনট্যাক্ট পারসনের সঙ্গে কাজ করে, গর্ভবতী নারী এবং যারা ইমিউনো কম্প্রোমাইজড, তাদের টিকা নেতে হবে। যারা এরই মধ্যে টিকা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে যারা ষাটোর্ধ্ব, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি আছে, কোমর্বিডিটি আছে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদেরও ছয় মাস পর আরেক ডোজ টিকা দেওয়া উচিত। যাদের টিকা নেওয়া আছে তারা কেন্দ্রে গেলে টিকা নিতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, কোভিডের টিকাদান এখনো চালু আছে। নির্ধারিত কেন্দ্রে গেলে টিকা দেওয়া যাবে। সরকারের হাতে মজুদ টিকার কার্যকারিতা আছে কি না, এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক হালিমুর রশিদ ইউএস-সিডিসির গাইডলাইনের বরাত দিয়ে বলেন, সেখানে ২০২৪-২০২৫ সালের যে টিকা এসেছে, সেগুলো দেওয়ার পরামর্শ এসেছে। কারণ ওই টিকা ওমিক্রনের জন্য সুনির্দিষ্ট করা আছে। তবে বাংলাদেশে যে টিকা আছে সেগুলোও নিরাপত্তা দেবে। তিনি বলেন, ডব্লিউএইচের গাইডলাইন অনুযায়ী কোনো দেশে যদি লেটেস্ট টিকা না থাকে আগের টিকা দিলেও রোগের সিভিয়ারিটি কমাবে। তারা পরামর্শ দিয়েছে, আগের যে টিকা আছে সেগুলো দেওয়ার জন্য। টিকার জন্য নতুন করে যোগাযোগ এখনো শুরু হয়নি। আমরা শিগগিরই তা করব। সব হাসপাতালে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা যাচ্ছে কি না–এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সাধারণ মানুষের এই পরীক্ষা করানোর কোনো প্রয়োজন নেই। যাদের লক্ষণ ও উপসর্গ নিয়ে আসেন তাদের পরীক্ষা করা যেতে পারে। হাসপাতালে যদি আসে, আমরা যদি মনে করি তার পরীক্ষা করানো দরকার, তাহলে করা হবে। সব জায়গায় এই পরীক্ষা করার সুবিধা থাকবে। আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে আরটিপিসিআর পৌঁছে দেব। আমাদের কাছে ডিস্ট্রিবিউশন লিস্ট আছে, কোন হাসপাতাল কত লাগবে। কীট সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে, ঈদের জন্য কিছুটা দেরি হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দেশের জেলা পর্যায়ের সব সরকারি হাসপাতালে শয্যা প্রস্তুত করে রাখছেন তারা।

চট্টগ্রামে আরও একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত

চট্টগ্রামে আরও একজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বুধবার (১১ জুন) জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় এ তথ্য জানায়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ২৭ বছর বয়সী এক পুরুষের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তার নমুনা নগরের একটি বেসরকারি ডায়গনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি নগরের বাসিন্দা। সিভিল সার্জনের কার্যালয় জানায়, চট্টগ্রামে কয়েকদিনে মোট ৪ জন কোভিড পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন নারী এবং দুজন পুরুষ। এছাড়া আক্রান্তদের তিনজন নগরের বাসিন্দা এবং আরেকজন মীরসরাই উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন, চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ঢাকার নির্দেশনা মোতাবেক আমরা নমুনা পরীক্ষা করছি। আক্রান্তদের পর্যবেক্ষণে রেখেছি। জনসাধারণ বিশেষ করে যারা ৬৫ বছরের বেশি বয়সী তাদের প্রতি আমাদের পরামর্শ হলো, নিজেদের সুরক্ষার জন্য মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

করোনার বিস্তার ঠেকাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ১১ নির্দেশনা

আবারও বিশ্বের অনেক দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়েছে। বাংলাদেশেও রোগী শনাক্তের হার বাড়ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে করোনার বিস্তার ঠেকাতে রোগী ও তাদের স্বজন, চিকিৎসায় নিয়োজিতদের জন্য দেওয়া হয়েছে ১১টি নির্দেশনা। যাদের করোনা হয়েছে এমন সন্দেহ করা হবে তাদের বিষয়েও স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে চারটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। করোনার প্রকোপ ঠেকাতে এসব নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। বুধবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসজনিত সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা ভাইরাসের কয়েকটি নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের বিস্তার প্রতিরোধে দেশের সকল স্থল/নৌ/বিমান বন্দরের আইএইচআর ডেস্কসমূহে নজরদারি এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়গুলো জোরদার করার বিষয়ে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে যে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর- ১. জনসমাগম যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন এবং উপস্থিত হতেই হলে সেক্ষত্রে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। ২. শ্বাসতন্ত্রের রোগসমূহ হতে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন। ৩. হাঁচি/কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন। ৪. ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনা যুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন। ৫. ঘনঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)। ৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না। ৭. আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে যা করতে হবে- ১. জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকতে হবে। ২. রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ৩. রোগীর সেবাদানকারীরাও সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ৪. প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে অথবা আইইডিসিআর (০১৪০১-১৯৬২৯৩) অথবা স্বাস্থ্য বাতায়ন (১৬২৬৩) এর নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্যও বলা হয়েছে।

আবারও করোনা পরীক্ষা শুরু হচ্ছে হাসপাতালগুলোতে

দেশে করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোতে সীমিত পরিসরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রাথমিকভাবে যেসব মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে আরটি–পিসিআর ল্যাব রয়েছে, সেখানেই এই পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানা গেছে। বুধবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক হালিমুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, যেসব হাসপাতালে আরটি–পিসিআর ল্যাব রয়েছে, করোনা পরীক্ষা পুনরায় চালু করার প্রস্তুতি নিতে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, স্থানীয় কোম্পানিগুলো থেকে পরীক্ষার কিট সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশ থেকেও কিট আমদানির জন্য সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপোকে (সিএমএসডি) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অধ্যাপক হালিমুর রশীদ বলেন, আমরা আশা করছি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা আবার চালু করা যাবে- তবে তা সীমিত পরিসরে হবে। যাদের উপসর্গ থাকবে, তারাই পরীক্ষার সুযোগ পাবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাদের করোনা উপসর্গ থাকবে, পরীক্ষা শুধুমাত্র তাদের জন্যই চালু হবে। সে অনুযায়ী পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত হবেন যারা- • যাদের শরীরে কোভিড–১৯ এর উপসর্গ (জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট) রয়েছে। • অথবা যাদের চিকিৎসক করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দেবেন। হালিমুর রশীদ আরও বলেন, সংক্রমণের হার যদি আরও বাড়ে, তাহলে পরীক্ষার পরিধিও বাড়ানো হবে। হঠাৎ কেন আবার করোনা পরীক্ষা? স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যমতে, গত একদিনে (২৪ ঘণ্টায়) ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে-যা অত্যন্ত উচ্চ শনাক্ত হার। এরই মধ্যে ৯ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করে এবং বিমানবন্দরসহ সব প্রবেশপথে হেলথ স্ক্রিনিং অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশে আবারও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগাম সতর্কতা হিসেবেই করোনা পরীক্ষা চালুর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোথায় কোথায় হবে পরীক্ষা? প্রাথমিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরের হাসপাতালগুলোতে পরীক্ষা চালু হবে। যেসব হাসপাতালে আরটি–পিসিআর ল্যাব রয়েছে, শুধু সেখানেই শুরুতে এই সুবিধা মিলবে। স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জনগণকে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। অধ্যাপক হালিমুর রশীদ বলেন, আমরা চাই না পরিস্থিতি আবার হাতের বাইরে চলে যাক। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ১৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি। জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের প্রত্যেকেই ঢাকা মহানগরী এলাকার বাসিন্দা। এর আগে গতকাল (৯ জুন) ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়।

দেশে একদিনে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ১৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৬০ জনে। মঙ্গলবার (১০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তদের প্রত্যেকেই ঢাকা মহানগরী এলাকার বাসিন্দা। এর আগে গতকাল (৯ জুন) ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন দুইজন। এর ফলে এ সংখ্যা ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট অমিক্রন এক্সবিবি কতটা ভয়ানক?

করোনাভাইরাসের অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের একটি উপধরন হলো এক্সবিবি, যা মূলত BA.2.10.1 এবং BA.2.75- এই দুটি অমিক্রন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংমিশ্রণে গঠিত। এক্সবিবি প্রথম শনাক্ত হয় ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে এবং পরে এটি ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এক্সবিবির বৈশিষ্ট্য : ১. এটি অত্যন্ত সংক্রামক একটি উপধরন। ২. এর রয়েছে ইমিউন এস্কেপ ক্ষমতা, অর্থাৎ এটি প্রাকৃতিকভাবে সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কিংবা টিকা নেওয়া ব্যক্তির প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও আংশিকভাবে এড়িয়ে যেতে পারে। ৩. তবে এখন পর্যন্ত এ উপধরনের কারণে মারাত্মক অসুস্থতা বা মৃত্যুহার বাড়ার কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, হালনাগাদ বুস্টার ডোজ- বিশেষ করে এক্সবিবি-ভিত্তিক ভ্যাকসিন এই উপধরন থেকে সৃষ্ট গুরুতর অসুস্থতা, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন এবং মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। যদিও এই ভ্যাকসিন সংক্রমণ পুরোপুরি ঠেকাতে সক্ষম নয়, তবে তা জটিলতা হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এক্সবিবি থেকে ইতোমধ্যে আরও কয়েকটি উপধরনের সৃষ্টি হয়েছে, যেমন- এক্সবিবি.১, এক্সবিবি.১.৫ এবং সাম্প্রতিক আলোচিত এনবি.১.৮.১। এই ধরনগুলোর মধ্যে কিছু কিছু আরও বেশি সংক্রামক হলেও, টিকা এখনো এসবের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরক্ষা দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এক্সবিবি এবং এর উপধরনগুলোকে Variant of Interest বা Variant Under Monitoring হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর অর্থ হলো, এই ধরনগুলোর ওপর বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ চলছে, কারণ এগুলো ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এদিকে গ্লোবাল ভাইরাস নেটওয়ার্ক (জিভিএন) জানিয়েছে, যদিও এক্সবিবি উপধরনের সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি, তবে এখন পর্যন্ত এটি গুরুতর অসুস্থতা বা মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায় এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও সংস্থাটি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে এবং টিকা গ্রহণে গুরুত্ব দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছে। সাধারণ মানুষের করণীয় : ১. আপনি টিকার সর্বশেষ ডোজ নিয়েছেন কিনা, তা নিশ্চিত করুন। ২. জনসমাগমপূর্ণ জায়গায় গেলে অবশ্যই মাস্ক পরুন। ৩. উপসর্গ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনে আইসোলেশনে থাকুন। ৪. স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্সবিবি ও এর উপধরনগুলো অমিক্রনের একটি নতুন রূপ হলেও এখন পর্যন্ত এটি গভীর উদ্বেগের কারণ নয়। তবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, টিকা গ্রহণ এবং সচেতন থাকা- এই তিনটি বিষয়ই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। টিকা সংক্রান্ত পরামর্শ : গ্লোবাল ভাইরাস নেটওয়ার্ক (জিভিএন) বলছে, যেহেতু কোভিড-১৯ এর এখনো সম্পূর্ণ প্রতিকার নেই, তাই প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী টিকা গ্রহণে কিছু দিক খেয়াল রাখা জরুরি : ১. ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য হালনাগাদ বুস্টার ডোজ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। ২. ৬ মাস বয়স থেকে সব বয়সীদের টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নেওয়া উচিত। ৩. শিশু ও কিশোরদের জন্য বছরে অন্তত একবার আপডেটেড টিকা দেওয়া প্রয়োজন, কারণ আগের টিকার সুরক্ষা সময়ের সঙ্গে কমে যেতে পারে। ৪. গর্ভবতী নারীদের টিকা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে শুধু মায়ের নয়, নবজাতকেরও প্রথম ৬ মাস পর্যন্ত সুরক্ষা পাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় সংক্রমণের ফলে শিশুর জন্মের আগেই মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে এবং পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যজটিলতা দেখা দিতে পারে। ফ্লু এবং কোভিড টিকা একসঙ্গে নেওয়া যেতে পারে এবং এতে কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এদিকে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার হার বাড়তে শুরু করেছে। রোববার (০৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এদিন চারজনের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করে ৩ জনের শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় নতুন নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সোমবার (০৯ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন নির্দেশনা দেয় মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এ সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সবাইকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষ করে বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের এ ধরনের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশে ২৩ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু মে মাসে এই সংখ্যা বেড়ে হয় ৮৬। চলতি মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন একজন। উল্লেখ্য, দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৪২ জনে। এরমধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৩ জন। মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫০০ জন।

ঢাকার বাতাস আজ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর,’ বায়ুদূষণে বিশ্বে দশম

অনেকদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে মেগাসিটি ঢাকা ।আজ সকালেও শহরটির বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর চিহ্নিত হয়েছে । সোমবার (২৪ মে) সকাল ৯ টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১২৯ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে অবস্থান করছে ঢাকা । সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান নির্ধারণ সংস্থা আইকিউএয়ার এ তথ্য জানিয়েছে। বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ ১৭৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে কঙ্গোর কিনশাসা । তালিকায় ১৬১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো আর ১৫৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তানের কাবুল । একটি শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, তার সূচক জানিয়ে থাকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। প্রতিষ্ঠানটির মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয় একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়। স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে না থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে । ঢাকার বায়ুর মান নিয়মিতই তলানীর দিকে থাকছে ,এতে বাড়ছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি । ঢাকার বায়ুদূষণ থেকে মুক্তি পেতে, ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরাতে বলা হয়েছে ও ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

একদিনেই ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪৬, হাসপাতালে ভর্তি

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বুধবার (২১ মে) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৬ জন। এ সময় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। বৃহস্পতিবার (২২ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ডেঙ্গুতে এই মাসে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ১৭৮ জন এবং এই মাসে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন তিন জন। সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। যার মধ্যে ঢাকায় ১০১ জন, বাকি ২১৪ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৭৫০ জন।

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ১০০-এর বেশি, একজনের মৃত্যু

ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তি রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। এ নিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৩ জন মৃত্যু হলো। এছাড়া নতুন করে আরও ১০১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন হাজার ৬৩৭ জনে। গতকাল (সোমবার) সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৭৬ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরাদের সংখ্যা তিন হাজার ২৯৬ জনে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (২০ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছে ১০১ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩৪ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৭ ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগের ৪২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৪ জন। চট্টগ্রাম বিভাগের ১৫, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০, ঢাকা বিভাগের ৬, খুলনা বিভাগের দুই, ময়মনসিংহে এক এবং রংপুর বিভাগে একজন রোগী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত (২০ মে) ডেঙ্গুতে মৃত্যু হওয়া ২৩ জনের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী। বিভাগীয় হিসেবে, ১৩ জন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের। বরিশাল বিভাগের ৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ২, খুলনা বিভাগের দুই, ঢাকা বিভাগের এক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এক এবং ময়মনসিংহ বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত রোগীর হিসেবে সবচেয়ে বেশি রোগী বরিশাল বিভাগে। সেখানে এ বছর এক হাজার ২৩৪ জনের নমুনায় ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৫৬, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫৭৬, ঢাকা বিভাগে ৪৬১, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৩৮৩, খুলনা বিভাগে ১৫২, ময়মনসিংহে ৮০, রাজশাহীতে ৬৪, রংপুরে ১৬ এবং সিলেটে ১৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। মোট শনাক্ত হওয়া ৩ হাজার ৬৩৭ জনের মধ্যে ৬০ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ শতাংশ নারী। মাসের হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে ৭ এবং চলতি মাসের গত ২০ দিনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্তের হিসেবে জানুয়ারিতে এক হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬, এপ্রিলে ৭০১ এবং চলতি মাসের গত ২০ দিনে এক হাজার ৬৫ জন শনাক্ত হয়।