ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, এ বছর মৃতের সংখ্যা ১৮৭
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৬:৩৪ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে মশাবাহিত এই রোগে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১৮৭ জন। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬৬৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর ফলে এ বছরের হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ৮৪১ জনে। মারা যাওয়া পাঁচজন রোগীর মধ্যে দুজন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং বাকিরা ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে। মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে দুজনের বয়স ৬০ বছর, বাকি তিনজনের বয়স যথাক্রমে ৫০, ৫৫ ও ১২ বছর। এর মধ্যে তিনজন নারী এবং দুইজন পুরুষ।
সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃদ্ধি পেয়ে ১২ হাজার ৩৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে, যা এ বছরের সর্বোচ্চ। এর আগে জুলাই মাসে ১০ হাজার ৬৮৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
বছরের শুরু থেকে প্রতি মাসে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা এভাবে ধীরে ধীরে বেড়েছে: জানুয়ারি ১১৬১ জন, ফেব্রুয়ারি ৩৭৪ জন, মার্চ ৩৩৬ জন, এপ্রিল ৭০১ জন, মে ১৭৭৩ জন, জুন ৫৯৫১ জন, অগাস্ট ১০ হাজার ৪৯৬ জন।
মৃত্যুর ক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরে ৬৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যা এ বছরের সর্বোচ্চ। এর আগে জুলাইতে ৪১ জন, জানুয়ারি ১০ জন, ফেব্রুয়ারি ৩ জন, এপ্রিল ৭ জন, মে ৩ জন, জুন ১৯ জন, অগাস্ট ৩৯ জন মারা গেছেন। মার্চে কোনো মৃত্যু হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি নতুন রোগীর মধ্যে ১৬৭ জন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগের ১২৬, ময়মনসিংহ ৩০, চট্টগ্রাম ১০৬, খুলনা ৪১, রাজশাহী ৩৫, রংপুর ৫ এবং বরিশাল ১৫৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ২০১৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৫৭ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ১২৫৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গু রোগীর তথ্য সংরক্ষণ করছে। তাদের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল। ওই বছর ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন এবং মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।