মুরাদনগরে নারী ধর্ষণের ঘটনায় জবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও বিচার দাবি
- শিক্ষা ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:০৩ পিএম, ২৯ জুন ২০২৫

কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীর ওপর বর্বর ধর্ষণের ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। রোববার (২৯ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করেন ‘জবি শিক্ষার্থী ফোরাম’।
সমাবেশের শুরুতে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন, যা ক্যাম্পাস ঘুরে আবার ভাস্কর্য চত্বরে এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন, যার মধ্যে ছিল—‘আমার বোন ধর্ষিতা কেন’, ‘ধর্ষকদের বিচার কর’, ‘নিরাপত্তা দাও, না হলে গদি ছাড়ো’, ‘যেই সমাজ ধর্ষক পালে, সেই সমাজ ভেঙে দাও’, ‘নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতা দিন’ ইত্যাদি।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, দেশে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনার বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলেও নারী ও সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা আগের মতোই চলছে।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুল আলম মারুফ বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এলেও বর্তমান সরকার পুরোনো দুঃশাসনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। সংখ্যালঘু, নারী, আদিবাসীদের নিরাপত্তা দিতে তারা ব্যর্থ।”
ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী সামিরা মৌ বলেন, “মুরাদনগরে হিন্দু নারী ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ প্রাথমিকভাবে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। দুই দিন ধরে গণমাধ্যমেও খবরটি প্রকাশ হয়নি। প্রশ্ন হচ্ছে—এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার পেছনে কারা রয়েছে?”
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইভান তাহসীব বলেন, “ধর্ষণের খবর যেন আমাদের কাছে আর নতুন কিছু না। কিন্তু এই নিরবতা অমানবিক। সরকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।”
সমাবেশ থেকে বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে মুরাদনগরের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। একইসঙ্গে সারাদেশে চলমান ধর্ষণ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।
উল্লেখ্য, ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের এক ঘরে জোর করে ঢুকে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার দুই দিন পর ২৯ জুন বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে এবং সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।