
এইচএসসির প্রথম দিনে অনুপস্থিত ১৯ হাজার ৭৫৯ শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪৩
২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন)। সকালে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় প্রথম দিনেই অনুপস্থিত ছিল ১৯ হাজার ৭৫৯ জন। এ ছাড়া শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বহিষ্কৃত হয়েছে ৪৩ জন শিক্ষার্থী। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা পরীক্ষাসংক্রান্ত তথ্যের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গিয়েছে। এতে দেখা গেছে, ১১টি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ১০ লাখ ৬ হাজার ২৭২ জন। অনুপস্থিতির হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। ঢাকা বোর্ডের অধীনে ২৯৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৬৪ হাজার ৬৬৭ জন। অংশগ্রহণ করেছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৩৪১ জন। অনুপস্থিত ৩ হাজার ৩২৬ জন (অনুপস্থিতির হার ১.২৬ শতাংশ)। ঢাকা বোর্ড থেকে একজন পরীক্ষার্থী বহিষ্কৃত হয়েছে। রাজশাহী বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৮ জন, অংশগ্রহণ করেছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৯৯১ জন, অনুপস্থিত ছিল ১ হাজার ৮৬৭ জন। বহিষ্কৃত হয়েছে ১ জন। কুমিল্লা বোর্ডে অনুপস্থিতি ছিল তুলনামূলক বেশি—২ হাজার ৪২৮ জন। অংশগ্রহণ করেছে ৮৭ হাজার ২৪৩ জন পরীক্ষার্থী। চট্টগ্রাম বোর্ডে অনুপস্থিত ১ হাজার ২৩০ জন, যশোরে ১ হাজার ৬৩৮ জন, সিলেটে ৮২৪ জন, বরিশালে ১ হাজার ২৯ জন, দিনাজপুরে ১ হাজার ২৯১ জন এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮৮০ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। এসব বোর্ডে একজন করে পরীক্ষার্থী বহিষ্কৃত হয়েছেন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে কুরআন মাজিদ (বিষয় কোড: ২০১) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৮০ হাজার ১২১ জন। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৮৪ হাজার ৩১৭ জন, অনুপস্থিত ছিলেন ৪ হাজার ১৯৬ জন। বহিষ্কৃত হয়েছে ২৪ জন পরীক্ষার্থী। অনুপস্থিতির হার সবচেয়ে বেশি ছিল মাদ্রাসা বোর্ডে। যার পরিমাণ ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলা-২ বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৯৭ হাজার ৮৭৪ জন। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৯৮ হাজার ৯২৪ জন। অনুপস্থিত ছিল ১ হাজার ৫০ জন। বহিষ্কৃত হয়েছে ১৩ জন পরীক্ষার্থী। তবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিদেশের ৮টি কেন্দ্রের তথ্য এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নয়। এ ছাড়া ময়মনসিংহ বোর্ডের অধীনে একটি কেন্দ্রে কোনো পরীক্ষার্থী ছিল না বলেও জানানো হয়েছে।

সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা, ফল হবে দ্রুত: শিক্ষা উপদেষ্টা
সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। একইসঙ্গে ফল প্রকাশে বিলম্ব যেন না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে রাজধানীর ভাসানটেক সরকারি কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন। উপদেষ্টা বলেন, পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে। পরীক্ষার্থীরা সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছেছে এবং নির্ধারিত নিয়মে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শিক্ষা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকার প্রশ্নফাঁসের গুজব ঠেকাতে এবং নকলমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো সমস্যার কথা শোনা যায়নি। এসময় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের অধ্যক্ষ, কেন্দ্র সচিব, কক্ষ পরিদর্শক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এবারের পরীক্ষায় বসেছেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী।

এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে শিক্ষা উপদেষ্টা
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনেই রাজধানীর দুটি কেন্দ্র পরিদর্শন শুরু করছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বেলা পৌনে ১১টার পর তিনি প্রথমে রাজধানীর ভাসানটেক সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। এরপর তিনি সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্টরা বলেন, পরীক্ষার সার্বিক পরিবেশ, কেন্দ্রের প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা সরেজমিনে পর্যালোচনার অংশ হিসেবে শিক্ষা উপদেষ্টার এ পরিদর্শন। কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে পরীক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার ব্রিফিং করার কথা রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এবার দেশের দুই হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন।

এইচএসসি শুরু আজ, অংশ নিচ্ছে সাড়ে ১২ লাখ শিক্ষার্থী
কোভিড ও ডেঙ্গুর শঙ্কার মধ্যেই সারাদেশে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) থেকে একযোগে শুরু হচ্ছে ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা শুরু হবে এবার। চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। এবারের দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বসছে। এর মধ্যে সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রয়েছেন ১০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী, আলিম পরীক্ষার্থী ৮৬ হাজারের বেশি এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৯ হাজারের বেশি। এ বছর দেশের ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ৮১ হাজার ৮৮২ জন। ২০২৪ সালে পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৩ জন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত রাখতে নেওয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। প্রশ্নফাঁসের গুজব প্রতিরোধ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং গুজব থেকে পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে গত ২৪ জুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। কোভিড ও ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের নির্দেশনা দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার গণমাধ্যমকে বলেন, “পরীক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ সংক্রামণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় সবার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একইসঙ্গে কেন্দ্রের প্রবেশ পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে বলা হয়েছে। এদিকে পরীক্ষার্থীদের জন্য ১০ নির্দেশনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ, ওএমআর শিটে সঠিকভাবে তথ্য লেখা ও বৃত্ত ভরাট, উত্তরপত্র ভাঁজ না করা, শুধুমাত্র সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার, এমসিকিউ ও সৃজনশীল পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি না থাকা এবং কেন্দ্রের ভেতরে মোবাইল ফোন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এছাড়া, তত্ত্বীয়, এমসিকিউ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় আলাদাভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে। পরীক্ষার্থী শুধুমাত্র প্রবেশপত্রে উল্লেখিত বিষয়েই পরীক্ষা দিতে পারবে এবং নিজের প্রতিষ্ঠানে নয়, অন্য প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরের মাধ্যমে পরীক্ষার আসন নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষার অংশে উপস্থিতি স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এদিকে আজ সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ভাসানটেক সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। এরপর তিনি সরকারি বাংলা কলেজ কেন্দ্রও পরিদর্শন করবেন।

রাত পোহালেই এইচএসসিতে বসছে সাড়ে ১২ লাখ শিক্ষার্থী
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। রাত পোহালেই বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল থেকে চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় বসছে সারাদেশের সাড়ে ১২ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। এদিন সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের মাধ্যমে শুরু হবে লিখিত পরীক্ষা। এই পরীক্ষা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। তথ্য বলছে, সারাদেশে মোট পরীক্ষার্থী ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন। এর মধ্যে সাধারণ নয়টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ১০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি। আলিম পরীক্ষার্থী ৮৬ হাজারের বেশি এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৯ হাজারের বেশি। এসব পরীক্ষা নেওয়া হবে দেশের ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ৮১ হাজার ৮৮২ জন। ২০২৪ সালে পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৩ জন। পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ঠেকাতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের সব কোচিং সেন্টার ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) এ নির্দেশনা জারি করা হয়। এবার পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো, নকল প্রতিরোধী পোস্টার টানানো এবং জনসমাগম নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজনে মাইক ব্যবহার করে সচেতনতা তৈরি করতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে কেবল এনালগ কাঁটাযুক্ত ঘড়ি ব্যবহার করা যাবে। বর্ষাকালীন বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে বিদ্যুৎ অফিসকে আগেই সতর্ক করা হয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক খন্দকার এহসানুল কবির জানিয়েছেন, এইচএসসি পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে। স্বাস্থ্যবিধিও উপেক্ষিত নয়। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার মাস্ক পরা এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার সরকারের নজরদারি আরও কঠোর। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। এদিকে, এবারের এইচএসসিতে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে বর্তমান সরকার। বুধবার (২৫ জুন) একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। তিনি বলেন, ‘অতীতে অনেক প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে, এবার অন্তত আমরা পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো ঘটনা দেখতে চাই না। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ১৫ আগস্ট পর্যন্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। উল্লেখ্য, আগামী ২৬ জুন থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা, যা দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।

বদলে গেল জবির ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের’ নাম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১০১তম সিন্ডিকেট সভায় একমাত্র ছাত্রী হলের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত (সিদ্দান্ত-১২) গৃহীত হয়েছে। হলের নতুন নাম ‘নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল’ রাখা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ১০১তম সিন্ডিকেট সভায় ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল’ রাখা হলো। এর আগে, গত ৬ ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর খুলে ফেলা হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হলের নামফলক। এসময় নতুন নাম হিসেবে ‘নওয়াব ফয়জুন্নেসা এসময় হল’, ‘ফেলানী ছাত্রী হল’, ‘মাহমুদা স্মৃতি হল’, ‘রিয়া গোপ ছাত্রী হল’ নাম রাখার প্রস্তাব দেন শিক্ষার্থীরা।

রাজনীতি করতে চাইলে শিক্ষকতা ছেড়ে দিন: শিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষকদের দায়িত্বের প্রতি উদাসীনতার কথা তুলে ধরে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, আমি অনুরোধ করব, বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌহদ্দির মধ্যে রাজনীতি করবেন না। যদি রাজনীতি করতে চান, তবে শিক্ষকতা ছেড়ে রাজনীতি করুন। রাজনীতিতে আপনাদের মতো শিক্ষিত মানুষের প্রয়োজন আছে। সোমবার (২৩ জুন) নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রিসার্চ ফেয়ার ও অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, গত ১৭ বছরের ফ্যাসিস্ট শাসনে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা দুমড়েমুচড়ে গেছে। আমাদের নাগরিক থেকে অধিকারহীন জাতিতে পরিণত করতে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে টার্গেট করা হয়েছিল। শিক্ষকরা ক্লাসের চেয়ে রাজনৈতিক আড্ডায় বেশি সময় দিতেন। গবেষণার চেয়ে দলীয় রাজনীতি তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। তিনি আরও বলেন, গুম-খুনের রাজনীতির মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অপরাজনীতির ফলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। নবীন শিক্ষার্থীদের গেস্টরুম ও গণরুমের নামে নির্যাতন চালানো হতো। প্রটোকলের নামে তাদের রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হতে হতো শিক্ষার্থীদের। শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা বৈষম্য দূর করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম। আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকলেও ইচ্ছাশক্তির কোনো অভাব নেই। তাই শিক্ষাব্যবস্থাকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। গবেষণায় জোর দিতে হবে এবং চিন্তার বিপ্লব ঘটাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজুয়ানুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ (মুরাদ), নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট ডিআইজি মো. হায়দার আলী খান, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুকসহ নোবিপ্রবি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য ১০১ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও দিনব্যাপী রিসার্চ ফেয়ারের আয়োজন করে নোবিপ্রবি প্রশাসন।

সব বেসরকারি কলেজে অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ নিয়োগ স্থগিতের ঘোষণা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত দেশের সব বেসরকারি কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। রোববার (২২ জুন) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক মো. আবদুল হাই সিদ্দিক সরকারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট এবং এর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সব বেসরকারি কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ নিয়োগ এবং এ-সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলো। তবে এই স্থগিতাদেশ শুধুমাত্র অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য সব কার্যক্রম যথারীতি চলবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া, প্রজ্ঞাপনে দেশের সব কলেজের প্রধানদের চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক ও প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর উপযুক্ত সময়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

মাধ্যমিক বিদ্যালয় খুলছে কাল, প্রাথমিক খুলবে ২৪ জুন
ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মের দীর্ঘ ছুটি শেষে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলো খুলছে রোববার (২২ জুন)। একই দিনে ক্লাস শুরু হবে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও। তবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলবে মঙ্গলবার (২৪ জুন)। আর মাদরাসা খুলে দেওয়া হবে আগামী ২৬ জুন। শনিবার (২১ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের শিক্ষাপঞ্জি এবং স্ব স্ব অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশে দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় টানা ২৩ দিন বন্ধ রাখা হয়। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হয়েছিল গত ১ জুন। তবে ছুটি শুরুর আগে সাপ্তাহিক বন্ধ পড়ায় সবশেষ ক্লাস হয়েছিল ২৯ মে। দীর্ঘ এ ছুটি শেষ হয়েছে গত ১৯ জুন। ছুটি শেষে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো ২০ জুন খোলার কথা থাকলেও ওইদিন পড়ে শুক্রবার। ফলে শুক্র ও শনিবার; দুদিনের সাপ্তাহিক ছুটি শেষে রোববার (২২ জুন) থেকে পুনরায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হচ্ছে। অন্যদিকে শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী—কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুরু হয় ১ জুন। ১৯ জুন ছুটি শেষ হয়। ২০-২১ জুন সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্র ও শনিবার) থাকায় ২২ জুন থেকে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও পুনরায় শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। প্রাথমিক খুলবে মঙ্গলবার দেশের সাড়ে ৬৫ হাজারেরও বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও জুনের শুরু থেকে লম্বা ছুটিতে রয়েছে। ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ মিলিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকছে ২১ দিন। ছুটি শুরু হয় গত ৩ জুন থেকে, যা চলবে ২৩ জুন পর্যন্ত। আগামী মঙ্গলবার (২৪ জুন) থেকে পুনরায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে।

আন্দোলনের মুখে ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
আন্দোলনের মুখে অবশেষে স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)। উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নেয়। শনিবার (২১ জুন) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. জুলফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কার প্রত্যাহারের বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিষয়ে ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বহিষ্কার প্রত্যাহারের পর শিক্ষার্থীরা চলতি স্প্রিং ২০২৫ সেশন পর্যন্ত ক্লাস ও একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন। তবে ভবিষ্যতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে স্থায়ী বহিষ্কারের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে, শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর নতুনবাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা। তারা স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তারা রোববার সকাল ১০টা থেকে নতুন করে বিক্ষোভের কর্মসূচি এবং সারাদেশে 'বাংলা ব্লকেড' ও আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ১৩ দফা যৌক্তিক দাবি উপস্থাপন করে আসছিলেন। কিন্তু প্রশাসন এসব দাবি আমলে না নিয়ে বরং আন্দোলন দমনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের মতো কঠোর পদক্ষেপ নেয়।

দাবি না মানলে সড়ক অবরোধ চলবে: ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ একাধিক দাবিতে রাজধানীর নতুনবাজার মোড় এলাকা শনিবার (২১ জুন) সকাল থেকেই অবরোধ করে রেখেছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা। পুলিশের লাঠিচার্জে একবার রাস্তা ফাঁকা হলেও ১০ মিনিট পর শিক্ষার্থীরা ফের অবস্থান নেন। এতে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাড্ডাগামী সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার (২১ জুন) বেলা সোয়া ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা জানান, তাদের ৫ দফা দাবি না মানা হলে নতুনবাজার সড়কে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ চলবে। পাশাপাশি দ্রুত দাবি না মানলে ঢাকা ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন তারা। শিক্ষার্থীদের পাঁচ দাবি হলো : ১. অন্যায়ভাবে সব বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীকে নিঃশর্ত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। ২. বহিষ্কার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সব ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ৩. বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিয়ম-অসুবিধা ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে রিফর্ম দাবিসমূহ বাস্তবায়ন করতে হবে। ৪. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একটি স্বাধীন সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে। ৫. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ কর বাতিল করতে হবে।

ঢাবিতে রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে কনফারেন্স রোববার
রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে দুই দিনব্যাপী প্রথম পলিটিক্যাল সায়েন্স কনফারেন্স আগামী রোববার (২২ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হতে যাচ্ছে। ‘দ্য স্টেট রিফর্মস অ্যান্ড ইলেকশন ডিসকোর্স ইন ট্রানজিশনাল ডেমোক্রেসিস: ফ্রম মাস আপরাইজিং টু ইলেকশন অ্যান্ড স্টেট বিল্ডিং’ শীর্ষক এ কনফারেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের প্রফেসর মোজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের প্রথম দিন বিকেল ৫টায় কনফারেন্সের মূল প্রবন্ধ (কী-নোট) উপস্থাপন করবেন জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। এছাড়া ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. আমানুল্লাহ এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন। প্রথম দিনের বিভিন্ন সেশনে চেয়ার ও আলোচক হিসেবে অংশ নেবেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেনসহ আরও অনেকে। দ্বিতীয় দিনে সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্য রাখবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া আখতার। দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন যৌথভাবে আয়োজন করছে শ্যাডো রিফর্ম কমিশন, শ্যাডো ন্যাশনাল কনসেনসাস কমিশন এবং পলিটিক্যাল অ্যান্ড পলিসি সায়েন্স রিসার্চ ফাউন্ডেশন। শুক্রবার (২০ জুন) বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সম্মেলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক কাজী মাহবুবুর রহমান এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই কনফারেন্সে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও অন্যান্য বিষয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা তাঁদের গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। এসব প্রবন্ধ রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন ঘিরে চলমান সংকট বিশ্লেষণ করে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ খুঁজে পেতে সহায়ক হবে। সম্মেলনের দুই দিনে থিমেটিক সেশনের পাশাপাশি থাকবে সিভিল সোসাইটি সেশন ও পলিটিকাল পার্টি সেশন, যেখানে শ্যাডো সংস্কার কমিশনের বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে মতবিনিময় করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা প্রাইমারি ডাটা সংগ্রহের মাধ্যমে এই কনফারেন্সের ভিত্তি তৈরি করেছে। সংস্কারের রূপরেখা নির্ধারণ এবং বাস্তবায়ন- উভয়ই চ্যালেঞ্জিং। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত এমনভাবে কাজ করা, যাতে জনগণ সেই সংস্কারে ন্যায্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা খুঁজে পায়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক এ. কে. এম. মতিনুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ বহু মানুষের আত্মত্যাগে অর্জিত। ৫ আগস্টের ঘটনাও সেই আত্মত্যাগের প্রমাণ। দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ জনগণ তরুণ। এই তরুণ প্রজন্মকে দক্ষভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। কনফারেন্সে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়েরও সুযোগ থাকবে, যা শ্যাডো সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাবনার বাস্তব প্রয়োগ ও প্রতিফলন বুঝতে সহায়তা করবে।

ভিন্ন আয়োজনে জবি সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
দিনব্যাপী নানা আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) ১৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসে উপাচার্য ভবনের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে কেক কাটার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন শুরু হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। এ সময় তিনি বলেন, জবিসাস গত দুই দশকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাদের এই অবদান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী। জবিসাসের সভাপতি ইমরান হুসাইন বলেন, ২০০৬ সালের ২০ জুন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। দুই দশকের এই যাত্রা আমাদের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। আমরা সত্য ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অব্যাহত রাখব। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো তাজাম্মুল হক, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড মো. মঞ্জুর মোর্শেদ ভুঁইয়া। র্যালি শেষে জবিসাসের সাবেক সদস্যদের অংশগ্রহণে মিলনমেলা ও ফল উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ডেঙ্গু ও করোনা সতর্কতায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাউশির বিশেষ নির্দেশনা
দেশে ফের চোখ রাঙাতে শুরু করেছেন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। ভয়াবহ হয়ে উঠছে ডেঙ্গু পরিস্থিতিও। এই অবস্থায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। রোববার (১৫ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা এবং করোনা প্রতিরোধে পাঁচটি স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- ১. সাবান ও পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ২. জনবহুল স্থানে যাওয়া এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মাস্ক পরিধান করতে হবে। ৩. আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং অন্যদের থেকে অন্তত তিন ফুট দূরে থাকতে হবে। ৪. চোখ, নাক ও মুখে হাত দেওয়ার আগে হাত পরিষ্কার করতে হবে। ৫. হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢাকতে টিস্যু, রুমাল বা কনুইয়ের ভাঁজ ব্যবহার করতে হবে। মাউশি জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের যৌথ নির্দেশনার আলোকে দেশের স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ডেঙ্গু ও করোনা মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের এসব নির্দেশনার বাস্তবায়ন ও তদারকির জন্য বিশেষভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করে দেশব্যাপী বিশেষ সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে হবে। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় আলোচনা সভা, র্যালি, দেয়াল পত্রিকা, পোস্টার তৈরি, লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে। ‘ডেঙ্গু সচেতনতা: ভবিষ্যতে করণীয়’ শীর্ষক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৬ জনের শরীরে। রোববার (১৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে ২৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৩৩ জন। অন্যদিকে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০৩ জন।

ইউএপি সিএসই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ
রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি) এর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি আয়োজিত এক জমকালো গেট টুগেদার ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে এই দায়িত্ব হস্তান্তর সম্পন্ন হয়। নবগঠিত কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মো. নেছার রহমান পরাগ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মো. আসওয়াদ আহমেদ শামস। বিদায়ী কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন কমিটির হাতে দায়িত্ব তুলে দেয় এবং তাদের সফলতা কামনা করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএপির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন স্থপতি মাহবুবা হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কাইয়ূম রেজা চৌধুরী এবং বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ও এম্বট্রোনিকস লিমিটেডের সিইও সামদাদ তানভীর। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউএপির কোষাধ্যক্ষ ড. শেখ আনোয়ার হোসেন, সিএসই বিভাগের প্রধান ড. শাহ মুর্তজা রশিদ আল মাসুদ, অধ্যাপক ড. অলোক কুমার সাহা, সহকারী অধ্যাপক মো. শাম্মী আখতার এবং মো. এ এস জাফরুল্লাহ মমতাজ। সবার অংশগ্রহণে আয়োজিত ইফতার মাহফিল এবং একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে এলামনাইদের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়। বক্তারা এলামনাই নেটওয়ার্কের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতে আরও কার্যকর ও অর্থবহ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। নতুন কার্যনির্বাহী কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মো. শাকিল খান রাজু, আয়েশা সিদ্দিকা রেবা, মো. আসিফ আহমেদ, মো. মহিদুল ইসলাম ও মো. সাইফুল ইসলাম খান। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন আরিফ মাহমুদ শুভ ও মাহমুদুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন ফারিহা তামান্না ও ওবায়দুর রহমান। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন শেখ তানভির ইনজামাম, তার সহকারী হিসেবে রয়েছেন মো. আল শাহরিয়ার খান নিয়ন, খান মো. এনামুল আলম মারুফ এবং এস. এম. আশিকুর রহমান। কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সালমান মো. সুলতান। এছাড়াও এস. এম. ফজলে রাব্বি (জন) সহ আরও ২৪ জনকে নিয়ে গঠিত হয়েছে কার্যকরী সদস্য পরিষদ।

২৫ জুলাইয়ের মধ্যে এসএসসির ফল প্রকাশ
আগামী জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা। বুধবার (১১ জুন) দুপুরে শিক্ষা বোর্ডগুলোর মোর্চা আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, পরীক্ষা শেষ হওয়ার দুই মাসের মধ্যে ফল প্রকাশের রেওয়াজ আছে। সেভাবেই ফল প্রকাশ করা হবে। গত ২৫ মে এসএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সে অনুযায়ী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে পারবো। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, প্রধান পরীক্ষকদের কেউ কেউ প্রথমে খাতা নিয়ে অনীহা দেখালেও আমরা একটি চিঠি ইস্যু করার পর মেক্সিমাম খাতা নিয়ে গেছে। খাতার ওএমআর শিট জমা দেওয়াও শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ জুন ওএমআর জমা দেওয়ার শেষ দিন, এর মধ্যে সব ওএমআর শিট চলে আসবে। তিনি বলেন, অফিস খুললে ফল প্রকাশের তারিখ নিয়ে চিন্তা করা হবে। এখন ওএমআর শিট স্ক্যানিং ও নম্বর ইনপুটের কাজ চলছে। প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১৩ মে পর্যন্ত চলে এসএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা। ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয় ২৫ মে। এবার মোট ১৯ লাখ ২৮ হাজার শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করেছিলেন। তবে ৩০ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী এক বা একাধিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন।

১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি আসছে জুলাইতে
শিক্ষক নিবন্ধনের বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বিষয়গুলো নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে। জনপ্রশাসন এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পরপরই শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এসব কথা জানান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক। জানা গেছে, এখন থেকে নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে প্রার্থীদের বয়স গণনা করা হবে। এ ছাড়া নিবন্ধন পরীক্ষা দুই ধাপে সম্পন্ন করা হবে। এ দুটি বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মিটিং এ বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।জনপ্রশাসন এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর বয়স নির্ধারণে পরিপত্র জারি করা হবে। এরপর শিক্ষক নিবন্ধনের নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। জুলাই মাসের মধ্যে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে। এ বিষয়ে এনটিআরসিএ সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক বলেন, ‘শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি কবে প্রকাশিত হবে সেটি নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তবে মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পরপরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।’ প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা অর্জন করতে হয় নিবন্ধন সনদ অর্জনের মাধ্যমে। এ পর্যন্ত ১৮টি শিক্ষক নিবন্ধনের মাধ্যমে অসংখ্য প্রার্থীকে সনদ দিয়েছে এনটিআরসিএ।

১০ মাসে ২২৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে গত ১০ মাসে দেশের ২২৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। ইতিহাসে এই প্রথম এত কম সময়ে এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম বদলের নজির তৈরি হয়েছে। নাম পরিবর্তনের এ প্রক্রিয়ায় বাদ পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাদের পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট নেতাদের নাম। সরকারি সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ৪ জুন ২৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামকরণে এখন ‘ব্যক্তিনির্ভরতা’ বাদ দিয়ে ‘স্থানীয়তা’ ও ‘গণগ্রাহ্যতা’কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পূর্ববর্তী সরকার যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম রাজনৈতিক ও পারিবারিকভাবে নির্ধারণ করেছিল, সেগুলোর নাম এখন সংশ্লিষ্ট জেলা, উপজেলা বা এলাকা অনুযায়ী পুনর্নামকরণ করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে ছয়টি সরকারি মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়। এর মধ্যে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ, মানিকগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ’ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুরের নাম হয় ‘ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ’। ২০২৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দেশের ১৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নাম নির্ধারণ করা হয়। যেমন- নেত্রকোনার ‘শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়’ এখন ‘নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং কিশোরগঞ্জের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়’ এখন ‘কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে পরিচিত। এরপর ১৫ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বিএসএমএমইউ) তিনটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। বিএসএমএমইউর নাম হয় ‘বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’, খুলনার শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হয় ‘খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং সিলেটের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হয় ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’। এ ছাড়া ২৯ মে দেশের ৩৭ জেলার ৬৮টি সরকারি কলেজের নাম পরিবর্তনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তবে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজের নাম বদলের সিদ্ধান্ত এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করায় সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানান, এ কলেজের নাম পরিবর্তন করা হবে না। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামকরণেও এসেছে বড় পরিবর্তন। ১৩ এপ্রিল ১৫টি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম থেকে শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ নেতা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নাম বাদ দেওয়া হয়। ২৪ এপ্রিল নাম বদল হয় আরও ২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের, যার মধ্যে রয়েছে ১৬টি স্কুল, তিনটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ২টি কলেজ। প্রাথমিক স্তরেও ব্যাপক নাম পরিবর্তন হয়েছে। গত ১০ মাসে মোট পাঁচ দফায় ৭৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়। সর্বশেষ ১৮ মে ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দেওয়া হয়। নাম পরিবর্তনের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, জাতীয় প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নামকরণ কোনো ব্যক্তি কিংবা রাজনৈতিক দলকে কেন্দ্র করে হওয়া উচিত নয়। এটি হওয়া উচিত দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ভূগোলকে ভিত্তি করে। আমরা সেই দর্শনেই কাজ করছি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার সুবাদে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নানা স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামকরণ হয়েছিল দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে। অন্তর্বর্তী সরকারের এ উদ্যোগকে তারা দেখছেন প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘অরাজনৈতিকীকরণ’-এর একটি অংশ হিসেবে। তবে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, এটি কেবল প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং একটি রাজনৈতিক বার্তা। এতে করে অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের পক্ষ থেকে ‘নিরপেক্ষতা’ এবং ‘অরাজনৈতিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার’ পক্ষপাত প্রদর্শন করছে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার তাদের শাসনামলে বিভিন্ন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত প্রতিষ্ঠানের নামকরণে একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক ও পারিবারিক চিহ্ন যুক্ত করেছে। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে অসংখ্য স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, সেতু, রাস্তা, বিমানবন্দর, স্টেডিয়াম, গবেষণা কেন্দ্র, এমনকি প্রকল্প ও ভবনের নামকরণ করা হয়।
.png)
জুলাই থেকে কলেজ শিক্ষকদের অনলাইন বদলি শুরু: শিক্ষা উপদেষ্টা
আগামী জুলাই থেকে কলেজ পর্যায়ে অনলাইনে শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। আজ বুধবার সচিবালয়ে আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৫ এবং মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সি আর আবরার বলেন, ‘সামান্য ভুল থাকা বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে আমার মন সায় দিচ্ছে না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যতটা সম্ভব নির্ভুল বই তাদের হাতে তুলে দেব, এ জন্য আমরা কাজ করছি।’ উপদেষ্টা বলেন, দেশে বেকার সমস্যা সমাধানে কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। আমরা চামড়া শিল্প, ওষুধ শিল্প, সিরামিক শিল্পসহ নানা খাতের শিল্প বিশেষজ্ঞ ও প্রতিনিধি নিয়েও আলাপ আলোচনা করেছি। আমরা মনে করি কারিগরি শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ সীমিত। এ সমস্যা সমাধানে আমরা যথাযথভাবে চেষ্টা করব।’

মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে সুখবর দিল অর্থ উপদেষ্টার
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সারা দেশে ১ হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসাকে এমপিওভুক্ত করার কাজ চলমান রয়েছে। সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে তিনি এ কথা বলেন। ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে ১ হাজার ১৩৫টি মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৫১৩টি বহুতল ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। ৪৯৩টি মাদ্রাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া, ইবতেদায়ি পর্যায়ে বৃত্তি প্রদান এবং মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্তি বাবদ ৭২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে কারিগরি শিক্ষায় এনরোলমেন্টের হার ১৯ শতাংশ। ২০২৫ সালের মধ্যে এটি ২০ শতাংশে উন্নীত করতে প্রতিটি বিভাগীয় পর্যায়ে মহিলা পলিটেকনিক ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, জেলা পর্যায়ে পলিটেকনিক এবং উপজেলা পর্যায়ে টেকনিক্যাল স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।

‘সাংবাদিকদের ওপর হামলায় ছাত্রদলের ফ্যাসিবাদী চেহারা প্রকাশ পেয়েছে’
দেশের বিভিন্ন স্থানে পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকদের ওপর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বারবার ন্যক্কারজনক হামলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জবিসাস)। সোমবার (২ জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক সাকেরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হুসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমন এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যম একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য অপরিহার্য। সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার রাখেন। তাছাড়া গণতন্ত্রের বিকাশ এবং সুশাসনের জন্য সাংবাদিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। নেতারা বলেন, বারবার গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর আঘাত করে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তাদের ফ্যাসিবাদী মনোভাব ও চেহারা প্রকাশ করছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন তারা তাদের কর্মীদের প্রশিক্ষিত ও সহনশীল করে তোলেন, যাতে সংবাদকর্মীরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন। বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের যে অপচেষ্টা চলছে, তা গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে অন্তরায়। গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার প্রধান দাবি ছিল, ছাত্র রাজনীতির মৌলিক সংস্কার ও একটি মুক্ত, স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত করা। কিন্তু সাম্প্রতিক ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা গণতন্ত্রপন্থি মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার প্রত্যাশার বিপরীত চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। এছাড়া সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ২৮ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ২৬ মে সরকারি তিতুমীর কলেজ, ১৭ নভেম্বর ২০২৪ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ১৭ নভেম্বর ২০২৪ নারায়ণগঞ্জ, ২৭ মার্চ ২০২৫ বরিশাল, ১৫ মে ২০২৫ কুমিল্লায় ছাত্রদল নেতাকর্মী কর্তৃক সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। বারবার গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার পরও কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতারা নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জবিসাস নেতারা বলেন, এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

৮ বছর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আজ
দীর্ঘ আট বছর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আজ শনিবার (৩১ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের ৬৪ জেলা শহরের ৮৭৯টি কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নিচ্ছেন ৫ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ জানান, দীর্ঘ বিরতির পর সারাদেশব্যাপী এই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। তিনি বলেন, সারাদেশে পরীক্ষা হওয়ায় কেন্দ্র সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের যথাযথভাবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতো। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মতো এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর ভিত্তিতে অধিভুক্ত কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু করে। এবার তাতে ফের পরিবর্তন আনা হলো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে মোট ৮৭৯টি কেন্দ্রে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ২৪৭টি কেন্দ্র রয়েছে। এরপর খুলনায় ১৫৬টি, রাজশাহীতে ১৪৩টি, চট্টগ্রামে ১৩৪টি, রংপুরে ৯৬টি, বরিশালে ৫৯টি এবং সিলেটে ৪৪টি কেন্দ্র বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সরকারি কলেজ ছাড়াও স্থানীয় কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আট বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে এমসিকিউ (বহুনির্বাচনী) পদ্ধতিতে। মোট ১০০ নম্বরের প্রশ্নপত্র থাকবে। সময় থাকবে ১ ঘণ্টা। পাস নম্বর ৩৫। প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলে ১ নম্বর পাবেন পরীক্ষার্থী। ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা হবে না। ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ অংশে প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৪০ শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৬০ শতাংশ যোগ করে মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। ইউজিসির সবশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক (সম্মান) কোর্স রয়েছে দেশের ৮৮১টি কলেজে। এরমধ্যে সরকারি কলেজ ২৬৪টি এবং বেসরকারি ৬১৭টি। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে প্রথম বর্ষে ভর্তিযোগ্য মোট আসন ছিল চার লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি। অন্যদিকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ডিগ্রিতে (পাস কোর্স) প্রথমবর্ষে ভর্তিযোগ্য আসন ছিল ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৯০টি। দেশের এক হাজার ৯৬৯টি কলেজে ডিগ্রি কোর্সে পড়ানো হয়। প্রত্যেক বিষয়ে সর্বোচ্চ ৮টি আসন কোটার জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এরমধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটা তিনটি, আদিবাসী একটি, প্রতিবন্ধী একটি, পোষ্য কোটা তিনটি।ভর্তিচ্ছুদের অবশ্যই পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও এইচএসসি রেজিস্ট্রেশন কার্ড সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষায় সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা গেলেও মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।

পাবিপ্রবিতে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বিশ্ববিদ্যায়ের প্রধান রাস্তার পাশে কাঠ বাদামের গাছ লাগিয়ে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরে সকলের অংশগ্রহণে বেশকিছু গাছ লাগানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। মাসব্যাপী এই কর্মসূচিতে বৃক্ষরোপণ কমিটির লে-আউটের মাধ্যমে পুরো ক্যাম্পাসে পরিকল্পিতভাবে ৭০ প্রজাতির দুর্লভ ঔষধি, বনজ, ফল ও ফুলের এক হাজার গাছ রোপন করা হবে। বৃক্ষরোপণ উদ্বোধন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগানো শুরু হলো। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য পুরো ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ করা হবে। ফুল, ফল, বনজসহ সকল ধরনের বৃক্ষরোপণ করা হবে। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সাথে যারা জড়িত, তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উপাচার্য।' তিনি বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি স্তরে আমরা পরিবর্তন লক্ষ করছি। এই পরিবর্তনের জন্য আপনারা সবাই একসাথে কাজ করছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত পরিবর্তন হচ্ছে। এক সময় এই বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হবে।’ উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ফুল, ফলসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানো হবে। সারা দেশ থেকে নানা জাতের গাছের চারা সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং সেগুলো পরিকল্পিতভাবে লাগানো হবে।’