এনবিআরে আন্দোলন

শাটডাউন কর্মসূচি করুক, বৈঠক হবে না: অর্থ উপদেষ্টা


February 4 2025/1750846829.Salehuddin-Ahmed.jpg

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আন্দোলনকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আজ কোনো বৈঠক হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘কর্মকর্তারা শাটডাউন কর্মসূচি পালন করতে চাইলে করুক।’

রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এনবিআরের কর্মকর্তাদের আন্দোলনের বিষয় নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রেস রিলেজ দিয়ে জানানো হবে।’

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানা গেছে, আন্দোলনকারী এনবিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক না করার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এমনকি ১ জুলাই বিকেল ৪টায় তাদের সঙ্গে যে বৈঠক হওয়ার কথা সেটাও হবে কিনা তা নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে।

এর আগে এনবিআরের একটি সূত্র জানিয়েছিল, অচলাবস্থা নিরসনে আজ রোববার বিকেল ৪টায় অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করবেন এনবিআরের আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অর্থ উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই বৈঠক হবে। 

এনবিআর জানিয়েছে, অর্থ উপদেষ্টার বৈঠকের জন্য আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট ক্যাডারের ২০ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের সদস্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখানে কর ক্যাডারের ১০ এবং শুল্ক ও ভ্যাটের ১০ জন থাকবেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার।

এদিকে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ রোববারও চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি’। রাজস্ব বোর্ডের সংস্কার রোধ ও চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আন্দোলনকারীরা আগারগাঁওয়ের প্রধান কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান নেন। এতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে সরকারের রাজস্ব আদায় কার্যক্রম।

জানা গেছে, ব্যবসায়ী নেতাদের একটি প্রতিনিধিদল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সমঝোতার চেষ্টা করছেন। এ জন্য আজ দুপুরে একটি ব্যবসায়ী সংগঠনের চেম্বার কার্যালয়ে বৈঠক হতে যাচ্ছে। ওই বৈঠকের পর অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক হবে।

এদিকে আন্দোলনের কারণে বন্ধ রয়েছে দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। স্থবির হয়ে পড়েছে বন্দরের কনটেইনার ডেলিভারি, মূল্যায়ন ও কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স। এতে ব্যাহত হচ্ছে রাজস্ব আদায় এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম।

শনিবার দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে আন্দোলনের কারণে প্রতিদিন শুধু পোশাক খাতেই ক্ষতি হচ্ছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। তারা ব্যবসা ও অর্থনীতির স্বার্থে দ্রুত এই পরিস্থিতির নিরসন করতে সরকার ও আন্দোলনকারীদের আহ্বান জানান।

গত ১২ মে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্বনীতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগে বিভক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর পর থেকে এনবিআর বিলুপ্তি রোধসহ কয়েকটি দাবিতে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আন্দোলন করছেন। গত ২৫ মে অর্থ মন্ত্রণালয় ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে অধ্যাদেশটি সংশোধন করার আশ্বাস দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়। এর পর ২২ জুন থেকে চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শনিবার সারাদেশে এনবিআরের কর, মূসক ও শুল্ক দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কমপ্লিট শাটডাউন এবং মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি পালন করেন।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×