মহানবী (সা.)-কে কটূক্তি অভিযোগে জাবি শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৭:২০ পিএম, ৩০ জুন ২০২৫

হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটূক্তি করার অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের (৫০তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী তৌফিক ইসলাম নাবিলকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে গঠিত হয়েছে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি।
সোমবার (৩০ জুন) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবমাননাকর মন্তব্য করে তৌফিক ইসলাম নাবিল ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। এতে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২৯৫(ক) ধারা এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ ২০১৮-এর ৪(১)(খ) ধারার লঙ্ঘন হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেন।
একই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "অসদাচরণের" অভিযোগে ঘটনার তদন্ত ও সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মো. শামছুল আলমকে সভাপতি করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ তারেক চৌধুরী, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এমদাদুল ইসলাম এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার (সাধারণ প্রশাসন) মো. মাহতাব-উজ-জাহিদ (সদস্য-সচিব)।
গত ২৮ জুন তৌফিক ইসলাম নাবিলের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যসহ একটি স্ক্রিনশট সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। ওইদিন রাতেই তারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বহিষ্কার দাবি জানায়। পরদিন ২৯ জুন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র দেন এবং শান্তিপূর্ণ ও সহনশীল শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে দোষীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।