চিন্ময় দাসের জামিন শুনানি আজ

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে শুনানি করা হবে আজ রোববার (৪ মে)। রোববার দুপুরে এ বিষয়ের উপর শুনানি করা হবে বলে গত বুধবারই দিন নির্ধারণ করা হয়। গত বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ ওই সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন ‘রোববার শুনানি হবে।’ এদিকে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আদেশের পর তার আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, নিম্ন আদালতে জামিন না মিললেও উচ্চ আদালত জামিন দিয়েছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে। কিন্তু তিনি সহসা মুক্তি পাচ্ছেন না। কারামুক্তিতে বাধাও নেই। সমস্যা কাগজপত্র নিয়ে। চিন্ময় দাসের আইনজীবী আরও বলেন, হাইকোর্ট থেকে অর্ডারটি (আদেশ) নিম্ন আদালতে যাবে। যা চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছতে সপ্তাহখানেক সময় লেগে যেতে পারে। এরপর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পারেন। গত পাঁচ মাস আগে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় গ্রেফতার হয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী হন হিন্দু ধর্মীয় এই নেতা। অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, গত পরশু ওনার (চিন্ময়) মা এবং আমি কারাফটকে গিয়ে দেখা করেছিলাম। উনি মোটামুটি ভালো আছেন। তবে শরীরটা আগের চেয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় ৭ কেজি ওজন কমেছে। আমি ওইদিনই আশ্বাস দিয়েছিলাম জামিন হবে তার। এর আগে, এদিন দুপুরে বিচারপতি আতোয়ার রহমান খান ও আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের জামিন স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর প্রেক্ষিতে সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এ আদেশ দেন। উল্লেখ্য, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে গত বছরের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ হয়। ওই সমাবেশের পর ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ছাড়াও আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়। ২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় গত ২৫ নভেম্বর তাকে ঢাকায় গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই কারাগারে আছেন চিন্ময়। গত ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী।

আবরার হত্যার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ: মৃত্যুদণ্ড ২০, যাবজ্জীবন পাঁচ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টের ১৩১ পৃষ্ঠার বিস্তারিত রায় প্রকাশ করা হয়েছে। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৬ মার্চ আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে এই রায় দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ঢাকার চকবাজার থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে বিচারক বলেছিলেন, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে একে অপরের সহায়তায় শিবির সন্দেহে আবরার ফাহা

ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় প্রাক্তন ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে দুপুরে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে জামিনের আদেশ দেন। তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। পরে বিকেলে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড হেলাল আমীন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে জামিন স্থগিতের আবেদন করেন। আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া। বিস্তারিত আসছে...

প্যারোলে মুক্তি চান দীপু মনি

বৈষম‍্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে জুলাই-আগস্টে গণহত্যার অভিযোগে গ্রেফতার সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্যারোলে মুক্তি চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছেন। বুধবার (৩০ এপ্রিল) আবেদনটি শুনানির জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তাজুল ইসলাম বলেন, ‘স্বামীর অসুস্থতায় প্যারোলে মুক্তি চেয়ে দীপু মনির আবেদনের শুনানি হয়। পরে আবেদন নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যেতে বলেছে ট্রাইব্যুনাল।’ আবেদনে বলা হয়েছে, দীপু মনির স্বামী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, স্বামীর সেবার জন্য তাকে পাশে থাকা প্রয়োজন।

অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর গুলশানে ভ্যানচালক জব্বার আলী হাওলাদারকে হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সানাউল্লাহ এ আদেশ দেন। এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই আব্দুস সালাম ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন চান। এসময় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে রিমান্ডের জোর দাবি জানানো হয়। শুনানি শেষে বিচারক আসামি সিদ্দিকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে বেইলি রোড দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু যুবক সিদ্দিককে আটক করা হয়। পরে তাকে রমনা থানা থেকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বছরের ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলশানের শাহজাদপুরে কনফিডেন্স টাওয়ারের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়। এতে জব্বার আলী হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০৯ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় এ মামলা করেন ভ্যানচালক জব্বার আলী হাওলাদার।

প্রাইম এশিয়ার পারভেজ হত্যা: মেহেরাজ ও হৃদয় কারাগারে

রাজধানীর বেসরকারি প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলাম ও অন্য আসামি হৃদয় মিয়াজীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.জিয়াদুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মাইন উদ্দিন। মেহেরাজের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। তবে হৃদয় মিয়াজীর পক্ষে কেউ জামিন আবেদন করেননি। শুনানি শেষে বিচারক মেহেরাজের জামিন নামঞ্জুর করেন এবং তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের বনানী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক মোক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গত ২৩ এপ্রিল দুপুরে গাইবান্ধা থেকে মেহেরাজকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ২৫ এপ্রিল তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে ২১ এপ্রিল রাতে হৃদয় মিয়াজীকে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মনাইরকান্দি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। ২৩ এপ্রিল তার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। আলোচিত এ হত্যা মামলায় এরই মধ্যে দুই আসামি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। জানা যায়, জাহিদুল ইসলাম পারভেজ প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ১৯ এপ্রিল বিকেল ৪টার পর বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ওই ঘটনার একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতে পারভেজ নিহত হন। ঘটনার পরদিন ২০ এপ্রিল পারভেজের ফুফাতো ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ও ইংরেজি বিভাগের তিন ছাত্র মাহাথি, মেহেরাব, আবুজর গিফারীসহ আটজনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ এপ্রিল প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুক্তভোগী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ মিডটার্ম পরীক্ষা দিতে যায়। পরীক্ষা শেষে বন্ধুদের সঙ্গে পুরি-সিঙারার দোকানে আড্ডা ও হাসাহাসি করছিল। বিকেল ৩টায় ১ থেকে ৩ নম্বর আসামি তার কাছে হাসাহাসির কারণ জানতে চাওয়ার উভয়ের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকসহ প্রক্টর মীমাংসা করেন। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা চুরি, চাকু, চাপাতি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে পারভেজ ও তার বন্ধুদের ওপর হামলা করে। এতে পারভেজ মারাত্মক আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তারিক সিদ্দিকীর স্ত্রী ও দুই মেয়েসহ ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক ও দুই মেয়ে বুশরা সিদ্দিক, নুরীন তাসমিয়া সিদ্দিকসহ ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের তদন্ত চলছে। নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্তরা হলেন- শেহতাজ মুন্নাসী খান, শহিদ উদ্দিন খান, শফিক আহমেদ শফিক, পারিজা পাইনাজ খান, ফারজানা আনজুম। তারা সবাই প্রচ্ছায়া লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার। এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম এ আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার ছোট বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকী ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা লোপাট/আত্মসাত সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। প্রচ্ছায়া লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডাররা সপরিবারে গোপনে দেশত্যাগ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা দেশত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। তাছাড়া সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। এজন্য অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধান কার্যক্রমের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাত্রা রোধে বিজ্ঞ আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। এর আগে ২৮ জানুয়ারি তারিক আহমেদ সিদ্দিকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

হাসিনাকন্যা পুতুলের ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ

ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরে থাকা একটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ফ্ল্যাটটির দলিলমূল্য ৫৭ লাখ টাকা বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জব্দের আবেদন সূত্রে জানা গেছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব। এদিন দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম এ সম্পদ জব্দের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত। দুদকের আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অনুসন্ধানকালে তার এ স্থাবর সম্পত্তির তথ্য পাওয়া যায়। তিনি যেন এটি বিক্রি বা হস্তান্তর করতে না পারেন এজন্য তা জব্দের আদেশ দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। এর আগে গত ৫ মার্চ সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের প্রতিষ্ঠিত সূচনা ফাউন্ডেশনের ১৪ ব্যাংক হিসাবে থাকা ৪৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। এছাড়াও কয়েক দফায় পুতুলসহ হাসিনা পরিবারের সদস্যদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা অন্তত ১ হাজার ৬৫ কোটি ৭৮ লাখ ২২ হাজার ১১৮ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেন ঢাকার আদালত। এদিকে ২৭ এপ্রিল প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় পুতুলের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ

দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও কর ফাঁকির পৃথক দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাতো ভাই শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার পৃথক দুই বিশেষ জজ আদালতে তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। প্রথমে কর ফাঁকির মামলায় জামিন শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক কবির উদ্দিন প্রামাণিক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর কিছু সময় পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ মামলাতেও তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে দুদক। এর মধ্যে কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে পৃথক দুটি ধারায় তিন বছর ও পাঁচ বছরসহ মোট আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। এছাড়া অবৈধ সম্পদের মামলায় ২০০৮ সালে তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলেন। শুনানি শেষে আজ এ আদেশ দিলেন আদালত।

আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই

দুদকের দুই মামলায় দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাতো ভাই ও নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকার পৃথক দুটি বিশেষ জজ আদালতে তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এ আবেদন করেন। আইনজীবী শেখ সাকিল আহমেদ রিপন এ তথ্য জানিয়েছেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, জামিনসহ পৃথক পাঁচটি আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে কারাগারে ডিভিশন, চিকিৎসা, ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত ও পরোয়ানা ফেরতের আবেদন রয়েছে।

প্রথম আলোর সম্পাদক-প্রকাশকের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননা মামলার আবেদন

ঈদ শুভেচ্ছা কার্টুনে কুকুরের ছবি প্রকাশ করে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক, প্রকাশক ও সংশ্লিষ্ট কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজজামানের আদালতে নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আদেশের জন্য আগামী রোববার (৪ মে) দিন ধার্য করেছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী নাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার আবেদনে অভিযোগ করা হয়, ২০২৫ সালের ৩০ মার্চ (নগর সংস্করণ) প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতার ২, ৩ এবং ৪ নম্বর কলামের হেডলাইনে ঈদ মোবারক নামক কুকুরের ছবি সম্বলিত একটি ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশ করে। এই ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুনে ইসলাম ধর্মের পবিত্র উৎসবকে অবমাননা করা হয়েছে। সংবাদপত্রটি পড়ে বাদী ও সাক্ষীরা এবং সব ধর্মপ্রাণ মুসলমান পড়ে ও দেখে মর্মাহত হয়েছেন। প্রথম আলোর মতো একটি জাতীয় পত্রিকা মুসলিম ধর্মের ঈদের মত একটি পবিত্র ইবাদতকে কটাক্ষ করতে দ্বিধা করে নাই। একটি কুকুরের ললুপ হাস্যরসাত্মক কার্টুনের সঙ্গে মানুষের আনন্দকে চিত্রায়িত করে ঈদের পবিত্রতা এবং মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় অনুভূতিকে চরমভাবে অবমাননা করা হয়েছে। এই কাজটি একটি সচেতন এবং সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ঈদ-উল-ফিতরের মতো মহান ধর্মীয় উৎসবকে অপমানিত ও হেয় করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ছবি শুধুমাত্র বাদীর ব্যক্তিগত অনুভূতিতে আঘাত করেনি বরং সমগ্র মুসলিম সমাজের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত করেছে বলে বাদী অভিযোগ করেন।

শেখ হাসিনার সঙ্গে অভিনেতা সাংবাদিক আইনজীবীসহ আসামি ৪০৭

জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা এবং প্ররোচনার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৪০৮ জনকে আসামি করে আরও একটি মামলা হয়েছে। মামলায় আসামিদের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, এমপি এবং দল ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের হুকুমের আসামি করা হয়েছে। পাশাপাশি সাবেক তিন আইজিপি, স্বরাষ্ট্র সচিব, সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ শতাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, সাবেক মেয়র, দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার, আমলা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, আইনজীবী, অভিনেতা, ব্যাংক মালিকের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য আর্থিক সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় আসামির তালিকায় রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, তাজুল ইসলাম, হাছান মাহমুদ, কামরুল ইসলাম, ফারুক খান, আসাদুজ্জামান নূর, জাহিদ মালেক স্বপন, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, নূরে আলম চৌধুরী লিটন, সাবের হোসেন চৌধুরী, লোটাস কামাল, নওফেল চৌধুরী, শাজাহান খান, আব্দুর রাজ্জাক, শেখ হেলাল, তারানা হালিম, সানজিদা খানম, ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, নিক্সন চৌধুরী, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, শামীম ওসমান, নাজমুল হাসান পাপন, কাজী নাবিল আহমেদ, এ কে আজাদ, তারেক সিদ্দিকী, তৌফিক-ই-ইলাহী, গওহর রিজভী, মশিউর রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর, পরিচালক সাদাত সোবহান তানভীর, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, মোহাম্মদ মইনদ্দিন আব্দুল্লাহ, অভিনেতা ইরেশ যাকের, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। আসামি সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন ইকবাল সোবহান চৌধুরী, শাবান মাহমুদ, আরিফ হাসান, মোজাম্মেল হক বাবু, নাঈমুল ইসলাম খান, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, নঈম নিজাম, সুভাষ সিংহ রায়, শ্যামল দত্ত, ফারজানা রুপা, মুন্নী সাহা, জ ই মামুন, শাকিল আহমেদ, মিথিলা ফারজানা, মনজুরুল আহসান বুলবুল, হারুন উর রশীদ, নাসিরুদ্দীন সাথী, নবনীতা চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, ওমর ফারুক, শফিকুর রহমান, ফরিদা পারভীন ও মাসুদা ভাট্টি। আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছেন সৈয়দ রেজাউর রহমান, নজিবুল উল্যাহ হিরু, দুদকের সাবেক দুই প্রসিকিউটর খুরশীদ আলম খান ও মোশাররফ হোসেন কাজল। সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ, কে এম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল। ইসির সাবেক তিন সদস্য মোহাম্মদ সাদিক, হেলাল উদ্দিন আহমদ ও ড. সাদিক। ৫ আগস্ট রাজধানীর মিরপুরে বিএনপিকর্মী মাহফুজুল আলম শ্রাবণকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পী ঢাকার সিএমএম আদালতে ২০ এপ্রিল মামলা করেন। ওই দিন আদালত তাঁর জবানবন্দি নিয়ে অভিযোগটি মিরপুর মডেল থানার ওসি নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। এজাহারে অভিযুক্তদের চারটি ক্যাটেগরিতে ভাগ করে সবার সম্পৃক্ততা ও সুনির্দিষ্ট অপরাধের ধরন উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি মিরপুর মডেল থানার ওসি সাজ্জাদ রোমন তদন্ত করছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, শ্রাবণের বাবার নাম মোশাররফ হোসেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার দোগাছী এলাকায়। তিনি মিরপুরে থাকতেন। গত ৫ আগস্ট দুপুরে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিল মিরপুর শপিং কমপ্লেক্স ও মিরপুর মডেল থানার মধ্যবর্তী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আসামিরা তাঁকে থানার সামনে গুলি করে। স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে পাশের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্বজন ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফন করেন।

মামুন-জিয়াউলের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়ল তিন মাস

জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালানোসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ ১৩ জনকে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হওয়া এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আবারও প্রায় তিন মাস বাড়ায় ট্রাইব্যুনাল। নতুন করে এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আগামী ২০ জুলাই নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আজ সোমবার এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। গণ-অভ্যুত্থানের পর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে করা তৃতীয় মামলা এটি। এই মামলায় গ্রেফতার আট আসামিকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তারা হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, ডিএমপির মিরপুর বিভাগের সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান, বরখাস্ত হওয়া ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী, গুলশান থানার সাবেক ওসি মো. মাজহারুল হক, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি-উত্তর) সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।

শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

মাগুরার চাঞ্চল্যকর শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এদিন তিন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হবে বলে জানা গেছে। গত ১৩ মার্চ ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশুটি। এর আগে মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় সে। সারা দেশে শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নামেন। স্থানীয় আইনজীবীরাও এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার দাবির পাশাপাশি আসামিপক্ষকে কোনো প্রকার আইনি সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দেন। মামলার মূল আসামি শিশুর বোনের শ্বশুর হিটু শেখ গত ১৫ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। যেখানে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তিনি একাই জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিলেও গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মামলার চার আসামির বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। গত ২৩ এপ্রিল মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এম জাহিদ হাসান সাক্ষীদের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

তাসনিম জারা ও জাহাঙ্গারীরকে পাঠানো আইনি নোটিশ প্রত্যাহার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ড. তাসনিম জারা ও ডা. জাহাঙ্গীর কবিরকে পাঠানো নোটিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার (২৭ এপ্রিল) নোটিশ দাতাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব সরকারকে একটি নোটিশ পাঠান। নোটিশে ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবির ও ডাক্তার তাসনিম জারাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়ানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। নোটিশে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকিসহ সব অনলাইন মাধ্যমে অশ্লীল ও পর্নোগ্রাফিক ভিডিও, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধে সব ওয়েবসাইট, লিংক, গেটওয়ে অবিলম্বে বন্ধ করতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী বায়েজিদ হোসেন ও নাঈম সরদারের পক্ষে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতার ভয়াবহতা উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর ডাকযোগে জনস্বার্থে নোটিশটি পাঠানো হয়। পরে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। বাংলাদেশের নারীদের সঠিক পরামর্শ দেওয়ায় ড. তাসনিম জারার ভূমিকার প্রশংসা করেন অনেকেই। একই সঙ্গে তাসনিম জারা তরুণদের রাজনৈতিক দল এনসিপিতে জড়ানোয় তার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানোকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবেও দেখছেন অনেকেই।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম

তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে গেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তার অনুপস্থিতিতে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, প্রধান বিচারপতি দুটি আন্তর্জাতিক আয়োজনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নিতে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। প্রথমে তিনি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এক আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়ামে অংশ নেবেন। এরপর তিনি ২৮ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে আরেকটি সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেবেন। এই সফরকালে বিচার বিভাগের কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা ও অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব সাময়িকভাবে পালন করবেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম।

ডা. জাহাঙ্গীর আলম ও তাসনিম জারার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ

ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকিসহ সব অনলাইন মাধ্যমে অশ্লীল ও পর্নোগ্রাফিক ভিডিও, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধ করতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগ এনে ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবির ও ডাক্তার তাসনিম জারার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে নোটিশে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এ নোটিশ পাঠান। নোটিশে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, লাইকিসহ সব অনলাইন মাধ্যমে অশ্লীল ও পর্নোগ্রাফিক ভিডিও, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধে সব ওয়েবসাইট, লিংক, গেটওয়ে অবিলম্বে বন্ধ করতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী বায়েজিদ হোসেন এবং নাঈম সরদারের পক্ষে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতার ভয়াবহতা উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর ডাকযোগে জনস্বার্থে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন এবং সংবিধান অনুযায়ী যেকোনো ধরনের অশ্লীল ছবি বা ভিডিও তৈরি, প্রচার ও প্রকাশ করা বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু নোটিশ গ্রহীতাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল এবং পর্নোগ্রাফিক ছবি, ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করে আসছে। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুক ইউটিউব এবং অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফরম ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।পারিবারিক এবং সামাজিক পরিমণ্ডলে এসবের অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব পড়ছে। পারিবারিক এবং সামাজিক মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকার তথ্য মতে, বাংলাদেশের অধিকাংশ নাগরিক শিশু-কিশোররা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও এবং পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। হাতে হাতে স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট থাকায় প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি কোমলমতি শিশুরাও আসক্ত হচ্ছে।ফলে এই সুযোগে বিদেশি কম্পানিগুলো দেশীয় সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নামিদামি সেলিব্রেটি এবং শোবিজ মডেল ও তারকা তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেজ এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্টে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও এবং বিজ্ঞাপন প্রমোট করছেন। অনেক ডাক্তার নিজেদের ভিউ বাড়ানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ওষুধ এবং সামগ্রীর বিক্রয়ের জন্য অশ্লীল ভিডিও এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করেন। এতে বলা হয়, ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবির, ডাক্তার তাসনিম জারাসহ অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পরামর্শের আড়ালে ভিডিও বক্তব্য এবং ছবির মাধ্যমে যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রি করে থাকেন। ওই সব ছবি এবং ভিডিও সমাজে ব্যাপকভাবে অশ্লীলতা ছড়িয়ে সামাজিক এবং পারিবারিক মূল্যবোধকে বিনষ্ট করছে।বিষয়গুলো খুবই উদ্বেগজনক এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ইন্টারনেট যেহেতু পাবলিক পরিসর সেহেতু এসব মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও এবং পর্নোগ্রাফিক ছবি প্রচার একটি গণ উপদ্রপ, যা দণ্ডবিধির ২৬৮ ধারা অনুযায়ী অপরাধ। ২৯২, ২৯৩ ও ২৯৪ ধারা অনুযায়ী কোনো ধরনের অশ্লীল ভিডিও বা ছবি তৈরি, প্রচার এবং প্রকাশ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। আমাদের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮ অনুযায়ী রাষ্ট্র জনস্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সাংবিধানিকভাবে দায়বদ্ধ। ২০০১ সালের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৯ এবং ৩০ ধারায় একটি নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ ইন্টারনেট সেবা এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, এসব কর্তৃপক্ষ যথাযথ আইনের প্রয়োগ না করায় ইন্টারনেট এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা অশ্লীলতা, ক্ষতিকর এবং বেআইনি অপরাধমূলক উপাদানে ভরপুর। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। নোটিশে অবিলম্বে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেবে বলে জানানো হয়েছে।

দুদকের আসামি শাহরিয়ার আলম ও জ্যাকব

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও ভোলা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে জ্যাকবের স্ত্রীর নিলীমা নিগার সুলতানার সম্পদ বিবরণীর নোটিশও জারি করেছে দুদক। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রথম মামলায় শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে ২৭ কোটি ১৮ লাখ ৪২ হাজার ৪৮৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৬টি ব্যাংক হিসেবে ২৬০ কোটি ৯৪ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করার অভিযোগ আনা হয়। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তার আগে ২৩ ডিসেম্বর দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। অন্যদিকে আরেক মামলায় সাবেক উপ-মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের বিরুদ্ধে ১৩ কোটি ৯৮ লাখ ৯ হাজার ৯২৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিভিন্ন ব্যাংক হিসেবে মোট ৮৫ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার ৪১০ টাকা স্থানান্তর, রুপান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে। জ্যাকবের স্ত্রী নিলীমা নিগার সুলতানার নামে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৫ টাকা সম্পদের তথ্য পাওয়ায় কথা জানিয়েছে দুদক। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(১) ধারায় সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করেছে দুর্নীতি প্রতিরোধকারী সংস্থাটি।

তৌফিকা করিমের ৩৭ ব্যাংক হিসাবে ৪৩ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত আইনজীবী তৌফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমের ৩৮ ব্যাংক হিসাবে থাকা ৪৩ কোটি ৬৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৬০ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, তৌফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে স্বনামে-বেনামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে অপরাধলব্ধ অর্থ ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলন, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টায় রয়েছেন বলে জানতে পেরেছে দুদক। এই কারণ দেখিয়ে তার ৩৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আবেদন করে দুদক। এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি তৌফিকা করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় একই আদালত।

বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক সাফিনুলের পরিবারসহ ৫৬ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম, তার স্ত্রী সোমা ইসলাম ও ছেলে সামিন ইসলামের ৫৬টি ব্যাংক হিসাব ও সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এসব হিসাবে ১০ কোটি ৮০ লাখ ২৮ হাজার ২৫৩ টাকা রয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। এই ব্যাংক হিসাবের মধ্যে সঞ্চয়পত্র, এফডিআর, ডিপিএস, লকার ও ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম। দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম তাদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজ ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটির অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অনুসন্ধানকালে দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, তাদের এই ব্যাংক হিসাব ও সঞ্চয়পত্রগুলোতে স্থিতি অবস্থায় থাকা অর্থ তারা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও বেহাত করার চেষ্টা করছেন। এমতাবস্থায় এই অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা না হলে তাদের বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ সাফিনুল ও তার স্ত্রী সোমা ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন একই আদালত।

এস আলমের ৪০৭ কোটি টাকার ১৫৯ একর জমি জব্দ

শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ১৫৯ দশমিক ১৫ একর জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার আদালত। এসব জমি ঢাকা ও চট্টগ্রামে অবস্থিত। যার বর্তমান বাজারমূল্য ৪০৭ কোটি টাকা বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেছেন। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। আবেদনে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং সংগঠনের অভিযোগটি অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য টিম গঠন করা হয়েছে। সাইফুল আলম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে বেনামে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎপূর্বক নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের স্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান নিষ্পত্তির আগে এসব সম্পদ হস্তান্তর হলে পরবর্তীসময়ে তা উদ্ধার করা দুরূহ হয়ে পড়বে। তাই মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে থাকা এসব সম্পদ জব্দের আদেশ দেওয়া প্রয়োজন। এর আগে গত ১৭ এপ্রিল এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে থাকা এক হাজার ৩৬০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। এসব হিসাবে দুই হাজার ৬১৯ কোটি সাত লাখ ১৬ হাজার টাকা রয়েছে। তার আগে গত ৭ অক্টোবর এস আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনসহ তার পরিবারের ১২ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। গত ১৬ জানুয়ারি এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন একই আদালত। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ৩৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার পাঁচশো টাকা মূল্যের ১৭৫ বিঘা সম্পদ জব্দের আদেশ দেন আদালত। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখ ২ হাজার ২৭৪ টি শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব শেয়ারের মূল্য ৫ হাজার ১০৯ কোটি টাকা। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের আট হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। গত ১০ মার্চ এস আলমের এক হাজার ছয় বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। গত ৯ এপ্রিল তার ৯০ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে। একইদিন আদালত তার ঘনিষ্ঠজনদের নামে থাকা ৩৭৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

হাইকোর্টে জামিন পেলেন আওয়ামীপন্থী সেই ৬১ আইনজীবী

সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় আইনজীবীদের মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলায় আওয়ামীপন্থী ৬১ জন আইনজীবীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল জব্বার ভূইয়া ও আসামি পক্ষে আজহরুল হক ভূইয়া শুনানি করেন।এ বিষয়ে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল জব্বার ভূইয়া বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় ৬০-৬৫ জনকে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে চেম্বারে যাওয়া হবে কিনা কাল সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যদের ওপর হামলা, আইনজীবীদের চেম্বার ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আওয়ামী লীগপন্থী ১৪৪ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে ১১৫ আইনজীবী উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন নেন।জামিনের মেয়াদ শেষ হলে গত ৬ এপ্রিল ৮৩ জন ঢাকা মহানগর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবু সাঈদ সাগর ও ১৮ নারী আইনজীবীর জামিন মঞ্জুর করেন। তিনজন পালিয়ে যাওয়ায় ৬১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুলে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের গুলিতে শিক্ষার্থী আনাসসহ ৬ জনকে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ জন পুলিশকে অভিযুক্ত করে ট্রাইব্যুনালে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সোমবার (২১ এপ্রিল) জুলাই-আগস্ট গণহত্যার এটি প্রথম পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের আপিল শুনানি মঙ্গলবার

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানি আগামীকাল মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (২১ এপ্রিল) আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন। বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজহারের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী ও আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এর আগে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সর্বোচ্চ আদালত আজহারের রিভিউ আবেদন গ্রহণ করে মূল আপিল শুনানির অনুমতি দেন। এই সিদ্ধান্ত ছিল নজিরবিহীন, কারণ এটিই প্রথম মামলায় যেখানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ড রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউয়ের পর পূর্ণাঙ্গ আপিল শুনানির অনুমতি দিলেন আপিল বিভাগ। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন। তাকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় রংপুর অঞ্চলে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী করা হয়। আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল— ১২৫৬ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা ও গণহত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজন নারীকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক রেখে নির্যাতন ও গুরুতর জখম, এবং শত শত ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ। এই ছয় অভিযোগের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল পাঁচটি প্রমাণিত বলে রায় দেয় এবং তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। পরে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আজহারের পক্ষে তার আইনজীবীরা ১১৩টি যুক্তি তুলে ধরে আপিল করেন। ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে ২ হাজার ৩৪০ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়। এই মামলায় রিভিউ আবেদন প্রথম দিন শুনানি হয় ২৫ ফেব্রুয়ারি। এর আগে, ২৩ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছিল। শুনানি পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি করা হলেও সেদিন শুনানি হয়নি। পরবর্তীতে ২২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) নতুন দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। শুনানির সময় চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম, জামায়াত নেতা আজহারের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির, এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান উপস্থিত থাকবেন। ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর আপিল বিভাগ আজহারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। তখন আপিল বিভাগে নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এই রায়ের পর আজহার রিভিউ আবেদন করেন এবং এখন সেটিরই পরবর্তী শুনানি হতে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী এই রায়কে ‘প্রহসনের রায়’ আখ্যায়িত করে বরাবরই এর বিরোধিতা করে আসছে। দলটির দাবি, এটিএম আজহারুল ইসলাম নির্দোষ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তবে রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, যুদ্ধাপরাধের নিরপেক্ষ তদন্তের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।