অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা ইউআইইউ

শিক্ষার্থীর আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে ইউআইইউর রেজিস্ট্রার ড. মো. জুলফিকার রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপাচার্য, বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান এবং ডিনসহ মোট ১১ জন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদত্যাগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্বাভাবিক পরিচালনা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এতে আরও বলা হয়, পদত্যাগকারী উপাচার্য এবং বিভাগীয় প্রধানদের পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া না পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। এর আগে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) উপাচার্য, সকল ডিন এবং বিভাগীয় প্রধানসহ মোট ১১জন একযোগে পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে তারা একযোগে পদত্যাগ করেন।

পিএসসি সংস্কার: সাত দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সংস্কার এবং প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে অনশনরত ঢাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ৭ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণ, প্রধান ফটক ও শান্ত চত্বর প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শান্ত চত্বরে তারা সমাবেশ করে। এ সময় আন্দোলনের মুখপাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হুসাইন মুন্না ৭ দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো- ৪৫তম বিসিএস থেকে ভাইভার নম্বর ১০০ করতে হবে; প্রিলি, লিখিত ও ভাইভার নম্বর প্রকাশ করতে হবে। প্রতিটি বিসিএসের নির্দিষ্ট রোড ম্যাপ ঘোষণা করতে হবে; সুপারিশ প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে ভেরিফিকেশনের হয়রানি লাঘবের ব্যবস্থা এবং গেজেট প্রণয়ন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হতে হবে; ভাইভা উত্তীর্ণ সকলের চাকরি নিশ্চিত করতে হবে; প্রাইভেট সেন্টার আবেদন ফি সহনীয় পর্যায়ে আনার লক্ষ্যে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কমিশন গঠন করতে হবে; বিসিএসসহ সব চাকরি পরীক্ষার ভাইবা বোর্ডে নিরপেক্ষ লোক নিয়োগ দিতে হতে; বিসিএস প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রাদ্ধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে; অন্যথায় নতুন করে পরীক্ষা নিতে হবে। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আরমান হোসেন বলেন, ‘পিএসসি সংস্কারের জন্য আন্দোলন করেছি এটাই শেষ নয়, সংস্কার না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ৪৬তম বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এটাতে কোনো সন্দেহ নেই। জড়িত কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এছাড়া ওই পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় নিতে হবে। এছাড়া একই দিনে অনেকগুলো পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে যা দুঃখজনক। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।’

রাবির ‘এ’ ইউনিটে প্রথম বোরহান ও সাদিয়া

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক মো. ছাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আজ ৬টা ১০ মিনিটের দিকে 'এ' ইউনিটের রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা তাদের রেজাল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবেন। এ বছর দুই শিফটে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম শিফটে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর। তিনি পরীক্ষায় ৮৫ দশমিক ৭৫ নাম্বার পেয়েছেন। তার রোল নাম্বার ৪৬১২৯৭৪৬। তার বাবার নাম মো. ফরিদুল আলম। তিনি চট্টগ্রামের সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। দ্বিতীয় শিফটে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন সাদিয়া শারমিন রিও। তিনি পরীক্ষায় ৮৬ দশমিক ২৫ নাম্বার পেয়েছেন। তার রোল নাম্বার ৫৮২৪৬৬৪০। তার বাবার নাম এ. এস. এম. শরিফুল আলম। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিল।

এনসিপি নেতাকে মারধর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতাকে মারধর করে গুরুতর আহত করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে রাজধানীর শাহবাগ থানা পুলিশ। পরে ভুক্তভোগীর করা মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার বিষয়টি থানার ওসি খালিদ মুনসুর নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার ওই চার শিক্ষার্থী হলেন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আরিফুল ইসলাম রনি, একই বিভাগের এসএম তামিম বীন ইউসুফ ওরফে অপূর্ব, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের মো. হাসিব আল হাসান ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান দুর্জয়।গোয়েন্দা ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত বারোটার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছবির হাটে আড্ডা দিচ্ছিলেন এনসিপির কয়েকজন নেতাকর্মী। এ সময় মোটরসাইকেলের হেড লাইটের আলো এনসিপি নেতাদের চোখে পড়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে গ্রেপ্তার হওয়া ৪ জনসহ ১০-১৫ জনের একটি দল এনসিপির পিয়াস নামের একজনকে ব্যাপক মারপিট করে। এতে করে তার মুখের বিভিন্ন অংশ মারাত্মকভাবে জখম হয়। পরবর্তীতে পিয়াস শাহবাগ থানায় বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ রেড দিয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে চারজনকে রাতেই গ্রেপ্তার করে।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পিয়াসের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মুনসুর বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া চারজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

জবির রেজিস্ট্রার ছাত্রকে বললেন, ‘গেট আউট, একে বের করে দাও’

‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কারো পার্সোনাল কিছু চুরি হলে সেটা তার (শিক্ষার্থীর) দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের না। বিশ্ববিদ্যালয় পার্কিংয়ের জায়গা না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কি ভাত-রুটির ব্যবস্থা করা? গেট আউট, একে বের করে দাও।’ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াসউদ্দিন রেগে গিয়ে এসব কথা বলে নিজ কক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এক ছাত্রনেতাকে বের করে দেন। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রনেতার নাম ইভান তাহসীব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্টের সভাপতি। গত সোমবার (২১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইকেল চুরির ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা যাতে কর্তৃপক্ষ নেয় সেজন্য ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিতে যান ইভান। তখন এ ঘটনা ঘটে, যার একটি রেকর্ডিং (ধারণ) এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। রেকর্ডিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও ছাত্রনেতা ইভানকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় ও গ্যারেজ থেকে নিয়মিত সাইকেল চুরির সুরাহার জন্য সম্প্রতি রেজিস্ট্রারের নিকট লিখিত অভিযোগ ও নিরাপত্তা বাড়াতে আবেদন করতে যান সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্টের সভাপতি ইভান তাহসীব। তবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো শিক্ষার্থীর কিছু হারালে সে দায় প্রশাসনের না বলে জানান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার শেখ গিয়াসউদ্দিন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আন্ডারগ্রাউন্ডে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি রাখা হয়। কিন্তু আপনারা এখানে রাখেন, এটা অবৈধ।’ তখন ওই শিক্ষার্থী জানতে চান, ‘তাহলে স্যার এই স্টুডেন্টদের দায়িত্ব কে নিচ্ছে?’ এই জবাবে রেজিস্ট্রার বলেন, ‘ডাজ নট ম্যাটার’। ইভান বলেন, ‘তাহলে সাইকেল নিয়ে ক্যাম্পাসে না আসতে পারলে টিউশনে যাবে কিভাবে সে?’ জবাবে রেজিস্ট্রার বলেন, এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আপনি কি খাবেন, না খাবেন এটা কি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব? ইভান বলেন, ‘এই ছেলেটি শুধু নিজে রোজগার করে খায় না, সে বাসায়ও টাকা পাঠায়, আপনারা শিক্ষার্থীদের সুবিধা দেখবেন না?’ তখন রেগে গিয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কি ভাত-রুটি ব্যবস্থা করা?’ জবাবে ইভান বলেন, ‘আমি ভাত-রুটির কথা বলছি না। ওর সাইকেল হারিয়েছে, তার নিরাপত্তার কথা বলছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর জান-মালের নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রশাসনের।’ এ সময় রেজিস্ট্রার বলেন, ‘নেভার।’ ইভান বলেন, ‘আমরা এখানে থাকি গ্রাম থেকে আসছি, টিউশনি না করলে চলব কিভাবে?’ উত্তেজিত হয়ে তখন রেজিস্ট্রার বলেন, ‘এটা আপনার আগে ভাবা উচিৎ ছিল। ওখানে স্কুল-কলেজ নাই, আর বিশ্ববিদ্যালয় নাই? ওখানে ভর্তি হতেন।’ ইভান বলেন, ‘স্যার আপনি কথাগুলো পাবলিকলি বলতে পারবেন শিক্ষার্থীদের?’ উত্তরে রেজিস্ট্রার বলেন, ‘আমি বলি না। আমি লিখে দেই। ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে লেখা থাকে এটা অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, আপনি কত সালে ভর্তি হয়েছেন?’ এ সময় রেজিস্ট্রার ইভানকে বলেন, ‘গেট আউট।’ এবং পাশে থাকা কর্মকর্তাদের তিনি আরও বলেন, ‘একে বের করে দাও।’ এ বিষয়ে কথা বলতে শেখ গিয়াসউদ্দীনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এদিকে শিক্ষার্থীর সাথে দুর্ব্যবহারের নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতারা। নিন্দা জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘৫ আগস্টে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সাহসী আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্রসমাজ যে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছিল, তা ছিল একটি সহযোগিতাপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক প্রশাসনিক পরিবেশ গড়ে তোলার প্রত্যাশায়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে বলতে হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও সেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। বিশেষ করে রেজিস্ট্রারের আচরণ পূর্ববর্তী ফ্যাসিস্ট প্রশাসনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে, এটি আমাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে তোলে। আমরা তার দমনমূলক ও অসহযোগিতামূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ প্রত্যক্ষ করছি। এই পরিস্থিতি আর সহ্য করা যায় না। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি, এটাই এখন সময়ের দাবি।’ জবি ছাত্রঅধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, ‘আমরা এর আগেও স্যারের এমন দুব্যবহারের শিকার হয়েছি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই তিনি ওই চেয়ারে বসেছেন।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি। এই ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। আমি রেজিস্ট্রার ও ভুক্তভোগী ইভানের সঙ্গে কথা বলেছি। এ নিয়ে আলোচনা হবে।’

কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদ ও উপউপাচার্য শেখ শরীফুল আলম পদত্যাগ করেছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) তিনি বলেন, ‘কুয়েটের উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’ এর আগে বুধবার (২৩ এপ্রিল) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। একইসঙ্গে সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে।’ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কুয়েটে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।’ মো. মামুন অর রশিদ জানান, অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।

কুয়েটে সংকট নিরসনে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সংকট নিরসনে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, ‘কুয়েটে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে।’ মো. মামুন অর রশিদ জানান, অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আদেশে উল্লেখ করা হয়। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক লোক আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৩ এপ্রিল বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। গত ১৪ এপ্রিল সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এদিকে বুধবার সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও বিকেল থেকে ছাত্রদের ৬টি ও ছাত্রীদের ১টি হল খুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ মে থেকে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

৫৮ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন কুয়েটের শিক্ষার্থীরা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ শরীফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সংবাদ শুনে ৫৮ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙেছেন কুয়েটের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ইউজিসির সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি )প্রফেসর তানজিমউদ্দীন খান শিক্ষার্থীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান। এ সময় শিক্ষার্থীরা উল্লাস শুরু করেন, বিভিন্ন শ্লোগান দেন এবং আনন্দ মিছিল বের করেন। এর আগে কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া সভায় বুধবার বিকেলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৪ মে থেকে চালু করা হবে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) কুয়েট সিন্ডিকেটের ১০২তম (জরুরি) সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় জানানো হয়, গত ১৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১০১তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালু করা এবং ২ মে আবাসিক হলসমূহ খোলার বিষয়ে বলা হয়। বুধবার (২৩ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১০২তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ ২ মে-এর পরিবর্তে আজ ২৩ এপ্রিল বিকেলে খোলা হবে। আর অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৪ মে থেকে চালু করা হবে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সিআর আবরার কুয়েটে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের দাবি শোনেন এবং তাদের অনশন ভেঙে আইনের ওপর আস্থা রাখার অনুরোধ করেন। সিআর আবরার বলেন, ‘তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, কমিটি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। সেই অনুযায়ী জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’ তিনি এ সময় অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তবে শিক্ষার্থীরা উপদেষ্টার আশ্বাসে আশ্বস্ত না হয়ে কুয়েট উপাচার্যকে অপসারণ না করা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তিন সদস্যের কমিটি এসে সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। অবশেষে রাতে অনশনের প্রায় ৫৮ ঘন্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল থেকে অনশনে বসেছিলেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার দিবাগত রাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কুয়েটের উপাচার্য ও উপ উপাচার্যকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছ্ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে । অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকগণের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। এর আগে গত ১৪ এপ্রিল রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিগত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করা হয়। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার। তাদের দুইজনকে অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘কুয়েটে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুইটি পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে।’ মো. মামুন অর রশিদ জানান, অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আদেশে উল্লেখ করা হয়। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক লোক আহত হন। পর দিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৩ এপ্রিল বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। গত ১৪ এপ্রিল সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এসব ঘটনায় কুয়েট উপাচার্য (ভিসি) মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের এক দফা দাবিতে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ২৯ শিক্ষার্থী। বুধবার শিক্ষা উপদেষ্টা গিয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ভিসির পদত্যাগের আলটিমেটামে দেন। তবে কুয়েট ভিসি বলেছিলেন, সরকার তাকে না সরালে নিজে থেকে পদ ছাড়বেন না। শেষ পর্যন্ত সরকার-ই তাকে ভিসির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। এদিকে বুধবার সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও বিকেল থেকে ছাত্রদের ৬টি ও ছাত্রীদের ১টি হল খুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪ মে থেকে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিতলী-রিমনের নেতৃত্বে ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি'র নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে দৈনিক আমার সংবাদ এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ফারহানা নওশীন তিতলী সভাপতি ও স্বদেশ প্রতিদিন এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি শাহরিয়ার কবির রিমন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে অবস্থিত ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটির নিজস্ব কার্যালয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষে এ কমিটি ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম। সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক সহ ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে দপ্তর সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন দৈনিক বাংলা’র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. সাকিব আসলাম, কোশাধ্যক্ষ- দৈনিক আজকালের খবরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রবিউল আলম। এছাড়াও কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন এস এম শাহরীয়ার স্বাধীন (ফেস দ্যা পিপল), মো. মাশুক এলাহি (দৈনিক ভোরের পাতা), ওবায়দুল্লাহ আল মাহবুব (দৈনিক আজকালের কণ্ঠ), মনিরুজ্জামান তুহিন (দৈনিক এশিয়া বাণী), মো. সামিউল ইসলাম (দৈনিক জনবানী), মো. আশরাফুল ইসলাম (বাণিজ্য প্রতিদিন) ও মো. মিজানুর রহমান (দৈনিক আগামীর সময়)। কমিটি ঘোষণাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজামান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. খাইরুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. মো. মিন্নাতুল করিম এবং আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটির নতুন কমিটিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, প্রেস ক্লাব, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আজকের এই নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রিপোর্টার্স ইউনিটি তাদের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পজেটিভ ও নেগেটিভ দুটো নিউজকেই তারা যথাযথ ভাবে উপস্থাপন করবে। অতিরঞ্জিত কাটছাঁট নয়। তাদের পেশাদারি পথচলার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি অবশ্যই উজ্জ্বল হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্র সংগঠন সবাই তাদের কাছে যেন পথের দিশা পাই। সবাইকে যেন সঠিক পরামর্শ দিতে পারে। ভুল তথ্য দিয়ে মিসগাইড না করে সবাইকে যেন গাইড করতে পারে সেই প্রত্যাশা রাখি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোটার্স ইউনিটির সকল সদস্য সৎ এবং যোগ্য শিক্ষার্থী, তারা সবসময় সত্য এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরবেন। তারা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশ এবং বহির্বিশ্বে উপস্থাপন করবেন বলে আশা রাখি।

কুয়েটের আবাসিক হল খুলে দেওয়া হলো

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সিন্ডিকেটের ১০২তম (জরুরি) সভা বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ ২ মে’র পরিবর্তে ২৩ এপ্রিল বিকালে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর ড মোহাম্মদ মাছুদ। ভাইস চ্যান্সেলরের নির্দেশক্রমে রেজিস্ট্রার মো. আনিছুর রহমান ভূঞা সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১০১তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্তে মোতাবেক আগামী ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম চালু করা এবং ২ মে আবাসিক হলসমূহ খোলার বিষয়ে বলা হয়েছিল।

চাপ দিয়ে উপাচার্যকে অপসারণ করলে মেনে নেবে না কুয়েট শিক্ষক সমিতি

চাপ দিয়ে উপাচার্যকে অপসারণ করা হলে তা মেনে নেবে না খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) শিক্ষক সমিতি। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে তারা। এছাড়া শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললেও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা না বলায় হতাশা প্রকাশ করেন শিক্ষকরা। কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। এ সময় কথা বলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেনসহ কয়েকজন শিক্ষক। সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. আশরাফুল গণি ভূঁইয়া বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললেও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেননি। এতে আমরা ব্যথিত হয়েছি। অল্প কয়েকজন মিছিল করলে সাংবাদিকরা নিউজ করেছে যে কুয়েট উত্তাল, অথচ কুয়েটে শিক্ষার্থী ৫ হাজারেরও বেশি।’ তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের রাজনৈতিক ট্যাগ দিচ্ছে, যা দুঃখজনক। কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী উপাচার্যকে মারধর করেছে, গায়ে থুথু দিয়েছে। কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন, তাদের নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে।’ তিনি এসবের বিচার দাবি করেন।

শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে আলোচনার পরও অনশনে অনড় কুয়েট শিক্ষার্থীরা

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সিআর আবরারের সঙ্গে আলোচনার পরও আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অনড় রয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০টার দিকে শিক্ষা উপদেষ্টা কুয়েটে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের দাবি শোনেন এবং তাদের অনশন ভঙ্গ করে আইনের ওপর আস্থা রাখার অনুরোধ করেন। শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, কমিটি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। সে অনুযায়ী জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’ তিনি এ সময় অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। পরে শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তবে শিক্ষার্থীরা উপদেষ্টার আশ্বাসে আশ্বস্ত না হয়ে কুয়েট উপাচার্যকে অপসারণ না করা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তিন সদস্যের কমিটি এসে বুধবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন। গত সোমবার (২১ এপ্রিল) থেকে কুয়েটের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। এখন পর্যন্ত অসুস্থতার কারণে ৬ জনকে মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়েছে।

অনশনের তৃতীয় দিনে দুর্বল হয়ে পড়েছেন কুয়েটের ২৭ ছাত্র

আমরণ অনশন কর্মসূচির তৃতীয় দিনে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ২৭ জন ছাত্র। তবুও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনঢ় রয়েছেন তারা। এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) গঠন করা কমিটির ৩ সদস্যের দল আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) কুয়েটে আসার কথা রয়েছে। স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে গিয়ে দেখা যায়, তোষকের উপর শুয়ে-বসে অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ২৭ জন শিক্ষার্থী। তাদের তিন পাশে রয়েছে ১০-১২টি স্ট্যান্ড ফ্যান। এছাড়া কুয়েটের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী অনশনস্থলের পাশে চেয়ারে বসে আছেন। সেন্টারের সামনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪টি অ্যাম্বুলেন্স। পাশের কক্ষে অবস্থান করছে কুয়েটের মেডিকেল টিমের সদস্যরা। শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে গত সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকাল ৪টা থেকে ৩২ জন ছাত্র আমরণ অনশন শুরু করেন। সোমবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২ জন ছাত্র বাড়িতে চলে যান এবং ১ জনের মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনিও বাড়িতে যান। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থী সাদিক সিদ্দিক ফারিব বেসরকারি সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও আজিজুল হক সিয়াম কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা শংকামুক্ত বলে জানা গেছে। তারা বলেন, ‘৩ দিন ধরে তারা অনশন করলেও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কেউ এখনও কুয়েটে আসেনি। উপাচার্যকেও অপসারণ করা হয়নি। আবার উপাচার্য নিজেও পদত্যাগ করেননি।’ শিক্ষার্থীদের জীবনের চেয়ে কি উপাচার্যের চেয়ার বড় এমন প্রশ্ন করেন তারা। অনশনরত শিক্ষার্থী গালিব, তৌফিক, সৈকত, রাহাত ও মহিবুজ্জামান উপল বলেন, ‘উপাচার্যকে অপসারণ না করা পর্যন্ত তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। প্রয়োজনে জীবন দেবেন।’ শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও বহিরাগতরা হামলা করলেও কুয়েট প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। হামলাকারীদের নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাত পরিচয় লোকজনের বিরুদ্ধে দায়সারা একটি মামলা করেছে কুয়েট প্রশাসন। হামলার ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।’ তারা বলেন, ‘কিছু দিন আগে বহিরাগত একজন বাদী হয়ে ২২ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। কুয়েট কর্তৃপক্ষ ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। এর মধ্যে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীও রয়েছে। উপাচার্যের কাছে বারবার দাবি জানালেও তিনি তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করেননি।’ শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘তারা গত ১৩ এপ্রিল ক্যাম্পাসে ঢুকে হল খুলে দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। ২ রাত তারা খোলা আকাশের নিচে থাকার পর ১৫ এপ্রিল তালা ভেঙে হলে ঢোকেন। কিন্তু হলে খাবার, পানি ও ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়নি।’ এ ব্যাপারে কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও তারা রাজি হননি। আমরা তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর রাখছি।’ আসছে ইউজিসির টিম: এদিকে কুয়েটের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার ইউজিসি ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটির আহ্বায়ক ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান, সদস্য সচিব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং কমিটির সদস্য ও ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান। কমিটির সদস্যদের আজ বুধবার কুয়েট ক্যাম্পাসে এসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেওয়ার কথা রয়েছে। খুলনার ২ স্থানে ব্লকেড আজ: উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে আজ বুধবার সকাল ১০টায় নগরীর শিববাড়ি মোড়ে ব্লকেড কর্মসূচি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই স্থানে সকাল ১০টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার কর্মসূচি রয়েছে দি রেড জুলাই খুলনা জেলা শাখা। একই স্থানে মানববন্ধনের কর্মসূচি দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ খুলনা মহানগর শাখা। এছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন এবং দুপুর ২টায় জিরো পয়েন্ট এলাকায় ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

ঢাবিতে পাকিস্তানের 'স্বপ্নদ্রষ্টা' আল্লামা ইকবালের নামে হল দাবি

পাকিস্তানের “স্বপ্নদ্রষ্টা” আল্লামা মুহাম্মদ ইকবালের নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) একটি নতুন হল প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। সোমবার (২১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে পাকিস্তানের জাতীয় কবির ৮৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এই দাবি উত্থাপিত হয়। আল্লামা ইকবালের নামে একটি নতুন হল নির্মাণের দাবি জানিয়ে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, "আল্লামা ইকবাল ১৯৩৮ সালের ২১ এপ্রিল মারা যান। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার দৃষ্টিভঙ্গি এবং স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছিল; সেই ধারাবাহিকতায় আজকের বাংলাদেশ।" বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক এবং আল্লামা ইকবাল সোসাইটির সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, "স্বৈরাচারী শাসনামলে আল্লামা ইকবাল সম্পর্কে কথা বলার অনুমতি ছিল না। তাকে নিয়ে দার্শনিক আলোচনা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন, একটি মুক্ত পরিবেশে, তরুণ প্রজন্ম আল্লামা ইকবাল সম্পর্কে জানতে পারছে।" আব্দুল ওয়াহেদ আরও বলেন, “ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে, ১৯৪৭ সালে আল্লামা মুহাম্মদ ইকবালের মুসলিম জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে স্বাধীনতা দাবি করে পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের পূর্ব অংশ হিসেবে স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। অন্যথায়, পূর্ব বাংলা স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রে পরিণত হত না বরং পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরার মতো ভারতের একটি রাজ্য হতো। সেক্ষেত্রে আমরা ভারতীয় মুসলমানদের মতো 'নির্যাতন ও নিপীড়নের' শিকার হতাম।" আল্লামা ইকবালের রচিত মুসলিম জাতীয়তাবাদের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ অপরিমেয় সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে বক্তারা দাবি করেন, আল্লামা ইকবালের "প্রণোদিত" মুসলিম জাতীয়তাবাদ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরস্পর সংযুক্ত। বক্তারা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব "দখল" করার প্রয়াসে জাতীয় জীবন থেকে "মুসলিম জাতীয়তাবাদ" মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে। উল্লেখ্য, আল্লামা ইকবাল ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইরান ছাড়াও আন্তর্জাতিক সাহিত্যের বিশিষ্ট কবি হিসাবে প্রশংসিত। তিনি “আধুনিক সময়ের মুসলিম দার্শনিক চিন্তাবিদ” হিসেবেও পরিচিত। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ আসরার-ই-খুদী ১৯১৫ সালে পারস্য ভাষায় প্রকাশিত হয়েছিল। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- রুমুজ-ই-বেখুদী, পয়গাম-ই-মাশরিক এবং জুবুর-ই-আজাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম হল হিসেবে আল্লামা ইকবালের নামে ১৯৫৭ সালে “ইকবাল হল” স্থাপিত হয়। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে আইয়ুব খানের পতনের পর শিক্ষার্থীরা ইকবাল হলের নাম পরিবর্তন করে শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের স্মরণে হলটির নতুন নামকরণ করা হয় “সার্জেন্ট জহুরুল হক হল”। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইকবাল হলের নাম দাপ্তরিকভাবে পরিবর্তন করে “জহুরুল হক হল” রাখেন। ২০১৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ “শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল” নামকর করেন।

পাবিপ্রবিতে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৫ এপ্রিল; প্রস্তুতি সম্পন্ন

২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত গুচ্ছ পদ্ধতির প্রথমবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তিন ধাপের প্রথম ধাপের পরীক্ষা শুরু হবে। ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সরকারের প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরীক্ষার প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেন। সকাল দশটায় উপাচার্য কার্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল এর সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতির তথ্য অবহিত করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল জানান, ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ পদ্ধতির প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার আওতায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে আগামী শুক্রবার সি ইউনিটের (বাণিজ্য) পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। বি ইউনিটের (মানবিক) পরীক্ষা আগামী ০২ মে এবং এ ইউনিটের (বিজ্ঞান) পরীক্ষা আগামী ০৯ মে যথারীতি সকাল ১১ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। তবে স্থাপত্য বিভাগের আবেদনকারীদের পরীক্ষা ০৯ মে বিকাল ৩.০০ মি. থেকে বিকাল ৪.০০ মি. পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরো জানান, পরীক্ষার্থীরা যাতে সহজেই রুম নম্বর চিহ্নিত করতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা হলে লেভেল বিহীন (বোতলের গায়ে নাম সম্বলিত কাগজ) পানির বোতল কেন্দ্রে নিতে পারবেন। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ, ফায়ার সার্ভিস এবং সার্বক্ষণিক মেডিকেল টিম থাকবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা ১৫ মিনিট পরপর সময়ের বিষয়টি উল্লেখ করবেন। পরীক্ষার্থীদের নিজস্ব বহনকারী গাড়ি পার্কিং করা যাবে ক্যালিকো কটন মিল ও তার বিপরীত পাশের মাঠে। অভিভাবকদের জন্য শেডে বসা ও পানি পানের ব্যবস্থা থাকবে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, পরীক্ষার আগের দিন ফটোকপিয়্যার মেশিন বন্ধ থাকবে। পুলিশ প্রশাসন ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করবেন। ছাত্রাবাসগুলোতে নজরদারী বাড়ানো হবে। কোনরকম ডিভাইস কেন্দ্রে নেওয়া যাবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। নারী ও পুরুষ পুলিশ সদস্য, আসনার সদস্য ও রোভার স্কাউট থাকবে। সভায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ফোকাল পয়েন্ট ও কো-ফোকাল পয়েন্ট, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক, আইসিটি সেলের পরিচালক, হল প্রভোস্ট,ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) উম্মে তাবাসসুম, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরিফুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে আয়োজনের জন্য আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রক্টরিয়াল বডি, সরকারের বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, পরীক্ষার সাথে সংশিষ্ট সকল মহল সর্বোপরি পাবনাবাসী সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। সকলের সহযোগিতায় সুুষ্ঠু, সুন্দরভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত

রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে ছুরিকাঘাতে এক ছাত্র নিহত হয়েছেন। তার নাম জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২৩)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে। বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৪টার পর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। এ সময় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ছুরিকাঘাতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী পারভেজ নিহত হয়।’ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ‍কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশের ফেসবুক পোস্টে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ‘সন্ত্রাসী হামলায়’ পারভেজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। ওই পোস্টে তার একটি ছবিও শেয়ার করা হয়।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শেষ হল ‘ফার্মা ক্যারিয়ার এক্সপো ২০২৫’

সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফার্মেসী বিভাগের আয়োজনে ২ দিনব্যাপী ‘ডিআইইউ ফার্মা ক্যারিয়ার এক্সপো ২০২৫’ শনিবার (১৯ এপ্রিল) শেষ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হালিমুজ্জামান ও বিশেষ অতিথি ছিলেন রচি বাংলাদেশ লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজারমার্ক এন্ড্রিয়া হিব। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম মাহাবুব-উল হক মজুমদারের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হেলথ এন্ড লাইফ সায়েন্সস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন, ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক ড. মুনিরুদ্দিন আহমেদ, বিভাগের প্রধান ড. শরীফা সুলতানা ও অধ্যাপক মুনিরুদ্দিন আহমেদ। গতকাল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) এক্সপোর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্মেসী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সেলিম রেজা। অনুষ্ঠানে ফর্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাট্রির বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং ক্যারিয়ার নিয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। দুই দিনের অনুষ্ঠানে ছিল র‌্যালি, ফার্মা অলিম্পিয়াড, সেমিনার, কর্মশালা, পোষ্টার প্রেজেন্টেশন, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন। সহস্রাধিক শিক্ষার্থী, এল্যামনাই ও ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাট্রির বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। দেশের শীর্ষস্থানীয় ২০ টি ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি এ ক্যারিয়ার ফেস্টে অংশগ্রহণ করেছে।সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘বৈশ্বিক বাজারে আগামী বছর থেকে দেশের ওষুধ শিল্প বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা হারাতে পারে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণের ফলে রয়্যালটি দিতে হবে। যার ফলে ওষুধের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। দাম ও বাড়বে।’ বক্তারা আরো বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যেমে ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমীয়ার সাথে গভীর মিথস্ক্রিয়া তৈরি হবে এবং ইন্ডাস্ট্রিগুলির প্রয়োজনীয়তা ইন্সটিটিউটগুলো দক্ষ গ্যাজুয়েট তৈরি করতে সক্ষম হবে এবং সেখান থেকে ইন্ডাস্ট্রিগুলো ভালো গ্যাজুয়েট নির্বাচন করার সুযোগ পাবে। আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য এনালাইটিক্যাল সায়েন্স এবং অর্গানিক সিনথেটিক কম্পাউন্ড বিষয়ের উপর এক্সপার্টাইজ খুবই রকার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এ দুটি বিষয়ের উপর দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করার আহ্বান জানান তারা। এক্সপো পরিদর্শনকালে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেন, ‘আমরা সব সময় চেষ্টা করি, ছাত্রছাত্রীরা যাতে ইন্ডাস্ট্রির সাথে সম্পৃক্ত হয়। কারণ, শুধু লেখাপড়া দিয়ে চাকরির বাজারে নিজেদের অবস্থান তৈরি করা সম্ভব নয়। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় বাজারেই গার্মেন্টস ও লেদার ইন্ডাস্ট্রির পর বর্তমনে ফামাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী। কারণ, দেশে বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ২০০ মিলিয়নের কাছাকাছি। তাছাড়া পরিবেশ দূষণ ও বিপর্যয়ের কারণে আমাদের দেশ রোগ বালাই পৃথিবীর অন্য দেশ গুরোর তুলনায় অনেক বেশী। তাই বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই, ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিগুলো প্র্যাকটিক্যাল ইমপ্লিমেন্টেশনের সুযোগ পাচ্ছে।

রাবি ভর্তি পরীক্ষায় শহীদ আবু সাঈদ ও জেন-জি সম্পর্কিত প্রশ্ন

এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় স্থান পেয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ এবং এই আন্দোলনের অন্যতম শক্তি ‘জেনারেশন-জি’। এছাড়াও, প্রশ্নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়েছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে আঁকা শিল্পকর্মের প্রসঙ্গ উঠে আসে। এক প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়:“জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে অঙ্কিত শিল্পকর্ম ‘উন্নত মমশির’-এর শিল্পী কে?” তাছাড়া আরও দুটি প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়—“কোন সময়কালকে জেনারেশন-জি হিসেবে ধরা হয়?” “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয় কোন তারিখে?” ‘এ’ ইউনিটের প্রথম শিফটে অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থী সাজিদ আহমেদ বলেন, “আজকের রাবি ভর্তি পরীক্ষায় জুলাই আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে একটি শিল্পকর্মের নাম এবং জেনারেশন-জি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্পর্কিত প্রশ্ন এসেছে।” এর আগে মেডিকেল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাতেও জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদের মৃত্যু-সংক্রান্ত প্রশ্ন উঠে আসে। যেমন: “গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদের মৃত্যুর তারিখ কত?” বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছর ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটসংলগ্ন সড়কে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। তিনি ২০০১ সালে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে মকবুল হোসেন ও মনোয়ারা বেগমের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। ছয় ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে দুই দিনের ‘ফার্মা ক্যারিয়ার এক্সপো’ শুরু

ঢাকা জেলার সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফার্মেসী বিভাগের আয়োজনে ২ দিনব্যাপী ‘ডিআইইউ ফার্মা ক্যারিয়ার এক্সপো ২০২৫ শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধান অতিথি হিসেবে এক্সপোর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্মেসী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম রেজা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন একাডেমিক এফেয়ার্সের ডিন প্রফেসর ড. মোস্তফা কামাল, হেলথ এন্ড লাইফ সায়েন্সস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন, ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক ড. মুনিরুদ্দিন আহমেদ, ফার্মেসী বিভাগের প্রধান ড. শরীফা সুলতানা ও অধ্যাপক মুনিরুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে ফর্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাট্রির বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং ক্যারিয়ার নিয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। অনুষ্ঠানে ছিল র‌্যালি, ফার্মা অলিম্পিয়াড, সেমিনার, কর্মশালা, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন। সহশ্রাধিক শিক্ষার্থী, এল্যামনাই ও ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাট্রির বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। দেশের শীর্ষস্থানীয় ২০ টি ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি এ ক্যারিয়ার ফেস্টে অংশগ্রহণ করছে। অনুষ্ঠানে আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘বৈশ্বিক বাজারে আগামী বছর থেকে দেশের ওষুধশিল্প বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা হারাতে পারে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণের ফলে রয়্যালটি দিতে হবে। যার ফলে ওষুধের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে।’ দাম ও বাড়বে বলে তিনি আশঙ্কা করেছেন। আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যেমে ইন্ডাস্টি ও একাডেমীয়ার সাথে গভীর মিথস্ক্রিয়া তৈরী হবে এবং ইন্ডাস্ট্রিগুলির প্রয়োজনীয়তা ইন্সটিটিউটগুলো দক্ষ গ্যাজুয়েট তৈরি করতে সক্সম হবে। সেখান থেকে ইন্ডাস্ট্রিগুলো ভালো গ্যাজুয়েট নির্বাচন করার সুযোগ পাবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির জন্য এনালাইটিক্যাল সায়েন্স এবং অর্গানিক সিনথেটিক কম্পাউন্ড বিষয়ের উপর এক্সপার্টাইজ খুবই রকার। বিশ্ববিদ্যালয়গুরোকে এ দুইটি বিষয়ের উপর দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করার আহ্বান জানান আব্দুল মুক্তাদির। এক্সপো পরিদর্শনকালে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেন, ‘আমরা সব সময় চেষ্টা করি, ছাত্রছাত্রীরা যাতে ইন্ডাস্ট্রির সাথে সম্পৃক্ত হয়। কারণ, শুধু লেখাপড়া দিয়ে চাকরির বাজারে নিজেদের অবস্থান তৈরি করা সম্ভব নয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় বাজারেই গার্মেন্টস ও লেদার ইন্ডাস্ট্রির পর বর্তমনে ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী। কারণ দেশে বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ২০০ মিলিয়নের কাছাকাছি। তাছাড়া পরিবেশ দূষণ ও বিপর্যয়ের কারণে আমাদের দেশ রোগ-বালাই পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশী। তাই ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিগুলো প্র্যাকটিক্যাল ইমপ্লিমেন্টেশনের সুযোগ পাচ্ছে।’

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে কুয়েট শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) মিছিলটি দুর্বার বাংলার সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দিয়ে প্রদক্ষিণ করে। এসময় মিছিল থেকে ‘দফা এক দাবি এক, কুয়েট ভিসির পদত্যাগ’, ‘কুয়েট ভিসির গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘স্বৈরাচারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘দিয়েছি রক্ত, আরও দেবো রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওইদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা ১৩ এপ্রিল বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিলে আন্দোলন আবারও দানা বাঁধতে থাকে। ওইদিন রাতেও তারা দ্বিতীয় দিনের মতো প্রশাসনিক ভবনের সামনে খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন করেন। সবশেষ বুধবার (১৬ এপ্রির) দুপুরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন এবং তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন। খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবীর হোসেন বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সজাগ রয়েছি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীকে অপহরণ

পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে বিঝু উৎসব শেষে ফেরার পথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইউপিডিএফকে দায়ী করা হলেও সংগঠনটি তা অস্বীকার করেছে। অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- চবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিশান চাকমা, চারুকলা বিভাগের মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো। তারা সবাই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ সময় শিক্ষার্থীদের বহনকারী টমটম চালকও অপহৃত হয়েছেন, তবে তার পরিচয় জানা যায়নি। বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টায় সদর উপজেলার গিরিফুল এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয় বলে জানা যায়। খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, বুধবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার গিরিফুল এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের অপহরণ করা হয়। তারা মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহৃতদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন।অপহরণের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে পাহাড়ি আঞ্চলিক কোনো সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা জানান, শিক্ষার্থীরা গতকাল বাঘাইছড়িতে বিজু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি হয়ে চট্টগ্রামে ফিরছিলেন। কিন্তু বাসের টিকেট না পাওয়ায় তারা কুকিছড়া এলাকায় মৈত্রীময় চাকমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত কাটান। সেখান থেকে বুধবার সকালে তাদের চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গিরিফুল এলাকা থেকে তাদের জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এ সময় টমটম চালককেও অপহরণ করা হয়। পিসিপি দাবি করেছে, ইউপিডিএফ (প্রসীত) এর হাত রয়েছে এই ঘটনার পিছনে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা। তিনি বলেন, ‘অপহরণের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।এই ধরনের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি আমরা করি না। আমরা সবসময় ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের পক্ষে। কোনো মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের উপর দায় চাপাচ্ছে।’

আনন্দ শোভাযাত্রায় না আসায় শিক্ষার্থীদের খাবার বন্ধ করলেন ইবি প্রভোস্ট

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বাংলা নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রায় অনুপস্থিত থাকায় খালেদা জিয়া হলের শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দিন এ কাজ করেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। জানা যায়, বুধবার বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলে দুপুরে বিশেষ পান্তাভাতের আয়োজন করা হয়। এদিকে বেলা ১১টায় নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে হল থেকে আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এ সময় মাত্র সাত জন শিক্ষার্থী উপস্থিত হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাৎক্ষণিক দুপুরে পান্তাভাতের আয়োজনটি বন্ধ ঘোষণা করেন হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দিন। এ ছাড়া রাত ৯টায় সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশেষ মিটিংয়ের আহ্বান জানান তিনি। এদিকে হলটির ডাইনিংয়ে দুপুরের স্বাভাবিক খাবারের আয়োজনও করা হয়নি। এর ফলে হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা দুপুরের খাবার নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পরে হল প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, হলের ডাইনিংয়ে খাবার রান্না হওয়ার মাঝপর্যায়ে প্রভোস্ট স্যার বন্ধ করে দেন। এর আগে নোটিশে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণও বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেননি। ফলে যার যার মতো ক্লাস পরীক্ষা থাকায় সবাই ক্যাম্পাসে চলে যান। পরে দুপুরের পর এসে জানতে পারি হলে খাবারের আয়োজন করা হয়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার। এ বিষয়ে হলটির আবাসিক শিক্ষার্থী মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘প্রভোস্ট আমাদের বলেছেন বৈশাখী অনুষ্ঠানের দিন দুপুরে হলে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। আমরা লিস্ট দিয়েছি, সেই অনুযায়ী আমাদের টোকেন দিয়েছে। আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর ক্লাস পরীক্ষা ছিল তাই আমরা উপস্থিত হতে পারিনি। এ কারণে স্যার রাগ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমাদের দুপুরে খেতে দেওয়া হবে না। আপাতত ডাইনিং বন্ধ থাকবে এবং রাত ৯টার সময় সেন্ট্রাল মিটিং করা হবে। আমি হলের সিনিয়র আপুর কাছে খাবারের টোকেন নিতে গেলে তিনি আমাকে জানান যে, স্যার নিষেধ করছে আজ খাবার দেওয়া হবে না।’ এদিকে এ বিষয়ে হলের ডাইনিংয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে প্রভোস্ট স্যার আমাদের অফিস কক্ষে ডাকেন এবং রান্না বন্ধ রাখতে বলেন। আমরা গতকাল রাত ২টার পর থেকে এই প্রোগ্রাম উপলক্ষে ভাত রান্না করেছি। সব কিছু প্রায় কমপ্লিট হওয়ার আগমুহূর্তে ছিল। শুধু মাছ ভাজাটা বাকি ছিল। এমন সময়ে তিনি রান্না বন্ধ রাখতে বলেন।’ হলটির প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা জাতীয় অনুষ্ঠানে সব সময় চেষ্টা করি জমকালো আয়োজন করার। আমার হলে প্রায় ৪০০ ছাত্রী থাকে। কিন্তু সকালে ৮/১০ জন শিক্ষার্থী ছাড়া আর কেউ শোভাযাত্রায় আসেনি। আমাদের ব্যান্ড পার্টি ছিল, এই কয়েকজন নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করা সম্ভব না হওয়ায় প্ল্যান ক্যানসেল করি এবং তৎক্ষণাৎ হতাশ হয়ে আমি দুপুরের খাবারটা বন্ধ করার চিন্তা করেছি।’ এ সময় শিক্ষার্থীদের একাধিক অভিযোগ এবং পদত্যাগের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।’

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার: ভিসির অপসারণে এক দফা, ভাঙল ছয় হলের তালা

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা ছয়টি হলের তালা ভেঙে গতকাল মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রবেশ করেছেন। একই সঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণ না করা পর্যন্ত এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন। গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষে জড়িত ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কারাদেশ ও মামলা প্রত্যাহার, হল খুলে দেওয়াসহ ছয় দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার ক্যাম্পাসের দুর্বার বাংলা চত্বরে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে প্রতিটি বিভাগের সামনে গিয়ে হ্যান্ডমাইকে হল খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান। সাড়া না পেয়ে ছাত্ররা খানজাহান আলী, ড. এম এ রশিদ, শহীদ স্মৃতি, ফজলুল হক, অমর একুশে ও লালন শাহ হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন। পরে শিক্ষার্থীরা জানান, ছয় দাবি পূরণে সাড়া না পেয়ে ছাত্ররা তালা ভেঙে হলে অবস্থান নেন। ছাত্রীরা ক্যাম্পাসে না ফেরায় তাদের হলের তালা ভাঙা হয়নি। এখন ছয় দফা নয়, দাবি একটি- উপাচার্যের অপসারণ। বহিষ্কৃত ৩৭ শিক্ষার্থীর নাম-পরিচয় নিয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তাসহ কেউই মুখ খুলছেন না। হলে শিক্ষার্থীদের প্রবেশের বিষয়ে উপাচার্যের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ হয়নি। তবে রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কুয়েট প্রশাসন তালা ভেঙে হলে ঢোকাকে বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের আইনের লঙ্ঘন আখ্যায়িত করেছে। জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সামাজিক মাধ্যমের তালিকা দেখে বিভ্রান্ত না হওয়া এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রাখতে শিক্ষার্থীরা সহযোগিতা করবেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ: কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। মধুর ক্যান্টিনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের নিয়ে গঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। নেতারা কুয়েট উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিএনপি ও ছাত্রদলের দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়নের অভিযোগ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের দাবি জানান। এ ছাড়া বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সংহতি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে একই দাবি জানান মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। চবির মূল ফটকে ১১ ঘণ্টা তালা: স্থানীয়দের মারধরের প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মূল ফটকে প্রায় ১১ ঘণ্টা তালা ঝুলিয়ে রাখেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা জানান, গত সোমবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলক্রসিং এলাকায় রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুলতানুল আরেফিনকে মারধর করে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে না পেলে রাত দেড়টার দিকে মূল ফটকে তালা দেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ করার অভিযোগে চবির প্রাক্তন এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে দিয়েছে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। সোমবার রাত ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার শাওন হোসেন পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। যদিও ছাত্রলীগ করার কথা অস্বীকার করেছেন শাওন।