ট্রাম্পের দ. কোরিয়া সফরের আগে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১১:৪৬ এম, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
দক্ষিণ কোরিয়ায় আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনের সময় উত্তর কোরিয়া পশ্চিম ইয়োলো সাগরে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দুই ঘণ্টারও বেশি সময় উড়ে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে সঠিকভাবে আঘাত করেছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) এই পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা পরে টোকিও থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছান সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সেখানকার সিইওদের শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দেবেন এবং ঐতিহাসিক শহর গিয়াংজুতে লির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
কেসিএনএ উল্লেখ করেছে, এই নতুন অস্ত্র দেশের পারমাণবিক-সক্ষম সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এখনও পরীক্ষার নির্দিষ্ট তথ্য নিশ্চিত করেনি।
পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন উত্তর কোরিয়ার ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা পাক জং চোন। তিনি নতুন ডেস্ট্রয়ার চো হিওন এবং কাং কন-এর নাবিকদের প্রশিক্ষণ পর্যবেক্ষণ করেন। কিম জং উন নৌবাহিনী শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে এই জাহাজগুলোর গুরুত্ব বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।
গত সপ্তাহে স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার পর এটি উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ উৎক্ষেপণ। পরীক্ষায় নতুন হাইপারসনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
এদিকে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানকালে কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা তা সম্ভবত কম বলে দেখছেন।
২০১৯ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কিম জং উনের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনার ব্যর্থতার পর থেকে উত্তর কোরিয়া ওয়াশিংটন ও সিউলের সঙ্গে কোনো সরাসরি আলোচনায় বসেনি। বর্তমানে কিমের বিদেশ নীতি রাশিয়ার দিকে ঝুঁকেছে; ইউক্রেনে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে নতুন শীতল যুদ্ধ কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।
উত্তর কোরিয়া পুনর্ব্যক্ত করেছে, “মার্কিন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের দাবি প্রত্যাহার না হলে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ফিরবে না।”