যানজটে বছরে ক্ষতি ৩৭ হাজার কোটি টাকা

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (রোড, ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ব্রিজ) ড. শেখ মঈনুদ্দিন বলেছেন, রাজধানীতে যানজটে বছরে ক্ষতি হচ্ছে ৩৭ হাজার কোটি টাকা। যে টাকা দিয়ে দুটি করে এমআরটি লাইন তৈরি করা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে বছরে ৫ মিলিয়ন ঘণ্টা সময় নষ্ট হচ্ছে। এজন্য একটি সমন্বিত পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। বৃহস্পতিবার পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বনানীতে পিআরআই সম্মেলনকক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। মান্থলি ম্যাক্রোইকোনমি ইনসাইটস (এমএমআই) প্রকাশ এবং বাজেট পরবর্তী পর্যালোচনা উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। পিআরআই’র চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তারের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাইদী সাত্তার নিজে এবং পিআরআই’র মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান। প্যানেল আলোচক ছিলেন বিল্ডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ফেরদৌস আরা বেগম এবং ঢাকার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ মঈনুদ্দিন আরও বলেন, রোড ট্রান্সপোর্ট একটি দেশের উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা রাখে। দেশে সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে। এজন্য বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকা দরকার। বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার। যেমন- যেকোনো অবকাঠামোর ক্ষেত্রে প্ল্যানিং, ডিজাইন এবং বাস্তবায়নের মধ্যে কোনো সমন্বয় থাকে না। রেল, নৌ, বিমান এবং সড়কের জন্য পৃথক চারটি মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে কাজ করে। এগুলো সব একটি জায়গা থেকে সমন্বিতভাবে হলে ভালো হতো। এছাড়া আমাদের দেশে দরপত্র প্রক্রিয়ায় অনেক সময় চলে যায়। সেই সঙ্গে প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) অনুমোদন হতেই ৪-৫ বছর চলে যায়। পরে এক্সচেঞ্জ রেটের পরিবর্তনসহ সব কিছুরই দামে পরিবর্তন ঘটে। তাই ট্রাসপোর্টেশন খাতে অবকাঠামো মাস্টারপ্ল্যান করা প্রয়োজন।

সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নেই: প্রেসসচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সাংবাদিকদের ফ্রিডম নাই এটা ভুল। আমি মনে করি, দেশে সাংবাদিকতায় এত ফ্রিডম, যা উন্নত বিশ্বেও নাই।’ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির আইনি কাঠামোর পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনারে এই দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘গত ১০ মাসে বর্তমান সরকার সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমকে কোনো চাপ প্রয়োগ করেনি, কোনো বাধা দেয়নি; যেমনটা আওয়ামী লীগ আমলে ছিল।’এ সময় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘গণমাধ্যমে ১৫ বছর ধরে অরাজকতা চলেছে। ফলে, অবৈধ নির্বাচনগুলো বৈধতা পেয়েছে। ফ্যাসিজম সেই সুযোগ পেয়েছে। অনিয়ম ধরার মূল হাতিয়ার গণমাধ্যম। এটা ঠিক থাকলে জালিয়াতির নির্বাচনগুলো ঠেকানো যেত।’

মাদক বিরোধী আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারকে একটি বহুমাত্রিক সমস্যা হিসেবে অভিহিত করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। শুধু আইন প্রয়োগের মাধ্যমেই এর সমাধান করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি মাদক বিরোধী সামাজিক আন্দোলনে সর্বস্তরের জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। উপদেষ্টা আজ সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস, ২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হাসান মারুফের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মাদকের বিস্তার রোধে মাদক বিরোধী প্রচার কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, যে কোন দেশের উন্নতির প্রধান নিয়ামক হলো, কর্মক্ষম বিপুল যুবশক্তি। আধুনিক ও প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত ও দক্ষ যুবশক্তিই পারে দেশকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যেতে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যখনই বৈষম্য, বঞ্চনা, অবিচার ও মূল্যবোধের সংকট তৈরি হয়েছে, তখনই যুব সমাজ সংকল্প ও ঐক্যের মাধ্যমে তা প্রতিহত করেছে। উপদেষ্টা আরো বলেন, জুলাই ছাত্র-যুব-জনতার গণঅভ্যুখান যুব সমাজ ও তারুণ্যেরই বিজয়। উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে হলে, তরুণ সমাজকে অবশ্যই মাদকমুক্ত রাখতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে মাদক চোরাচালানের একটি ভয়াবহ বিষয় হলো নারী, শিশু ও কিশোরদেরকে এ গর্হিত কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে তাদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। তিনি আরো বলেন, এ সমস্যা সমাধানের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় এক সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। উপদেষ্টা বলেন, প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন সিনথেটিক ও সেমি-সিনথেটিক ড্রাগস বা নিউ সাইকোঅ্যাকটিভ সাবস্টেন্স (এনপিএস) এর আবির্ভাবের ফলে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারজনিত সমস্যা আরও ঘনীভূত হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, নতুন নতুন এসব মাদক নিয়ে আমাদেরকে নতুনভাবে কর্মকৌশল তৈরি করতে হচ্ছে। এসব মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এগুলোকে আইনের তফশিলভুক্ত করার পাশাপাশি কৌশলগত নজরদারি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের একান্ত সদিচ্ছায় ইতোমধ্যে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (কর্মকর্তা-কর্মচারী) অস্ত্র সংগ্রহ ও ব্যবহার নীতিমালা-২০২৪’ প্রণীত হয়েছে। অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রথম ব্যাচের অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ প্রদান সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে আভিযানিক ঝুঁকি হ্রাসের পাশাপাশি অধিদপ্তরের মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনায় আরও সাফল্য আসবে। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি সাতটি বিভাগীয় শহরে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সাতটি বিভাগীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। তাছাড়া মাদকাসক্তদের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে পৃথক কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী বলেন, যে পরিবারের সদস্য মাদকাসক্ত হয়, কেবল তারাই এর গভীরতা, ভয়াবহতা ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বুঝতে পারে। তিনি আরো বলেন, মাদকের বিষয়ে সামাজিক প্রতিরোধের দিকটি ইদানীং কমে গেছে। এটিকে বাড়িয়ে মাদকের পারিবারিক, ব্যক্তিক ও রাষ্ট্রীয় কুফল থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্টদের আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেন, মাদকের উৎপাদন বাংলাদেশে হয় না। পাশ্ববর্তী দেশসমূহ থেকে পাচারের মাধ্যমে আমাদের দেশে এসে এটি যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাই মাদকের সরবরাহ বন্ধ করতে হবে আর এটিকে সফল করতে হলে আমাদের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে ও জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। অনুষ্ঠানে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী কার্যক্রমের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস, ২০২৫’ উপলক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থী, সেরা তিনটি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিনিধি এবং মাদক বিরোধী প্রচারণা, উদ্বুদ্ধকরণ ও গবেষণায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সেরা দুইটি প্রতিষ্ঠানের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। তাছাড়া তিনি দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্যুভেনির ও এ্যানুয়াল ড্রাগ রিপোর্ট এর মোড়ক উন্মোচন করেন।এর আগে উপদেষ্টা বেলুন উড়িয়ে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস, ২০২৫’ উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের অংশ গ্রহণে নির্মিত মাদক বিরোধী স্টল পরিদর্শন করেন।

৪৩ দিন পর নগর ভবনে এলেন প্রশাসক, সব সেবা চালুর ঘোষণা

৪৩ দিন পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে এসেছেন সংস্থাটির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া। পাশাপাশি সকল সেবা কার্যক্রম চালুর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে তিনি নগর ভবনে আসেন। ডিএসসিসি প্রশাসক বলেন, আমরা আর পেছনের দিকে তাকাতে চাই না। আমরা সামনে এগিয়ে যাব। সামনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনেকগুলো কাজ করব। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে গত ১৪ মে থেকে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। ইশরাকের সমর্থকেরা নগর ভবনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছিলেন। ফলে গত ১৪ মে থেকে সংস্থাটির প্রশাসক নগর ভবনে আসতে পারেননি। গত ১৫ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত নগর ভবন থেকে দেওয়া সব নাগরিক সেবা বন্ধ ছিল। জরুরি প্রয়োজনে এসে এ সময় সেবাপ্রার্থী নাগরিকদের বারবার ঘুরে যেতে হয়েছে। সে সময় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ইশরাকপন্থী কর্মচারীরা নগর ভবনের মূল ফটক আটকে রাখার পাশাপাশি প্রতিটি বিভাগে তালা ঝুলিয়ে সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে রাখেন। পরে ঈদের বিরতির পর গত ১৫ জুন থেকে ইশরাকের অনুসারীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে একত্রিত হয়ে ফের অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে শুরু করেন।

আগামী বছর হজ ব্যবস্থাপনা যেন আরও সুষ্ঠু হয় : প্রধান উপদেষ্টা

চলতি বছরের হজ ব্যবস্থাপনা সফলভাবে সম্পন্ন করায় ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস। একইসঙ্গে আগামী বছরের হজ ব্যবস্থাপনা যেন আরও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সেজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ বছর ছোটখাটো যেসব ত্রুটি ধরা পড়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে আগাম ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এমন না ঘটে।তিনি আগামী বছরের হজ রোডম্যাপ আগেভাগেই প্রকাশ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন জানান, আগামী বছরের হজ ব্যবস্থাপনার জন্য ইতোমধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১০ জুলাই বাংলাদেশিদের জন্য হজ কোটা ঘোষণা করা হবে বলেও তিনি সভায় উল্লেখ করেন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ বছর হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি। সবাই প্রশংসা করেছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা পরিশ্রম করেছে এজন্য সবাইকে অভিনন্দন, শুভেচ্ছা। তিনি বলেন, হজযাত্রী ও হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সবার প্রশিক্ষণের ব‍্যবস্থা করতে হবে। সবাই যেন নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পারেন সেজন্য প্রশিক্ষণ খুবই জরুরি। চলতি বছরের হজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক জানান, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং সৌদি সরকারের নির্দেশনার আলোকে হজ ২০২৬ এর জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সফল ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপগ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানান, সৌদি টাইমলাইন ও রোডম্যাপ অনুযায়ী হজ কার্যক্রমের ক্যালেন্ডার ও চেকলিস্ট তৈরি করা হয়েছে এবং হজযাত্রী কোটার পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, হজ ২০২৬ এর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় নির্ধারিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে। ১০ জুলাই ২০২৫ তারিখে হজ ২০২৬ এর বাংলাদেশের কোটা ঘোষণা করা হবে এবং ২১ অক্টোবর ২০২৫ এর মধ্যে হজযাত্রীদের চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন হবে। ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন এবং ০৪ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখে ভেন্ডর ও কোয়াটেশন অনুমোদনের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। এরপর ২০ মার্চ ২০২৬ থেকে হজযাত্রীদের ভিসা প্রদান শুরু হবে এবং ১৮ এপ্রিল ২০২৬ থেকে ফ্লাইট কার্যক্রম শুরু হবে। সবশেষে, ২৯ মে ২০২৬ তারিখে পবিত্র হজের টেস্ট (সেবা যাচাইকরণ) সম্পন্ন হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বছর ৮৭,১০০ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পেয়েছেন। লাব্বাইক মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে হজযাত্রীরা সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়েছেন এবং অ্যাপটিতে ৩০,২৩৪ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন। হজ পালনকালে এ বছর ৩৮ জন ব্যক্তির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও এই মুহূর্তে সৌদি আরবের বিভিন্ন হাসতাপালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৪ জন। গত ২৫ জুন পর্যন্ত দেশে ফেরত এসেছেন ৫১, ৬১৫ জন হাজী। ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক জানান, এখন পর্যন্ত ৮০৬টি লাগেজ হারানোর তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭৯০টি লাগেজ পাওয়া গেছে। বাকি ১৬টি লাগেজ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পর পর তিন বছর হাজী নিতে না পারায় ৪১৫টি হজ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। আগামী বছর যারা হজে যেতে ইচ্ছুক তারা যেন এখন থেকে লাব্বাইক অ‍্যাপ ব‍্যব্যবহার করে তাদের নানা প্রশ্নের জবাব পান সে বিষয়ে ব‍্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। একইসঙ্গে পবিত্র ওমরাহ পালনে ইচ্ছুকরাও যেন এই অ‍্যাপ থেকে প্রয়োজনীয় সেবা পান সেদিকে নজর দিতেও বলেন তিনি।

এনবিআরের গেট বন্ধ, ঢুকতে-বেরোতে পারছে না কেউ

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভবন ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুর ১২টার দিকে ভবনের দুই গেটে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। এরপর থেকে কেউ এনবিআর ভবনে ঢুকতে বা বের হতে পারছেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এনবিআরের প্রবেশ ও বাইরের গেট বন্ধ করে দিয়েছে। ভবনে থাকা কর্মকর্তা, সাংবাদিক বা সেবাপ্রার্থীদের কেউই এখন চলাচল করতে পারছেন না। এনবিআরে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে চলমান আন্দোলনের কারণে। চেয়ারম্যানের অপসারণ ও এনবিআরের যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছেন এনবিআরের কর্মকর্তারা। তারা বৃহস্পতিবারও রাজস্ব ভবনে সমবেত হয়েছেন এবং কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন। আন্দোলনকারী কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, তাদের সমবেত হওয়া ঠেকাতেই এনবিআর ভবন অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এনবিআরে ঢোকা ও বের হওয়া নিয়ে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা চলছে। কাউকেই ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যানের অপসারণ এবং নিপীড়নমূলক বদলির আদেশ বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও কলমবিরতি চালিয়ে যাচ্ছে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’। তারা জানিয়েছে, শুক্রবার (২৭ জুন) মধ্যে দাবি না মানলে শনিবার (২৮ জুন) থেকে লাগাতার শাটডাউনের কর্মসূচি শুরু হবে। এর আগে, গত মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয় ঐক্য পরিষদ। এর আগেও, সরকার গত ১২ মে এনবিআরকে দুটি ভাগে বিভক্ত করার একটি অধ্যাদেশ জারি করে। এরপর ২৬ মে পর্যন্ত কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা অবস্থান কর্মসূচি এবং কলমবিরতি পালন করেন। পরে ২৫ মে রাতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, এনবিআরকে বিলুপ্ত নয়, বরং ‘স্বাধীন ও বিশেষায়িত’ সংস্থায় উন্নীত করা হবে। এরপর আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত হলেও চেয়ারম্যান অপসারণের দাবিতে অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ

অন্যায় তদবিরে পাত্তা না দিলে আমাকে ভারতের দালাল বানানো হয় : আসিফ নজরুল

অন্তর্বর্তী সরকারে এসে অবরুদ্ধ বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। অনেকে অন্যায় তদবির নিয়ে আসে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেকে অন্যায় তদবির নিয়ে আমার কাছে আসে। পাত্তা না দিলে শুরু হয় গালাগাল।আমাকে তখন ভারতের দালাল বানানো হয়। সরকারে এসে অবরুদ্ধ বোধ করছি। জীবনে এত অসহায় কখনো ফিল করিনি।’ আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা : সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির আইনি কাঠামোর পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। প্রচুর মিথ্যা মামলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি মামলা দেয়, সেই ব্যাপারে আমার কিছু করার নাই। প্রচুর মিথ্যা মামলা হচ্ছে, সেই তুলনায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যত মামলা হচ্ছে সেগুলো অস্বাভাবিক নয়।’ সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান আসিফ নজরুল।তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের কেউ এক না। দলাদলি, গ্রুপিং না করে নিজেরা এক হন। শক্তিশালী হন। দলকানা হয়ে নিজেরা মারামারি করলে গণমাধ্যম কখনো স্বাধীন হবে না।’

ঢাকায় ধুলা নিয়ন্ত্রণে ‘জিরো সয়েল’ কর্মসূচি উদ্বোধন

ঢাকা মহানগরীর বায়ুদূষণ ও ধুলা নিয়ন্ত্রণে ‘জিরো সয়েল’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সরকার। এই কর্মসূচির আওতায় নগরের কোথাও খোলা মাটি না রেখে ঘাস বা লতা দিয়ে ঢেকে সবুজায়ন নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর পূর্বাচলে হারারবাড়ি চত্বরে বন অধিদফতর ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বনায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জিরো সয়েল’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশন, বন বিভাগ ও সাধারণ নাগরিকদের একসাথে কাজ করতে হবে। প্রতিটি বাড়ির পাশে খোলা মাটি ঘাস বা আইভি লতা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ছাদে গাছ লাগাতে হবে। যার যতটা সামর্থ্য, ততটা গাছ লাগান। তিনি বলেন, 'সবুজায়নের গুরুত্ব সবাইকে বুঝতে হবে এবং তা বাস্তবে প্রয়োগ করতে হবে। প্রাকৃতিক ব্যবস্থা ভেঙে ফেলা যাবে না। বন ইকোসিস্টেম তৈরি করা যায় না, এটি জন্মায় ও গড়ে ওঠে।' পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, 'আবাসনের পাশাপাশি বনভিত্তিক পরিবেশ গড়াও জরুরি। এজন্য সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে নিয়ে সমন্বিতভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করতে হবে।' সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ডিএনসিসি এলাকায় একটি সফল উদাহরণ স্থাপন করতে চায় সরকার বলে জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, সংস্থাটি ১২০ কিলোমিটার মিডিয়ান ও ১০৮ কিলোমিটার খালপাড় সবুজায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে। রাজউকের উত্তরা আবাসিক এলাকা ও পূর্বাচলেও যৌথভাবে বনায়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এতে স্থানীয় জনগণ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকেও সম্পৃক্ত করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী। অনুষ্ঠান শেষে বনানী কবরস্থানের পাশের রাস্তায় ঘাস রোপণের মাধ্যমে জিরো সয়েল কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পরিবেশ উপদেষ্টা।

আজ আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস

আজ আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস। জাতিসংঘ ঘোষিত দিবসটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে। দিবসটি পালনে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে। জাতিসংঘের বক্তব্য অনুযায়ী আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে নির্যাতন একটি অপরাধ। কোনো পরিস্থিতিতেই এই নির্যাতনকে মেনে নেওয়া যায় না। বর্তমান বিশ্বে নানা কারণে মানুষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। বাণী দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃত্ব। জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বাণীতে বলেছেন, এই দিবস পালনে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই দিনটি হোক, শাসনের নৈতিক ভিত্তি পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট বাংলাদেশসহ সব দেশের জন্য এক মোড় পরিবর্তনের সূচনা। আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবসের ইতিহাস জাতিসংঘ প্রতি বছর নির্যাতনের শিকারদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ এবং বিশ্বব্যাপী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে ২৬ জুন আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবসটি পালন করে থাকে। ১৯৮৭ সালের ২৬ জুন জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী কনভেনশন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়। এই দিনটির তাৎপর্যকে স্মরণ করে জাতিসংঘ ১৯৯৭ সালে এক সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্তে ২৬ জুনকে আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য হলো-নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের সম্মান ও সহানুভূতি জানানো, নির্যাতন প্রতিরোধে বৈশ্বিক সচেতনতা তৈরি করা।আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী নির্যাতনকে একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে তুলে ধরা এবং বিশ্বজুড়ে নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং রাষ্ট্রগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনা। প্রতিবছর এই দিবসটি উপলক্ষে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি, সেমিনার, মানববন্ধন ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে একটি নির্যাতনমুক্ত পৃথিবী গড়ার আহ্বান জানানো হয়।

রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

কয়েকদিনের তীব্র গরমের পর অবশেষে ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে আকাশে কালো মেঘ জমে, আর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় এক পশলা বৃষ্টি। এতে নগরবাসী একটু স্বস্তি পেয়েছেন। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসায় শহরের বিভিন্ন জায়গায় মানুষদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সড়কে চলাচলকারী পথচারী, অফিসফেরত কর্মী এবং যানবাহনে থাকা যাত্রী—সবাই এই বৃষ্টিকে স্বাগত জানিয়েছেন। মিরপুর থেকে বাসে আসা রুবিনা আক্তার বলেন, কয়েকদিন ধরে আবহাওয়া বার্তায় বৃষ্টি হওয়ার কথা শুনছিলাম, কিন্তু ঢাকায় বৃষ্টি হচ্ছিল না। গরমে কষ্ট হচ্ছিল। আজকের বৃষ্টি সত্যিই অনেকটা স্বস্তি দিয়েছে। চায়ের দোকানদার রফিক মিয়া জানান, গরমে টিনের চাউনির তলায় দোকান চালানো বেশ কষ্টকর ছিল। বৃষ্টির কারণে গরম থেকে রক্ষা পেলাম, তবে বৃষ্টি অল্প সময়ের জন্য হলেও সাময়িকভাবে কিছু দুর্ভোগও বাড়াবে। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এই বৃষ্টি আরও কয়েকদিন চলতে পারে। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাজশাহীতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিসংঘের পানি কনভেনশনে যোগ দিলো বাংলাদেশ

বাংলাদেশ, একটি ব-দ্বীপ, দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এবং সামগ্রিকভাবে ৫৬তম দেশ হিসেবে আন্তঃসীমান্ত জলপথ এবং আন্তর্জাতিক হ্রদ সুরক্ষা ও ব্যবহার সংক্রান্ত কনভেনশনে (জাতিসংঘের পানি কনভেনশন) যোগদান করেছে। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে কনভেনশনে যোগ দেয় বাংলাদেশ। এর আগে ২০১২ সাল থেকে কনভেনশনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আসছে বাংলাদেশ এবং ২০২৪ সালের অক্টোবরে স্লোভেনিয়ায় কনভেনশনের পক্ষগুলোর ১০ম সভায় অংশগ্রহণ করে। ১৯৯২ সালের ১৭ মার্চ গৃহীত জাতিসংঘের পানি কনভেনশনের লক্ষ্য ছিলো আন্তঃসীমান্ত পানির ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করা এবং আন্তঃসীমান্ত ভূপৃষ্ঠের পানি এবং ভূগর্ভস্থ পানির পরিবেশগতভাবে টেকসই সুরক্ষা প্রচার করা। প্রাথমিকভাবে একটি আঞ্চলিক সম্মেলন হিসেবে গৃহীত জাতিসংঘের পানি কনভেনশনটি ২০১৬ সালের ১ মার্চ থেকে জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ল্যাটিন আমেরিকা এবং এশিয়ার ১৫টি দেশ তখন থেকে এতে অংশগ্রহণ করেছে। এই কনভেনশনে যোগদান সহযোগিতার জন্য আইনি, প্রযুক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি শক্তিশালী করার পাশাপাশি জাতীয় পানি শাসনকে সমর্থন করে। বর্তমানে ৫৬টি সদস্য দেশ রয়েছে, এই কনভেনশনে আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার মধ্যে পক্ষ রয়েছে এবং বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশ যোগদানের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জাতিসংঘ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ একটি নদীবেষ্ঠিত এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ, যা একটি জটিল ভূ-রাজনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত। আন্তঃসীমান্ত জল ব্যবস্থাপনা দেশটির শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৫৭টি আন্তঃসীমান্ত নদী দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, যার মধ্যে রয়েছে চীন, নেপাল, ভুটান, ভারত জুড়ে বিস্তৃত বিশাল গঙ্গা (পদ্মা)-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদী ব্যবস্থা। এটি বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে জটিল ব-দ্বীপগুলোর মধ্যে একটি। এই কারণেই বাংলাদেশ জাতীয় ও আন্তঃসীমান্ত পর্যায়ে টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে কার্যকর সহযোগিতা এবং সংলাপের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা বোঝে। তীব্র জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব গ্রীষ্মকালে খরা এবং বর্ষাকালে বন্যার তীব্রতা বৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান অপ্রত্যাশিত জলপ্রবাহের কারণে এই প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ে গেছে। বাংলাদেশের প্রায় ৬০ শতাংশ জনসংখ্যা উচ্চ বন্যার ঝুঁকির সম্মুখীন, যা নেদারল্যান্ডস ছাড়া বিশ্বের অন্য যেকোনও দেশের তুলনায় বেশি। প্রায় ৪৫ শতাংশ নদীতীরে উচ্চ বন্যার ঝুঁকির সম্মুখীন, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ অনুপাত। প্রতি বছর গড়ে বাংলাদেশের ২০-২৫ শতাংশ ভূমি বন্যায় ডুবে যায় এবং যখন চরম বন্যা দেখা দেয় তখন দেশের ৫৫-৬০ শতাংশ ভূমি ডুবে যায়। ৬ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ এখনও নিরাপদে পরিচালিত স্যানিটেশন ব্যবস্থার সুযোগ থেকে বঞ্চিত।

দেশে ফিরেছেন ৫১৬১৫ জন হাজি

পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে বুধবার (২৫ জুন) রাত পর্যন্ত ৫১ হাজার ৬১৫ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৪৬ হাজার ৬০৮ জন দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ২২ হাজার ১৪৯ জন, সৌদি পতাকাবাহী সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ২১ হাজার ২৫ এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ৮ হাজার ৪৪১ জন দেশে ফিরেছেন। মোট ১৩৪টি ফিরতি ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৮টি ছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের, ৫৪টি সাউদিয়ার এবং ২২টি ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের। সৌদি আরব বাংলাদেশি হাজিদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশটির মেডিকেল সেন্টারগুলো এখন পর্যন্ত ৬৬ হাজার ৩৪৮টি অটোমেটেড প্রেসক্রিপশন ইস্যু করেছে এবং আইটি হেল্পডেস্কগুলো ২৪ হাজার ৩৯৫টি সেবা প্রদান করেছে। এখন পর্যন্ত ৩৮ জন বাংলাদেশি সৌদি আরবে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী। এদের মধ্যে ২৫ জন মক্কায়, ১১ জন মদিনায় এবং জেদ্দা ও আরাফায় ১ জন করে মারা গেছেন। সৌদি আরবের সরকারি হাসপাতালগুলো এ পর্যন্ত ৩০৮ জন বাংলাদেশিকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে। এদের মধ্যে এখনো ২৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হজযাত্রীদের শেষ ফিরতি ফ্লাইট আগামী ১০ জুলাই।

নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ পেলেন অঞ্জনা খান মজলিশ

নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি পিএলসি (নেসকো)’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো)-এর সদস্য (অর্থ) অঞ্জনা খান মজলিশ। তিনি বাবিউবোর দায়িত্বের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব ফারজানা খানম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনরত বাবিউবোর যুগ্মসচিব (প্রশাসন) মো. খলিলুর রহমান বদলি হওয়ায় নেসকোর দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হিসেবে বাবিউবোর সদস্য ও যুগ্মসচিব (অর্থ) অঞ্জনা খান মজলিশকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে। প্রশাসন ক্যাডারের ২২তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা এর আগে নেত্রকোণা ও চাঁদপুর জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নেত্রকোণায় দায়িত্ব পালনের সময় শুদ্ধাচার পুরস্কারেও ভূষিত হন তিনি। জনসেবায় সততা, আন্তরিকতা ও দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে তিনি এই স্বীকৃতি অর্জন করেন। নেত্রকোণার আগে দেড় বছর চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। চাঁদপুরের একমাত্র নারী ডিসি হিসেবে যোগদানের পর থেকেই তিনি একাধিক সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তাঁর কার্যকর নেতৃত্বে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীর প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হয়। পরবর্তীতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতও জেলা প্রশাসন তথা সরকারের পক্ষে রায় দেন। ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয় অবৈধ বালু উত্তোলন কার্যক্রম। অঞ্জনা খান মজলিশ ২০০৩ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে। পরে তিনি ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিন: মেটাকে প্রধান উপদেষ্টা

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, থ্রেডস, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেটাকে ভুয়া তথ্য (ডিজইনফরমেশন) মোকাবিলায় আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, এটা (ভুয়া তথ্য) একটা বড় সমস্যা। এর বিরুদ্ধে কার্যকর উপায় খুঁজে বের করতেই হবে। বুধবার (২৫ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মেটার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পাবলিক পলিসি বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট সায়মন মিলনার এবং পাবলিক পলিসি ম্যানেজার রুজান সারওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। একটি ভুল শব্দও পুরো দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। কিছু মানুষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এমনটি করে। জবাবে সায়মন মিলনার জানান, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ভুয়া তথ্য দমন করার ব্যাপারে মেটা প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ ও অধিকারকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। গত পাঁচ বছর ধরে আমাদের একটি নির্দিষ্ট টিম বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মেটার প্ল্যাটফর্মগুলো বিশেষ করে ফেসবুক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হলেও যদি সেগুলো নৈতিক মান বজায় না রাখে, তবে তা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তাইয়েব এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি মেটাকে বাংলা ভাষায় দক্ষতা বাড়ানোর আহ্বান জানান। কারণ, মেটার এলএলএম (ল্যাঙ্গুয়েজ লার্জ মডেল) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এখনো ইংরেজিনির্ভর, যা বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য তেমন কার্যকর নয়। গত মঙ্গলবার মেটা কর্মকর্তারা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। সেখানে বাংলাদেশ তরফ থেকে সাম্প্রতিক গবেষণার বরাত দিয়ে মেটাকে বাংলা ভাষাভিত্তিক এলএলএম ও এআই-এর অনুভূতিভিত্তিক বিশ্লেষণে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়। সেই সঙ্গে ভুয়া তথ্য ও গুজব শনাক্ত করতে বাংলাভাষী মানব রিভিউয়ার নিয়োগ বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরও অনুরোধ জানানো হয়, যেন মেটা বাংলাদেশে ক্যাশ সার্ভার ও এজ রাউটার স্থাপন করে—যাতে সেবা আরও দ্রুত হয়, ব্যান্ডউইথ সাশ্রয় হয় এবং ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকে। মঙ্গলবারের বৈঠকে উপস্থিত থাকা বাংলাদেশ পুলিশ ও বিটিআরসির প্রতিনিধিরা মেটাকে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্ষতিকর পোস্ট সরানোর প্রক্রিয়ার সময়সীমা কমানোর আহ্বান জানান। পুলিশের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, হুমকির পূর্বাভাস, অপরাধ শনাক্তকরণ, মিথ্যা তথ্য ও গুজবের বার্তা, জনতাকে উসকে দেওয়ার মতো বক্তব্য ও আত্মহত্যার প্রবণতা সম্পর্কিত সতর্কবার্তা শনাক্তকরণে মেটার কাছ থেকে আরও সক্রিয় ও দ্রুত সাড়া প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান চালিয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়। জানা গেছে, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের (ডিসি) মাসুদ আলমের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য অধিদফতর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম, সেনাবাহিনী ও পুলিশের একাধিক টিম এই অভিযান অংশ নিয়েছে। অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর। ওসি বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে কয়েকটি সংস্থার সমন্বয়ে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদকসেবীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ও আশেপাশে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন, মাদকবিরোধী এ অভিযানে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্য এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারাও আছেন।

৮ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ দিবস, ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদ দিবস ঘোষণা

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিনটিকে ৮ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়া গণ-আন্দোলন চলাকালে রংপুরে পুলিশের গুলিতে ছাত্র আবু সাঈদের নিহত হওয়ার দিন ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদ দিবস ঘোষণা করেছে সরকার। বুধবার (২৫ জুন) দুটি দিবস ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আলাদা পরিপত্র জারি করা হয়েছে। প্রতি বছর যথাযথভাবে এই দুটি দিবস প্রতিপালন করতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে অনুরোধ করা হয়েছে। দিবস দুটি পালনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রের ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে।

জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়নের নির্ভরযোগ্য অংশীদার: প্রধান উপদেষ্টা

জার্মানির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার আজ বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন। এই সাক্ষাৎ বাংলাদেশে তাঁর চার বছরের কূটনৈতিক কর্মজীবনের শেষ কার্যক্রম। সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত ট্রস্টারকে তাঁর দায়িত্ব সফলভাবে শেষ করার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশ-জার্মানি সম্পর্ক জোরদারে তাঁর অবদানের প্রশংসা করেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “জার্মানি আমাদের উন্নয়ন যাত্রার নির্ভরযোগ্য অংশীদার।” রাষ্ট্রদূত ট্রস্টার বাংলাদেশে তাঁর সময়কাল সম্পর্কে আবেগভরা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, “আমার কর্মজীবনে অনেক আকর্ষণীয় পোস্টিং ছিল, তবে বাংলাদেশ সত্যিই অনন্য। বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তা ছিল অভূতপূর্ব, আমি গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা নিয়ে বিদায় নিচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, “বিনিয়োগ সম্মেলন ছিল একটি ভালো উদ্যোগ। আমি বাংলাদেশের জন্য শুভকামনা জানাই এবং আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া সফল হবে। পাশাপাশি একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও আমি আশাবাদী।” প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে জার্মানির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ইউরোপে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে জার্মানির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশটি যে অব্যাহত উন্নয়ন সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে, তা প্রশংসনীয়। তিনি বিশেষভাবে রোহিঙ্গাদের জন্য জার্মানির মানবিক সহায়তার কথাও উল্লেখ করেন। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “সংকটময় মুহূর্তে বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় আপনার দেশের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।” প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আপনার বিদায়ের পরও আমরা আপনার মতামত শুনতে চাই ু তা ইতিবাচক হোক অথবা সমালোচনামূলক। কারণ আপনার অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আপনাকে বাংলাদেশের একজন সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করি।” সাক্ষাৎকালে এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ইউরোপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

আগামী পাঁচ দিন টানা বৃষ্টির আভাস

সারা দেশে আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত টানা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিও হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। বুধবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানার দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে এবং সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে এবং সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। শুক্রবার (২৭ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে এবং সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে এবং সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে আগামী রোববার (২৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে এবং সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়া আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে মাদকমুক্ত দেশ গড়তে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জনগণের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। ২৬ জুন ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষ্যে বুধবার (২৫ জুন) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।” তিনি বলেন, ‘মাদকের পাচার ও অপব্যবহার একটি বহুমুখী ও জটিল সমস্যা। আমাদের যুব সমাজের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আজ মাদকের কবলে পড়ে মেধা ও সৃজনশীলতা হারিয়ে ফেলছে। মাদকের অপব্যবহারের ফলে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতিসহ জীবন ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন উপাদান ও সূচকের ওপর চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিঘ্নিত হচ্ছে দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা।’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে মাদকের বিস্তার রোধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং মাঠ প্রশাসনকে সম্মিলিতভাবে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। মাদক নির্মূলে গণসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি মাদক সমস্যা নিরসনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন, সুশীল সমাজ, শিক্ষক, অভিভাবক, ধর্মীয় নেতা, ছাত্রছাত্রী, চিকিৎসক, সমাজকর্মী, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টা মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন।

রথযাত্রা উপলক্ষে রাজধানীতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির নির্দেশনা

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র রথযাত্রা উপলক্ষে রাজধানীতে কিছু সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বুধবার (২৫ জুন) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ জুন (শুক্রবার) বিকেল ৩টায় রথযাত্রা এবং ৫ জুলাই (শনিবার) বিকেল ৩টায় উল্টো রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। এই উপলক্ষে যেসব সড়কে রথযাত্রার শোভাযাত্রা চলবে, সেগুলো হলো: স্বামীবাগ আশ্রম থেকে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির স্বামীবাগস্থ ইসকন মন্দির, জয়কালী মন্দির থেকে ইত্তেফাক মোড় শাপলা চত্বর হয়ে দৈনিক বাংলা মোড় ও বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট পল্টন মোড় থেকে প্রেস ক্লাব হয়ে কদম ফোয়ারা, হাইকোর্ট মাজার, দোয়েল চত্বর, শহীদ মিনার, জগন্নাথ হল, পলাশী হয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দির পর্যন্ত ডিএমপি জানায়, ওই দিনগুলোতে বিকেল ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এসব সড়কে যানবাহনের চাপ এড়াতে চালক ও যাত্রীসাধারণকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রথযাত্রার রুটে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও সহায়তা প্রদান করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

৬ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন পেল ডিএনসিসি

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৬,০৬৯ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) গুলশান নগর ভবনে অনুষ্ঠিত ডিএনসিসির ৭ম কর্পোরেশন সভায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন করা হয়। এ বাজেটে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬,০৬৯ কোটি টাকা এবং ব্যয় প্রাক্কলনও ৬,০৬৯ কোটি টাকা। ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩,৬৩৬ কোটি টাকা, যা মোট বাজেট আয়ের ৬০ শতাংশের সমপরিমাণ। সভায় ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, রাজস্ব আদায়ের উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করাটা নিঃসন্দেহে একটি চ্যালেঞ্জ হবে। তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন প্রস্তুত। ব্যয়ের ক্ষেত্রে নতুন সৃষ্ট ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট বাজেটের প্রায় ৭৬ শতাংশ, অর্থাৎ ৪,৬২৪ কোটি টাকা উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়নে, যেখানে ২,০৩২.৫০ কোটি টাকা, অর্থাৎ বাজেটের ৩৩ শতাংশ বরাদ্দ রয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে, যা টাকার অঙ্কে ৪৩৬.৩০ কোটি টাকা এবং মোট বাজেটের ৮ শতাংশ।।মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ১৮৭.৭৫ কোটি টাকা, যা বাজেটের ৩ শতাংশ। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও পারিশ্রমিক বাবদ বরাদ্দ করা হয়েছে ২৫৭ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৪ শতাংশ। ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের হোল্ডিং ট্যাক্স, পরিচ্ছন্নতা, লাইটিং ও স্বাস্থ্য খাত থেকে মোট রাজস্ব আয়ের ৪৫ শতাংশ আদায়ের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া সম্পত্তি হস্তান্তর খাত থেকে ১,০৮০ কোটি টাকা, অর্থাৎ প্রায় ৩০ শতাংশ আয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছে। অবশিষ্ট অর্থ সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা ও অনুদানের মাধ্যমে সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সভায় ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে কর্মরত “ওয়ার্ড সচিব” পদবির নাম পরিবর্তন করে “ওয়ার্ড সুপারভাইজার”, “ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর” অথবা “ওয়ার্ড অর্গানাইজার” নামকরণের প্রস্তাব প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

এনসিসির প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে ঐকমত্য কমিশন: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর পরিবর্তে ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি’ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় এ কথা জানান তিনি। আলী রীয়াজ জানান, সংশোধিত এ কমিটিতে সভাপতিত্ব করবেন নিম্নকক্ষের স্পিকার। প্রস্তাবিত এ কমিশনের সদস্য থাকবেন সাত জন। অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, এ কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, নিম্ন ও উচ্চকক্ষের স্পিকারদ্বয়, বিরোধী দলীয় নেতা, অন্য যেকোনো দলের একজন প্রতিনিধি, রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি এবং প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন কর্মকর্তা। এবং এতে সভাপতিত্ব করবেন নিম্নকক্ষের স্পিকার। তিনি আরো বলেন, এর আগে এনসিসিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি থাকার প্রস্তাব করা হয়েছিল। সংশোধিত ও নতুন প্রস্তাবিত এই কমিটিতে তারা থাকবেন না। কমিটির কাজ হবে অ্যাটর্নি জেনারেল ও তিন বাহিনীর প্রধানের নিয়োগ ব্যতীত অন্য সব সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা। প্রস্তাবিত কমিটিতে থাকবেন- প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার (নিম্নকক্ষ), স্পিকার (উচ্চকক্ষ), বিরোধীদলীয় নেতা, প্রধান বিরোধী দল ছাড়া অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর একজন প্রতিনিধি, রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি (আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত যোগ্যতাসম্পন্ন), প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। সভাপতিত্ব করবেন নিম্নকক্ষের স্পিকার। এ সময় জুলাই মাসের মধ্যে জুলাই সনদ প্রস্তুত করার তাগিদ জানিয়ে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে অন্ততপক্ষে কিছুটা হলেও ছাড় দিয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানান। সেই সঙ্গে সবার সহযোগিতায় দ্রুত একটি ঐকমত্যে পৌঁছানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বক্তব্যে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি কি কি বিষয় হবে সেটি নিয়েও আজ আলোচনার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি। এর আগে, রোববার রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি কি হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের মত পার্থক্য তৈরি হয়। এদিন কমিশনের প্রস্তাবিত মূলনীতির বিষয়ে প্রায় সব দল একমত প্রকাশ করলেও বিএনপি, জামায়াতসহ ডান ও মধ্যপন্থি দলগুলো পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে যোগ করা ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ যুক্ত করার, ও সিপিবি, বাসদসহ কিছু বামপন্থী রাজনৈতিক দল বিদ্যমান চার রাষ্ট্রীয় মূলনীতির সঙ্গে কমিশনের প্রস্তাবিত মূলনীতি যুক্ত করার প্রস্তাব করে। এক্ষেত্রে এনসিপি বাহাত্তরের সংবিধানে রাখা চার মূলনীতি রাখার সম্পূর্ণ বিপক্ষে মত দেয়। ফলে সেদিন অমীমাংসিত থেকে যায় বিষয়টি, যা নিয়ে আজ আরো বিশদ আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। আজ দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যাবার আগে বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, এ সকল বিষয়ে আলোচনা চলছে। অধিকতর আলোচনা শেষে এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হবে। উল্লেখ্য আজকের আলোচ্য সূচিতে রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের নির্বাচন পদ্ধতি, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, নারী আসনসহ আরো বিভিন্ন অমীমাংসিত বিষয়। আজ রাজনৈতিক আলোচনায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি, জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশ, এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।

জাতীয় পরিবেশ পদকসহ ৪ ক্ষেত্রে পুরস্কার দিল সরকার

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জাতীয় পুরস্কার ২০২৫, জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২৪, বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার ২০২৪ এবং সামাজিক বনায়নে সর্বোচ্চ লভ্যাংশপ্রাপ্ত উপকারভোগীদের মাঝে পুরস্কার ও চেক বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার তুলে দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। জাতীয়ভাবে বন, প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে ২০১০ সাল থেকে চালু হওয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জাতীয় পুরস্কারের ২০২৫ সালের চারজন বিজয়ীর মধ্যে রয়েছেন নাটোরের মো. ফজলে রাব্বী (ব্যক্তি পর্যায়), শেরপুর বার্ড কনজারভেশন সোসাইটি (প্রতিষ্ঠান পর্যায়), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ। প্রত্যেক পুরস্কারপ্রাপ্তকে ২২ ক্যারেট স্বর্ণপদক (দুই ভরি), এক লক্ষ টাকার চেক ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২৪ পেয়েছেন ব্যক্তি পর্যায়ে মো. মাহমুদুল ইসলাম, মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী ও প্রফেসর ড. এম. ফিরোজ আহমেদ এবং প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লি:, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। প্রতিটি পদকের সঙ্গে রয়েছে স্বর্ণের সমমূল্যের নগদ অর্থ, ৫০ হাজার টাকার চেক, একটি ক্রেস্ট ও সনদপত্র। বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার ২০২৪-এর সাতটি শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকারীদের মধ্যে রয়েছেন লালমনিরহাটের দলগ্রাম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, মিস দিলরুবা রহমান (টাঙ্গাইল), সোহেল নার্সারি (রংপুর), নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ এবং বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট। পুরস্কারের অংশ হিসেবে প্রদান করা হয় সনদ, ক্রেস্ট ও এক লক্ষ, ৭৫ হাজার এবং ৫০ হাজার টাকার চেক। এছাড়াও সামাজিক বনায়নে সর্বোচ্চ লভ্যাংশপ্রাপ্ত ১০ জন উপকারভোগীকে সম্মাননা হিসেবে চেক প্রদান করা হয়। এর মধ্যে মো. শাহাজ উদ্দিন পান ৬ লাখ ৭ হাজার ৯৫০ টাকা, উকিল মুর্মু পান ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩২৫ টাকা, মোসা. মনোয়ারা বেগম পান ৪ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ টাকা। এই সম্মাননাগুলো পরিবেশ ও প্রকৃতির সুরক্ষায় জনগণের অংশগ্রহণ ও উৎসাহকে আরও জোরদার করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এসময় মঞ্চে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এবং বন অধিদপ্তরের সম্মানিত প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ।

সুপারশপগুলো শতভাগ পলিথিনমুক্ত হয়েছে: পরিবেশ উপদেষ্টা

পলিথিনের ভয়াবহ কুফলের কথা বর্ণনা করে পাট, কাগজ ও কাপড়সহ এর অন্যান্য বিকল্প ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, সুপারশপগুলো শতভাগ পলিথিনমুক্ত হয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীতে বৃক্ষমেলা ও পরিবেশ মেলা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা জানান, প্লাস্টিক দূষণ রোধে নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে; সুপারশপগুলো শতভাগ পলিথিনমুক্ত হয়েছে। একবার ব্যবহারযোগ্য ১৭টি প্লাস্টিক পণ্যে নিরুৎসাহ এবং সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন চলছে। এর আগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০২৫ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও জাতীয় বৃক্ষমেলা ২০২৫-এর উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরিবেশ মেলা চলবে ২৫ থেকে ২৭ জুন এবং বৃক্ষমেলা চলবে ২৫ জুন থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের চলমান ও অগ্রাধিকারভিত্তিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন রিজওয়ানা হাসান। উপদেষ্টা জানান, নদী সংরক্ষণে চূড়ান্ত করা হয়েছে দেশের নদ-নদীর তালিকা। তুরাগসহ ঢাকার চারটি নদী ও ২০টি খালের জন্য ব্লু-নেটওয়ার্ক পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে। বড়াল, করতোয়া, সুতাংসহ ১৫টি নদীর পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, বন সংরক্ষণে মধুপুর শালবন ও চুনতি বন পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। অবৈধ দখলমুক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৪৫৯ একর বনভূমি। সোনাদিয়া উপকূলীয় বন ও রাজশাহীর দুটি জলাভূমিকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ইটভাটা নিয়ন্ত্রণে নো-ব্রিকফিল্ড জোন গঠন ও পুরনো যানবাহন নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালানো হচ্ছে।