ডিসেম্বরের মধ্যে ৩ টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে দেওয়া হবে: নৌ সচিব
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১১:৩১ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), লালদিয়ার চর টার্মিনাল এবং ঢাকার পানগাঁও ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনাল ডিসেম্বরের মধ্যে বিদেশি অপারেটরদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ।
রোববার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) আয়োজনে ‘সমুদ্রগামী জাহাজশিল্পে বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “তিনটি টার্মিনালের মধ্যে পানগাঁও টার্মিনাল হস্তান্তরে কিছুটা সময় লাগবে। এনসিটি টার্মিনাল অক্টোবরেই ছাড়ার কথা থাকলেও সেটিও কিছুটা দেরিতে হবে।”
চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশন বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়াকে একটি কৌশলগত ও ভৌগোলিক বিষয় উল্লেখ করে সচিব বলেন, “শ্রীলঙ্কা, ভারতসহ অনেক দেশেই বিদেশি অপারেটররা বন্দর পরিচালনা করে। যদি সেখানে সমস্যা না হয়, তাহলে আমাদের ক্ষেত্রেও হবে না।”
তিনি বলেন, বর্তমানে বন্দরে ১৩টি গেট থাকলেও কার্যকর স্ক্যানিং মেশিন আছে মাত্র ৬টিতে, যার মধ্যে ৩-৪টি প্রায় সময় বিকল থাকে। “এভাবে বন্দর চলতে পারে না,” বলে তিনি উল্লেখ করেন। কার্যকারিতা ও সেবার মান বৃদ্ধিতে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, এতে বিদেশি বিনিয়োগও বাড়বে বলে জানান তিনি।
ব্যবসায়ীদের আপত্তি প্রসঙ্গে সচিব বলেন, “শুরুর দিকে তারা নানা কথা বলেন, পরে পরিস্থিতি বুঝে চুপ থাকেন। আমরা দেশের স্বার্থেই কাজ করছি।”
সেবার খরচ বাড়বে কি না, এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, “যদি সেবার মান উন্নত হয় এবং দ্রুত পণ্য খালাস সম্ভব হয়, তাহলে ড্যামারেজ খরচ কমবে। সে ক্ষেত্রে কিছু বাড়তি খরচ গ্রহণযোগ্য।”
মূল প্রবন্ধে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জায়দী সাত্তার বলেন, “জাহাজভাঙা ও ছোট জাহাজ নির্মাণ শিল্প দেশের বড় জাহাজ নির্মাণে ভিত্তি তৈরি করেছে। বর্তমানে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের জাহাজ রপ্তানির কার্যাদেশ রয়েছে। যথাযথ সরবরাহ নিশ্চিত হলে আরও অর্ডার আসবে।” এজন্য প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে, জাহাজ নির্মাণ উপযোগী আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালা এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।