‘ঢাকা-থ সিএনজি অটোরিক্সা’ মহানগরীতে চলাচলের অনুমতির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা মেট্রোপলিটন এড়িয়ায় ২০০০ সালের আগে ৩৫ হাজার ‘বেবি ট্যাক্সির’ চলাচল ছিল। তাহা উচ্ছেদ করে মাত্র ১৫ হাজার ‘ঢাকা মেট্রো-থ’ সিএনজি অটোরিক্সার অনুমোদন দেওয়া হয়। ফলে সেই সময়ে ২০ হাজার চালক গাড়ি না পেয়ে বেকার হয়ে পড়েন। এছাড়া ২০০০ সালের পর প্রতিদিন বিআরটিএ হইতে বৈধ থ্রি-হুংইলার ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে ২৫ বৎসরে অসংখ্য চালক এই সেক্টরে যোগ হয়েছে। অথচ নতুন কোন গাড়ী রেজিষ্ট্রেশন দেওয়া হয়নি, ফলে নতুন চালকদের কোন কর্মস্থান হয়নি। অন্যদিকে, ‘ঢাকা মেট্রো-থ’ মালিকগণ একচেটিয়া ব্যবসা করার লক্ষে সিন্ডিকেট তৈরি করে চালকদের নিকট থেকে অবৈধভাবে অতিরিক্ত জমা গ্রহণ করা এবং কথায় কথায় ছাটাইয়ের ভয়-ভিতি প্রদর্শনসহ নানা নির্যাতনের কারনে উক্ত মালিকদের গাড়ী চালাতে চালকরা অনাগ্রহী হয়ে পড়ে। এই সকল কারনে ঢাকা মেট্রো এড়িয়ার কিছু সংখ্যক চালকরা ধার, কর্জ, চড়া সুদে লোন, পরিবারের স্বর্ণ অলংকার বিক্রিসহ ইত্যাদির মাধ্যমে ‘ঢাকা-থ’ সিএনজি অটোরিক্সা ক্রয় করে মেট্রো এড়িয়ার আশেপাশে ঢাকা জেলার সড়ক সমূহে গাড়ী চালিয়ে জীবীকা নির্বাহ করে আসিতেছিলেন। এমতাবস্থায়, গত ২০১৬ সালের ২৮ জুন তারিখে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার উক্ত মেট্রো এড়িয়ার আশেপাশের ১৬টি ইউনিয়ন ঢাকা জেলার এড়িয়া হইতে কেটে নিয়ে ৩৬টি নতুন ওয়ার্ড তৈরি করে ঢাকা মেট্রো এড়িয়া বৃদ্দি করেন। ফলে ঢাকা সিটির সেই চালকরা যারা উক্ত ইউনিয়ন সমূহের সড়কে গাড়ী চালাতেন তারা তাদের সেই এড়িয়া হইতে উচ্ছেদ হইয়া পুনরায় বেকার হইয়া পড়িলে উপায়ন্তর না পেয়ে অবশেষে তারা কম/বেশি ৩ হাজার ‘ঢাকা-থ’ সিএনজি অটোরিক্সা ঢাকা মেট্রো এড়িয়ায় চলাচলের মাধ্যমে পরিবার পরিজনের বেচে থাকার জন্য মুখে 'দু' মুঠো খাবার যোগাড় করে চলছেন। ইতিমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক সার্জেন্ট গন উক্ত চালকদেরকে মেট্রো এরিয়া হইতে উচ্ছেদের জন্য অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে অধিক তৎপরতার মাধ্যমে অতিরিক্ত মামলা, রেকার, ড্রাম্পিং দেওয়ায় উক্ত চালকগন বর্তমানে পুনরায় আবার বেকার হয়ে পড়েছেন। আজ প্রায় একটানা ৫ মাস গত হলো গাড়ী বন্ধ রয়েছে। চালকরা বেকার হয়ে পড়ায় পরিবার গুলিতে হাহাকার বিরাজ করছে। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া পরিবারের সদস্যদের খাওয়া পড়া, বাসা ভাড়া, চিকিৎসা ইত্যাদি সংকটের কারনে তারা নতুন নতুন ধার দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। কম/বেশি ৩ হাজার ‘ঢাকা-থ’ সিএনজি অটোরিক্সা ঢাকা মেট্রো এড়িয়ায় চলাচলের অনুমতির দাবীতে রাজপথে সভা-সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান এবং তার সাথে গত ০৩/০১/২০২৩ইং ও ১৪/০৮/২০২৪ইং সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, বরাবর দরখাস্ত প্রদান এবং ২৫/০৯/২০২৪ইং ও ১৬/১০/২০২৪ইং তারিখে উপদেষ্টা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় বরাবর ১ম ও ২য় স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। যাহার প্রেক্ষিতে গত ২৪/১০/২০২৪ইং তারিখে সহকারি সচিব মোঃ জসিম উদ্দীন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, বিআরটিএ সংস্থাপন শাখা আমাদের উক্ত দাবী বিষয়ে জরুরী মতামত প্রেরনের জন্য চেয়ারম্যান, বিআরটিএ’কে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন। বিগত চেয়ারম্যান উক্ত বিষয়ে কি মতামত প্রদান করেছেন, আমাদের বিষয়ে মন্ত্রনালয়ে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে ইত্যাদি বিষয় শতচেষ্টা করেও আমরা কোন দপ্তর হইতে সংবাদ সংগ্রহ করতে পারিনি। এই দিকে গত ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিআরটিএ চেয়ারম্যান ঢাকা মহানগরীতে নতুন সিএনজি অটোরিক্সার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মত প্রদান করে সিনিয়র সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় বরাবর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পত্র প্রেরণ করেন। কিন্তু আমাদের আবেদনের বিষয়টি উক্ত পত্রে উল্লেখ করেননি। অতপর উক্ত পত্র পেয়ে বিআরটিএ সংস্থাপন শাখা নতুন সিএনজি অটোরিক্সার প্রয়োজনীয়তার সংখ্যা জানিয়ে মতামতের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে পত্র প্রেরণ করেন। উক্ত পত্রে বিভিন্ন সংগঠনের আবেদনের বিষয়টি উল্লেখ করলেও আমাদের আবেদনের বিষয়ে কিছুই লেখা হয়নি। অথচ উভয় দপ্তরই আমাদের দাবী বিষয়ে অবগত রয়েছেন। সম্প্রতি আমাদের "ঢাকা-থ" সিএনজি অটোরিক্সা মালিক শ্রমিকদের ২টি সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে "ঢাকা-থ” সিএনজি অটোরিক্সা মালিক শ্রমিক ঐক্য জোট নাম গ্রহণ সমাপ্ত করা হয়েছে। উক্ত নতুন নামের সংগঠন উভয় গ্রুপের ঢাকাস্থ বিভিন্ন থানা এড়িয়ার প্রতি কমিটির ৫ জন (সুপার ফাইভ) কর্মিদের নিয়ে গত ১৮/০৬/২০২৫ইং তারিখে বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ শিশু কল্যান পরিষদ মিলনায়তনে মালিক শ্রমিক ঐক্য কর্মি সভা অনুষ্ঠিত করে উক্ত সভায় উপস্থিতিদের নিকট আগামী দিনের কর্মসূচী বিষয়ে মতামত আহ্বান করে নিম্ন লিখিত কর্মসূচী পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন, যাহা আজকের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা ঘোষনা করছি। আমাদের দাবীসমূহ সরকারের যথাযথ বিভাগে জানানোর পর থেকে আমরা বিআরটিএ এবং মন্ত্রনালয়ে সাক্ষাৎ করলে নানান কারনসহ শিলিং বৃদ্ধি করা জটিল বিষয় বলে আমাদেরকে জানিয়ে বারবার কাল বিলম্ব করে চলছে। অথচ সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৬ষ্ঠ অধ্যায় ধারা ৩৩ এর ২ অনুচ্ছেদ মতে যে কোন এলাকায় গাড়ি অতিরিক্ত হইলে অন্যান্য এলাকায় তাহা চলাচলের অনুমতি প্রদান করা যাইবে। মন্ত্রনালয়, বিআরটিএ, পুলিশ কমিশনার তার দপ্তর আমাদের সাথে কাজে এবং কথায় যেই ধরনের নেক্কার জনক আচরণ প্রদর্শন করে চলছেন তার জন্য আমাদের সদস্যদের মাঝে অত্যন্ত ক্ষোভ বিরাজ করছে। যেকোন সময়ে উক্ত ক্ষোভ বিক্ষোভে রুপান্তরিত হয়ে অনাকাংখিত ঘটনার জন্ম দিতে পারে। যদি অঘটন ঘটেযায় তবে এইজন্য চেয়ারম্যান, বিআরটিএ, সিনিয়র সচিব, ও উপদেষ্টা এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশানর সম্পূর্ন রুপে দায়ী থাকিবেন। এমনি পরিস্থিতিতে আমাদের দাবী, আগামী ৭ দিনের মধ্যে আমাদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টির সুরাহা না করা হলে, বিআরটিএ সদর কার্যালয়ের সামনে আগামী ২৯/০৬/২০২৫ইং তারিখ রোজ রবিবার সকাল ১০টা হইতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রতিদিন লাগাতার অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হইবে।

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ সেনাপ্রধানের

সততা, সঠিক নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের মন্ত্রে বলীয়ান হয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশপ্রেম ও কর্তব্যনিষ্ঠার সঙ্গে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালনেরও আহ্বান জানান তিনি। রোববার (২২ জুন) চট্টগ্রামের বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে গ্রীষ্মকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান ২০২২ ‘বি’ ব্যাচ এবং ডাইরেক্ট অ্যান্ট্রি অফিসার ২০২৫ ‘এ’ ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষে ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সেনাপ্রধান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ভাষণের শুরুতে সেনাপ্রধান মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সব অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নৌ কমান্ডোদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দির প্রগতিশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ একটি আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষা, সমুদ্রে অপরাধ দমন ও সুশাসন বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানবিক সহায়তায় দেশে-বিদেশে নৌবাহিনীর অংশগ্রহণ এবং ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’র আওতায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় নৌবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানান তিনি। পেশা হিসেবে দেশসেবার এ মহান দায়িত্বকে বেছে নেওয়ায় নবীন কর্মকর্তা ও তাদের অভিভাবকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান সেনাপ্রধান। মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক ও নৌসদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২০২২ ‘বি’ ব্যাচের ৪৪ জন মিডশিপম্যান এবং ২০২৫ ‘এ’ ব্যাচের ৮ জন ডাইরেক্ট অ্যান্ট্রি অফিসারসহ মোট ৫২ জন নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেন। কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের মধ্যে ৮ জন নারী এবং ৪ জন বিদেশি কর্মকর্তা। কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে সেনাবাহিনী প্রধান বিভিন্ন বিষয়ে কৃতি প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে পদক তুলে দেন। সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের মধ্যে মিডশিপম্যান মেহেদী হাসান মৃধা, (এক্স), বিএন সব বিষয়ে সেরা চৌকশ মিডশিপম্যান হিসেবে ‘সোর্ড অব অনার’ লাভ করেন। মিডশিপম্যান মো. মেহেরাব হক তনি, (এক্স), বিএন প্রশিক্ষণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী হিসেবে ‘নৌ প্রধান স্বর্ণপদক’ এবং ডাইরেক্ট অ্যান্ট্রি অফিসার অ্যাক্টিং সাব-লেফটেন্যান্ট রাজীব দত্ত, (শিক্ষা), বিএন কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী হিসেবে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্বর্ণপদক’ লাভ করেন। এছাড়াও, Midshipman Abohorira Elbadawi Ahmed Abdelnaim, (X), SUD (Sudan Army) সেরা চৌকশ বিদেশি মিডশিপম্যান হিসেবে এবারই প্রথমবারের মতো ‘বিএনএ আন্তর্জাতিক স্বর্ণ পদক’ লাভ করেন। পরে সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান ব্রত নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেন। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।

তেহরান থেকে দেশে ফেরার তালিকায় ৯২ জন, শুরুতে ফিরবেন ২৫ জন

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কারণে তেহরানে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশে ফিরতে আগ্রহী এমন ৯২ বাংলাদেশির একটি তালিকা পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা স্থলপথে ইরান হয়ে পাকিস্তান সীমান্তে প্রবেশ করবেন। সেখান থেকে দুবাই হয়ে আকাশপথে বাংলাদেশে ফিরবেন। প্রাথমিকভাবে প্রথম ধাপে ২৫ বাংলাদেশি নাগরিকের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের পাকিস্তানে প্রবেশের অনুমতি পাওয়া গেছে। পাকিস্তান সরকার রাজি হয়েছে। তেহরান থেকে ফিরতে আগ্রহী ৯২ জনের একটি তালিকা পাকিস্তান সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব বাংলাদেশিরা স্থলপথে ইরান সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান সীমান্তে প্রবেশ করবে। এরপর পাকিস্তানের করাচি বা খুব নিকটবর্তী বিমানবন্দর দিয়ে দুবাই হয়ে ঢাকায় ফেরানো হবে। প্রথম ধাপে ২৫ বাংলাদেশি দেশে ফিরবেন। ইসলামাবাদের একটি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে তেহরান থেকে বাংলাদেশিদের প্রথম ধাপ ইসলামাবাদে প্রবেশ করবে। আগামী ২৫-২৬ জুন এটি হতে পারে। পাকিস্তানে প্রবেশের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশিদের দেশটি ত্যাগ করতে হবে। সেক্ষেত্রে আশা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে প্রথম ধাপে বাংলাদেশিরা দেশে প্রবেশ করতে শুরু করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে পাকিস্তানের অনুমতি পেয়েছি। ৯২ জনের একটি তালিকা পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছে। ফিরতে আগ্রহীদের ধাপে ধাপে দেশে ফেরানো হবে। প্রথম ধাপে ২৫ জন দেশে ফিরবেন। এই ২৫ জনের মধ্যে অসুস্থ, নারী, শিশু এবং ইরানে চিকিৎসা নিতে যাওয়ারা অগ্রাধিকার পাবে। আপাতত তেহরানের বাংলাদেশের দূতাবাস দেশে ফিরতে আগ্রহীদের জড়ো করবে। তারপর সুবিধাজনক সময়ে দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে। তবে আমরা খুব দ্রুত বাংলাদেশিদের ফেরত আনব।

একটু ছাড় দেওয়ার জায়গায় আসুন, রাজনৈতিক দলগুলোকে আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, একটু ছাড় দেওয়ার জায়গায় আসুন। আপনারা আসছেন, আরেকটু আগান। আরেকটু আগালে দ্রুত জুলাই সনদ করার মাধ্যমে এ অংশ (সংলাপ) শেষ করতে পারি। আজ রবিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের পঞ্চম দিনের আলোচনার সূচনা বক্তব্যে এ অনুরোধ জানান আলী রীয়াজ। আজকের মূলতবি অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, রাষ্ট্রের মূলনীতি ও সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে। বৈঠকে ৩০টি দল ও জোটের নেতারা উপস্থিত আছেন। যাদের মধ্যে দুই জোটের নেতারা আছেন। রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, প্রত্যেকে একটু বিবেচনা করুন। আমরা এখানে এসেছি বিশেষ পরিস্থিতিতে, সে পরিস্থিতিটা অন্তত কঠিন ও কঠোর। ১৬ বছরের সংগ্রাম, হাজার খানেক (জুলাই গণঅভ্যুত্থান) মানুষের আত্মদান, বহু লোকের অভিজ্ঞতা, বহুলোক এখনো নিখোঁজ। এর সঙ্গে আপনাদের কর্মী, সংগঠন প্রাণ দিয়েছেন, নিপীড়িত হয়েছেন। এ জন্য আমরা এখানে আসতে পারলাম। না হলে আসতে পারতাম না। এটা বিবেচনায় রেখে কোন জায়গায় আমরা একমত হতে পারি, কোন জায়গায় আমরা কতদূর এগিয়ে যেতে পারি, একটু ছাড় দেওয়ার জায়গায় আসুন। আপনারা আসছেন, আরেকটু আগান। আরেকটু আগালে দ্রুত জুলাই সনদ করার মাধ্যমে এ অংশ (সংলাপ) শেষ করতে পারি। তিনি বলেন, পাশাপাশি নির্বাচন ও বিচারের প্রক্রিয়া সমান্তরালভাবে চলবে, চলতে দিতে হবে। কিন্তু এটা আমাাদের দ্রুত করার দিতে হবে। আমাদের অনুরোধ আরেকটু ছাড় দিতে হবে, তাহলে এক জায়গায় আসতে সহজ। আমরা সবাই মিলে এক। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ দেশের মানুষ প্রত্যাশা নিয়ে দেখছেন উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, এটা আমাদের মেনে নিতে হবে যে, অনেক বিষয়ে আলোচনার পরে নীতিনির্ধারকদের (দলীয়) কাছে ফিরতে হয়। কারণ আলোচনায় নতুন নতুন বিষয় আসে, যাতে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছাকাছি আসার সুযোগ রয়েছে। আমাদের যেহেতু সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কিছু বিষয়ে এক জায়গায় আসতে হবে, ঐকমত্য পৌঁছাতে হবে। সে জন্য সবাইকে ছাড় দেওয়ার প্রয়োজন হবে। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলুন। তিনি বলেন, গত কয়েকদিনের আলোচনায় কয়েকটি বিষয় অমীমাংসিত থেকে গেছে, বিশেষ করে উচ্চ-কক্ষ গঠন ও প্রক্রিয়া, নারীদের প্রতিনিধিত্ব কীভাবে হবে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে এক জায়গায় আসতে পারিনি। এগুলো নিয়ে আরও গুরুত্বের সঙ্গে কথা বলা দরকার। রাজনৈতিক দলগুলোর অনুরোধ বিষয়গুলো নিয়ে আগামী সপ্তাহে আলোচনা হবে। আগামী দুইদিন (সোমবার ও মঙ্গলবার) সংলাপের বিরতি থাকবে বলে জানিয়েছেন আলী রীয়াজ। এসময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দলীয় ফোরামে সংলাপের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারবে বলে তিনি মনে করেন।

প্রেসক্লাবে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে মৌখিক পরীক্ষায় (ভাইভা) অংশ নেওয়া সব প্রার্থীকে সনদ দেওয়ার ঘোষণার দাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। রোববার (২২ জুন) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল ১১টায় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে অগ্রসর হতে গেলে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশ তাদের বারবার সরে যেতে বললেও আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর ১১টা ২৩ মিনিটে তাদের ওপর জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। আন্দোলনকারীর বলছেন, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও মৌখিকে রেকর্ড ২০ হাজার ৬৮৮ জন প্রার্থীকে ইচ্ছে করে ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন তারা এনটিআরসির সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। তাদের দাবি,ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন করে ভাইভায় অংশ নেওয়া সবাইকে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিতে হবে।

ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান বাংলাদেশের

ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। শনিবার (২১ জুন) তুরস্কের ইস্তানবুলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৫১তম সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তার বক্তব্যে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বেআইনি ও আগ্রাসী সামরিক হামলার তীব্র নিন্দা জানান। এ আগ্রাসনকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং ইরানের সার্বভৌমত্বের মারাত্মক লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন তিনি। তৌহিদ হোসেন বলেন, ইসরায়েলের এ ধরনের বেপরোয়া কর্মকাণ্ড এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার এবং বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করার হুমকি সৃষ্টি করেছে। তিনি অবিলম্বে এ ধরনের উসকানি বন্ধের আহ্বান জানান এবং কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধার মাধ্যমে শান্তি নিশ্চিত করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার সময় ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অবিলম্বে ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে বন্ধেরও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে) ও আইসিসির মাধ্যমে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার দাবিতে ওআইসিকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ ও সোচ্চার থাকতে হবে। আমাদের সংহতিকে অবশ্যই কৌশলগত এবং টেকসই পদক্ষেপে রূপান্তরিত করতে হবে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তার বক্তব্যে রোহিঙ্গা সমস্যা তুলে ধরেন। আইসিজেতে ওআইসির আইনি উদ্যোগ এবং ওআইসি টেন ইয়ার প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনে রোহিঙ্গা ইস্যুকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত লক্ষ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য ওআইসির প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোর পাশাপাশি আইসিজেতে চলমান আইনি কার্যক্রমে অর্থায়নে সহায়তা করার আহ্বান জানান তৌহিদ হোসেন। মুসলিম বিশ্বের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও ইসলামভীতি মোকাবিলায় আরও বিস্তৃত ও কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য ওআইসিকে আহ্বান জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের উচিত ওআইসির প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, জবাবদিহিতা এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করা। সম্মেলনের সাইডলাইনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মালয়েশিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো সেরি উটামা হাজি মোহাম্মদ বিন হাজি হাসান, ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হোসেন, উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইদভ বাখতিয়র ওদিলোভিচ এবং পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দুদিনব্যাপী সম্মেলন শনিবার শুরু হয়েছে। সকালে এ সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। বিকেলে ইরানের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন ইস্যুতে বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ পুরোদমে এগিয়ে নিচ্ছে ইসি

সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপযুক্ত সময়ে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সার্বিক প্রস্তুতির কাজ পুরোদমে এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসর সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান। তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচনি আইনের কিছু সংশোধনী প্রস্তুত করা হচ্ছে। সেসব সংশোধনীর বিষয়ে আমরা কাজ করছি। যাতে নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করা যায়। আমরা আমাদের প্রস্তুতি সেভাবে এগিয়ে নিচ্ছি। দেশের জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সরকারের পক্ষ থেকে যখনই সিদ্ধান্ত আসবে, তখনই নির্বাচন কমিশন শিডিউল ঘোষণা করবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন করার ক্ষেত্রে ইসির সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ আছে, এ বিষয়ে কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, নির্বাচন সম্পন্ন করা একটি কঠিন কাজ। কিন্তু অসাধ্য নয়। আমাদের সতর্কতার সঙ্গে এ কাজগুলো করতে হবে। সে দিক থেকে নির্বাচনটা ভালোভাবে সম্পন্ন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ৬ জুন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিলেও গত ১৩ জুন লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালে রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে। লন্ডন বৈঠকের পর নির্বাচন কমিশন নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে ২০২৬ সালের এপ্রিল কিংবা তার আগে নির্বাচনের ডামাডোল বাজিয়ে তুলতে প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে। সেজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিমূলক কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য কমিশন তার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে, গত ১৫ জুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নির্বাচনের সময়সূচি যখনই হোক না কেন, ইসিকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা এখন আমাদের প্রস্তুতির দিকে মনোনিবেশ করছি। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কমিশনের নির্দেশনার আলোকে ভোটার তালিকার হালনাগাদ, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, ভোটকেন্দ্র সংস্কার ও মেরামত, ভোটের সরঞ্জামাদির প্রয়োজনীয় কেনাকাটা, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, বিভিন্ন নির্বাচনি আইন ও বিধিমালা সংশোধন, নির্বাচনি দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের কার্যক্রম এখন পুরোদমে চলছে। এছাড়া কমিশনের কর্মপরিকল্পনায় নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজের মধ্যে রয়েছে- অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, আরপিওসহ বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা সংশোধন, নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকার ম্যানুয়েল ও নির্দেশিকা সংশোধন। এ প্রসঙ্গে ইসি সূত্র জানান, তারা নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে গৃহীত প্রস্তাবনা এবং সুপারিশের অপেক্ষা করছেন । এদিকে শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ যথাসময়ে ঘোষণা করা হবে। নির্ধারিত সময়েই নির্বাচনের তফশিল জানানো হবে। তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে আমাদের প্রতিনিয়ত যোগাযোগ হচ্ছে বিষয়টা এমন নয়। আবার এমনও নয় যে একদমই হচ্ছে না। নির্বাচনের তফসিলও নির্ধারিত সময়ে ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, আমরা যেটিকে কর্মপরিকল্পনা বলছি, অনেকেই সেটিকে রোডম্যাপ বলে থাকেন। এটি তৈরির কাজ আসলে আমাদের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই শুরু হয়েছে। এতে নির্ধারণ করা হয়েছে কোন কাজ কখন শুরু হবে এবং কখন শেষ হবে। গত বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। বিধিমালায় আসন্ন সংসদ নির্বাচনে পোস্টারের ব্যবহার বন্ধ, বিধি লঙ্ঘনে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা জরিমানা ও প্রচার প্রচারণায় পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ব্যবহারের নতুন বিধান যুক্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের কাজ চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হতে পারে বলে। ৭৬টি সংসদীয় আসনে সীমানা নির্ধারণে ইসিতে ৬৩৮ আবেদন জমা পড়েছে। ইসির কর্মকর্তারা জানান, ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত করার সময় রয়েছে কমিশনের হাতে। তারা আশা করছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকা প্রস্তুতের কাজ শেষ করতে পারবেন। কমিশন সূত্র জানান, নির্বাচন কেন্দ্রিক আয়োজনে অনেক কিছুরই প্রয়োজন হয়। যেসব প্রয়োজনীয় কেনাকাটা আছে, এরমধ্যে ভোটের জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে স্বচ্ছ ব্যালটবাক্স ও ঢাকনা, ছবিসহ ভোটার তালিকা, ব্যালট পেপার, অমোচনীয় কালি, কয়েক ধরনের সিল, গালা, স্ট্যাম্প প্যাড, কালি, থলে, ১৭ ধরনের খাম, কাগজ, কলম, ছুরি, মোমবাতি, দেশলাই অন্যতম। ব্যালট পেপারের কাগজ সাধারণত নেওয়া হয় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল থেকে। আর প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর ব্যালট পেপার ছাপা হয় সরকারি ছাপাখানায়। এর বাইরে অন্য সামগ্রীর বেশ কিছু কিনতে হয় উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে। জানা গেছে, ভোটের জন্য যে-সব মালামাল ক্রয় করতে হবে তার টেন্ডার শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া একেবারে শেষের পথে। আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে এ বিষয়ে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া সম্ভব হবে বলে কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ আছে, যেমন ভোটার কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। পর্যবেক্ষক নীতিমালা নিয়ে কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে। নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের আবেদনের সময়সীমা ২২ জুন শেষ হবে। ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, গত ১০ মার্চ নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে ২০ এপ্রিলের মধ্যে নিবন্ধনের জন্য নতুন রাজনৈতিক দলগুলির কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করে। ওই সময়সীমার মধ্যে মোট ৬৫টি দল আবেদন করেছিল। ইসি পরে ২২ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বাসসকে বলেন, আমাদের ভোটার তালিকার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বৃহস্পতিবার কমিশন সভায় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আচরণ বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। এরপর আমরা সংসদীয় আসনে সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে কাজ করছি। এটাও বেশিদিন লাগবে না। তিনি বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রিক আমাদের যে-সব মালামাল ক্রয় করতে হবে তারও টেন্ডার শেষ হয়েছে। মূল্যায়ন প্রক্রিয়াও একেবারে শেষের পথে। আমরা আশা করছি, এই মাসের মধ্যে না পারলেও সামনের মাসের প্রথম সপ্তাহে এই ওয়ার্ক অর্ডার দিতে পারব। তিনি বলেন, আমাদের অন্যান্য যে আনুষঙ্গিক কাজ আছে, যেমন- ভোট কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতেছি। এরপর পর্যবেক্ষকের যে নীতিমালা রয়েছে, এই নীতিমালাগুলোর কাজ করছি এবং এ কার্যক্রম বেশ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে।

দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ২ জনের মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে ২১১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। শনিবার (২১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নতুন করে করোনা আক্রান্ত ৪ জনসহ দেশে এ পর্যন্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯৪২ জনে। নতুন করে দুজন মারা যাওয়ায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার ৫১০ জনে দাঁড়িয়েছে। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৯০ শতাংশ। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

ভিডিও ভাইরালের পর সেই ডিসিকে বদলি

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়েছে। শনিবার রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রু স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে শুক্রবার ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওটিতে তার সঙ্গে এক নারীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা গেছে। এ ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে ‘টব অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়ে। তার আগে প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ছবি ও টেলিগ্রামে ভিডিওটি পোস্ট করেন। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লেখেন, শরিয়তপুরের ডিসি মো. আশরাফ উদ্দিন। একজন জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি ব্যক্তি। উনি এই ছবিগুলো নিজেই খুশি মনে তুলেছেন। ভিডিও করেছেন। ছবির ওনাকে বিয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। এখন বিয়ে না করে ‍হুমকি দিচ্ছেন। ওনার কোলে তোলার গল্পের খানিকটা কমেন্টের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া আছে।

বন্দরের দায়িত্ব বিদেশিদের দিতে ড. ইউনূসের এত আগ্রহ কেন?

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বিদেশি কোম্পানির কাছে দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, মোহাম্মদ ইউনূসের ভাষায় ডিপি ওয়ার্ল্ড পৃথিবীর সেরা। শেখ হাসিনাও এই বন্দর ইজারা দেওয়ার চিন্তা করেছিলেন। তার (শেখ হাসিনা) তো একটা রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ থাকতে পারে, কিন্তু মোহাম্মদ ইউনূসের স্বার্থটা কী? তিনি কেন এতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন, তা প্রশ্নের দাবি রাখে। শনিবার রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে ‘চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা কেন ঝুঁকিপূর্ণ’ শীর্ষক এক মুক্ত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি এই সভার আয়োজন করে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ড বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম টার্মিনাল অপারেটর। ডিপি ওয়ার্ল্ডকে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে জিটুজি ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনালটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এর বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারীরা। সভায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, হাসিনা সরকার এলএনজি আমদানিনির্ভর দেশ তৈরি করে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারেরও তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে কোনো উদ্যোগ নেই। উল্টো এলএনজি আমদানি চুক্তি করেছে। স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে। এখন বিদেশি কোম্পানির হাতে চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। সবদিক থেকেই দেখা যাচ্ছে সরকার উল্টোপথে হাঁটছে। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম হতে গেলে নিজেদের জাতীয় সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। কিন্তু দেশে এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় আছে। তারা সক্ষমতা তৈরি করতে পারছে না কেন? বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভর না করে জাতীয় সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। ডিপি ওয়ার্ল্ড কীভাবে তাদের সক্ষমতা অর্জন করেছে সেই সম্পর্কে জানতে হবে। বিশ্বব্যাংক, এডিবি কিংবা আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে করা চুক্তিগুলো জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবি জানিয়ে আনু মোহাম্মদ বলেন, শেখ হাসিনার আমলে প্রাণ প্রকৃতি বিনাশকারী ও দেশবিরোধী কী কী ক্ষতিকর চুক্তি হয়েছে তা জাতির সামনে উন্মুক্ত করতে হবে। ক্ষতিকর চুক্তি বাদ দিতে হবে। ড. ইউনূস কেন সেগুলো উন্মুক্ত করছে না, প্রশ্ন তোলেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, রামপাল, রূপপুরের মতো বড় ধরনের প্রকল্পের বিষয় কথা বললে একসময় বলা হতো শেখ হাসিনা কখনও দেশের স্বার্থের বাইরে কোনো চুক্তি করেন না। এখন মোহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরেও তার আস্থাভাজনরা তেমনই বলছেন। এটা উদ্বেগজনক। এসব নিয়ে যারা প্রশ্ন করেন, তাদের প্রতিহত করতে হবে, এমন মনোভাব দেখা যায় প্রেস সচিবের। মোহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে যেন কেউ প্রশ্ন না তোলে, এমন মনোভাবও অগ্রহণযোগ্য। বিদেশি বিনিয়োগ এলে সেই সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না এ প্রবণতা সঠিক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেন, কী উদ্দেশ্য বিদেশি বিনিয়োগটি এলো তা খতিয়ে দেখতে হবে। তাদের বিনিয়োগ ভবিষ্যতে আশীর্বাদ হবে না, অভিশাপ হবে তা দেখতে হবে। কিন্তু এসব নিয়ে প্রশ্ন করতে দেওয়া হয় না। আনু মুহাম্মদ জানান, আগামী ২৭ ও ২৮ জুন চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা ও বিদেশি কোম্পানির ভূমিকা নিয়ে বামধারার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি জাতীয় মঞ্চ গঠিত হবে। তারা ঢাকা টু চট্টগ্রাম লংমার্চ করবেন। এই উদ্যোগ সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। সভায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা। তিনি বলেন, ডিপি ওয়ার্ল্ডকে ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করা হয়নি। এটি ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় শেখ হাসিনার আমলে ২০২৩ সালে, সরকারের সঙ্গে সরকার (জিটুজি) আলোচনার মাধ্যমে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বন্দর নিয়ে একই নীতি অনুসরণ করছে। শুধু বিদেশি অপারেটর আনলেই দক্ষতা ও উন্নয়ন নিশ্চিত হয় না। অবকাঠামো, জনবল ও সুশাসনের ঘাটতি থাকলে তারাও ব্যর্থ হয়। লেখক ও গবেষক ড. মাহা মির্জা বলেন, কৌশলগত খাতে বেসরকারিকরণ টেকসই উন্নয়নের নিশ্চয়তা দিতে পারেনি সরকার। বরং আয়বৈষম্য, শ্রমবাজার সংকোচন এবং সামাজিক অসন্তোষ বেড়েছে। সভায় আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বন্দরের সিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লা বাহার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম প্রমুখ।

শরীয়তপুরের সেই ডিসি ওএসডি

শরীয়তপুরের বিতর্কিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) আশরাফ উদ্দিন ওএসডি করা হয়েছে। শনিবার (২১ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওটিতে তার সঙ্গে এক নারীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। এ নিয়ে জেলাজুড়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এরপর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আশরাফ উদ্দিন। শুক্রবার (২০ জুন) সকালে প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ডিসির সঙ্গে এক নারীর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কিছু ছবি প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে ভিডিওটি প্রকাশ করেন তিনি। ওই পোস্টে দাবি করা হয়—জেলা প্রশাসক ভিডিও ও ছবিগুলো নিজেই ধারণ করেছেন এবং ওই নারীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়েছিলেন। পরে বিয়ে না করে উল্টো তাকে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ তোলা হয়। টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, জেলা প্রশাসক শার্টের বোতাম খোলা অবস্থায় এক নারীর সঙ্গে অসংযত রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, ভিডিও কলের মাধ্যমে ওই নারীকে আপত্তিকর কিছু দেখানো হয়েছে। প্রসঙ্গত মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্মরত ছিলেন। ০৫ অগাস্টের পর তিনি শরীয়তপুরের ডিসি নিয়োগ পান। বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার ২৭ ব্যাচের কর্মকর্তা আশরাফের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে।

রামচন্দ্রপুর খাল বাঁচাতে হবে, খালটি এই এলাকার প্রাণ : পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ঢাকার রামচন্দ্রপুর খালটিকে এবার টেকসইভাবে পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ খালটিকে আমাদের বাঁচাতে হবে, কারণ এই খালটিকে এই এলাকার প্রাণ বলা যায়। শনিবার (২১ জুন) ঢাকার আদাবরে রামচন্দ্রপুর খাল পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, খালটি মনুষ্য বর্জ্যে চরমভাবে দূষিত হয়ে পড়ছিল। এখন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে এটিকে পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত করার কাজ আমরা হাতে নিয়েছি। আশা করছি পরিচ্ছন্ন করার মাধ্যমে সামনে এ খালে স্বচ্ছ পানি প্রবাহিত হবে। পানি সম্পদ উপদেষ্টা বলেন, এ খালটি পরিস্কার-পরিচ্ছন্নকরণের কাজ এবার যাতে টেকসই হয় সে জন্য একটা কর্ম-পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। অন্তত আগামী এক বছর স্থানীয় মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে এ কাজটা অব্যাহত রাখতে হবে যাতে করে একটা খাল সুন্দর হলে কেমন হয় এটাও মানুষ দেখতে পারবে। তিনি বলেন, খালের সুন্দরটা দেখলে মানুষের মধ্যে খালটিকে রক্ষা করার একটা ইচ্ছা জাগবে। আর স্থানীয় জনগণকে যদি আমরা সম্পৃক্ত না করি তাহলে এটা কখনো টেকসই হবে না। তিনি বলেন, এই খালে যেন বাসা-বাড়ির বর্জ্য ফেলতে না পারে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আর এজন্য স্থানীয় জনগণকে এখানে ডাস্টবিন দেওয়া হয়েছে তারা যেন ডাস্টবিনে ময়লা ফেলে। তিনি আরও বলেন, রামচন্দ্রপুর খাল, সুভাঢ্যা খাল এ দুটোরই পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্তকরণের কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি। এক্ষেত্রে জনগণকেও কিন্তু সচেতন হতে হবে। এসময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, আইডিএলসি-এর আর্থিক সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ফুটস্টেপ রামচন্দ্রপুর খালের এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং এতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এক্সেবেটর-সহ লজিস্টিকস সহযোগিতা করছে।

মিরপুরে বিস্ফোরক ও দেশীয় অস্ত্রসহ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৪ কর্মী গ্রেফতার

রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের চার কর্মীকে বিস্ফোরক ও দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন— শুক্কর (১৯), জিহাদ (১৯), রাহিম (১৯) ও সুমন (১৮)। শুক্রবার (২১ জুন) বিকেলে মিরপুর-২ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পাশে ডিসি রোড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মিরপুর থানা সূত্র জানিয়েছে, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত একটি মিছিলে নাশকতা ও দাঙ্গা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী অর্থের বিনিময়ে বস্তি এলাকা থেকে লোকজন সংগ্রহ করে মিরপুর-২ এর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের আশপাশ এলাকায় অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর মডেল থানার একটি টিম দ্রুত সেখানে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে অনেকে পালিয়ে গেলেও শুক্কর, জিহাদ, রাহিম ও সুমন নামের চারজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি তাজা ককটেল, একটি লোহার চাপাতি, দুইটি চাকু, একটি লোহার দা, একটি স্টিলের পাইপ, একটি মোটরসাইকেলের চেইন এবং একটি চেইন স্পোকেট উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের দাবিতে আয়োজিত মিছিলে নাশকতার উদ্দেশ্যে শ্লোগান দিয়ে পাল্টা মিছিল করছিল। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জননিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থাকবে কি না সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের: ড. ইউনূস

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থাকবে কিনা, সেটা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি। যুক্তরাজ্য সফরে গত ১২ জুন তিনি ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড নিয়েছেন, এই পুরস্কার নিতে যাওয়ার আগে বিবিসির সাংবাদিক রাজিনি বৈদ্যনাথন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সাক্ষাৎকার নেন। ইংরেজিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারটির কিছু অংশ প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা। বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত সাক্ষাৎকারটি ঢাকা ওয়াচ ২৪-এর পাঠকদের জন্য প্রকাশিত হল: বিবিসি: আপনার দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলি। আপনি নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। আপনি দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতা। আপনি বলেছেন, এই নির্বাচন যেন অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অংশগ্রহণমূলক হয়। কিন্তু একটা সমালোচনা হচ্ছে যে, আপনি আওয়ামী লীগকে, অর্থাৎ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে দিচ্ছেন না। কেন? অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস: আমরা বহুবার এটা ব্যাখ্যা করেছি, আবারও বলছি। প্রথমত, আওয়ামী লীগ না থাকলেও নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে কি না; সম্প্রতি ঢাকায় জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর খুব ভালোভাবে এটা ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেছেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক মানে কোনো নির্দিষ্ট দল নয়, সব মানুষের অংশগ্রহণ। যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ ভোট দিতে পারছে, ততক্ষণ এটা অন্তর্ভুক্তিমূলক। বিবিসি: দেশের অনেক মানুষ এখনো আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে। অধ্যাপক ইউনূস: তাদের সিদ্ধান্ত নিতে দিন তারা ভোট দিতে চায় কি না… বিবিসি: তারা আওয়ামী লীগকে, আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে না। অধ্যাপক ইউনূস: যতক্ষণ পর্যন্ত তারা ভোটার — তাদের ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা আছে। বিবিসি: কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে নয়, যদি না আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়। অধ্যাপক ইউনূস: আমরা এখনো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করিনি। বিবিসি: তাহলে আপনি বলছেন, তারা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে... অধ্যাপক ইউনূস: না, আগে একটা বিষয় পরিষ্কার করি — আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। তাদের কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিবিসি: যার মধ্যে নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত? অধ্যাপক ইউনূস: সাময়িকভাবে। নির্বাচনে তারা থাকবে কি না, সেটা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। বিবিসি: তাহলে আগামী নির্বাচনের ব্যালটে তাদের থাকার সম্ভাবনা আছে? অধ্যাপক ইউনূস: আবারও বলছি, এটা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়।

ডেঙ্গুতে আরও ৩৫২ রোগী ভর্তি, একজনের মৃত্যু

দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৫২ জন ডেঙ্গু রোগী। শনিবার (২১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নির্মাণাধীন ভবনে হয়রানী বন্ধ ও ট্যারিফ নিয়ে ওয়াসা-রিহ্যাব বৈঠক

নির্মাণাধীন ভবনে ওয়াসার পানির বিলের হয়রানী বন্ধ করা ও নির্মাণ ট্যারিফ নির্ধারণের বিষয়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান মিয়ার সাথে বৈঠক করেছে রিহ্যাব নেতৃবৃন্দ। আজ ২১ জুন দুপুরে কারওয়ান বাজার ওয়াসার কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মোঃ ওয়াহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে রিহ্যাবের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে। প্রতিনিধি দলে রিহ্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী ভূইয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ ও পরিচালক মোঃ আইয়ূব আলী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নিম্নোক্ত ৫টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় ১। ওয়াসা বিলে দুইটি ট্যারিফ রয়েছে অর্থাৎ আবাসিক ও বাণিজ্যিক। নির্মাণ কাজের জন্য কোন ট্যারিফ নির্ধারিত না থাকায় নির্মাণাধীন প্রকল্পে বাণিজ্যিক হিসেবে বিল পরিশোধ করতে হয়, কিন্তু নির্মাণাধীন প্রকল্পের পানি ব্যবহার ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবহার একই ধরনের নয়। নির্মাণাধীন প্রকল্পের জন্য আবাসিক ও বাণিজ্যিক ট্যারিফের মাঝামাঝি রেট নির্ধারণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। ২। খালি প্লটে নির্মাণকালীন স্যুয়ারেজ লাইন থাকে না এবং পুরাতন স্থাপনা ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণকালীন সুয়্যারেজ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং ঐ সময়ে অস্থায়ী টয়লেট তৈরি করে নির্মাণ কাজ পরিচালনা করা হয়। এইসব ক্ষেত্রে যেখানে ব্যবহৃত পানি সুয়্যারেজ লাইনে প্রবেশের কোন সুযোগ থাকে না তথাপি ওয়াসাকে নির্মাণকালীন স্যুয়ারেজ ব্যবহার না করেও দ্বিগুণ হারে বিল পরিশোধ করতে হয় যা যুক্তিযুক্ত নয়। নির্মাণাধীন প্রকল্পের জন্য স্যুয়ারেজ বাদে বিল ইস্যু করার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। ৩। আবাসিক বাড়ি ভেঙ্গে নির্মাণ কাজ শুরু করলে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাণিজ্যিক রেটে মিটারের রিডিং অনুযায়ী বিল ইস্যু করে কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষে আবাসিক হিসেবে বাবহার শুরু করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবাসিক বিল ইস্যু করা হয় না। এক্ষেত্রে আবাসিকে রূন্তরের জন্য আবেদন করলে ছাদ মাপে প্রতি বর্গফুট হিসেবে বিল করে গ্রাহককে হয়রানী করা হয় ও অবৈধ সুবিধা দাবী করা হয় এবং উক্ত দাবী পূরণ না করলে মাসের পর মাস বাণিজ্যিক হিসেবে বিল পরিশোধে বাধ্য করা হয় যা কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। অতএব, নির্মাণ কাজ শেষে ভবনের ছাদমাপে প্রতি বর্গফুট হিসেবে বিল করার বিষয়টি বাতিল করার জন্য অনুরোধ করা হয়। ৪। বর্তমানে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের সরবরাহকৃত মিটারগুলো খুবই নিম্নমানের। এই নিম্নমানের মিটারগুলো ০৬ মাস না যেতেই মিটারের ডিসপ্লে নষ্ট হয়ে যায় এবং কিছু অসাধু রিডিংম্যানের সুযোগ নিয়ে ইচ্ছামতো বিল ধরিয়ে দেয় অথবা কিছু অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে রিডিং কম দেখিয়ে বিল ইস্যু করেন এবং ইহাতে সরকার যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি গ্রাহকগণও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়। ৫। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যে সকল এলাকায় ওয়াসার লাইন নাই সে সব এলাকায় সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে নির্মাণ কাজ করলেও ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বড় আকারের বিল ইস্যু করে এবং উক্ত বিল পরিশোধ করতে বাধ্য করা হয়। যেহেতু এখানে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের কোন লাইনই নাই সেহেতু কোনভাবেই এই বিল করা যুক্তিযুক্ত নয়। অতএব যে সকল এলাকায় ওয়াসার লাইন নাই সে সকল এলাকায় ওয়াসা বিল না করার নির্দেশ প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়। বৈঠকে ওয়াসার এমডি মনযোগ সহকারে রিহ্যাবের দাবিগুলো শোনেন এবং তিনি বলেন, ওয়াসার আগামী বোর্ড মিটিং এ রিহ্যাবের দাবিগুলো এজেন্ডায় ওঠানো হবে । এই দাবির বাহিরে অন্য কোন দাবি থাকলে তা নিয়ে ওয়াসার উর্দ্ধতন একজন কর্মকর্তা রিহ্যাবের একজন প্রতিনিধির সাথে বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ আলোচনা করে সুরাহা করবেন এমন প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচনের তারিখ যথাসময়ে ঘোষণা করা হবে: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ যথাসময়ে ঘোষণা করা হবে। নির্ধারিত সময়েই নির্বাচনের তফসিল জানানো হবে। শনিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘নির্বাচনি আইন ও বিধি’ বিষয়ক দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা ওই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিব ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সিইসি বলেন, ‘যদি বলেন, সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না? দেখেন একটি নির্বাচন করতে গেলে, যতই আপনি ইসিকে স্বাধীন বলেন না কেন, সরকার ছাড়া নির্বাচন করা সম্ভব না। কারণ সরকারের সহযোগীতা নিয়েই তো আমাকে নির্বাচনটা করতে হবে। আইনি সহায়তা নিতে হবে। সরকারি অফিসারদের সাহায্য নিতে হবে, প্রশাসনের সহায়তা নিতে হবে। সুতরাং সরকার এখানে মুখ্য ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া তো সম্ভব না।’ তিনি আরো বলেন, সরকারের সঙ্গে আমাদের প্রতিনিয়ত যোগাযোগ হচ্ছে বিষয়টা এমন নয়। আবার এমনও নয় যে একদমই হচ্ছে না। আপনারা নির্বাচনের তারিখ যথাসময়ে জানতে পারবেন। নির্বাচনের তফসিলও নির্ধারিত সময়ে ঘোষণা করা হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা যেটিকে কর্মপরিকল্পনা বলছি, অনেকেই সেটিকে রোডম্যাপ বলে থাকেন। এটি তৈরির কাজ আসলে আমাদের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই শুরু হয়েছে। এতে নির্ধারণ করা হয়েছে কোন কাজ কখন শুরু হবে এবং কখন শেষ হবে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রোডম্যাপ তৈরি করেছেন কি না, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কি না বা নির্বাচন নিয়ে সরকার আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কিনা-এসব বিষয়ে সাংবাদিকরা সিইসির কাছে জানতে চান। জবাবে তিনি বলেন, বিষয়গুলো সময় এলে আপনারা জানতে পারবেন। আমরা রোডম্যাপ বলব না, কর্মপরিকল্পনা বলব। আমাদের অনেক ধরনের কাজ করতে হবে। সেগুলো কোনটা কোন সময় শেষ করব, কোন সময় শুরু করব সেটির পরিকল্পনাকে অনেকে রোডম্যাপ বলে। কিন্তু আমি তা না বলে কর্মপরিকল্পনা বলছি। তিনি আরো বলেন, যে কোনো অফিসের একটি কর্মপরিকল্পনা থাকে। এতো বড় একটি নির্বাচন হবে, আমাদেরও নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা আছে। যখন দায়িত্ব নিয়েছি তখন থেকেই কর্মপরিকল্পনা করেছি। সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, ফরমালি হোক বা ইনফরমালি, সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হতেই পারে। এর জন্য আলাদা করে পরিকল্পনা ঘোষণা বা আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন নেই। সিইসি বলেন, আমরা সরকারের কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত আছি। সংস্কার কমিশনের সুপারিশের মধ্যে ইসি সংস্কারের বিষয়টিও আছে। এগুলো মাথায় রেখেই আমাদের কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি। সময় হলে সব কিছুই জানানো হবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পশাপাশি শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২১ জুন) দুপুরের দিকে এ ঘোষণা দেওয়া হয় বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম সমকালকে নিশ্চিত করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু দিন ধরে আবাসনসহ পাঁচ দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। আবাসনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এ ঘোষণা দিলো কর্তৃপক্ষ।

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন দেওয়ার চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। সংস্কার বাস্তবায়ন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে। সে পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। শনিবার (২১ জুন) দুপুরে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা অগ্রগতি এবং গবেষণা পরিকল্পনা প্রণয়ন শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, ব্রিডিং কার্যক্রম, মৎস্য মিউজিয়াম ও মুক্তা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ফরিদা আখতার বলেন, ‘স্বাদু পানির মাছের রপ্তানি বাড়াতে কাজ চলছে। কৃষি খাতের মতো মৎস্য খাতের বিদ্যুৎ বিলে ভর্তুকি দিয়ে মাছ চাষিদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের চেষ্টা চলছে।’ তিনি বলেন, ‘মাছের রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন এসেছে। যা যুগান্তকারী অগ্রগতি। ফসলে দেওয়া কীটনাশক পানিতে মিশে মাছের ক্ষতি করছে। অবশ্য হাওরে ফসলের ক্ষেতে কীটনাশক ব্যবহার সীমিত বা নিয়ন্ত্রণ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সরদার, মৎস্য সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাসসহ আরও অনেকে।

সন্ধ্যার মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝড়ের শঙ্কা

দেশের সাত অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। শনিবার (২১ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে সারা দেশের জন্য দেওয়া ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

৪৫তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জন্য নির্দেশনা

৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। প্রতিষ্ঠানটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে যারা ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরিক্ষার্থী কিংবা ৪৭তম ও ৪৮তম বিসিএসে আবেদন করেছেন, তাদের এই গুগল ফরমে প্রয়োজনীয় তথ্য (ইংরেজিতে) সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। প্রয়োজনীয় সব তথ্য পূরণ করে ৩০ জুনের মধ্যে গুগল ফরমটি জমা দিতে হবে। ১৮ জুন ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬ হাজার ৫৫৮ জন। ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পিএসসি। গত বছরের ৬ জুন প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। পরীক্ষায় পাস করেন ১২ হাজার ৭৮৯ জন। ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আবেদনকারী ৩ লাখ ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। পরীক্ষা দেননি ৭৮ হাজার ৮০৩ জন। উপস্থিতির হার ৭৭ দশমিক ২৪। ৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জন। ৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এরপর পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪ ও প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৪০৫২০ জন, সৌদিতে মৃত্যু ৩৮

পবিত্র হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইটে শুক্রবার (২০ জুন) পর্যন্ত দেশে ফিরে এসেছেন ৪০ হাজার ৫২০ জন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমে দেশে আসা হাজির সংখ্যা ৫ হাজার ৬, আর বেসরকারি মাধ্যমে এসেছেন ৩৫ হাজার ৫১৪ জন। হজ বুলেটিন থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ফিরতি ফ্লাইটগুলোর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ১৬ হাজার ২৬২ জন হাজি। এছাড়াও সৌদি এয়ারলাইন্স ১৬ হাজার ৯৩৩ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ৭ হাজার ৩২৫ জন হাজি পরিবহন করেছে। সবমিলিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত ফিরতি ফ্লাইট এসেছে ১০৩টি। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ৪১টি। এছাড়াও সৌদি এয়ারলাইন্সের ৪৩টি এবং ফ্লাইনাসের ১৯টি ফিরতি ফ্লাইট দেশে এসেছে।শুক্রবার পর্যন্ত এবছর হজ করতে গিয়ে সৌদি আরবে মোট ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২৭ এবং নারী ১১ জন। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে এবছর ৮৭ হাজার ১৫৭ জন হজ পালন করেছেন। এবার হজ অনুষ্ঠিত হয় ৫ জুন। ১০ জুলাই পর্যন্ত চলবে ফিরতি হজের ফ্লাইট। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট ছিল ২৯ এপ্রিল আর হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার শেষ ফ্লাইট ছিল ৩১ মে।

এনবিআর-বিডার আশেপাশের এলাকায় সমাবেশ নিষিদ্ধ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কার্যালয় এবং এর আশপাশের এলাকায় সভা, সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শনিবার (২১ জুন) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে শেরেবাংলা নগর থানার অন্তর্গত শিশু মেলা থেকে আগারগাঁও রোডে অবস্থিত এনবিআর কার্যালয়, বিডা কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হলো। আগামী ২২ জুন সকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশনা বহাল থাকবে বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তানের ত্রিপক্ষীয় নতুন জোট

ত্রিপক্ষীয় একটি নতুন জোট গঠনে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান। এই প্লাটফর্ম কাজ করবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং তিন দেশের জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নত করার লক্ষ্যে। আর এ নিয়ে গঠন করা হবে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ। শুক্রবার (২০ জুন) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে। এর আগে দিন বৃহস্পতিবার চীনের ইউনান প্রদেশের কুনমিংয়ে চীন-বাংলাদেশ-পাকিস্তান ত্রিপক্ষীয় উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী/পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের ওই বৈঠকে এ প্ল্যাটফর্ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডং, বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক এবং পাকিস্তানের অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। তিন পক্ষ চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশ ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় করেছে। তিন পক্ষ সুপ্রতিবেশীসুলভতা, সমতা ও পারস্পরিক বিশ্বাস, উন্মুক্ততা ও অন্তর্ভুক্তি, সাধারণ উন্নয়ন এবং উইন-উইন সহযোগিতা নীতির ওপর ভিত্তি করে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। আর এই ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার লক্ষ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা। তিন পক্ষ শিল্প, বাণিজ্য, মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স, জলসম্পদ, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি, মানবসম্পদ, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং যুবসমাজ সংক্রান্ত ক্ষেত্রগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতা অন্বেষণ এবং বাস্তবায়ন করা। বৈঠকে হওয়া সমঝোতার ভিত্তিতে তিন পক্ষ একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করবে। তিন পক্ষ জোর দিয়ে বলেছে যে, চীন-বাংলাদেশ-পাকিস্তান সহযোগিতার ক্ষেত্রে বহুপাক্ষিকতা এবং উন্মুক্ত আঞ্চলিকতা মেনে চলে, কোনো তৃতীয় পক্ষের উদ্দেশে যার লক্ষ্য নয়।