৭২ বছর বয়সে সেফ এক্সিট ভাবা দুঃখজনক: সড়ক উপদেষ্টা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১১:৪৪ এম, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, ৭২ বছর বয়সে তাকে “সেফ এক্সিট” ভাবতে হয়, যা তার জন্য গভীর দুঃখের বিষয়। তিনি বিষয়টি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে ‘উপদেষ্টার রোজনামচা, চালকের হেলমেট নাই, ও সেফ এক্সিট’ শিরোনামে পোস্ট করেছেন।
ফাওজুল কবির লিখেন, “গতকাল সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ট্রেনে ভৈরব যাই। আমার সঙ্গে ছিলেন যাতায়াত খাত বিশেষজ্ঞ ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. মইনুদ্দিন, রেল ও সড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, জেলা ও উপজেলা পরিষদ ও পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ।”
তিনি জানান, কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন এবং যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ভৈরব পৌঁছান। এরপর গাড়িতে চড়ে আশুগঞ্জ স্টেশন পরিদর্শন করেন, যেখানে স্থানীয় জনগণ, বিএনপি ও জামায়াতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন। স্টেশনের বেহাল অবস্থা, নারীদের ও বয়োবৃদ্ধদের ওঠার অসুবিধা, এবং সিগন্যালিং সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন রেলের মহাপরিচালককে।
মোটরসাইকেল চালকের হেলমেট না থাকা প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, “সাত/আট কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে গিয়ে দেখা যায় চালক কিংবা যাত্রীর হেলমেট নেই। একমাত্র হেলমেটটি নিজে পরে রওনা দেই। হেলমেটবিহীন বাইক চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ, বিআরটিএ ও জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি।”
সরাইল বিশ্বরোডে যানজটের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, “চৌরাস্তার নির্মাণকাজ ও চালকদের শৃঙ্খলাবোধহীনতার কারণে বিলম্ব হচ্ছে। ভারতীয় ঋণে নির্মিত প্রকল্পের ঠিকাদার চলে যাওয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। দুই লেনের মূল রাস্তার পাশে সার্ভিস লেন এবং ডিভাইডার ঠিকভাবে ব্যবহার না হওয়ায় যানজট বেড়েছে। হাইওয়ে পুলিশ তৎপর হলে পরিস্থিতি অন্যরকম হতো।”
ফাওজুল কবির জানান, তিনি নিজে পদে থেকে কোনো সুবিধা গ্রহণ করেননি, আত্মীয় বা বন্ধুদের ব্যবসা বা চাকরি দেননি, এবং নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী জনগণের সেবা করেছেন।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “তাই, আজ ৭২+ বছর বয়সে আমাকে যদি সেফ এক্সিটের কথা ভাবতে হয়, তা হবে গভীর দুঃখের বিষয়।”