ইসরায়েলকে সহযোগিতার অভিযোগে ৩৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিল হামাস
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১২:০৯ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

গাজায় দীর্ঘদিনের যুদ্ধবিরতির পর শান্তি ও শৃঙ্খলা ফেরানোর তৎপরতায় সরব হয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস। তারা জোর দিয়ে বলেছে, যুদ্ধে বিধ্বস্ত গাজার কোন জায়গায় নিরাপত্তাহীনতা চলবে না এবং জনগণের নিরাপত্তা ও সম্পত্তি রক্ষায় তারা দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর থেকে হামাস সশস্ত্র বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে। এ অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরায়েলের সহযোগিতার অভিযোগে ৩৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। হামাসের অভিযোগ, এরা তাদের কর্তৃত্ব চ্যালেঞ্জ করার পাশাপাশি বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ঘটনা পরবর্তী সময়ে ইসরায়েলের আগ্রাসনে গাজায় ব্যাপক ধ্বংস-স্তর হয়েছে এবং বিশৃঙ্খলা বিরাজ করেছিল। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়ার পর হামাস এখন তাদের প্রশাসন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে পুনরায় শক্তিশালী করার প্রক্রিয়ায় লিপ্ত রয়েছে। গাজার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে কিছু বিভ্রান্তি ও সহিংসতার কারণে জননিরাপত্তা রক্ষায় হামাস কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।
রাফাহ এলাকায় হামাসবিরোধী এক নেতার বিরুদ্ধে অভিযান চলার খবরও পাওয়া গেছে। হামাসের দাবি, এই নেতারা ইসরায়েলের পক্ষে কাজ করছে এবং গাজার মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছিল। তারা স্পষ্ট করেছে যে, যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে গাজার অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য।
হামাস সরকারের মিডিয়া শাখার প্রধান ইসমাইল আল-থাওয়াবতা বলেন, ‘আমরা গাজায় নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জনগণ যেন নিরাপদে থাকতে পারে- সেই দায়িত্ব হামাস সরকারের।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি ভবিষ্যতে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠিত হয়, হামাস তার অস্ত্র ঐ রাষ্ট্রের হাতে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত। তবে গাজার শাসন কাঠামো নিয়ে সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনিরাই নেবেন, কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ ছাড়াই।’
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, হামাসের এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হলো গাজায় প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা, যাতে ভবিষ্যতে যে কোনো চুক্তি বা রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়ায় গাজার জনগণের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে।