বিভিন্ন দেশের ভিসা প্রত্যাখ্যানের জন্য ‘নিজেরাই দায়ী’ বলে জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১১:৩৮ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশিদের ভিসা আবেদন বিভিন্ন দেশ থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তবে তিনি এই পরিস্থিতির জন্য বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর চেয়ে বাংলাদেশিদেরই বেশি দায়ী মনে করেন।
বুধবার (৮ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা নিজেরাও দায়ী। কারণ অনেকেই ভুয়া কাগজপত্র জমা দেন। আবার অনেকেই নিয়ম না মেনে বিদেশে অবস্থান করেন। যার ফলে সামগ্রিকভাবে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং প্রকৃত আবেদনকারীরাও ভিসা পেতে সমস্যায় পড়ছেন।”
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের অনিয়মিত অভিবাসন বেড়েছে, যা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে সতর্ক করে তুলেছে। ফলে বৈধ শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীরাও এখন ভিসা পেতে সমস্যায় পড়ছেন।
জার্মানিতে পড়াশোনার আগ্রহ বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এ বছর জার্মানিতে ৮০ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছে, অথচ দেশটির সক্ষমতা মাত্র দুই হাজার আবেদন প্রক্রিয়াকরণের। পাকিস্তান থেকে প্রতিবছর তারা নয় হাজার শিক্ষার্থী নেয়। আমরা অনুরোধ করেছি যেন তারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্যও একই সুযোগ বিবেচনা করে।”
যেসব দেশের দূতাবাস বাংলাদেশে নেই, সেসব দেশের ভিসা পেতে বাড়তি ভোগান্তির কথাও তুলে ধরেন তিনি। অনেক ক্ষেত্রে দিল্লির দূতাবাসের ওপর নির্ভর করতে হয়, কিন্তু বর্তমানে ভারতীয় ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
এ সমস্যার সমাধানে বিকল্প পথ খোঁজা হচ্ছে বলে জানান তৌহিদ হোসেন। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “একসময় সার্বিয়ার ভিসার জন্য ভিয়েতনামে আবেদন করার সুযোগ ছিল। আমরা চাই, দিল্লি ছাড়াও অন্য কোনো দেশে গিয়ে যেন বাংলাদেশিরা আবেদন করতে পারেন।”
তবে সাংবাদিকরা জানান, বর্তমানে ভিয়েতনামের ভিসাও বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “ভিসা দেওয়া বা না দেওয়া সম্পূর্ণভাবে একটি দেশের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত। কাউকে জোর করা যায় না।”
এ সময় পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বাংলাদেশিদের নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও সরকার কোনো ধরনের সহায়তা বা সমর্থন দেয় না।
তিনি বলেন, “যুদ্ধ বা জঙ্গি কার্যক্রমে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। কেউ ব্যক্তি উদ্যোগে এ ধরনের কাজে জড়ালে সেটা দুঃখজনক, তবে এটি রাষ্ট্রীয় অবস্থান নয়।”