সাবের হোসেনের বাসায় বৈঠক

রাষ্ট্রদূতরা কিন্তু যে কারও বাসায় যেতে পারেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা


রাষ্ট্রদূতরা কিন্তু যে কারও বাসায় যেতে পারেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসায় বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সাম্প্রতিক বৈঠক ঘিরে শুরু হওয়া আলোচনায় স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রদূতরা কারো বাসায় গেলে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অনুচিত, কারণ এমনটি তারা যেকোনো সময় করতে পারেন।

বুধবার, ৮ অক্টোবর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি জানান, সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকটিকে ‘ব্যক্তিগত’ পর্যায়ের বলে মনে করছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "তারা তো একজন ব্যক্তির বাসায় গিয়েছেন। তিনি যদি অপরাধী হতেন তাহলে তাকে নিশ্চয়ই হেফাজতে রাখা হতো। এমন তো হয়নি। আর রাষ্ট্রদূতরা কিন্তু যে কারও বাসায় যেতে পারেন। সেখানে তারা কী নিয়ে আলাপ করেছেন সেটা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। রাষ্ট্রদূতরা গেছেন; এটা নিয়ে আসলে আমরা বলার কিছু নেই।"

তিনি আরও বলেন, কূটনৈতিকরা কাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন, সেটা অনেক সময় তাদের কূটনৈতিক শিষ্টাচারের অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়, এবং এটি আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী বৈধ।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮১তম অধিবেশনের সভাপতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের জুনে। তিনি নিশ্চিত করেন, ওই নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে না ফিলিস্তিন।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সম্প্রতি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন যে, “নির্বাচনের মাধ্যমে যেই সরকার আসবে তাদের সঙ্গে ভারত কাজ করবে।” এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এই বক্তব্যে আমি তাদের বিষয় হিসেবে দেখি না। এটা সম্পূর্ণ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।”

উল্লেখ্য, সাবের হোসেন চৌধুরী বর্তমানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি পদে বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে বিদেশি কূটনীতিকদের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে স্পষ্ট, সরকার এটিকে কূটনৈতিক রীতিনীতির ভেতরে পড়া একটি স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবেই দেখছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×