
চীনের বিনিয়োগকারীদের এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে
চীনের দুইটি কোম্পানির সাথে বাংলাদেশের দুইটি কোম্পানির বিনিয়োগ সমোঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে এফবিসিসিআইএর সভা কক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইউনান পিংউই সোলার কোম্পানি লিমিটেড ও বাংলাদেশের ইয়াং বাংলা ম্যানুফাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড যৌথভাবে বাংলাদেশে সোলার ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প স্থাপন করবে। এ প্রকল্পে চীনা বিনিয়োগ কারীরা প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এছাড়া যৌথ উদ্যোগে কালি উৎপাদন শিল্প স্থাপনের জন্য সিনোগ্লোবাল কর্পোরেশন ও সাংহাই এক্সইউএন কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে বিনিয়োগ সমোঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। আমদানি বিকল্প কালি উৎপাদন প্রকল্প স্থাপনে প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে। সভায় চীনের সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রতিনিধি এক্সইউ ওয়াং, লীন জিন শীন, ফান জং, হ’সহ অন্যান্য চায়নীজ ব্যবসায়িরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের মধ্যে আতিকুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ উপস্থিতি ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইএর প্রশাসক হাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মো. আলমগীর হোসেন, সাবেক পরিচালক ও এফবিসিসিআইএর সহায়ক কমিটির সদস্য গিয়াসউদ্দীন চৌধুরী খোকন, এমএসসি শিপিং লাইন্সের কান্ট্রি হেড ইঞ্জিনিয়ার হারুনুর রশিদসভায় আলোচকরা চীনের বিনিয়োগ কারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক স্মরণকালের সবচেয়ে ভালো সময় পার করছে। পাশাপাশি বর্তমান সরকার বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন নীতি সহায়তা ও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। হাফিজুর রহমান বলেন, ‘চীনের বিনিয়োগকারীদের এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।’

আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের এমডি বাধ্যতামূলক ছুটিতে
অর্থ ‘নয় ছয় করার’ অভিযোগে তিন মাসের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে আল আরাফাহ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরমান আর চৌধুরীকে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ রোববার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র ও পরিচালক শাহরিয়ার সিদ্দিক জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয় না এ ব্যাপারে। তবে কোনো ব্যাংকের পর্ষদ এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কনসেন্টের প্রয়োজন হয়।" ফরমান আর চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি। ব্যাংকের চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ারও ফোন ধরেননি। ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে আল আরাফাহ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন ফরমান আর চৌধুরী। ২০২১ সালের অগাস্টে মেয়াদ পূর্তির পর তাকে পুনর্নিয়োগ দেয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “ব্যাংকের এজেন্ট বিভাগে অর্থ ‘নয় ছয়’ করার ঘটনায় পরিচালনা পর্ষদ তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে।” ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট সরকারের পালাবদলের পর ব্যাংক খাতের সংস্কারে নামে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সময় ব্যবসায়ী এস আলমের দখলে ছিল আল আরাফাহ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলমের ভাই আব্দুস সামাদ লাবু। দেশে পটপরিবর্তনের পর এস আলম গ্রুপের ব্যাংকগুলো নিয়ে নানা পদক্ষেপ নিতে শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ প্রেক্ষাপটে নিজেই পদ ছেড়ে দেন আবদুস সামাদ। তখন চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আসেন সেলিম রহমান। তিনি কেডিএস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা খলিলুর রহমানের ছেলে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।আল আরাফাহ এর নতুন পর্ষদে চেয়ারম্যান করা হয় লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা শাহরিয়াকে। তার সঙ্গে থাকা অপর চার স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. শাহীন উল ইসলাম, এনআরবি ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের অধ্যাপক এম আবু ইউসুফ ও হিসাববিদ মোহাম্মদ আশরাফুল হাছান। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, “আল আরাফাহ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে নানা রকম অনিয়ম ধরা পড়েছে। ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানের বিষয়েও তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।” সর্বশেষ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল মওলাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। তার আগে ৬ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল।

কিছুটা কমল সোনার দাম, ভরি ১৬২১৭৬ টাকা
দেশের বাজারে সোনার রেকর্ড দাম নির্ধারণের এক দিন পরেই কিছুটা কমানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৩৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৬২ হাজার ১৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এর আগে শনিবার (১২ এপ্রিল) ঘোষণা দিয়ে আজ রোববার (১৩ এপ্রিল) থেকে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করে বাজুস। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ১৮৭ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৬৩ হাজার ২১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এতে দেশের বাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। এ রেকর্ড দাম নির্ধারণের পরদিনই আবার সোনার দাম কিছুটা কমানো হলো। রোববার বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এ দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ১৭৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৯৯১ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৮৫১ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭৩৪ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৯ হাজার ৫৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে ঘোষণা দিয়ে আজ রোববার (১৩ এপ্রিল) থেকে সব চেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ১৮৭ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৬৩ হাজার ২১৪ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৪ হাজার ১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৩ হাজার ৪২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৯২৭ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ২৭১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ রোববার এ দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে। সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অগ্রণী ব্যাংকের ডিএমডি হলেন রুবানা পারভীন ও নুরুল হুদা
রাষ্ট্র মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংকে পদোন্নতি পেয়ে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হলেন দুই কর্মকর্তা। তারা হলেন রুবানা পারভীন এবং মো. নুরুল হুদা। গত বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম-সচিব ফরিদা ইয়াসমিনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের এ পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া রুবানা পারভীন ১৯৯৩ সালে সিনিয়র অফিসার হিসেবে অগ্রণী ব্যাংকে কর্মজীবন শুরু করেন। একজন সদালাপী মানুষ হিসেবে তিনি সততা ও দক্ষতার সঙ্গে ব্যাংকের বিভিন্ন করপোরেট শাখা, গুরুত্বপূর্ণ ডিভিশন এবং সার্কেল প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অগ্রণী ব্যাংকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আইসিসি, বৈদেশিক বাণিজ্য ও রেমিট্যান্স বিষয়ে স্পিকার হিসেবে সেশন পরিচালনা করে থাকেন। রুবানা পারভীন সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়াসহ দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি কুষ্টিয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া মো. নুরুল হুদা ১৯৯৬ সালে সিনিয়র অফিসার হিসেবে অগ্রণী ব্যাংকে কর্মজীবন শুরু করেন। সততা ও দক্ষতার সঙ্গে ব্যাংকের কেন্দ্রীয় হিসাব বিভাগ, প্রকল্প ঋণ, তহবিল ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিভাগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ করপোরেট শাখা ও সার্কেল প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। মো. নুরুল হুদা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, তহবিল ব্যবস্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে স্পিকার হিসেবে সেশন পরিচালনা করে থাকেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্ট থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তী সময়ে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিং বিভাগ থেকে ইএমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন।

ঋণ জালিয়াতিতে নাফিজ সরাফাতসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা
জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণগ্রহণ এবং ঋণের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করার অভিযোগে পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও আব্দুল মোনেম লিমিটেডের দুই মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (১৩ এপ্রিল) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ রাকিব উদ্দিন মিনহাজ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আসামিরা হলেন পদ্মা ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, ব্যাংকটির এসইভিপি সাব্বির মোহাম্মদ সায়েম, আব্দুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.এস.এম মঈনউদ্দীন মোনেম ও মিসেস ফারহানা মোনেম। আসামিরা পদ্মা ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট শাখা থেকে ৫ কোটি টাকার ৬ মাস মেয়াদী ঋণ গ্রহণ করে পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও শর্ত ভঙ্গ করে ঋণের অর্থ ব্যবসার চলতি মূলধনের কাজে না লাগিয়ে অন্য ঋণের দায় পরিশোধ করেছে। পরবর্তী সময়ে ঋণের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০/৫১১ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭’-এর ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে। নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে ব্যাংক দখল, ঘুষ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ঋণ জালিয়াতিসহ আর্থিক অনিয়মের অনেক অভিযোগ রয়েছে। ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাত থেকে আত্মসাৎ করা অর্থ পাচার করে তিনি কানাডায় বাড়ি করেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়েছেন। বর্তমানে তিনি পলাতক কিংবা দেশের বাইরে রয়েছেন। ২০১৭ সালে পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর নাফিজ সরাফাত প্রতারণা, জালিয়াতি করে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকের টাকা হাতিয়ে নেন। যদিও ব্যক্তিগত ও স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে তিনি ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পদত্যাগ করেন। দুদকের গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাফিজ সরাফাত ও তার সহযোগীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও শীর্ষ ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠান গ্রাম-বাংলা ফার্টিলাইজার কোম্পানিকে ৪০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছেন। সাবেক ফারমার্স ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে জেসিকা ইন্টারন্যাশনালের অনুকূলে ৬০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করে ওই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ১৫০ কোটি টাকা পদ্মা ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান পদ্মা সিকিউরিটিজের মাধ্যমে নাফিজ সরাফাতের ব্যক্তি নিয়ন্ত্রণাধীন স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরিয়ে নেওয়া হয়। ফ্লোরা সফটওয়্যার লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি থেকে ব্যাংকের জন্য সফটওয়্যার কেনার ক্ষেত্রে নাফিজ সরাফাত কোম্পানির কাছ থেকে ৮ কোটি টাকা ঘুষ নেন। একদিনেই কোম্পানির মালিকের চেক ভাঙিয়ে ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৫ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়। পদ্মা ব্যাংকের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান পদ্মা সিকিউরিটিজকে ব্যবহার করে শেয়ারবাজার থেকে ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ রয়েছে। নাফিজ সরাফাত চেয়ারম্যান থাকাকালে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের কারণে পদ্মা ব্যাংক দ্বিতীয়বারের মতো বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। তিনি ৫০০ কোটি টাকার একটি অংশ দিয়ে সাউথইস্ট ব্যাংকের শেয়ার কিনেছেন। কৌশলে তিনি নিজের স্ত্রী, সহযোগীসহ তিনজনকে ব্যাংকের পরিচালক পদে বসান। তিনি সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান হওয়ারও চেষ্টা করেন।

সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল লিটারে ১৪ টাকা
এক সপ্তাহ দর-কষাকষি ও সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর অবশেষে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা বাড়িয়েছেন ভোজ্যতেল মিলমালিকেরা। এর ফলে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম এখন ১৮৯ টাকা, যা আগে ১৭৫ টাকা ছিল। রোববার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। নতুন দাম ঘোষণার পর আজ রোববার থেকেই তা কার্যকর হয়েছে বলে জানান তাঁরা। নতুন ঘোষণা অনুসারে পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২২ টাকা, যা ছিল ৮৫২ টাকা। বোতলজাত তেলের পাশাপাশি খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ১৬৯ টাকা, যা ছিল ১৫৭ টাকা। এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর সর্বশেষ বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন লিটারপ্রতি দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭৫ টাকা। জানা যায়, ঈদের আগে ২৭ মার্চ নতুন করে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেন মিলমালিকেরা। তখন বোতলজাত সয়াবিনের দাম একলাফে লিটারে ১৮ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা। আর খোলা সয়াবিন তেলের দাম বাড়াতে চান লিটারে ১৩ টাকা। ভোজ্যতেলের কর-সুবিধার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরদিন ১ এপ্রিল থেকে এই দর কার্যকরের ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা। ওই দিন দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা সংগঠনটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে লিখিতভাবে জানিয়েছিল। রমজানের আগে দাম সহনীয় রাখতে সরকার ভোজ্যতেলের ওপর যে শুল্ক-করে রেয়াত দিয়েছিল, তার মেয়াদ গত ৩১ মার্চ শেষ হওয়ায় এই দাম বাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এরপর ঈদের ছুটি শেষে গত সপ্তাহের শুরু থেকে দফায় দফায় দাম নিয়ে আলোচনা হয়। তখন প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৯০ টাকার বেশি হবে নাকি কম, তা নিয়ে সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনা চলে। গত সপ্তাহের রবি, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দর-কষাকষি হলেও তখন কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। এদিকে, কারখানার মালিকদের দাবির আগেই ভোজ্যতেলে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর রেয়াতের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছিল ট্যারিফ কমিশন। তবে এনবিআর এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।

১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার
সরকার দেশের ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। রোববার (১৩ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে বিডা ও বেপজার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠককালে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে আশিক চৌধুরী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘১০০টির মধ্য থেকে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে চূড়ান্তভাবে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।’ বাতিল করা অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সরকারিগুলো হল সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক (কক্সবাজার), সুন্দরবন ট্যুরিজম পার্ক (বাগেরহাট), গজারিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল (মুন্সীগঞ্জ), শ্রীপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল (গাজীপুর) এবং ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল (ময়মনসিংহ)। বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো হল বিজিএমইএ গার্মেন্টস শিল্প পার্ক (মুন্সিগঞ্জ), ছাতক ইকোনমিক জোন (সুনামগঞ্জ), ফমকম ইকোনমিক জোন (বাগেরহাট), সিটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন (ঢাকা) এবং সোনারগাঁও অর্থনৈতিক অঞ্চল (নারায়ণগঞ্জ)। বিনিয়োগ সম্মেলনের বিষয়ে বিডার চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের মানুষের সহনশীলতা, বিনিয়োগ সম্ভাবনার অবস্থা সচক্ষে দেখে বিদেশিরা উচ্ছ্বসিত। বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের সম্ভাবনা তুলে ধরাই ছিল সম্মেলনের প্রধান উদ্দেশ্য।’ আশিক চৌধুরী বলেন, ‘বিডার আয়োজিত অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের খরচ ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। চার দিনের সম্মেলনে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখা হবে। দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে বছরে এক বা একাধিক বিনিয়োগ সম্মেলন করতে হবে।’ বিডার চেয়ারম্যান জানান, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে সমুদ্রবন্দর বা বে টার্মিনাল স্থাপনের জন্য বিদেশি কোম্পানি চূড়ান্ত করা হবে। ওয়ান স্টপ সার্ভিসের সকল সেবা অনলাইন করা হবে। লাইসেন্সের ক্ষেত্রে সব সেবা একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আশিক চৌধুরী বলেন, ‘ট্রানশিপমেন্ট বাতিলে দেশের অভ্যন্তরীণ এয়ারপোর্টগুলোকে আপগ্রেড করার সুযোগ তৈরি হবে।’

বিনিয়োগ সম্মেলনে ৩১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা এসেছে
বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, ‘চার দিনের সম্মেলনে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে। সরকারের খরচ ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।’ রোববার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। আশিক চৌধুরী বলেন, ‘সদ্য সমাপ্ত বিনিয়োগ সম্মেলন সফল হয়েছে কি হয়নি তা সময়ই বলে দেবে। দশে দশে না পেলেও সম্মেলনে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বিদেশে যেভাবে সম্মেলন হয় সেই মানের সম্মেলন হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে বছরে এক বা একাধিক বিনিয়োগ সম্মেলনের আয়োজন করতে হবে।’

সেন্টমার্টিনে পর্যটন নির্ভর জনগোষ্ঠীর জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার
সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন সীমিত করার ফলে স্থানীয় জনগণের জীবিকার যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করেই বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।’ রোববার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভায় দ্বীপের মানুষের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান নির্ধারণে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে একটি ওয়ার্কিং টিম গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে কৃষি, মৎস্য, ট্যুরিজম বোর্ড, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বন বিভাগ, জেলা প্রশাসন, ব্রাক ও কোস্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা থাকবেন। এ কমিটি এবিষয়ে অতিদ্রুত সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবে। সভায় বলা হয়, মাছ ধরায় সহযোগিতা, পরিবেশবান্ধব জাল ও আধুনিক ডিভাইস দেওয়া হতে পারে। শুটকি মাছের বাজারজাতকরণে ব্রান্ডিং করা হবে। সিউইড, মাশরুম, সবজি চাষ, পোল্ট্রি ও গবাদিপশু পালন, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন, ব্লগিং, ফটোগ্রাফি প্রশিক্ষণের কথা বলা হয়। নারীদের জন্য সেলাই, নকশি কাঁথা, স্মারক সামগ্রী তৈরি, নারিকেল ছোবড়া দিয়ে দড়ি তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা সহায়তা, অন্যান্যদের বৃক্ষরোপণ, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, রেস্টুরেন্টে কাজ শেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। স্থানীয় যুবকদের পরিবেশ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে ট্যুর গাইড হিসেবে গড়ে তোলা হবে। জমির ধরণ অনুযায়ী সবজি উৎপাদনেও উৎসাহ দেওয়া হবে। সেন্টমার্টিনের শুটকি মাছ উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহ ও বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব উদ্যোগ স্থানীয়দের আয় বাড়াতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: কামরুজ্জামান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন, কোস্ট গার্ড, টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘এডভান্সড লেভেল ওয়ার্কশপ অন রিস্ক বেইসড সুপারভিশন’ অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশনের (ডিওএস) উদ্যোগে এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের(আইএফসি) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় গত ৯-১২ এপ্রিল গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরের ব্র্যাক সিডিএমে ‘এডভান্সড লেভেল ওয়ার্কশপ অন রিস্ক বেইসড সুপারভিশন’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। গভর্নর ব্যাংকিং খাতে রিস্ক বেইজড সুপারভিশন (আরবিএস) পদ্ধতির গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারভাইজরদের অর্পিত দায়িত্ব সততা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘একটি সুশৃঙ্খল, ঝুঁকিসচেতন ও ভবিষ্যতনির্ভর তদারকি কাঠামো গড়ে তোলার জন্য আরবিএস একটি অপরিহার্য উপাদান। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, ড. মো. হাবিবুর রহমান এবং মো. জাকির হোসেন চৌধুরি। উপস্থিত ছিলেন আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাংক ও আইএফসি বাংলাদেশ অফিসের কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। ডিওএসের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরি আরবিএস পদ্ধতিকে একটি কৌশলগত সংস্কার হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আরবিএস কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। কর্মশালার বিভিন্ন সেশনে অংশগ্রহণ করেন ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড, বিশ্ব ব্যাংক ও ব্যাংক অব থাইল্যান্ডের প্রতিনিধিবৃন্দ। এছাড়া, মালয়েশিয়া, ভারত ও ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধি ভার্চুয়াল মাধ্যমে কর্মশালায় যুক্ত হন। সেশনগুলোতে অংশগ্রহণকারীরা আরবিএস ফ্রেমওয়ার্ক, মেথডোলজি, ম্যাট্রিক্স, জলবায়ু ঝুঁকি মূল্যায়ন, আইএফআরএস-৯ প্রয়োগসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বেস্ট প্র্যাকটিস নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া, বৈশ্বিক আর্থিক সংকট ও তা থেকে উত্তরণের কৌশল বিষয়ে একটি বিশেষ সেশন পরিচালনাকরেন গভর্নরের উপদেষ্টা সাবেথ ইবনে সিদ্দিকী। কর্মশালার শেষ দিনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারভিশন ও রেগুলেশন সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট, হিউম্যান রিসোর্সেস ডিপার্টমেন্ট এবং আইটি ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ও পরিচালকবৃন্দের উপস্থিতিতে ‘আরবিএসের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এবং বাস্তবায়নেসিনিয়র ম্যানেজমেন্টের নেতৃত্ব ও ভূমিকা’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের জানুয়ারি হতে বাংলাদেশে প্রচলিত সুপারভিশন পদ্ধতির পরিবর্তে রিস্ক বেইজড সুপারভিশন পদ্ধতি কার্যকর করার লক্ষ্যে ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন হতে নানা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের আরবিএস বিষয়ে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকেরসুপারভিশন ও রেগুলেশন সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর ৭০ জন কর্মকর্তার অংশগ্রহণে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই কর্মশালাটি গত বুধবার (৯ এপ্রিল) ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক উদ্বোধন করেন ।

নাগালের বাইরে ইলিশের দাম
এক কেজি বা তারচেয়ে বড় ইলিশ কিনতে চাইলে আপনাকে দুই-তিন বাজার ঘুরতে হবে। কারণ বাজারে বড় সাইজের ইলিশ মাছের সরবরাহ কম। এরপর যখন কোথাও এ মাছে খুঁজে পাবেন, সেখানে দাম শুনে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার অবস্থা হবে। এখন এক কেজি বা এর চেয়ে কিছুটা বড় ইলিশের দাম ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৪ হাজার টাকায় উঠেছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ। যে কারণে এখন রাজধানীর বাজারে ইলিশ মাছের দাম বেশ ‘চড়া’। বিশেষ করে বড় সাইজের ইলিশের সরবরাহ একদমই কম। দাম আকাশচুম্বী। বৈশাখের আগের দিন রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখে পান্তা-ইলিশের প্রধান অনুষঙ্গ ইলিশের এ ‘নগরকেন্দ্রিক’ চাহিদাকে পুঁজি করে ফায়দা লুটছেন পাইকারি ও খুচরা মাছ ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের দাবি, বৈশাখী উৎসব ঘিরে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বাজারগুলোয় ইলিশের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু বর্তমানে জাটকা ধরা নিষেধাজ্ঞায়, অনেক নদীর মোহনায় ইলিশ ধরা বন্ধ, ফলে বাজারে সরবরাহ কমেছে। এতে খুচরা ও পাইকারি- দুই বাজারেই ইলিশের দাম বেড়েছে। মালিবাগ, রামপুরা ও মধ্যবাড্ডার বাজার ঘুরে এদিন ইলিশের যে খুচরা দাম পাওয়া গেছে সেটা হলো- ৭০০-৮০০ গ্রাম সাইজের ইলিশের দাম ২০০০-২৪০০ টাকা, ৫০০-৬০০ গ্রামের কেজি ১৩০০-১৫০০ টাকার মধ্যে, ৪০০-৫০০ গ্রামের কেজি ১০০০-১২০০ টাকা আর চার-পাঁচটা মাছ মিলে এক কেজি অর্থাৎ ২০০-২৫০ গ্রামের কেজি ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রামপুরা বাজারের মাছ বিক্রেতা আলতাফ হোসেন বলেন, ‘এখন জাটকা ধরা বন্ধ, যে কারণে অনেক স্থানে মাছ ধরা বন্ধ আছে। আবার বৈশাখের পরের দিন থেকে মাছ আর পাওয়ায় যাবে না। যে কারণে মাছের বাজারে একটা ঘাটতি তৈরি হয়েছে, যেখানে বৈশাখের মধ্যে চাহিদা বেড়েছে।’ বর্তমানে জাটকা ইলিশ ধরা বন্ধ রয়েছে। যে কারণে দেশের বিভিন্ন অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এছাড়া আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন ইলিশ ধরা ও বাজারজাত সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। এ কারণে বিশেষ করে চট্টগ্রামের মাছ বেশি এসেছে বাজারে। এদিকে খুচরা বাজারের পাশাপাশি পাইকারি বাজারেও ইলিশের দাম বেড়েছে। ঢাকার কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী ও মেরুল বাড্ডার পাইকারি আড়তে সরবরাহ সংকটে ইলিশের মণ ছুঁয়েছে লাখ টাকা। ছোট আকারের ইলিশের মণও ছাড়িয়েছে অর্ধ লাখ টাকা। ইলিশ বিক্রেতা মাসুম আহমেদ বলেন, ‘গতরাতে প্রতি কেজি মাছের দাম আগের দিনের চেয়ে ২০০ টাকা বেড়েছে। এমনকি বরিশাল ও চট্টগ্রামের যেসব মোকাম থেকে ইলিশ আসছে, সেখানেও বেশি।’ কার্তিক সূত্রধর নামের একজন বলেন, ‘বরিশালের মাছ নেই। মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে দুই মাস ধরে মাছ শিকার নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া অন্য সব নদ-নদীতেও বর্তমানে ইলিশসহ অন্য মাছের বেশ আকাল চলছে।’ বাড্ডার বাজারে ৭০০ গ্রাম সাইজের ইলিশের হালি ১০ হাজার টাকা হাঁকছিলেন বিক্রেতা আব্বাস উদ্দিন। তার কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে এসব মাছ ২ হাজার টাকার নিচে ছিল প্রতিপিস। অর্থাৎ হালিতে ২ হাজার টাকার বেশি বেড়েছে।’ ওই বাজারে ইলিশ কিনতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, ‘কিছুই না, এরা (মাছ বিক্রেতারা) সুযোগ বুঝে কোপ মারছে। কিছু বড়লোক আছে, তারা কিনছেনও। তবে আমাদের মতো যারা হিসাব করে সংসার চালায় তাদের বৈশাখে মাছ জুটবে না।’ এদিকে বাজারে বড় মাছের সরবরাহ একেবারেই কম কেন জবাবে জাহাঙ্গীল আলম নামের একজন বিক্রেতা বলেন, ‘এক কেজি সাইজের ইলিশ পাইকারিতে ৩২০০-৩৫০০ টাকা। কিনে এনে কী দামে বেচবো? আর যদি বিক্রি না হয় তাহলে কী হবে? বৈশাখের পরে ইলিশ বেচা নিষিদ্ধ।’ এদিকে চড়া মাছের দাম ও ঈদের পরপরই বৈশাখ বলে এবার ইলিশের কাটতি কম বলে জানিয়ে পাইকারি মাছ বিক্রেতা শান্ত হোসেন বলেন, ‘ঈদের পরে মানুষের হাতে টাকা নেই। যে কারণে বিক্রি ভালো নয়।’

আরও বেড়েছে দেশের রিজার্ভ
দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ২৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রোববার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণপ্রাপ্তির অন্যতম শর্ত ছিল, নিট রিজার্ভ জুনের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় থাকতে হবে। দেশের রিজার্ভ এখন সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি, আইএমএফের শর্ত জুনের মধ্যে পূরণ করতে সক্ষম হব।’দাতা সংস্থা আইএমএফের ঋণ প্রাপ্তির শর্ত পূরণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রার থেকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ বিলিয়ন ডলার পিছিয়ে রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী জুনে নিট রিজার্ভ-এনআইর থাকতে হবে ১৭ বিলিয়নের কিছুটা বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন প্রায় ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর আগে গত ৬ এপ্রিলের পর্যন্ত দেশের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৫৬২৫ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন বা ২ হাজার ৫৬২ কোটি ৫৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২০৪৬০ দশমিক ৫২ মিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৬ কোটি ৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার।আর গত মার্চ মাসের ২৭ তারিখ কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছিল, সেদিন পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৫৪৪০ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন বা ২ হাজার ৫৪৪ কোটি ৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২০২৯৬ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন বা ২ হাজার ২৯ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এদিকে, গত মার্চ মাসে দেশে এসেছে ৩২৯ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। যা দেশের ইতিহাসে কোনে এক মাসে সর্বোচ্চ। মূলত বিপুল পরিমাণ প্রবাসী আয় দেশের রিজার্ভ বাড়তে বড় ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রসঙ্গত, নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।

শিল্প গ্যাসের দাম বাড়ল ৩৩ শতাংশ
শিল্প গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। আজ রোববার (১৩ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন করে দাম বাড়ানোর এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য মিজানুর রহমান, সদস্য সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, মো. আব্দুর রাজ্জাক ও শাহীদ সারোয়ার। সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসি চেয়ারম্যান জানান, শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ঘনমিটারপ্রতি দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্যাপটিভে ৩১ দশমিক ৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন শিল্পের পাশাপাশি এখন যারা অনুমোদিত লোডের বেশি গ্যাস ব্যবহার করছেন, সেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানকেও ৩০ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকা দরে বিল দিতে হবে। নতুন এই দর চলতি এপ্রিল মাসের বিল থেকেই কার্যকর হবে বলে জানান জালাল আহমেদ।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিজনেস রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির চট্টগ্রাম সাউথ জোন, চট্টগ্রাম নর্থ জোন, খাতুনগঞ্জ ও আগ্রাবাদ কর্পোরেট শাখার বিজনেস রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমির (আইবিটিআরএ) চট্টগ্রাম রিজিওনাল সেন্টারে এ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর ফারুক খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মাহমুদুর রহমান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জিএম মোহা. গিয়াস উদ্দিন কাদের ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু নোমান মো. সিদ্দিকুর রহমান। চট্টগ্রাম নর্থ জোনপ্রধান এম. জুবায়ের আজম হেলালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সাউথ জোনপ্রধান আবদুল নাসেরসহ ২টি কর্পোরেট শাখা ও জোনদ্বয়ের অধীন শাখাগুলোর ব্যবস্থাপক উপস্থিত ছিলেন।

স্বর্ণের দামে বড় লাফ, নতুন রেকর্ড
দেশের বাজারে আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে স্বর্ণের দাম। এবার ভরিতে ৪ হাজার ১৮৭ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৬৩ হাজার ২১৪ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম। শনিবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। রোববার (১৩ এপ্রিল) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৬৩ হাজার ২১৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১০ হাজার ২৭১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। এর আগে, সবশেষ গত ১০ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ২ হাজার ৪০৩ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৭ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩০ হাজার ১১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭ হাজার ৩৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। এ নিয়ে চলতি বছর ২০ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৫ বার, আর কমেছে মাত্র ৫ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার। স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

কৃষকদের পাশে চমক নিয়ে স্টার্টআপ ‘স্মার্ট এগ্রো’
গ্রামীণ পরিবেশে বেড়ে উঠা এক টগবগে যুবক। আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে ব্যবসায় নিয়ে এমবিএ পড়াশোনার সময় স্বপ্ন আঁকেন ফিনটেক নিয়ে। হিসাব নিকাশ কসার মাঝেই স্বনামধন্য এটিএন নিউজ, দৈনিক কালেরকন্ঠ ও দৈনিক জাগো বাঙালি পত্রিকায় সংযুক্ত হয়ে পরেন। চষে বেড়ান গ্রাম গঞ্জের সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে। পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক বিষমুক্ত শস্য, মাছ ও মাংস উৎপাদনে গড়ে তুলেন স্টার্টআপ ‘স্মার্ট এগ্রো’। যেমন পরিকল্পনা তেমন কাজ। পুরোদমে কাজে নেমে পড়েন কৃষি ভিত্তিক স্টার্টআপ ‘স্মার্ট এগ্রো’র ফাউন্ডার এন্ড সিইও রাশেদ রুবেল। তার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই সাড়া জাগিয়েছে সাধারণ কৃষকদের মাঝে। বিষমুক্ত কৃষি পণ্য উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ সেবা প্রদানের পাশাপাশি শস্য ও মাছ মাংস উৎপাদনে লোন বিরতণ, নিজস্ব শো-রুম এ পণ্য বিক্রয় এবং ফিনটেক হিসেবে পুরো দমে কাজ করে যাচ্ছে। সকল কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নের জন্য ঢাকার বাংলামটর লিংকরোডের বহুতল ভবনে এক পরিপাটি অফিসে চলছে কাজকর্ম। কেউ দিচ্ছেন কৃষি পরামর্শ, আবার কেউ মুনাফাসহ বিনিয়োগ ফেরতের ও গ্রহণের কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করছেন। রাশেদ রুবেল বলেন, ‘সাংবাদিকতায় যখন অর্থনৈতিক কৃষি বিষয়ে সংবাদের টানে গ্রামগঞ্জে কৃষকদের পাশে পদচারনার সময় কৃষকদের কীটনাশক ব্যবহারের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। তা না হলে আগামীতে বাংলাদেশে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে দিনের পর দিন! নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও কৃষকদের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার অধিকার বাস্তবায়নে ‘স্মার্ট এগ্রো’ প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ। এমনই এক পরিকল্পনা মোতাবেক বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করা হয়। ব্যাপক সাড়া জাগিয়ে তোলেন। সাথে নিজের জমানো দশ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে শত বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগকৃত অর্থ শতভাগ নিশ্চয়তার সাথে মুনাফাসহ ফেরত করেছে ‘স্মার্ট এগ্রো’। তারই অংশ হিসেবে ভোলা, মুন্সিগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, নওগাঁয় কৃষকদের মুনাফার কথা চিন্তা করে বিনিয়োগের সহজলভ্যতা তৈরি করা হয়েছে। সাথে সাথে সার, বীজ ও কীটনাশক সাপ্লাই চেইন সহজলভ্য করে তোলা এবং শস্য উৎপাদন ও এর মধ্যসত্তাভোগী দূর করাই ‘স্মার্ট এগ্রোর মূল লক্ষ্য। উদ্যোক্তা তৈরি ও কৃষক তৈরির প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা রয়েছে এই কার্যক্রমে। সফলতা নিয়ে রাশেদ রুবেল বলেন, ‘বাংলাদেশের কৃষি বিপ্লব তখনই হবে যে দিন কৃষক কীটনাশক এর সঠিক সদ্ব্যবহার করতে জানবে এবং এন্টিবায়োটিক ফ্রি হবে সকল খাদ্য উৎপাদন।

ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন
আজ শুক্রবার (১১ মার্চ ) সকালে জাপানের কানসাই এর ওসাকায় অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫ এর বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন যৌথভাবে উদ্বোধন করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো: আব্দুর রহিম খান ও টোকিওতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী।উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আব্দুর রহিম খান বলেন, ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে রপ্তানি পণ্যের প্রদর্শন বিশ্বব্যাপী আমাদের দেশের ব্যাপক পরিচিতি এনে দিবে এবং আমাদের দেশের পণ্যের প্রতি বিদেশি ক্রেতারা আরো বেশি আকৃষ্ট হবে।প্যাভিলিয়ন উদ্বোধনকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও জাপানের বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে মোট আঠারোটি জোনে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় রপ্তানি পণ্যের প্রদর্শন হবে।পরে তাঁরা বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং প্রস্তুতি কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন করায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।ছয় মাস ব্যাপী বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এক্সপোতে বিশ্বের ১৬৫ টি দেশ অংশ নিচ্ছে। দেশগুলোর ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের জন্য ওয়ার্ল্ড এক্সপো অপূর্ব সুযোগ তৈরি করতে সক্ষম হবে বলে আয়োজকরা ধারনা করছেন। আগামীকাল ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে।

ব্যাংকিং খাতে পাঁচ লাখ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে: আহসান এইচ মনসুর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দেশে ব্যাংকিং খাত মানি লন্ডারিংয়ের বড় ভিকটিম। বড় বড় কিছু গ্রুপ ও পরিবার অর্থ পাচার করে দেশের বাইরে নিয়ে গেছে। এর পরিমাণ আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে ব্যাংকিং খাতে প্রায় পাঁচ লাখ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের বড় একটি গ্রুপ প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে।‘অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও সমসাময়িক ব্যাংকিং ইস্যু’ নিয়ে শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এসব তথ্য তুলে ধরেন।এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখতে পাবেন। কয়েকটি দেশে পাচারের অর্থে কেনা সম্পদ জব্দ করার চেস্টা করছি। ভবিষ্যতে যেন আর অর্থ চুরি ও পাচার না হয়, সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।গভর্নর বলেন, ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লুটপাটে জড়িত থাকার সুনিদিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রমাণ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলে তা আমলে নেওয়ার সুযোগ নেই।বাংলাদেশ ব্যাংকের ঢাকার পর চট্টগ্রাম বড় ইউনিট উল্লেখ করে গর্ভনর বলেন, চট্টগ্রামে আমাদের একটি বড় জায়গা আছে। তাই এখানে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের মূল দায়িত্ব সামগ্রিক অর্থনীতিতে ভারসাম্য নিয়ে আসা। শেয়ারবাজার ও রিজার্ভ স্থতিশীল আছে। আমরা স্বস্তির জায়গায় চলে এসেছি। রপ্তানি বাড়ছে। মূল্যস্ফিতি এখন সহনীয়। কোনো সংকট আছে বলে মনে করি না। বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত এলএনজি আমদানি হচ্ছে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফ্যাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, পরিচালক মো. আনিসুর রহমান, চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক মো. সালাহ উদ্দীন প্রমুখ। উপস্থাপনায় ছিলেন উপ-পরিচালক মো. জোবাইর হোসেন।

বিনিয়োগ সম্মেলনে যেমন সাড়া পেল বাংলাদেশ
ঢাকায় ৭ থেকে ১০ এপ্রিল হয়ে গেল বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫। এই আয়োজনে দেশি-বিদেশি কমপক্ষে সাড়ে চারশোর মতো বিনিয়োগকারী অংশ নিয়েছিলেন। চারদিনের এই আয়োজনে বাংলাদেশে বিনিয়োগের অমিত সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন আয়োজকরা, তরুণ প্রজন্মকে সামনে রেখে ২০৩৫ সালের রূপরেখা তুলে ধরেন তারা। ফলশ্রুতিতে অধীর আগ্রহ দেখিয়েছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়েছে সম্মেলনে।বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিবাংলাদেশে বড় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সফররত দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল। ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা জানিয়েছে স্পেনের খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিটেক্স, সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জহোলসিম ও চীনের অ্যাপারেল কোম্পানি হান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ।চীনের খ্যাতনামা পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বাংলাদেশে ১৫ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে ১০ কোটি ডলার অর্থনৈতিক অঞ্চলের আওতায় টেক্সটাইল ও ডাইং খাতে আর পাঁচ কোটি ডলার রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে গার্মেন্টস শিল্পে বিনিয়োগ করা হবে। এর মাধ্যমে ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (বিএসইজেড) ১৩ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে সুইডিশ কোম্পানি নিলর্ন। চলতি বছর বাংলাদেশে এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে চেয়েছে ব্রিকস গঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি)। মহাকাশ অনুসন্ধানে নাসার সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে বিশ্ববিখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড এইচঅ্যান্ডএম, প্রাণ–আরএফএল ও আইএফসির মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।দেশের নতুন উদ্যোক্তাদের অর্থায়নের জন্য ১২০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর স্টার্টআপ খাতে গতি সঞ্চারে ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে দেশীয় শিল্পগোষ্ঠী ইনসেপ্টা গ্রুপ।বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন দেশের স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা খাতে প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি বিনিময় ও দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্বের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা দেখতে আগামী মাসে ২০০ বিনিয়োগকারীসহ সফরে আসার কথা জানিয়েছেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী। চীনা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা চট্টগ্রামে চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং মোংলায় পরিকল্পিত চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কয়েকটি চীনা কোম্পানি ইলেকট্রনিক ভেহিক্যাল ট্রানজিশন, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি উৎপাদন, উইন্ড টারবাইনের মতো নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস এবং অফশোর ফটোভোলটাইক সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছেন। এদিকে, মাতারবাড়িতে মুক্তবাণিজ্য জোন তৈরিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ডিপি ওয়ার্ল্ড গ্রুপ।স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি ও পানিসম্পদ খাতে ৫টি সমঝোতা চুক্তিবাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সহায়তায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মোট পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে হাছান মোহিন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস। এর মধ্যে রয়েছে একটি ত্রিপক্ষীয় ও চারটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস, দ্য এন্টারপ্রিনিউর গ্রুপ, জেপিজি ইনভেস্টমেন্ট ও হাছান মোহিন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস। এই পাঁচটি সমঝোতা স্মারক দেশের স্বাস্থ্য, আর্থিক ও প্রযুক্তি খাতে নতুন বিনিয়োগ সম্ভাবনার দিক উন্মোচন করবে। ব্যক্তিখাতভিত্তিক চারটি সমঝোতা চুক্তি দেশের অর্থনীতিতে বেসরকারি বিনিয়োগের ইতিবাচক প্রবাহ সৃষ্টি করবে। সম্মেলনের শেষ দিনে এসব সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।একই দিন বিডা ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কোয়েস্ট ওয়াটার গ্লোবাল ইনক-এর মধ্যেও একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। এই চুক্তির আওতায় প্রতিষ্ঠানটি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে সুপেয় পানির শোধনাগার নির্মাণে কাজ করবে। এর ফলে সাধারণ জনগণের জন্য নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণসহ স্বাস্থ্যখাতে শত মিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে পৃথক দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে।এছাড়া স্টারলিংকের পরীক্ষামূলক সেবা চালু, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নয়নের লক্ষ্যে বিডা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) একটি অভিপত্র স্বাক্ষরসহ বিভিন্ন চুক্তি হয়েছে।বিডা জানিয়েছে, এবারের বিনিয়োগ সম্মেলনের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগের পাইপলাইন তৈরি হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করার প্রচেষ্টা চালানো হবে। শেষদিনের কর্মসূচি নিয়ে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং করেন বিডার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি।রোচি বলেন, এবারের বিনিয়োগ সম্মেলনের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগের পাইপলাইন তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে যেসব প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের প্রস্তাব কিংবা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে যোগাযোগ করা হবে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ১৮ থেকে ২৪ মাসের রোডম্যাপ করবে বিডা এমন তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা সাধারণত ১৮ থেকে ২৪ মাস সময় নেন বিনিয়োগ করতে; প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধরে ধরে তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করবো।বিনিয়োগকারীরা বেশকিছু সমস্যার কথা জানিয়েছেন উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, সম্পদের প্রাপ্তি, নীতির ধারাবাহিকতা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও দুর্নীতিসহ মোটাদাগে চার থেকে পাঁচটি সমস্যার কথা তারা জানিয়েছেন। আমরা রাজস্ব বিভাগসহ বিভিন্ন সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করছি। আমাদের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা রয়েছে, তা দূর করার চেষ্টা চলছে।বিডার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য কত বিনিয়োগ এলো সেটা নয়, আমরা চেয়েছি এই সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের বিনিয়োগের পরিবেশ সম্পর্কে একটা ধারণা দেওয়ার। একই সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগের কী ধরনের সুযোগ রয়েছে সেগুলো জানানো এবং তাদের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের একটি ম্যাচমেকিংয়ের ব্যবস্থা করিয়ে দেওয়া, সেটা করতে আমরা সফল হয়েছি।

বেড়েছে সবজির দাম, সংকট সয়াবিন তেলের
ঈদের আগের তুলনায় অর্থাৎ প্রায় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দামই কমবেশি বেড়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ টাকার আশপাশে, যা আগের তুলনায় প্রায় ২০ টাকা বেশি। এছাড়া বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। আগের চেয়ে নির্ধারিত দাম না বাড়লেও অনেক দোকানে সয়াবিন তেল নেই। যে কারণে অনেকে বোতলের গায়ের দামের চেয়ে কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে বর্তমানে চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ কম। শীতের অধিকাংশ সবজি শেষ হয়ে গেছে আর গ্রীষ্মের অনেক সবজি এখনো বাজারে কম। এ কারণে দাম বেড়েছে। রাজধানীর রামপুরা বাজারে সকালে ঢুকতেই সবজির বাড়তি দামের আঁচ পাওয়া গেল। দাম নিয়ে এক সবজি বিক্রেতার সঙ্গে তর্কে জড়ান স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি সেখান থেকে ১০০ টাকা দরে আধা কেজি বরবটি ও করলা কিনেছেন। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ঈদের আগেই সব সবজি ৬০ টাকার আশপাশে ছিল। ঈদের পরে সব বেড়ে যাচ্ছে।’ ওই বাজারের পাশাপাশি মালিবাগ ও শান্তিনগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারভেদে করলা, ঝিঙা, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা ৮০-১০০ টাকায়, পটোল, ঢ্যাঁড়স ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির মধ্যে দাম কম রয়েছে পেঁপের, তাও ৪০-৫০ টাকা। অবশ্য কারওয়ান বাজারের মতো বড় বাজারে সবজির এ দাম আরও কিছুটা কম। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫ টাকা বেড়ে ৩৫-৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া আলু, আদা, রসুন ও আলুর দাম আগের মতোই রয়েছে। এদিকে, বাজারে আবারও সয়াবিন তেলের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক দোকানেই তেল পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু দোকানে পাওয়া গেলেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে। অর্থাৎ কোনো দোকানে ৫ লিটারের বোতলজাত তেল থাকলেও এক-দুই লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কোনো কোনো দোকানে প্রতি লিটারে নির্ধারিত দাম ১৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। মালিবাগ বাজারের বিক্রেতা আব্বাস উদ্দিন বলেন, ‘কোম্পানি তেল দেয় না। ঈদের পর থেকে অর্ডার নিচ্ছে না। যে কারণে ৫ টাকা বেশি দিয়ে বাইরে থেকে কিনে আনি।’ আরেক বিক্রেতা বলেন, ‘আজ ঈদের পর প্রথম একটা কোম্পানি তেল দিয়ে গেছে। দুই লিটারের মাত্র তিন কার্টন তেল। আর বলেছে, দাম বাড়ানোর আগে মাল দেবে না। নতুন রেট এলে নতুন তেল পাবেন।’ প্রসঙ্গত, সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে একলাফে ১৮ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার মালিকরা। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দুই দফা বৈঠকের পরও দাম বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এর আগে ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবস ২৭ মার্চ ট্যারিফ কমিশনে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে ১ এপ্রিল থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৩ টাকা হবে বলে জানায় পরিশোধন কারখানার মালিকদের ওই সংগঠন। সেই হিসাবে লিটারে দাম বাড়ছে ১৮ টাকা। তবে দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের অনুমতি এখনো মেলেনি। যে কারণে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে।

শুক্রবার দেশের বাজারে কত দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ?
টানা ৪ দফা বাড়ার পর এক দফা কমানো হয়েছিল স্বর্ণের দাম। তবে ফের দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) থেকে স্বর্ণ বিক্রি হবে নতুন দামে। তবে আগের দামেই বিক্রি হবে রুপা। সবশেষ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাজুস। এবার স্বর্ণের ২২ ক্যারেটের এক ভরিতে ২ হাজার ৪০৩ টাকা বাড়িয়েছে সংগঠনটি।নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৭ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩০ হাজার ১১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭ হাজার ৩৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। এর আগে, সবশেষ গত ৮ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ২৪৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৮ হাজার ১৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫ হাজার ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ৯ এপ্রিল থেকে। এ নিয়ে চলতি বছর ১৯ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৪ বার, আর কমেছে মাত্র ৫ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার। স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সোনার দাম ১ লাখ ৫৯ হাজার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সোনার দাম। এবার ভরিতে বেড়েছে ২ হাজার ৪০৩ টাকা। এতে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৭ টাকায় পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৭ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩০ হাজার ১১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭ হাজার ৩৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। এর আগে, সবশেষ গত ৮ এপ্রিল দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ২৪৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৮ হাজার ১৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫ হাজার ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ৯ এপ্রিল থেকে।এ নিয়ে চলতি বছর ১৯ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৪ বার, আর কমেছে মাত্র ৫ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।

এনডিসি কোর্সের প্রতিনিধিদলের এফবিসিসিআই পরিদর্শন
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) পরিদর্শন করেছে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) কোর্স ২০২৫’-এর একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। কোর্স কারিকুলামের অংশ হিসেবে এফবিসিসিআই পরিদর্শনে আসেন তারা। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে রিয়ার অ্যাডমিরাল একেএম জাকির হোসেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস এবং ভারত, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, চীন, কাতার, কুয়েত, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, সৌদি আরবসহ প্রায় ৩৯ টি দেশের স্বশস্ত্র বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে আসেন। প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান। পরে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এফবিসিসিআইয়ের চলমান কার্যক্রম ও এলডিসি পরবর্তী বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনার ওপর আলোকপাত করেন মো. হাফিজুর রহমান। পাশাপাশি বেসরকারি খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী অর্থনীতি গঠন ও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এনিডিসি কোর্সের চৌকস সদস্যবৃন্দ তাদের শক্তি ও বুদ্ধিমত্তার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। সভা সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআইর মহাসচিব মো. আলমগীর। সভায় প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনের মাধ্যমে এফবিসিসিআইর গঠন, মিশন ও ভিশন ও কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিনিধিদলের সামনে তুলে ধরেন তিনি। সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ, এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক মো. গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী (খোকন), আব্দুল হক, খন্দকার রুহুল আমিন, সাধারণ পরিষদ সদস্য জাকির হোসেন নয়ন, সাইদা আকতার।

পুঁজিবাজার উপদেষ্টা কমিটি বাতিল
দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় ২০১১ সালে গঠিত ১৭ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি বাতিল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ উপদেষ্ট কমিটি প্রায় ৫ বছর ধরে নিষ্ক্রিয়। পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এ কমিটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে না পারায় তা রহিত করার সিদ্ধন্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ উপদেষ্টা কমিটি বিএসইসির ওয়েবসাইট থেকেও সিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন পুনর্গঠিত বিএসইসি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০১১ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের নির্দেশে এ উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে অর্ধমন্ত্রীকে পরামর্শ দিতে এ কমিটি গঠিত হয়। সে সময় উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব ছিলেন তৎকালীন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন। ২০১০ সালের শেষদিকে পঁজিবাজারে ধসের পরিপ্রেক্ষিতে খন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বিএসইসিকে নতুন করে ঢেলে সাজায় সরকার। সে সময়ে ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট বিএসইসিতে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেন। টানা ৯ বছর বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০২০ সালের ১৪ মে তার মেয়াদ শেষ হয়। এরপর করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিএসইসির হাল ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগ অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। সে সময় পদাধিকাবলে ওই উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব ছিলেন তিনি। শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ২০২০ সালের ১৭ মে বিএসইসিতে যোগ দেন। পাঁচ বছর বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট তিনি পদত্যাগ করেন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বাধ্য হলে পদত্যাগ করেন। শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের মেয়াদকালে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এ উপদেষ্ট কমিটির তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা দেখা যায়নি। বিএসইসির সিদ্ধান্ত: ২০১১ সালের ২৮ মার্চ একটি নির্দেশনা জারি করে ১৭ সদস্যের বিএসইসি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। তবে, এ উপদেষ্টা কমিটির কার্যক্রমের কোনো রেকর্ড না থাকায় উক্ত কমিটি রহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি, বিএসিইসির ওয়েবসাইট থেকে কমিটি সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। উপদেষ্টা কমিটি গঠনে বিএসইসির আগের নির্দেশনা: ২০১১ সালের ২৮ মার্চ বিএসইসির তৎকালীন নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ফরহাদ আহমেদ স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ (১৯৬৯ সালের অধ্যাদেশ নম্বর ১৭) এর ধারা ২৭ এর বিধানের অধীনে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হলো। উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা হলেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান (পূর্বর নাম), সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সকল সদস্য (বর্তমান পদ কমিশনার), অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক জন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক জন ডেপুটি গভর্নর, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি, ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সভাপতি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি, ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) সভাপতি, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সভাপতি, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিসএসই) সভাপতি, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) চেয়ারম্যান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ থেকে ড. মুস্তাফিজুর রহমান, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের সভাপতি, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার এবং ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন। উপদেষ্টা কমিটির কার্যক্রমের শর্ত হিসেবে উল্লেখ রয়েছে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত নীতির বিকল্প প্রস্তাব করা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় নীতি ও কর্মসূচি সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া, বিএসইসি দ্বারা উল্লেখ করা যেতে পারে এমন অন্য কোনো বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া, উপদেষ্ট কমিটির যেকোনো সভায় বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞানসম্পন্ন কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো, উপদেষ্টা কমিটি কমিশন কর্তৃক প্রয়োজনীয় বিবেচিত যেকোনো সময় সভা করতে পারবে এবং উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এসইসির চেয়ারম্যান। পুঁজিবাজার উন্নয়ন কমিটি গঠন: এদিকে, চলতি বছরের ১৭ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বিএসইসিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পুঁজিবাজারে মনিটরিং বাড়ানো, বিনিয়োগ আকর্ষণ ও বাজারকে স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আলোচ্য কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী। এর সদস্য সচিব থাকবেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ফারজানা লালারুখ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকুল ইসলামকে কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কমিটিতে সদস্য হিসেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ইন্স্যুরেন্স ও ক্যাপিটাল মার্কেট ডিপার্টমেন্টের এক জন অতিরিক্ত সচিবকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ কমিটি বিএসইসিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পুঁজিবাজারে মনিটরিং বাড়ানো, বিনিয়োগ আকর্ষণ ও বাজারকে স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে সুপারিশ করবে। এছাড়াও এ কমিটি পুঁজিবাজারে তারল্য তথা অর্থের প্রবাহ বাড়ানো, করপোরেট গভর্ন্যান্সের মান উন্নয়ন এবং নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তির জন্য উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়েও সুপারিশ করবে। এ নিয়ে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম বলেন, ‘পূর্বের উপদেষ্টা কমিটি বাতিল করা হয়েছে। প্রয়োজন সাপেক্ষে বিএসইসি তা নতুন করে করবে।’