‘তোরে যেখানে পামু মাইরা ঠ্যাং ভাইঙ্গা দিমু’


‘তোরে যেখানে পামু মাইরা ঠ্যাং ভাইঙ্গা দিমু’

সরকারি প্রকল্পের কাজে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে গিয়ে চরম হুমকির মুখে পড়েছেন এক সাংবাদিক। "তোরে যেখানে পামু, সেখানেই মাইরা ঠ্যাং ভাইঙ্গা দিমু" - এমন ভয়ংকর ভাষায় হুমকি দিয়েছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও স্থানীয় বিএনপি নেতা।

সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে গাজীপুর ইউনিয়নের একটি সড়কে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ যাচাই করতে গিয়ে এই হুমকি শিকার হন এটিএন নিউজের শ্রীপুর উপজেলা প্রতিনিধি সিহাব খান। পরদিনই ৪ মিনিট ২৫ সেকেন্ডের একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা দ্রুত ভাইরাল হয়।

ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে সিহাব খান জানান, তিনি স্থানীয়ভাবে সরকারি অর্থায়নে নির্মাণাধীন একটি সড়কে নিুমানের ছয় নম্বর ইট ব্যবহারের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। এরপরই কাজল মিয়া নামের একজন ব্যক্তি, যিনি নিজেকে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যের ছেলে হিসেবে পরিচয় দেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ফোনটি পরবর্তীতে ইউপি সদস্য ও গাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি নূরুল আলম নিজের হাতে নিয়ে কথা বলেন।

ফোনালাপে নূরুল আলম বলেন, "আপনি কে জানি? বেডার রাস্তা বেডা ট্যাহা দিইয়া করতাছে। আপনি ইউএনওকে ফোন করেন ক্যান? আমার এলাকায় আসলে ঠ্যাংয়ের নালা ভাইঙ্গা ফেলবো। ছয় নম্বর ইট দিইয়া রাস্তা করলে তোর সমস্যা কী?" এরপর তিনি আরও অশ্রাব্য ভাষায় সিহাবকে গালাগাল করেন।

বিষয়টি নিয়ে পরে নূরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, "আমি রাগের মাথায় এই কথা বলে ফেলছি। রাস্তায় কোনো অনিয়ম করা হয়নি।" তবে তার বিরুদ্ধে এর আগেও রাজনৈতিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ ছিল। বিএনপির একটি অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখার অভিযোগে গত বছরের ৪ নভেম্বর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছিল।

গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. মাহবুব আলম জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন এবং তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারিক জানিয়েছেন, সাংবাদিক সিহাব থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×