দেশে প্রতি ৪ জনে একজন এখন উচ্চ দারিদ্রসীমার নিচে: পিপিআরসি
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:৪৫ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২৫

গত তিন বছরে দেশে দারিদ্র্যের হার ১০ শতাংশ বেড়ে বর্তমানে ২৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি)। সোমবার রাজধানীর এলজিইডি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
পিপিআরসির গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে প্রতি চারজনের একজন এখন উচ্চ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছেন। গবেষণার ভিত্তি ছিল দেশের ৮ হাজার ৬৭টি পরিবারের ৩৩ হাজার ২০৭ জন সদস্যের তথ্য। এতে আরও উঠে আসে, ২০২২ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০২৫ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৯২ শতাংশে।
পিপিআরসির গবেষণা সহযোগী নামিরা শামীম বলেন, “৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। অন্যদিকে ২৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার উপরে বাস করছে। ৩ বছরে দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ থেকে ২৭ দশমিক ৯২ শতাংশ হয়েছে।”
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালে অতি দারিদ্র্যের হার ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ২০২৫ সালে বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ ছাড়া পিপিআরসির গবেষণায় বলা হয়, দেশের ১৮ শতাংশ পরিবার যেকোনো সময় গরিব হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
তিন বছরে শহর অঞ্চলের পরিবারের গড় আয় কমেছে, তবে ব্যয় বেড়েছে। অন্যদিকে গ্রামীণ পরিবারের গড় আয় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী, একটি পরিবার মাসে গড়ে ১০ হাজার ৬১৪ টাকা ব্যয় করে, যার ৫৫ শতাংশ খাবার কেনায় যায়। শিক্ষায় গড়ে ১ হাজার ৮২২ টাকা ও চিকিৎসায় ১ হাজার ৫৫৬ টাকা খরচ হয়।
পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, “বটম ২০ পারসেন্ট ধরলেও খরচ আয়ের তুলনায় বেশি। বটম ৪০ শতাংশ ধরলেও কিন্তু খরচ আয়ের তুলনায় বেশি। মিডল ক্লাসেও কিন্তু খরচ আয়ের তুলনায় বেশি।”
তিনি আরও বলেন, শুধু জিডিপি নিয়ে আলোচনা না করে সমতা, ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীনতা ও নাগরিক কল্যাণকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনার পরিধি বাড়ানো উচিত।