জুবায়েদ হত্যা: ছাত্রী বর্ষাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১২:৫০ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২৫

ছাত্রদল নেতা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জুবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় তার ছাত্রী বর্ষাসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নিহতের ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত রাজধানীর বংশাল থানায় মামলাটি করেন।
এজাহারে নাম রয়েছে বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৯), মো. মাহির রহমান (১৯) ও ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০)-এর। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও চার থেকে পাঁচজনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, জুবায়েদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করতেন। রোববার, ১৯ অক্টোবর, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তিনি নিয়মিত পাঠদানের উদ্দেশে বংশালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নুর বক্স লেনের রৌশান ভিলায় যান বর্ষাকে পড়াতে।
সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে বর্ষা ফেসবুক মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠিয়ে জুবায়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই সৈকতকে জানান, “জুবায়েদ স্যার খুন হয়েছে। কে বা কারা খুন করেছে।”
রাত ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. কামরুল হাসান ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সৈকতকে। এরপর তিনি তার শ্যালক শরীফ মোহাম্মদকে সঙ্গে নিয়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
এনায়েত হোসেন বলেন, রৌশান ভিলার নিচতলা থেকে উপরের দিকে ওঠার সময় সিঁড়ি ও দেয়ালে রক্তের দাগ দেখতে পান। তৃতীয় তলার পূর্ব পাশে সিঁড়িতে গিয়ে তারা জুবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উপুড় অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল স্পষ্ট।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য এবং আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত। আসামিরা মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করে জুবায়েদকে হত্যা করেছে বলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন।
এনায়েত হোসেন আরও বলেন, “পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি। সোমবার আমাদের মানসিক অবস্থা ভালো না থাকায় মামলা করতে একদিন দেরি হয়েছে। মামলায় যারা প্রকৃত আসামি আমরা তাদের নাম উল্লেখ করেছি। আমরা চাই কোনো নির্দোষ ব্যক্তি যেন ফেঁসে না যায়। যারা প্রকৃত অপরাধী তারাই শাস্তি পাক। মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করেছি তাদের সকলকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা সুষ্ঠ বিচার চাই।”