
হাজতখানায় পড়ে গিয়ে রক্তাক্ত কামরুল ইসলাম
দুদকের এক মামলায় হাজিরার জন্য সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে হাজতখানার টয়লেটে পড়ে রক্তাক্ত হন তিনি। সোমবার (২৬ মে) কামরুল ইসলামের আইনজীবী নাসিম মাহমুদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। আইনজীবী নাসিম মাহমুদ বলেন, ‘গত নভেম্বর থেকে উনি জেলহাজতে আটকে আছেন। ওনার ওজন কমে যাচ্ছে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। উনি বেশ অসুস্থ, পাকস্থলীর ক্যানসারে আক্রান্ত। আজ হাজতখানার টয়লেটে পড়ে গিয়ে মাথার পেছনের সাইডে আঘাত পাওয়ার পর রক্তাক্ত হয়েছেন। হাজতখানায় মাথায় ব্যান্ডেজ দিয়ে কেরাণীগঞ্জ কারাগারের হাসপাতালে পাঠানো হয়।’

ইশরাককে আজকের মধ্যে শপথ পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে আজেকের মধ্যে শপথ পড়াতে স্থানীয় সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ইশরাক হোসেনের পক্ষে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন তার আইনজীবী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী এহসানুর রহমান। বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে খোকন বলেন, হাইকোর্টের রায়ের পরও ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ না পাড়ালে এবার আদালত অবমাননা হবে। আদালত মামলা খারিজ করায় ইশরাকের শপথ নেওয়ায় আর কোনো বাধা রইল না। আগামী ২৬ মে এর মধ্যে তাকে শপথ পড়াতে হবে। বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা। গত ১৯ মে বিকালে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ফেসবুক পোস্টে ১০টি পয়েন্টে এর ব্যাখ্যা করেন। সেখানে বলা হয়েছে, আইনি জটিলতার কারণে শপথ পড়ানো যাচ্ছে না ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে। অথচ বিএনপির আন্দোলনকে উদ্দেশ করে তিনি লিখেছেন, আন্দোলনের যৌক্তিকতা না থাকলেও তারা গায়ের জোরে নগরভবন বন্ধ করে আন্দোলন করছেন। একটি মহল শপথ বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেটা ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, শপথ না পড়ালে আদালত অবমাননা হবে। আশা করি, সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাস করবে। ট্রাইব্যুনাল এবং হাইকোর্ট ডিভিশনালের আজকের রায়ের প্রতি আস্থা রেখে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার শপথের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার। বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা। গত ১৯ মে বিকালে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ফেসবুক পোস্টে ১০টি পয়েন্টে এর ব্যাখ্যা করেন। সেখানে বলা হয়েছে, আইনি জটিলতার কারণে শপথ পড়ানো যাচ্ছে না ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে। অথচ বিএনপির আন্দোলনকে উদ্দেশ করে তিনি লিখেছেন, আন্দোলনের যৌক্তিকতা না থাকলেও তারা গায়ের জোরে নগরভবন বন্ধ করে আন্দোলন করছেন। ফেসবুক পোস্টে দেওয়া ব্যাখ্যার মধ্যে রয়েছে-১. আর্জি সংশোধন অবৈধ মর্মে হাইকোর্টের রায় ভায়োলেট করে নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনাল এই রায় দিয়েছে ২. নির্বাচন কমিশন শুনানিতে অংশগ্রহণ না করায় একপাক্ষিক রায় হয়েছে এবং পরে কমিশন আপিলও করেনি ৩. আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হলেও মতামত দেওয়ার আগেই এবং একই সঙ্গে দুজন নাগরিকের পাঠানো লিগ্যাল নোটিশ উপেক্ষা করে রাত ১০টায় গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন ৪. উক্ত মামলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ পক্ষভুক্ত ছিল না এবং রায়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোনো নির্দেশনার উল্লেখ নেই ৫. শপথ না দেওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার বিভাগকে বিবাদী করে রিট করা হয়েছে, যা এখনো বিচারাধীন ৬. বরিশাল সিটি করপোরেশন সংক্রান্ত মামলায়, আর্জি সংশোধনসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়কে আমলে নিয়ে খারিজ করেছে ট্রাইব্যুনাল। এতে ট্রাইব্যুনালের দ্বিমুখী অবস্থান বোধগম্য হচ্ছে না ৭. মেয়াদসংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিয়েছে; কতদিন মেয়র থাকবেন বা আদৌ মেয়াদ আছে কিনা তা স্পষ্ট নয় ৮. নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে কোন প্রকার আইনি জটিলতা না থাকলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। স্পষ্টতই বিতর্কিত রায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোনো নির্দেশনা না থাকা, লিগ্যাল নোটিশ ও রিট পিটিশন বিচারাধীন থাকা সংক্রান্ত আইনি জটিলতা রয়েছে ৯. এই জটিলতা নিরসনে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে ও ১০. আওয়ামী আমলের অবৈধ নির্বাচনগুলোকে বৈধতা দেওয়ার প্রশ্নও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি স্বীকার করে যে, আওয়ামী আমলের নির্বাচনগুলো বৈধ, তবে সরকারের জন্য এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না।

মাস্ক পরে আদালতে পরীমনি
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলার বাদী চিত্রনায়িকা পরীমনি আদালতে হাজির হয়েছেন। সোমবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকার আদালতে হাজির হন তিনি। এ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করবেন বলে জানা গেছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে সাভার থানায় মামলা করেন পরীমনি।তদন্ত শেষে ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২২ সালের ১৮ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। একই বছরের ২৯ নভেম্বর পরীমনির আংশিক জবানবন্দির মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। গত বছরের ২৪ জুলাই আদালতে জবানবন্দি দিতে ইতস্ত বোধ করেন পরীমনি।তার আইনজীবী ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে বিচারকাজ করার আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। পরবর্তী সময়ে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর এ মামলায় পরীমনির জবানবন্দি রেকর্ড শেষ হয়।

নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত ধারার বৈধতা নিয়ে রিট খারিজ
নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশের কয়েকটি বিতর্কিত ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২৬ মে) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালত বলেছেন, এই সুপারিশ এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এটা প্রি-ম্যাচিউর্ড।এই সুপারিশ সরকার বাস্তবায়ন করলে রিটকারী চাইলে আদালতে আসতে পারবেন। এর আগে গত ৪ মে সু্প্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী এ রিট দায়ের করেন। সে সময় আইনজীবী বলেন, ‘উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট, ২০২৫’ -এর অধ্যায় ৩, ৪, ৬, ১০, ১১ এবং ১২-এ অন্তর্ভুক্ত সুপারিশসমূহ ইসলামী শরীয়তের বিধানসমূহের পরিপন্থি, জনগণের ধর্মীয় অনুভূতির পরিপন্থি এবং বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায়, এই বিষয়ে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। ‘উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট, ২০২৫’- এই রিপোর্টটি ৩১৮ পৃষ্ঠাব্যাপী এবং সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ও আলোচিত হয়েছে। রিপোর্টের বিভিন্ন সুপারিশ ইসলামী শরীয়ত, আমাদের সংবিধান এবং দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মূল্যবোধের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। রিটে তিনটি মন্ত্রণালয় এবং উইমেন রিফর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান বিবাদী করা হয়েছিল।

জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুলের আপিলের রায় মঙ্গলবার
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের ওপর রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল মঙ্গলবার। মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ রায় ঘোষণা করবেন। সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়। গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) আপিল বিভাগের একই বেঞ্চে শুনানি শেষে রায়ের জন্য ২৭ মে দিন ধার্য করেন। আদালতে ওইদিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা-হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং বাড়িঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে ২ নম্বর, ৩ নম্বর এবং ৪ নম্বর অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পান জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলাম। এ ছাড়া ৫ নম্বর অভিযোগে অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অমানবিক অপরাধের দায়ে ২৫ বছর ও ৬ নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। আপিল বিভাগের রায়ে ২, ৩, ৪ (সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে) ও ৬ নম্বর অভিযোগের দণ্ড বহাল রাখা হয়। আর ৫ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়। ওইদিন আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী (প্রয়াত) খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন (প্রয়াত) অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ওই রায়ের রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট আবেদন করেছিলেন এটিএম আজহারুল ইসলাম। ২৩ পৃষ্ঠার পুনর্বিবেচনার এ আবেদনে মোট ১৪টি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। ওই পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এটিএম আজহারুল ইসলামকে আপিলের অনুমতি দেন। এরপর তিনি আপিল করেন।

ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকায় শিক্ষার্থী আনাসসহ ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি পলাতক ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রোববার (২৫ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন। অভিযুক্তদের মধ্যে বর্তমানে চারজন কারাগারে রয়েছেন এবং বাকি চারজন পলাতক। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ আলম, মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন, দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান মশহুদ চৌধুরী, হাবিবুর রহমান ও আবুল হাসান মনজুর। তাদের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে ‘মিথ্যা’ অভিযোগ সৃষ্টি করে মামলা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। রোববার (২৫ মে) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তা তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী হোসেন আলী খান (হাসান) এ তথ্য জানান।

মেয়র হিসেবে শপথ নিতে হাইকোর্টে ইশরাক হোসেনের রিট
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ নিতে হাইকোর্টে রিট করেছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। রোববার সকালে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন তিনি। এর আগে বৃহস্পতিবার ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট খারিচ করেন বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, এ রিট করার এখতিয়ার না থাকায় রিটটি খারিজ করা হলো। একইসঙ্গে নির্বাচনি ফোরামের মামলা অন্য ফোরামে না গিয়ে এখানে আসা ঠিক হয়নি বলেও উল্লেখ করেন আদালত। গত ১৪ মে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। সেই সঙ্গে ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করা ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও চাওয়া হয় রিটে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা মো. মামুনুর রশিদের পক্ষে আইনজীবী কাজী আকবর আলী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেছিলেন।

আশুলিয়ায় ছয় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তারা ট্রাইব্যুনালে
জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সাভারের আশুলিয়ায় ছয় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। রোববার (২৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টার পর প্রিজন ভ্যানে কারাগার থেকে তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। জানা গেছে, এরই মধ্যে এ মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। আজ প্রসিকিউশনের কাছে তদন্ত বা অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি অভিযোগ করা হয়। দুটি অভিযোগই অভিন্ন হওয়ায় একটি মামলা হয়। এ মামলায় গত ২৪ ডিসেম্বর স্থানীয় এমপি (সাবেক) সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তিনি এখনো পলাতক। তবে মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, তৎকালীন ওসি এ এফ এম সায়েদ, ডিবি পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক এবং কনস্টেবল মুকুলকে গ্রেপ্তার রয়েছেন।

সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
রাজধানীর চাঁনখানপুল এলাকায় শিক্ষার্থী আনাসসহ ছয়জনকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে পলাতক ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রোববার (২৫ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুলাল অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন। অভিযুক্তদের মধ্যে চারজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন, বাকি চারজন পলাতক। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ আলম, মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম।

পাপিয়ার কারাদণ্ড, খালাস পেলেন স্বামীসহ ৪ জন
অর্থপাচার আইনে করা মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন এ রায় দেন। পাশাপাশি তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তবে মামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তার স্বামীসহ চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী, পাপিয়ার সহযোগী সাব্বির খন্দকার, শেখ তায়িবা নূর ও জুবায়ের আলম। ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।একই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরে বাংলা নগর থানার মাদক ও অস্ত্র মামলা, গুলশান থানায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলা, বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে (জাল টাকার) মামলা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর অর্থপাচার আইনের মামলায় পাপিয়াসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের আরেক পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন। ২০২২ সালের ২১ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিচার শুরু হয়। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, অবৈধভাবে পাঁচ কোটি টাকার মালিক হন পাপিয়ার স্বামী মফিজুর। এই টাকার কথা কেউ যাতে জানতে না পারে, সেজন্য তা ব্যাংকে না রেখে বাসার খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন। বাসায় এত টাকা রাখার তথ্য স্ত্রী পাপিয়াকেও জানাননি তিনি। তবে মফিজুর যখন ভারতে অবস্থান করেন, তখন পাপিয়া বাসার খাটের নিচে টাকা থাকার তথ্য জেনে যান এবং এই অবৈধ টাকা পরে খরচ করেন। এর মধ্যে হোটেল ভাড়া দেন তিন কোটি টাকার বেশি।

জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্য ও ডাকাতি মামলা
মনোনয়ন বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের, জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শনিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এ মামলা করেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী নাজমিন সুলতানা তুলি। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি পরবর্তী আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- জাপার অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম, জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদের, উত্তরা গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক ডিসি আকরাম, গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের সাবেক এডিসি নাজমুল, বিমানবন্দর জোনাল টিমের এসআই পবিত্র সরকার এবং ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির সদস্য মো. সাঈদুল ইসলাম। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘জি এম কাদেরের প্রত্যক্ষ মদদে অন্য আসামিরা ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যে লিপ্ত হন এবং বাদীকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে মেসেজ পাঠান। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিংয়ে বাদী প্রতিবাদ করলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং এতে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বৃদ্ধি পায়। পরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কতিপয় দুর্নীতিগ্রস্ত সাবেক কর্মকর্তার সহযোগিতায় ও অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জন লোক নিয়ে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটায় বাদীর বাসার দরজা ভেঙে প্রবেশ করে আসবাবপত্র, সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, মোবাইল, ল্যাপটপসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বাদী এসব নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিলে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।’ এ বিষয়ে মামলার বাদী নাজমিন সুলতানা তুলি সমকালকে বলেন, ‘নরসিংদী-৪ আসন থেকে আমি জাপার মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলাম। জিএম কাদের আমার কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। আমি না দিলে মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করেন এবং দলীয়ভাবে অপদস্ত করে। তাঁকে সহযোগিতা করেন ডিবি হারুনসহ প্রশাসনের অন্যান্যরা। আওয়ামী সরকারের পতন হলেও এখনও তারা বিভিন্নভাবে শক্তি সঞ্চয়ের চেষ্টায় লিপ্ত। আমি দীর্ঘদিন ট্রমায় ভুগেছি এবং সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্নের শিকার হয়েছি। যারা রাজনীতিকে কলুষিত করেছেন, আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’

সাবেক বিমান বাহিনী প্রধানসহ পরিবারের ৩৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৩৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব শনিবার এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেছেন, ৩৮টি ব্যাংক হিসাবের মধ্যে শেখ আব্দুল হান্নানের নামে পাঁচটি, তার ছেলে শেখ লাবিব হান্নানের নামে ১টি এবং ৩২টি ব্যাংক হিসাব আছে স্ত্রী তাহমিদা বেগমের নামে। এসব হিসাবে এক কোটি ১৮ লাখ ৩৪ হাজার ৩২২ টাকা রয়েছে। দুদকের পক্ষে সংস্থার উপপরিচালক তানজিব হাসিব সরকার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, শেখ আব্দুল হান্নান ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ, পরিবার ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে তথ্য পাওয়া গেছে। এসব সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তরের চেষ্টা চলছে জানিয়ে জরুরি ভিত্তিতে তা জব্দ ও অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ৫ মে শেখ আব্দুল হান্নান পরিবারের তিন সদস্যের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। পরদিন তার জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয় আদালত।

হাইকোর্ট নিয়ে বিরূপ মন্তব্যে ক্ষমা চাইতে সারজিস আলমকে লিগ্যাল নোটিশ
হাইকোর্ট নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় লিখিতভাবে ও সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ্য ক্ষমা চাইতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। শনিবার (২৪ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন সারজিস আলমকে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা-প্রসিকিউটরও গ্রেফতার করতে পারবেন
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা গ্রেফতার করতে পারবেন-এমন ক্ষমতা দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কার্যপ্রণালি বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে। এছাড়া ট্রাইব্যুনাল কোনও আসামি বা আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রসিকিউটর পরোয়ানাভুক্ত আসামি বা আসামিদের গ্রেফতার করতে পারবেন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সংশোধিত এই কার্যপ্রণালি বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্র্যাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সদস্য এম মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী ও মো. শফিউল আলম মাহমুদের আদেশক্রমে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ এস এম রুহুল ইমরান এই প্রজ্ঞাপন জারি করেন। ২০১০ সালের কার্যপ্রণালি বিধিমালার ২৪টি বিধিতে সংশোধন আনা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি বিধি একেবারেই বিলুপ্ত এবং বাকি ১৯টি আংশিক বা পুরোপুরি বিলুপ্ত করে নতুন বিধি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিধি ৬। যেখানে ২০১০ সালের বিধি বিলুপ্ত করে প্রতিস্থাপন করা বিধি ৬-এ বলা হয়েছে, ‘যদি তদন্ত কর্মকর্তার বিশ্বাস করার কারণ থাকে যেকোনও অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তাহলে তিনি নিজে ঘটনাস্থলে যাবেন, মামলার তথ্য ও পরিস্থিতি তদন্ত করবেন এবং অভিযুক্ত সন্দেহভাজন বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেফতার করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান করতে পারবেন।’ এই বিধিতে আরও বলা হয়েছে, ‘তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেফতার, আবিষ্কার এবং জব্দ করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তাও চাইতে পারেন।’ অন্যদিক, কার্যপ্রণালি বিধির ৯(১) বিধি বিলুপ্ত করে তা নতুনভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা তদন্তকারী কর্মকর্তা অথবা আইনের ৮(২) ধারার অধীনে তদন্তকারী প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনাল জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করবেন।’ এছাড়া সংশোধিত বিধিতে ‘অভিযুক্ত’ হিসেবে ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনকেও রাখা হয়েছে। আর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের ক্ষেত্রে চিফ প্রসিকিউটরকে কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ কার্যপ্রণালি বিধি-২০১০ (সংশোধিত) অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

রিমান্ড শেষে কারাগারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব জাহাঙ্গীর
রাজধানীর চানখারপুলে শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদ হত্যার ঘটনায় বংশাল থানায় হওয়া মামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম এই আদেশ দেন। এদিন দুই দিনের রিমান্ড শেষে জাহাঙ্গীর আলমকে কারাগার থেকে সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত তা মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১৪ মে এ মামলায় জাহাঙ্গীর আলমকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২০ মে তাকে এ মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে গত ১ অক্টোবর রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় সাবেক এই স্বরাষ্ট্র সচিবকে। মামলার সূত্রে জানা যায়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদ একটি মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। ওইদিন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ করে। এ সময় আসামিদের ছোঁড়া বুলেটে শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। পরে ভিকটিমকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর বংশাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে নিহত মেহেদীর পরিবার।

অভিনেত্রী শাওন-ডিবি হারুনসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সৎ মা নিশি ইসলামের দায়ের করা মামলায় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম ছানাউল্ল্যাহ বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট মো. পিন্টু আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা মামলার অপর আসমিরা হলেন– ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম, মেহের আফরোজ শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী, বোন মাহিন আফরোজ শিঞ্জন, সেঁজুতি, সাব্বির, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপ-পরিদর্শক শাহ আলম এবং মোখলেছুর রহমান মিল্টন। তাদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও শাহ আলম জামিনে আছেন। অপর ১০ আসামি পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গত ২২ এপ্রিল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এদিকে আজ জামিনে থাকা দুই আসামি আদালতে হাজিরা দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ সুমন জানান, আজ মামলার তারিখ ধার্য ছিল। মামলা চলমান থাকা বস্থায় আসামিরা যেন দেশের বাইরে যেতে না পারেন এ জন্য তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন। জানা গেছে, গত ১৩ মার্চ শাওনের সৎ মা নিশি ইসলাম হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে ১২ জনকে আসামি করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ৫০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী আগের স্ত্রীর কথা গোপন রেখে ও প্রতারণা করে প্রলোভন দেখিয়ে নিশি ইসলামকে বিয়ে করেন। পরে তিনি জানতে পারেন মো. আলী আগেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তার আগের একটি ছেলে ও তিনটি মেয়ে রয়েছে। বিয়ের বিষয়টি জানতে চাইলে মোহাম্মদ আলী বিভিন্ন রকমের ছলনা ও প্রতারণার আশ্রয় নেন এবং তার সব প্রতারণার কথা স্বীকার করেন। পরে ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী সাব্বির বাদীর বাড়িতে এসে বিয়ের সম্পর্ক গোপন রাখার জন্য হুমকি দেন। ৪ মার্চ মো. আলী নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে বাদীকে গুলশানের বাসায় যাওয়ার জন্য বলেন। তখন তার আগের স্ত্রীকে দেখে আসামির প্রতারণার বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পান বাদি। এ সময় অন্য আসামিরা তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন। পরদিন আবারও শাওন ও এডিসি নাজমুলসহ অন্য আসামিরা বাদীর বাড়িতে ঢুকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে। স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানানোতে শাওন তাকে বেধড়ক মারধর করেন। এর ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যায়। এরপর ওই বছরের ২৪ এপ্রিল বাদীকে ডিবির অফিসে ডেকে নেন ডিবি পরিদর্শক শাহ জালাল। সেখানেও শাওনসহ অন্যান্য আসামিরা মারধর করেন। এ সময় ডিবি প্রধান হারুন বাড্ডা থানার ওসিকে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা নিতে বলেন। পরে এ মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে এবং মাদক ব্যবসায়ী সাজায়।

হাইকোর্টে ডা. জুবাইদা রহমানের করা আপিলের শুনানি শুরু
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের হাইকোর্টে করা আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ আপিল শুনানি শুরু করেছেন ডা. জুবাইদা রহমানের পক্ষের আইনজীবীরা। এই মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে গত ১৪ মে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জুবাইদা রহমানকে জামিন দেন। সেই সাথে নিম্ন আদালতে থাকা এই মামলার নথি তলবের পাশাপাশি জুবাইদা রহমানের অর্থদণ্ড স্থগিত করেন। সেদিন আদালতে জুবাইদা রহমানের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সাথে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন ও আইনজীবী মাকসুদ উল্লাহ। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আসিফ হাসান। সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরের বছর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ২ আগস্ট এই মামলায় রায় দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে তারেক রহমানকে ৯ বছর কারাদণ্ড এবং তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে এই মামলায় জুবাইদা রহমানের কারাদণ্ড ১ বছরের জন্য স্থগিত করে গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে।

শপথ না পড়ালে আদালত অবমাননা: ইশরাকের আইনজীবী
আদালতের রায়ের পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ালে আদালত অবমাননা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার (২২ মে) আদালতের আদেশের পর ইশরাকের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, গড়িমসি না করে এখন সরকারের দায়িত্ব ইশরাক হোসেনের শপথের ব্যবস্থা করা। হাইকোর্টের আদেশের পরও শপথ না পড়ালে সেটা হবে আদালত অবমাননা। আমরা আশা করি সরকার কোনো ধরনের কালক্ষেপণ না করে ইশরাক হোসেনের শপথের ব্যবস্থা করবে। ইশরাককে শপথ না করাতে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, রিট আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। এই আদেশের ফলে ইশরাক হোসেনকে শপথ দিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আদালতে ইশরাকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাদের সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান ও অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ। অপরদিকে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন। গত ২১ মে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষ হয়। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার (২২ মে) দিন ধার্য করা হয়। ১৪ মে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। সেই সঙ্গে বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করা ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও চাওয়া হয় রিটে।গত ১৪ মে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা মো. মামুনুর রশিদ। আবেদনকারীর আইনজীবী কাজী আকবর আলী। ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাচন হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। গত ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের রায়ের অনুলিপি পেয়ে গত ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় সাংবিধানিক সংস্থাটি। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইশরাকের শপথ আটকাতে আপিল করবেন রিটকারীর আইনজীবী
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণে বাধা দিতে চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারী পক্ষের আইনজীবী জহিরুল ইসলাম মুসা। বৃহস্পতিবার (২২ মে) হাইকোর্টের আদেশের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

রিট খারিজ, মেয়র হিসেবে ইশরাককে শপথ পড়াতে বাধা নেই
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে, ইশরাক হোসেনকে শপথ দিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ রহিত করে অধ্যাদেশ জারি
সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ রহিত করে অধ্যাদেশ জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সাইবার সুরক্ষার নিশ্চিতকরণ, সাইবার স্পেসে এ সংঘটিত অপরাধ শনাক্তকরণ, অপরাধের বিচার এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। বুধবার (২১ মে) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন বিচারক ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগের সচিব ডক্টর হাফিজ আহমেদ চৌধুরী অধ্যাদেশে এ স্বাক্ষর করেন। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ২১ মে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে বর্ণিত প্রণীত নিম্নে উল্লেখিত অধ্যাদেশটি জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করা হলো। অধ্যাদেশ নম্বর ২৫, ২০২৫। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ রহিত ক্রমে সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং সাইবার স্পেসে সংগঠিত অপরাধ শনাক্তকরণ প্রতিরোধ দমন ও উক্ত অপরাধের বিচার এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত অধ্যাদেশ জারি করা হলো। গেজেটে বলা হয়, ২০২৩ সালের সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হয়েছে। তবে ওই আইনের ১৭,১৮,১৯,২০,২২,২৩,৩০,৩২ ও ৩৫ ধারাসমূহ বলবৎ থাকবে।

ব্যারিস্টার সুমনের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর খিলগাঁও ও আদাবর থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। পৃথক দুই মামলায় ব্যারিস্টার সুমনের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। কেন ব্যারিস্টার সুমনকে জামিন দেয়া হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের জবাব আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে বলে জানান ব্যারিস্টার সুমনের আইনজীবী। আদালতে আজ ব্যারিস্টার সুমনের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম লিটন আহমেদ। সাথে ছিলেন অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার খুররম শাহ মুরাদ।

সাবেক কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, তার স্ত্রী শিরিন আকতার বানু ও মেয়ে ফারজানা আক্তার তন্দ্রার নামে থাকা নয়টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে মোট এক কোটি ৩৯ লাখ ৮ হাজার ৯৬ টাকা রয়েছে। বুধবার (২১ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। ফ্রিজ আদেশ হওয়া হিসাবের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাকের নিজ নামে চারটি ব্যাংক হিসাবে ৪২ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা, তার স্ত্রী শিরিন আকতার বানুর চারটি ব্যাংক হিসাবে ৬৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৫ টাকা ও তার মেয়ে ফারজানা আক্তার তন্দ্রার হিসাবে ২৮ লাখ টাকা রয়েছে। এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক তাদের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আব্দুর রাজ্জাক ও তার অন্যান্য আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্য, দলীয় পদ ও মনোনয়ন বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, সরকারি জমি দখলসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতপূর্বক এসিআই কোম্পানি ও আদম ব্যবসায়ী নূর আলীর মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচারসহ নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অনুসন্ধানকালে আব্দুর রাজ্জাকের নিজ নামে ও স্ত্রী-মেয়ের নামে অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এসব অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর, স্থানান্তর করার প্রচেষ্টা করতে পারেন। অনুসন্ধান নিষ্পত্তির আগে এসব সম্পদ হস্তান্তর, স্থানান্তর হয়ে গেলে পরবর্তীতে এই সম্পদ উদ্ধার করা দুরূহ হবে। তাই অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজ করা আবশ্যক।