আজ ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:৩১ এম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিতের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদন আজ আপিল বিভাগে শুনানির জন্য নির্ধারিত রয়েছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার পর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাইকোর্টের রায় বুধবার পর্যন্ত স্থগিত রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদন আপিল বিভাগে পাঠানো হয়। এই আদেশ দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
আদালতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এবং রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
গত সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলেও আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের রায় ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত রাখার আদেশ স্থগিত করেন। তখনও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব তাৎক্ষণিক একটি হাতে লেখা আবেদনের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগে আবেদন করার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার আপিল বিভাগে আবেদন দাখিল করে।
হাইকোর্ট ১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে ডাকসু নির্বাচন ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিতের আদেশ দিয়েছিল। বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এই আদেশ আসে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত ছাত্রশিবির সমর্থিত জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানির পর। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
আদেশে রিটকারী বিএম ফাহমিদা আলমকে ফরহাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ১৫ দিনের মধ্যে ডাকসুর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চেম্বার আদালতে আবেদন করে।
গত ৩১ আগস্ট বিএম ফাহমিদা আলম রিটটি দায়ের করেন। তিনি বামজোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী। তার পক্ষে আদালতে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
এর আগে, ২৬ আগস্ট প্রকাশিত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় দেখা যায়, ডাকসু নির্বাচনে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মনোনয়ন জমাদানকারী প্রার্থীদের মধ্যে ২৮ জন স্বেচ্ছায় প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন এবং বাছাইয়ে বাদ পড়া ১০ জন প্রার্থী আপিল না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, সহ সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যান্য সম্পাদকীয় পদে যেমন মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক, আন্তর্জাতিক সম্পাদক, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক, সমাজসেবা, স্বাস্থ্য, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রার্থীরা।
সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাচ্ছে সদস্য পদে, যেখানে ২১৭ জন প্রার্থী লড়ছেন। মোট ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী।