অশ্রুসজল চোখে ক্ষমা চাইলেন আইজিপি মামুন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৪:২৯ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আসামি থেকে রাজসাক্ষীতে পরিণত হওয়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন স্বীকার করেছেন, জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের সময় ব্যাপক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনার জন্য তিনি গভীর অনুতাপ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “এত বড় গণহত্যা আমার দায়িত্ব পালনের সময় সংঘটিত হয়েছে, যার জন্য আমি দোষ ও দায় স্বীকার করছি। দেশবাসী, নিহত, আহত পরিবার ও ব্যক্তির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।”
ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের সামনে তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। অপর দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। সকালেই তাকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। দুপুরের বিরতির আগে অংশবিশেষ সাক্ষ্য দেন তিনি, পরে বিকেলে আবারও জবানবন্দি উপস্থাপন করবেন।
এটি তার নিজের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের ১১তম দিন। প্রসিকিউশন সূত্র জানিয়েছে, ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলাটিতে বর্তমানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। তারা দুজনই পলাতক আসামি। ইতোমধ্যে ৩৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, গত ১০ জুলাই চৌধুরী মামুন স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন জানান। এরপর থেকে তিনি ধারাবাহিকভাবে জবানবন্দি দিচ্ছেন।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ট্রাইব্যুনালে বর্ণনা দিয়েছেন হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহতা নিয়ে। তাদের দাবি, শেখ হাসিনা, কামালসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।