সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ৮ জুলাই

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ জুলাই দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত।এ নিয়ে ১১৮ বারের মতো প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় পেলো তদন্ত সংস্থা। আজ (২১ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন। এদিকে মামলার গ্রেফতারকৃত আসামি তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা অনুমতি চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। মিরপুর মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম রাসেল বাসস’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিগত ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া করা বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব র‌্যাব থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গঠিত একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের কাছে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।াএকই সঙ্গে তদন্ত শেষে ছয় মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এদিকে তদন্ত শেষ করে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হাইকোর্টের দেওয়া সময় ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এ অবস্থায় তদন্ত চলমান ও অগ্রগতি আছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপক্ষ নয় মাস সময়ের আরজি জানায়। গত ২২ এপ্রিল শুনানি নিয়ে আদালত ছয় মাস সময় মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে আগামী ২২ অক্টোবর আদেশের জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেন।

মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের মামলা আপিলে বাতিল

সাংবাদিকদের প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা বাতিল করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বুধবার (২১ মে) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে মির্জা আব্বাসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তাদের সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস। ২০০৬ সালে তৎকালীন গৃহায়ন প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবিরের হস্তক্ষেপে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড নামের একটি সংগঠনকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে রাজধানীর মিরপুর ৮ নম্বরে সাত একরের একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই অভিযোগে ২০১৪ সালের ৬ মার্চ শাহবাগ থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তারা হলেন– সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা) আজহারুল হক, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ক্যাশিয়ার মো. মনুসর আলম ও হিসাব সহকারী মতিয়ার রহমান। আজহারুল হককে বাদ দিয়ে এবং মির্জা আব্বাস ও বিজন কান্তি সরকারের নাম অন্তর্ভুক্ত করে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন দুদকের উপ-পরিচালক হামিদুল হাসান। ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর মির্জা আব্বাসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪।

দ্রুত ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন আয়োজনে সিইসিকে চিঠি

জনভোগান্তি কমাতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন এক ব্যক্তি। বংশালের অধিবাসী হোসাইন মোহাম্মদ আনোয়ার মঙ্গলবার (২০ মে) এ চিঠি পাঠান। বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি নিজেই এবং তার আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আয়োজন করা প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বরাবর করা চিঠিতে বলা হয়েছে, বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী হোসাইন মো. আনোয়ার একজন সচেতন নাগরিক। জুলাই আন্দোলনের সংগঠক ও এনসিপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের রাজনৈতিক কর্মী। চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন না হওয়ায় প্রতিনিয়ত সিটি করপোরেশন তালাবদ্ধ করে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে করে জনহয়রানি ও ভোগান্তি বাড়ছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মো. শেখ ফজলে নূর তাপসের মেয়াদ শুরু হয় ২০২০ সালের ১৬ মে এবং ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনে পালিয়ে যান। ঢাকা উত্তরের আতিকুল ইসলাম কার্যক্রম শুরু হয় ২০২০ সালের ১৬ মে এবং ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট উনিও পালিয়ে যান এবং পরবর্তীতে গ্রেফতার হন। এরপর ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। স্বাভাবিক নিয়ম অনুসারে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়রের কার্যকালের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে গত ১৫ মে (২০২৫)। আরও বলা হয়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের অন্তত ২ কোটি জনগণ বাস করে। যদি নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকে তাহলে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা খুবই কষ্ট সাধ্য। এই বিশাল জনগোষ্ঠির ভোগান্তির আর শেষ থাকে না। নির্বাচন না দিয়ে জনগণের দৈনন্দিন নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে এবং মারাত্মক জটিলতা তৈরি করতেছে, যা নগর গঠনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।

ইশরাককে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের আদেশ আজ

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি শেষ, আজ বুধবার আদেশ দেবেন আদালত। বুধবার (২১ মে) বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেবেন। এর আগে, মঙ্গলবার (২০ মে) বিকালে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে এদিন ঠিক করেছেন। এদিন দুপুর ২টায় একই বেঞ্চ পুনরায় শুনানির জন্য বিকাল ৪টা নির্ধারণ করেন। ওই সময় আদালত বলেন, এ মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় বিকাল ৪টা ১০ মিনিট থেকে পুনরায় শুরু হবে। যত সময় লাগুক, আমরা শুনব। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন ও ইশরাকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এবং ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান। এর আগে গত ১৪ মে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। সে সঙ্গে বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করা ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও চাওয়া হয় রিটে। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা মো. মামুনুর রশিদ। আবেদনকারীর আইনজীবী কাজী আকবর আলী। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির (ডিএসসিসি) নির্বাচন হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক। চলতি বছরের ২৭ মার্চ সেই নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের রায়ের অনুলিপি পেয়ে গত ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় সাংবিধানিক সংস্থাটি। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন-ইসি। এদিকে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বসানোর দাবিতে বেশ কয়েক দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। আজও নগর ভবনের সামনে ‘ঢাকাবাসী’র ব্যানারে এ কর্মসূচি চলছে।

ধর্ষণ মামলায় কারাগারে নোবেল

অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে নোবেলকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক মুরাদ হোসেন তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্র পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদের আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে সোমবার রাত ২টার দিকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে নোবেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান জানান, গতকাল ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে অপহরণ, জিম্মি করে বিয়ের প্রলোভনে সাত মাস ধরে ধর্ষণ করে আসছিল অভিযোগে মামলা করেন, (মামলা নং ৩২)। জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তাকে ঢাকা মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে নোবেলকে গ্রেফতার করেছিল ডিবি পুলিশ। প্রতারণার অভিযোগে এক মামলায় সেবার গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি।

কোর্ট রুম ডিজিলাইজড : ট্রাইব্যুনালের বিচার করা যাবে লাইভ সম্প্রচার

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন‍্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এজলাস কক্ষ ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান। তাজুল ইসলাম লিখেছেন, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন‍্য কোর্ট রুম ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। ট্রায়ালের যে কোনো পর্ব আদালতের অনুমতিক্রমে সরাসরি কিংবা রেকর্ডকৃত পদ্ধতিতে গণমাধ্যমে কিংবা সামাজিক মাধ‍্যমে প্রচারিত হতে পারবে। এদিকে তাজুল ইসলামের পোস্ট শেয়ার করে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল লিখেছেন, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন‍্য কোর্টরুমে ডিজিটাল প্রযুক্তি সমৃদ্ধ করা হয়েছে বলে চিফ প্রসিকিউটর জনাব তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন। ট্রায়ালের যেকোনো পর্ব আদালতের অনুমতিক্রমে সরাসরি কিংবা রেকর্ডকৃত পদ্ধতিতে গণমাধ্যমে কিংবা সামাজিক মাধ‍্যমে প্রচারিত হতে পারবে। আমার অভিমত, পুরো বিচার প্রক্রিয়াটি সরাসরি সম্প্রচার করা উচিত। এতে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। বিচার নিয়ে অপপ্রচার বন্ধ হবে। বিচারকের অনুমতিক্রমে সম্প্রচার করার বিধান করা হলে, বিচারকরা বিতর্কিত হতে পারেন। কোন অংশটুকু সম্প্রচারযোগ‍্য তা নির্ধারণ নিয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া এত বড় একটা বিচার তো স্বচক্ষে দেখার অধিকার সাধারণ মানুষের আছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সব আদালতের বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার করা উচিত। এতে বিচার বিভাগের দুর্নীতি কমে যাবে। টাউট উচ্ছেদ হবে। আইনজীবীদের দক্ষতাও বৃদ্ধি পাবে। আইন পেশার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা বাড়বে।

কাশিমপুর কারাগারে নুসরাত ফারিয়া

অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৯ মে) আড়াইটার দিকে তাকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের মহিলা কারাগারের জেল সুপার কাওয়ালিন্নাহার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে একটি প্রিজনভ্যানে করে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আনা হয়েছে। ভাটারা থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নেওয়া হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে সকালে তাকে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রোববার (১৮ মে) নুসরাত ফারিয়াকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় করা একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ওই মামলায় তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আসামি করা হয়।

সিআইডির সাবেক প্রধানসহ ৬ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়াসহ ছয়জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৯ মে) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত বাকিরা হলেন- নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ, তার স্ত্রী হালিমা সুলতানা জিনিয়া ও তাদের তিন সন্তান। তিন সন্তানের নাম হলো- সাদ আল জাবির আব্দুল্লাহ, লাবিবা আব্দুল্লাহ ও মোসাম্মৎ হাবিবুন নাহার। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক সাজিদুর রোমান দুটি আবেদনে এ পরিবারটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। এসময় যেন তারা বিদেশে পালাতে না পারেন তাই দুদক থেকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়েছে। আদালত তা মঞ্জুর করেন।

ঘটনার সময় তিনি বাংলাদেশে ছিলেন না: নুসরাতের আইনজীবী

নুসরাতের আইনজীবী মোহাম্মদ ইফতেখার হাসান বলেছেন, আমি আজকে নুসরাত ফারিয়ার পক্ষে বেইলের (জামিন) শুনানি করি। আদালতকে বোঝানোর চেষ্টা করি যে, এই ঘটনার সময় নুসরাত বাংলাদেশে ছিলেন না। তখন তিনি কানাডাতে ছিলেন। সোমবার (১৯ মে) নুসরাত ফারিয়াকে আদালতে হাজিরের পর শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নুসরাত ফারিয়ার আইনজীবী মোহাম্মদ ইফতেখার হুসাইন সিফাত। তিনি বলেন, সরকার পক্ষের আইনজীবী যে বলেছেন- তিনি পালিয়ে যাচ্ছিলেন, বিষয়টি যুক্তিযুক্ত না। নুসরাত এর আগেও একাধিকবার দেশের বাইরে যাওয়া-আসা করেছেন। ২৫৮ জন আসামীর মধ্যে আমার মক্কেল (নুসরাত ফারিয়া) ২০৭ নম্বর।তিনি বলেন, আমি আজকে নুসরাত ফারিয়া পক্ষে বেইলের (জামিন) শুনানি করি। আদালতকে বোঝানোর চেষ্টা করি যে এই ঘটনার সময় উনি বাংলাদেশে ছিলেন না। উনি কানাডাতে অবস্থান করছিলেন। সেটার প্রমাণ হিসেবে আমরা পাসপোর্টের ডিপার্টচার ও অ্যারাইভাল যে কাগজটা আছে সেটা আদালতে পেশ করি। আদালত সেটা গ্রহণ করে এবং আদালত এটা পুলিশকে দেয়।নুসরাতের আইনজীবী বলেন, জুলাই পরবর্তী সময়েও তিনি দেশের বাইরে ও ভেতরে কাজ করেছেন। দেশের বাইরে কয়েকবার গিয়েছেন। পালাতে চাইলে তিনি বর্ডার ক্রস করে পালাতে পারতেন। বিমানবন্দরে যেতেন না। সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে নুসরাতের কোনো যোগাযোগ হয়েছিলো কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আব্দুল হামিদের সঙ্গে নুসরাত সম্পৃক্ত নয়। এছড়া আজ নুসরাতের সঙ্গে বিশেষভাবে কথা বলার সুযোগ হয়নি। ফের ২২ তারিখে শুনানি হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী যে, আদালত ন্যায়বিচারের পক্ষে রায় দেবেন। এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ভাটারা থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সকাল সাড়ে দশটার দিকে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক। এদিন সকালে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। বেলা দশটার পর তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। এ সময় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে নুসরাত ফারিয়ার জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। উল্লেখ্য, গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি। ৩ মে ভুক্তভোগী এনামুল বাদী হয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় নুসরাত ফারিয়াকেও তিনি আসামি করেন। মামলাটি ৩ মে এজাহার হিসেবে রেকর্ড হয়।

ফ্যাসিস্টের সমর্থক বলায় কাঠগড়ায় ‘কাঁদলেন’ নুসরাত ফারিয়া

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক ভাটারা থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক। এদিন সকালে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। সকাল দশটার পর তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। এসময় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে নুসরাত ফারিয়ার জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে তার জামিন বিষয়ে আরও শুনানির জন্য আগামী ২২ মে দিন ধার্য করেন। তবে এদিন আদালতে শুনানি চলাকালে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কোনো কথা বলেননি চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। শুনানি চলাকালে মাথা নিচু করে নিশ্চুপ হয়ে, মলিন মুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। এদিন শুনানি চলাকালে পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী নুসরাত ফারিয়াকে ফ্যাসিস্টের সমর্থক আখ্যা দিলে কিঞ্চিৎ কান্না করে চোখ মুছতে দেখা যায় নুসরাত ফারিয়াকে। পরে শুনানি শেষে আদালত থেকে হাজতের উদ্দেশে নামানো হয় তাকে। নিচে সাংবাদিকদের নানান প্রশ্নেও কোনো কথা বলেননি চিত্রনায়িকা। এদিন পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী আদালতে বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষে ছিল, সে (নুসরাত ফারিয়া) একজন ফ্যাসিস্টের সমর্থক। অনেকের মতো সেও নাটক সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়ের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টের পক্ষ নিয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি ছাত্রদের বিরোধিতা করেন। বিভিন্ন ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।’ গতকাল রোববার নুসরাত ফারিয়াকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় করা একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ওই মামলায় তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আসামি করা হয়। ভাটারা থানার পুলিশের একটি সূত্র জানায়, আটকের পর নুসরাত ফারিয়াকে থানায় আনা হয়েছিল। তবে থানায় তাকে না রেখে পরে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রেডিও জকি (আরজে) হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন নুসরাত ফারিয়া। এরপর ২০১৩ সালে নাম লেখান উপস্থাপক হিসেবে। কয়েকটি নাটকেও অভিনয় করেন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার ‘আশিকী’ সিনেমায় বড়পর্দায় অভিষেক হয় তার। প্রথম সিনেমাতেই সাড়া ফেলে দেন তিনি। এরপর ঢালিউড ও টালিউড মিলিয়ে প্রায় ২০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

আওয়ামীপন্থি সেই ৬১ আইনজীবীর জামিন স্থগিতই থাকবে

সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় আইনজীবীদের মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলায় আওয়ামীপন্থি ৬১ জন আইনজীবীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে তাদের জামিনের বিষয়ে জারি করা রুল দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ (সোমবার) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম কে রহমান, আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া। গত ২৯ এপ্রিল সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় আইনজীবীদের মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলায় আওয়ামীপন্থি ৬১ জন আইনজীবীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ৫ মে পর্যন্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ওই আদেশ দেন। তার আগে গত ২২ এপ্রিল সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় আইনজীবীদের মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলায় আওয়ামীপন্থি ৬১ জন আইনজীবীকে জামিন দেন হাইকোর্ট। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যদের ওপর হামলা, আইনজীবীদের চেম্বার ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আওয়ামী লীগপন্থি ১৪৪ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে ১১৫ আইনজীবী উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে গত ৬ এপ্রিল ৮৩ জন ঢাকা মহানগর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবু সাঈদ সাগর ও ১৮ নারী আইনজীবীর জামিন মঞ্জুর করেন। তিনজন পালিয়ে যাওয়ায় ৬১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

নুসরাত ফারিয়া কারাগারে

জুলাই আন্দোলন কেন্দ্রিক ভাটারা থানাধীন এনামুল হক হত্যাচেষ্টা মামলায় চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১৯ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন আক্তার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক মো. বিল্লাল ভূইয়া তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর জামিনের বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে ২২ মে তার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন। গতকাল রবিবার (১৮ মে) থাইল্যান্ড যাওয়ার পথে বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে পুলিশ। এরপর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৯ জুলাই ভাটারা থানাধীন এলাকায় জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন এনামুল হক। এদিন আসামিদের ছোঁড়া গুলি ভুক্তভোগী পায়ে লাগে। পরে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে এ বছরের ৩ মে মামলা করেন তিনি। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ১৭ শিল্পীসহ ২৮৩ জনকে এজাহারনামীয় করা হয়েছে। এ মামলায় ২০৭ নম্বর আসামি নুসরাত ফারিয়া। মামলায় তাকে আওয়ামী লীগের অর্থের যোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে রাখার আবেদন

জুলাই আন্দোলন কেন্দ্রিক ভাটারা থানাধীন এনামুল হক হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে রাখার আবেদন করেছে পুলিশ। সোমবার (১৯ মে) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক মো. বিল্লাল ভূইয়া তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। তার উপস্থিতিতে আজ সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি হবে। গতকাল থাইল্যান্ড যাওয়ার পথে বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে পুলিশ। এরপর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৯ জুলাই ভাটারা থানাধীন এলাকায় জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন এনামুল হক। এদিন আসামিদের ছোঁড়া গুলি ভুক্তভোগীর পায়ে লাগে। পরে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে এ বছরের ৩ মে মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ১৭ শিল্পীসহ ২৮৩ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় নুসরাত ফারিয়া ২০৭ নম্বর আসামি। মামলায় তাকে আওয়ামী লীগের অর্থের যোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আদালত থেকে পালালেন হত্যা মামলার আসামি

যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পুলিশের হেফাজত থেকে হত্যা মামলার এক আসামি পালিয়ে গেছেন। আজ রবিবার (১৮ মে) বিকেল ৩টার দিকে জুয়েল খান নামে ওই আসামি পালিয়ে যান। জুয়েলকে ধরতে যশোর শহরের প্রবেশমুখে বিশেষ চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। ঘটনা তদন্তে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জুয়েল খান (২৬) মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার রামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর খানের ছেলে। তিনি যশোরের বাঘারপাড়া থানার একটি হত্যা মামলার আসামি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই মামলার আসামি জুয়েল ও হারুনুর রশিদকে আজ জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে শুনানি শেষে দ্বিতীয় তলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে নিচতলার হাজতখানায় আনার সময় হ্যান্ডকাপ ছাড়িয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান জুয়েল। ওই দুই আসামিকে হাজতখানায় আনছিলেন পুলিশ কনস্টেবল সোনালি আক্তার। তিনি পলায়নপর জুয়েলকে আটকাতে পারেননি। পরে তিনি অন্য আসামি হারুনুর রশিদকে হাজতখানায় রেখে কোর্ট ইন্সপেক্টরের মাধ্যমে ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই আলম সিদ্দিকীসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, পলাতক আসামি জুয়েলকে ধরতে যশোর শহরে ঢোকা ও বের হওয়ার সমস্ত রাস্তায় বিশেষ পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহের পুলিশকেও ঘটনাটি জানিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, ঘটনা তদন্তে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশারের নেতৃত্বাধীন এই কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন খোরশেদ আলম

আদালতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের আচরণের ব্ষিয়টি ভিডিও করে সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় এবার সেই বিচারকের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী ঢাকা আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন। রবিবার (১৮ মে) নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। খোরশেদ আলম বলেন, একজন বিচারক হয়ে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি ছাড়া উনি কীভাবে এজলাসের ভিডিও ধারণ করে প্রকাশ করেছেন। আমি মনে করি, সুপ্রিম কোর্ট ওনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আমাদের আইনজীবীদের অন্যায়ভাবে হিউমিলিয়েট করার জন্য আমরা আইনজীবী সমাজ ব্যবস্থা নেবো। তিনি আরও বলেন, আপনি তো আওয়ামী লীগের সময় অ্যাপয়েন্টেড, সেজন্য বিএনপির আইনজীবীদের সঙ্গে এরকম আচরণ করেন। আপনি স্বৈরাচারের দোসরের মতো কাজ করেন। উনি এবং ওনার স্ত্রী একই জায়গায় চাকরি করতেছেন। কিসের শক্তিতে? সাইবার ট্রাইব্যুনালের সমস্যার সময় তিনি আইনজীবী সমাজের বিরুদ্ধে অনেক মানহানীকর বক্তব্য রাখেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। শনিবারের জামিন শুনানির ব্যাপারে তিনি বলেন, এ মামলার আসামি হানিফ মেম্বার ইসলামী আন্দোলনের কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার সভাপতি। ফ্যাসিবাদ হঠাতে উনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। উনি বিএনপি নেতা আমানুল্লাহ আমানের সঙ্গে ফ্যাসিবাদবিরোধী সময়ে মাঠে ছিলেন। তিনি সামনের কাতারের একজন নেতা ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জামিন চাওয়ার যৌক্তিকতা তিনি তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, গতকাল ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদের আদালতে জামিন শুনানিতে অপেশাদারত্বমূলক আচরণের অভিযোগ উঠে অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলমসহ চার জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে। বিএনপির জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এ বিষয়ে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে ৩ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে।

বিচারককে হেনস্তা, বিএনপিপন্থি ৪ আইনজীবীকে শোকজ

আসামির জামিন শুনানিতে বিচারকের সঙ্গে অপেশাদার আচরণ করার অভিযোগে বিএনপিপন্থি চারজন আইনজীবীকে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বারের এই চার আইনজীবীকে নোটিশ পাঠিয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি। রোববার (১৮ মে) বিষয়টি ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদুল্লাহ। এর আগে শনিবার (১৭ মে) হত্যাচেষ্টা মামলায় এক আসামির জামিন না মেলায় আদালতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিচারকের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপিপন্থি কয়েকজন আইনজীবী প্রকাশ্যে আদালতের পরিবেশ বিঘ্নিত করেন, এমনকি একজন বিচারককে ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ বলে গালাগালও করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে ঘটনাটি ঘটে। কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি হানিফ মেম্বার জামিন চেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আবেদন করেন। আদালত সেটি নামঞ্জুর করলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আদালতের বেঞ্চ সহকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জামিন না পাওয়ায় আইনজীবী খোরশেদ আলম ও আরও কয়েকজন প্রকাশ্যে বিচারকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় তারা বিচারককে উদ্দেশ্য করে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’, ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ ইত্যাদি মন্তব্য করেন এবং আদালতের কাজের তালিকা (কজলিস্ট) ছুড়ে ফেলেন। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, খোরশেদ আলম বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ঘটনার তারিখ, সময়, স্থান সব এক, শুধু বাদী আলাদা—এটা কি সম্ভব?’ এরপর তিনি এজলাস ছেড়ে চলে যান। এ সময় আরেক আইনজীবী আব্দুল খালেক মিলন বলেন, ‘আমরা সিএমএম কোর্টে রাজনীতি করেছি। আজ শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করলে আমরা হয়তো খুন হয়ে যেতাম।’ তিনি বিচারককে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, ‘আপনি যে চেয়ারে বসে আছেন, সেটা আমাদের কারণে।’ আদালতের নথি অনুযায়ী, গত ৬ মে বাদী ফজলুল হক একটি অভিযোগ দাখিল করেন, যাতে হানিফ মেম্বারের বিরুদ্ধে জমি দখল, লুটপাট, যৌন নিপীড়ন এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। বাদীর ভাষ্যমতে, হানিফ দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব খাটিয়ে ইউপি সদস্যের মতো আচরণ করছেন, যদিও তিনি নির্বাচিত নন। মামলায় উল্লেখ রয়েছে, একসময় নদীতে নৌকা বাইচে অংশ নেওয়া হানিফ বর্তমানে কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক এবং দখলবাজি, গ্যাস সংযোগে অনিয়মসহ নানা অপরাধে যুক্ত। এদিকে আদালতের কার্যক্রম চলাকালে বিচারককে হুমকি ও অশালীন ভাষায় আক্রমণের ঘটনায় বিচার বিভাগে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আদালত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ধরনের আচরণ বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রতি গুরুতর অবমাননা এবং আইনের চোখে ফৌজদারি অপরাধের শামিল। বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট মহল থেকে অভিযুক্ত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে। তারা বলছেন, আদালতের সম্মান রক্ষা ও বিচারককে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা বিচারব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিচারককে ‘আ.লীগের দালাল’ বললেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা

হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন না মেলায় ঢাকার একটি আদালতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিচারকের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপিপন্থী কয়েকজন আইনজীবী প্রকাশ্যে আদালতের পরিবেশ বিঘ্নিত করেন, এমনকি একজন বিচারককে ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ বলেও গালাগাল করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার (১৭ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে। কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা চেষ্টার মামলায় আসামি হানিফ মেম্বার জামিন চেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আবেদন করেন। আদালত সেটি নামঞ্জুর করলে উত্তেজনার সূচনা হয়। আদালতের বেঞ্চ সহকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জামিন না পাওয়ায় আইনজীবী খোরশেদ আলম ও আরও কয়েকজন প্রকাশ্যে বিচারকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় তারা বিচারককে উদ্দেশ করে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’, ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ ইত্যাদি মন্তব্য করেন এবং আদালতের কাজের তালিকা (কজলিস্ট) ছুড়ে ফেলেন। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, খোরশেদ আলম বিচারককে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ঘটনার তারিখ, সময়, স্থান সব এক, শুধু বাদী আলাদা—এটা কি সম্ভব?’ এরপর তিনি এজলাস ছেড়ে চলে যান। এ সময় আরেক আইনজীবী আব্দুল খালেক মিলন বলেন, ‘আমরা সিএমএম কোর্টে রাজনীতি করেছি। আজ শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করলে আমরা হয়তো খুন হয়ে যেতাম।’ তিনি বিচারককে উদ্দেশ করে আরও বলেন, ‘আপনি যে চেয়ারে বসে আছেন, সেটা আমাদের কারণে।’ আদালতের নথি অনুযায়ী, গত ৬ মে বাদী ফজলুল হক একটি অভিযোগ দাখিল করেন, যাতে হানিফ মেম্বারের বিরুদ্ধে জমি দখল, লুটপাট, যৌন নিপীড়ন এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। বাদীর ভাষ্যমতে, হানিফ দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব খাটিয়ে ইউপি সদস্যের মতো আচরণ করছেন, যদিও তিনি নির্বাচিত নন। মামলায় উল্লেখ রয়েছে, একসময় নদীতে নৌকা বাইচে অংশ নেওয়া হানিফ বর্তমানে কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক এবং দখলবাজি, গ্যাস সংযোগে অনিয়মসহ নানা অপরাধে যুক্ত। এদিকে আদালতের কার্যক্রম চলাকালে বিচারককে হুমকি ও অশালীন ভাষায় আক্রমণের ঘটনায় বিচার বিভাগে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আদালত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ধরনের আচরণ বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রতি গুরুতর অবমাননা এবং আইনের চোখে ফৌজদারি অপরাধের শামিল। বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট মহল থেকে অভিযুক্ত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে। তারা বলছেন, আদালতের সম্মান রক্ষা ও বিচারককে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা বিচারব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মমতাজের স্বামী কয়জন ও নাম কী জানতে চাইলেন পিপি, থামালেন বিচারক

জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর মিরপুরে হকার মো. সাগর নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে লোকসঙ্গীতের জনপ্রিয় শিল্পী মমতাজ বেগমকে শনিবার আদালতে হাজির করা হয়। জামিন শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী একপর্যায়ে মমতাজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন- তিনি জানতে চান, মমতাজ বেগমের কয়জন স্বামী রয়েছে এবং তাদের নাম কী। তবে আদালতের বিচারক বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে তাকে থামিয়ে দেন এবং মামলার মূল প্রসঙ্গে থাকার নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম মমতাজকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে, মমতাজের আইনজীবী মাসুদুর রহমান লিংকন তার জামিন চেয়ে বলেন, মমতাজ এজাহারভুক্ত আসামি হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ। এজন্য জামিন দেওয়ার অনুরোধ জানান। তখন রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, দেশের ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, এমপি, সাবেক মন্ত্রী, এমপি, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব, প্রধান বিচারপতি, ঢাকা মহানগর পিপি, বাকীগুলো আর নাই বললাম, একযোগে পালিয়ে যায়। এটা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। মমতাজ বেগম গ্রেপ্তারের পর কিছু মানুষের চিত্র দেখেছি, এলাকায় তারা মিষ্টি বিতরণ করেছে। তার দ্বারা মানুষ কীভাবে নির্যাতিত হয়েছে। মমতাজ সম্পর্কে রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী বলেন, সাধারণ রাস্তা থেকে পার্লামেন্টে গিয়ে পৌঁছেছেন। পার্লামেন্টের মত পবিত্র জায়গায় গানের জলসা বসাতেন, বিরোধীদের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক বক্তব্য দিতেন। সংসদকে কলুষিত, কলঙ্কিত করেছেন। সংসদে যাবে কারা? আইন প্রণেতা, শিক্ষিত, মার্জিত মানুষ। মেম্বার হওয়ার যোগ্যতা রাখে না তারা সংসদ সদস্য হয়েছে ভোট চুরি করে, রাতের ভোটে। সংসদে দাঁড়িয়ে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার বাপের নাম জানতে চান। বলেন তো, আপনার বাপের নাম কী, স্বামী কয়জন। স্বামীর নাম কী? এসময় বিচারক তাকে থামিয়ে দিয়ে মামলার বিষয়ে কথা বলতে বলেন। পরে আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, (মমতাজ) মানুষের চরিত্রহনন, বিরোধীদের হেয় করে কাজ করে গেছেন। কীভাবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চান বুঝি না। আইন সেইভ করলেও জনগণ করছে না। তারা বাইরে বের হতে পারেন না। পুলিশ ধরার আগে মানুষ ধরে তাদের পুলিশে দিচ্ছে। তারা এত জনবিরোধী কাজ করেছে। এখন জামিন পেলে দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। মামলার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে। জামিন নামঞ্জুরের প্রার্থনা করছি। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যা: গ্রেফতার তিনজন রিমান্ডে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় গ্রেফতার তিন আসামির প্রত্যেকের ছয়দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন, মাদারীপুর সদরের এরশাদ হাওলাদারের ছেলে মো. তামিম হাওলাদার (৩০), কালাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার (৩০) ও ডাসার থানার যতিন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে সম্রাট মল্লিক (২৮)। শনিবার (১৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন কারাগার থেকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক তৌফিক হাসান তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে এ সময় আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। এর আগে, গত ১৪ মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের। পরের দিন তাদের কারাগারে পাঠান আদালত। হত্যা মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৩ মে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাম্য তার বন্ধু আশরাফুল আলম রাফি ও মো. আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদকে নিয়ে মোটরসাইকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ফিরছিলেন। ফেরার পথে রমনা কালীমন্দিরের উত্তর পাশে পুরাতন ফোয়ারার কাছে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তি তাদের মোটরসাইকেল দিয়ে সাম্যের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। ধাক্কার কারণ জানতে চাইলে দুর্বৃত্তরা সাম্য ও তার দুই বন্ধুর ওপর ইট, কিল, ঘুষি ও লাথি দিয়ে হামলা চালায়। এতে তারা মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পান। এক পর্যায়ে এক হামলাকারী সাম্যকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ডান পায়ের রানের পেছনে উপর্যপুরি আঘাত করেন। একইভাবে বন্ধু আব্দুল্লাহ বায়েজিদের ডান হাতের কব্জির ওপরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় সাম্য মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান। পরে সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্ত্রীসহ মিল্টন সমাদ্দার কারাগারে

রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় আত্মসমর্পণের পর চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার ও তার স্ত্রী মিঠু হালদারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। শনিবার (১৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে তার আইনজীবী ওহিদুজ্জামান বিপ্লব বলেন, গত ৬ মে আদালত এ মামলায় অভিযোগপত্র আমলে নেওয়া হয়। আগের দিন ৫ মে তার মা মারা যান। যে কারণে মিল্টন সমাদ্দার উপস্থিত হতে পারেননি। আমরা সময় চেয়ে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আদালত তা নামঞ্জুর করে মিল্টন সমাদ্দার ও তার স্ত্রী মিঠু হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আজ তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। জানা গেছে, গত বছরের ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তার বিরুদ্ধে জাল মৃত্যু সনদ তৈরি, টর্চার সেলে মানুষজনকে নির্যাতন ও মানবপাচারের অভিযোগে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। পরদিন ২ মে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল মৃত্যু সনদ তৈরির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানার মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ৫ মে তাকে মানবপাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শিকদার মাইতুল আলম। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তাকে মানবপাচার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে রিমান্ড শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত তার চার দিনের রিমান্ড দেন। রিমান্ড শেষে ৯ মে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় মারধরের আরেক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তিনি তিন মামলায় জামিনে কারামুক্ত হন। তদন্ত শেষে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আতাউর রহমান। এ মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের সঙ্গে তার স্ত্রী মিঠু হালদারকে অভিযুক্ত করা হয়।

মমতাজের চারদিনের রিমান্ড শেষ, কারাগারে আটক রাখার আবেদন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে মিরপুরে হকার মো. সাগর হত্যা মামলায় মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের চারদিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। সাবেক এই এমপিকে এখন কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে তাকে কারাগারে আটক রাখার বিষয়ে শুনানি হবে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম শনিবার বলেন, “এ মামলায় তার নতুন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়নি।” সাবেক এই এমপিকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে। গত ১৩ মে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে মমতাজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারদিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন ঢাকার মহানগর হাকিম জুয়েল রানা। এর আগে ১২ মে মমতাজকে ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তারের তথ্য দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। মমতাজকে মো. সাগর হত্যা মালায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্ত্বর এলাকায় জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন হকার মো. সাগর। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালান ও গুলিবর্ষণ করেন। এ সময় সাগরের বুকে গুলি লাগে। পরে তার মা বিউটি আক্তার ওইদিন রাত ৩ টায় মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সাগরের লাশের সন্ধান পান। এ ঘটনায় গত বছরেরর ২৭ নভেম্বর বিউটি আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। এতে শেখ হাসিনাসহ ২৪৩ জনকে আসামি করা হয়, আর অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ২৫০ থেকে ৪০০ জনকে। এই মামলার ৪৯ নং এজাহারনামীয় আসামি হলেন মমতাজ বেগম। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনবারের এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জে একাধিক মামলা হয়েছে। লোকসংগীতের প্রতিষ্ঠিত শিল্পী মমতাজ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদের সদস্য হন। পরে নির্বাচিত হন নৌকা প্রতীকে। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানো এক আওয়ামী লীগ নেতার কাছে হেরে যান তিনি। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্দোলনে প্রাণহানির ঘটনায় করা একাধিক মামলায় আসামির তালিকা নাম রয়েছে তার। এরই মধ্যে মমতাজ বেগমের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় আজ

মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ শনিবার। দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে আছিয়ার পরিবারসহ সবাই। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, এই মামলায় মোট ২৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলায় সাতটি জব্দ তালিকা ছিল।সাতটি জব্দ তালিকায় ১৬ জন সাক্ষী ছিলেন। যার মধ্যে ১২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে তাঁদের জব্দ তালিকাকে সত্যায়ন করেছেন। মামলায় তিনটি মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ছিল। পাঁচজন ডাক্তার মেডিক্যাল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর করেছিলেন।এরই মধ্যে আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে মেডিক্যাল সার্টিফিকেটকে সমর্থন করে তাঁরা বক্তব্য দিয়েছেন। মামলায় বিশেষ প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োজিত অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদার অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘আমরা প্রধান আসামি হিটু শেখকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছি। আসামি সজিব ও রাতুলকেও সংশ্লিষ্ট ধারায় সর্বোচ্চ সাজা দিতে বিজ্ঞ আদালতের কাছে প্রার্থনা করেছি।’ গত ৫ মার্চ মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়ি বেড়াতে এলে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ আছিয়াকে ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা করেন। চিকিসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শিশু আছিয়া মারা যায়।

ডিবি হারুনের শ্বশুরের জমিসহ ভবন জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

ঢাকার উত্তরাতে বিতর্কিত সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের শ্বশুর মো. সোলায়মানের নামে থাকা জমিসহ ১০ তলা একটি ভবন জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তার নামের পাঁচটি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে হারুনের ভাই এ বি এম শাহরিয়ারের নামে থাকা দুটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধেরও আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক দুটি আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম। এদিন দুদকের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এই আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হারুন ও তার ভাই এ বি এম শাহরিয়ারের নামে থাকা ১৩০ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দেন আদালত। ওইদিন তাদের ২১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি তিনটি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ হয়েছে। এর আগে গত ২৭ আগস্ট হারুন অর রশীদ ও তার স্ত্রী শিরিন আক্তারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। এছাড়া গত ৮ জানুয়ারি হারুন অর রশীদ ও তার ভাই এ বি এম শাহরিয়ারের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেন আদালত। গত ১৭ ডিসেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে হারুন, তার স্ত্রী শিরিন আক্তার ও ভাই শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে দুদক।

স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, তার স্ত্রী সৈয়দ আরজুমান বানু ও মেয়ে এস আমরীন রাখির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। আবেদনে বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করাসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি বর্তমানে অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। এসময় গোপন সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেয়।