প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমান হওয়া উচিত: ইউজিসি চেয়ারম্যান
- শিক্ষা ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:৪৪ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আর্থিক অবস্থানকে শক্তিশালী করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। তিনি বলেন, যদি শিক্ষাক্ষেত্রে মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে হয়, তাহলে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকতাকে আর্থিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমমানের মর্যাদায় পৌঁছে দিতে হবে।
রবিবার সকালে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
“মেধাবীদের যদি আমরা শিক্ষকতায়... সেটি হোক প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনতে না পারি, তাহলে শিক্ষার্থীদেরও আমরা এগিয়ে নিতে পারব না,” বলেন অধ্যাপক ফায়েজ। তার মতে, প্রাথমিক শিক্ষকতার প্রতি মেধাবীদের আকর্ষণ তৈরি করতে হলে বেতন-ভাতার কাঠামোতে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “অনেক দেশ আছে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা যে বেতন-ভাতা পান, প্রাথমিকের শিক্ষকরাও তেমনই বেতন-ভাতা পান। এটা আমাদেরও করা উচিত।”
শিক্ষকদের জন্য উপযুক্ত আর্থিক সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণে প্রাসঙ্গিক তুলনার কথা তুলে ধরেন ইউজিসি চেয়ারম্যান। তিনি জানান, “সম্প্রতি আমরা পাকিস্তান গিয়েছিলাম। পাকিস্তানের উদাহরণ এজন্য দিচ্ছি যে, তারা সব দিক দিয়ে আমাদের তুলনায় পিছিয়ে। সেখানে অন্য পেশাজীবীদের চেয়ে শিক্ষকরা দুই-তিনগুণ বেশি বেতন পান। অন্য সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রেও পাকিস্তানের শিক্ষকরা যা পান, তা শুনলে অবাক হওয়ার মতো।” তিনি আরও যোগ করেন, সে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর গবেষণাগার ও ল্যাবরেটরিও যথেষ্ট উন্নত।
বিশ্ব শিক্ষক দিবসের এই আলোচনায় অধ্যাপক ফায়েজ শিক্ষকদের সামগ্রিক সুবিধা নিয়ে আরও বিস্তৃত চিন্তা-ভাবনার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আজকের আলোচনায় শিক্ষকদের কেমন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া উচিত, সেটিই মূখ্য বিষয়। আমরা তাদের কী ধরনের বেতন-ভাতা দিচ্ছি এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কেমন দেওয়া উচিত, তা বিচার-বিশ্লেষণ করা জরুরি। গভীর মনোযোগের সঙ্গে আমাদের চিন্তা করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।