জাতীয় নির্বাচন থেকে কোনো অংশে কম না ডাকসু: হাইকোর্ট
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১১:৪৯ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হাইকোর্ট মন্তব্য করেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এস এম ফরহাদের জিএস প্রার্থীতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা এক রিটের শুনানিতে বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি এস কে তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করে।
শুনানির সময় আদালত ফরহাদের প্রার্থিতা এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলে। শুনানি শেষে হাইকোর্ট আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিতের আদেশ দেন।
রিটকারীর আইনজীবী জানান, তারা নির্বাচন স্থগিত চান না। তখন আদালত বলেন, “আপনারা রাজনীতি করে ঝগড়া-মারামারি করবেন আর আমাদের এখানে আসবেন, আমরা কী করবো। নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে ভোটার কীভাবে হয়েছে, প্রক্রিয়া কী, প্রার্থিতা বাতিলসহ সব বিষয়ে তদন্ত হোক।” আদালত আরও বলেন, “ডাকসু নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে কোনো অংশে কম নয়। এটাকে গুরুত্ব দিতে হবে।”
তবে হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করা একটি হাতে লেখা আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি ফারাহ্ মাহবুবের চেম্বার কোর্ট হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, চেম্বার আদালতের এ স্থগিতাদেশ আগামী শুনানি পর্যন্ত বহাল থাকবে এবং নির্বাচনী কার্যক্রমে কোনো বাধা থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, “আগামীকাল চেম্বার আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে। সে পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত এবং নির্বাচনের কার্যক্রমে কোনো বাধা রইলো না।”
জানা গেছে, ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ডাকসু নির্বাচন হয় ১৯২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে। ১০০ বছরে মাত্র ৩৭ বার ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী ৫৪ বছরে মাত্র সাতবার এই নির্বাচন হয়।
ডাকসু পরিচালিত হয় নিজস্ব গঠনতন্ত্র অনুযায়ী। ১৯৯১ সালের পর এ গঠনতন্ত্র তিনবার সংশোধন করা হয়। সর্বশেষ গত ডিসেম্বর মাসে গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটি গঠন করা হয়।
ছাত্র সংগঠনসহ বিভিন্ন পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে তৈরি সুপারিশের ভিত্তিতে গত ১৬ জুন সিন্ডিকেট সভায় সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুমোদিত হয়। এতে প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত ৩০ বছরের বয়সসীমা বাতিল করা হয় এবং তিনটি নতুন সম্পাদকীয় পদ যুক্ত করা হয়: মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং ক্যারিয়ার বা পেশাজীবন উন্নয়ন সম্পাদক।