১৫০০-২০০০ ব্যক্তি ভোলাগঞ্জের পাথর লুট করে: হাইকোর্টে প্রতিবেদন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৫:০২ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০২৫

সিলেটের ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি থেকে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি সাদা পাথর লুট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ এবং বিধিমালা ২০১২-এর ৯৩(১) ধারা ভঙ্গের অভিযোগে ২ হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) খনিজ সম্পদ ও পরিবেশ সচিবের পক্ষে হাইকোর্টে দাখিল করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনটি বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৫ আগস্ট কোম্পানিগঞ্জ থানায় মামলা নং-০৯ দায়ের করা হয়। মামলাটি খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ এবং দণ্ডবিধির ৩৭৯/৪৩১ ধারায় রুজু করা হয়েছে। এতে অভিযোগ আনা হয়, ৫ আগস্ট থেকে অজ্ঞাতপরিচয় বিপুলসংখ্যক ব্যক্তি গেজেটভুক্ত ভোলাগঞ্জ কোয়ারি থেকে সাদা পাথর লুট করে নিয়ে যায়।
আদালতের নির্দেশে পরিবেশগত আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে অতিরিক্ত সচিব (অপারেশন), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগকে আহ্বায়ক করে একটি ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে বুয়েটের একজন অধ্যাপকও রয়েছেন।
জেলা প্রশাসক আদালতে এফিডেভিট দাখিল করে জানান, লুট হওয়া পাথর প্রতিস্থাপনের কাজ চলছে, দায়ী ব্যক্তিদের তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে এবং কোয়ারি এলাকায় নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাথর লুটপাটের সংবাদ প্রকাশের পর পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে রিট দায়ের করে। এর প্রেক্ষিতে ১৪ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করে এবং নির্দেশ দেয়, সাত দিনের মধ্যে লুট হওয়া সাদা পাথর স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় সংগ্রহ করে ভোলাগঞ্জের নির্দিষ্ট স্থানে প্রতিস্থাপন করতে হবে।
একইসঙ্গে জেলা প্রশাসন, বিজিবি, র্যাবসহ মোট পাঁচ পক্ষকে ১৫ দিনের মধ্যে দায়ীদের তালিকা এফিডেভিট আকারে আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ সচিব ও খনিজ সম্পদ সচিবকে বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে পরিবেশগত ক্ষতির হিসাব করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ও বিবাদীদের ওই এলাকায় দিন-রাত মনিটরিং টিম গঠন করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদারকি শুরু এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।