যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দেই এটি কবে থেকে কার্যকর হবে: প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:১৬ এম, ২৭ আগস্ট ২০২৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিয়ে কেবল সাময়িক সমাধানে যেতে চায় না আপিল বিভাগ; বরং এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে চায় যাতে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ে। বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে রায়ের পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) শুনানিতে এসব মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কার্যকর সমাধান চায় আপিল বিভাগ, যাতে এটি বারবার বিঘ্নিত না হয়। এ সময় তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যদি তত্ত্বাবধায়ক ফিরিয়ে দেই এটি কবে থেকে কার্যকর হবে?”
এইদিন সকালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দেয়া রায়ের দ্বিতীয় দিনের রিভিউ শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি উপস্থাপন করবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
এর আগে মঙ্গলবার বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী পক্ষের আইনজীবীরা সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের দেয়া রায়কে ‘বিতর্কিত’ আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি জানান।
ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিক ও একজন ব্যক্তি পৃথকভাবে মোট ৫টি রিভিউ আবেদন করেন।
উল্লেখ্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংযুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদে পাস হয়। পরে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন হাইকোর্টে রিট করেন।
২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগ ত্রয়োদশ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে বাতিল করে দেয়। এরপর একই বছরের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়, যা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে। ৩ জুলাই সংশ্লিষ্ট গেজেট প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া, ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানবিরোধী ঘোষণা করে তা বাতিল করে দেন।