আদালতের জামিন দেওয়ার ক্ষমতা নেই: লতিফ সিদ্দিকী
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৭:০৭ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২৫

সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী আদালতে জামিনের আবেদন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তার বক্তব্য, আদালতের পক্ষে জামিন দেওয়ার কোনো ক্ষমতা নেই। তাই তিনি ওকালতনামায় স্বাক্ষর করবেন না।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি লতিফ সিদ্দিকীর স্বাক্ষর নিতে গিয়েছিলেন।
এর আগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালত কারাগারে পাঠান।
মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্না, মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল, গোলাম মোস্তফা, মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, জাকির হোসেন, তৌছিফুল বারী খান, আমির হোসেন সুমন, আল আমিন, নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দেওয়ান মোহাম্মদ আলী ও আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম।
শুক্রবার সকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। প্রথমে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়, পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এজলাসে তোলা হয়। এ সময় আসামিদের হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট ও শরীরে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল। কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর পর অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান পুলিশকে উদ্দেশ করে বলেন, ভয়াবহ অবস্থা, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট খুলি। এরপর পুলিশ জ্যাকেট খুলে দেয়। এসময় লতিফ সিদ্দিকীকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়।
সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক এজলাসে আসেন। আদালতের অনুমতি নিয়ে আইনজীবীরা আসামিদের কাছ থেকে ওকালতনামায় স্বাক্ষর নেন। তবে লতিফ সিদ্দিকী তা প্রত্যাখ্যান করেন।
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি ও অন্যরা জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। শেষ পর্যন্ত আদালত সবার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকরা লতিফ সিদ্দিকীর কাছে জানতে চান, তার কিছু বলার আছে কি না। তিনি মাথা নাড়িয়ে জানান, কোনো মন্তব্য করবেন না।
অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম পরে বলেন, জামিনের আবেদন করতে গিয়ে যখন ওকালতনামায় স্বাক্ষর চাই, তখন তিনি আমাকে বলেন আদালতের জামিন দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কেন আমি জামিন চাইবো? আমি স্বাক্ষর করবো না।