
গণঅধিকার পরিষদ থেকে বহিষ্কৃত নেতার এনসিপিতে যোগদান
নওগাঁয় গণ অধিকার পরিষদের জেলা কমিটির আহ্বায়ক পদ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর গোলাম রাব্বানী জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) যোগদানের ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার (২০ জুন) সকালে শহরের একটি রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গোলাম রাব্বানী বলেন, তিনি ২০২১ সাল থেকে গণ অধিকার পরিষদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু দলটির অভ্যন্তরীণ অগণতান্ত্রিক আচরণ, চাপ প্রয়োগ ও নেতিবাচক রাজনীতির কারণে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে গণ অধিকার পরিষদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। গোলাম রাব্বানী বলেন, ১১ জুন তিনি আহ্বায়ক পদ থেকে লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেন। এরপরও গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে গত বুধবার (১৮ জুন) তার বিরুদ্ধে ভুয়া বহিষ্কারাদেশ জারি করে। ওই আদেশে তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীনভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ আনা হয়। গোলাম রাব্বানী দাবি করেন, যেহেতু তিনি একজন ব্যবসায়ী, বিভিন্ন সময় তাকে চাপ দিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ও অনুদান দিতে বাধ্য করা হতো। তবে তিনি কখনোই আওয়ামী লীগের সদস্য বা দায়িত্বশীল পদে ছিলেন না। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সামাজিকভাবে তাকে হেয় ও রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ক্ষতি করার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির প্রতি পূর্ণ আস্থার কথা উল্লেখ করে গোলাম রাব্বানী বলেন, নওগাঁর নেতা-কর্মীরা তাকে এনসিপির একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সবার ত্যাগ ছিল: এ্যানি
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরি এ্যানি বলেছেন, জুলাই আন্দোলন হঠাৎ করে হয়নি। এটি একটি গণঅভ্যুত্থান। এখানে সবার ঘাম ছিল, সকলের ত্যাগ ছিল। শুক্রবার (২০ জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির দুই দশকে পদার্পণ উপলক্ষ্যে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ্যানি বলেন, ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলেছিল তারাই জেল খেটেছে, জুলুমের শিকার হয়েছে। বছরের পর বছর মানুষ এই স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে লড়েছে। জুলাই আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, যারা শহীদ হয়েছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। তিনি আরও বলেন, গুমের একটা নতুন সংস্কৃতি ফ্যাসিস্ট হাসিনা এদেশে তৈরি করে দিয়েছে। আমরা শুধু নির্বাচনের জন্যই আন্দোলন সংগ্রাম করিনি। আমরা দেশকে নতুনভাবে গড়তে চাই। তারেক রহমানের ৩১ দফার বাস্তবায়ন করেই দেশকে এগিয়ে নেবো। আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচার চাই। বিচার, সংস্কার চলছে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের ঐক্য আরও সুদৃঢ় করতে হবে। জবিসাসের সভাপতি ইমরান হেসাইনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাহতাব হোসেন লিমনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামীর ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, গণঅধিকার পরিষদ নেতা রাশেদ খান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির জেনেরাল সেক্রেটারি নিজামুল হক নাঈম, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বিএনপি পিআর পদ্ধতির বিরোধিতার বিষয়টি বোধগম্য নয়: ইসলামী আন্দোলন
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতেই হওয়া উচিত মন্তব্য করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেছেন, ‘বিএনপি চাইলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে, না চাইলে হবে না এ ধরনের বক্তব্য সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তারা পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করছে কেন, বিষয়টি বোধগম্য নয়।’ শুক্রবার (২০ জুন) রাজধানীর ঢাকা-১৬ ও ১৮ আসনে ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী বাছাইয়ের লক্ষ্যে আয়োজিত তৃণমূল নেতাদের মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। মাওলানা মাসউদ বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শুরু থেকেই সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির পক্ষে জোরালোভাবে অবস্থান নিয়ে আসছে। এখন বিএনপি ছাড়া প্রায় সব রাজনৈতিক দল এ পদ্ধতির পক্ষে। অথচ বিএনপি যদি সত্যিকার অর্থেই গণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনীতিতে বিশ্বাস করে, তাহলে তারা পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করছে কেন, সেটি বোধগম্য নয়।’ তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে ইসলাম, দেশ ও মানবতার পক্ষে ইসলামপন্থিদের একটি ঐক্যবদ্ধ ভোট বাক্স গঠনের উদ্যোগ চলছে। কিন্তু এ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে কিছু দল মিথ্যা নির্বাচনী আশ্বাস দিতে শুরু করেছে, যা অতীতেও ফলহীন ছিল। এসব ষড়যন্ত্র থেকে সতর্ক থাকতে হবে।’ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) শাহ ইফতেখার তারিক, আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট মোস্তফা আল মামুন মনির, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, মুফতি মাছউদুর রহমান, শরীফুল ইসলাম আরিফ, মুফতি আব্দুল কুদ্দুস রশিদী, মুফতি আরমান হোসাইন, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। এদিকে, ঢাকা-১৫ ও ১১ আসনে পৃথক প্রার্থী বাছাই অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেন মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম এবং সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম। টিমে আরও ছিলেন কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুফতি ওয়ালী উল্লাহ, ডা. মুজিবুর রহমান, মুফতি নিজাম উদ্দীন, মুফতি হাবিবুল্লাহ ও মুহাম্মাদ নাজমুল হাসান। মাওলানা মাসউদ আগামী ২৮ জুন ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের আহুত মহাসমাবেশে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ও রাজনৈতিক সচেতন নাগরিকদের অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) সেদিন সংস্কার, বিচার ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন।’

অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিভাগের দিকে পক্ষপাতদুষ্ট: সারজিস
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি বিভাগের দিকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ অভিযোগ করেন। ওই পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, ‘এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম সীমাবদ্ধতা হলো- উপদেষ্টা পরিষদ থেকে শুরু করে উন্নয়ন বরাদ্দ; অনেক ক্ষেত্রে তারা একটি বিভাগের দিকে পক্ষপাতদুষ্ট।’

দোসরদের তালিকা করে সারা দেশের দেয়ালে দেয়ালে টাঙিয়ে দেব: আলাল
বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা অ্যাড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর থেকে ফ্যাসিবাদের দোসর জঞ্জালদের যদি পরিষ্কার না করেন, বঙ্গভবন-ইউনিয়ন পরিষদ, গণভবন-সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড পর্যন্ত সব জায়গায় ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা এই ফ্যাসিবাদের দোসরদের তালিকা প্রকাশ করে সারা বাংলাদেশে দেয়ালে দেয়ালে টাঙিয়ে দেব। শুক্রবার (২০ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অপরাজেয় বাংলাদেশ নামক এক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদের গ্রেপ্তার করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, কারা ফ্যাসিবাদের দোসর, কারা এখনো ঘাপটি মেরে দুর্নীতি করছেন, মানুষের অধিকার বঞ্চিত করছেন এবং যেখানে খুশি সেখানে ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছেন। সুতরাং সাবধান হয়ে যান। আমাদের যাতে সেই শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে না হয়। আমাদের যাতে সেই তালিকা দিতে না হয়। জুলাই-আগস্ট বিপ্লব পালনের সঙ্গে সঙ্গে যদি এই দাবি (ফ্যাসিবাদের দোসরদের গ্রেপ্তার করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত) পূরণ না হয়, তাহলে আমরা সত্যিকার অর্থে সেই তালিকা প্রকাশ করে দেব। ফ্যাসিবাদের দোসররা কোথায় এবং কোন পর্যায়ে রয়েছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনাকে সহায়তা করতে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ। তার অর্থ এই নয়, যা খুশি তা করবেন। আর সবকিছু আমরা সমর্থন দিয়ে যাব!’ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়ে গেছে এই সরকারের প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা দাপটের সঙ্গে রয়ে গেছে। মা-বোন, সন্তান হারিয়ে যাওয়া পরিবারগুলোকে তারা এখনো হুমকি দিচ্ছেন। গুম-খুন হওয়া পরিবারগুলোকে আইনের দ্বারস্থ হতে বাঁধা দিচ্ছেন।সরকারকে উদ্দেশ্যে করে তিনি আরও বলেন, ১০ মাস প্রায় শেষ হওয়ার পথে। আপনারা এখনো পর্যন্ত তেমন কিছু জনগণকে দেখাতে পারেননি। পদে পদে মানুষকে হতাশ করেছেন। জিনিসপত্রের দাম কমেনি, গ্যাসের সংকট অনেক বেশি হয়েছে, বিদ্যুতে লোডশেডিং বেড়েছে, পানি সরবরাহ আগের মতো সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন নেই। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আপনারা ত্রুটি করেছেন। বিএনপি চেয়াপারসনের এ উপদেষ্টা বলেন, আজকে আমরা বারবার বলেছি, তারেক রহমান আমাদের বলেছেন— জনগণের সঙ্গে থাকুন এবং জনগণকে সঙ্গে রাখুন। আমরা জনগণের পাশে আছি বলেই নির্বাচনের কথা বলি। নির্বাচনের কথা বললেই আপনারা (উপদেষ্টা পরিষদ) গোসসা করেন। গোসসা করাটা তো ঠিক নয়। একজন নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে মানুষ যখন-তখন যেতে পারে। যখন-তখন সময় কৈফিয়ত চাইতে পারে। কিন্তু, আপনাদের (উপদেষ্টা পরিষদ) কাছে যাওয়ার সেই সুযোগটা নেই। যেটুকু আছে, সেখানেও মাঝখানে দেয়াল তৈরি করে রেখেছে স্বৈরাচারের দোসররা। বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই নির্বাচন হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। একটা নতুন প্রজন্ম ২০১৪, ১৮ এবং ২৪ সালে নিজেদের অধিকার প্রদর্শন করতে পারেনি। তারা মুখিয়ে আছে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য। তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য মূলত আমরা নির্বাচনের কথা বলি। আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি এম এ আজাদ চয়নের সভাপতিত্বে যুব সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোঃ রহমতুল্লাহ, যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর, জাহিদ হোসেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখার আহ্বান
রোহিঙ্গাদের যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সরকারসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুক্রবার (২০ জুন) বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এই আহ্বান জানান। তারেক রহমান বলেন, পৃথিবীর দেশে দেশে উদ্বাস্তু সমস্যা আজও ভয়াবহ ও অমানবিক। জাতিগত সহিংসতা ও রাজনৈতিক আদর্শগত কারণে সমাজবদ্ধ জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তাহীনতাই এর প্রধান কারণ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এই দিবসের প্রতি পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন এবং বিশ্বব্যাপী নিজ দেশে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মানুষদের মর্যাদা ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার আন্তর্জাতিক উদ্যোগের প্রতি সক্রিয় সমর্থন অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করছে। তারেক রহমান আরও বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফসহ কয়েকটি স্থানে স্থাপিত হয়েছে পৃথিবীর সর্ববৃহত শরণার্থী শিবির, যেখানে রয়েছে ১৪ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। তারা নিজ দেশের আবাস ছেড়ে দীর্ঘ আট বছর ধরে নিপীড়ণ-নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে শরণার্থী হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, এই সমস্যাকে এখন সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ তাদের সাধ্যমতো প্রচষ্টো নিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটি মানবতার একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত। তবে এখন তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে গতিশীল কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে মানবিক কর্মকাণ্ড জোরদার করতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। বিশ্ববাসীর কাছে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর বলে উল্লেখ করে বিএনপি শীর্ষ এই নেতা বলেন, রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা, তাদের নিয়ে বাংলাদেশ কী কী ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করছে, মিয়ানমার কীভাবে তাদের বাস্তচ্যুত করেছে, প্রত্যাবাসনের নামে মিয়ানমার কীভাবে বারবার কথার বরখেলাপ করছে ইত্যাদি বিষয়াদি বর্তমান সরকারকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে হবে।

অতীতের কাঠামো সঠিক থাকলে গণঅভ্যুত্থান হতো না : হাসনাত আবদুল্লাহ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘অতীতে রাষ্ট্রকাঠামোয় ত্রুটি থাকার ফলেই আমাদের এই পরিস্থিতিতে বসতে হচ্ছে। অতীতের কাঠামো সঠিক থাকলে গণ–অভ্যুত্থান হতো না। কাজেই যারা আলোচনায় অনড় অবস্থান ধরে রাখতে চান, তারা পরিস্থিতিকে আমলে নিচ্ছে না।’ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শেষে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, জনগণবিবর্জিত ক্ষমতাকাঠামো কখনো স্থায়ী নয়।’ আলোচনা সমাপ্ত হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি ইলেকটোরাল কলেজের প্রত্যক্ষ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দুইবারের বেশি হলে ক্ষমতা এককেন্দ্রিক হয়ে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছি। কারণ, একই ব্যক্তি বারবার প্রধানমন্ত্রী হলে ক্ষমতা ফ্যাসিবাদী কাঠামোর দিকে যায়। এই পদ্ধতিতে যেকোনো দলের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক কাঠামোও ভেঙে যায়।’ হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘সংসদের নিম্নকক্ষে মোট ভোটের আনুপাতিক হারে উচ্চকক্ষে আসন বরাদ্দের পক্ষে এনসিপি মতামত দিয়েছে।’ কিছু দল অতীতের ত্রুটিপূর্ণ ক্ষমতাকাঠামোয় গিয়ে ‘ম্যানিপুলেট’ (নিজ উদ্দেশ্য সাধনে কাজে লাগানো) করার কথা ভাবছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়াও রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে ফ্যাসিবাদের বিভিন্ন সহযোগী ব্যক্তি ও উপাদান আবার সক্রিয় হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এর দায় অন্তর্বর্তী সরকারের।’

মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপির প্রতিনিধি দল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের ৯ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল আগামী ২২ জুন চীন সফরে যাচ্ছেন। রবিবার রাতে চীনের উদ্দ্যেশে রওনা দিবেন তারা। চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে এই সফরে যাচ্ছে বিএনপি। এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত লিউ ইউইন-এর আমন্ত্রণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চীনের ঢাকাস্থ দূতাবাসে যায় বিএনপির প্রতিনিধি দল। সেখানে চীনের কূটনীতিকদের সাথে দেখা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, ইসমাঈল জবিউল্লাহ্, অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আহমেদ পাভেল।

‘দিনে বিএনপি রাতে আ. লীগ, এমন লোকদের সদস্য পদ নবায়ন হবে না’
যারা দিনের বেলা বিএনপি করেছে আর রাতের বেলা আওয়ামী লীগ করেছে এমন লোকদের দলের সদস্যপদ নবায়ন করতে দেয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছবি থাকলে তাদের সদস্যপদ ও নবায়ন হবে না।’ আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরা পূর্ব ও উত্তরখানে দুইটি পৃথক অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ ও সদস্য নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কঠোর অবস্থানের কথা জানান। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আমিনুল হক বলেন, আপনারা সকলে সতর্ক থাকবেন কোনো আওয়ামী লীগ যাতে সদস্য ফরম নবায়ন করতে না পারে। যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছবি থাকে তার সদস্য ফরম নবায়ন করা যাবে না। গত ১৭ বছরে বিএনপির পক্ষে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যারা আন্দোলন করেছে সংগ্রাম করেছে এবং আমাদের দলের যারা নির্যাতিত ত্যাগী নেতাকর্মী রয়েছেন তাদেরকে সবার আগে এই সদস্যপদ নবায়ন করা হবে। এ সময় তিনি বলেন, এই সদস্য নবায়নের মাধ্যমে যারা পরিচ্ছন্ন, যারা যোগ্য এবং যারা ভালো মানুষ আমরা সেই লোকগুলোকে বাছাই করে নিয়ে আসতে পারব। কারণ আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা ভবিষ্যতে একটি স্বচ্ছ পরিচ্ছন্ন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির পরিবেশ তৈরি করতে চাই। বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে— এজন্য সকলকে সতর্ক ও ঐকবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, পতিত আওয়ামী প্রেতাত্মারা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের সহায়তা নিয়ে তারা দেশের ভেতরে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে। এজন্য আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক পছন্দ হয়নি বলেই কয়েকটি দলের মন খারাপ বলে মন্তব্য করেছেন আমিনুল হক। তিনি বলেন, সবাই যখন লন্ডন বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, তখন দেশের কয়েকটি দল ইউনূস-তারেক বৈঠকটি তাদের পছন্দ হয়নি বলেই তাদের মন খারাপ। তাদের মন খারাপের কারণেই তারা বিভিন্ন মিটিংয়ে অংশ নিচ্ছে না। এসময় তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের দল। বিএনপির কাছে জনগণ সবার আগে। জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েই বিএনপি রাজনীতি করে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি সুশৃঙ্খল দল। গত ১৭ বছর ধরে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে দলটি। নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করেই আমরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করেছি। উক্ত কর্মসূচিতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান বলেন, যারা দুর্দিনে দলের পাশে ছিলো না এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এমন লোকদের ভুলেও দলের সদস্য নবায়নের আওতায় আনা যাবে না। কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, আকতার হোসেন, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন, মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আলী আকবর আলী, মোতালেব হোসেন রতন, আব্দুস সালাম সরকার, রফিকুল ইসলাম খান, এম এস আহমাদ আলী, মনিরুল ইসলাম রাহিমী, আহসান হাবীব মোল্লা, তাসলিমা রিতা, সাবেক কাউন্সিলর ইলোরা পারভীন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য মো. রাশেদ আলম, উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপি আহবায়ক মোঃ শাহ আলম, যুগ্ম আহবায়ক মনির হাসান ভূঁইয়া, শহিদুল ইসলাম সুমন, আমিনুল হক, নজরুল ইসলাম খান, উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এফ ইসলাম চন্দন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তারেক হাসান, যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ মাষ্টার, তাইজুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, উত্তরখান থানা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সুলতান মাহমুদ বকুল, যুগ্ম আহবায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম বেপারি প্রমুখ। দুপুরে পল্লবীর ৬ নম্বর সেকশন বাজার ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিলে অংশ নেন আমিনুল হক।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারে চাপ অব্যাহত রাখতে হবে: তারেক রহমান
রোহিঙ্গাদের যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সরকারসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এই আহ্বান জানান। তারেক রহমান বলেন, পৃথিবীর দেশে দেশে উদ্বাস্তু সমস্যা আজও ভয়াবহ ও অমানবিক। জাতিগত সহিংসতা ও রাজনৈতিক আদর্শগত কারণে সমাজবদ্ধ জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তাহীনতাই এর প্রধান কারণ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এই দিবসের প্রতি পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন এবং বিশ্বব্যাপী নিজ দেশে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মানুষদের মর্যাদা ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার আন্তর্জাতিক উদ্যোগের প্রতি সক্রিয় সমর্থন অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করছে। তারেক রহমান বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফসহ কয়েকটি স্থানে স্থাপিত হয়েছে পৃথিবীর সর্ববৃহত্ শরণার্থী শিবির, যেখানে রয়েছে ১৪ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। তারা নিজ দেশের আবাস ছেড়ে দীর্ঘ আট বছর ধরে নিপীড়ণ-নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে শরণার্থী হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, এই সমস্যাকে এখন সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ তাদের সাধ্যমতো প্রচষ্টো নিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটি মানবতার একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত। তবে এখন তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে গতিশীল কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে মানবিক কর্মকাণ্ড জোরদার করতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। তারেক রহমান বলেন, বিশ্ববাসীর কাছে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর। রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা, তাদের নিয়ে বাংলাদেশ কী কী ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করছে, মিয়ানমার কীভাবে তাদের বাস্তচ্যুত করেছে, প্রত্যাবাসনের নামে মিয়ানমার কীভাবে বারবার কথার বরখেলাপ করছে ইত্যাদি বিষয়াদি বর্তমান সরকারকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে হবে।

চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের আমন্ত্রণে দূতাবাসে বিএনপি প্রতিনিধি দল
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের আমন্ত্রণে দূতাবাসে গেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) একটি প্রতিনিধি দল। আজ সন্ধ্যায় বারিধারায় দূতাবাসে যান তারা। বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। আগামী ২২ জুন চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে এই সফরের আয়োজন করা হয়েছে। চীন সফরে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আসন্ন সফর উপলক্ষে আজ ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের আমন্ত্রণে বিএনপির প্রতিনিধি দলটি সন্ধ্যায় বারিধারাস্থ দূতাবাসে যান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমানসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা। এসময় চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

ভালো আলোচনা হচ্ছে কিন্তু ঐকমত্য হচ্ছে না: এবি পার্টি
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ৩২টি রাজনৈতিক দল নিয়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা হচ্ছে, এর আগে দলগুলো নিজেদের কয়েকমাস ধরে বক্তব্য উপস্থাপন করার জন্য আলাদা আলাদা বৈঠক করার সুযোগ পেয়েছিল তারপরও গত তিন দিন ধরে ব্যাপক আলোচনা, বিশ্লেষণ চলছে কিন্তু কোন বিষয়েই ঐকমত্য হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি। মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ইতোমধ্যে এনসিসি গঠন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদসহ কোনো বিষয়েই চুড়ান্ত ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি, যা খুব দুঃখজনক। তিনি বলেন, আমরা যে যত কথাই বলি না কেন জনগণ চায় আমরা একটা ঐকমত্যে পৌঁছাই। নাগরিকরা এতদিন যাদের প্রচলিত রাষ্ট্র ব্যবস্থার কাছে ভয়ঙ্করভাবে নির্যাতিত হতে দেখেছেন তারা যখন কার্যত ক্ষেত্রে সংস্কারে অনাগ্রহী হয় তখন জনগণ কিছুটা হলেও আশাহত হয়। এর আগে ঐকমত্য কমিশনের সভায় প্রদত্ত বক্তব্যে মঞ্জু রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে দলের অভিমত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার চাইতেও মর্যাদার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি রাষ্ট্রের ঐক্যের প্রতীক। প্রচলিত পদ্ধতিতে একজনকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলেই রাষ্ট্রপতি হওয়া যায়। সেজন্য আমরা চাই প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সংসদ সদস্যের বাইরে একটা ইলেকট্রোরাল কলেজ গঠনের প্রস্তাবকে এবি পার্টি সমর্থন করে। প্রধানমন্ত্রী মেয়াদ সম্পর্কিত আলোচনায় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসন কাঠামো আর যাতে ফিরে আসতে না পারে সেই জন্য বাংলাদেশে একজন ব্যক্তি যাতে দুই বারের বেশি বিরামহীন ভাবে বা অন্য যে কোনো ভাবে প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন সে ব্যবস্থা প্রবর্তন করা প্রয়োজন। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন যে, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা বাংলাদেশে প্রবর্তনের রাজনৈতিক সংস্কৃতি অনুপস্থিত বলে মনে করলেও জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে এবি পার্টি তার অবস্থান পরিবর্তন করে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তনের পক্ষে মত দিয়েছে।

তারেক রহমান মানুষের স্বপ্ন পূরণের ব্যক্তিত্বে রূপান্তরিত হয়েছেন: শামসুজ্জামান দুদু
তারেক রহমান মানুষের স্বপ্ন পূরণের ব্যক্তিত্বে রূপান্তরিত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ভবনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে সাদা দল আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। শামসুজ্জামান দুদু বলেন, তারেক রহমান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পথ অনুসরণ করেছেন বলেই তিনি একজন শুদ্ধ রাজনীতিবিদে রূপান্তরিত হয়েছেন। চিহ্নিত হয়েছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার কবজ হিসেবে। তিনি মানুষের স্বপ্ন পূরণের ব্যক্তিত্বে রূপান্তরিত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে শহীদ জিয়াউর রহমানের শাসনকালই হচ্ছে গৌরবের শাসনকাল, পথ নির্দেশনামূলক শাসনকাল। এই সময়টা অন্য কোনো শাসনের সঙ্গে মিলবে না। বেগম খালেদা জিয়া এই শাসন কাঠামো অনুসরণ করেছিলেন বলে তিনিও ইতিহাসের সেই মানুষ হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছেন, যার কারণে এখন তিনি রাজনীতিতে না থাকলেও উচ্চ মাত্রায় অভিহিত হয়েছেন। অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের সভাপতিত্বে ও সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সালামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল কালাম সরকার, সেমিনার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন ও সদস্যসচিব অধ্যাপক এম এ কাউসার। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবির কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন বাস্তববাদী ও ভবিষ্যতমুখী নেতা এবং জাতি পুনর্গঠনের সাহসী পথপ্রদর্শক। জাতির ক্রান্তিকালে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার কাঁধে নিয়ে তিনি জাতিকে নতুন আত্মপরিচয় ও আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান করেন। তিনি ছিলেন উৎপাদনমুখী রাজনীতি ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবর্তক, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। তিনি আরও বলেন, একজন শিক্ষাবান্ধব প্রেসিডেন্ট হিসেবে জিয়াউর রহমান শিক্ষাক্ষেত্রে অবিস্মরণীয় অবদান রেখে গেছেন। তিনি সরাসরি কোনো বিশদ শিক্ষাদর্শন রচনা করেননি। তবে তার শাসনামলে নেওয়া শিক্ষানীতি, তার বক্তব্য এবং তার শিক্ষা বিষয়ক কর্মসূচি ও কর্মপন্থার মাধ্যমে তার শিক্ষাচিন্তা ও দর্শন স্পষ্ট হয়। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান বলেন, গত ১৭ বছরে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এমন ক্রান্তিকালে আমরা প্রত্যাশা করি আগামীর বাংলাদেশ হবে শিক্ষানির্ভর। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ৩১ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছেন সেখানে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।এছাড়া রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও যুক্তরাষ্ট্রকে সামরিকভাবে জড়িত না হওয়ার জন্য কঠোরভাবে পরামর্শ দিয়েছে।

সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই: আব্দুস সালাম
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আব্দুস সালাম বলেছেন, বিচারের নামে, সংস্কারের নামে বছরের পর বছর পার করে দেওয়া যাবে না। ওই যে হাসিনা মাঝেমধ্যে বলে টুপ করে আইসা পড়বে। সে নাকি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এই কারণেই বলি ড. ইউনুস আপনাকে এই ষড়যন্ত্রকে থামাতে হবে। নির্বাচিত সরকার এবং নির্বাচন ছাড়া এর কোনো বিকল্প নাই। সেই কারণেই আমরা নির্বাচন চাই। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে নওগাঁর বদলগাছি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের জেলা, মহানগর বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। আব্দুস সালাম বলেন, দেশপ্রেম আনতে হবে, দেশপ্রেম ছাড়া রাজনীতি হয় না। ব্যক্তিপ্রেম দিয়ে হয় না। যে নেতা হবে সবাইকে ভালোবাসবে। নিজেকে ভালোবাসলে নেতা হওয়া যায় না। এটাই শিখতে হবে রাজনীতিতে। সভাপতি সাধারণ সম্পাদক হয়ে থাকবেন বছরের পর বছর চলে যাবে, সংগঠনের কোনো লাভ হবে না। ওইটা কিন্তু এখন হবে না। হাসিনা জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে ছিলো বলেই স্বৈরাচার হয়েছে। এই সরকারও ওই দিকে দেশকে ঠেলে দিতে চেয়েছিলো। আমরা বলেছি ওইসব অকাম কুকামের দিকে যাইয়েন না। আপনারা নির্বাচনটা করান, নির্বাচনটা করায়ে যান। আরেকটা হলো বিচার, বিচার তো সবচেয়ে বেশি আমরা চাই। আমাদের নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি হত্যার স্বীকার হয়েছে, গুম হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে। বছরের পর বছরের জেলে কাটিয়ে দিয়েছে। আমরাই তো বিচার চাই, আমরাই তো সংস্কার চাই, আমরাই তো নির্বাচন চাই। বলে ওদের ৩ দফা, আরে এই ৩ দফা তো আমাদেরই ৩ দফা। তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচন চাই। ওই তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানাইতে হবে এই জন্য শুধু নির্বাচন চাই না। সেটা তো অবশ্যই চাই। দেশ চালাইতে হলে খালেদা জিয়া তারেক রহমানের মতোই তো নেতা লাগবে। এটা তো পরিষ্কার বিএনপি ক্ষমতায় গেলেই আধিপত্যবাদকে রুখতে পারবে। আজকে যে অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সেটিকে সংষ্কার করতে পারবে। এই জন্যই তো বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায়। আমরা দল করি, রাজনীতি করি, হ্যাঁ ক্ষমতায় তো যাবোই, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যই তো করি। ক্ষমতায় না গেলে পরিবর্তন হবে কীভাবে। যদি ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতার দায়িত্ব না নিতো তাহলে বাংলাদেশ ওই সময় ধ্বংস হয়ে যেতো। যদি বেগম খালেদা জিয়া ৯০ এর পরে ক্ষমতায় না আসতো তাহলে তো মহিলারা এতো সুযোগ সুবিধা ই পেতো না। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় বলি, অনেক কিছু বলি, আজকে যতকিছু করছে বেগম খালেদা জিয়া এসব তো কোনোকিছুই হতো না। সেই কারণে এই দেশটাকে, দেশের সার্বভৌমত্বটাকে যে বিক্রি করে দিয়েছিলো আওয়ামী লীগ সেটা থেকে দেশকে বাঁচতে হলেও বিএনপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে হবে। নিজেদের ভোগবিলাসের জন্য নয়। আব্দুস সালাম আরও বলেন, মানুষ মনে করে বিএনপি হলো সৎ। বিএনপি কখনো অন্যায় করবে না। বিএনপি সততার দিক দিয়ে এক নম্বর। কাজেই সেই সততা দিয়ে আমাদেরকে মানুষের মন জয় করতে হবে। এখন অন্যরা চুরি করতেছে। আমাদের দুই একটা ছিটেফোঁটা থাকতে পারে। কিন্তু সেটার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। যদি এখনো কেউ থেকে থাকে তাহলে তাদেরকে বলবেন সাইডলাইনে চলে যাওয়ার জন্য। তারা যেনো লিডারশিপের ধারে কাছে না আসে। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা অনেকেই জানেন তারেক রহমানের টেলিফোনে কিন্তু অনেকের কাছে বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকের টেলিফোন তারেক রহমান ধরেন না। কাদের ধরে না বুঝে নিয়েন। কাজেই বুঝতে হবে এটাই হলো তারেক রহমান যে আগামীতে রাষ্ট্রের দায়িত্বে আসবে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, শহীদ জিয়ার সন্তান হিসেবে, বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান হিসেবে রাষ্ট্রকে উন্নয়নে আনতে এক বছরও উনার সময় লাগবে না। সভায় রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতিস ফখরুল ইসলাম রবিন, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এএইচএম ওবায়দুর রহমান চন্দন, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলে হুদা বাবুল, নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু, সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশসহ রাজশাহী বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের সিনিয়র নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রদলের প্রস্তাবনাগুলোকেই প্রাধান্য দিয়েছে ঢাবি প্রশাসন: ফরহাদ
ডাকসু গঠনতন্ত্র সংস্কারে ছাত্রদলের প্রস্তাবনাগুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ। বুধবার (১৮ জুন) রাত ৯টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা জানান তিনি। পোস্টে ফরহাদ লেখেন, ‘শিক্ষার্থীদের বহুদিনের দাবি ছিল সময়ের প্রয়োজন অনুসারে নারী ও সমতা বিষয়ক সম্পাদক এবং ধর্ম ও সম্প্রীতি বিষয়ক সম্পাদক পদ অন্তর্ভুক্ত করা। ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে আমরা এ ধরনের যৌক্তিক প্রস্তাব উত্থাপন করলেও প্রশাসন গুরুত্ব দেয়নি। অথচ ছাত্রদলের প্রস্তাব অনুযায়ী একাধিক নতুন সম্পাদকীয় পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।’ তিনি আরও লেখেন, ডাকসুর কার্যক্রম নিয়মিত করতে সংসদের মেয়াদ শেষে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের জন্য একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রস্তাব করেছিল শিবির, যা অত্যন্ত জরুরি ছিল। কিন্তু প্রশাসন তা বিবেচনায় নেয়নি।’ শিবিরের এই নেতা বলেন, পাঠাগার, পাঠকক্ষ ও কমনরুম বিষয়ক সম্পাদক এবং ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যান্টিন বিষয়ক সম্পাদক এই দুটি পদ পৃথকভাবে সৃষ্টির প্রয়োজন ছিল। কারণ, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য,সুবিধা, খাবারের পুষ্টিমান নিশ্চিতকরণ এবং গবেষণাবান্ধব পরিবেশ তৈরির বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এবারও এই দুই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র একই সম্পাদকের আওতায় রাখা হয়েছে। ফরহাদ লিখেছেন, ‘শিক্ষার্থীরা চাইছে ছাত্ররাজনীতিতে গুণগত সংস্কার। সে লক্ষ্যে ডাকসু নির্বাচনে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হতে পারত। এতে বছরের পর বছর ইচ্ছাকৃতভাবে পড়াশোনা পিছিয়ে রাখা এবং অনাকাঙ্ক্ষিত নেতার উদ্ভব ঠেকানো যেত।’ তিনি বলেন, ‘প্রশাসন নির্দিষ্ট একটি ছাত্রসংগঠনকে সুবিধা দিতে গিয়ে বয়সসীমার বিধিনিষেধও বাতিল করেছে। এর ফলে শিক্ষার মূল স্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন নেতাদের দৌরাত্ম্য এবং অনাকাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।’ এছাড়া, নির্বাচন কমিশন গঠনেও পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছেন ফরহাদ। তাঁর ভাষায়, ‘নির্বাচন কমিশনে নির্দিষ্ট একটি শিক্ষক সংগঠনের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের আধিক্য দেখা যাচ্ছে, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কমিশন গঠনের ঘোষণা হলেও দীর্ঘদিনেও কোনো রোডম্যাপ বা দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই, যা অত্যন্ত হতাশাজনক।’ পোস্টের শেষ অংশে ফরহাদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় যখন দীর্ঘ অচলায়তন ভাঙার উদ্যোগ নিয়েছে, তখন আমরা আশাবাদী প্রয়োজনীয় সংস্কার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেও সম্ভব হবে। তবে প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে নতুন করে শঙ্কার জন্ম দিচ্ছে। এ অবস্থায় প্রশাসন আদৌ নিরপেক্ষ আছে কি না সে প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের মধ্যে জোরালোভাবে উঠছে।’

স্বাধীন বিচার বিভাগের জন্য আমরা সংগ্রাম করছি: সালাহউদ্দিন আহমেদ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, স্বাধীন বিচার বিভাগের জন্য আমরা সংগ্রাম করছি, যে বিচার বিভাগ জাতীয় অভিভাবক হিসেবে কাজ করবে। বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দিনব্যাপী রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার পর এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সুপ্রিম কোর্ট সম্পূর্ণ স্বাধীন হোক। আমরা এমন একটি স্বাধীন বিচার বিভাগের জন্য সংগ্রাম করছি, যে বিচার বিভাগ সংসদের, যে বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগের একটি রক্ষাকবচ হিসেবে, পাহারাদার হিসেবে কাজ করবে, জাতীয় অভিভাবক হিসেবে কাজ করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই সুপ্রিম কোর্ট সম্পূর্ণ স্বাধীন হোক, নিরপেক্ষ হোক। দেশের তিনটি প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করুক, যার মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্ত ভিত্তি পাবে। সর্বশেষ আশ্রয় হিসেবে অন্তত সুপ্রিম কোর্টের প্রতি সব নাগরিকের একটি বিশ্বাস থাকবে, যেটি আগে আমরা পাইনি।’ তিনি আরও বলেন, বর্তমান সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এককভাবে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিতে পারেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমরা একটি বাধ্যবাধকতায় আসতে চাই। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতিকে নির্ধারণ করে দেওয়া হবে যে, কী কী ক্রাইটেরিয়ার ওপর ভিত্তি করে তিনি প্রধান বিচারপতি নির্বাচন করবেন। দুইটি রাজনৈতিক দল বাদে প্রায় সবাই এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেন, নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে বিচারকদের নিয়োগের যে প্রক্রিয়া, সে বিষয়ে কেউ দ্বিমত পোষণ করেন না। সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যদি প্রধান বিচারপতি ও বিচারক নিয়োগ শুরু হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের আমলে যেমন বিচারক নিয়োগের পদ্ধতিকে দূষিত করা হয়েছিল, সেখান থেকে আমরা ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে পারবো। আজকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে তিনি জানান, আমাদের দলের এবং আরও অন্যান্য অনেক রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব হচ্ছে সংসদের নারী সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা ৫০ থেকে ১০০ টিতে বৃদ্ধি করা। বিদ্যমান সংবিধানে যে প্রক্রিয়ায় এই নির্বাচন ও মনোনয়ন হয়, সে প্রক্রিয়ায় সেটি হবে এবং বিকল্প প্রস্তাব হিসেবে সরাসরি নির্বাচনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা হবে। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, একশো আসনের বিশিষ্ট পার্লামেন্টের ধারণার সঙ্গে আমরা একমত। অধিকাংশ রাজনৈতিক দলও দ্ব chambers বিশিষ্ট সংসদের ধারণার সঙ্গে একমত, তবে কিছু বিষয়ে আপত্তি রয়েছে। ভবিষ্যতে কোন পদ্ধতিতে এ আসনগুলোতে নির্বাচন হবে সে বিষয়ে ঐকমত্য হলে তা জুলাই সনদে স্থান পাবে। তিনি বলেন, কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে আরও আলোচনা হবে এবং এ ক্ষেত্রে একমত হতে গেলে হয়তো আরও কিছু সময় লাগবে।

আওয়ামী লীগ থেকে যেন কেউ বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে
আওয়ামী লীগ থেকে কেউ যেন বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক। বুধবার (১৮ জুন) তুরাগ থানা বিএনপির আয়োজনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ ও সদস্য নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছর যারা আন্দোলন সংগ্রাম করে দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে নিজেকে পরীক্ষিত করেছেন, আমরা তাদেরকে সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করব। আর যারা নতুন করে বিএনপি সাজার চেষ্টা করছেন, তাদের বিষয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দলের সদস্য নবায়নের সময় খেয়াল রাখতে হবে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন কেউ যেন বিএনপির সদস্য হতে না পারে। পতিত আওয়ামী লীগ থেকে আসা কেউ যেন বিএনপির নাম ব্যবহার করে দলে অনুপ্রবেশ করতে না পারে। বিএনপি অন্যায় করে না, অন্যায়কারীকে প্রশ্রয়ও দেয় না মন্তব্য করে আমিনুল হক বলেন, বিএনপিতে চাঁদাবাজ ও দখলবাজের কোনো জায়গা নেই। বিএনপি অন্যায় ও অত্যাচার করে না। কোথাও বিএনপির বদনাম হয়, এমন কাজ করা যাবে না। তুরাগ থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হারুন অর রশীদ খোকার সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন, হাজী মো. ইউসুফ, মো. শাহ আলম প্রমুখ।

মৌলিক সংস্কারে একমত না হলে গণভোট: মাওলানা আতাউর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, মৌলিক সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলো একমত না হলে প্রয়োজনে গণভোটে যেতে হবে। বুধবার (১৮ জুন) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের পর এব সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেছেন, আজকের বৈঠকে বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করেছি যে, কিছু রাজনৈতিক সংগঠন যারা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বকীয়তা, স্বাধীনতা ও শক্তিশালীকরণের কথা বলতেন এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ওপরে নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ বন্ধের কথা বলতেন, তারাও আজকে এনসিসি (জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল) গঠনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন। কেউ কেউ বলতে চাইছেন, এটা এখন গঠন না করে পরে গঠন করা যেতে পারে। বিশেষ করে বামপন্থি কিছু সংগঠন এমন অবস্থান নিয়েছে। বিষয়টি আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আজকের বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দুই যুগ্ম মহাসচিব অংশ নেন। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের সঙ্গে ছিলেন আরেক যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারই শুধু নয়; বরং স্বাধীনতার পর অতীতের সব সরকারই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে; দলীয়করণ করেছে। সেটা রোধ করার জন্যই এনসিসির প্রস্তাব করেছে সংবিধান সংস্কার কমিটি। এনসিসি নির্বাহী বিভাগের ওপরে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। বরং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সদস্য নিয়োগে কাজ করবে। বাংলাদেশের অতীত বিবেচনায় দেশকে ভবিতব্য স্বৈরতন্ত্রের কবল থেকে রক্ষা করতে এনসিসি জরুরি। সেজন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আগেই লিখিতভাবে এর প্রতি সমর্থন জানিয়েছিল। আজও আমরা তার পুনর্ব্যক্ত করেছি। তবে এনসিসির কাঠামোর মধ্যে রাষ্ট্রপতির অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আমরা ভিন্ন মত দিয়েছি। এনসিসি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সদস্য ও প্রধান নিয়োগে রাষ্ট্রপতির কাছেই প্রস্তাব দেবে। তো রাষ্ট্রপতি নিজেই এনসিসির অংশ হলে সেটা বেমানান হয় এবং রাষ্ট্রপতিকে এনসিসির বাইরে এই কারণেও রাখা দরকার যেন এনসিসির কোনো বিষয়ে সমস্যা হলে অন্তত রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়া যায়। তবে প্রধান বিচারপতি অথবা বিচার বিভাগ থেকে একজন এনসিসির সদস্য করার ব্যাপারে ইসলামী আন্দোলন মতামত দিয়েছে। মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, এনসিসি নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। যারা দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে অনাগ্রহী তারাই কেবল এনসিসি নিয়ে দ্বিমত করতে পারে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এনসিসির কার্যপরিধির মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান নিয়োগের ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করে। এটা নির্বাহী বিভাগের হাতে থাকতে পারে। মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এনসিসি প্রতিষ্ঠার মতো মৌলিক সংস্কারমূলক কাজ পরে করার ব্যাপারে মত দিয়েছে। আমরা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, জুলাই অভ্যুত্থানের প্রধান দাবিই হলো, দেশকে আগামীর যে কোনো স্বৈরতন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করা। আগামীতে আর কোনো স্বৈরাচার যাতে জেঁকে বসতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার হতেই হবে। এতে যদি কোনো রাজনৈতিক দল দ্বিমত করে বা রাজনৈতিক দলগুলো যদি একমত না হয়, তাহলে এ ধরনের মৌলিক সংস্কারের জন্য গণভোটে যেতে হবে। কারণ রাজনৈতিক দলগুলো দেশের জনমতকে ধারণ করে এটা সত্য কিন্তু যদি স্বৈরতন্ত্রের পথ উন্মুক্ত রাখার মতো কোনো বিষয় সামনে আসে তাহলে জনগণকে সরাসরি মতামতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সেজন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে মৌলিক ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না হলে গণভোটে যেতে হবে।

স্বাস্থ্য পরীক্ষায় হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টা ৩৯ মিনিটে তিনি হাসপাতালের উদ্দেশ্য রওনা করেন। এর আগে, এদিন সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং তার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার। এসময় মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হবে বলেও জানান তারা। উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে উন্নত চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পর এটিই হবে খালেদা জিয়ার প্রথম হাসপাতালে যাওয়া। দীর্ঘদিন ধরে লিভার, কিডনি ও হৃৎপিণ্ডসহ নানা ধরনের জটিল রোগে ভুগছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

বিএনপি-সরকারের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সব দলই বিব্রত: জামায়াত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের যৌথ সংবাদ সম্মেলন ইতিহাসের বিরল ঘটনা। এ ঘটনায় দেশের বাকি সব দলই কিছুটা বিব্রত। এখানেই আপত্তি ছিল জামায়াতে ইসলামীর। বুধবার (১৮ জুন) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠকের বিরতিতে এসব কথা বলেন তিনি। সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর অংশ না নেওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে এটিকেই উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নিরপেক্ষতা হারালে সরকারপ্রধান ও ঐকমত্য কমিশন বেশি দূর এগোতে পারবে না। তিনি বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা জামায়াতের আমিরের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমরা মনে করি, এরপর প্রধান উপদেষ্টা জামায়াতে ইসলামীর বক্তব্য অনুধাবনের চেষ্টা করেছেন। পরবর্তী সময়ে জামায়াতে ইসলামী বুধবারের আলোচনায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তাহের আরও বলেন, আমরা কখনোই সরকারকে ব্যর্থ করতে চাই না। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। বুধবারের আলোচনা প্রসঙ্গে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, জামায়াতে ইসলামী এনসিসি (জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল) গঠনের পক্ষে। এর মাধ্যমে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে। তবে এনসিসির গঠন ও আওতা নিয়ে ভিন্নমতের কথা জানান তিনি। এনসিসিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে না রাখার পক্ষে মত দিয়েছে জামায়াত। এ প্রসঙ্গে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, তিন বাহিনী প্রধানের নিয়োগও এই কমিটির আওতায় না রাখার পক্ষে জামায়াতে ইসলামী। তবে বিষয়টি আরও আলোচনার দাবি রাখে। লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপির যৌথ বৈঠক নিয়ে জামায়াতের আপত্তি গত ১৩ জুন লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে আগামী রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে, অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা বলা হয়। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক শেষে যৌথ ব্রিফিংয়েও আসেন অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপির প্রতিনিধিরা। ওই বৈঠকের পরদিন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে বলা হয়, একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিদেশে যৌথ সংবাদ সম্মেলন ও বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে যৌথ বিবৃতি নৈতিকভাবে কিছুতেই যথার্থ নয়; যৌথ বিবৃতি দেওয়া দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ব্যত্যয়। এর মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন, যা তার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের একটি সূত্র জানায়, গতকালের বৈঠকে যে জামায়াত থাকবে না এ বিষয়ে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়। কারণ হিসেবে দলটি বলেছে, প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে জামায়াতকে ‘ইগনোর’ করা হয়েছে বলে মনে করে দলটি। তবে গতকাল বৈঠকের পর বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা মনে করছি, আলোচনায় তারা অংশ নেবে।

‘জামায়াতকে বেশি বলার সুযোগ দেওয়া’র অভিযোগে গণফোরাম ও সিপিবির ওয়াকআউট
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে জামায়াত নেতাদের বেশি কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে দাবি করে অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেছে সিপিবি ও গণফোরাম। তবে কয়েক মিনিট পরে তাদের সংলাপস্থলে নিয়ে যান কমিশনের সদস্যরা। বুধবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের বক্তব্য শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বক্তব্য দেওয়া শুরু করলে প্রথমে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সংলাপস্থল থেকে বের হয়ে যান। এসময় তার পেছনে বের হন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ দুইজন। মিজানুর রহমান অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। এসময় তাকে জড়িয়ে ধরে সংলাপস্থলে যাওয়ার অনুরোধ করেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম। তবে সে সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন রুহিন হোসেন প্রিন্স। পরে কথা বলেন সেলিম। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, জামায়াতে ইসলামের তিনজন কথা বলেছেন। আমাদের একজন কথা বলতে গেলে তাকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করেছি। উনারা সেটা নোট নিয়েছেন। তাই আমরা সংলাপে ফিরে যাচ্ছি। শাহাদাৎ হোসেন সেলিম বলেন, আমরা যখন কথা বলেছি তখন আমাদের থামিয়ে দেওয়া হয়। জামায়াতে ইসলামী অপ্রাসঙ্গিক কথা বলছিল, তখন আমি বললাম এটা প্রাসঙ্গিক নয়। তখন তিনি বলেছেন, আপনি কতজন লোককে প্রতিনিধিত্ব করেন। এসময় জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার আবারও তাদের সম্মেলন কক্ষে নিয়ে যান।

আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দুঃশাসন চালিয়েছে। সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর তুরাগের রানাভোলায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য ফরম নবায়ন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, একদিন কারাগারে দেখলাম বৃদ্ধ বয়সে কয়েদির পোশাক পরে ঝাড়ু দিচ্ছে বোরহান নামে এক বিএনপি কর্মী। তাকে দেখে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি। বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ যা বলতো, তাই আইনে পরিণত হতো। উত্তরায় আমার বাসায় ডিশের লাইনের সংযোগ দিত তুষার নামে এক ব্যবসায়ী। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তার ডিশের ব্যবসা কেড়ে নিয়েছে। বর্তমানে বিএনপির কর্মীরা এমন করলে আমরাও তো তাদের মতো হয়ে যাবো। তাদের মতো অন্যের ব্যবসা কেড়ে নেয়া যাবে না। এ বিষয়ে আমরা সব সময় সতর্ক আছি। মির্জা ফখরুল বলেন, এদেশের রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতা তারেক রহমান। লন্ডনে ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠকের কারণে জাতীয় নির্বাচন এপ্রিলের পরিবর্তে ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে। এ বৈঠকের কারণে একটি দল মনোক্ষুণ্ন হয়েছে, তারা নারাজ। তারা জানে নির্বাচন হলে কোন দল সরকার গঠন করবে। তিনি আরো বলেন, আমরা জনগণের জন্য কাজ করি। দেশের জন্য কাজ করি। আমাদের দল ক্ষমতায় আসলে সর্বপ্রথম বেকার সমস্যার সমাধান করা হবে। এক কোটি বেকার মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। তরুণ যুবকদের প্রাধান্য দিয়ে সরকার চালানো হবে। বর্তমানে যারা চাঁদাবাজি করছে তারা প্রফেশনাল চাঁদাবাজ। ঐসকল চাঁদাবাজরা যেভাবেই হোক সরকারি দলে ভিড়তে চেষ্টা করে। বিএনপিতে কোন চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না। ১৯৯১ সালে বিএনপি কয়টা সিট পাবে গ্যারান্টি ছিল না। তবে বিএনপির ভাবমূর্তি ভালো ছিল, তাই তখন সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করতে পেরেছিল। সদস্য ফরম নবায়ন কর্মসূচি অনুষ্ঠানে তুরাগ থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ খোকনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ আমিনুল হক, সদস্য সচিব মোঃ মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এম কফিল উদ্দিন, আফাজ উদ্দিন, এ বি এম আব্দুর রাজ্জাক, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির আব্দুস সালাম, মোস্তফা সরকার, আলমগীর হোসেন শিশির, তুরাগ থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম, আলমাছ আলী, চান মিয়া বেপারী প্রমুখ। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ আমিনুল হক বলেন, দুঃসময়ে যারা দলের পাশে ছিল এমন কর্মীদের সদস্য করা হবে। গত ১৭ বছর দলের প্রতি ভালোবাসা দেখিয়েছেন, সমর্থন যুগিয়েছেন, তাদের সদস্য ফরম দেয়া হবে। তবে কোন আ.লীগের সদস্যকে সদস্য নবায়ন ফরম দেয়া হবে না। ৩ জুলাই পর্যন্ত সদস্য নবায়ন করা যাবে। নিজ নিজ ওয়ার্ডে সদস্য নবায়ন ফরম দেয়া হয়েছে। কেউ যদি আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীর সদস্য ফরম নবায়ন করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সরকার দক্ষিণ সিটির সেবায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে: ইশরাক
বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার বিভিন্ন উপায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সেবায় বাধা সৃষ্টি করছে। আমরা নগরবাসীকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, অথচ সরকার থেকেই সেই সেবায় বিঘ্ন ঘটানো হচ্ছে। বুধবার (১৮ জুন) নগর ভবনে কর্মচারী ও ‘আমরা ঢাকাবাসী’র চলমান আন্দোলনে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ইশরাক হোসেন বলেন, আন্দোলন চলমান থাকা অবস্থাতেও আমরা জরুরি সেবা চালু রেখেছি। কিন্তু সরকার থেকে বিশেষ করে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের কাজ করতে নিষেধ করেছেন বলে শুনতে পেরেছি। তিনি বলেন, গতকাল জানতে পেরেছি, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা ও সচিব আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, যেন তারা জন্ম নিবন্ধন বা নাগরিক সনদে স্বাক্ষর না করেন। একটা ন্যাক্কারজনক কাজ করতে চাচ্ছে। তারা চাচ্ছে, সেবায় বিঘ্ন ঘটিয়ে আমাদের ওপর দায় চাপাতে। বিএনপির এই নেতা বলেন, গতকাল আসিফ মাহমুদ বলেছেন, আমি নাকি আইন লঙ্ঘন করেছি এবং ফৌজদারি অপরাধ করেছি। আমি তাকে বলতে চাই, আমি যদি অপরাধই করে থাকি তাহলে আপনারা সরকারে থেকেও কেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করছেন না? তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কেন নির্দেশ দিচ্ছেন না আমাকে গ্রেফতর করে নিয়ে যাওয়ার? আমরা এসব ভয় পাই না। খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে ১৭ বছর আমরা যুদ্ধ করেছি লড়াই করেছি, জেল খেটেছি, গুম হয়েছি। যত ধরনের নির্যাতন আছে সহ্য করে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছি। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়াকে ইঙ্গিত করে ইশরাক বলেন, আপনাদের মতো শিশু উপদেষ্টা যদি আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়, সেই কথা বলাও আমাদের জন্য অবমাননাকর। আজকে যা কিছু হচ্ছে সবকিছুর জন্যই এই বর্তমান সরকার দায়ী। সরকার এসব লোকজন দিয়ে কথা বলাচ্ছে এবং আমাদের হেয়প্রতিপন্ন ও খাটো করার চেষ্টা করছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভায় যোগ দিল জামায়াত
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের দ্বিতীয় দিনের আলোচনা সভায় যোগ দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। বুধবার (১৮ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে শুরু হওয়া এ সভায় দলটির পক্ষ থেকে দুই শীর্ষ নেতা যোগ দেন। আজকের আলোচনার বিষয় জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি), রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, জেলা সমন্বয় কাউন্সিল। এইদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে যোগ দিতে থাকেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। গতকাল প্রথম দিনের আলোচনা সভায় জামায়াতে ইসলামী উপস্থিত না হলেও আজ দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের যোগ দিয়েছেন।