শাপলা প্রতীক প্রশ্নে এনসিপি আপসহীন: পাটওয়ারী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৯:৪৫ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নতুন গেজেটে তাদের ‘শাপলা কলি’ প্রতীক দিয়েছে, কিন্তু কমিশন কেন এটি নির্ধারণ করেছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। তবে শাপলা বিষয়ে আমরা আপসহীন।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলা মোটরে অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতীয় যুবশক্তির আয়োজনে ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচন কোন পথে?’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, ডা. তাসনিম জারা, ডা. খালেদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।
পাটওয়ারী বলেন, “ঐকমত্য কমিশনে বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট প্রকৃতপক্ষে নোট অব চিটিং। আর জামায়াত মুখে জুলাই সনদের কথা বললেও নিন্মকক্ষে পিআরের কথা বলে আসন নিয়ে দরকষাকষি করছে। এটা এক ধরনের ভণ্ডামি।”
তিনি আরও বলেন, “কমিশনকে শাপলা সম্পৃক্ত করে নতুন গেজেট দিতে হবে। আমরা শান্তিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। অন্যথায় কমিশন কার্যালয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে, তা আদায় করে নিবো।”
পাটওয়ারী অভিযোগ করেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর প্রথম অনৈক্যের সৃষ্টি করেছে বিএনপি। ঐকমত্য কমিশনে দলটি নোট অব ডিসেন্ট, নোট অব চিটিং।”
তিনি আরও বলেন, “সুপারিশকৃত সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। এতে সই করার একমাত্র এখতিয়ার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের কোনো ক্ষমতা নেই। কারণ সে একজন খুনি।”
পাটওয়ারী অভিযোগ করেন, “বিএনপি পিএসসিতে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে ভাইয়াগিরি করার জন্য। নতুন বাংলাদেশে এমনটা হতে দেওয়া হবে না। তরুণরা প্রতিহত করবে।”
সেমিনারে সামান্তা শারমিন বলেন, “কোনও আইনি কারণ ছাড়া আমাদেরকে ‘শাপলা কলি’ দিয়ে গেজেট দিয়েছে ইসি। এটি এক ধরনের বৈষম্য।”
ডা. তাসনিম জারা বলেন, “আমরা জুলাই সনদে সই করতে চাই, তবে বাস্তবায়নের পথরেখা সুস্পষ্ট করা প্রয়োজন। এটিই দুঃখজনক।”
আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, “নির্বাচন কমিশন জমিদারি আচরণ করছে। শাপলাই হবে এনসিপির প্রতীক। জুলাই সনদ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। সনদের কারণে প্রমাণিত হয়, এনসিপি ভবিষ্যতে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাবে।”
সেমিনারের সঞ্চালনায় ছিলেন জাতীয় যুবশক্তির মুখ্য সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ সোহেল।