আগামীতে শাপলা হবে নৌকার বিকল্প: সরোয়ার তুষার

বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার। তিনি বলেছেন, “আগামীতে শাপলা হবে নৌকার বিকল্প। নৌকা ডুবে গেছে, শাপলা ভাসবে।”

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফরিদপুরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তুষার বলেন, নির্বাচন কমিশন যেহেতু ‘শাপলা কলি’ প্রতীক অনুমোদন করেছে, তাই ভবিষ্যতে ‘শাপলা ফুল’ অন্তর্ভুক্ত করাও সম্ভব। তার ভাষায়, “শাপলা কলি কয়েকদিন পানিতে ভিজলেই ফুল ফুটবে।” তিনি স্পষ্ট করে জানান, এনসিপি আসন্ন নির্বাচনে শাপলা প্রতীক নিয়েই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করে তুষার বলেন, “অনেক জল ঘোলা করেছেন। একবার দিব না বলে ফেলছেন। দিবেন না এই ইগোর জায়গায় যাবেন না।” তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাবে পরিচালিত হচ্ছে, ফলে তাদের তত্ত্বাবধানে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তুষার বলেন, “বিএনপি না ভোটের ক্যাম্পিং করছে। তাদের ৩০ শতাংশ ভোট না ভোটের পক্ষে গেলেও বাকি বিপুল ভোটে জুলাই সনদ পাস হবে। তখন এরা আয়নায় মুখ দেখাতে পারবে না।” তিনি আরও দাবি করেন, বিএনপি অতীত থেকে শিক্ষা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। “তাদের নেতা জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে হ্যাঁ এবং না ভোটের আয়োজন করেছিলেন। অথচ এই বিএনপি হ্যাঁ/না ভোটের বিরোধিতা করছেন।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “জুলাই সনদের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে তাদের দুমড়ে মুচড়ে পদ্মায় ফেলে দিবে জনগণ।”

জাতীয় পার্টিকে নিয়েও তুষার কঠোর সমালোচনা করেন। তার বক্তব্যে, “দেশে আওয়ামী লীগের পরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে জাতীয় পার্টি‌। তাদের নেতা এরশাদ কবরে, জাতীয় পার্টিও কবরে যাবে। এরা ভারতের এজেন্ট, জাতীয় পার্টির ব্যানারে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করার যে চেষ্টা চলছে, তা দেশের জনগণ মেনে নেবে না।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপির ফরিদপুরের প্রধান সমন্বয়ক সৈয়দা নীলিমা দোলা। এতে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন এবং ফরিদপুর বিভাগীয় সংগঠক রাসেল আহম্মেদ। ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও শরিয়তপুর জেলার কয়েক’শ এনসিপি নেতা-কর্মী এ সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন।