আজ স্বর্ণ কত দামে বিক্রি হচ্ছে?

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। আজ শনিবার (১৭ মে) সবশেষ সমন্বয়কৃত দাম অনুযায়ী দেশের বাজারে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে। সবশেষ সমন্বয়কৃত দাম অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে রুপাও। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার স্বর্ণের ২২ ক্যারেটের এক ভরিতে ৩ হাজার ৪৫২ টাকা কমিয়েছে সংগঠনটি। নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭৩৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬০৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। এর আগে, সবশেষ গত ১৩ মে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৫৬৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৬৯ হাজার ১৮৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ১৪ মে থেকে। এ নিয়ে চলতি বছর ৩৪ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ২২ বার, আর কমেছে মাত্র ১২ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার। স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮১১ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭২৬ টাকায়।

সাড়ে ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন ডিএসইতে

প্রায় ২০ বছর পর দেশের পুঁজিবাজার লেনদেন হলো আজ শনিবার (১৭ মে)। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ২৬২ কোটি টাকা। ডিএসইর এই লেনদেন গত ৯ মাস ১৩ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে ডিএসইতে সব ধরনের সূচক উত্থান হয়েছে আজ। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৯ পয়েন্ট। এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর উত্থান হয়েছে। আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবারের তুলনায় আজ বাজারে মূলধন বেড়েছে তিন হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। দেশে একসময় সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি একদিন (শুক্রবার) ছিল। ১৯৯৭ সালে প্রথম সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি দুদিন (শুক্রবার ও শনিবার) নির্ধারণ করা হয়। ২০০১ সালে সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন বাতিল করে ফের একদিন (শুক্রবার) করা হয়েছিল। এর চার বছর পর ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর ফের সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ও শনিবার করা হয়। এরপর থেকে পুঁজিবাজারের লেনদেন শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ থাকে। তবে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে সরকার দীর্ঘ ছুটি দেওয়ার পাশাপাশি দুই শনিবার অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তার আলোকে আজ শনিবার সরকারি সব অফিস খোলা থাকার পাশাপাশি পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ২৯৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার। আজ লেনদেন হয়েছে ২৬২ কোটি ৮৬ লাখ টাকার। আজকের এই লেনদেন গত ৯ মাস ১৩ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত বছরের ৪ আগস্ট লেনদেন হয়েছিল ২০৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এদিন ডিএসইতে মূলধন দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৫৩ হাজার ৯৯১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার মূলধন ছিল ছয় লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। ডিএসইতে শেয়ার কেনার চাপে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ১২ মিনিটে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স উত্থান হয় ১৯ পয়েন্ট। এদিন বেলা বাড়ার পর শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ে। এতে প্রধান সূচক পতনে আসে। লেনদেন শুরুর প্রথম ৪৬ মিনিটে সূচক ডিএসইএক্স পতন হয় ২০ পয়েন্ট। পরে ফের শেয়ার কেনার চাপ বাড়ে। এতে লেনদেন শেষে সূচক ডিএসইএক্স উত্থান হয়েছে ৩৯ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট। দিনশেষে সূচকটি বেড়ে দাঁড়ায় চার হাজার ৮২০ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে। একইসঙ্গে উত্থান হয়েছে ডিএসইর সূচক ডিএসইএস ও ডিএস৩০। আজ ডিএসইএস সূচক ১৩ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫২ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে। এদিন ডিএস৩০ সূচক ১৮ দশমিক শূন্য আট পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৮৮ দশমিক ৩০ পয়েন্টে। আজ লেনদেন হওয়া ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ২৭৭টির বা ৬৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ ও কমেছে ৭৯টির। শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির। আজ লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিচ হ্যাচারির ১১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, সিটি ব্যাংকের ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, উত্তরা ব্যাংকের ৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের আট কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আজ দর কমার শীর্ষে উঠে এসেছে মার্কেন্টাইল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। কোম্পানিটির দর কমেছে পাঁচ দশমিক ৬৮ শতাংশ। দর বাড়ার শীর্ষে উঠে এসেছে শাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

ফের নগদ বিভাগের নিয়ন্ত্রণ নিল দুষ্কৃতকারীরা: বাংলাদেশ ব্যাংক

ফের মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। শনিবার (১৭ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান। তার অভিযোগ, অবৈধ পন্থায় নগদে এমডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এমন এক ব্যক্তিকে যিনি বিপুল আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মামলার আসামি। আরিফ হোসেন খান বলেন, নগদের আগের বোর্ডে যারা ছিলেন তারা বিপুল আর্থিক অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। যেহেতু প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কোটি কোটি জনগণের সম্পৃক্ততা আছে এবং শত শত কোটি টাকার আমানত এখানে জড়িত তাই বাংলাদেশ ব্যাংক সাময়িকভাবে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব নেয়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবীর অনুপস্থিতিতে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্তে আট সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। এর ওপর ভিত্তি করে বেআইনিভাবে এমন একজনকে প্রতিষ্ঠানটির সিইও হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মামলার আসামি। তিনি বলেন, নগদের আইটি বিভাগের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুষ্কৃতিকারীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সব ধরনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ফলে প্রতিষ্ঠানটিতে এই মুহূর্তে কি হচ্ছে তা নিয়ে শঙ্কিত বাংলাদেশ ব্যাংক। বিগত সময়ের মতো অর্থ তছরুপ ও বেআইনি কর্মকাণ্ড হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী ১৯ মে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের ফুল বেঞ্চে প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মামলার আসামিদের পুলিশ কেন খুঁজে পাচ্ছে না সে প্রশ্নও রাখেন মুখপাত্র। বাংলাদেশ ব্যাংক ডাক বিভাগকে নগদ পরিচালনার লাইসেন্স দিয়েছে, কিন্তু ডাক বিভাগ কেন দ্বিতীয় পক্ষকের হাতে প্রতিষ্ঠানটিকে তুলে দিল এ বিষয়ে উদ্বেগের কথা জানান মুখপাত্র।

এনআরবি ব্যাংকের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন শেখ মোঃ সেলিম

জনাব শেখ মোঃ সেলিম সম্প্রতি এনআরবি ব্যাংক পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদের এক সভায় ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। জনাব সেলিম বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক। জনাব সেলিম, ২০০৩ সালে যুক্তরাজ্যের হাল বিশ্ববিদ্যালয়থেকে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এর আগে তিনি ১৯৮৭ সালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) থেকে বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে, জনাব সেলিম বেসরকারি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে ছয় বছর কাজ করে মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। এছাড়াও ১৯৯৭ সালে, তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে একটি সার্টিফিকেট কোর্স করে তার জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছেন। জনাব সেলিম ১৯৯৩ সালের জানুয়ারীতে বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করে তার ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরুকরেন এবং নির্বাহী পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহন করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩০ বছরেরও বেশি সময়ধরে বিস্তৃত অভিজ্ঞতার সাথে, তিনি আর্থিক বিশ্লেষণ, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, তথ্য-চালিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ঋণ মূল্যায়ন, ব্যাংক এবং ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গভীর দক্ষতা অর্জন করেছেন। নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন, বিশেষ করে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের (সিএমএসএমই) উন্নয়নের লক্ষ্যে তার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। জনাব সেলিম বিভিন্ন প্রচারমূলক অনুষ্ঠান, মেলা এবং সমাবেশ পরিচালনার মাধ্যমে সিএমএসএমই - এর আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও, তিনি ব্যাংকিং খাতের কার্যক্রম তত্ত্বাবধান এবং মূল্যায়ন, সম্মতি এবং কর্মক্ষমতা উৎকর্ষতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশিক্ষণ একাডেমিতে তার শিক্ষাদান এবং প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতার মধ্যে রয়েছে কোর্স ডিজাইন, সমন্বয়, অধ্যয়ন উপকরণ প্রস্তুতকরণ, বার্ষিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উন্নয়ন, কোর্স বিতরণ এবং পরীক্ষার স্ক্রিপ্ট মূল্যায়ন ভূমিকা পালন করেছেন। জনাব সেলিমের বহুমুখী দক্ষতা এবং বিস্তৃত পটভূমি তাকে ব্যাংকিং এবং আর্থিক খাতে একজন অত্যন্ত সম্মানিত পেশাদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

ন্যাশনাল ব্যাংকের আঞ্চলিক ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ন্যাশনাল ব্যাংকের আঞ্চলিক ব্যবসায়িক সম্মেলন (সিলেট) অনুষ্ঠিত হয়েছে গত শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫। সিলেটে ন্যাশনাল ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের স্বতন্ত্র পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মুখলেসুর রহমান। সম্মেলনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ইমরান আহমেদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক- ইনচার্জ মোঃ মেশকাত-উল-আনোয়ার খান, কোম্পানী সচিব ও এসভিপি মো. কায়সার রশিদ, সিলেটের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ও ভিপি বি এম সাইফুজ্জামান, সিলেট অঞ্চলের সকল শাখার ব্যবস্থাপকবৃন্দ ও অপারেশন্স ম্যানেজারগণ এবং উপশাখার ব্যবস্থাপকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এসময় ন্যাশনাল ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আদায়, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, আমানত সংগ্রহ এবং সর্বোচ্চ গ্রাহকসেবা নিশ্চিতকরণে কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেন অতিথিবৃন্দ। বিশেষত শাখা ব্যবস্থাপকদের খেলাপী ঋণ পুনরুদ্ধার, নতুন আমানত সংযোজন এবং গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে মনোযোগী হওয়ারও আহবান জানানো হয়।

বেনাপোলে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হওয়ার পথে

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধাতঙ্ক কাটিয়ে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি- রপ্তানি বাণিজ্য ফের স্বাভাবিক হচ্ছে। ফলে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় ভারতীয় ট্রাক চালকেরা পণ্য পরিবহণ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কে এপথে বাণিজ্য কমিয়েছিলেন। এরপর যুদ্ধ থামলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি আবার বাড়তে শুরু করে। বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪২৬ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়েছে। বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানি হয়েছে ১৮৭ ট্রাক পণ্য। বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ভারতের কলকাতা শহরের দূরত্ব মাত্র ৮৫ কিলোমিটার। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় দুই দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ৮০ শতাংশই বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর রুট ব্যবহার করে হয়। সম্প্রতি ভারত শাসিত কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ পর্যটন নিহতের ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে অনেক ব্যবসায়ী এ রুটে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেন। যুদ্ধ শুরুর দুই দিনের মাথায় আমেরিকার মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বন্ধ হলে ভারত-বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফেরে। নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেয়ে আবার তারা আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু করেন। বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে সাধারণ শিল্পকলকারখানার কাঁচামাল, মেশিনারিজ, তৈরি পোশাক, কেমিক্যাল, শিশুখাদ্য ও বিভিন্ন ধরনের মাছ আমদানি হয়ে থাকে। অন্যদিকে পাট ও পাটজাত পণ্য, গার্মেন্টস, কেমিক্যাল, মেলামাইন ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী ভারতে রফতানি হয়। ভারত থেকে পণ্য নিয়ে বেনাপোল আসা ট্রাক চালক রবিন দাস বলেন, ‘যুদ্ধ শুরু হলে বাড়ির লোকজন ট্রাক নিয়ে সীমান্তে যেতে নিষেধ করেছিল। এখন যুদ্ধের ভয় কেটে যাওয়ায় পণ্য নিয়ে তারা বেনাপোল এসেছেন’। বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম বলেন, ‘আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের বিরূপ প্রভাব পড়েছিল। তবে এখন বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়েছে’। বেনাপোল আমদানি-রফতানি ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘পাক-ভারত যুদ্ধের কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছিল। ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে তাদের বাণিজ্য কমিয়েছিলেন’। পাক-ভারত যুদ্ধে সময় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ৩০ শতাংশ কমেছিল উল্লেখ তিনি বলেন, ‘ভয় কেটে যাওয়ার পর সবাই আবার বাণিজ্য শুরু করেছে’।

হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বহিস্কৃত সচিব শাহিদুল গ্রেফতার

হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কোম্পানির বহিস্কৃত সচিবকে মোহাম্মদ শাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে খিলগাঁও থানা পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় মতিঝিলস্থ কোম্পানির প্রধান কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত ১২ মে আদালত বীমা কোম্পানিটির একজন কর্মকর্তার দায়েরকৃত সিআর মামলায় (নং-৪৮৩) তাকে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করেন। আদালতের সেই নির্দেশ বাস্তবায়নে আজ তাকে গ্রেফতার করা হয়। খিলগাঁও থানার পুলিশ তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। হোমল্যান্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব জামাল উদ্দিনের পৃষ্ঠপোষকতায় গত ২৯-০৪-২০২৫ তারিখে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড সভার অনুমোদন ছাড়া নিজ খুশি মতো এমডি, ডিএমডি নিয়োগ দিয়ে এবং কোম্পানি থেকে বিভিন্ন সময় বহিষ্কৃত কর্মকর্তাদেরকে নিয়ে তালা ভেঙে অফিস দখল করে নেয়। জানা যায়, চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অপকর্মের কারণে হাইকোর্ট থেকে বোর্ডের উপর স্থগিতের নির্দেশ আসে। যার কারণে তিনি গত ৬ মাস যাবত কোন বোর্ড সভা করতে পারেনি। এছাড়াও চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে কোম্পানির শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগ এবং মামলা বিচারাধীন রয়েছে। উনাদের বিরুদ্ধে গ্রাহকের ১০৪ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে ১০৪ কোটি টাকা লুটপাটের মামলার আসামি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোম্পানিতে কর্মরত একজন বলেন, গ্রেফতারকৃত শহীদুল ইসলাম প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের লোকজনকে ম্যানেজ করে গত ২৮ এপ্রিল হোমল্যান্ড লাইফ ইন্সুইরেন্স লিমিটেডের হেড অফিস দখল করে অরাজকতা করে আসতেছে। বোর্ড সভা ছাড়া চেয়ারম্যান কর্তৃক নিয়োগ পাওয়া ডিএমডি জাকির হোসেন সরকার মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের কাছ থেকে বেনামে টাকা সংগ্রহ করে অবৈধ ভাবে কোম্পানি দখলের কাজে ব্যয় করতেছেন বলে অভিযোগ আছে। এই জাকির হোসেন সরকারকে ১২ বছর আগে টাকা লুটপাটের অভিযোগ কোম্পানি থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। কোম্পানির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে যায় জানা যায়, বর্তমানে কোম্পানির এই দুরবস্থার জন্য বহিষ্কৃত সচিব শহিদুল ইসলাম সম্পূর্ণভাবে জড়িত রয়েছেন। এ বিষয়ে খিলগাঁও থানার এএসআই বেলাল হোসেন বলেন, শাহিদুল ইসলাম নামে হোমল্যান্ড লাইফের একজন কর্মকর্তাকে আজ সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এসআই মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে খিলগাঁও থানার পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় মতিঝিল থানার পুলিশও সঙ্গে ছিল। এএসআই বেলাল হোসেন আরো বলেন, শাহিদুল ইসলামকে আমাদের থানার কোন মামলায় গ্রেফতার করা হয়নি। একটি সিআর মামলায় (নং-৪৮৩) তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ ছিল আদালতের। সেই নির্দেশ বাস্তবায়নে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এবি ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান কাইজার এ চৌধুরী

এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন কাইজার এ চৌধুরী। সাম্প্রতিক বোর্ডসভায় তিনি এ দায়িত্ব পেয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার ব্যাংকটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। এর আগে গত ৬ মে এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান মো. ফজলুর রহমান। দশ দিনের মাথায় ওই পদে পরিবর্তন এল। এবি ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সিইও এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে কাজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা তার রয়েছে কাইজার এ চৌধুরীর। তিনি ১৯৭৫ সালে এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে কর্মজীবন শুরু করেন। ২৪ বছর তিনি ব্যাংকটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি। ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ওয়ান ব্যাংকের সিইও এবং ২০০৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত এবি ব্যাংকের সিইওর দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া মেঘনা ব্যাংকের সিইও হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি (বাংলাদেশ লিমিটেড) এবং বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারে (বিআইএসি) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। তিনি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসির স্বতন্ত্র পরিচালক এবং এবি ব্যাংক পিএলসির পরিচালক হিসেবেও দায়িত্বপালন করেন। শিশু সাহিত্যে তার ৫০টি প্রকাশনা রয়েছে। এই ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান।

দেশজুড়ে ৭ শতাধিক ওয়ালটন প্লাজায় মেডিক্যাল ক্যাম্পে ফ্রি চিকিৎসা প্রদান

ঈদ উৎসব উপলক্ষ্যে খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২ এর ‘আবারো মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনের ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম। একইসঙ্গে দেশব্যাপী আনন্দ র‌্যালি করেছে ওয়ালটন এবং দেশের ৭ শতাধিক ওয়ালটন প্লাজায় মেডিক্যাল ক্যাম্পে দেয়া হয়েছে ফ্রি চিকিৎসাসেবা। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে খুলনা নগরীর গ্র্যান্ড প্লাসিড হোটেল থেকে এক আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ক্যাম্পেইনের আনন্দ র‌্যালি এবং ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের উদ্বোধন ঘোষণা করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম মাহবুবুল আলম। সে সময় আরো যুক্ত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার এমডি মোহাম্মদ রায়হান। আনন্দ র‌্যালিটি নগরীর শিববাড়ী মোড় প্রদক্ষিণ করে গ্র্যান্ড প্লাসিড হোটেলে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ, জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান, অর্ধ-শতাধিক ক্ষুদে ক্রিকেটার, ওয়ালটনের বিভিন্ন প্রোডাক্টের চিফ বিজনেস অফিসারগণসহ খুলনা জোনের আওতাধীন তিন শতাধিক পরিবেশক, প্লাজা ম্যানেজার ও বিক্রয় প্রতিনিধি অংশ নেন। আনন্দ র‌্যালি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই-টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, ঈদ মানে উৎসব, ঈদ মানে আনন্দ। আমরা চাই ক্রেতাদের মাঝে সেই আনন্দ ছড়িয়ে দিতে। এরই প্রেক্ষিতে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে মিলিয়নিয়ারসহ বিভিন্ন সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে অসংখ্য ক্রেতার জীবনে সৌভাগ্য ও আনন্দের উপলক্ষ্য হতে পেরেছে ওয়ালটন। ইতোমধ্যেই অনেক ক্রেতা ওয়ালটন পণ্য কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন। অনেক ক্রেতা লাখপতি হয়েছেন। অসংখ্য ক্রেতা পেয়েছেন বিভিন্ন পুরস্কার। ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের এই আনন্দময় বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিতে একযোগে দেশব্যাপী বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়েছে। ওয়ালটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, দেশজুড়ে ৭ শতাধিক ওয়ালটন প্লাজায় ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী ক্রেতাসাধারণসহ সকলকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ। তিনি বলেন ‘কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা পলিসি’র মাধ্যমে ওয়ালটন প্লাজার মাধ্যমে সারা বছরজুড়েই ক্রেতাসাধারণের জন্য নানাবিধ বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। এটা ক্রেতাদের জন্য আমাদের দায়িত্বশীলতা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। র‌্যালি শেষে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে দেশে তৈরি পণ্যের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। এতে দেশের অর্থ দেশে থাকবে। দেশীয় শিল্পের টেকসই বিকাশের সঙ্গে তৈরি হবে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি আরো ত্বরান্বিত হবে। ওয়ালটন আমাদের সবার গর্ব। দেশের সীমানা পেরিয়ে ওয়ালটন পণ্য এখন বিশ্বের বহু দেশে রপ্তানি হচ্ছে। উল্লেখ্য, দেশজুড়ে চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২২ এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা ও পরিবেশক শোরুম থেকে ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন বা বিএলডিসি সিলিং ফ্যান কিনে ক্রেতারা ‘আবারো মিলিয়নিয়ার’ অর্থাৎ ১০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়াও লাখ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারসহ রয়েছে নিশ্চিত পুরস্কার। ঈদ উপলক্ষ্যে ওয়ালটন বাজারে ছেড়েছে আইওটি, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের নতুন সাত মডেলের রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার।

ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবায় পুরস্কার পেল ইসলামী ব্যাংক

‘সেলফিন’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীবান্ধব ব্যাংকিং সেবাপ্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় অভিগম্য ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) অডিটোরিয়ামে অ্যাসপায়ার টু ইনোভেটের (এটুআই) উদ্যোগে গ্লোবাল অ্যাকসেস্যাবিলিটি অ্যাওয়ারনেস ডে-২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমানের কাছে এ পুরস্কারের ক্রেস্ট হস্তান্তর করেন। এ সময় তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মাকসুদুর রহমান, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজাউল করিম ও মো. মোশাররফ হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ২৭০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

২০২৪ সালের আগস্টে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো, কৃষি ও জীবিকায় পুনরুদ্ধার এবং ভবিষ্যতের দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশকে ২৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। এতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক পর্ষদ এই অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশ টেকসই পুনরুদ্ধার, জরুরি প্রস্তুতি এবং প্রতিক্রিয়া (বি-স্ট্রং) প্রকল্প নামে এ উদ্যোগের আওতায় সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের গ্রামীণ এবং বন্যা প্রতিরোধমূলক অবকাঠামো নির্মাণ ও পুনর্গঠন করা হবে। এতে প্রায় ১৬ লাখ মানুষ উপকৃত হবেন। বিশ্বব্যাংকের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও ঘন ঘন দুর্যোগ বাংলাদেশের জন্য ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি তৈরি করছে। এ প্রকল্প দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের সক্ষমতা বাড়াবে, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবিকা পুনর্গঠনে সহায়তা করবে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। প্রকল্পের আওতায় পূর্বাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে ৭৯টি বহুমুখী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ ও সংস্কার করা হবে, যা শান্তিপূর্ণ সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এ ছাড়া সড়ক ও সেতু মেরামত, বাঁধ নির্মাণ, খাল পুনঃখনন, আধুনিক বন্যা পূর্বাভাস ব্যবস্থা চালু এবং জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহারযোগ্য নৌকা, সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ও প্রকল্পটির টিম লিডার স্বরণা কাজী বলেন, এই প্রকল্পে অবকাঠামোগত ও অ-অবকাঠামোগত উভয় ধরনের পদক্ষেপ থাকবে, যেন দুর্যোগ মোকাবিলায় একটি পূর্ণাঙ্গ ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি গড়ে তোলা সম্ভব হয়। পুনর্বাসন কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রকল্পটি বন্যা-আক্রান্ত পরিবারগুলোর আয় বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করবে। প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার মানুষ অর্থ সহায়তা, কর্মমুখী দক্ষতা উন্নয়ন ও অস্থায়ী কর্মসংস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে উপকৃত হবেন। এছাড়া অন্তত ৬৫ হাজার কৃষক পরিবারকে উচ্চফলনশীল, জলবায়ু সহনশীল ও টেকসই ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি, কৃষি যন্ত্রপাতি, সেচ ও সংরক্ষণ সুবিধা এবং মানসম্পন্ন বীজ ও চারা সরবরাহের লক্ষ্যে ‘সিড ভিলেজ’ গড়ে তোলার মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হবে। নারী উদ্যোক্তাদের গৃহস্থালি ও কমিউনিটি পর্যায়ের বাগান তৈরিতেও উৎসাহ দেওয়া হবে। প্রকল্পটি এমন সব খাতকে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যেগুলো আগের পুনরুদ্ধার কর্মসূচিতে উপেক্ষিত ছিল। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে সংস্থাটির অনুদান ও সুদমুক্ত ঋণের পরিমাণ ৪৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সবচেয়ে বড় সুদমুক্ত ঋণগ্রহীতাদের একটি।

সিগারেটের দাম সর্বনিম্ন ৯০ টাকা করার দাবিতে মানববন্ধন

সিগারেটের নিম্ন ও মধ্যম স্তর একীভূত করে প্রতি ১০ শলাকা প্যাকেটের সর্বনিম্ন দাম ৯০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে ডর্প যুব ফোরাম। আসন্ন ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সকল তামাক পণ্যের দাম ও কর বৃদ্ধি এবং তামাক করণীতি সংস্কারের দাবি জানায় তারা। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে সিগারেটের সহজলভ্যতা ও সস্তা মূল্য তরুণদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বাড়িয়ে তুলছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। বর্তমানে দেশের ১৮ শতাংশ তরুণ ও প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান করে। ফলে বছরে তামাকজনিত রোগে প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। ঢাবি শিক্ষার্থী ইমন বলেন, বর্তমানে বাজারে প্রচলিত সিগারেটের চারটি মূল্যস্তরের মধ্যে নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেটের বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। সিগারেট বাজারের সিংহভাগ এই দুই স্তরের দখলে রয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিম্ন ও মধ্যম স্তর একীভূত করে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের প্যাকেটের সর্বনিম্ন দাম ৯০ টাকা নির্ধারণ করলে তরুণ প্রজন্ম ধূমপান শুরু করতে নিরুৎসাহিত হবে। যুব প্রতিনিধি সিন্থিয়া বলেন, আমাদের দাবি বাস্তবায়ন হলে তামাকের ভয়াবহ করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পাবে অন্তত ১৭ লাখ তরুণ। তামাকজনিত কারণে যেসব অকাল মৃত্যু ঘটে, তা উল্লেখযোগ্য হারে কমানো সম্ভব হবে। একইসাথে সরকার অতিরিক্ত ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করতে পারবে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪৩ শতাংশ বেশি। ডর্প তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রতিনিধি ডা. সিলভানা ইশরাত বলেন, ২০১৬ সালের তুলনায় বর্তমানে মানুষের গড় আয় দ্বিগুণ হয়েছে এবং মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে, কিন্তু নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম সে হারে বাড়েনি। এতে এই পণ্য আরও সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। করণীতি সংস্কার ছাড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। মানববন্ধন থেকে সরকারকে আহ্বান জানানো হয়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করে একটি শক্তিশালী ও জনস্বাস্থ্যবান্ধব তামাক করণীতি গড়ে তোলার জন্য। সরকার তরুণদের কণ্ঠস্বরকে গুরুত্ব দিয়ে আগামীর প্রজন্মের জন্য একটি তামাকমুক্ত, সুস্থ ও টেকসই বাংলাদেশ গঠনে কার্যকর সিদ্ধান্ত নেবে আশাবাদ ব্যক্ত করে ডর্প যুব ফোরাম।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

বেসরকারি খাতের আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, তার ছেলে ও ব্যাংকটির পরিচালক কাজী খুররম আহমদসহ আটজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৪ মে) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। আদালত মশিউর সিকিউরিটিজ সিটি সেন্টারের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, পরিচালক মোগল জান রহমান ও জিয়াউল হাসান চিশতী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার আবুল কাসেম কাসু ও তার স্ত্রী আসমা কাসেম ও মেয়ে উম্মে কুলসুমের দেশত্যাগ করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আবেদনে বলা হয়েছে, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া সার্টিফিকেটের মাধ্যমে নিকট আত্মীয়দের চাকরি দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে ঋণ দেওয়া ও বিভিন্ন উপায়ে ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পালাতে পারেন মর্মে অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। আদালত দুদকের এ আবেদন মঞ্জুর করে অভিযুক্তদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

কলম বিরতিতে সারাদেশে রাজস্ব কর্মকাণ্ড প্রায় অচল

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে দুই ভাগে ভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। মধ্যরাতে জারি করা এ অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সারাদেশে একযোগে কলম বিরতি পালন করছেন এনবিআরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। গতকাল মঙ্গলবার এনবিআরের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর পক্ষ থেকে তিন কর্মদিবস কলম বিরতি পালনের ঘোষণা আসে। ওই ঘোষণা অনুযায়ী, আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কলম বিরতি পালন করেছেন তারা। তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা, বাজেট ও রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম এ কলম বিরতি কর্মসূচির বাইরে রয়েছে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত কমিশনার (কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট) সাধন কুমার কুণ্ডু বলেন, একযোগে দেশের সব অফিসে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলম বিরতি পালন করছে। দেশের ও দশের ভালোর জন্য সবার অংশগ্রহণ ও মতামতের ভিত্তিতে যে উদ্যোগ নেওয়া হবে, সেটা সবাই মেনে নেবে। সবার দাবি, এই অধ্যাদেশ বাতিল করে সবাইকে নিয়ে নতুন করে প্রণয়ন করতে হবে। উপ-কর কমিশনার শাহ মোহাম্মদ ফজলে এলাহী জানিয়েছে, সারাদেশে কলম বিরতি পালন চলছে। তবে এ বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করে রাজস্ব বোর্ডের এক সদস্য বলেন, এনবিআরের কোথাও কর্ম বিরতি চলছে না। বিশেষ করে তিনি তার অধীনের অফিসারদের সঙ্গে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন। তার ভাষ্য, কর্মকর্তাদের একটি গ্রুপ অন্য কর্মকর্তাদের ভিন্নদিকে পরিচালনা করার চেষ্টা করছে। কর্মকর্তাদের স্বার্থের ব্যাঘাত কোথাও হয়নি। অচিরেই সব ঠিক হয়ে যাবে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সারাদেশের বিভিন্ন কর অঞ্চল ও কাস্টমস হাউসে কলম বিরতি চলছে। আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে সরেজমিনে দেখা যায়, কর্মকর্তারা যথারীতি দপ্তরে এসেছেন। তবে তারা কোনো দাপ্তরিক কাজ করেননি। কেবল বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনবিআরের কর, শুল্ক ও মূসক নীতি বিভাগের কর্মকর্তারা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। সবগুলো ফ্লোর ফাঁকা দেখা গেছে। সেবাপ্রত্যাশী গ্রাহকের তেমন আনাগোনা দেখা যায়নি। গত সোমবার গভীর রাতে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৭ এপ্রিল উপদেষ্টা পরিষদে খসড়া অনুমোদনের ২৫ দিন পর এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়। যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার এ অধ্যাদেশ কার্যকর করবে।

ট্যারিফ, নন-ট্যারিফ বাধা দূরীকরণে জোর দিতে হবে

বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাধা দূরীকরণসহ দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি সই এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার ফ্যান থি থ্যাং। বুধবার (১৪ মে, ২০২৫) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত ভিয়েতনাম-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম ২০২৫ –এ তিনি এসব কথা বলেন। উক্ত ফোরামে ভিয়েতনামের ১৬ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন। প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন ডেপুটি মিনিস্টার ফ্যান থি থ্যাং। কৃষি, পযর্টন, ঔষধ, মৎস, আইসিটিসহ বেশকিছু শিল্পের বাণিজ্য সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার ফ্যান থি থ্যাং জানান, উভয় দেশ একে অপরের পণ্যে উচ্চ ট্যারিফ আরোপ করে রেখেছে। ট্যারিফ, নন-ট্যারিফ বাধা দূর করাসহ পরিবহন, যোগাযোগ ও লজিস্টিকস ব্যবস্থা সহজ করা গেলে অনাবিষ্কৃত খাতসমুহে বড় সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। এ সময়, দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান এবং পারস্পরিক সহযোগিতা দৃঢ় করার পরামর্শ দেন তিনি। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের জন্য ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের কথা বলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রহিম খানও। পাশাপাশি, দুই দেশের মধ্যে লেনদেন ব্যবস্থা আরও সহজ করার পরামর্শ দেন তিনি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই -এর প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনামের মধ্যে বিপুল বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা রয়েছে, যার একটি বড় অংশই অনাবিষ্কৃত থেকে গেছে। এ সময়, অবকাঠামো উন্নয়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন তিনি। বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনামের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে জয়েন্ট ভেঞ্চার উদ্যোগ এবং পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন ঢাকায় নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত গুয়েন মান কোং। প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং কারিগরি সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশে শিল্প ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুফল পেতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এ সময়, বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনামের মধ্যে বাণিজ্য-ভিসা সহজীকরণের আহ্বান জানান ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। দু’দেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে যোগাযোগ এবং অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার গুরুত্ব তুলে ধরেন ভিয়েতনাম বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ডো ভ্যান থ্রং। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই -এর মহাসচিব মোঃ আলমগীর, এফবিসিসিআই -এর সাবেক পরিচালক আব্দুল হক, নাসরিন ফাতেমা আউয়াল, ড. ফেরদৌসী রহমান, এফবিসিসিআই’র সহায়ক কমিটির সদস্যবৃন্দ, সাধারণ পরিষদের সদস্যবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্যরা।

ডলারের দর বাজারভিত্তিক করার ঘোষণা গভর্নরের

ডলারের দর বাজারভিত্তিক করার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন। তবে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের উচ্চপ্রবাহের ফলে ডলারের দর বাড়বে না বলে তিনি মনে করেন। গভর্নর বলেন, এতে করে আগামী জুনে আইএমএফের দুই কিস্তির অর্থ পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, 'ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করার মানেই যেকোনো দরে কিনবে তেমন না।' ডলার এখন যে দরে বেচাকেনা হচ্ছে, বাজারভিত্তিক হলেও দাম তার আশপাশেই থাকবে বলে তিনি আশা করেন।

ধার করে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করবো না: অর্থ উপদেষ্টা

নতুন অর্থবছরের বাজেটে অত্যন্ত বাস্তবভিত্তিক বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নেওয়া হবে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ব্যাংক থেকে ধার করে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করবো না। ধার করে বড় বড় মেগাপ্রকল্প করবো না। মঙ্গলবার (১৩ মে) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিভক্ত করায় রাজস্ব আদায়ে কোনো প্রভাব পড়বে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, রাজস্ব আদায়ে কোনো প্রভাব পড়বে না। এ পর্যন্ত এরই মধ্যে রাজস্ব আদায় গতবারের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি হয়েছে। খুব হতাশাব্যঞ্জক না, আমি আরও আশা করছি। অ্যাটলিস্ট গতবারের তুলনায় কম হবে না। তিনি বলেন, মোটামুটি বাজেটটা আমরা বাস্তবায়ন করবো, বিরাট একটা গ্যাপ নিয়ে করবো না। প্রকল্প, এডিপি বাস্তবায়ন করবো অত্যন্ত বাস্তবভিত্তিতে। বড় বড় মেগা প্রজেক্ট নিয়ে, ধার করে ডেফিসিট দিয়ে এগুলো করবো না। ব্যাংক থেকে ধার করে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করবো না। কিছুটা তো ডেফিসিট (ঘাটতি) থাকবে। সেটা পূরণ করতে আমি নেগোশিয়েট করছি, আমরা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে প্রজেক্টের ব্যাপারে কথা বলছি, সেটা মোটামুটি এখন সাকসেসফুল। গতকাল একটি অধ্যাদেশ হয়েছে, যেটার মাধ্যমে ৫৩ বছরের এনবিআর ভেঙে গেলো। বলা হচ্ছে কাস্টম ট্যাক্স ক্যাডারের যারা কর্মকর্তারা তারা লম্বা সময় ধরে আন্দোলন করছিলেন, তাদের মতামত উপেক্ষা করেই এ অধ্যাদেশ করা হলো। বিষয়টি সে রকম? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অধ্যাদেশটা ভালো করে পড়ে দেখেন, তাদের স্বার্থ সম্পূর্ণরূপে সংরক্ষিত আছে। পলিসি একটা ডিভিশন হবে, এটা অত্যন্ত ছোট একটা ডিভিশন। অতএব এনবিআরের দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। এনবিআর থাকবে, এনবিআর যেভাবে আছে কতগুলো টার্মস অব রেফারেন্স হিসেবে। তিনি বলেন, এটা ইন্টারন্যাশনাল প্র্যাকটিস পলিসি ডিভিশন আর ইমপ্লিমেশন ডিভিশন এক থাকে না। সব দেশেই আলাদা থাকে। কারণ পলিসি ডিভিশনটা প্রফেশনাল লোক দিয়ে কাজ করতে হয়ে। অর্থনীতি, পরিসংখ্যান, দেশের জিডিপি এগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকতে হয়। আর এনবিআর করবে এটা ইমপ্লিমেন্ট। এখন এনবিআর যদি পলিসিও করে, মানে যাদের কাজ কেবল আদায় করা এটা একটা থাকে। আমি পলিসি করলাম, আমি আবার লোক দিয়ে আদায় করলাম। অত্যন্ত চিন্তা করে এটা করা হয়েছে। ওদের সঙ্গে যে আলাপ করিনি তা না, আমার যদি মনে করেন এনবিআরের হাজার হাজার লোকের সঙ্গে আলাপ করতে হবে, তা না। যারা মেম্বার, সদস্য ডেফিনেটলি তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। ওদিকে আবার প্রশাসনের লোকের কিছু মন্তব্য আছে, তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে।

নগদে প্রশাসক ও নতুন বোর্ড অবৈধ

দেশের শীর্ষ আদালতের চেম্বার জজ একটি ঐতিহাসিক রায়ে মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ-এ প্রশাসক ও নতুন বোর্ড নিয়োগকে বেআইনি ঘোষণা করেছেন। গত ৭ মে অনুষ্ঠিত শুনানিতে আদালত রায় দেন যে, প্রশাসক নিয়োগ ও নতুন বোর্ড বসিয়ে নগদের ওপর সাময়িক নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা আইনসংগত নয়। এর ফলে ডাক বিভাগের আওতাধীন এই প্রতিষ্ঠানটি এখন থেকে মূল মালিকপক্ষের নিয়ন্ত্রণে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হতে পারবে- এ নিয়ে আর কোনো আইনি বাধা রইল না। এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টও এ বিষয়ে করা একটি রিট আবেদন খারিজ করে দেন এবং স্পষ্ট করে দেন যে, প্রশাসক নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণযোগ্য নয়। নগদের মালিকপক্ষ প্রথম থেকেই প্রশাসক নিয়োগকে অবৈধ ও প্রতিষ্ঠানবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের মাধ্যমে এখন তা পুরোপুরি প্রমাণিত হয়েছে যে, কোনো প্রতিষ্ঠানকে জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা যেমন অবৈধ, তেমনি তা দেশের ব্যবসা-বিনিয়োগ পরিবেশের জন্যও হুমকি। নগদ মালিকপক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমির উদ্দিন সরকার রায়ের পর বলেন, 'এই রায় দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রমাণ করেছে যে, জোর করে প্রশাসক বসিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিকানা দখল করা যায় না। সুপ্রিমকোর্ট একটি সাহসী ও ন্যায়সংগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যা সুশাসনের প্রতিফলন।' অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, 'এ রায় শুধুমাত্র নগদের জন্য নয় বাংলাদেশের ফিনটেক খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এবং বেসরকারি খাতের স্বাধীনতা ও বিনিয়োগ নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় করবে।' ই বিষয়ে নগদের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, 'গত আট মাস আমি জার্মানিতে একটি রেগটেক প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, যেটি খুব শিগগির আরেকটি ইউনিকর্ন হতে চলেছে। তাই আমি নগদে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ফিরছি না, এটি আমি বোর্ডকেও জানিয়ে দিয়েছি। তবে নগদ আমার সন্তানের মতো, তাই নতুন বোর্ড বা সিইও যদি কখনো আমার পরামর্শ চান, আমি সবসময় প্রস্তুত থাকব।'

মধ্যরাতে বিলুপ্ত হলো এনবিআর, অধ্যাদেশ জারি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর নামে কোনো সংস্থা দেশে আর নেই। কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে এই কাজটি করা হয়েছে; মধ্য রাতে বিলুপ্ত করা হয়েছে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে এনবিআর ভেঙে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগ সৃষ্টি করা হয়েছে। বিসিএস আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতামত উপেক্ষা করেই বহুল আলোচিত ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার রাতে জারি করা অধ্যাদেশে শুধু রাজস্ব নীতি বিভাগের কার্যপরিধিতে সামান্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রশাসনিক পদগুলো প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, রাজস্ব নীতি বিভাগ কর আইন প্রয়োগ ও কর আদায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। রাজস্ব সংগ্রহের মূল কাজ করবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ।

রপ্তানির আড়ালে দেড় হাজার কোটি টাকা পাচার

রপ্তানির আড়ালে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচার করেছে তৈরি পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠান ফ্যাশন কমফোর্ট লিমিটেড। কোটি টাকা অর্থ পাচারে সহযোগিতার দায়ে ইসলামী ধারার এক্সিম ব্যাংককে জরিমানা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জরিমানার অর্থ পরিশোধে ব‍্যাংকটি এগিয়ে না আসায় বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত রিজার্ভ একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগ এক বিশেষ পরিদর্শনে এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখার মাধ্যমে অর্থ পাচারের বিষয়টি সম্প্রতি উদ্ঘাটন করেছে। পরিদর্শন প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখার মাধ্যমে ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ফ্যাশন কমফোর্ট লিমিটেড ৪৬টি বিক্রয় চুক্তির আওতায় ১৬১টি রপ্তানি কার্যক্রম চালিয়েছে। এই সময়ে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছে ২৬ লাখ ২৯ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। এসব রপ্তানির প্রতি ইউনিট তৈরি পোশাকের দাম দেখানো হয়েছে ২০ থেকে ৭৮ টাকা। কিন্তু বাংলাদেশ ব‍্যাংকের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে, এইসব পোশাকের দাম ছিল প্রদর্শিত মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে১২ গুন বেশি। এই রপ্তানিগুলোর মাধ্যমে ৩ কোটি ৪০ ডলার দেশে আসার কথা থাকলেও এসেছে মাত্র ২৮ লাখ ২৯ হাজার ডলার। পন্যের দাম কম দেখিয়ে ফ্যাশন কমফোর্ট লিমিটেড পাচার করেছে প্রায় ৩ কোটি ১২ লাখ ডলার।বাংলাদেশী মুদ্রায় যা ৩‌‌'শ ৮১ কোটি টাকা। শুধু রপ্তানি মূল্য কম দেখিয়েই নয়, রপ্তানি পন্যের ওজন বেশি দেখিয়ে (ওভার শিপমেন্ট) তৈরি পোশাকের সঙ্গে অন্য কোন পন্য রপ্তানি করেছে ফ্যাশন কমফোর্ট। বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগের প্রতিবেদন বলছে, রপ্তানির সময় প্রতিটি গার্মেন্টস পন্যের ওজন ৯৮০ গ্রাম দেখিয়েছে গাচারকারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সরেজমিন এসব পণ্যের ওজন ৩ থেকে ৪ গুণ কম পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল। একটি পণ্যের বিপরীতে আরও তিন থেকে চারটি পণ্য বেশি রপ্তানি করেছে ফ্যাশন কমফোর্ট এই হিসাবে রপ্তানির আড়ালে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে ফ্যাশন কমফোর্ট লিমিটেড। রপ্তানির আড়ালে বিপুল আকের অর্থ পাচারের বিষয়টি এক্সিম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) অবহিত করেনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এ কারণে এক্সিম ব্যাংককে চলতি বছরের ১৮ মার্চ দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগ। জরিমানার অর্থ জমা দেওয়ার জন্য ওইদিন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চিঠি দেওয়া হলেও এক মাসে উত্তর দেয়নি এক্সিম ব্যাংক। এর প্রেক্ষিতে গত ১৮ এপ্রিল ব্যাংকটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংরক্ষিত রিজার্ভ একাউন্ট থেকে জরিমানার অর্থ কেটে নেয়া হয়েছে। অর্থ পাচারে সহায়তাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে ভারপ্রাপ্ত এমডি আবদুল আজিজকে কল দিলেও কল ধরেননি।

ডেনিম রফতানিতে ইউরোপ-আমেরিকায় শীর্ষ অবস্থানে বাংলাদেশ

ইউরোপ-আমেরিকায় ডেনিম রফতানিতে বাংলাদেশ শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোস্তাফিজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে ২৬.৬৪% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বেশি। একই সময়ে ভারতের প্রবৃদ্ধি ২৪.০৪%, পাকিস্তানের ১৭.৪৯%, ভিয়েতনামের ১৩.৯৬% এবং চীনের ৪.১৮%। সোমবার (১২ মে) শুরু হওয়া বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোতে ১৮তম আসরে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ১৩টি দেশের ৫৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, চীন, তুরস্ক, স্পেন, ইতালি, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্র। মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, আমাদের এ প্রবৃদ্ধি এমন এক সময় যখন ট্রাম্প প্রশাসন বৈশ্বিকভাবে উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে। অর্থাৎ অস্থির আন্তর্জাতিক বাজার ও শুল্কনীতির মাঝেও বাংলাদেশ তার প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। আমার মতে, বাণিজ্য আলোচনার টেবিলে আমাদের শক্তি হবে আমাদের শিল্পের দক্ষতা উন্নয়ন, স্থায়িত্ব ও উদ্ভাবনে অগ্রগতি। কারণ আমাদের যেমন বাণিজ্য অংশীদারদের প্রয়োজন, তেমনি তাদের ভোক্তাদেরও আমাদেরকে প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় বাজারে ডেনিম রফতানিতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এলডিসিভুক্ত হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নে ‘এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ)’ এবং ‘জেনারেলাইজড স্কিম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) এর আওতায় শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার থাকলেও, ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ার পর তা অব্যাহত থাকবে না। যদি বাংলাদেশ জিএসপি প্লাস সুবিধা অর্জনে ব্যর্থ হয়, তবে ২০২৯ সাল থেকে ইউরোপে শুল্কমুক্ত রফতানির সুবিধা হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের মোট পোশাক রফতানির ৫০.১৫% যায়। বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর প্রতিষ্ঠাতা বলেন, গত ডেনিম এক্সপোতে এলডিসি উত্তরণ নিয়ে প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের এক্সপোতে সকল আলোচনা দক্ষতা, উদ্ভাবন ও প্রস্তুতির বিষয়টি মাথায় রেখে আয়োজন করা হয়েছে। এবারের আয়োজনের মূল বার্তা হলো পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়নের দিকে অগ্রসর হওয়া, যার মাধ্যমে ২০২৯ এবং পরবর্তী সময়ের জন্য শিল্পকে প্রস্তুত করা হবে। দুই দিনব্যাপী এই আয়োজনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ‘ওয়াশিং প্রক্রিয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশের ডেনিম শিল্পের অগ্রগতি’ শীর্ষক আলোচনা প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দিনে ‘বাংলাদেশি ডেনিম ট্রেসেবিলিটি’র ওপর একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববাজারে কমছে স্বর্ণের দাম

বিশ্ববাজারে চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে আবারও বড় ধরনের দরপতনের মুখে পড়েছে স্বর্ণের বাজার। মার্কিন-চীন বাণিজ্যে শুল্ক নিয়ে ইতিবাচক আলোচনায় বিশ্ববাজারে মূল্যবান এই ধাতুটির দাম কমতে শুরু করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে সোমবার (১২ মে) স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে প্রায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ৩ হাজার ২৭৭ দশমিক ৮৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ফিউচার মার্কেটেও প্রায় ২ শতাংশ কমেছে স্বর্ণের দর। এই বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণ ৩ হাজার ২৭৯ দশমিক ২০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, নিরাপদ বিনিয়োগের চাহিদা কমার সঙ্গে সঙ্গে ডলারের মান বাড়ছে। এতে স্বর্ণের প্রতি আগ্রহ কমে গেছে বৈশ্বিক বাজারে। রিলায়েন্স সিকিউরিটিজের কমোডিটি বিশেষজ্ঞ জিগার ত্রিবেদী জানান, বাণিজ্য আলোচনায় ইতিবাচক ইঙ্গিত আসার পর ডলারের মান শক্তিশালী হচ্ছে। সুইজারল্যান্ডে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে হওয়া বৈঠকেও এর প্রতিফলন দেখা গেছে। তাঁর মতে, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে স্বর্ণের দাম আরও কমে ৩,২০০ ডলারে নেমে আসতে পারে। এই দরপতনের পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সাম্প্রতিক কূটনৈতিক অগ্রগতি। রোববার (১১ মে) দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে একটি চুক্তির পথে এগোচ্ছে। চীনের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে, আলোচনায় ‘গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য’ হয়েছে। চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী হি লাইফেং জানান, আলোচনার ফল হিসেবে সোমবার জেনেভায় একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে। উল্লেখ্য, গত মাসে দুই দেশ পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করেছিল, যার ফলে একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয় এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও শঙ্কা দেখা দেয়। তবে সাম্প্রতিক এই অগ্রগতি সেই উদ্বেগ অনেকটাই প্রশমিত করেছে। আর এ কারণে বিনিয়োগকারীরা আপাতত ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদে ফিরে যাচ্ছেন, যার প্রভাব পড়ছে সোনার বাজারে।

মে মাসের প্রথম ৭ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২২.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে

দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে গত বছরের একই সময়ে দেশে ৬০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। চলতি অর্থবছরের ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৭ মে পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ২৫ হাজার ২৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৯ হাজার ৭২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি।

মে মাসের প্রথম সাতদিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৩৫ মিলিয়ন ডলার

প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে চলতি মে মাসেও। এই মাসের প্রথম সাতদিনেই দেশে ৭৩৫ মিলিয়ন বা ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার কোটি (৮ হাজার ৯৬৭ কোটি) টাকা। আর প্রতিদিন আসছে ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ১২৮১ কোটি টাকা। রেমিট্যান্সের এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে আবারও রেকর্ড তিন বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করতে পারে। সোমবার (১২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানিয়েছে। সূত্র জানায়, মে মাসের প্রথম সাতদিনে ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের ছেয়ে সাড়ে ১৩ কোটি ডলার বেশি। ২০২৪ সালের মে মাসের প্রথম সাতদিনে এসেছিল ৬০ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে মে মাসের ৭ দিন পর্যন্ত দেশে মোট ২ হাজার ৫২৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছ, যা গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাসের ৭ দিন পর্যন্ত এসেছিল এক হাজার ৯৭২ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের তুলনায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার বেশি এসেছে। অর্থবছরের হিসাবে চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত রেমিট্যান্স আসার প্রবৃদ্ধি ২৮.২ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার এবং সবশেষ এপ্রিলে আসে ২৭৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।