বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৮:৫২ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে দেশের গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম–৬ পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ হয়েছে ২৬.৮ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর দেড় বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ আকুকে পরিশোধের পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৩০.৩০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছিল।
মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিলে প্রকৃত বা নিট রিজার্ভের পরিমাণ নির্ধারিত হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাবও আছে—ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয় না। এই হিসাবের মধ্যে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাব এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে হিসাব করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) বা ব্যয়যোগ্য নিট রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার। প্রতি মাসে প্রায় ৫.৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করলে চার মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। সাধারণত, একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচ সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকা উচিত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির কারণে রিজার্ভে চাপ পড়ে। বাণিজ্য ও চলতি হিসাবের ঘাটতির কারণে ডলারের বিপরীতে টাকার দর অবনমনের সঙ্গে জ্বালানি ও আমদানির খরচও বৃদ্ধি পায়। সংকট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে, ফলে রিজার্ভ ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
রিজার্ভ বাড়াতে বাংলাদেশ ২০২২ সালের জুলাইয়ে আইএমএফের কাছে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা চেয়ে আবেদন করে।