জুলাই সনদ নিয়ে সরকার দায়সারাভাবে কাজ করছে: সারজিস
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১২:৩৩ এম, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

পঞ্চগড়ে টুনিরহাট জুনিয়র ফুটবল একাডেমির গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়সারাভাবে কাজ করছে। এতে জনগণের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত না হয়ে সরকারের নিজের সেফটির চিন্তাই বেশি ফুটে উঠেছে।
সারজিস আলম সাংবাদিকদের বলেন, “সকালেই আমাদের আহ্বায়ক প্রেস ব্রিফিংয়ে চার দফা দাবি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। এগুলো শুধুমাত্র এনসিপির নয়, সারা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই দাবিগুলো নিয়ে দায়সারাভাবে কাজ করছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ‘সেফ এক্সিট’ মানে দেশ ছেড়ে পালানো বোঝাই না। বরং চাই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি স্পষ্ট হোক, যাতে ভবিষ্যতে কোনো দল ক্ষমতায় এসে তা অকার্যকর ঘোষণা করতে না পারে। কিন্তু এখনো এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনির্দিষ্ট রয়েছে।”
এনসিপি নেতা অভিযোগ করেন, ঘোষণাপত্র নামকাওয়াস্তেই রয়েছে, কার্যকর কোনো অগ্রগতি নেই। “এভাবে চলতে থাকলে যারা অভ্যুত্থানের যোদ্ধা ছিলেন, ভবিষ্যতে তাদেরই রাষ্ট্রদ্রোহী বানানোর চেষ্টা হতে পারে।”
জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মানিত অতিথি হিসেবে রাখা উচিত ছিল। কিন্তু সেখানে রাজনৈতিক দলের মিলনমেলার মতো পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল। প্রশাসন লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে—যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অগ্রহণযোগ্য।”
সরকারের কাজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চাইলে সংলাপ বা অন্য কোনো মাধ্যমে বিষয়টি সামাল দেওয়া যেত। কিন্তু তারা তা করেনি। উপদেষ্টা অনেকে চেষ্টা করছেন, কিন্তু প্রত্যাশামতো ফল আসছে না। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেনি।”
সারজিস আলম আরও যোগ করেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের নিরাপত্তার বদলে নিজের সেফটি নিশ্চিত করতেই বেশি আগ্রহী। তাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র নির্বাচনের দিন পর্যন্ত টিকে থাকা, দেশের প্রকৃত সংস্কার নয়।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কামাতকাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর যুব ও ক্রীড়া বিভাগের সভাপতি তোফায়েল প্রধান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী, বোদা টু-স্টার ফুটবল একাডেমির পরিচালক মোফাজ্জল হোসেন বিপুল, টুনিরহাট ফুটবল একাদশের সভাপতি নুর ইসলাম নুরু ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল্লাহ প্রধান জুয়েল প্রমুখ।