অনুমতি পেলেন ৩৭ প্রতিষ্ঠান
দুর্গাপূজায় ভারতে যাচ্ছে ১,২০০ টন ইলিশ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৪:৩৭ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১,২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এস এইচ এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অনুমোদন কার্যকর থাকবে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত। তবে রপ্তানির ক্ষেত্রে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ এর বিধান মেনে চলা, শুল্ক কর্তৃপক্ষের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অনুমোদিত পরিমাণের বেশি রপ্তানি না করা এবং প্রতিটি চালান ASYCUDA World System-এর মাধ্যমে যাচাই করা। এছাড়া এ অনুমতি হস্তান্তরযোগ্য নয় এবং সাব-কন্ট্রাক্টও দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে সরকার যে কোনো সময় অনুমতি বাতিল করতে পারবে।
প্রেক্ষাপট
২০১৫ সালে জাতীয় রপ্তানি নীতিতে ইলিশকে শর্তসাপেক্ষে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের তালিকায় যুক্ত করা হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় সীমিত আকারে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।
তথ্য অনুযায়ী, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাজারে বাংলাদেশের ইলিশের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও মোট উৎপাদনের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ খুবই সামান্য মাত্র শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ। যেমন, গত বছর ৭৯ প্রতিষ্ঠানকে ৩ হাজার ৯৫০ টনের অনুমতি দেওয়া হলেও প্রকৃতপক্ষে বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি হয়েছিল প্রায় ৮০২ টন।
আগের পরিসংখ্যান
২০১৯ সালে প্রথমবার ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। তখন বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিকেজি ৬ ডলারে প্রথম চালান পাঠানো হয়, পরে তা ১০ ডলারে উন্নীত হয়।
২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি হয় ৪৭৬ টন, আয় ৩৯ লাখ ডলার।
২০২০-২১ অর্থবছরে ১ হাজার ৬৯৯ টন রপ্তানি করে আয় হয় ১ কোটি ৬৪ লাখ ডলার।
২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি হয় ১ হাজার ২৩০ টন, আয় ১ কোটি ২৪ লাখ ডলার।
২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৯১ টন রপ্তানি থেকে আয় হয় ১ কোটি ৩৮ লাখ ডলার।
সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮০২ টন ইলিশ রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ৮০ লাখ ডলার। প্রতিকেজি ইলিশ তখন বিক্রি হয়েছিল ১০ ডলার বা প্রায় ১ হাজার ৯৮ টাকা দরে।