
ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে রুল শুনবেন হাইকোর্ট
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় প্রাক্তন ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল শুনবেন হাইকোর্ট। ঈদের ও অবকাশকালীন ছুটির পর রুলের শুনানি হবে। বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির এ সময় নির্ধারণ করেছেন। রোববার (২৩ মার্চ) চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় প্রাক্তন ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন প্রশ্নে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য ও প্রবীর রঞ্জন হালদার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ। গত বছরের ২৫ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ হয়। এর কয়েক দিন পর গত ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এ মামলায় আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়। গত বছরের ২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়। এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গত ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই কারাগারে আছেন চিন্ময়। গত ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন চিন্ময় দাস।

ঘুষের মামলায় তারেক রহমান-লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটজন খালাস
হত্যা মামলার আসামিদের বাঁচাতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩’-এর বিচারক মো. আবু তাহেরের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। খালাস পাওয়া অপর আসামিরা হলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলম ও তার দুই ছেলে সাফিয়াত সোবহান এবং সাদাত সোবহান, আবু সুফিয়ান, কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সহকারী সচিব (এপিএস) মিয়া নুরুদ্দিন অপু। এদিন আবু সুফিয়ান, কাজী সলিমুল হক কামাল আদালতে হাজির ছিলেন। জামিনে থাকা অপর আসামিদের পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী বোরহানউদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রায় ঘোষণা শেষে অ্যাডভোকেট বোরহানউদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, আমার জানামতে ওনার (তারেক) বিরুদ্ধে আর কোনো বড় মামলা নেই। এখন তিনি দেশে ফেরত আসার জন্য অপেক্ষায় আছেন। দেশবাসী তাকে গ্রহণ করার অপেক্ষায় আছেন। ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

সাংবাদিককে ধর্ষণ: একজনের স্বীকারোক্তি, আরেকজন কারাগারে
রাজধানীর পল্লবীর বারনটেকের ‘গ্রিন সিটি’ এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে এক নারী সাংবাদিককে সারারাত আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় এনামুল হক (৩৮) নামে এক আসামি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। হামিদুর রহমান রাসেল (৫৩) নামে আরেকজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১৯ মার্চ) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাইয়ুম দুই আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এনামুল হক স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত এনামুল হকের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্য আসামি হামিদুর রহমানের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালতে হামিদুর রহমানের রিমান্ডের বিষয়ে শুনানির জন্য ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কাইয়ুম আদালতে উপস্থিত না থাকায় রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়নি। আগামী ২৩ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করেন আদালত। পল্লবী থানার (নারী-শিশু) আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, গত সোমবার দিবাগত রাতে সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে যান ওই নারী সাংবাদিক। এ সময় ১৬ জন তাকে ঘিরে ধরে। সেখান থেকে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই নারী সাংবাদিক। মামলার পর মঙ্গলবার রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে এনামুল হক এবং হামিদুর রহমান রাসেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

‘রিমান্ড যা দেয় দিক, শুনানিতে কিছু বলবি না’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে গুলিতে ওবায়দুল ইসলাম নিহতের মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১৯ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। আদালতে দীপু মনির সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানির আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে এজলাসে তোলা হয়। এ সময় আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন দীপু মনি। তার আইনজীবী তাকে বলেন, আপা, আজ সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে। প্রতি উত্তরে দীপু মনি আইনজীবীকে বলেন, ‘যা রিমান্ড দেয় দিক। শুনানিতে কিছু বলবি না। কিছু বলার দরকার নেই।’ তখন তার আইনজীবী বলেন, আপা, শুধু রিমান্ড বাতিলের আবেদন দিয়েছি। কোনো শুনানি করব না। পরে আদালত তার চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এ মামলায় হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেননেরও চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। গত বছরের ১৯ আগস্ট বারিধারা এলাকা থেকে দীপু মনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত বছরের ৪ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ির কাজলা পেট্রোল পাম্পের সামনে আওয়ামী লীগের নেতারাসহ ১৪ দলের নেতাকর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে হাজার হাজার জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে ওবায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের দীপু মনিসহ ৫৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের স্বজন মো. আলী।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন ৩৪ জন আইনজীবী
সুপ্রিম কোর্টে সরকারের পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য নতুন করে ৩৪ জনকে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (১৮মার্চ) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ভারপ্রাপ্ত সলিসিটর সানা মো. মাহরুফ হোসাইনের সই করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ল’ অফিসার্স অর্ডার, ১৯৭২ (পিও নম্বর ৬ অব ১৯৭২)-এর ৩ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নিম্নবর্ণিত ৩৪ জন আইনজীবীকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ১২ আগস্টের মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেলসহ তার কার্যালয়ে বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা নিয়োগপ্রাপ্ত সব সহকারী অ্যাটর্নি অ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগ আদেশ বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের ১৬১ জন আইনজীবীকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ করা হলো। একই দিন আরেকটি প্রজ্ঞাপনে ৬৬ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়। গত ৫ আগস্ট প্রবল গণ-আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে অ্যাটর্নি কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের পদত্যাগ চলতে থাকে। এর পর গত ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। গত ১২ আগস্টের মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের মধ্যে ৬৭ জন পদত্যাগ করেন। গত ১৩ আগস্ট আইনজীবী আব্দুল জব্বার ভুঁইয়া, অনীক আর হক ও মোহাম্মদ আরশাদুর রউফকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লারেশন ফিরে পেলেন শফিক রেহমান
দৈনিক ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার ডিক্লারেশন ফিরে পেয়েছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদের সই করা অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়। ঢাকা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (প্রকাশনা ও ছাপাখানা শাখা) নুসরাত নওশীন এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে প্রকাশের ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পত্রিকাটির সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় এই দৈনিকের ডিক্লারেশন বাতিল করে সরকার। অফিস আদেশ অনুযায়ী, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকাটি প্রকাশের জন্য যে অনুমোদিত প্রেস রয়েছে সেখান থেকে ছাপা হচ্ছে না, কিন্তু প্রিন্টার্স লাইনে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হচ্ছে মর্মে শফিক রেহমান অভিযোগ জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার পর এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পত্রিকাটি মুদ্রণের ডিক্লারেশন বা ঘোষণাপত্র বাতিল করা হয়। আদেশ অনুযায়ী, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকা প্রকাশে ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন, ১৯৭৩ এর ১০ ধারার লঙ্ঘন হয়েছে। এ কারণে ‘দৈনিক যায়যায়দিন’ পত্রিকার প্রকাশক ও মুদ্রাকর সাঈদ হোসেন চৌধুরীর নামে যে ঘোষণাপত্র ছিল তা বাতিল করা হয়।

নতুন দলের নিবন্ধন বিষয়ে ইসির গণবিজ্ঞপ্তি হাইকোর্টে স্থগিত
নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই গণবিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট এই আদেশ দেন। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ সংক্রান্ত রিট দায়ের করেন। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনকে বিবাদী করা হয়েছে। রিট প্রসঙ্গে আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম বলেন, রিটে কয়েকটি বিষয় চ্যালেঞ্জ করেছি। এর মধ্যে অন্যতম হলো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য ইসির আইনে বলা আছে– রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য কমপক্ষে ১০০ উপজেলা ও ২২ জেলায় দলের কমিটি থাকতে হবে। কিন্তু পাহাড়ি জনসংখ্যা অধ্যুষিত তিন জেলায় উপজেলা আছে মাত্র ২০টি। তাই পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ইচ্ছা করলেও রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারবে না, এমনকি আঞ্চলিক দলও গঠন করতে পারবে না। ইসির বর্তমান আইন অনুযায়ী পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে রাজনৈতিক দল গঠনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাই পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক দল গঠনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়াসহ আরও কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করে এ রিটটি করা হয়েছে। গত ১০ মার্চ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন। বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে নিবন্ধন পেতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

লোডশেডিংয়ের সিডিউল ২৪ ঘণ্টা আগে প্রকাশের জন্য হাইকোর্টের রুল
গ্রাম ও শহরের মধ্যে বৈষম্যহীন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও লোডশেডিংয়ের শিডিউল ২৪ ঘণ্টা আগে কেন প্রকাশ করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৭ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের দ্বৈত বেঞ্চ ৪ সপ্তাহের জন্য এ রুল জারি করেন। জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এ রুল জারি করা হয়। এতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটকারী আদালতকে বলেন, গরমের সময় শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে বেশি পরিমাণে লোডশেডিং হয়। এর ফলে এসব এলাকায় থাকা পোল্ট্রিসহ নানা উৎপাদনমুখী শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছিলেন, আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে গ্রাম ও শহরের মধ্যে কোনো বৈষম্য রাখবো না। এজন্য দেশের সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া সেচ উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখার কথাও বলেন তিনি।

কাঠগড়ায় কাঁদলেন শাজাহান খান, হাসতে হাসতে গেলেন হাজতখানায়
বড় ছেলে আসিবুর রহমান খানের সঙ্গে পাঁচ মাস দেখা নেই, এই কথা বলতে বলতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকেন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। সোমবার (১৭ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে শুনানি চলাকালে কাঁদেন তিনি। পরে বাড্ডা থানার রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এদিন সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটের দিকে শাজাহান খানকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। তখন তিনি আইনজীবীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ করেন। পরে তার উপস্থিতিতে ১০ টা ৮ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে তার আইনজীবী মিজানুর রহমান বাদশা বলেন, শাজাহান খান আটবারের সংসদ সদস্য ও দুইবারের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ঐতিহ্যগতভাবে রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান৷ এর আগে তাকে দুইবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ডে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বয়স ৭৬ বছর। রোজার মধ্যে রিমান্ডে নিলে হয়রানি হবে, ফের অসুস্থ হয়ে পড়বেন। তাই রিমান্ড নামঞ্জুর করা হোক। রিমান্ড শুনানি চলাকালে ১০ টা ২৭ মিনিটে শাজাহান খান বলেন, মাননীয় আদালত আমি কথা বলতে চাই। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, আমি জড়িত না। কেন এই মামলা হলো? শুধু আমার বিরুদ্ধে না, আমার বড় ছেলে আসিবুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। তখন কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে পাঁচ মাস আমার দেখা নেই। তখন বিচারক বলেন, আপনার বিষয়ে আইনজীবী কথা বলেছেন। তবুও শাজাহান খান দুই হাত জোর করে কথা বলার জন্য সময় চান। তিনি বিচারকের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার কথা শুনতে হবে, আমাকে একটু সময় দেন। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলা দেওয়া হয়েছে। তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু দিয়ে দুই চোখ মুছতে থাকেন। শুনানি শেষে আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে ১০ টা ৪০ মিনিটে হেলমেট, বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও হাতকড়া পরিয়ে আদালত থেকে বের করা হয়। হাজতখানায় নেওয়ার সময় তিনি বলেন, পুলিশ বলছে কথা বলা নিষেধ। এটা গণতান্ত্রিক দেশ। আমি সারাজীবন কথা বলে এসেছি, কথা বলেই যাবো। পরে হাসতে হাসতে তিনি হেটে হাজতখানায় যান।

স্ত্রী-সন্তানসহ পাপনের ২৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন, তার স্ত্রী মিসেস রোকসানা হাসান, মেয়ে সুনেয়া রহমান ও রুশমিলা রহমান এবং ছেলে রাফসান হাসানের নামে থাকা ২৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা রয়েছে। রবিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিন দুদকের উপপরিচালক সাইদুজ্জামান তাদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, নাজমুল হাসান পাপন ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। গোপন ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, নাজমুল হাসান পাপন ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে (কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা ছাড়াও অন্যান্য এলাকায়) এবং দেশের বাইরে- যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ অন্যান্য দেশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন মর্মে অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

সাবেক আইজিপি মামুনকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক পুলিশ প্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। রোববার (১৬ মার্চ) সকালে তাকে পুলিশের প্রিজনভ্যানে করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। আদালতে আজ আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক পুলিশ প্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে তাকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তদন্ত সংস্থার সেফ হোমে নিয়ে উভয়পক্ষের আইনজীবী ও চিকিৎসকের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা চলছে
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের রায় ঘোষণা শুরু হয়েছে। রোববার বেলা ১১টায় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে রায় ঘোষণা শুরু হয়। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান রায় পাঠ করে শোনাচ্ছেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়। এর আগে গত বছরের অক্টোবর মাসে এ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ উদ্যোগ নেন। বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র আবরার থাকতেন শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে। সেখান থেকে ডেকে নিয়ে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। রাত ৩টার দিকে হলের সিঁড়ির করিডোর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। ফেসবুকে ভারতবিরোধী স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ নিয়ে দেশজুড়ে আলোড়ন হয়। হত্যাকাণ্ডের পরদিন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। একই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ওই মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার বিচারিক আদালত। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মধ্যে তিনজন মামলার শুরু থেকেই পলাতক। তিন আসামি হলেন– এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মাহমুদুল জিসান ও মুজতবা রাফিদ। রায়ের পরপরই সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা এবং রাষ্ট্রপক্ষে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) আবেদন করা হয়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর গত অক্টোবরে এই মামলায় আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শুরু হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোর্সেস, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।

মাইকেল চাকমাকে ৭ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট দিতে নির্দেশ
উনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক মাইকেল চাকমাকে সাত দিনের মধ্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে পাসপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। যিনি গত সরকারের আমলে দীর্ঘদিন ‘আয়নাঘরে’ বন্দি ছিলেন বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) তার করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি জানান, নিয়ম অনুসারে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন মাইকেল চাকমা। কিন্তু ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালত আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে মাইকেল চাকমাকে পাসপোর্ট দিতে বলেছেন। একইসঙ্গে রুল জারি করেছেন। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালের এপ্রিলে মাইকেল চাকমাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তার পরিবার ও দল অভিযোগ করে। এরপর থেকে তার কোনো হদিস মেলেনি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের দুদিন পর ৭ আগস্ট চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের একটি স্থানে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়। গত ১৮ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দেন মাইকেল চাকমা। তখন বলেন, ‘আমি কী গ্রহণ করব, না করব এর অধিকার আছে। মূলত শেখ হাসিনা যে খুন গুম করে মানুষের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য, আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য এগুলো করেছেন। ’ তবে কারা গুম করেছিল, তাদের পরিচয়, চেহারা জানতে পারেননি। প্রশ্ন করাও বারণ ছিল বলে জানান তিনি। গুম করার ঘটনা বর্ণনা করে মাইকেল চাকমা বলেন, ঢাকার কল্যাণপুরে একটা জায়গায় গিয়েছিলেন। সেখানে পেছন থেকে একজন তার নাম ধরে ডাকেন। তিনি তাকাতেই কয়েকজন মিলে তার জামার কলার, কোমরের বেল্ট ও হাত ধরে ফেলেন। তাৎক্ষণিক একজন মোবাইল ফোনে গাড়ি ডাকেন। দ্রুত গাড়ি চলে আসে এবং তাকে ওই গাড়িতে (মাইক্রোবাসে) তোলা হয়। গাড়িতে তুলেই হাতে হাতকড়া এবং চোখ কালো কাপড়ে বাঁধা হয় জানিয়ে মাইকেল বলেন, চোখ বাঁধার আগে চালকের পাশের আসনে একটি ওয়াকিটকি তিনি দেখেছিলেন। পেছনের আসনে কয়েকটি বাটন মোবাইলও দেখেন। পরে ঘণ্টাখানেক যাত্রা করে তাকে একটি স্থানে নেওয়া হয়। সেখানে এক রাত রেখে আরেক জায়গায় নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি পাঁচ বছর তিন মাস ২৭ দিন ছিলেন বলেও জানান।

রিসিভার নয়, নিজস্ব তত্ত্বাবধানে চলবে বেক্সিমকো গ্রুপ: হাইকোর্ট
বেক্সিমকো গ্রুপে ‘রিসিভার’ নিয়োগে আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্য নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেক্সিমকো গ্রুপের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সঠিকভাবে নজরদারি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বুধবার সকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায়ের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। এই রায়ে ৯টি পর্যবেক্ষণ দিয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, বেক্সিমকোর হাজার হাজার কর্মীর স্বার্থে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের দ্বারাই পরিচালিত হওয়া উচিৎ। তবে এরই মধ্যে নিয়োগ দেওয়া রিসিভার কর্তৃক যেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে তা বৈধ বলে গণ্য হবে। আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস ও আইনজীবী ব্যারিস্টার মুনীরুজ্জামান। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র ল আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও আইনজীবী আনিসুল হাসান। রিটের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মাসুদ আর সোবহান ও ব্যারিস্টার ফাতেমা এস সোবহান। আদেশের পর ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপের মোট ১৮৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে ১৬৯টি নিবন্ধিত। গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে জনস্বার্থে করা এক রিটের প্রেক্ষিতে ৫ সেপ্টেম্বর বেক্সিমকো গ্রুপের সকল প্রতিষ্ঠানে রিসিভার নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে বেক্সিমকো ফার্মা আপিলে যায়। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশটি মডিফাই করে শুধুমাত্র বেক্সিমকো ফার্মাকে রিসিভারের বাইরে নিজস্ব ভাবে পরিচালনার অনুমতি দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংক বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোতে রিসিভার নিয়োগ করেছিল। তবে শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্ট নয়টি পর্যবেক্ষণসহ রুলটি নিষ্পত্তি করেছেন। রুল নিষ্পত্তির কারণে বেক্সিমকো গ্রুপের কোন প্রতিষ্ঠানেই রিসিভার আর থাকল না। তাই বেক্সিমকো কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা তারা নিজেরা করবেন। তবে আদালত বলেছেন এসব প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রেগুলেটরি বডির সুপারভিশন ও মনিটরিং আইন অনুযায়ী থাকবে। গত ২৫ বছরে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডসহ সংশ্লিষ্ট গ্রুপের অন্য সব ব্যবসার ঋণের বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করাসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান আবেদনকারী হয়ে ৪ সেপ্টেম্বর রিট করেন। ওই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন। আদেশে বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি দেখভাল করার জন্য রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ছয় মাসের জন্য গ্রুপটির সকল সম্পত্তি সংযুক্ত (অ্যাটাচ) করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একপর্যায়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ গত ১২ নভেম্বর শুধু বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ক্ষেত্রে ‘রিসিভার’ নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেন। সেই সাথে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ-সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন। সে রুলের ওপর শুনানি আজ শেষে রায় হাইকোর্ট।

হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সারের জামিন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেন্দ্রিক রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সারকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার জামিন বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম ইব্রাহিম খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদালতে শমী কায়সারের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জিসান হায়দার, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম ইব্রাহিম খলিল। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম ইব্রাহিম খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শমী কায়সারের জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর শমী কায়সারকে ৩ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার জামিন স্থগিত করে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। গত বছরের ৯ নভেম্বর শমী কায়সারকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠান আদালত। এর আগে ৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে উত্তরার ৪নং সেক্টরের ৬নং রোডের ৫৩নং বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীসহ অন্যরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। উত্তরা পূর্ব থানা এলাকার ৪নং সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। এসময় ইশতিয়াকের পেটে গুলি লাগে। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইশতিয়াক মাহমুদ বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় কৌশিক হোসেন তাপস ৯ নম্বর ও শমী কায়সার ২৪ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি।

স্ত্রীসহ বাহাউদ্দিনের ফ্ল্যাট জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ.ক.ম বাহাউদ্দিন ও তার স্ত্রী মেহেরুন্নেছার নামে ঢাকার উত্তরায় থাকা দুইটি ফ্ল্যাট এবং তাদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা চারটি হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব ব্যাংক হিসাবে ৩৯ লাখ ৯৫ হাজার ২৬৭ টাকা জমা রয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। এদিন এসব স্থাবর সম্পত্তি জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন। দুদকের আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রাখার দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, আসামি তার নামীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর, বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন। মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে নিম্নবর্ণিত সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে সমূহ ক্ষতির কারণ রয়েছে। এজন্য উল্লিখিত স্থাবর সম্পত্তি জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া প্রয়োজন।

কথা বললেই মামলার সংখ্যা বাড়ে: পলক
দুদকের মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে এসে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘কথা বললেই মামলার সংখ্যা বাড়ে। পেছনে হ্যান্ডকাফ দিয়ে রাখে। কথা বলে কী লাভ?’ সোমবার (১০ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় হাজিরা দিতে এসে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি। এদিন বেলা ১টা ৫০ মিনিটের দিকে তাকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত করে হাজতখানায় রাখা হয়। এসময় পলকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম বলেন, জুনাইদ আহমেদ পলককে নিয়মিতই বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে আনা হচ্ছে। এতে তিনি ভীষণ কষ্ট পাচ্ছেন। এছাড়াও তার দুই হাত পিছমোড়া করে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে আনা হচ্ছে। এগুলো সাধারণত দাগি আসামিদের ক্ষেত্রে করা হয়। পলকের বিরুদ্ধে হওয়া দুদকের মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন। মামলায় বলা হয়, অভিযুক্ত জুনাইদ আহমেদ পলক অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৮ কোটি ৭৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪২ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রেখেছেন। একইসাথে নিজ নামে ২৫টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৩২ কোটি ৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩১৪ টাকা জমা এবং ২৯ কোটি ৮৪ লক্ষ ৭২ হাজার ৯৫ টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অস্বাভাবিক লেনদেন করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ সংঘটন করেছেন। মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ১৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এরপর থেকে বিভিন্ন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতি হিসেবে আছেন।

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার নির্দেশ
মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। রোববার (৯ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন। তিনি শিশুটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আর্জি জানান। পরে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটির ছবি যারা প্রকাশ করছেন তারা আইন ভাঙছেন। এটা অন্যায়। ছবি নির্ধারিত সময়ে না সরালে নতুন আদেশ দেওয়া হবে। এদিকে ধর্ষণের ঘটনার তিন দিন পর ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে গতকাল মাগুরা সদর থানায় মামলা করেছেন। এতে আসামি করা হয়েছে চারজনকে। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলো– শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব শেখ, সজিবের ভাই রাতুল শেখ, বাবা হিটু শেখ ও মা জাবেদা বেগম। এজাহারে বলা হয়েছে, আট বছরের শিশুটিকে ধর্ষণ করে তার বোনের শ্বশুর হিটু শেখ। মামলার এজাহারে শিশুটির মা উল্লেখ করেন, ওই দিন রাতে বড় মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা হিটু শেখ শিশুটিকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি হিটুর স্ত্রী ও আরেক ছেলেও জানতেন। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারা শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা করে। এজাহারে আরও বলা হয়, চার মাস আগে বড় মেয়ের সঙ্গে সজিবের বিয়ে হয়। এর পর থেকে বড় মেয়েকে তার শ্বশুর অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি ওই পরিবারের সবাই জানলেও প্রতিবাদ কেউ করেনি। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চার মাস আগে মাগুরা পৌর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে শিশুটির বড় বোনের বিয়ে হয়। ওই বাড়িতে বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুর থাকতেন। বিয়ের পর থেকে বড় মেয়েকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন তার শ্বশুর। বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যরা জানতেন। এ নিয়ে ঝগড়াও হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ১ মার্চ বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায় আট বছরের শিশুটি। এজাহারে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাদী উল্লেখ করেন, গত বুধবার (৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে খাবার খেয়ে বড় বোন ও তার স্বামীর সঙ্গে একই কক্ষে ঘুমায় শিশুটি। দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বড় বোন ঘুম থেকে জেগে দেখেন, ছোট বোন পাশে নেই, মেঝেতে পড়ে আছে। তখন শিশুটি বড় বোনকে জানায়, তার যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া হচ্ছে। কিন্তু বড় বোন মনে করে, শিশুটি ঘুমের মধ্যে আবোল-তাবোল বকছে। এরপর সকাল ছয়টার দিকে শিশুটি আবার বোনকে যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়ার কথা বলে। কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে বোনকে জানায়, রাতে দুলাভাই (বোনের স্বামী) দরজা খুলে দিলে তার বাবা (শ্বশুর) তার মুখ চেপে ধরে তার কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সে চিৎকার করতে গেলে তার গলা চেপে ধরা হয়। পরে তাকে আবার বোনের কক্ষের মেঝেতে ফেলে রেখে যায়। বোন বিষয়টি মোবাইল ফোনে তার মাকে জানাতে গেলে সজীব ফোন কেড়ে নিয়ে মারধর করেন। ঘটনা কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেন। পরে দুই বোনকে দুই কক্ষে আটকে রাখা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটি আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে সজিবের মা মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে শিশুটিকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান তিনি। মেয়েটির বড় বোন সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার ২০ দিন আগে সন্ধ্যায় বাড়িতে কেউ ছিল না। তিনি ঘরে আলো জ্বালিয়ে টয়লেটে যান। সেখান থেকে ফিরে দেখেন ঘরে আলো বন্ধ। এসময় হঠাৎ একজন পেছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরে। উচ্চতা ও অন্যান্য বিষয় দেখে তিনি বুঝতে পারেন, জড়িয়ে ধরা ব্যক্তি তার শ্বশুর হিটু শেখ। বিষয়টি স্বামী সজিবকে তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাননি। পরে বাবার বাড়ি চলে যান। আর স্বামীর বাড়ি ফিরতে চাইছিলেন না। বাবা-মা বুঝিয়ে ছোট বোনকে সঙ্গে করে পাঠিয়ে দেন শ্বশুর বাড়ি। পরিবার জানায়, আট বছরের শিশুটিকে গত বুধবার ধর্ষণের শিকার হয়। প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও তার অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গতকাল শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে বিকেল ৫টার দিকে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।

ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি অপসারণের নির্দেশ
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিটিআরসি কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। সোমবার (৯ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার মাহসিব হোসাইন। তিনি শিশুটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান। আদালত এ বিষয়ে আজকেই আদেশ দেবেন বলে জানান আইনজীবী। শিশুটির মা ঢাকা থেকে স্বামী ও বড় মেয়েকে দিয়ে মাগুরা সদর থানায় এজাহার পাঠান। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ওই দিন রাতে বড় মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা হিটু শেখ শিশুটিকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি হিটুর স্ত্রী ও আরেক ছেলেও জানতেন। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারা শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা করে। এজাহারে আরও বলা হয়, চার মাস আগে বড় মেয়ের সঙ্গে সজিবের বিয়ে হয়। এর পর থেকে বড় মেয়েকে তার শ্বশুর অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি ওই পরিবারের সবাই জানলেও প্রতিবাদ কেউ করেনি। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চার মাস আগে মাগুরা পৌর এলাকার এক তরুণের সঙ্গে শিশুটির বড় বোনের বিয়ে হয়। ওই বাড়িতে বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুর থাকতেন। বিয়ের পর থেকে বড় মেয়েকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন তার শ্বশুর। বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যরা জানতেন। এ নিয়ে ঝগড়াও হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ১ মার্চ বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায় আট বছরের শিশুটি। এজাহারে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাদী উল্লেখ করেন, গত বুধবার (৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে খাবার খেয়ে বড় বোন ও তার স্বামীর সঙ্গে একই কক্ষে ঘুমায় শিশুটি। দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বড় বোন ঘুম থেকে জেগে দেখেন, ছোট বোন পাশে নেই, মেঝেতে পড়ে আছে। তখন শিশুটি বড় বোনকে জানায়, তার যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়া হচ্ছে। কিন্তু বড় বোন মনে করে, শিশুটি ঘুমের মধ্যে আবোল-তাবোল বকছে। এরপর সকাল ছয়টার দিকে শিশুটি আবার বোনকে যৌনাঙ্গে জ্বালাপোড়ার কথা বলে। কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে বোনকে জানায়, রাতে দুলাভাই (বোনের স্বামী) দরজা খুলে দিলে তার বাবা (শ্বশুর) তার মুখ চেপে ধরে তার কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সে চিৎকার করতে গেলে তার গলা চেপে ধরা হয়। পরে তাকে আবার বোনের কক্ষের মেঝেতে ফেলে রেখে যায়। বোন বিষয়টি মোবাইল ফোনে তার মাকে জানাতে গেলে সজীব ফোন কেড়ে নিয়ে মারধর করেন। ঘটনা কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেন। পরে দুই বোনকে দুই কক্ষে আটকে রাখা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটি আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে সজিবের মা মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে শিশুটিকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান তিনি। মেয়েটির বড় বোন সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার ২০ দিন আগে সন্ধ্যায় বাড়িতে কেউ ছিল না। তিনি ঘরে আলো জ্বালিয়ে টয়লেটে যান। সেখান থেকে ফিরে দেখেন ঘরে আলো বন্ধ। এসময় হঠাৎ একজন পেছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরে। উচ্চতা ও অন্যান্য বিষয় দেখে তিনি বুঝতে পারেন, জড়িয়ে ধরা ব্যক্তি তার শ্বশুর হিটু শেখ। বিষয়টি স্বামী সজিবকে তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাননি। পরে বাবার বাড়ি চলে যান। আর স্বামীর বাড়ি ফিরতে চাইছিলেন না। বাবা-মা বুঝিয়ে ছোট বোনকে সঙ্গে করে পাঠিয়ে দেন শ্বশুর বাড়ি। পরিবার জানায়, আট বছরের শিশুটিকে গত বুধবার ধর্ষণের শিকার হয়। প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও তার অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গতকাল শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে বিকেল ৫টার দিকে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।

হিযবুত তাহরীরের ৩ সদস্য রিমান্ডে
রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর তিন সদস্যের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (৭ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জোনাইদের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মনিরুল ইসলাম (৪০), মোহতাসিন বিল্লাহ (৪০) এবং মাহমুদুল হাসান (২১)। এদের মধ্যে মনিরুল ইসলামকে দুই দিন, মোহতাসিন বিল্লাহ ও মাহমুদুল হাসানকে একদিনের রিমান্ড দেয়া হয়েছে। উত্তরা পশ্চিম থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করে। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার সূত্রে জানা গেছে, হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য এবং জনসাধারণের ভেতর আতঙ্ক সৃষ্টি, উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচারের মাধ্যমে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ও নাশকতা ঘটানোর উদ্দেশে ৭ই মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে মার্চ ফর খেলাফতের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এজন্য উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১১ নং সেক্টরস্থ ১৬ নম্বর রোডের ৪৬ নম্বর বাসার ২য় তলায় আসামি মোহতাসিন বিল্লাহর বাসায় একত্রিত হয়ে শলাপরামর্শ করে। অভিযান চালিয়ে ৬ মার্চ দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে দুইজনকে আটক করা হয়। অন্যান্য আসামিরা কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে ১২ টায় উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১২ নং সেক্টরস্থ ১/এ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর বাসার ৪ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে আসামি মাহমুদুল হাসানকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর সক্রিয় সদস্য বলে জানায়।

হিযবুত তাহরীরের ৩ সদস্যের রিমান্ড মঞ্জুর
ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেফতার নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর তিন সদস্যের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (৭ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জোনাইদের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন মনিরুল ইসলাম (৪০), মোহতাসিন বিল্লাহ (৪০) ও মাহমুদুল হাসান (২১)। এদের মধ্যে মনিরুল ইসলামকে দুই দিন, মোহতাসিন বিল্লাহ ও মাহমুদুল হাসানকে এক দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করে। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য এবং জনসাধারণের ভেতর আতঙ্ক সৃষ্টি, উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচারের মাধ্যমে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ও নাশকতা ঘটানোর উদ্দেশে শুক্রবার (৭ মার্চ) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে মার্চ ফর খেলাফতে কর্মসূচি ঘোষণা করে। এ জন্য উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১১ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর রোডের ৪৬ নম্বর বাসার দ্বিতীয় তলায় আসামি মোহতাসিন বিল্লাহর বাসায় একত্রিত হয়ে শলাপরামর্শ করে। অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে দুইজনকে আটক করা হয়। অন্য আসামিরা কৌশলে পালিয়ে যায়। রাতে সাড়ে ১২ টায় উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১২ নম্বরের সেক্টরের ১/এ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর বাসার ৪ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে আসামি মাহমুদুল হাসানকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর সক্রিয় সদস্য বলে জানায়। এ ঘটনায় কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাব-ইন্সপেক্টর আলমগীর কবির মামলা দায়ের করেন।

নাসা গ্রুপের নজরুলের ৩৯৫ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধসহ প্লট ও জমি জব্দের আদেশ
এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের কর্ণধার নজরুল ইসলাম মজুমদারের ৫৫ কোম্পানির ৩৯৫ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া তার ছয়টি বাড়ি ও পূর্বাচলের আটটি প্লট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব সম্পদের মূল্য ১৮৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ক্রোক ও অবরুদ্ধ সম্পদের মোট মূল্য ৫৮০ কোটি ৫০ লাখ ২ হাজার ২২৪ টাকা। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। জব্দ হওয়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গুলশান মডেল টাউন আবাসিক এলাকার গুলশান দক্ষিণ বাণিজ্যিক ৪৭ নং প্লট ও প্লটস্থিত ১৪তলা বিল্ডিং। যার বাজার মূল্য ৫০ কোটি টাকা। গুলশান মডেল টাউন আবাসিক এলাকার এসই(ডি) ব্লকের ৩ নং প্লট ও প্লটস্থিত ১৪তলা বিল্ডিং। যার বাজার মূল্য ৭০ কোটি টাকা। মহাখালীতে ৪ কোটি মূল্যের দুই তলা বাড়ি, একই এলাকায় ৬ কোটি টাকা মূল্যের চার তলা বাড়ি, মহাখালীতে আরেকটি ৪ কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি, তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ৫০ কোটি টাকা মূল্যের তিন তলা ভবন রয়েছে। পূর্বাচল আবাসিক এলাকার আটটি প্লট; যার মূল্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অন্যদিকে নজরুল ইসলাম মজুমদারের ৫৫টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এসব কোম্পানিতে ৫৬ কোটি ছয় লাখ ৫৮ হাজার শেয়ার রয়েছে। এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৭৮১ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার ৪৫৪ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

নিরাপত্তা নির্দেশিকায় প্রধান বিচারপতিকে অসম্মান, স্বরাষ্ট্র সচিবকে তলব
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নির্দেশিকায় প্রধান বিচারপতিসসহ বিচার বিভাগকে হেয় ও অসম্মান করায় সিনিয়র স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনিকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৮ মার্চ তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে গত রোববার (২ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নির্দেশিকার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি রুল জারি করেছেন আদালত।এদিকে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নির্দেশিকায় প্রধান বিচারপতিসসহ বিচার বিভাগকে হেয় ও অসম্মান করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।গত রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নির্দেশিকা আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।তিনি আদালতকে বলেন, ‘এই নির্দেশিকায় প্রধান বিচারপতিসহ সব বিচারপতিদের আন্ডারলাইন করা হয়েছে। এই নির্দেশিকায় প্রধান বিচারপতিকে স্বরাষ্ট্র সচিব, রেঞ্জ ডিআইজির সমমর্যাদায় নিচে আনা হয়েছে। অথচ রাষ্ট্রীয় পদ মর্যাদাক্রমে প্রধান বিচারপতির স্থান অনেক উপরে। শুনানি শেষে আদালত রুলসহ আদেশ দেন।’এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ শুনানিতে সময় নেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এদিন শুনানির দিন ধার্য ছিল।ওই দিন তার পক্ষের আইনজীবী ২ সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন করেন। পরে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে শুনানির কথা থাকলেও সময় আবেদনের কারণে তা আর হয়নি। এদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেলরাও তাদের পদমর্যাদা বাড়াতে আবেদন করেছিলেন যার শুনানিও একই সঙ্গে এদিন হয়।আদালতে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের রিভিউ আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবির। আর মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন। আর রিভিউ আবেদনে পক্ষভুক্ত হওয়া ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার এম. আবদুল কাইয়ূম।মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়। তবে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সাংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে বলে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিটটি করেন।২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ৮ দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করা হয়। সেই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এ রায়ে হাইকোর্টের দেয়া ৮ দফা নির্দেশনার কিছুটা সংশোধন করে তিন দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। সেগুলো হল যেহেতু সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন, তাই বিরোধপূর্ণ প্রিসিডেন্সে সাংবিধানিক পদধারীরা অগ্রাধিকার পাবেন; জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হিসেবে জেলা জজ ও সমপদমর্যাদাসম্পন্নরা সরকারের সচিবদের সঙ্গে ১৬ নম্বরে অবস্থান করবেন এবং জেলা জজদের পরেই অতিরিক্ত সচিবরা ১৭ নম্বর ক্রমিকে থাকবেন।

জবাই তো দেবেন, একটু সময় দেন: সোলাইমান সেলিম
রাজধানীর লালবাগ থানায় করা হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সাংম সোলাইমান সেলিমকে। আদালতের এজলাসে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে সোলাইমান সেলিম বলেন, ‘অনেক সাংবাদিক ভুয়া নিউজ করেন। এসব ভুয়া নিউজ করে আমাদের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে।’ এ সময় কাঠগড়ার পাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে বারণ করেন। তখন সোলাইমান সেলিম পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জবাই তো দেবেন, একটু সময় দেন।’ বুধবার (৫ মার্চ) আদালতে আনা হলে এসব কথা বলেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে লালবাগ থানার এক হত্যা মামলায় বুধবার তাকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম। পরে আদালতের কাঠগড়া থেকে নামিয়ে হাজতখানায় ঢোকানোর সময় নেতিয়ে পড়েন সোলাইমান সেলিম। এ সময় তার দুই পাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা তার দুই হাত ধরে ধীরে হাজতখানায় ঢোকান। এর আগে বুধবার সকাল ১০টা ৮ মিনিটের দিকে আদালতে সোলাইমান সেলিমসহ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী ও এমপিকে হাতে হাতকড়া, গায়ে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট পরিয়ে হাজির করা হয়। এরপর সবাইকে কাঠগড়ায় রাখা হয়। এ সময় সোলাইমান সেলিম এক আইনজীবীকে ডেকে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে থাকেন। কথা বলার সময় সেই আইনজীবী সোলাইমান সেলিমের কাছে কারাগারে কেমন জীবন কাটাচ্ছেন তা জানতে চান। এ সময় সোলাইমান সেলিম বলেন, ‘রোজা আছি। বই পড়ি। পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলা যায়। সেহরি ও ইফতারে খাবার নরমাল দেয়। দেখছেন না সবার মুখ কেমন শুকনো।’ কিছুক্ষণ পরেই এজলাসে আসেন বিচারক। এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে সোলাইমান সেলিম বলেন, ‘অনেক সাংবাদিক ভুয়া নিউজ করেন। তারা লিখেছেন শাহজাহান খানসহ অনেকে নাকি কারাগারে ভালো খাবার খাচ্ছেন। এসব ভুয়া নিউজ করে আমাদের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে।’ এ সময় কাঠগড়ার পাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে বারণ করেন। তখন সোলাইমান সেলিম পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জবাই তো দেবেন, একটু সময় দেন।’ এরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করে সোলাইমান সেলিম আইনজীবীকে বলেন, ‘যে কোনো সময় ফাঁসির আদেশ আসতে পারে। এতে আমি অবাক হবো না। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি যেভাবে ভাঙা হয়েছে, বোঝা শেষ।’ পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন বিচারক। এর কিছু সময় পর কাঠগড়া থেকে নামিয়ে হাজতখানার দিকে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।