মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: প্রধান আসামি মহিনের আদালতে স্বীকারোক্তি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৮:৫১ পিএম, ২০ জুলাই ২০২৫

ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগকে হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছেন মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন।
রোববার (২০ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালতে মহিন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হলে মহিন স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করতে রাজি হন। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করলে তা অনুমোদন করেন বিচারক।
মামলার অগ্রগতি অনুযায়ী, এর আগে গত ১০ ও ১৫ জুলাই দুই দফায় মহিনের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
এই মামলায় এ পর্যন্ত মোট ৯ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন—মাহমুদুল হাসান মহিন, টিটন গাজী, মো. আলমগীর, মনির ওরফে লম্বা মনির, তারেক রহমান রবিন, সজীব ব্যাপারী, মো. রাজিব ব্যাপারী, নান্নু কাজী ও রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে অভিজিৎ বসু। এর মধ্যে লম্বা মনির, আলমগীর, টিটন এবং সজীব স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রাজিব রিমান্ড শেষে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গেটের সামনে ৩৯ বছর বয়সী ব্যবসায়ী সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে এবং পাথর দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জের পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। পুরান ঢাকার রানী ঘোষ লেনে দীর্ঘদিন ধরে তিনি ব্যবসা করতেন। হত্যার ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও পুলিশ পৃথকভাবে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করে।