বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর মামলা খারিজ, পারিবারিক সমঝোতার নির্দেশ আদালতের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০১:৪৭ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২৫

নিজের শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তার দাবিতে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থী মেহরীন আহমেদ (১৯)। তবে উভয় পক্ষের পারিবারিক সমঝোতার আগ্রহ প্রকাশের প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে হাজির হন মেহরীন ও তাঁর বাবা-মা। মামলার ধার্য তারিখে উভয় পক্ষ আদালতে জানান, তারা বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসা করতে চান।
মেহরীনের পক্ষে আইনজীবী সোমায়দাদ শাহরিয়া ফিদা এবং তাঁর বাবা-মায়ের পক্ষে আইনজীবী আবুল হোসেন এ তথ্য আদালতে উপস্থাপন করেন। শুনানি শেষে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন এবং দুই পক্ষকে পারিবারিকভাবে সমঝোতায় পৌঁছানোর নির্দেশ দেন।
মেহরীনের পক্ষের আরও একজন আইনজীবী ইসফাকুর রহমান গালিব বলেন, “দুই পক্ষ থেকেই মধ্যস্থতার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত সেই আবেদন গ্রহণ করে মামলা বাতিল করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনা সমাজের জন্য একটি বার্তা। সন্তানদের যথাযথ সময় ও দিকনির্দেশনা না দিলে, পারিবারিক দূরত্ব তৈরি হয়। এটা যেন আদালতে গিয়ে নিষ্পত্তি না করতে হয়, সে বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। সন্তান মানুষ করার জন্য শুধু ভালো স্কুলে পড়ালেই হবে না। প্রত্যেক বাবা-মাই তাদের সন্তানের প্রথম শিক্ষক এবং রোল মডেল।”
উল্লেখ্য, গত ২২ জুন, মেহরীন তাঁর বাবা নাসির আহমেদ ও মা জান্নাতুল ফেরদৌসের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে নিজেকে সুরক্ষার জন্য এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। এরপর ১০ জুলাই আদালতে শুনানির সময় মেহরীন বলেছিলেন, “আমি বাবা-মায়ের পাপেট (পুতুল) নই। আমাকে কেন গালি দেবে। আমাকে কেন তারা শারীরিক-মানসিকভাবে হেনস্তা করে। আমি আমার সুরক্ষা চাই।”
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ মে সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের বাসায় মেহরীনকে তাঁর মা-বাবা শারীরিকভাবে আঘাত করেন এবং গালিগালাজ করেন, যার ফলে তিনি আহত হন। অভিযোগে আরও বলা হয়, তাঁকে পারিবারিক সম্পদ ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয় এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়। অভিযোগে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছিল।