/ship-argentina.jpg)
মোংলা বন্দরে খালাস হচ্ছে আর্জেন্টিনা থেকে আসা ২০ হাজার টন গম
মোংলা বন্দরে প্রথমবারের মতো আর্জেন্টিনা থেকে গমের চালান এসেছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মোংলার জয়মনিরঘোল খাদ্য গুদাম জেটিতে খালাস করা হচ্ছে এ গম। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ২০ হাজার ৮০ টন গম নিয়ে বন্দরের ৭ নম্বর বয়ায় নোঙ্গর করে মাল্টার পতাকাবাহী ‘এমভি ইলিপডা জিআর’ জাহাজটি। মোংলা বন্দরের খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সহকারী নিয়ন্ত্রক আব্দুস সেবাহান সরদার জানান, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আর্জেন্টিনা থেকে ৫০ হাজার ২০০ টন গম আমদানি হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গর করে জাহাজটি। সেখানে ৩০ হাজার ১২০ টন গম খালাস করা হয়। এরপর বাকি ২০ হাজার ৮০ টন গম মোংলা বন্দরে খালাসের উদ্দেশ্যে জাহাজটি বৃহস্পতিবার বন্দরে আসে। ওইদিন দুপুরে মোংলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের কর্মকর্তা, জাহাজটির শিপিং এজেন্টসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা গমের নমুনা সংগ্রহ করেন। এরপর সেই গমের ভৌত পরীক্ষা এবং কাস্টমসের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুক্রবার দুপুর থেকে গম খালাসের কার্যক্রম শুরু হয়। আব্দুস সোবহান সরদার আরও বলেন, সাইলোতে ১৩ হাজার ৮০ টন গম মজুতের পর, বাকি ৭ হাজার টন গম বস্তা বন্দি হয়ে যাবে বরিশাল, খুলনা ও বাঘাবাড়িসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

হিসাব-নিকাশ করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করুন: ডিএসইর পরিচালক
পুঁজিবাজার আবেগের স্থান নয়, এখানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে হিসাব-নিকাশ করে কোম্পানির মৌলভিত্তি দেখে বিনিয়োগ করতে হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন। তিনি বলেন, ‘অনেক বিনিয়োগকারীরা না বুঝেই হুজুগে বা গুজবে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হন।’ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএসই আয়োজিত চার দিনব্যাপী ‘মৌলিক বিশ্লেষণ, বিনিয়োগ কৌশল ও সরঞ্জাম’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ডিএসইর মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (ইন-চার্জ) মো. ছামিউল ইসলাম এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক ও ট্রেনিং একাডেমির প্রধান আল আমিন রহমান উপস্থিত ছিলেন। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ সার্বিক উন্নতি করতে হলে শক্তিশালী পুঁজিবাজারের বিকল্প নেই জানিয়ে মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে শিক্ষিত-সচেতন বিনিয়োগকারীর গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষিত সচেতন বিনিয়োগকারীর সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবে, বাজার তত বেশি স্থিতিশীল হবে। কারণ শিক্ষিত বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দেখে-শুনে ভালো মৌলভিত্তি শেয়ারে বিনিয়োগ করেন। অনেক বিনিয়োগকারীরা না বুঝেই হুজুগে বা গুজবে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্থ হন। যা বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজারের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই মার্কেটে বিনিয়োগ করার জন্য মৌলভিত্তি বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি বিনিয়োগ কৌশল ও সরঞ্জামও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো একে অপরের সাথে পারস্পরিকভাবে সম্পর্কিত। এগুলো একটি সিগন্যাল দেয় বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে।’ একজন সচেতন বিনিয়োগকারী বাজারের উন্নয়নের পূর্বশর্ত মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ডিএসইর পক্ষ থেকে আমরা সব সময়ই বলে থাকি মৌলভিত্তি জেনে বুঝে বিনিয়োগ করুন। কোম্পানির আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হতে পারে। কোম্পানির ইপিএস, এনএভি, পিই রেশিও, উদ্যোক্তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড ইত্যাদি যাচাই করে বিনিয়োগ করুন। কোম্পানির সার্বিক বিষয়াদির পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণই বিনিয়োগের মূলমন্ত্র হতে হবে।’ গুজবে বিনিয়োগ না করার পরামর্শ দিয়ে মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘ঝুঁকি এড়িয়ে পুঁজিবাজার থেকে ভালো মুনাফা করার জন্য বিনিয়োগকারীদের কোম্পানির সার্বিক আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গভাবে অবগত হওয়া জরুরি। আর এ বিষয়ে জানার মাধ্যম হলো কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ।’ তিনি আরো বলেন, ‘পুঁজিবাজার আবেগের স্থান নয়। এখানে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে হিসাব-নিকাশ করে কোম্পানির মৌলভিত্তি দেখে বিনিয়োগ করতে হয়। কোনো কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে হলে নিজের বিচার-বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করতে হবে।’ কর্মশালায় মাইক্রো এনালাইসিস, মাইক্রো-ইকোনোমিক ফ্রেমওয়ার্ক এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এনালাইসিস, কোম্পানি এনালাইসিস, ভ্যালুয়েশন ফান্ডামেন্টালস-মেথড বিষয়ে আলোচনা করেন এনবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুবায়ের আল-মামুন, শান্তা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের হেড অব রিসার্চ এন্ড স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং এসএম গালিবুর রহমান, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের হেড অব ইক্যুইটি রিসার্চ তনয় কুমার রায় এবং সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেডের হেড অব রিসার্চ এন্ড ইনভেস্টমেন্ট একেএম ফজলে রাব্বি।

হজ এজেন্সির মালিকদের সাথে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের মতবিনিময়
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি হজ ব্যবস্থাপনায় বিশেষায়িত আর্থিক সেবাগুলো নিয়ে হজ এজেন্সি মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে। গেল ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ভিসা ও খ্যাতনামা হজ এজেন্সির প্রতিনিধিসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান। ভিসার কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মোশাররফ হোসেন, দি ইসলামীয়া ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরসের স্বত্বাধিকারী মো. শাহাদাত হোসেন, ইউরো এয়ার ইন্টারন্যাশনালের অংশীদার মো. মাহমুদুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মজনুজ্জামান।সভায় হজ এজেন্সিগুলোর আর্থিক লেনদেন সহজতর করার জন্য ইসলামী ব্যাংকের ভিসা ব্র্যান্ডেড হজ এজেন্ট কার্ড সেবার ওপর আলোকপাত করা হয়। এই উদ্ভাবনী ব্যাংকিং সেবা হজ এজেন্সিদেরকে হজ প্যাকেজ, অর্থপ্রদান ও হাজীদের সেবার সঙ্গে সম্পর্কিত তহবিল দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করতে সহায়তা করে। হজ এজেন্ট কার্ডের মাধ্যমে এজেন্টরা সৌদি আরবে যে কোন ভিসা-ব্র্যান্ডেড এটিএম বা পয়েন্ট-অব-সেল (পিওএস) টার্মিনাল থেকে সহজে অর্থ উত্তোলন ও কেনাকাটা করতে পারবেন।ভিসার বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ভিসা অর্থ প্রদানের ও পরিশোধের জন্য সর্বোত্তম উপায় নিশ্চিত করে। ইসলামী ব্যাংকের সাথে শরিয়া-সম্মত ক্রেডিট কার্ড চালু করার লক্ষ্য হল তিজারাহ কার্ডের মাধ্যমে প্রতি বার অর্থ পরিশোধের সময় মুকাফা (রিওয়াড পয়েন্টস) অর্জনসহ হজযাত্রীদের ও হজ এজেন্সির প্রতিনিধিদের অনন্য চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে, যা সাদাকাহ হিসেবে দান করা যেতে পারে। হজে ভিসা নিরাপদে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে হজযাত্রীদের সেবা করতে পেরে এবং এ বছর তাদেরকে সুসংহত হজ অভিজ্ঞতা দিতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি।’ অনুষ্ঠানে হজ এজেন্সিগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে নিরবচ্ছিন্ন আর্থিক সমাধানের প্রতি গুরুত্ব ও হাজীদের সামগ্রিক সেবাকে আরো উন্নত করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়।এছাড়া অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংক হজ-সংক্রান্ত আর্থিক সেবার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করার জন্য নতুন নতুন উদ্ভাবনী ও শরীআহ-সম্মত ব্যাংকিং সেবা দিতে প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

‘ডিএসই’র ফিক্স সার্টিফিকেশন পেল তিন ব্রোকারেজ হাউজ
অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস (এপিআই) সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালু করণের লক্ষ্যে ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) আরও তিন ব্রোকারেজ হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন দিয়েছে। ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ লিমিটেড, গ্রিন ডেল্টা সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং এনবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড। সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজের সিইও সুমন দাস, গ্রিন ডেল্টা সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ওয়াফি শফিক মেনহাজ খান এবং এনবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুবায়েদ আল-মামুন হাসান। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) ‘ডিএসই’র বোর্ডরুমে ফিক্স সার্টিফিকেশন দেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খায়রুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদ এবং মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান পরিচালক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ছামিউল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ‘ডিএসই’র আইসিটি ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার ও সিটিও (ইনচার্জ) মো. তারিকুল ইসলাম, প্রোডাক্ট এন্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক সাইদ মাহমুদ জুবায়ের, আইসিটি ডিভিশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক হাসানুল করিম৷ প্রসঙ্গত, ডিএসই এপিআইভিত্তিক বিএইচওএমএস চালুর উদ্যোগ নেয় ২০২০ সাল থেকে৷ এরই প্রেক্ষিতে ৫৯টি ব্রোকারেজ হাউজ নাসডাক ম্যাচিং ইঞ্জিনে এপিআই সংযোগ নিয়ে নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য ডিএসইতে আবেদন করেন৷ ইতোমধ্যে ২৪টি ব্রোকার হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন দেয়া হয়েছে৷ এর মধ্যে ১৯টি ব্রোকার হাউজ ফিক্স সার্টিফিকেশন পাওয়ার পর তারা এপিআই সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালু করেছে৷

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালকের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
দেশের মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান নগদ এর প্রশাসক বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মুহাম্মদ বদিউজ্জামান দিদারের ওপর হামলার ঘটনায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক চত্ত্বরে বিক্ষোভ করছেন তারা। ব্যাংকের ৩০ তলা ভবনটির সামনে শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীর উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মো. সাহেদুল হাসান, অতিরিক্ত পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান, শেখ আব্দুল কুদ্দুস, পরিচালক আনিসুর রহমান। বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালক মিজানুর রহমান আকন। গতকাল বুধবার মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদ প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারের গাড়িতে হাতুড়ি দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তার গাড়ির চালক গুরুতর আহত হন। বুধবার বিকেলে বনানী ১২ নম্বর সড়কে তার ওপর হামলা হয়। হামলাকারীরা হাতুড়ি রড দিয়ে তার সদ্য কেনা গাড়িও ভাঙচুর করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, নগদ প্রশাসকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে তবে তিনি তেমন আঘাতপ্রাপ্ত হননি। তবে তার চালক আঘাত পেয়েছেন। গতকালই (বুধবার) একটা নতুন গাড়ি কেনা হয়েছিল। সেই গাড়িতে হাতুড়ি-রড দিয়ে আঘাত করা হয়। তাকে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। তিনি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গতকাল সকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক রুহুল হক ও তানজির আহমেদের নেতৃত্বে একটি টিম নগদে অভিযান পরিচালনা করে। তখন প্রাথমিকভাবে নগদের ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা পাচার ও ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি সংক্রান্ত অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানান নগদের প্রশাসক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান দিদার। দুদক টিম এ সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখবে বলে জানানো হয়। গত ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিভিন্ন অনিয়মের কারণে গত ২১ আগস্ট নগদে প্রশাসক নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। পাশাপাশি তাকে সহায়তার জন্য ব্যাংকের ছয় কর্মকর্তাকে নিযুক্ত করা হয়।

বৈচিত্র্যময় পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: বাণিজ্য উপদেষ্টা
পণ্য রপ্তানির সম্ভাবনাকে বৈচিত্র্যময় করার আমাদের যে আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, প্লাস্টিক পণ্য সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে (আইসিসিবি) চার দিনের ১৭তম ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক, প্যাকেজিং ও প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফেয়ার অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বাস্তবতার নিরীখে আমাদের নীতি নির্ধারণ করা দরকার। যার বিনিময়ে আমরা খারাপ প্লাস্টিককে রোহিত করবো এবং ভালো প্লাস্টিকের সাথে বাস করবো। দায়িত্বশীলতার সাথে আমাদের ভালো প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালাতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘২০২৬ সালের নভেম্বর মাসে আমাদের দেশ এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েট হতে যাচ্ছে। এর ফলে রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা যে প্রিফারেনশিয়াল এক্সেস ( অগ্রাধিকার সুবিধা ) পাই তা থাকবেনা। সরকারের পক্ষ থেকে কোন ইনসেন্টিভও (প্রণোদনা) দিতে পারবোনা। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য আমাদের প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে হবে।উৎপাদনশীলতা ও পণ্য উৎপাদন ব্যয়ে প্রতিযোগী সক্ষম হতে হবে।’ সক্ষমতা না থাকলে দারুণভাবে বিপদে পড়ে যাবো বলে উল্লেখ করেন তিনি। বাংলাদেশ প্লাস্টিক ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি কেএম ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস প্রজেক্টের ডেপুটি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর শেখ মো. আবদুর রহমান, ইয়র্কর্স ট্রেড এন্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেডের আকাই লিন, সার্ক চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। বাংলাদেশ প্লাস্টিক ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শামীম আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।পরে বাণিজ্য উপদেষ্টা মেলায় বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন । বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন ও হংকংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইওর্কর্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস যৌথভাবে আয়োজন করছে এ মেলাটি। ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক ফেয়ারে ৮০০টিরও বেশি স্টল থাকছে, যেখানে ১৮টি দেশ থেকে ৩৯০টিরও বেশি ব্র্যান্ড অংশগ্রহণ করছে। চীন, জার্মানি, ভারত, ইতালি, জাপান, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশের কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে এই মেলায়। এটি দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।

'নগদ'-এর ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক
মোবাইলে অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এ প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুদকের সহকারী পরিচালক রুহুল হক ও তানজির আহমেদের নেতৃত্বে একটি দল প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালায়। অভিযানের পর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায় তারা। তানজির আহমেদ বলেন, ‘আমরা নথিপত্র সংগ্রহ করেছি। দুদকে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেয়ার আগে এসব নথিপত্র খতিয়ে দেখা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নগদ’র ৭০ শতাংশের বেশি মালিকানা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের। তাই, বিদেশে অর্থ পাচার করা হয়েছে কি না, তা আমরা খতিয়ে দেখব। এ ছাড়াও নগদের পেছনে আওয়ামী লীগের কে বা কারা রয়েছেন এবং ডাক বিভাগের সঙ্গে অন্যায্য চুক্তিতে কে কে প্রভাব রেখেছিল সেটিও যাচাই করা হবে।’ এ নিয়ে নগদের প্রশাসক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান দিদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রাথমিক অনুসন্ধানে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা পাচার ও ৬০০ কোটি টাকার ই-মানি সংক্রান্ত অনিয়ম পাওয়া গেছে।’

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের কুমিল্লা জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং সম্মেলন অনুষ্ঠিত
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির কুমিল্লা জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি কুমিল্লায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেভেলপমেন্ট উইংপ্রধান একেএম মাহবুব মোরশেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সেশনে বক্তব্য দেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এজেন্ট ব্যাংকিং ডিভিশনপ্রধান আবুল লাইছ মোহাম্মদ খালেদ এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মনিরুল ইসলাম ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শোয়াইব আহমেদ। সম্মেলনে জোনের অধীন শাখাপ্রধান ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের স্বত্বাধিকারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ৪১৫তম পর্ষদীয় সভা অনুষ্ঠিত
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৪১৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পর্ষদের চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে সভায় ব্যাংকের সার্বিক ব্যবসায় পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করাহয় এবং বিভিন্ন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় পর্ষদের পরিচালক মো. শাহীন উল ইসলাম, মো. আব্দুল ওয়াদুদ, অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ, মোহাম্মদ আশরাফুল হাছান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফরমান আর. চৌধুরী, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাফাত উল্লা খান, ব্যাংকের কোম্পানি সচিব মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁঞা ও সংশ্লিষ্ট নির্বাহীগণ উপস্থিত ছিলেন।

ন্যাশনাল ব্যাংকের ৪০ ও ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ৪০ ও ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে এ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা পরিচালক আবদুল আউয়াল মিন্টুর সভাপতিত্বে সভায় পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান ও পরিচালক জাকারিয়া তাহের, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মুখলেসুর রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার সরকার, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. জুলকার নায়েন, স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক ড. মেলিতা মেহজাবিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) শেখ আকতার উদ্দীন আহমেদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দসহ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় ২০২২ ও ২০২৩ সমাপনী বছরের আর্থিক বিবরণী, নিরীক্ষক নিয়োগসহ নির্ধারিত আলোচ্য সূচীগুলো অনুমোদিত হয়। এ সময় ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারগণ ভার্চুয়ালের পরিবর্তে ফিজিক্যাল বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন করার জন্য পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া, শেয়ারহোল্ডারগণ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন যে, অচিরেই ন্যাশনাল ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াবে ও পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে সক্ষম হবে

এস আলম ও তার পরিবারের পাঁচ হাজার ১০৯ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ
চট্টগ্রামের আলোচিত ব্যবসায়ী মো. সাইফুল আলম মাসুদ (এস আলম) ও তার পরিবারের সদস্যদের ৪২টি কোম্পানির পাঁচ হাজার ১০৯ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জৈষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দুদক তার পরিবারের এসব শেয়ার জব্দের আবেদন করেন। পরে আদালত শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।’ আবেদনে বলা হয়, ‘এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে ১ বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখ ২ হাজার ২৭৪টি শেয়ারের মালিকানার তথ্য পাওয়া যায়।’ জানা যায়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন উল্লিখিত বিভিন্ন কোম্পানির ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখ ২ হাজার ২৭৪টি শেয়ার, যার মূল্য ৫ হাজার ১০৯ কোটি ৬৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৬০ টাকা হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। যা করতে পারলে অত্র অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা রুজু, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত থেকে বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করাসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। তাই, অত্র অনুসন্ধান শেষে মামলা রুজু ও মামলা তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর বিজ্ঞ আদালতের বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তির সুবিধার্থে ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে উল্লেখিত শেয়ারগুলো এবং শেয়ারগুলো থেকে উদ্ভূত সব মুনাফা ও আয় অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার টাকার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন অনিয়ম সামনে আসে। চট্টগ্রামভিত্তিক এ গ্রুপের চেয়ারম্যান এস আলমের বিরুদ্ধে ব্যাংক খাতে অনিয়ম, টাকা পাচার, আয়কর ফাঁকির অভিযোগ তদন্ত শুরু করে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। দুদকও ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনসহ বিভিন্ন অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় এস আলমের বিরুদ্ধে জোর-জবরদস্তি করে ইসলামি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার অভিযোগ বহু পুরনো। পরে তিনি ও তার ব্যবসায়ী গোষ্ঠী শরীয়াহভিত্তিক আরও কয়েকটি ব্যাংকের পর্ষদের নিয়ন্ত্রণ নেন। এসব ব্যাংক থেকে বিপুল অর্থ নামে ও নাম সর্বস্ব কোম্পানি খুলে অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এরইমধ্যে এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তাদের বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করে শেয়ার লেনদেনও স্থগিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন ব্যাংকের শেয়ার সরকারের মালিকানায় নেওয়ার কথা বলেছেন। এর মধ্যে গত ২৯ অগাস্ট এস আলমসহ ৭ আলোচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মালিকানা হস্তান্তর স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে যৌথমূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদফতরকে চিঠি দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এক দিন বাদে ৩১ আগস্ট সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট জানায়, এস আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন এবং তাদের ছেলে আহসানুল আলম ও আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের তথ্য মিলছে।

দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৪.২২ শতাংশ
চূড়ান্ত হিসাবে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমেছে। সাময়িক হিসাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ। চূড়ান্ত হিসাবে তা ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ২২ শতাংশে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সাময়িকভাবে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জিডিপির সাময়িক হিসাব প্রাক্কলন ইতোপূর্বে প্রকাশ করা হয়েছিল। একপর্যায়ে চূড়ান্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ অর্থবছরের জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব প্রাক্কলন করা হয়েছে।’চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী, সাময়িক হিসাবের তুলনায় চূড়ান্ত হিসাবে জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমেছে। নানা কারণে শিল্পের উৎপাদন প্রবৃদ্ধিও কমেছে। এ অর্থবছরে চূড়ান্তভাবে প্রবৃদ্ধির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ২২ শতাংশ।বিবিএস আরও জানায়, সাময়িক হিসাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ দশমিক ২১ শতাংশ, যা চূড়ান্ত হিসেবে এসে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।এ সময়ে অর্ধেকের বেশি কমেছে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি। সাময়িক হিসাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যা চূড়ান্ত হিসেবে এসে কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।আর সাময়িক হিসাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ, যা চূড়ান্ত হিসেবে এসে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ০৯ শতাংশ।

দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় কমেছে
২০২৩-২৪ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী দেশের মাথাপিছু আয় কমেছে ৪৬ ডলার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় কমে এখন ২ হাজার ৭৩৮ মার্কিন ডলার। সাময়িক হিসাব থেকে মাথাপিছু আয় কমেছে ৪৬ ডলার। সাময়িক হিসাবে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৮৪ ডলার।’সাময়িক হিসেব অনুযায়ী, টাকার অংকেও কমেছে মাথাপিছু আয়। কারণ, টাকার অংকে প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৩ লাখ ৬ হাজার ১৪৪ টাকা।বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, গত তিন বছর ধরে দেশের মানুষের গড় মাথাপিছু আয় কমেছে। তবে, ২০২১-২২ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৭৯৩ ডলার, যা এযাবৎকালের সর্বোচ্চ।

১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫: সোনা ও রুপার আজকের বাজার দাম
দেশের বাজারে ফের বাড়ানো হয়েছে সোনার দাম। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের বাজারে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) থেকে সোনা বিক্রি হবে নতুন দামে। তবে আগের দামেই বিক্রি হবে রুপা। সবশেষ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সোনার দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার সোনার ২২ ক্যারেটের এক ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়েছে সংগঠনটি।নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮১২ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৩ হাজার ১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২২ হাজার ৫৭৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৯১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে, গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। এর আগে, সবশেষ গত ৬ ফেব্রুয়ারি দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ২ হাজার ৯২৮ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৭ হাজার ৮১৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। যা ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম।এছাড়া, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২০ হাজার ৯৪৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৯ হাজার ৫২৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে। এ নিয়ে চলতি বছর ৬ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ছয় বারই। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার। স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।এদিকে, বিশ্ববাজারেও রেকর্ড ছুঁয়েছে স্বর্ণের দাম। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক আউন্স স্বর্ণের দাম ছাড়িয়েছে ২ হাজার ৯০০ ডলার।
/bussiness ad.jpg)
পাটের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বহুমুখীকরণের উদ্যোগ: বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা
পাটের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পাট পণ্যের বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় খুলনায় বিসিক আঞ্চলিক কার্যালয় প্রাঙ্গণে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে এসো দেশ বদলাই-পৃথিবী বদলাই স্লোগান নিয়ে পাট অধিদপ্তর ও জেডিপিসি আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় বৈচিত্র্যময় পাট মেলার আয়োজন করছি। আমাদের মূল কাজ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসা ও উদ্যোগকে সফল করতে দেশে বিদেশে মেলা আয়োজন করা,ট্রেনিং দেওয়া এবং পাট পণ্য তৈরির কাচামাল সহজলভ্য ও সুলভ করা। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন,পাট পণ্য মেলা আয়োজনের মাধ্যমে উদ্যোক্তা ও পাট পণ্য ব্যবহারকারীদের মধ্যে আইডিয়ার আদান প্রদান ঘটবে। নান্দনিক বৈশিষ্ট্য ও প্রাসঙ্গিক প্রয়োজনীয় যে বৈশিষ্ট্যগুলো থাকা দরকার এর সমন্বয় করে এমন পণ্য উদ্ভাবন করা দরকার যা বিকল্প পণ্য নয় বরং স্বকীয়পণ্য হিসাবে ব্যবহারিক পণ্যে রুপান্তরের মাধ্যমে পাটের মূল্য সংযোজন হয় ও ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি হয়। সেই সুযোগটা আমরা ব্যবহার করতে চাই। পাটের স্বর্ণ যুগ যেটা ছিল তা ফিরিয়ে আনতে চাই। খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবু রায়হান মোহাম্মদ সালেহ ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এর আগে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং উদ্যোক্তাদের সাথে পাট পণ্যের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন। উল্লেখ্য, এবারের বহুমুখী পাটপণ্য মেলায় ৩০টি স্টল রয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
/bd-bank-monsur.jpg)
আপাতত আর বাড়ছে না ডলারের দাম: গভর্নর
ডলারের দামও আপাতত আর বাড়ছে না বলে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আজ (১০ ফেব্রুয়ারি) সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি এমন কথা জানান। গভর্নর হয়ে চলতি অর্থ-বছরের শেষ মুদ্রানীতি ঘোষণা করলেন ড. আহসান এইচ মনসুর। রাজনৈতিক অস্থিরতার কঠিন সময়ে বিনিয়োগ খরা কাটাতে নীতি সুদহার কমানোর দাবি থাকলেও তা ১০ শতাংশই রাখা হয়েছে। বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ৯.৮ শতাংশই অপরিবর্তিত থাকলো। এমনকি পুরো মুদ্রানীতিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি একেবারেই মনোযোগ পায়নি। আহসান এইচ মনসুরের মতে, মূল্যস্ফীতি কমাতে সম্ভাব্য সব অস্ত্র প্রয়োগ করা হয়েছে, ফল মিলবে, তবে ধৈর্য্য রাখতে হবে।রপ্তানি এবং প্রবাসী আয় দিয়ে চলতি হিসাব এবং আর্থিক হিসাব দুটোই সামাল দেওয়া গেছে।
/islami-bank plc.jpg)
ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
সোমবার (১০ ফেব্রয়ারি) ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের এক সভা ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, স্বতন্ত্র পরিচালক মোঃ আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ ওমর ফারুক খান, মোঃ আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
/mansur-.webp)
জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি নামবে ৭ থেকে ৮ শতাংশে
নীতি সুদহার (১০ শতাংশ) অপরিবর্তিত রেখে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জুন মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলেও জানানো হয়েছে। আজ (১০ ফেব্রুয়ারি) সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত বছরের ২২ অক্টোবর দেশের মুদ্রানীতির অন্যতম টুল নীতি সুদহার (ব্যাংক রেট) ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করা হয়। দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আগামী জুন মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ থেকে ৮ শতাংশ নেমে আসবে, চলতি অর্থবছর প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। গত ২৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার ৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ করে। গত ২৫ আগস্ট উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৯ শতাংশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে এটি ৯ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়। এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে নীতি সুদহার ছিল ৫ শতাংশ। সেসময় থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১০ বার বাড়ানো হয়েছে নীতি সুদহার।

আবার শুরু হচ্ছে টিসিবির ট্রাকসেল, মিলবে যেসব পণ্য
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকসেল কার্যক্রম আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে আবারও শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে এবার মিলবে ভোজ্যতেল, ডাল, চিনি, ছোলা ও খেজুর। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানটি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নিম্নআয়ের উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য (ভোজ্যতেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ওই কার্যক্রমের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তাদের কাছে ঢাকা মহানগরী ও চট্টগ্রামে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভতুর্কি মূল্যে টিসিবির পণ্য ভোজ্যতেল, ডাল, চিনি, ছোলা ও খেজুর বিক্রি করা হবে।’‘যে কোনো ভোক্তা লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে বিক্রি কার্যক্রম ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে।’ এ দফায় সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি চিনি, ২ কেজি ছোলা ও ৫০০ গ্রাম খেজুর কিনতে পারবেন উপকারভোগীরা। প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা, চিনি ৭০ টাকা, ছোলা ৬০ টাকা ও খেজুরের দাম পড়বে ১৫৫ টাকা। অন্যান্য বিভাগীয় শহর ও কিছু জেলায় ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে বিক্রি কার্যক্রম অতি দ্রুত শুরু হবে বলেও জানিয়েছে টিসিবি।

নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা আজ, গুরুত্ব পেতে পারে যেসব বিষয়
চলতি অর্থবছরের শেষ ছয় মাসের (জানুয়ারি-জুন, ২০২৫) জন্য আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল তিনটায় ঘোষণা করা হবে নতুন মুদ্রানীতি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রিজার্ভ ধরে রাখা ও বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা গুরুত্ব পাবে এবারের নীতিতে। তবে, সুদের হার না বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মনযোগ থাকবে বিনিয়োগ বাড়ানোর। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তন হলেও নতুন গভর্নর পুরোনো মুদ্রানীতি পর্যালোচনা করেননি। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজারে টাকার প্রবাহ কমাতে বাড়িয়েছেন নীতি সুদহার। যদিও বাজারে তার প্রভাব খুব একটা পড়েনি। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত চড়েই ছিল সাধারণ মূল্যস্ফীতি। জানুয়ারিতে সামান্য কমলেও এখনো চড়া খাদ্য মূল্যস্ফীতি। এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে প্রথম বারের মতো মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছেন ড. আহসান এইচ মনসুর। জানুয়ারি-জুন সময়ের জন্য দেয়া এই নীতির ভঙ্গি এবার অত্যন্ত সতর্কতামূলক হবে। সুদের হার না বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল নেয়া হতে পারে।বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, ‘এবারের মুদ্রানীতি অত্যন্ত সতর্কতামূলক হবে। কারণ, দেশের অর্থনীতি স্বাভাবিক সময়ে নেই। সেগুলো মাথায় রেখেই করা হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সমুন্নত করা, বিনিময় হারকে স্থিতিশীল করা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করাই মূল লক্ষ্য।’ সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাস্তবসম্মত নয় বলে অভিমত ব্যবসায়ীদের। তারা জানান, দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরশীল। তাই, সুদ বাড়লে পণ্য উৎপদান খরচ বেড়ে মূল্যস্ফীতি উসকে যায়। এ জন্য ভারসাম্যপূর্ণ মুদ্রানীতি প্রয়োজন।বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, ‘বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় আমাদের প্রেক্ষাপট ভিন্ন, কারণ সেখানে ভোক্তা লোন বেশি। যখন সুদ বাড়ে ভোক্তা তখন কেনাবেচা কমিয়ে দেয়। বেশি সংকোচন নয় আবার খুলে দিলেও হবে না, মাঝামাঝি একটা মুদ্রানীতি করতে হবে।’ মুদ্রানীতির আরেক উদ্দেশ্য বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা। এ জন্য রিজার্ভের পতন ঠেকানোর কৌশলও থাকবে। এই কৌশল বাস্তবায়ন করতে গিয়ে খুব বেশি সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি না করার পরামর্শ অর্থনীতি বিশ্লেষকদের। অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইএসএস) গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর বলেন, ‘অনন্তকাল ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি থাকতে দেয়া যাবে না। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে হবে। একইসঙ্গে কমিয়ে আনতে হবে সুদের হার। নমনীয় করতে হবে মুদ্রানীতিও। যা দেশ ও ব্যবসার জন্য ভালো হবে।’
/saleuddin-ahmed.jpg)
নীতি গ্রহণে সবসময় জনগণের চাওয়া পূরণ করা যায় না : অর্থ উপদেষ্টা
নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে সবসময় জনগণের চাওয়া পূরণ করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ভ্যাট বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ভ্যাট না বাড়িয়ে বিকল্প ছিল না। তাৎক্ষণিক কর বাড়ানোর সুযোগ ছিল না। রাজস্ব না বাড়ালে পুলিশের ৩০০ গাড়ি পুড়ে গেছে, সেই টাকা কোথায় পাব, কোথা থেকে আসবে? আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত 'বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিটেন্সের ভূমিকা' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাকে এখন বলা হয়েছে- অনেক অর্থনীতিবিদ, অনেকেই, বেশিরভাগই আমার ছাত্র, সব ট্যাক্স কমিয়ে দেন। সব ভ্যাট কমিয়ে দেন। ইনকাম ট্যাক্স বাড়ান। রাজস্ব বাড়ান। সামনা সামনি হলে বলতাম, রাজস্ব বাড়াব কীভাবে, বলো তো?’ সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভ্যাট কমিয়ে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। ঠিক আছে, ভ্যাটের চাপটা একটু কমানো দরকার। আয়কর হয়ত একটু বাড়বে। শুল্ক কমানো হবে। আবার এদিকে বলা হচ্ছে, আপনারা রাজস্ব বাড়ান। যখন বলা হয় যে বাংলাদেশে রাজস্ব খাতে কর-জিডিপি অনুপাত অনেক কম। তখন বলে যে হ্যাঁ এটা বাড়ানো উচিৎ।’ তিনি বলেন, রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে আন্দোলন ও পরবর্তী সময়ে অস্থিতিশীলতার প্রভাব রয়েছে। চলতি অর্থবছরের ছয় মাসেই রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি দাঁড়িয়েয়েছে ৫৮ হাজার কোটি টাকা। এদিকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তির শর্ত হিসেবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাড়তি ১২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে বলেছে। সেটা করতে গিয়ে অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে শতাধিক পণ্যে মূল্য সংযোজন কর-ভ্যাট, শুল্ক বাড়িয়ে ব্যবসায়ীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে এনবিআর।
/national bank.jpg)
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের অফিসারদের প্রশিক্ষণ
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ন্যাশনাল ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ১১ দিনব্যাপী ‘ফাউন্ডেশন কোর্স ফর প্রবেশনারি অফিসার্স অ্যান্ড আদার অফিসার্স (জেনারেল ব্যাংকিং মডিউল কমবাইন্ড ব্যাচ) শীর্ষক কোর্সের উদ্বোধন করা হয়। এই কোর্সে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও বিভিন্ন শাখা থেকে ৪৪ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করছেন। ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শেখ আকতার উদ্দীন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কোর্সের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ শাহ্ সৈয়দ রাফিউল বারী।
/bd-bank.webp)
আগামীকাল নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
আগামীকাল সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ ছয় মাসের জন্য মুদ্রানীতি বিবৃতি (এমপিএস) ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদিন ঢাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এটি ঘোষণা করবেন বলে আজ রোববার (ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এসময় গভর্নর বর্তমান মুদ্রানীতির আওতায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে গতিশীল করতে— বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রচেষ্টাগুলো সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরবেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ– বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এর প্রধান, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখ্য অর্থনীতিবিদ-সহ অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা।
/islami-bank.jpg)
ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক প্রীতিমিলনী ও বনভোজন অনুষ্ঠিত
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে বার্ষিক প্রীতিমিলনী ও বনভোজন শনিবার (৮ ফেব্রয়ারি) ২০২৫, মুন্সিগঞ্জের ‘ঢালী’স আম্বার নিবাস রিসোর্টে অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামী ব্যাংক অফিসার কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আব্দুল জলিল। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট একেএম মাহবুব মোরশেদ। এসময় অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান, মো. আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ মাহবুব আলম, মাহমুদুর রহমান, কে. এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন, ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ও মো. মাকসুদুর রহমানসহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। রিসোর্টের মনোরম পরিবেশে খেলাধুলা, র্যাফেল ড্র, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ এ প্রীতিমিলনী ও বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়।