নিউইয়র্কে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হল ঊনবাঙালের বইমেলা

  • প্রকাশঃ ০১:১৯ পিএম, ০৫ মার্চ ২০২৫

নিউইয়র্কে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হল ঊনবাঙালের বইমেলা

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ঊনবাঙাল সাহিত্য সংগঠনের আয়োজনে একুশের বইমেলা। গত ২১-২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে এই মেলা। মেলায় দর্শকের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। 

২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে জ্যামাইকার ইলহাম একাডেমিতে শুরু হয় এই মেলা। উদ্বোধন করেন সাংবাদিক ও কথা সাহিত্যিক মঞ্জুর আহমদ। এ সময় সবাই হাতে আঁকা প্রতিকী একুশে ফেব্রুয়ারির মিনারের সামনে ফুল রেখে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

ঊনবাঙালের সভাপতি মুক্তি জহির ও ঊনবাঙালের প্রধান প্রাণপুরুষ কাজী জহির সবার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানান। 

তিনি বলেন, ‘হিমাঙ্কের নিচে যখন ঠান্ডা ,আমরা ব্যানার নিয়ে রাস্তায় হাঁটছিলাম। মনে হচ্ছিল আমার হাত পা ঠান্ডায় ফেটে যাবে। কিন্তু আমরা কেউই হাঁটা থামাইনি।’

মেলার আহ্বায়ক ফখরুল আলম বলেন, ‘আজকের এই শুভ সূচনার মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতের জন্য বড় একটা উদ্দেশ্যকে রোপন করলাম।’

প্রধান অতিথি শাহ নেওয়াজ সবাইকে ধন্যবাদ জানান তীব্র শীত উপেক্ষা করে মেলায় আসার জন্য।

মেলায় তিন দিনের প্রতিদিনের কর্মসূচিতেই ছিল নতুন নতুন সংযোজন। ছোটদের এবং নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের অংশগ্রহণ করার জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভোরের পাখি ও আমরা সবাই রাজা এদুটি ছিল ছোট মনিদের নিয়ে অনুষ্ঠান। মেলার স্লোগান ছিল ‘পৃথিবী জুড়ে বাঙালি ,বাঙালির পৃথিবী’।

সরজমিনে দেখা গেছে, মেলা চলেছে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। এ সময় প্রচুর দর্শক সমাগম হাতে দেখা গেছে। প্রতিদিন বই মেলায় দারুন সব উপভোগ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। গান,আবৃত্তি,স্বরচিত কবিতা পাঠ, নাটক, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, বই সমালোচনা,পুথি পাঠ সব কিছুরই আয়োজন ছিল এই মেলায়।
       
২৩ ফেব্রুয়ারি মেলার শেষ দিন এসেছিলেন বাংলাদেশ কন্সুলেট থেকে কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা। তিনি বলেন, ‘এ মেলা আমাদের নতুন প্রজন্মের মাঝে বাংলা শেখার আগ্রহ তৈরি করবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সামনে এই মেলা আরো অনেক বড় আকারে আমরা দেখতে পাবো। লেখক পাঠকের এই মিলনমেলাকে তিনি খুবই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।’

মেলা কমিটির আহ্বায়ক ফখরুল আলম মনে করেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই এই মেলা সফল হয়েছে। সদস্য সচিব আহসান হাবীব ও সুমন শামসুদ্দিন মেলা নিয়ে মানুষের উপস্থিতিকে খুবই ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেছেন। 

তিনি আশা প্রকাশ করেছেন সামনে এই মেলা আরও বড় পরিসরে তৈরি করা হবে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×