জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের দাবি জামায়াতের

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার জন্য বলেছি। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকালীন একটি তত্ত্বাবধায়ক, অন্তর্বর্তী সরকার যেটিই হোক, সেটা হবে। এর অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে ভালো হবে। দলীয়ভাবে ভোট হলে দলের সরকার তার প্রার্থী জয়ী করে নেয়। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আমরা জাতীয় নির্বচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চাই। বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা ইসি পুনর্গঠন চাইনি। যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকারের পর নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে, সেহেতু এই কমিশনের আস্থার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। তারা এখনো প্র্যাকটিক্যালি কাজ শুরু করেনি। অতীতের মতো দলীয় সরকারের অধীনে তো এই কমিশনের নিয়োগ হয়নি, এই সরকারের আমলেই নিয়োগ হয়েছে। তিনি বলেন, নিবন্ধন ও প্রতীকের গেজেট প্রকাশ করে আমাদের দীর্ঘদিনে দাবি বাস্তবায়ন করেছে ইসি। ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় বেআইনিভাবে নিবন্ধন বাতিল ও প্রতীক কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। চরম অন্যায় করেছিল। কমিশন গেজেট করায় যে প্রত্যাশায় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, তার পূরণ হয়েছে। হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আমরা ভোটে পিআর (সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি) পদ্ধতি চাই। ঐক্যমত কমিশনেও এ নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা এটার দাবি জানিয়েছি। পরিবেশ সুষ্ঠু না হলে সুষ্ঠু ভোট হয় না, তা অতীতে দেখেছি। পিআর পদ্ধতিতে নমিনেশন বাণিজ্য বন্ধ হয়। আমরা এক শতাংশ ভোটের হারে আসন বণ্টনের কথা বলেছি। ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ বিদেশে। ভোট দিতে পারে না। প্রবাসীরা যেভাবে বাংলাদেশকে বিদেশে উপস্থাপন করেন, রেমিট্যান্স পাঠায় তার চেয়ে বড় কথা তাদের ভোটা গুরুত্বপূর্ণ। কমিশন বলেছে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে তারা উদ্যোগ নিয়েছে। জামায়াতের এই নেতা বলেন, সংস্কার হবে তা যেন কাগজে না হয়। নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে। আশ করি আগামীতে সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যশা পূরণ হবে। যে দাবিগুলোর কথা বললাম তা ইসি রিলেটেড। ঐকমত্য কমিশনের পাশাপাশি ইসিকেও জানালাম। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জামায়াত নেতা ও বাংলাদেশ ল ইয়ার্স কাউন্সিলের সভাপতি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার।

জনগণ সরকারের কাছে আইনের শাসন প্রত্যাশা করে: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, সরকারের কাছে মানুষ আইনের শাসন প্রত্যাশা করে। আপনারা দৃষ্টান্ত রেখে যাবেন যাতে করে নির্বাচিত সরকার এলে আপনাদের ভালো দৃষ্টান্তগুলো চিহ্নিত করে আরও ভালো কিছু করার চেষ্টা করে। বুধবার (২৫ জুন) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমরা বিএনপি পরিবারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা সহায়তা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আমরা বিএনপি পরিবারের সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুনের সভাপতিত্বে জাহিদুল ইসলাম রনির সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফউদ্দিন বকুল, প্রকৌশলী মোস্তফা-ই জামান সেলিমসহ অনেকেই। কেন এই সময়ে এসে এত খুন-জখম হবে, কেন এত ডাকাতি, চুরি, হত্যাকাণ্ড ঘটবে- এসব বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে। বলা হচ্ছে পুলিশের মধ্যে এখনো আস্থা ফিরে আসেনি- কেন আস্থা ফিরবে না? রিজভী বলেন, ২৪-এর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পটভূমি রচনার প্রধান নায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আমরা দেখেছি যখন ছাত্র-জনতা বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তখন তিনি দলের সব নেতাকর্মীকে নির্দেশ দিয়েছেন তাদের সঙ্গে আন্দোলনে সক্রিয় থাকার জন্য। কখনো তিনি লন্ডন থেকে বক্তব্যের মাধ্যমে, কখনো আমাদের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পাশে থাকা নির্দেশ দিয়েছেন। এই আন্দোলনে আমাদের ছাত্রদলের অনেক নেতা-কর্মী বিএনপির সমর্থক অনেকেই আত্মহুতি দিয়েছেন গণতন্ত্রকে ফেরানোর জন্য। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, আমরা বিডিআর হত্যাকাণ্ডের যে ঘটনাগুলো দেখছি সেখানে আমরা শুনতে পাচ্ছি যারা তদন্তে আছেন তারা নানা কারণেই গোপনীয়তা রক্ষা করছেন, যদিও তারা বলেছিল রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, হয়তো বিশেষ কারণে নামগুলো এখনো বলছেন না, কিন্তু রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতায় যে হয়েছে এটা বলছেন তারা। তার মানে পরিকল্পিতভাবে পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। হয়তো কারও স্বার্থে, প্রভুদের স্বার্থে অথবা অন্য কোনো স্বার্থে এ ঘটনা ঘটিয়েছিল তৎকালীন যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল। রিজভী আরও বলেন, আজকে একটি সংবাদ পড়ে একদিকে যেমন বেদনার্ত হয়েছি অন্যদিকে আশাবাদী হয়ে উঠেছি অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে গুম করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে অনেকেই অস্বীকার করেছেন এবং যারা অস্বীকার করেছেন তাদের নামসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বাস ভবনে এ ধরনের নথিও পাওয়া গেছে আর যারা রাজি হয়েছেন তারা তো গুম-খুন করেছেন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ও তার নৈকট্য লাভের জন্য। এর মধ্যেও কিছু কিছু পুলিশ অফিসার অস্বীকার করেছেন তাদের ডিপার্টমেন্টকে পুরস্কৃত করা উচিত। কারণ তারা শেখ হাসিনার হিংস্রতার মধ্যেও গুম করতে অস্বীকার করেছেন। আমরা যতটুকু জেনেছি তাতেই তো আমাদের রক্ত হয়ে হিম হয়ে যায়। রিজভী বলেন, পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডসহ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত। আর যারা শেখ হাসিনার হিংস্রতার মধ্যেও অন্যায় কাজ করেনি তাদের পুরস্কৃত করা উচিত। এটা করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করব। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত নানাভাবে নানা কারণে ১৭৭ জন মানুষের হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। যারাই এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তারা যে দলেরই হোক যে মতেরই হোক সরকারের উচিত আইনের মাধ্যমে তাদের বিচার করা। সরকার আইনশৃঙ্খলা দেখবে, কোনো পার্টির রং দেখবে না। কে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি, কে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি নয়, কে ধনী, কে গরিব এটা বিবেচনা করবে না, তাদের উচিত কারা অপরাধ করছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় বিচার করবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট প্রথমেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। একটি নির্বাচিত সরকারের অধীনে যদি স্থানীয় নির্বাচন হয় সে নির্বাচনের বিশ্বস্ততা বাড়বে। যারা নির্বাচিত হবেন তারা দেখাবেন যে, নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে। ১৬-১৭ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি, সে কারণে জাতীয় নির্বাচন আগে হওয়া বাঞ্ছনীয়। এ বিষয়ে বিএনপির মতামত অত্যন্ত সুস্পষ্ট।

বিএনপি কখনোই মবের পক্ষে নয়: ফারুক

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, বিএনপি কখনোই মবের পক্ষে নয়।” তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, “সুশীল সমাজের কাছে জানতে চাই, এই মব কে সৃষ্টি করেছে? আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি। বুধবার (২৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত এক প্রতিবাদী যুব সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, যেদিন কাওরান বাজারে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারে খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল, সেদিনও সরকার কোনো কর্ণপাত করেনি। শেখ হাসিনা মব সংস্কৃতির মাস্টারমাইন্ড। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই যে তারা এই মব সৃষ্টিকারীদের কঠোরভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শুধু তাই নয় তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য বলেছেন। প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে ফারুক বলেন, কোথায় হারুন কোথায় বিপ্লব, আইজি,কমিশনার ? গোয়েন্দা সংস্থা থাকা সত্ত্বেও কেন এখনো তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। তাদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করুন। সংগঠনের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. আব্দুল সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ প্রমুখ।

১৯৪৭ থেকে আজ পর্যন্ত জামায়াতের হাতে কেউ কষ্ট পেলে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শুধু ১৯৭১ সাল নয়, ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত জামায়াতের মাধ্যমে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে, তাদের সবার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছি। তিনি বলেন, ব্যক্তি হিসেবে যেমন মানুষ ভুল করতে পারে, তেমনি মানুষের সমষ্টি- একটি দলেরও ভুল সিদ্ধান্ত থাকতে পারে। কোনটা ভুল, কোনটা সঠিক- সেটা ইতিহাস নির্ধারণ করবে। ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দিন’ নামে একটি টকশো অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন জামায়াত আমির। অনুষ্ঠানে উপস্থাপক খালেদ মুহিউদ্দিন প্রশ্ন করেন, যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম খালাস পাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে আপনি বলেছিলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর মাধ্যমে কেউ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন, তার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাই।’ এই ক্ষমা প্রার্থনায় মুক্তিযুদ্ধের সময়কাল অন্তর্ভুক্ত কি না। উত্তরে জামায়াত আমির বলেন, শুধু একাত্তর নয়, ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আমাদের দ্বারা কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে, তাদের সবার কাছেই আমি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছি। তিনি বলেন, আমরা আদর্শবাদী একটি দল। আমরা বিশ্বাস করি, আমরা মানুষ- ভুলের ঊর্ধ্বে নই। আমাদের দ্বারা বা আমাদের সহকর্মীদের দ্বারা কেউ কষ্ট পেয়ে থাকতে পারেন, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। সবকিছুর জন্য আমি কোনো শর্ত ছাড়াই ক্ষমা চেয়েছি। মাফ চাওয়ার বিষয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে কোনো পরাজয় নেই, কোনো লজ্জা নেই। আমার মানবিক মূল্যবোধ ও দায়িত্বের জায়গা থেকে মাফ চেয়েছি।

রাজনৈতিক সমঝোতা স্মারকে আগ্রহী চীন : বিএনপি

চীন সফররত বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা স্মারকে আগ্রহ দেখিয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার (সিপিসি) আন্তর্জাতিক বিভাগের মিনিস্টার লি জিয়াং ঝাও। তিনি এক চীন নীতির ব্যাপারে বিএনপির সুস্পষ্ট অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে সফররত বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলাপে লি জিয়াং ঝাও এসব আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিএনপির মিডিয়া সেলর সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, লি জিয়াং ঝাওয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, চীন তথা বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন ও জনকল্যাণে প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ যুগান্তকারী ও অবিশ্বাস্য। এ কারণে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্পে চীনের অধিকতর অংশগ্রহণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়। পরে চীনে সফররত বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল তাদের সম্মানে চীন কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের ভাইস মিনিস্টার সুন হাইয়ান আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন। সোমবার (২৩ জুন) থেকে চীন সফরে রয়েছে বিএনপির একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে অন্য সদস্যরা হলেন– বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, জহির উদ্দিন স্বপন, দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার। মঙ্গলবার চীন সফরের দ্বিতীয় দিন পার করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এদিন সকালে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী সান ওয়েইডংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। সোমবার চীনের পিপলস গ্রেট হলে সিপিসি (কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়না) কেন্দ্রীয় কমিটির পলিটব‍্যুরো সদস্য ও ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস স্ট্যান্ডিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লি হংঝংয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল।

এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা, শনাক্ত নেই

রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কার্যালয়ের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত সোমবার গভীর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে রমনা মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়। তবে কে বা করা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক বলেন, সোমবার রাতে ঘটনার পরই এনসিপির পক্ষ থেকে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আশপাশের বিভিন্ন ভবন ও সড়কে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার রাতে তিনি বলেন, কাউকে সনাক্ত করা যায়নি। পটকা নাকি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি। গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এনসিপির কার্যালয়ের নিচে অন্যান্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তাদের কাছাকাছি মূল সড়কের উপর একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আখতারের সঙ্গে থাকা অন্তত চারজন আহত হন। সোমবার রাতে হামলার পরপর এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে এনসিপি। তাৎক্ষণিক সমাবেশে সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, এনসিপি যখন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে এবং নিবন্ধন নিচ্ছে তখনই ককটেল হামলা হয়েছে। হামলা করে এনসিপির লক্ষ্য থেকে সরানো যাবে না। এসময় হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিও জানান তিনি। এ ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে গত সোমবার মধ্য রাতেই রমনা থানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে রোববার একই কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এনসিপি নেতাদের অভিযোগ, পরপর দুইদিন একই জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা এবং সমর্থকদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এই ধরনের হামলা করা হয়েছে। সদস্যসচিবকে লক্ষ্য করে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান তারা। ঘটনার পর পর থানা পুলিশ, ডিবি, সিআইডি, র্যাব, বোম ডিসপোজাল টিমসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আশপাশের বিভিন্ন ভবন ও সড়কে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আলম। তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনায় জড়িতদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। গুরুত্ব সহকারে মামলাটির তদন্ত কাজ চলছে।’

চা খেতে ১ লাখ টাকা করে চাওয়া শুরু করেছে দুদক, অভিযোগ হাসনাতের

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতুর কাছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তা ঘুস চেয়েছেন- এমন দাবি করেছেন দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ দাবি করেন হাসনাত। ওই পোস্টের সঙ্গে তিনি তিনটি ভিডিও ক্লিপ যুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা দুদকের এ দুর্নীতির বিচার চাই। আমলাদের এক লাখ টাকার চা খাওয়ানোর জন্যই কি জুলাইতে বাংলাদেশের মানুষ জীবন দিয়েছিল?’ ‘স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল ১ লাখ টাকা’ শিরোনামে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘আপনার নামে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ না থাকলেও সেটার ক্লিয়ারেন্স নিতে আপনাকে এক লাখ টাকা দিতে হবে। সম্প্রতি মাহমুদা মিতুর কাছ থেকে এ টাকা চাওয়া হয়েছে দুদকের ডিজি আকতার আর তার ডিডি পরিচয়ে। মাহমুদা মিতুকে বলা হয় আপনি একজন ডাক্তার, আপনার তো টাকা-পয়সার অভাব থাকার কথা না। আপনি এক লাখ টাকা দিয়ে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে যান।’ তিনি লেখেন, ‘দুদকের সর্বনিম্ন রেট নাকি এক লাখ টাকা। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আকতার আবার ফোন দিয়ে জানতে চান টাকা দেবে কিনা? টাকা না দিলে নাকি খবর করে ছেড়ে দেওয়া হবে। রেড ক্রিসেন্টে মাহমুদা মিতু যোগ দিয়েছেন ৫ আগস্টের পরে। দুদক এখন তদন্ত করছে আওয়ামী লীগের সময়ের দুর্নীতি নিয়ে।’ ‘অথচ হাস্যকরভাবে আওয়ামী আমলের কর্মকর্তাদের নাম না দিয়ে তখনকার দায় চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এখনকার লোকজনের ওপর। এখানে বড় অংকের টাকার লেনদেনের সমূহ সম্ভাবনা আছে। কিছু না করাদের কাছে থেকেই যদি এক লাখ করে নেয়, আওয়ামী লীগ আমলের কর্মকর্তাদের থেকে তাহলে কত করে নিয়েছে?’ এনসিপির এই নেতা লেখেন, ‘দুদকের এসব কাজকারবার এই প্রথম না। শেখ হাসিনার আমলে খালেদা জিয়াসহ বিরোধী দলের বহু নেতাকে এরা হয়রানি করেছে। অথচ আওয়ামী লীগের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে এরা কিছুই বলেনি। আমরা আশা করেছিলাম, ৫ আগস্টের পর এদের মধ্যে পরিবর্তন আসবে। কিন্তু আসেনি। বরং এরা এখন চা খাওয়ার জন্য এক লাখ করে টাকা চাওয়া শুরু করেছে। মাহমুদা মিতু সাহস করে ভিডিও করে রেখেছেন, অন্যায় ঘুস দেন নাই। কিন্তু কত সাধারণ মানুষ এদের এই চায়ের বিল দিতে বাধ্য হয়েছে জানা নেই।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার- মাহমুদা মিতু কেন, যদি আমার নামেও এক পয়সা দুর্নীতির অভিযোগ আসে, সেটা মানুষের সামনে প্রকাশ করে দিন। কাউকে ফোন করারও দরকার নেই, দুর্নীতি পেলেই সেগুলো প্রকাশ করে মামলা করে দেন। আইনের হাতে তুলে দেন। তা না করে নিরীহ লোকজনের ওপরে এই চাঁদাবাজি কেন করছেন? কেন চা খাওয়ার বিল চান, কেন টাকা না দিলে হুমকি দেন? ফ্যাসিবাদের পতনের পর আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ চাই।’ হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘শেখ হাসিনার করে যাওয়া দুর্নীতির পথে যেন আর কেউ না যেতে পারে সেজন্য দুদককেও আমরা নতুন রূপে দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নতুন বাংলাদেশেও দুদক সেই পুরোনো পথেই হাঁটা শুরু করেছে। আমলাতন্ত্র আবারও বিষদাঁত নিয়ে কামড় বসাতে হাজির হয়েছে। এই বিষদাঁত ভাঙতে না পারলে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন হেরে যাবে, আমরাও হেরে যাব। আমরা দুদকের এই দুর্নীতির বিচার চাই। আমলাদের এক লাখ টাকার চা খাওয়ানোর জন্যই কি জুলাইতে বাংলাদেশের মানুষ জীবন দিয়েছিল?’।

দীর্ঘ লড়াইয়ের পর প্রতীকসহ নিবন্ধন ন্যায্যভাবেই ফিরে পেয়েছি: গোলাম পরওয়ার

দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে দলীয় প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ উপলক্ষ্যে দলের পক্ষ থেকে দেশ-বিদেশের সব শুভাকাঙ্ক্ষী, সুধী, প্রবাসী এবং গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দলের সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাত পৌনে ৮টায় রাজধানীর বসুন্ধরায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের পর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের ভিত্তিতে এবং নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’সহ আমাদের নিবন্ধন আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, গত ১ জুন আপিল বিভাগ সর্বসম্মত রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন। পরে নির্বাচন কমিশন ৪ জুন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় এবং ২৪ জুন তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে। গোলাম পরওয়ার বলেন, আমরা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। এই জয় ন্যায়বিচারের, এই জয় গণতন্ত্রের। মহান আল্লাহ তায়ালার খাস মেহেরবানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’সহ নিবন্ধন আদালতের রায়ের সূত্রে আজকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে আমরা অফিসিয়ালি ফিরে পেলাম। এজন্য মহান রব আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে প্রাণ খুলে তৃপ্তির সঙ্গে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি আলহামদুলিল্লাহ। তিনি বলেন, আপনারা সমাজের সচেতন, বিবেকবান মানুষ। আপনাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের চিন্তা-চেতনা, মন-মানসিকতা, রাজনীতিকরণ, ভোটাধিকারসহ সবকিছুর অভিব্যক্তি ও আকাঙ্ক্ষা জাতির কাছে দেশ-বিদেশে প্রতিফলিত হয়। এজন্য আপনাদের বলা হয় জাতির বিবেক। কীভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মতো একটি গণতান্ত্রিক নিয়মতান্ত্রিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের ওপর পতিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার জুলুম চালিয়েছিল, আমাদের অধিকারগুলো কীভাবে কেড়ে নিয়েছিলো সব ইতিহাস দেশবাসীর জানা আছে। তিনি আরও বলেন, আপনাদের জানাতে চাই, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের নিবন্ধন আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে বৈধভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধিত হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর আদালতের মাধ্যমে আমাদের এই অধিকারকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ২০০৯ সালের একটি রিট পিটিশনের সূত্র ধরে ২০১৮ সালে আদালতের এক আদেশে আমাদের নিবন্ধন বাতিল করেছিল। এই দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক এবং আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য এই আইনি লড়াই আমাদের দেশের বরেণ্য আইনজীবীরা সহযোগিতা করেছেন; গণমাধ্যমের কর্মীরা সহযোগিতা করেছেন। ন্যায় ও ইনসাফের পক্ষে সংবাদ পরিবেশন করে জাতির সামনে আপনারা বিবেককে কাজে লাগিয়ে সাংবাদিকতার পেশার মহত্ত্বকে আপনারা তুলে ধরেছেন এবং বহাল রেখেছেন সেজন্য আপনাদের সবাইকে শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরায় জামায়াত আমিরের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ শেষে উভয়ের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে, দুপক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি ছিল আন্তরিক ও হৃদ্যতাপূর্ণ। বৈঠকে সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও পারস্পরিক আগ্রহের বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা হয়। জামায়াতে আমির ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, দলের নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।

বিএনপি-আ.লীগের মধ্যে আসলে কোনো পার্থক্য নেই : ফয়জুল করীম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির ও শায়েখে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে আসলে কোনো পার্থক্য নেই। আগে আওয়ামী লীগের নেতারা যে সুরে কথা বলতেন, এখন বিএনপি নেতারাও সেই সুরেই কথা বলছেন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, হাত পাখার বিজয় মানেই দেশের বিজয়, মানুষের বিজয়। দেশের কল্যাণ, শান্তি ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় ইসলামী আন্দোলনের প্রতীক হাত পাখায় ভোট দেওয়া সময়ের দাবি। তিনি সকলকে ইসলামী সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইসলামই দেশ ও জাতির মুক্তির পথ। গণসমাবেশে গাইবান্ধার ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে তিনটি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেন মুফতি ফয়জুল করীম।প্রার্থীরা হলেন- গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে প্রভাষক মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদ, গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে মাওলানা আওলাদ হোসেন, গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে মুফতি তৌহিদুল ইসলাম। গণসমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অ্যাডভোকেট এম. হাছিবুল ইসলাম, মুহাম্মদ আনোয়ার উল ইসলাম আরিফ, মো. মাহবুবুর রহমান, মুফতি মাহমুদুল হাসান কাসেমী, মুফতি সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. আজিজুল ইসলাম, আহমাদ আলী, মো. আব্দুল মুত্তালিব মন্ডল, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, হাফেজ মাওলানা মো. খায়রুজ্জামান, মো. আকরাম হোসেন, মো. আওলাদ হোসাইন, মো. আসাদুল্লাহ আল গালিব, আবুল কালাম আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলাম শরিফ, শাহাজ উদ্দিন রিয়াদ প্রমুখ বক্তব্য দেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা সভাপতি প্রভাষক মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদ। সঞ্চালনা করেন জেলা সেক্রেটারি মুফতি আল আমিন বিন হোসাইন।

দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ও নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত

জামায়াতে ইসলামীর পুরনো প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ পুনরায় বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া তাদের নিবন্ধনও পুনর্বহাল করা হয়েছে। মঙ্গলবার এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিস্তারিত আসছে...

অপরাধ যত বড়ই হোক, মব জাস্টিস সমর্থনযোগ্য নয়: রিজভী

কারও অপরাধ যত বড়ই হোক, মব জাস্টিস সমর্থনযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, গত তিনটি নির্বাচন ছিল শেখ হাসিনার একক নাটকীয় নির্বাচন। এসব নির্বাচনের সময়কার সব নির্বাচন কমিশনারই ফ্যাসিবাদের অংশ। তবে তারা যত বড় অপরাধীই হোক, বিচার হবে আইনের মাধ্যমেই, মব জাস্টিসের মাধ্যমে নয়। মব জাস্টিস সমর্থনযোগ্য নয়। মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানান রিজভী। এরপর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করা। মব জাস্টিসের মতো অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করা। এসময় মব জাস্টিসে দলের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। আদালতে পুলিশের উপস্থিতিতে কীভাবে আসামিরা হেনস্তা হন, এমন প্রশ্নও রাখেন রিজভী। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের জন্য সাবেক তিন সিইসি দায়ী থাকলেও আইনসম্মতভাবেই তাদের অপরাধের বিচার চায় বিএনপি। দেশে আবারও করোনার ভয়াবহতা বাড়ছে মন্তব্য করে রিজভী অভিযোগ করেন, কিন্তু সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। একইভাবে ডেঙ্গু পরিস্থিতিও অবনতির দিকে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত স্বাস্থ্য খাতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ মাহমুদ হোসেন শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সহ-সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দীন সরকার তুহিন প্রমুখ।

জাতীয় সরকারের মাধ্যমে সংস্কার বাস্তবায়ন করবে বিএনপি : আমির খসরু

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সরকার গঠন করে ৩১ দফার আলোকে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সোমবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণফোরামের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। আমির খসরু বলেন, ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে আমরা এক সঙ্গে আন্দোলন করেছি। এটা অব্যাহত রাখছি। এই ধারা আগামী নির্বাচন পর্যন্ত থাকবে। নির্বাচন পরবর্তী সরকার গঠনসহ আগামী দিনে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেব। আমাদের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব সবাই মিলে বাস্তবায়ন করব। একটা জাতীয় সরকারের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক জনগণ অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। যে আশঙ্কা ছিল সেটা কেটে গেছে। জাতি এখন নির্বাচনের টানেলে প্রবেশ করেছে। এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, নির্বাচনের তারিখ, মনোনয়নপত্র দাখিলের তারিখ, বাছাইয়ের তারিখ, নির্বাচনের দিনক্ষণ সব কিছুর একটা সিডিউল দেওয়া হয়। সেটা নির্বাচনের এত আগে কখনো দেওয়া হয়নি। নির্বাচনের কাছাকাছি সময় দেওয়া হয়। সব নির্বাচনেই একই অবস্থা। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। নিশ্চিতভাবেই আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের দিকে আমরা সবাই এগিয়ে যাচ্ছি। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বলেন, গত ১৫ বছর একটা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার উত্খাত হয়েছে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার একটি বিরল সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তারপরেও দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রের কারণে নির্বাচন নিয়ে একটি অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। লন্ডনের একটি স্মরণীয় বৈঠকের মাধ্যমে সেই অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। দেশের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, বর্তমানে যে সংস্কার প্রক্রিয়া চলছে, সেখানে বিএনপি, আমরাসহ ক্রিয়াশীল সব দল ভূমিকা রাখছি। বিভিন্ন বিষয়ে সেখানে আলোচনা হচ্ছে। সব দল দলীয়ভাবে সেখানে মতামত দিচ্ছে। আমরা ঐকমত্য কমিশনকে জানিয়েছি, যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছেছে সেগুলো অনতিবিলম্বে আগামী সংসদে পাশ করার জন্য জাতীয় প্রস্তাব হিসাবে রাখা এবং সেই ব্যাপারে কোনো রকম যেন কালক্ষেপণ করা না হয়। লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর নেতৃত্বে দলটির ১১ সদস্য বৈঠকে অংশ নেন। প্রতিনিধি দলের অন্যরা হলেন- সভাপতি পরিষদ সদস্য একেএম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক আহমেদ, মো. সেলিম আকবর, অ্যাডভোকেট সুরাইয়া বেগম, কোষাধ্যক্ষ শাহ নুরুজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, লতিফুল বারী হামিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সানজিদ রহমান শুভ। গণফোরামের বৈঠকের পর এনডিএমের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপি। দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন।

এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৩ জুন) পৌনে ১১টার দিকে বাংলামোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত।তিনি বলেন, কিছুক্ষণ এনসিপি অফিসের বিল্ডিংয়ের সামনে অজ্ঞাতনামা কেউ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। অফিসের নিচে তখন সদস্যসচিব আখতার হোসেন দাঁড়িয়েছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুর্বত্তকারীদের খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করার দাবি জানান তিনি। এর আগে, রোববারও (২৩ জুন) এনসিপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় নিচে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, চলন্ত একটি গাড়ি থেকে বাংলামোটর মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে ককটেল ছুড়ে মারলে বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

বিএনপি মব প্রশ্রয় দেয় না: আমিনুল হক

“বিএনপি কখনোই মব জাস্টিসকে প্রশ্রয় দেয় না, ভবিষ্যতেও দেবে না”— এমন কঠোর মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। সোমবার (২৩ জুন) খিলক্ষেতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “স্বৈরাচারের আজ্ঞাবহ সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু ব্যক্তি মব জাস্টিস করতে চেয়েছিল, কিন্তু বিএনপি এই সংস্কৃতির ঘোর বিরোধী। আমাদের দল আইনের শাসনে বিশ্বাসী, এবং সেই ধারাবাহিকতাতেই আমরা সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি।” তিনি বলেন, “গ্রেফতার হওয়া দুই সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা ও আব্দুল আউয়াল রাতের আঁধারে ভোট করে স্বৈরাচারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। নাটকীয় ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে স্বৈরাচারদের এমপি বানিয়েছিল তারা।” আমিনুল হক বলেন, “যারা ১৭ বছর ধরে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করেছে, তাদের প্রতি কোনও মায়াকান্না দেখানোর সুযোগ নেই। কিছু অন্তর্বর্তী সরকার উপদেষ্টা এইসব দোসরদের নিয়ে সহানুভূতি প্রকাশ করছেন— এটা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।” তিনি আরও বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।” সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে যেতে হবে উল্লেখ করে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ‘ডোর টু ডোর’ প্রচারণার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমিনুল হক বলেন, “বিএনপি হচ্ছে জনগণের দল, জনগণের সঙ্গে মিশে থাকা আমাদের দায়িত্ব। বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মপরিকল্পনার লিফলেটটি প্রত্যেকের ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।” তিনি সতর্ক করে বলেন, “দলের সদস্য নবায়নের ক্ষেত্রে যেন কোনও আওয়ামী লীগের লোক না ঢুকে, সেদিকে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। নতুন ভালো মানুষদের আমরা দলে স্বাগত জানাবো, তবে পুরাতন ত্যাগীদের মূল্যায়ন অবশ্যই করতে হবে।” চাঁদাবাজি ও দখলদারির বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “দলের ভেতরে কেউ যদি এমন কাজে জড়িত হয়, তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মো. মোস্তফা জামান। তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পরে যারা বিএনপিতে এসেছেন, তাদের একটি অংশ চাঁদাবাজি ও দখলদারিতে লিপ্ত হয়েছে। আমরা চাই ভালো এবং আদর্শ মানুষ বিএনপিতে আসুক।” কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক (দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত), আকতার হোসেন, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন, তহিরুল ইসলাম তুহিন, মহানগর উত্তরের সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, সদস্য এজিএম শামসুল হক, আলী আকবর আলী, মোতালেব হোসেন রতন, রফিকুল ইসলাম খান, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, ইব্রাহিম খলিল, মনিরুল ইসলাম রাহিমী, খিলক্ষেত থানা বিএনপি আহ্বায়ক এসএম ফজলুল হক, যুগ্ম-আহ্বায়ক সোহরাব খান, মোবারক হোসেন দেওয়ান, সিএম আনোয়ার হোসেন, খিলক্ষেত থানা ৪৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি দিদার আহমেদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন প্রমুখ। বিকালে ভাটারায় আরেকটি সদস্য ফরম নবায়ন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আমিনুল হক।

নিশ্চিতভাবেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি: খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নিশ্চিতভাবেই আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের দিকে আমরা সবাই এগিয়ে যাচ্ছি। সোমবার (২৩ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণফোরামের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। বিকেল সাড়ে ৫টায় এ বৈঠক শুরু হয়। এছাড়াও এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এনডিএমের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপি। এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়। গণফোরামের সঙ্গে বৈঠক শেষে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আমরা একসঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছি। এই ধারা অব্যাহত রাখছি। এই ধারা আগামী নির্বাচন পর্যন্ত থাকবে। আগামী নির্বাচন পরবর্তী সরকার গঠনসহ আগামী দিনে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবো। আমাদের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব সবাই মিলে বাস্তবায়ন করবো। একটা জাতীয় সরকারের মাধ্যমে যেটা বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক জনগণ অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। যে আশঙ্কা ছিল সেটা কেটে গেছে। জাতি এখন নির্বাচনে টানেলে প্রবেশ করেছে। আমরা সবাই নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এক প্রশ্নরে জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের তারিখ, মনোনয়ন দাখিলের তারিখ, বাছাই করার তারিখ, নির্বাচনের দিনক্ষণ সবকিছুর একটা শিডিউল দেওয়া হয়। সেটা নির্বাচনের এত আগে কখনো দেওয়া হয়নি। নির্বাচনের কাছাকাছি সময় দেওয়া হয়। সব নির্বাচনেই একই অবস্থা। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। নিশ্চিতভাবেই ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের দিকে আমরা সবাই এগিয়ে যাচ্ছি। এ সময় গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বলেন, গত ১৫ বছর একটা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার উৎখাত হয়েছে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার একটি বিরল সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তারপরও দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রের কারণে নির্বাচন নিয়ে একটি অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। লন্ডনের একটি স্মরণীয় বৈঠকের মাধ্যমে সেই অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। দেশের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, বর্তমানে যে সংস্কার প্রক্রিয়া চলছে, সেখানে বিএনপি, আমরাসহ ক্রিয়াশীল সব দল ভূমিকা রাখছি। বিভিন্ন বিষয়ে সেখানে আলোচনা হচ্ছে। সব দল দলীয়ভাবে সেখানে মতামত দিচ্ছে। আমরা ঐকমত্য কমিশনকে জানিয়েছি, যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হচ্ছে, সেগুলো অনতিবিলম্বে আগামী সংসদে পাস করার জন্য জাতীয় প্রস্তাব হিসেবে রাখুন এবং সেই ব্যাপারে যেন কোনো রকম কালক্ষেপণ করা না হয়। এ পর্যন্ত যত আলোচনা হয়েছে, সেখানে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ ব্যতীত আর কোনো বিষয়ে একমত হতে পারেননি বলেও জানান মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, জাতির প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য এই সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে ধাবিত হতে হবে। গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর নেতৃত্বে দলটির ১১ সদস্য বৈঠকে অংশ নেন। প্রতিনিধিদলের অন্যরা হলেন- সভাপতি পরিষদ সদস্য এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক আহমেদ, মো. সেলিম আকবর, অ্যাডভোকেট সুরাইয়া বেগম, কোষাধ্যক্ষ শাহ নুরুজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, লতিফুল বারী হামিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সানজিদ রহমান শুভ।

গোপালগঞ্জে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন শুরু

গোপালগঞ্জে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরিফ রফিকুজ্জামানের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী আবুল খায়ের, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শিকদার শহিদুল ইসলাম লেলিনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। পরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরিফ রফিকুজ্জামান ফরম সংগ্রহ করে তিনি তার সদস্য পদ নবায়ন করেন। এ সময় বিএনপির জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সব ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনে কানাডার সহযোগিতা চায় জামায়াত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য কানাডার কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আজ সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে মগবাজারে দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান।তাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। বৈঠকে বাংলাদেশ ও কানাডার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। বৈঠকে হাইকমিশনারের সঙ্গে সিনিয়র পলিটিক্যাল অফিসার সিওভান কের ও পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকনোমিক অ্যাডভাইজার নিসার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্ব বৈঠকে অংশ নেন দলের নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান। ব্রিফিংয়ে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, বৈঠকে কানাডার রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে অনুরোধ করেছি। তারা সেটিতে সম্মত হয়েছেন। আগামী সংসদ নির্বাচন ও যে রিফর্ম (সংস্কার) হচ্ছে সে ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, ঐকমত্য কমিশনের নেতৃত্বে যে সংস্কার প্রক্রিয়া চলছে। প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দল তাদের দলীয় পথ ও মতের ভিত্তিতে কাজ করছি। কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অগ্রগতিও হয়েছে। আর্টিকেল ৭০, স্ট্যান্ডিং কমিটির কথা বলেছি। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রস্তাব করেছি। নারী আসনের ব্যাপারে কথা হয়েছে। সামগ্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেছি। জামায়াতে ইসলামী পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা চায়, সেটা আমরা ব্যাখ্যা করেছি। আপার ও লোয়ার হাউজ সংক্রান্ত যে কনডিশনাল অগ্রগতি হয়েছে সেটা আমরা ব্যাখ্যা করেছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বেসিক একটা চেঞ্জ দরকার। পাওয়ারকে ব্যালেন্স করবে, কোনো একজন ব্যক্তিকে একনায়ক বা স্বৈরশাসক বা ডিক্টেটর হওয়ার মতো অবস্থায় যেতে না পারে সেজন্য ১০ বছরের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। একটি দলের পক্ষ থেকে আপত্তি আসছে। তারা দলীয়ভাবে পরে তাদের অবস্থান জানাবেন। ‘বাংলাদেশে আজকের পরিস্থিতির জন্য যে প্রধান কারণ সেটা হচ্ছে ভোটারবিহীন জবরদখলের নির্বাচন। পরপর তিনটি নির্বাচনই ছিল এমন। যার কারণে সংকট এমনভাবে ঘনীভূত হয়েছে যে, একটি সরকারের শুধু পরিবর্তনই হয়নি, বিদায় হয়নি, দেশত্যাগ করার মতো একটি পর্যায়ে চলে গেছে। আমরা আর দেশে এমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি চাই না, সেটা স্পষ্ট করে বলেছি।’ জামায়াতের এ শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, আমরা বলেছি, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে একটি ফ্রি ফেয়ার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। যার মাধ্যমে দেশে স্থিতিশীলতা ও সুস্থ রাজনীতি ফিরে আসবে। যদি এটা এবার না-হয় তাহলে আগের চেয়েও বড় ও ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন আমরা হতে পারি, সেই আশঙ্কার কথা আমরা তুলে ধরেছি। ‘বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং বলেছেন, তারা এবার বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ক্লোজলি অবজার্ভ করবে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সামনে আলাপ করবে। নির্বাচনের আগেই যাতে লেবেল ফিল্ড থাকে এবং নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয় এ ব্যাপারে তারা তাদের অবজারভেশন ও মতামত দেবেন।’ মো. তাহের বলেন, আমরা আরেকটা কথা বলেছি, যেখানে সিল মারা হবে সেটা বাদে প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য। এজন্য অনেক টাকাও লাগবে এটা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অজুহাত- এতো টাকা ও বাজেট পাবো কোথায়! আমরা কানাডাকে অনুরোধ করেছি সেই বাজেট দেওয়ার জন্য। একটি দল বা দেশ যদি বাজেট দিতে না পারে তাহলে আপনারা কয়েকটি দেশ কনসোর্টিয়াম করে ইউএনডিপির মাধ্যমে এই বাজেট দিয়ে সহযোগিতা করতে পারেন। তাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করবে। কানাডার হাইকমিশনার আর্থিক অনুদানের বিষয়টি জাতিসংঘের মাধ্যমে সমন্বয় করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। কানাডা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারিগরিসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন। ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার হবে বলে বৈঠকে আশাবাদ করা হয়।

তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ চীনের কমিউনিস্ট পার্টির

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)। সোমবার (২৩ জুন) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের পিপলস গ্রেট হলে আয়োজিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান সিপিসির পলিটব্যুরো সদস্য এবং ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের ডেপুটি চেয়ারম্যান লি হংঝং। বৈঠকে তারেক রহমানকে চীন সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান এই সিপিসি নেতা। বিএনপি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। শায়রুল কবির খান জানান, বৈঠকের মধ্য দিয়ে দুই দল ও দুই দেশের সম্পর্কের নতুন মাত্রা লাভ করবে সিপিসির নেতারা আশাবাদী। আঞ্চলিক রাজনীতিতে চীনের নেতৃত্বের উদ্যোগের ইতিবাচক আখ্যায়িত করে তার পরিধি বাড়িয়ে বহুপাক্ষিক করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।

সাবেক সিইসিকে হেনস্তায় জড়িতদের বিচার চান রিজভী

সাবেক সিইসি নুরুল হুদার সঙ্গে গতকাল এবং কোর্টে যারা অসদাচরণ করেছে তাদের শাস্তি দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে গণমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যারা বিচারের নামে মব জাস্টিস করছেন তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। রিজভী বলেন, যারা অপরাধী তাদের বিচার হবে। কিন্তু বিচারবহির্ভূতভাবে কেউ তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করবে এ ধরনের কোনো নীতিতে বিএনপি বিশ্বাস করে না। সাবেক সিইসি’র সঙ্গে প্রকাশ্যে যে আচরণ করা হয়েছে সেটি নিঃসন্দেহে গর্হিত কাজ। এই ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক তার বিচার দাবি করছে বিএনপি। তিনি আরও বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। এরকম একটি স্পর্শকাতর জায়গায় মানুষ নিরাপত্তা প্রত্যাশা করে। আর সেখানে কেউ বেআইনি কাজ করবে তা হতে পারে না। বিএনপির এই নেতা বলেন, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো কোনো দল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছেন। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ৫ আগস্টের পর থেকে আমাদের চেয়ারপারসন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন দলের ভেতর কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এবং অনৈতিক কাজে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা তখন যারা কারাগারে ছিলাম তখনও জেলে থেকে সবাইকে সুশৃঙ্খল রাখার চেষ্টা করেছি। এখন পর্যন্ত বিএনপির যেসকল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে; সেসব অভিযোগের ভিত্তিতে চার সহস্রাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় বাংলাদেশে শান্তি, স্বস্তি এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য বিএনপি কাজ করে যাচ্ছে। গণতন্ত্রমনা মানুষ যাতে গণতন্ত্র চর্চা করতে পারে তা নিশ্চিত করতেই আমরা বদ্ধ পরিকর।

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় জামায়াত আমিরের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

ইরানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ও নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। সোমবার (২৩ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, ‘গত ১৩ জুন ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র ২১ জুন রাতে ইরানে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ইরানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর এ জাতীয় হামলা আন্তর্জাতিক আইন, রীতি-নীতি ও জাতিসঙ্ঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ হামলা অযৌক্তিক ও অবৈধ। এই হামলার ফলে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আমরা এই অন্যায় ও আগ্রাসী হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি ও নিন্দা জানাচ্ছি।’ বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি মার্কিন সিনেটের ইন্টেলিজেন্স কমিটির শুনানিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখনো বিশ্বাস করে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না। অথচ ইরানের পরমাণু অস্ত্র বানানোর মিথ্যা অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর হামলা করেছে। মিথ্যা ও অনুমান নির্ভর তথ্যের উপর ভিত্তি করে ইরানের মত একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর এই আগ্রাসী হামলা বিশ্ববাসীকে হতবাক করেছে। এই হামলা বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি। এর ফলে গোটা মধ্যেপ্রাচ্যে সঙ্ঘাত-সংঘর্ষ আরও বাড়বে।’ মধ্যপ্রাচ্যের এই সংঘাত নিরসনে জাতিসংঘকে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইরানের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে অবিলম্বে মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বেপরোয়া, অন্যায়, অযৌক্তিক ও আগ্রাসী হামলা বন্ধ করার লক্ষ্যে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমরা জাতিসঙ্ঘসহ বিশ্ববাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’ প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন থেকে লাগাতার ইরানের সামরিক-বেসামরিক বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। ইরানও পালটা জবাব দিতে ইসরাইলের জুড়ে প্রায় পাঁচশর কাছাকাছি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এর মধ্যে ২১ জুন রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বাংকার বাস্টার বোমা নিক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান। ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রের এমন আগ্রাসী আচরণে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ব্যাপকভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

গুলশানের ঠিকানায় স্মার্টকার্ড পেলেন জুবাইদা রহমান

ভোটার হওয়ার তথ্য দিয়ে স্মার্টকার্ড সংগ্রহ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাকে স্মার্টকার্ড সরবরাহ করা হয়েছে। ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, চলমান বাড়ি বাড়ি ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে তাকে ভোটার করতে তথ্য নেওয়া হয়। এরই মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। তবে ভোটার তালিকায় নাম উঠবে হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হলে। এদিকে ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, তিনি ভোটার হচ্ছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসার ঠিকানায়। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করা হলেও তিনি ভোটার হচ্ছেন গুলশান-২ নম্বরের ওই ঠিকানায়। ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা কার্যক্রম শুরু হলেও সে সময় তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে ছিলেন তিনি। গত ৬ মে বিএনপির চেযারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরলেও ৫ জুন ফের লন্ডরে ফিরে যান জুবাইদা রহমান। সম্প্রতি ইসি কর্মকর্তারা তার তথ্য সংগ্রহ করেন।

নুরুল হুদার হেনস্তায় দলের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা: সালাহউদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার ‘মব’ ঘটনার সঙ্গে দলের কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান তিনি। সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা মব কালচারে বিশ্বাস করি না, আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য অবিরাম সংগ্রাম করে যাচ্ছি। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং আদালতের রায় বাস্তবায়ন হবে,বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকবে। সুতরাং সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া এবং তার বিচার প্রক্রিয়ায় আইনগতভাবে যথাযথভাবে পরিচালিত হবে এটা আমরা প্রত্যাশা করি। তিনি বলেন, তবে তার ওপরে যে অবমাননাকর ব্যবহার করা হয়েছে এটা আমরা সমর্থন করি না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদি বিএনপির কোনো নেতাকর্মী এই ঘটনায় জড়িত থাকে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আমরা নেব, এটা আমাদের অবস্থান। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা চাই, কোনো ব্যক্তি যতবড় অপরাধীই হোন না কেন, তার আইনি এবং সাংবিধানিক অধিকার যেন ভোগ করার অধিকার অক্ষুণ্ন থাকে; যতবড় অপরাধীই হোন না কেন, তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার যেন ক্ষুণ্ন না হয়। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার দলীয়করণের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরোপুরি বিনষ্ট করে দেওয়ার জন্য যে কজন ব্যক্তি দায়ী তার মধ্যে নূরুল হুদা অন্যতম। শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য কয়েকটি রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি কলুষিত এবং ধ্বংস করার জন্য আরও কয়েকজন ব্যক্তি দায়ী। যেমন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক। তবে আমরা কখনই সেই অপসংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না, আমরা মব কালচারে বিশ্বাস করি না। এর আগে, ২২ জুন রাতে উত্তরার বাসা থেকে সাবেক সিইসি কেএম নূরুল হুদাকে জনতা ঘেরাও করে তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয়। তাকে অবমাননা করার এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ঢাকা-১৫ ছাড়াও আরেক আসনে প্রার্থী হতে পারেন জামায়াত আমির

আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নানা হিসাব-নিকাশ চলছে। এরই অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় ধরেই সব আসনে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে অন্তত ২৯৬ আসনে প্রাথমিকভাবে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা ‘চূড়ান্ত’ করেছে দলটি। ধাপে ধাপে আসনভিত্তিক সম্ভাব্য এসব প্রার্থীর নাম অনানুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করছে জামায়াত। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন দলটির নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে ঘোষিত প্রার্থীরা নিজ নিজ আসনে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিয়ে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। এদিকে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা-১৫ আসন থেকে আগামী নির্বাচনে লড়তে পারেন বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে এই আসনে নির্বাচনি প্রচারণা চালিয়েছেন জামায়াত আমির। চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল রিকশায় করে নির্বাচনি গণসংযোগ করতে দেখা গেছে ডা. শফিকুর রহমানকে। এর আগে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনেও এই আসনটিতে প্রার্থী হয়েছিলেন ডা. শফিকুর রহমান। অন্যদিকে ঢাকা-১৫ ছাড়াও জন্মস্থান মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে প্রার্থী হতে পারেন জামায়াত আমির। দলীয় বিশ্বস্ত সূত্রে এমনটি জানা গেছে। তবে এ আসনটিতে জামায়াতে ইসলামী ইতোমধ্যে মৌলভীবাজার জেলা আমির ইঞ্জিনিয়ার সাহেদ আলীকে প্রার্থী ঘোষণা করলেও দলটির কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমানের বাড়ি কুলাউড়া উপজেলায় হওয়ায় কয়েক দফা সফর করছেন তিনি। হিন্দু সম্প্রদায় ও চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন জামায়াত আমির। এ ছাড়াও তৃণমূল পর্যায়ের বিভিন্ন সমাবেশে ও পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছেন। এতে ধারণা করা হচ্ছে, এ আসনেও প্রার্থী হতে পারেন ডা. শফিকুর রহমান। মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যক্ষ ইয়ামির আলী জানান, ‘কে কোথায় প্রার্থী হবেন এ সিদ্ধান্ত নেবে দলের নির্বাচনি মনিটরিং বোর্ড। তবে মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনটি কেন্দ্রীয় জামায়াত আমিরের জন্মস্থান হওয়ায় এলাকার মানুষের দাবি এই আসন থেকে যেন জামায়াত আমির নির্বাচনে অংশ নেন।’